![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে আমি খুব সাধারণ। সাধারণ একটি মেয়ের যে সকল গুণাবলী থাকে আমি মনে করি আমার সেগুলো আছে। অতিরিক্ত চাকচিক্য আমার পছন্দ নয়।এককালে নিয়ম ভেঙে কোন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে ছিলো। সময়ের সাথে সাথে তা মাটি চাপা দিয়েছি।অদ্ভুত সব কিছুই আমাকে টানে।
পশ্চিমের দিকে তাকাতে,
হাহাকার করে ওঠে আমার আদ্যোপান্ত,
ও পথেই তুমি ফিরে গিয়েছিলে-
নদীর স্ফীতোদর পারে,
মিষ্টি দুর্বার প্রান্তরে,
যে দেশে আমি নেই,
যেখানে বুনোহাঁসেরা প্রাণের সুখে রবিস্নান সারে,
আঁশটে গন্ধ পড়ে যাওয়া শার্শিতে মরিচা ধরে আছে,
ওতে...
তাহাকে যেদিন প্রথম চিনেছি,
দেখেছি তাহাকে প্রথম,
বুঝতে আমার রয়নি বাকি,
নেই তার কোনো অহম।
ধনুকের ন্যায় ছিলো তাহার ভ্রু এক জোড়া নিখুঁত,
মায়াময় হাঁসি করে গিয়েছে খেলা ,
আবৃত করে চিবুক।
রুগ্ন শরীর,শীর্ণ বক্ষ, ঢোলা তাহার...
কে যেন বলে গ্যাছে বোকারা আসলে হিজল গাছের মতো,
মৃত মাছের মতো,পাতা বিহীন গাছের মতো,
তাই হিজল গাছ ছিলো এক কোণে,
ধরা যায় ছোঁয়া যায় যারে অনুভব করা দায়,
নানা রঙের নীল স্বপ্ন কথন,
সে...
আমি এক ঘুণে ধরা বিবশ আকাশের
এক চিলতে অলস কলম নবীশ,
সিসের মতো কালো আঁধার এগিয়ে আসছে এদিকে সন্তর্পণে,
যেন জলে ভরা নিচু মেঘের এক ফালি স্তবক,
ওতে মিশে আছে সুখ,
ওতে মিশে আছে...
সেদিন বিকেলে গোধূলি লগ্নে,
আকাশের কান্না হয়েছিলো সবুজ রাজসিক,
রাতুল বর্ণ,
হ্যাজাকের আলো জ্বেলে শহুরে পথের শেষ সেই সীমানায়,
তোমার সাথে দাঁড়িয়ে ছিলো, শতাব্দী,
মরফাসের মতো ওর হাত শূন্য ছিলো,
ভাঙা আস্ফালনের স্লিপার আর নমিত মণ্ডলের...
হিসেব টা দুশ, হ্যাঁ দু শতাধিক,
কীইবা! দুশ ক্রোশ কিংবা দুশ কিঃমি,
না তা নয় , বোধয় আরো বেশী,
কতো সহস্র আলোকবর্ষ?
কাউন্টার ক্লককে বেয়নট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে
বসে আনবো,
ও থামুক,
এতো নিষ্ঠুর ও যেন সব...
কীভাবে শোধাবো গুণী?
উসখুসে চুলে আসা শাহবাগের বিকেল শোধাবো?
নাকি উলুপের মতন তারা ভরা সন্ধ্যা?
যেদিন পবিত্র নারী হয়েছিলো দেবী আইসিস,
আর তোমায় লাগছিলো গ্রাম্য প্রাচীন সরল ওসিরিস,
সত্যি লাগছিলো?
তোমার সিফিলিস মাখা চোখে হয়তো লাগছিলো,
আমি...
আমাদের হলদে এই শহরে,
যেখানে ব্যাবিলনের মতো নেই শূন্য উদ্যান,
কিংবা আলেকজান্দ্রিয়ার প্রকাণ্ড বাতিঘর,
আমাদের নেই পিসার হেলানো অদ্ভুত মন্দির,
তবু ওরা আমাদের টানে,
কারণ ঐ শহরের রাত বিরাতেও দ্যাখা যায় অসংখ্য আর্দ্রার রঙে ভরা...
কৃষ্ণপক্ষ পেড়িয়ে ডিঙিয়ে
উচ্ছ্বাসে ফিরে এসেছে তোমার
আমার চাঁদ,
রাত্রি জাগরণের অমানিশায় আমি এপথ ভুলে
দু শতাব্দীর ক্রোশ কে ছিনিয়ে এনেছি আমার বুকের আসনের অংশে,
গরম নিশ্বাসের অস্তিত্বে ভরিয়ে ফেলেছি তোমার
আমার দুঃখ ভরা...
দুর্গন্ধ ঐ পথের পানে চেয়ে থাকে,
থাকে নাসারন্ধ্রের ফাঁকা কুঠুরী,
একদল উৎসুক ঝিঝি পোকা,
মিটিমিটে তারাটাও যেন স্তব্ধ হয়ে গ্যাছে আমাদের দেখে,
নক্ষত্রের মরে যাবার খবর,
পৌঁছে গ্যাছে নাকি ঐ দূর মানবের ঘরেও,
অভিমানীদের রাত্রিটা...
ছাইপোষের মাঝে এই শহরের
ক্লান্ত নির্ঘুম চাঁদেরা ভূত হয়ে এসে পরে
দূরালাপনীর একদম সামনের দেউড়িতে...
বহ্নির ফুলকি ঝড়া রাতে
কালো রাঙা ওপারে মেঘের
একরাশ প্রলুব্ধতা,...
কতোদিন হলো রুদ্ধস্বরে বিমূঢ়তা আর আমায় নাড়ায় না,
পথের প্রান্তের অশথের ন্যায় বটগুলো আমার নাভি শ্বাস উথলে যাওয়া পথ,
ধুলোয় ভরা অগোছালো মশারিবিহীন জীবনের ওরা পেয়ে যায় খোঁজ।
মনের দেউড়ির এপার ওপাড় সদা...
©somewhere in net ltd.