![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে আমি খুব সাধারণ। সাধারণ একটি মেয়ের যে সকল গুণাবলী থাকে আমি মনে করি আমার সেগুলো আছে। অতিরিক্ত চাকচিক্য আমার পছন্দ নয়।এককালে নিয়ম ভেঙে কোন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে ছিলো। সময়ের সাথে সাথে তা মাটি চাপা দিয়েছি।অদ্ভুত সব কিছুই আমাকে টানে।
আমি না হয় ভালোবাসতে অনেক সময় নেবো,
সমুদ্রের তীরে বালুচর তখনো চিকচিকে,
তোমার আমার রুগ্ন শরীর লিকলিকে,
দেবদারু দাঁড়িয়ে ঠায়,
তবু বিশ্বনিখিল অপেক্ষারত ,
আমাদের প্রণয়ের অভিপ্রায়।
আমি ভালোবাসি বলতে অনেক সময় নেবো,
তখনো হয়তো থাকবে একটা নিস্তেজ আলোর সূর্য,
থাকবে তার মায়া ঝড়ানো রক্তিম আলো,
তোমার হাতে থাকবে হয়তো গণিত শিক্ষার বই,
তাতে থাকবে বৃত্ত,বিন্দু,কিংবা কর্ণ,
কোঁকড়া চুলে তখন পাক ধরবে,
নাকের নিচের গোঁফটা বয়োবৃদ্ধ হয়ে পুরুষ্ঠ হবে,
বিশ্বচরাচর তখনো অপেক্ষারত,
তার অপেক্ষা হোক শুভ।
আমি তবু ভালোবাসতে খুব দেরী করবো,
যতোটা দেরী করলে সত্যি দেরী না হয়ে যায়,
একদিন তুমি লাল সবুজ পাঞ্জাবী নিয়ে নিও,
তোমাকে উপহার হিসেবে দেয়া ঐ অপার্থিব দোকান টা থেকে,
আমি লাল সবুজ শাড়ি পড়বো,
আগ্রসনী ভবনটা তখন আর নেই,
সেখান থেকে দূরের বিস্তৃত দিগন্ত ,
তবু কেউ একজন অপেক্ষারত,অপেক্ষা আনন্দময়।
আমি তবু লোক দেখানো সস্তা প্রেমে পড়বো না,
আমি ভালোবাসবো ,
যতোটা ভালবাসলে খুব আদিখ্যেতা না হয়ে যায়,
যতোটা ভালবাসলে নিজেকে মুক্ত বিহঙ্গ মনে হয়,
যতোটা ভালবাসলে নিজেকে এই শহরের পবিত্র সৌভাগ্যবান একমাত্র ব্যক্তি মনে হবে,
অপেক্ষা কখনো দীর্ঘতর হয়।
অপেক্ষার প্রহর গুলো একদিন বিশ্লেষ হয়ে যাবে,
মাথার উপরে নীলাভ গগন,
বিলোলিত অসীম গঙ্গা,
চারিদিকে হয়তো উষ্ণ অভ্যর্থনা,
কিংবা দিকেদিকে জয়জয়কার,
সেদিন আবার হঠাৎ করে মনে করিয়ে দিও,
কোন এক অসহায় দিনে , সূর্য পশ্চিমে ডুব দিয়ে ছিলো,
ল্যাম্পপোস্ট গুলো শুনেছিলো,
উপহার হিসেবে তুমি আমাকে একটা বৃদ্ধ বালক দিয়েছিলে,
চাঁদের বুড়ির অভিশাপ সেদিন উঠবে,
বৃদ্ধ বালক তখন হয়ে যাবে শিশু।
সস্তা প্রেমে গা ভাসাতে আমি সময় নেবো,
তখনো হয়তো আমার শান্ত নিবিড় চোখে বার্ধক্য আসেনি,
অগোছালো চুলে অপ্রগাঢ় পাক ধরেছে,
শাড়ি পড়ার অভ্যাস তখন হবে নিত্য নৈমিত্তিক,
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে গিয়ে সেদিন হয়তো আর চলন্ত গাড়ির সামনে গিয়ে পড়বো না,
দ্বাদশ ব্যক্তি গানটা তখনো অনবরত কানে বিঁধবে,
কিংবা ঠাকুরের “মোর ভাবনারে কী হাওয়ায় মাতালো”,
তুমি তখন এই শহর থেকে অনেক দূরে,
তবু মাঝ রাস্তায় হঠাৎ কেউ আমার পথ রোধ করে দাঁড়াক,
আমার বরফ শীতল হাত গুলোকে উষ্ণ করবার ব্যর্থ চেষ্টা করুক,
অপেক্ষার তখন শেষ প্রহর।
তবু আমি ভালবাসবো না,
আমি খুঁজবো একটা হাড্ডিসার কাঁধ,
পলাশীর রাস্তায় একটা শিউলি ফোঁটা গাছের নিচে বসে মিলিয়ে নেবো,
সেই হাঁসিটা এখনো পাল্টায়নি,
সাথে সেই চোখ গুলোও স্থির,
সেইদিন কঙ্কালসার বরফ শীতল হাত উষ্ণ হবে,
তারা জানবে, “সব কিছু ঠিক হয়ে গিয়েছে”,
বিশ্বাসে মেলায় বস্তু যে!
জগৎসংসারের কানে কানে চুপিসারে বলে দেবো,
উত্তর মেরু বানিয়ে সে করেছে ভীষণ ভুল,
তাই তার অপেক্ষা এতো দীর্ঘ ছিলো.........!
৩০/১১/১৪
দুপুরঃ১২ টা ২০ মিনিট
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২২
জীর্ণ বাস্তবতা বলেছেন: ধন্যবাদ !
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
ব্লগার মাসুদ বলেছেন: আমি তবু ভালোবাসতে খুব দেরী করবো,
যতোটা দেরী করলে সত্যি দেরী না হয়ে যায়,
একদিন তুমি লাল সবুজ পাঞ্জাবী নিয়ে নিও,
তোমাকে উপহার হিসেবে দেয়া ঐ অপার্থিব দোকান টা থেকে,
আমি লাল সবুজ শাড়ি পড়বো,
আগ্রসনী ভবনটা তখন আর নেই,
সেখান থেকে দূরের বিস্তৃত দিগন্ত ,
তবু কেউ একজন অপেক্ষারত,অপেক্ষা আনন্দময়।
৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো ।
৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২
এম হাবিব আহসান বলেছেন: আপু, কার জন্য এতো অপেক্ষা ?
৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬
সুমন কর বলেছেন: ভালো হয়েছে।
৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
বলেছেন: ++++++
৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
তুষার কাব্য বলেছেন: সহজ সরল অভিপ্রায় ভালো লাগলো...
৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৫
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভালো লাগলো কবিতায় ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
এমএম মিন্টু বলেছেন: ভালো ++