নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই নশ্বর পৃথিবীতে একটি ফিনিক্স পাখি!

জীর্ণ বাস্তবতা

আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে আমি খুব সাধারণ। সাধারণ একটি মেয়ের যে সকল গুণাবলী থাকে আমি মনে করি আমার সেগুলো আছে। অতিরিক্ত চাকচিক্য আমার পছন্দ নয়।এককালে নিয়ম ভেঙে কোন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে ছিলো। সময়ের সাথে সাথে তা মাটি চাপা দিয়েছি।অদ্ভুত সব কিছুই আমাকে টানে।

জীর্ণ বাস্তবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বিকার

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

কিছু সরণী আর সড়কের কাছে হঠাৎ করেই ভীষণ দায়বদ্ধতা চেপে যায় আমার,
দায়বদ্ধতা গুলো আসলে কার?
তোমার?
আমার?
নাকি অন্য সবার?
সে কথা জানা যায়না কখনো,
দ্যাখা যায়না গলির ওমাথার আলো,
তুমি তবে কেমন ,ভালো?
বাজে আছি বড্ড বাজে আছি,
কুড়ে ঘরের মেঝেতে সুখ গুলো যেন ঝড়িয়ে, নিংড়িয়ে ফেলে এসেছি,
আজীবনের দায়,
বলো,
ভালো আছো তো?

কৃতজ্ঞতা এই পথিক বালিকার ছিলো,
সেই রাস্তা গুলো যার আদরে,
ধরে রেখেছে আমার চরণ গুলো,
সেই অদ্ভুত হাসনাহেনার সাথে দেখা না হলেও,
হাঁটতে হাঁটতে মিলে যায়
একটা হাসনাহেনা গাছ,
তার গন্ধে ভুলে যেতে মন সায় দ্যায়,
আমি যে বাজে আছি,
বড্ড বাজে আছি।

মমতার বাঁধন আলগা হলে কী ছিঁড়ে যায়?
নিকোটিন বিষ কখনো তাই আশ্রয় হয়,
বিনিদ্র দীর্ঘ যবনিকার অঙ্গার পার করতে করতে,
শুনতে পাই স্বপ্নদের নিরঙ্কুশ চিৎকার,
কন্যা সুন্দর আলোর উদ্দীপ্ততাও ঢাকা পড়ে যায়,
অন্ধকার থেকে অন্ধকারে.........

শিহরণ গুলো পথিমধ্যেই সরে যায়,
ওদের পচা গন্ধ বিব্রত করে আমায়,
খা খা করা দক্ষিণা বারান্দা গুলোর কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নেই,
আমিতো এমনই!
আমিতো বেশ ছিলাম চুপিসারে,
একলা একা দিকভ্রান্ত,
তাই পথ হারালেও ভয় গুলো উবে গ্যাছে দূরে,
ফানুস গুলো নির্লিপ্ত হয়ে দমে যায় প্রার্থনার ভারে,
আমার কান্নার স্বরে ব্যতিব্যস্ত বিরক্ত তোমাকে শুধাই,
শহরের সব ভাজা মুরগি নির্বিকার,
যেমনি নির্বিকার মুড়ি বিক্রেতাদের এক জোড়া চোখ,
যেমনি নির্লিপ্ত ভর দুপুরের আকাশ দেখা একজন সবজি বিক্রেতা,
আমার অট্টহাসির ফোয়ারায় ভাসতে ইচ্ছে করে,
আমার ঈর্ষা হয়,
ওরা এতো সুখী আমি নই কেনো?
উদ্দীপ্ত হতে ইচ্ছে করে আমার,
উৎফুল্ল ফল বিক্রেতার মতো।

কখনো কখনো তাই পেট্রোল বোমার জন্যে একান্ত প্রত্যাশী আমি,
পুড়ে যাওয়া বাসে কল্পনায় কয়লা হয় আমার সত্তা,
জীবন্মৃতের মতো বেঁচে থেকে কী লাভ?
কলাবতীর বাগানে বুড়োদের স্বপ্নের শেষকৃত্য হয়,
হারিয়ে যায় যে ওরা হারিয়ে যায়,
বিত্তের কাছে শীতটা পাড় হয়ে যায়,
দায় থেকে তবু মুক্তি মিলেনা কারো,
আমাদের মন আকাশের মতো বিশাল!
বিশালতায় তাই পাহাড় চূর্ণ করে আমি বেঁচে থাকি নির্জীব,
বলতে মন সায় দেয় বাজে আছি,
বড্ড খারাপ আছি,
সামান্য উষ্ণতা আমার কাঁপুনি ধরায়,
মৃত্যু আমার দহন করে বারবার।

এই শহর জানে,
প্রতিজ্ঞা কেবল জন্ম নেয় ভাঙবার স্পৃহায়,
বালিকা তাই বাচে নির্লিপ্ততায়,
শীত পেড়িয়ে গ্রীষ্ম আসে,
আসে বসন্ত, বর্ষা, আবার সেই শীত,
স্বপ্ন গুলো মনের কোনে পুড়বে,
জ্বলবে,
কিন্তু কেউ জানবেনা কতোটা গভীরতা ছিলো,
বালিকার দীর্ঘশ্বাসে,
কতোটুকু ভরসা ছিলো বিশ্বাসে,
হাঁটুরে মেয়েটা তাই নিঃসঙ্গতাকে কোলে করে বাঁচে,
ছেয়ে যাওয়া স্বর্নলতার ঝাড় নীরবে বালিকাকে ধমকে যায়,
ত্রিভুজের মতো দাঁড়িয়ে থেকে অসচেতন দেবদারু গুলো,
রক্ত করবীর যত্ন গুলো তাকে ভাবায়,
আমিও রক্তের মানুষ,
হলকা হীন দমে যাওয়া একটা ফানুস,
রত্ন পদবী প্রাপ্ত বালিকা অসহায় হয়ে ভাবে,
একদিন সে মানুষ ছিলো,
একদিন তারো ছিলো আবেগ,
তবু দিন চলে যায় দিনের নিয়মে,
মানুষ বদলে যায় সময়ের নিয়মে,
বালিকা ছোট্টটি থেকে যায়,
বালিকার মাথার একলা আকাশে,
ঘুড়ি হীন নৈশব্দতা মাঝে মাঝে বলে,
ভুলে যাও,
ভুলতে শেখো,
এ জগতের নিয়ম তো তাই!
তাই দায়হীন মেঘের খোঁজে ,
বালিকা হন্নে হয়ে টুনটুনিকে ডাকে,
ওরা নেই,
ছিলোনা কখনো,
বলো?
ছিলো?

০১:০৫
২০ জানুয়ারি

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভীষণ সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন------সুন্দর আর সাবলীলতায় ভরপুর

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪০

জীর্ণ বাস্তবতা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.