নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই নশ্বর পৃথিবীতে একটি ফিনিক্স পাখি!

জীর্ণ বাস্তবতা

আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে আমি খুব সাধারণ। সাধারণ একটি মেয়ের যে সকল গুণাবলী থাকে আমি মনে করি আমার সেগুলো আছে। অতিরিক্ত চাকচিক্য আমার পছন্দ নয়।এককালে নিয়ম ভেঙে কোন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে ছিলো। সময়ের সাথে সাথে তা মাটি চাপা দিয়েছি।অদ্ভুত সব কিছুই আমাকে টানে।

জীর্ণ বাস্তবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপেক্ষার দ্বিপ্রহর

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

আমি ঠিক একটা আশ্রয় চেয়েছি,
১৭ বসন্ত,
কিংবা অসংখ্য রাত্রি,
রাত গুলোকে সম্পূর্ণ শেষ করে প্রতিদিনের সকাল গুলোকে দেখতাম,
রাত্রিকালের ভিজে বালিশ গুলো তখন শুষ্ক,
ঠিক যতোটা শুষ্ক রোদের আলো,
একটা কাঁধ খুঁজেছি,
ছিলো না।
মেনেছি,মানতে শিখেছি।

আমি বড্ড অলস হয়েই ছিলাম চিরকাল,
অনেকটা গুহামানবী,
কেউ মানবীর আগের শব্দটা বদলাবার প্রয়াস দেখায়নি,
আমারো হয়ে উঠেনি,
আমি ছিলাম আমার সময়কার সবচে অসহায় মানুষটা,
টিফিনের সেই সময়টায় আমি কোথায় যেন হারিয়ে যেতাম,
কেউ হয়তো বলতে পারবেনা,
কেউ হয়তো দেখেইনি,
অহমবোধ খুব বেশী যে আমার,
মাস শেষে ৬০/৭০/৮০ ...
তিন গোয়েন্দার সিরিজ তখন আমার সোনার হরিণ।

আমার সময়কার সবচে বেপরোয়া মেয়ে ছিলাম আমি,
শান্ত,
ভদ্র,
কথা কম বলা মেয়েটা,
বাসায় ফিরতে গেটের ধারে সকলের যখন মা,ভাই,বোন,
কিংবা কেউ খুব আপন,
আমার তখন সঙ্গী ছিলো একজোড়া পা,
৪৫ মিনিটের রাস্তাকে কীভাবে ১৫ মিনিট করতে হয়,
আমি জানি,
জানতে হয়েছে।

জানোতো?আমার জীবনের অনেকগুলো মূল্যবান অংশ প্রায়শই খুঁজে পাইনা আমি,
নিজের জীবনের ছক গুলো মেলাবার চেষ্টায়রত ,
কিন্তু কিছু টুকরো খুঁজে পাইনা,
ওরা নিজেই অংশ হয়ে প্রস্থান করেছে,
আমার কাজ ছিলো মেনে নেয়া।
স্ব- আনন্দে।

আমার ১৭ বছরের জীবনটা কেবল,
১৭ বছর ছিলো না,
১৭ টা অধ্যায় ছিলো,
প্রতিটা অধ্যায় দ্যা ভিঞ্চি কোডের ইলাস্ট্রেটেড ভার্সনের থেকেও বড়।
আমি ওসব অধ্যায়ের পাতা আর উল্টাতে চাইনা,
কী দোষ নতুন কিছু যদি নিজ হাতেই লিখি?

অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বোধ হয়েছে,
আমি বুড়িয়ে গিয়েছি,
খুব শ্লথ হয়ে এসেছে হাটার গতি,
তাতে কী?
কেউ একজন টেনে হিঁচড়েই না হয় পার করবে,
তাতে তেমন কিছু একটা ক্ষতি হবে না কারো,
তাদের পায়ের নিচেও একটা জায়গা আছে,
কষলে ব্রেকড হয়ে গাড়ি থেমে যাবে,
সব কিছুতে ভয় করতে নেই,
না হয় আপোষ করুক ওরাও,
দুই পাগলের সাথে,
যেভাবে আমরাও আপোষ করেছি।

বেখেয়ালি হিসেবে আমার খুব নাম ডাক আছে,
যেহেতু গণ্ডারের চামড়া নাকি ধার করে রেখেছি,
সেহেতু গায়ে লাগাই না,পারত পক্ষে লাগে না,
তবু শীতের রাতে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত শাল ,
যদি কেউ বারংবার জড়িয়ে দেয়,
আমি হয়তোবা তার জন্যে নিজের অহমের কাছেই আত্মাহুতি দেবো।
কিছু অনুভূতি চিরন্তন ,
তোমায় নাড়াবেই.........

কিছু বাহুল্যের কথা ভেবেছি,
ভেবেছি ,নাহ, আমার দ্বারা সম্ভব না,
ভেবেছো কী?
থাক ,বলবো না।
তোমার বোঝা উচিৎ কিছু জিনিস আমি ধারণ করি,প্রকাশ করিনা।
ওগুলো একান্ত আমার।
নির্বোধের মতো “কেনো” কী বাহুল্য নয়?

চারিদিকে সবাই যখন শীতের বাহারী পোশাকে আবৃত,
আমার খুব ইচ্ছে হয়,
বিশ্বজয়ীর হাঁসি দিয়ে যে বৃদ্ধ পাগলটা ,
“আমার একটা চাঁদর চাই, চাঁদর”...
বলে গাইতে গাইতে যায়,
আচ্ছা ওর শীতটা কেমন?
ওর মতো একটা হাঁসি দিতে একদিন না হয় শীত বস্ত্রহারা হলাম,
তাতে কী এসে যায়?
দুজোড়া হাত তো আছে,
ঘর্ষণে বিদ্যুৎ,
বিদ্যুতে তাপ,
তাপে আদ্র ভালোবাসা,
শীতের কী সাধ্য আমায় ছোঁয়া!
অহংকারের মৃত্যদণ্ড তখন!

তুমি কী জানো?
আমি সেই শক্ত বুলডোজার না।
দেয়াল ধ্বংসাবার আগমূহুর্তে মনে হয়,
নাহ,
থাক।
কেউ তবু তার দাম্ভিকতা নিয়েই বেঁচে থাক।

আমার কাছে পৃথিবীটা একদম নরম পাউরুটি,
তবুও শুকনো পাউরুটি,
গিলতে কষ্ট,জানো নিশ্চয়ই?
আমার কাছে পৃথিবীটা বিশাল নৃশংস খাঁচা,
আমি সেখানে ছিঁচকাঁদুনে হরিণ শাবক,
আমার স্বপ্ন গুলোকে খুব কাছ থেকে উদ্বায়ু হয়ে যেতে দেখেছি আমি,
বিশ্বাস করো,
খুব ছোট স্বপ্ন,
কিন্তু ঐযে হরিণ শাবক মানুষ,আবেগী।

আমার জীবনের মূল্যবান যে অংশগুলো সাজাতে গিয়ে খুঁজে পাইনা,
তুমিও তাদের একজনই,
স্বর্ণের বক্ষবর্মে কয়টা পাথর না থাকলে ,
বর্মের মূল্য কোথায়?

আমার স্বপ্ন গুলো মানুষের এক চিলতে হাঁসির পেছনে,
কেবল শাল জড়ানো শীত,
কখনো মৃদু শাসন,
ছোট্ট হাতের অবাধ্য কিল,ঘুষি,
কিংবা উত্তরহীন “কেনো” গুলোর পেছনে,
হয়তো বাঁধাকপির বাজে স্টূ তে,
কিংবা তোমার আনত স্বর্গের সপ্তম স্তরে,
ওদের অস্তিত্ব নেই,
তবু আছে।

একটা আগ্রাসনী ভবনের ধ্বংসের অপেক্ষায়,
তুমি আমি নাহয় দিয়েই দিলাম পাড়ি,বেশ কিছু সময়,
ঐ শহরে তুমি তখন মানিয়ে নিয়েছো,
আমি হয়তো একটা হাত খুঁজবো,
ছোট বেলার অভ্যাস যে,
সত্যি যেদিন বৃদ্ধ হয়ে যাবো,
হয়তো অগোছালো আমার পড়নে একটা আটপৌড়ে শাড়ি থাকবে,
থাকবে হয়তো এলোমেলো কিছু কাঁচাপাকা কুন্তল,
একটা খোঁপাও হয়তো হবে,
একটা পাঞ্জাবী থাকবে পড়নে,
তুমি থাকবে,
সেদিন ঐ ভবন টা থাকবে না।
সেদিন ঐ রাস্তায় দাঁড়িয়ে যেনে রেখো,
বিশ্বাসের মূল্য খুব বেশী।
লেবু তেঁতো করে কচলে হোক,
লেবু সব সময়ই লেবু,
সন্দেহ হলে লেবুর আঁচার খেয়ে দেখে এসো।

এখনো একটা জিনিস বড্ড আপন,
সে তেঁতো হতে পারে,
তবে পরিচায়ক,
তাকে আমি ভালোবাসি,
সে হচ্ছে “সত্য” ।
হয়তো আমার বাহুল্যতা,
কিন্তু আমি বিশ্বাসে ভালোবাসি,
যেনে রেখো,
সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে,
সব।
সব কিছুঁকে ঠিক হতে হয়,
আচ্ছা গত পরশুতে যে সমস্যা ছিলো আজ হয়তো সেটা নেই,
হয়তো আজ যা আছে কাল তা থাকবে না,
পরিশেষে সব কিছুই ভালো হয় জানোতো?
ঠিক আমরা যেভাবে চাই,
ভুল হয় আমাদের চিনতে,
আমরা আমাদের হারাবার ভয়ে কুঁকড়ে থাকি,
পাওয়া না পাওয়ার হিসেব না হয় বাদ চুকিয়ে দেই,
এই শহরের সব চে পবিত্র সৌভাগ্যবান মানুষ হতে তেমন কিছু লাগেনা।
সত্যিই কিছু লাগেনা।

রাত ৪:৩০
২৫/১১/১৪

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে, ++

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩০

লিখে বলেছেন: ++++++++++++++++++++++ অসাধারণ, প্রথমেই বলে নিলাম।

অনুভুতিগুলো সত্য। কিন্তু যতবার চিন্তা করি ততবারই মনে হয় একে ধারণ করা যায় না। আপন করা যায় না। এরা শুধু আপন হয়, ভাগাভাগি হয় না। ধরতে গেলেই ধোয়া হয়ে যায়।

"কিছু বাহুল্যের কথা ভেবেছি,
ভেবেছি ,নাহ, আমার দ্বারা সম্ভব না,
ভেবেছো কী?
থাক ,বলবো না।
তোমার বোঝা উচিৎ কিছু জিনিস আমি ধারণ করি,প্রকাশ করিনা।
ওগুলো একান্ত আমার।
নির্বোধের মতো “কেনো” কী বাহুল্য নয়?"

..........................................................
.......................................

"আমার স্বপ্ন গুলো মানুষের এক চিলতে হাঁসির পেছনে,
কেবল শাল জড়ানো শীত,
কখনো মৃদু শাসন,
ছোট্ট হাতের অবাধ্য কিল,ঘুষি,
কিংবা উত্তরহীন “কেনো” গুলোর পেছনে,
হয়তো বাঁধাকপির বাজে স্টূ তে,
কিংবা তোমার আনত স্বর্গের সপ্তম স্তরে,
ওদের অস্তিত্ব নেই,
তবু আছে।"

........................................
.....................................................
"এই শহরের সব চে পবিত্র সৌভাগ্যবান মানুষ হতে তেমন কিছু লাগেনা।
সত্যিই কিছু লাগেনা।"

ভালো থাকবেন। : - )

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.