নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই নশ্বর পৃথিবীতে একটি ফিনিক্স পাখি!

জীর্ণ বাস্তবতা

আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে আমি খুব সাধারণ। সাধারণ একটি মেয়ের যে সকল গুণাবলী থাকে আমি মনে করি আমার সেগুলো আছে। অতিরিক্ত চাকচিক্য আমার পছন্দ নয়।এককালে নিয়ম ভেঙে কোন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে ছিলো। সময়ের সাথে সাথে তা মাটি চাপা দিয়েছি।অদ্ভুত সব কিছুই আমাকে টানে।

জীর্ণ বাস্তবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমাদের নগরে

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৬

হাটুরে মানুষদের দুনিয়া হয় বড্ড ছোট,
যেমনি করে হিসেবের খাতায় আমার পরিমাপের একক ছিলো দিগন্তহীন রাস্তা,
একাদশ, দ্বাদশ, কিংবা বিংশ,
সময়ের হিসেবে চোরাগলিরা এগিয়ে,
শুভ্র সাদা জামার সেই দিনগুলো অভিমানে যেদিন ফেলে এসেছি,
গাছ গুলোও যখন আমার মতো বড় হয়েছে,
ওদের কাছে আমার প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয়,
“তোরাও কী আমার মতো বড় হতে চাইতি?”
নাহ আমার আবার ছোট হতে ইচ্ছে হয়,
হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়,
পালিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়,
মরে যেতে ইচ্ছে হয়,
যতোটুকু মরে গেলে সব ব্যাথা ভুলে থাকা যায়,
বাস্তবতা তবু কষাঘাতে বলে, “তা যে হবার নয়”।

বহু বছর পর তাই পুরনো রাস্তা আমার নাড়িতে টান দেয়,
অত্যাধুনিক চৌকাঠ, দেয়াল , কার্নিশ থেকে,
আমার চোখ ফিরে যায়,
ফিরে যায় সাত বছরকার আগের জীবনে,
নিয়তি কতো অদ্ভুত ছিলো,
কতো অদ্ভুত ছিলো দিনগুলো,
যেমনি ছিলো, দিনগুলো তবু ছিলো,
ভীষণ করে রঙিন,
তাই সব ভুলে আম গাছটাকে আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হয়,
“কেমন আছিস ভাই?
তোর শরীর ভালো তো?
বৃষ্টি হয়না ম্যালা দিন! তাইনা?
তোর বুঝি তৃষ্ণা পেয়েছে?
হাঁটু সমান সেই ক্ষুদে বালিকাকে তোর মনে পড়ে?
তোর সামনে যে বড় হলো?
তোর ডালে কাক গুলো আছে কেমন?”

শহরের একপ্রান্তে তবু চলে আলোর মিছিল,
কতো নির্বিকার উৎসবে ওরা মেশে!
বলি হায়, তোমরা পারোনা?
আগুন ডানায় ভর করে উড়ে যায় স্বপ্নের বাকবাকুম আর একঝাক ক্লান্তি,
লাশ গুলো থেকে উথলে পড়ে ক্ষীণ আকুতি,
মুক্তি দাও হে নগরী,
মুক্তি দাও,
তবু পুরনো গঙাবুড়ি পেতে দেয় বুক,
আকাশে চলে ছলকে ছলকে আলোর নৃত্য,
একসাথে উড়ে চলে অনেকগুলো প্রতীক্ষার ফানুস,
ওরা দূর আকাশে উড়ে যায়,
উচ্ছল বোকা রমণীর উচ্ছলতাকে পাশ কাটিয়ে ,
দূর থেকে আর দূরে,
নগরীর কোলাহল ছাড়িয়ে মায়ার দেশে,
আমার ওদের কাছে করা প্রার্থনা সত্যি করতে,
ওরা ছুটে যায় অনেকটা দূরে।

একটা প্রিয় মুখের সন্ধানে তাই হঠাৎ ফেরে অজানার সংবিৎ,
অগণিত আতশের বাজি,
তার ঝলমলে উৎসব আমাদের বলে দেয় চুপ করে,
এ নগরী তোমাদের কথা বলে,
বোঝো?
তাই নিজেকে দেখতে বারবার পিছনে তাকাতে হয়,
এ আমাদের দায়,
ফুটন্ত স্বপ্নের আলোকচ্ছটায় বর্ণিল হয় আমাদের অভিপ্রায়,
তবু হঠাৎ স্বপ্নের গলা টিপে মেরে ফেলে বোবা পাখি আর পশুত্বের দাসেরা,
আকাশ থেকে উচ্ছনে নেমে যাওয়া সোনালী তারাদের কাছে আমি তাই মিনতি করি,
একসাথে বুড়ো হবার মিনতি,
আমাদের বুড়ো বয়সের শাকরাইনের পরিপূর্ণতার অভিলগ্ন আসুক,
তাই তারারা টুপ করে পড়ার আগে ,
নতুন লাগানো কৃষ্ণচূড়া আমার ঈর্ষা জাগায়,
আমি থাকবো গঙ্গার পাঁড়ে,
একাই,
নিঃসঙ্গতাকে নিয়ে,
তোদের মাঝেতো ছিলাম ই বহুদিন,
আমিতো তোদের ছেড়েই গিয়েছি বহুদিন আগে,
ফিরে আসার জন্যে নয়,
নিজের কাছে পরাজিত হয়ে,
মাঝেমাঝে যে আমাদের থাকেনা উপায়,
মেনে নিতে হয়,
নিতে জানতে হয়,
ইচ্ছের গলা টিপতে হয়,
অসহায় হতে হয়,
সব ভুলতে হয়,
বারবার,
একশ বার,
অসংখ্য বার।

কিন্তু বৃষ্টির দিনের কাদাপানির শৈশব,
আয় আয় আয় করে,
তবুও আমি যেতে পারিনা,
আকাশ কাঁপিয়ে পৌছে যায়,
নিকশ আঁধারের,
কলুষিত মেঘ,
আমার আকাশ হতে ইচ্ছে হয়,
প্রিয়জন হারিয়ে গেলে যেমনি নির্বিকার থাকে সে,
তেমনি স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে নির্বিকার হতে ইচ্ছে হয়,
আমার অট্টহাসিতে ফেটে পড়তে ইচ্ছে হয়,
মাঘের উত্তরে বায়ু মেঘ নিয়ে বলে যায়,
অনেক কথা,
অনেক ব্যথা,
স্মৃতি গাঁথা,
না চাইতেও বড় হয়ে গিয়েছি,
পর হয়ে গিয়েছি অনেক,
প্রিয় কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে ইচ্ছে হয় আমার,
সাতটা বছর পিছিয়ে দিতে পারতাম যদি!
বাঁশ ঝাড় আর কলাবতীর ভেতর আমার দুঃখ পুষে রাখি,
ঘড়ি তুমি যদি পিছিয়ে গিয়ে থেমে যাও!
ক্ষতি কী ছিলো?
তোমার কাছে বিত্তের কাছে মস্তক নত ছিলো আজীবন,
শ্রেষ্ঠ সময় গুলো জিম্মি করে তুমি বড় সুখী না?
তুমি নিষ্ঠুর,
তোমায় মানতে কষ্ট হয়,
আমার শৈশব নষ্ট হয়,
আমার মেয়েবেলা অস্পষ্ট হয়,
তাই অভিমানী আসেনা ফিরে ,
তোমাদের নগরে।

০২:১৬ মিনিট
১৫ জানুয়ারি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আবেগী ভালবাসার বহিপ্রকাশ । লিখতে থাকুন । আপনার ভেতর কবিতার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে চালিয়ে যান সুপ্রিয় ব্লগার । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.