নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই নশ্বর পৃথিবীতে একটি ফিনিক্স পাখি!

জীর্ণ বাস্তবতা

আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে আমি খুব সাধারণ। সাধারণ একটি মেয়ের যে সকল গুণাবলী থাকে আমি মনে করি আমার সেগুলো আছে। অতিরিক্ত চাকচিক্য আমার পছন্দ নয়।এককালে নিয়ম ভেঙে কোন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে ছিলো। সময়ের সাথে সাথে তা মাটি চাপা দিয়েছি।অদ্ভুত সব কিছুই আমাকে টানে।

জীর্ণ বাস্তবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শতাব্দী

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

সেদিন বিকেলে গোধূলি লগ্নে,
আকাশের কান্না হয়েছিলো সবুজ রাজসিক,
রাতুল বর্ণ,
হ্যাজাকের আলো জ্বেলে শহুরে পথের শেষ সেই সীমানায়,
তোমার সাথে দাঁড়িয়ে ছিলো, শতাব্দী,
মরফাসের মতো ওর হাত শূন্য ছিলো,
ভাঙা আস্ফালনের স্লিপার আর নমিত মণ্ডলের ভূমধ্য জগৎ,
হঠাৎ প্ল্যাটফর্মে এসে পড়ে ট্রেন,
হয়তো সেই ট্রেনে করে ফিরে আসে আমাদের মৃত আত্মা,
শৈশবের আত্মা,
আমাদের হাঁসি কান্না অভিমান স্থূলকায় বাস্তববিকতা বিবর্জিত প্রাণ,
মুক্তোর মতো ঝড়ে পড়া বাদলের ধারা,
সে ধারায় ভেসে যায় যা কিছু অর্বাচীন,
মফেল থেকে ঝড়ে যায় ফাগুনের আবির অমলিন,
রাঙা বাসরে,ভেঙে গুড়িয়ে,
মুক্তোর বাঁধন আঁটে,
বিহঙ্গের মতো মুক্ত বিউনী,
বাতিঙ্গনে যার রূপে অপার হয়েছিলো ভিনদেশী যুবক।

ব্যারাক গাছে ঝুলন্ত কয়েক গাছি দুঃখে ভরা অপরাহ্ন তুলে নেয় যুবক,
শতাব্দীকে দেবে বলে,
শতাব্দী জানেনা অনতিদূরে যে হুইসেল বাজে,
বেদনার ঘুণে ধরা কলম নবিশের মতো,
আচমকিত,
বেজে উঠেছে দীর্ঘ কুড়ি বছরের অন্তলীনে,
পীনোন্নত সুখ গুলো কুড়িয়ে আদরে মাখায় বরিষণ ধারা,
সময় থমকে আছে নিঃশব্দে একলা পথের শেষ কিনারে,
যে চরে স্বপ্ন বিক্রি হয়,
আদিম স্বপ্ন,
নৈশব্দের স্বপ্ন,
যে জলপ্রপাত মৃদু আচ্ছন্নতায় মাখে অরণ্য প্রহরীকে,
সীসের মতো কালো পিঁপড়ে,
ভারী জল,
যেন পড়বেই অগত্যা টুপ করে,
আলো চিঁড়ে চিৎকারে তাই বেড়িয়ে পড়ে ওরা,
একালের নদীনাভ,
পত্রচ্ছদ ভরিয়ে তোলে শ্বেততার মূর্ছনায়,
তবু যুবকের মুখে সেদিন অসহায় মাখা ছিলো,
গাইতি-বেলচার ধারে যে অসহায়ত্ব খুড়ে ভেতরে গ্যাছে শতাব্দী,
ত্রয়োদশ বার,
বহু থেকে বহুবার,
শিশির মেখে যে পত্রে নেমেছে গ্রামের মেঠো পথ,সর্ষে,
আর দীঘির কালো গাঢ় অঙ্গার,
শত সহস্র ঘর ছুঁই ছুঁই করে,
শব্দেরা করে আন্দোলন,
অনশন আর দেহেরা তাদের থেকে ধার করে তাদের বাচন,
শতাব্দী মরে আছে,
ল্যান্ডস্কেপ থেকে অরণ্যের আর্তনাদ ওঠে
কেঁপে কেঁপে,
যেন এই মাত্র তার গ্রীবায় ছুঁয়ে গ্যাছে ওষ্ঠ পদ্মের মতো,
আর মাছেরা করে মৃত নদে পুত্র বিয়োগের শোক,
ল্যাংবোট থেকে দেবদূত হয়ে আসে যুবক,
যুবকের ডান অলিন্দ থেকে আঙুর থোকার মতো চিড়চিড়ে কিছু একটা রেখে দ্যায় শতাব্দী,
মায়ার কোমল বিনুনিতে বাঁধতে থাকে,
সভ্যতার সেলাই,কারুকর্ম,
আর হ্যাজাকের কারচুপি,
কন্যা সুন্দর আলোতে মনে হয় যেন ব্রক্ষ্মাণ্ডের সমস্ত রঙ- রূপ- রস- মোহ- সৌন্দর্য জমেছে ঐ একটা শিশুসুলভ মুখে,
মুখে নীল মানবের কষ্ট আছে,
চিবুকে লেগে আছে রাতুল অভিমান,
যত্নের শাঁখে লেগে আছি আমি।

আর কাকতালীয়রা টোকা দিয়ে বলে যায়,
শঙ্খ চিলেরাও একরূপ শাঁখের আঁধারে নিজেদের বেধে ফ্যালে ,
তাই অবিবাহিত স্ত্রীর মুখ পানে চেয়ে থাকা যুবক কে নক্ষত্রেরা আলো দ্যায়,
যে আলোতে যুবক হয় পবিত্র যে আলোয় তার চোখের আইরিশ থেকে ঠিকরে আসে মায়া,
যে মায়া বেধে রাখে প্রজন্মের তরে,
ওদের কুঞ্জলতাতে শেকড় আটকে পড়ে,
নীল সবুজ বার্তাবাহকের হঠাৎ মিলে যাওয়া চোখ বোজা হাঁসি হাঁসি একদল মুখেরা শান্তি কায়েম করে,
মেজেন্ডার থেকে মিলে যায় পা থেকে নদীর বহরে যা কিছু আটকে থাকে,
ওরা হঠাৎ হাঁসায়,
হঠাৎ কাঁদায়,
শতাব্দীরা এজন্যে বড্ড মায়াবী হয়,
নদীর মোহনায় বালিয়াড়ির মতো ওদের ছোপ ছোপ অভিমান থাকে,
আর লেলিহান দানবের অগ্নি কুণ্ডের মতো লাভা,
সেথায় লেগে থাকে বিশ্ব জাহানের ক্রোধ,
শড়কি থেকে আঙুর থোকায় অধিকারীকে বানায় আশ্রয়,
ধ্বজভঙ্গ সাইকাসের গাত্রেও লেগে থাকে স্বর্ণলতা,
লোকে ওদের আদর করে ভালোবাসে,
চোখে মাখে শিশিরের ঘ্রাণ,
শতাব্দী কুপিবাতি জ্বালে,
যুবক বন্দনায় শজনেরা ঝরায় ফুল ,
যে ফুলে হয় কুঠিবাড়ি,ছোট্ট কুঠির,
শুকতারা শতর্ষি মুখে আশীর্বাদ প্রদীপ জ্বালে,
হাসনাহেনারা নেশার মত্ত ঘ্রাণে ওদের আঙিনা ভরায়,
বাসর হয় আলো আঁধারের সাথে,
যুবকের সাথে বেলোয়াড়ি রাত্রিতে মায়ার পুতুল শতাব্দীর বাসর।
ভোর ০৬:৫২
শুক্রবার,২০ ফেব্রুয়ারি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.