নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই নশ্বর পৃথিবীতে একটি ফিনিক্স পাখি!

জীর্ণ বাস্তবতা

আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে আমি খুব সাধারণ। সাধারণ একটি মেয়ের যে সকল গুণাবলী থাকে আমি মনে করি আমার সেগুলো আছে। অতিরিক্ত চাকচিক্য আমার পছন্দ নয়।এককালে নিয়ম ভেঙে কোন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে ছিলো। সময়ের সাথে সাথে তা মাটি চাপা দিয়েছি।অদ্ভুত সব কিছুই আমাকে টানে।

জীর্ণ বাস্তবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাই

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

কীভাবে শোধাবো গুণী?
উসখুসে চুলে আসা শাহবাগের বিকেল শোধাবো?
নাকি উলুপের মতন তারা ভরা সন্ধ্যা?
যেদিন পবিত্র নারী হয়েছিলো দেবী আইসিস,
আর তোমায় লাগছিলো গ্রাম্য প্রাচীন সরল ওসিরিস,
সত্যি লাগছিলো?
তোমার সিফিলিস মাখা চোখে হয়তো লাগছিলো,
আমি এমনই
বট বেটে খাওয়ার প্রত্যাশী পথে একলা হেঁটে যাওয়া ছন্দপতনে তোমার আমার পদ বিসর্জনের এক নৈরাশ্য আঁধারের পুষ্প তলায় ,
শহুরে কিটের আশ্রয়।

সে বিকেলেও তুমি কাঁপছিলে ভীষণ,
লজ্জার দেউড়ি খোলা ছিলো হাট করে,
আমের মুকুলে ছেয়ে ছিলো বৃক্ষরাজ,
উত্তরের মৃদুমন্দ মাতাস নাড়ছিলো কড়া,
গোলন্দাজের মতো হুল ফোটাচ্ছিলো,
কী এক মাতমে শোকে অভিপ্রায়ে,
বিক্ষিপ্ত ছিলো মনোযোগ,
এ হাতে তুলে নিলাম যা কিছু নত হয়েও উন্নত,
যা কিছু ফেলে আসা জীর্ণ,
যা দেখিনি যা শুনিনি শুনেও করিনি কর্ণ পাত,
সেই তোমায় ,
গ্রাম্য ছেলে,
এ শহরের দখলদার,
আমার অংশ,
তুমি।

একটা বিতিকিচ্ছি ঘটনা ঘটে যায়,
লেলিহান স্পর্শে রক্তিম হয় চিবুক,
নরসুন্দরের স্পর্শতে মেখে ছিলো মধু
সে অজরের ভর্তি জলে মেখে ছিলো সন্ধ্যার যা কিছু শুভ যা কিছু নিষ্পাপ,
অম্লান,
রিক্ত,
শূন্য,
অধর ,
যেন মধুতেই বিষ,
বিষেই মধু,
আর তাতেই যেন বাধ হারা এক দুশ ক্রোশের পার মেলানো আলিঙ্গন,
সুপ্তির মতো আচ্ছন্ন,
বুকে পিঠে স্তনে গ্রীবায়,
মিলে মিশে একাকার গোধূলীর নীল মোহনায়,
কেমন যেন,
আবিরের মতো লাল নয় যেন কালো পিঁপড়ের মত কালো
যার তরে পিপিলিকার ও গজায় পাখনা,
হয়তো মরবার জন্যে,
এ বেলা অভিসারের জন্যে,
মাতম করার মতো,
অনেকটা যেন শ্যাওলার মতো,
ঘাম হীন , নিপাট গোছানো।
সমুদ্রের হাহাকারের মত বালকের গ্রীবা,
অধরে , ওষ্ঠ্যে ,
লেগে থাকে মিশে থাকে লেপ্টে থাকে,
অবাধ্য চুমুর ন্যায় অনুনাদ।


এরপর বেলা ছড়িয়ে,
মাঘ পেড়িয়ে,
দিন গড়িয়ে,
সময় চড়িয়ে,
আসে বোদ্ধাদের ঋতু রাজ,
বসন্ত,
হলুদে হলুদে সয়লাব হয় হলুদের শহর,
আমি হই নীল,
গাঢ় কুসুমের ন্যায় ছড়ানো ভীষণ,
হাতের মতো উন্মুখ,
নীল বেদনার নীল,
বিচ্ছেদের নীল,
কিংবা সবুজ,
মায়ার সবুজ,
ক্লান্তি সবুজ,
বিছিয়ে যাওয়া সবুজ,
এক গেলাস সবুজ,
বেদনার চিরক্রান্তি,
আর তখন হলুদ ফুলের সারিতে দাঁড়ায় ধ্বজভঙ্গ সাইকাস,
নীলক্ষেত, নীল বেত,
নীল জমি ,
নীল ফুল,
টলটলে এক জোড়া চোখ যাতে নীল দুঃখ পোষা বিষণ্ণ বালকের,
এক আধটা মিষ্টি ঠোটে ছুঁয়ে যায় ভাপা পিঠার মতো
আদুরে, আশ্বাসে,
জলে ভেজে খাক তীর্থ একান্ত আমার,
কড়কড়ে লবণাক্ত একখানা বালিশ,
রগরগে চোখে দ্যাখে সাক্ষী সকল
হ্যাঁ আকাশ,
নির্বিকার সম আকাশে,
সুকতলা মিশে গ্যাছে সেই কবে যেন উৎসবে গ্যাছে শহরের দুই হন্টক,
বালক তোমায় চাই,
একই আকাশের ই তলে,
যে তলে হয় নর্দমার কিটের ও ঠাই,
যে ছাদের তলে,
তুমি আর আমি ছাড়া ,
আর কেউ নাই,
আছে নৈশ ঝড়ে কুপিবাতির মতোন এক পশলা বৃষ্টি।

রাত ০২:৪৮
শনিবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.