![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে আমি খুব সাধারণ। সাধারণ একটি মেয়ের যে সকল গুণাবলী থাকে আমি মনে করি আমার সেগুলো আছে। অতিরিক্ত চাকচিক্য আমার পছন্দ নয়।এককালে নিয়ম ভেঙে কোন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে ছিলো। সময়ের সাথে সাথে তা মাটি চাপা দিয়েছি।অদ্ভুত সব কিছুই আমাকে টানে।
অভিমানী সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ ওঠে,
একদল আরক্তিম ফ্যানা ভেসে যেতে থাকে,
স্রোতের সাথে স্রোতে,
অবলীলায় কয়েক ফোঁটা বাষ্প উড়ে আসে,
মেঘ হয়ে জমে যায় ওরা,
অতঃপর নির্মিলিত ভাবে ওড়ে,
অচিন দেশের চেনা বালকের কাছে,
আশীর্বাদের বৃষ্টি হয়ে।
বালক অভিমানের তরে বৃষ্টির ছোঁয়া মেখে,
পৌছে যায় রিকশায় বসা জীর্ণ সেই কোলে,
সেই পুরনো শৈশবে,
উচ্ছলতা,
চঞ্চলতা,
আর হাঁসি,
রাশি রাশি বৃষ্টির ফোঁটা,
তাদের ভিজিয়ে দেয়,
হঠাৎ সংবিৎ ফিরে,
কী কী!!
মায়ার পুতুল!
একটা গন্ধ!
টেনে নিয়ে যায় বহুদূর,
পরিচিত একটা পথে,
ব্যস্ত শহরতলি,
আপন একটা রাস্তা,
উপজেলার একটা চরকির মতো গেট,
মোয়া মুড়কির খটখটে ঘ্রাণ,
একটা গাছ,
বোধ হয় গাব গাছ,
নয়তো দেবদারু,
নয়তো লতা চারু,
নয়তো শিউলি,
কয়েকটা প্রাচীন আত্মা,
সমস্বরে বলে যায় .........স্বাগতম।
ঈর্ষা ঝড়তে থাকে,
তাদের দেহে,গ্রীবায়।
স্বরে,
কম্পনে,
বোকা কাক তবু ভোরের হয়ে,
উড়ে যায় অদূর ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে।
মাঝরাতে তবু ভীষণ অসহায় রুমটা উষ্ণ থাকে,
দুটো শরীরের মিশে যাওয়া দেখে ঘুমন্ত শহর,
কাপড় গুলো থেকে নেমে আসে স্বর্গীয় সুষমা,
মিষ্টি কিছু আবেগ,
কিছু মায়া,
কিছু স্বপ্ন,
সুপ্রাচীন ইতিহাস,
উড্ডীন পদধূলিতে লেগে থাকে সেই স্বাদ,
ভোরের মিষ্টি সূর্য এসে পড়ে
চোখে,
মুখে,
মায়ার পুতুল বেঁচে ওঠে,
যাদুকরের ছোঁয়ায়,
আদিমতায়।
অন্তঃসারশূন্য বিশালতায় এক সময় রাত হয়,
গলির শেষ ধার থেকে ভেসে আসে,
একটা অচেনা ডাক,
উড়ে যায় বকের দল,
আমের ডালে একঝাক কাক,
নিয়নের আলোতে বেড়ে ওঠে একটা অস্পৃশ্য চাঁদ,
পরিপূর্ণ হতে থাকে,
জিঘাংসা,
কী হয় গলির ওপারে?
আমাদের স্বপ্নের মৃত আত্মা,
ওরা শ্রাদ্ধ্য চায়,
একটা সকাল চায়,
সোনালী বিকেলের আভা,
হলুদাভ নিয়ন,
কিংবা নীলচে ফানুস,
ওরা আত্মা নয় হবে তারা,
দূর আকাশের তারা,
ওদের আকুতি,হাহাকার,
এরপর ঘুম ভাঙে,
ঘুমের সাথে বেঁচে ওঠে সেই স্বপ্নগুলো,
ওরা অসহায়,
আমাদের ওদের ভীষণ যে প্রয়োজন।
হঠাৎ একদিন নগরে নেমে আসে প্রাচীন বাঁশিওয়ালা,
যাদুকর,
আর স্বপের পাহারাদারেরা,
ওদের নিয়ে গলির শেষে পৌছে যায় ,
একটা জীবাশ্ম,
জীবন্মৃত,
আদুরে হাতে দুগাল ছুঁয়ে দেয় সপ্নগুলোর,
জ্যোতি ছড়িয়ে পড়ে শহরের এ গলি ও গলি,
আকাশ বাতাস,
মাঠ,
একটা বিস্তৃত দালানে গিয়ে নামে ওরা,
আমাদের হয়ে,
এরপর আমাদের সাথে হয়ে যায় ওদের সখ্যতা,
হাঁসি, কান্না, গান,
বেঁচে ওঠে মৃত আত্মা ,
তাদের প্রাণ,
তাদের মমতায় যাদুকর আর মায়ার পুতুল বেঁচে থাকে,
শহরের হয়ে,
একটা স্বপ্নের নয়,
আমাদের স্বপ্নের হয়ে,
আরো একশত বছর কিংবা তারও বেশী দিন,
দেয়ালিকা হয়ে যায় স্পষ্ট,
৫ টাকার স্বপ্ন গুলোও তখন জীবিত ,
আমাদের কাছে মাথানত ,
ফিরে আসে আমাদের মায়েরা,
আনন্দাশ্রু গুলো বলে দেয়,
আমরা জয়ী,
আমাদের আপন ভুবনে।
রাত ১২:১৭
শুক্রবার , ০২ জানুয়ারি
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮
শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: পড়লাম তিন বার।ভালো লাগলো।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২২
তুষার কাব্য বলেছেন: হঠাৎ একদিন নগরে নেমে আসে প্রাচীন বাঁশিওয়ালা,
যাদুকর,আর স্বপের পাহারাদারেরা,
ওদের নিয়ে গলির শেষে পৌছে যায় ,
একটা জীবাশ্ম,জীবন্মৃত,
আদুরে হাতে দুগাল ছুঁয়ে দেয় সপ্নগুলোরম...
ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
নিলু বলেছেন: ভালো