নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই নশ্বর পৃথিবীতে একটি ফিনিক্স পাখি!

জীর্ণ বাস্তবতা

আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে আমি খুব সাধারণ। সাধারণ একটি মেয়ের যে সকল গুণাবলী থাকে আমি মনে করি আমার সেগুলো আছে। অতিরিক্ত চাকচিক্য আমার পছন্দ নয়।এককালে নিয়ম ভেঙে কোন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে ছিলো। সময়ের সাথে সাথে তা মাটি চাপা দিয়েছি।অদ্ভুত সব কিছুই আমাকে টানে।

জীর্ণ বাস্তবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পঞ্চম প্রজাপতির রূপকথা

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

তখন শতাব্দী এক বিংশের,
আমাদের তীর্থ ছিলো এই একটা মাত্র শহর,
আমাদের স্বপ্নের শহর,
তারপর.........
তারপর কেটেছে দীর্ঘ অনেক দিন,
অনেক রাত,
অনেক পথ,
গতি তবু হয়নি কখনো শ্লথ।

একদা দুজন অভিযাত্রীক ছিলো,
চোখ ভর্তি স্বপ্ন,
হৃদয় জড়ানো আবেগ।

একদা দুটি স্বপ্নালু চোখ কালো পানির যন্ত্রযানে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছোটে,
গন্তব্য হবে গাবতলী,
বাদামতলী থেকে যাত্রা করবে দুটি বেজোড় সংখ্যা,
দুটি উদ্দাম মনোরথ,
দ্বাবিংশ ক্ষণের ছোট্ট রাস্তার জন্যে বিশাল নৌ যাত্রা পথ।

যাত্রা তখন সবে হবে শুরু,
পানিতে ঢেউ ওঠে,
কালো পানির চপলতা অচিরাৎ,
যুগলের ছিলো একে অন্যের হাতের সাথে হাত।

গোটানো আস্তিন,
গন্তব্য তখন ভীষণ অচিন,
চোখেতে চোখ পড়ে হয়েছে অঙ্গার,
বালিকার তখন ছিলো একছত্র স্বৈরাচার।

বাক্য ব্যয়ে তখন অতিসার আতিশয্য,
স্বপ্নের সাথে স্বপ্নের তখন সঙ্গম অতীন্দ্রিয়।

অত্যল্প বাক্য ব্যয়ে বিমুগ্ধ বালিকা,
কচুরিপানার সাথে হঠাৎ ভেসে ওঠে টগর,
মৃত মাছের আসর,
বক কিংবা, সারস, কিংবা ,
একঝাক কবুতর।

মাঝ নদীতে ফেনা ওঠা পানি,
দূরেতে এক ঝাঁক কাক,
ভ্রমণে তখন হযরতপুর ,
নিয়েছে নতুন বাক।

হিজলের বন খুঁজে খুঁজে তারা হয়েছে ভীষণ ক্লান্ত,
কলাগাছে তার পাড় ভেসেছে,
আদি হতে শেষ প্রান্ত।

গানের পরে গান এসেছে,
ভাবনায় ভবিষ্যৎ,
চেতনারা তখন দিয়েছে নাড়া,
যেতে হবে আরো পথ।

অগভীর ঐ কালো পানিতে,
জীবন বিষাক্ত কাদাময়,
অদূরে দেখেছি দৃশ্য স্নানের,
অতলান্ত বিষ্ময়।

বয়োবৃদ্ধ যুগলের ছিলো হাত,
একে অপরের পিঠে,
শেষ বয়সের প্রণয়ের স্বাদ,
তাতে যদি কিছু মিটে।

স্রোতের পরে স্রোত ভেসেছে,
এসেছে পানকৌরি,
কৃষ্ণ পক্ষের চাঁদহীন রাতে ,
এক ঠোঙা ঝাল মুড়ি।

যাত্রা যখন শেষের পথে,
করে সকল আতিশয্য,
কালচে পানির রঙ বদলেছে,
সবুজ হতে সবুজতর।

একালের এই রমরমা ,
কেএফসি ,বিএফসি ব্যাবসা,
হাতির ঝিল কিংবা তখন,
ভরসা আশুলিয়া।

বসুন্ধরার আটতলা তখন গল্পে ভীষণ মত্ত,
তাদের ঠোটে চিকেন কিংবা,
সসেজের আধিপত্য!

কালো হোক পানি অতল অগভীর,
হোক সে নদী বুড়ি গঙ্গা,
অবহেলিত ঘাট আছে তার,
উপক্রমমাণ অতুলনীয়া।

সাধ আছে যার সাধ্য নেই,
ভাবনায় হোক উম্নেষ,
বুড়িগঙ্গায় ডুবে গিয়েছে,
এই শহরের সব ক্লেষ।

ঘাট থেকে ঐ দূর সুদূরে,
বিক্রেতা এক বৃদ্ধ,
এই নদী নাকি এই শহরের,
প্রাচীন উপকণ্ঠ!

সৌভাগ্যবানের জগৎ তখন,
আবদ্ধ হাতের মুঠোয়,
বেজোড় সংখ্যক পঞ্চম প্রজাপতি,
রূপকথা রচিয়া যায়।

১ ডিসেম্বর,
রাত ৮:০০ টা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো +

শুভকামনা ।।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

তুষার কাব্য বলেছেন: ফেসবুকেও মনে হয় দেখলাম... :D
দারুন লাগলো...ভালোলাগা ...

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: কবিতায় বেশ লাগলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.