নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই নশ্বর পৃথিবীতে একটি ফিনিক্স পাখি!

জীর্ণ বাস্তবতা

আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে আমি খুব সাধারণ। সাধারণ একটি মেয়ের যে সকল গুণাবলী থাকে আমি মনে করি আমার সেগুলো আছে। অতিরিক্ত চাকচিক্য আমার পছন্দ নয়।এককালে নিয়ম ভেঙে কোন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে ছিলো। সময়ের সাথে সাথে তা মাটি চাপা দিয়েছি।অদ্ভুত সব কিছুই আমাকে টানে।

জীর্ণ বাস্তবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় মা

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

নিরাশ একদল নিরাকার নিঃসঙ্গতা

শহরের এ মাথা ওমাথা করে,

এসে পড়ে শহরের কানা গলি ঘুপচির মিছিলে,

চোখ গুলো এমন স্পষ্ট যেন

ভাঙা কাঁচের টুকরোর মতো আদ্দেক মন,

কিংবা মিছিলের শবে হেঁটে যাওয়া এক অসহায় সন্ন্যাসী,

তবু ঐ চোখে থেকে থেকে জ্বলে কালো নিরাশার লুব্ধক,

মিথ্যে হাহাকার,

আর ওপাশের নির্লিপ্ততার পেছনে

অনেক কিছু পুড়ে হয় ছাই,

তবুও কেউ একজন থাকে বসে ঠায়,

অনুপ্রায়ে বলেনা কথা,

কেউ নাই তার কেউ নাই,

বাঁশ থেকে উঠে আসে তার গন্ধ সোঁদা,

এক বুক নেশার

এক বুক হতাশা মিলে মিশে সঙ্গমে আনে আলো,

তারপর একসময় এক রাতের আধেকে তোকে ছাড়াই আমার রাত গুলো

ভালো,

আমার আরেকবার মিথ্যে বলতে হয়,

আমি আজকাল ভালো আছি।



প্রাচীন লীলাভ প্রজাপতির কাছে

এক থেকে দুই

দুই থেকে তিন

দুই দুই দুই করে তিন পাঁচ

তারপরে একবারে পাঁচ

বিষণ্ণ পাঁচের সাথে কিশোরী বুকের মতো হয় একটা শুভ্র সকাল ,

আমার ভেতরের সত্তা আমায় কষে টেনে আনে আলমারির পাটাতনের সামনে,

নীল কমলা মেয়ে গাছের কাছে আকাশী গাছের নিরুত্তাপ প্রশ্ন,

ও বড্ড অহংকারী না?

বেঁচে আছে কার জন্যে?

তাই একটা পবিত্র মুখের বাঁকানো হাঁসি আমার হৃদয় নিংড়ে বার করে একটা সোঁদা মাটির গন্ধ,

মা

তোর জন্যেই যে বেঁচে আছি ছিলাম অনাদি অনন্ত,

তাই দিনশেষে আমার দরকার হয় তার একটা হাঁসি,

তার বিমোহিত চোখের তিড়তিড়ে কাঁপন,

আর তার হাড় জ্বালানো পুড়ে যাওয়া মায়ায় ভেজানো আঁচল,

আর আদর মাখা বুলি,

না বলাতে যেথায় বাস করে তীব্র ভালোবাসি।



তাই দিনরাত হোক রাত দিন

শহর মরুক পচুক হোক অঙ্গার অনতিশীন

এ জগত সংসার আর তার ফাঁকা বুলির ওরিয়ন

ইন্টার সেপ্টের বাধনে না জড়াক আমার সত্তা আমার ক্লেশ অহম,

দিনশেষে কালো কষ্টের ফ্রেম ভেঙে হোক খান খান

টুকরো মেঘের মতো স্বর্গ হয়ে হরিণের কাছে ধরা দিক

তার দিক পালের মতো লাটিম হয়ে ঘোড়া সিল্কের চাদরে মেশানো

ওকের একটা প্রান্তে বসা ,

একটা নীল প্রজাপতি।



কালো গোলাপের ঝড়ে যাক পাপ,

ব্যস্ত দুষিত নগরে ভেসে যাক ফুল বিক্রেতার আক্ষেপ আর মায়ায় মেশানো সেই গাছটা,

আকাশ বাতাস তাই কাঁপিয়ে আমি টেনে আনি বহু পুরাতন ধুলোয় মেশানো তিন স্তরের গোধূলি বেলার একটা স্বপ্নের মৃত আঁচ,

যে আঁচে জ্বলবে পুড়বে যাকিছু ভুল

আমি শুধরাবো আমার শব,

আমার মৃত দেহ আত্মা,

আর মিশরের কালো নগরীর ভয়ার্ত নগরের মতো জ্বলজলে প্রদীপ হয়ে জ্বলবে আমার প্রদীপ চিরন্তিনী শিখা,

তুই কেবল দেখে নিস,

খুঁজে নিস আমায় ভীরের মাঝেতে ,

অত্রির মতো জ্বলজ্বলে ,

মাতা মুহুরির মতো গুমতী সুরমা আর পদ্মার মতো কলকলে,

প্রশ্নের মাঝে দেখে নিস আমার একটা কালো সাহসী মুখ আর পুড়ে যাওয়া হৃদয়,

তোর অংশে ,

তোর ঘ্রাণে,

মধ্যাহ্নের বেলাতে তোর অমানুষিক পরিশ্রমে,

তোর ক্লান্ত শ্রান্ত ঘুমের দেশের একটা কোণায়..........

নদীর বুকে পরিত্যাক্ত স্টিমারের একটা বাহুর আদলের মায়ায় .........



০৫:১৫ রাত

শনিবার , জানুয়ারি ২৪।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সুন্দর :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.