![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে আমি খুব সাধারণ। সাধারণ একটি মেয়ের যে সকল গুণাবলী থাকে আমি মনে করি আমার সেগুলো আছে। অতিরিক্ত চাকচিক্য আমার পছন্দ নয়।এককালে নিয়ম ভেঙে কোন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে ছিলো। সময়ের সাথে সাথে তা মাটি চাপা দিয়েছি।অদ্ভুত সব কিছুই আমাকে টানে।
কিছু সরণী আর সড়কের কাছে হঠাৎ করেই ভীষণ দায়বদ্ধতা চেপে যায় আমার,
দায়বদ্ধতা গুলো আসলে কার?
তোমার?
আমার?
নাকি অন্য সবার?
সে কথা জানা যায়না কখনো,
দ্যাখা যায়না গলির ওমাথার আলো,
তুমি তবে কেমন ,ভালো?
বাজে আছি বড্ড...
অসহায় সরণী গুলো তবু ধরে রাখে ,
আমার একজোড়া নগ্ন পা,
পাদুকা ছেড়ে গেলেও এই নগরী ছেড়ে যায়না,
উদ্বাস্তুর মতো আমি খুঁজি একটা
ক্লান্ত আকাশী গাছ,
একটা নীলচে মিটিমিটি তারা,
ট্রেন থেকে নেমে আসা
একটা মিষ্টি চোখের...
স্বর্ণালী পত্রকে নেই লেখা নাম,
ঝড়ো বৃক্ষের অধ্যুষিত ইতিহাসে নেই লেখা পরিণাম।
অলংকার এর ভাজে গলিত আদ্রা কেবল তিতা বিষ,
ফাঁকা মস্তক, উন্নত নেত্র,
কালোমেঘ,
মাতাল অভিলাষ,
বালিকা নিকোটিন নাও,
বাঁচো উন্মত্ততায়,
একান্ত উন্মাদনায়।
১১:৪৩
বৃহস্পতিবার, ১৫ জানুয়ারি।
হাটুরে মানুষদের দুনিয়া হয় বড্ড ছোট,
যেমনি করে হিসেবের খাতায় আমার পরিমাপের একক ছিলো দিগন্তহীন রাস্তা,
একাদশ, দ্বাদশ, কিংবা বিংশ,
সময়ের হিসেবে চোরাগলিরা এগিয়ে,
শুভ্র সাদা জামার সেই দিনগুলো অভিমানে যেদিন ফেলে এসেছি,
গাছ গুলোও...
অভিমানী শ্বেতশিমুল গুলো কখনো তবু জানান দেয়,
খুব নির্বিকার চিত্তে,
বালিকা কবেই হয়ে গিয়েছে বাক বাকুমের বৃদ্ধ বালিকা,
নেত্র বন্ধনী তবু বেখেয়ালি মেয়ের সঙ্গী হয়না,
দূরের বলাকা হয় অস্পষ্ট,
তবু কালপুরুষের ইংরেজি ডাবল ইউ যখন...
অচ্ছুত তবু আমি,
অংশত আদখানা চাঁদ,
দূর শহরের বালিকা যখন ক্লান্ত,
ঐ শহরের বালক তখন দিকভ্রান্ত,
বোকা বাক্সে জমে যায় নানান কথা,
হরেক রঙের সুখ জিলাপি,
এক সাথে রয় বাধা।
বিষাদের সাথে তবু চলে হরদম পাল্লা,
একপেশে বড়...
সেই কবে তোমায় জিজ্ঞেস করেছি,
কবে আসছো?
আসছো কবে তুমি?
আসছি আসছি আসছি
কবে বলো? কবে?
অচিরেই,
কতো বেলা কেটে গেলো,
কতদিন গেলো পেরিয়ে,
কতো হলো রঙ,
সাজা হলো সঙ,
কতো জন কিছু দিলো উড়িয়ে,
তবু তুমি এলে?
এলেনা,
অপেক্ষা হলোনা শেষ,
অনিমেষ।
আমি...
অভিমানী সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ ওঠে,
একদল আরক্তিম ফ্যানা ভেসে যেতে থাকে,
স্রোতের সাথে স্রোতে,
অবলীলায় কয়েক ফোঁটা বাষ্প উড়ে আসে,
মেঘ হয়ে জমে যায় ওরা,
অতঃপর নির্মিলিত ভাবে ওড়ে,
অচিন দেশের চেনা বালকের কাছে,
আশীর্বাদের বৃষ্টি হয়ে।
বালক...
সবুজ রঙয়ের সিলিং দেখি,
দেখি সস্তা মৃত্যু,
মৃত্যু তব দুয়ারে নেড়েছে কড়া,
এ যাত্রায় বিদায় দাও হে,
বিদায় লাবণ্য ,মাধবীলতা।
দুয়ারে ঝুলেছে কাটা স্কন্ধ,
অতিকায় এক শব,
শ্বশানে জ্বলছে মৃত্যুর ভেরী,
শকুন যত্রতত্র।
কাঁটাতারে তবু আটকে যার নিশান,
শবের প্রিয়...
এরপর তবু প্রিয় শহর টা অসহায়,
যেমনি করে পথের শেষ হয়েছে মৃত্যু পথিকায়,
সূর্যাস্তের দেশেও ডাক পরে ল্যাম্পপোস্টের,
ল্যাম্পপোস্টের দায়হীনতায় অন্ধকার জেঁকে বসে।
মুখে বাঁকা হাঁসি নিয়ে তাকিয়ে থাকে একটা বাঁকা চাঁদ,
পথের যাত্রীর সাথে...
উভয়ত্রের মাঝে কখনো মন্দের ভালো,
ভাসানের ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়েছে নিয়নের যতো আলো,
ভাষা ভাষা ঐ উপমা ছড়ায়,
একদল নগ্ন পথিক,
ঘুরে এসে কর্ণে
আঘাতে হানে,
ছুড়ে ফেলে বালিকার শত উপাধ্যায়,
নিভৃত সন্তর্পণে।
একদল শুধু থুথু দিয়েছে,
আরেকদল ছুড়েছে কালো...
আকাশ, বাতাস ,
আমি তুমি দুঃখ হুতাস,
আর সিলিং,
ড্যাবড্যাবে চাহনি।
তবু কোথাও বাজে বীষদগার,
বাতিঘরের আলোর ঝলকানি।
তবু আকাশ, বাতাস,
আমি তুমি সুখ বিলাস,
স্বপ্ন আশা, স্থির নিষ্পলক উষ্ণতা,
দৃষ্টিতে ভালোবাসা।
গুণগুণে বেসুরা সুর,
হঠাৎ বুকের বামপাশটাতে কীসের যেন মায়া,
একটা...
আমার ডালে কাকের নীলচে ডিমের অভয়ারণ্য,
তারা বেশ ছিলো,
ভালো ছিলো কাক,
তাদের ঝাঁক,
আর সাটল ট্রেনের নন্দিত বাক।
ভালো ছিলো সবজি বিক্রেতা,
ভালো ছিলো হারমাচিস,
ভালো ছিলো ক্লিওপেট্রা,
তার রূপ, যৌবন, সৌন্দর্য,
অবু ভালো ছিলো পবিত্র শিশু কন্যা,
ছোট্ট...
দিনের শুরু , তখন আমি ছাউনি তলায় বন্দী,
হাত বাড়াতে এলেই তখন,
বললে “বসবো নাকি?”
দিনের শুরু মিষ্টি দিয়ে হয়নি তবু সারা,
তোমার আমার এই দেখাতে নেই যে কোনো মানা।
দিন তখন এগিয়েছে দিনের তরে...
©somewhere in net ltd.