*****আমার ভালবাসা//প্রেম সমাচার***** ( ৩য় অংশ )

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:০৬

এখানে ক্লিক করলে প্রথম এবং দ্বিতীয় অংশের খোজ পাবেন ।



আজ সেই প্রথম "কিস" পাওয়ার কাহিনী : ,



( ক্লাস টেনে ,, টেস্ট পরীক্ষার পর , প্রায় ৩ বছর পর মেজো মামার বিয়ের অনুষ্ঠানে আমাকে অনেক টা জোর করে নিয়ে যাওয়া হলো.. কারণ বড় ভাইয়া দেশের বাইরে থাকায় ওখানকার যাবতীয় ছবি তোলা , বাসর ঘর সাজানো ইত্যাদি সব আমাকেই করতে হবে । বিয়ের আগের দিন সকালে গেলাম । অনেক আত্মীয় স্বজন এসেছে । আমার একমাত্র ছোট খালা ও তার ছোট মেয়েও এসেছে । খালাতো বোন টির নাম জিনিয়া । আমি ওকে লাস্ট দেখেছিলাম বড় আপুর বিয়ের দাওয়াত দিতে গিয়ে । ও তখন হাফ প্যান্ট পরতো । ছোট বেলায় লেখাপড়ায় বেশ ভাল ছিলাম বলে নানা বাড়িতে খুব খাতির ছিলো আমার । আর ছোট খাটো একটা দুষ্টু-মিস্টি ছেলে হওয়ায় মামী গুলোও খুব আদর করতো । আর ও একটা কারণ ছিলো ,, সেটা সবাইকে বিভিন্ন কথা বলে হাসিয়ে দেবার ক্ষমতা ।

যায় হোক , রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই আমাকে ধরলো হাতে মেহেদি দিয়ে সাজিয়ে দিতে হবে ,, মামাতো বোন গুলো এসেছে আবার তাদের কিছু ননদ ও এসেছে ,, সবাই এসে বসে থাকলো পাশে ।

গল্প করছি আর ওনাদের সবার হাতে মেহেদি দিচ্ছি ,, কিন্তু জিনিয়া কে দেখলাম না এখনও !!! হঠাৎ খালা ওকে ধরে এনে আমার কাছে দিয়ে বললো , "সুমন একে চিনিস ?? ,, আমি একটু দেখেই আবার নিজের কাজ করতে করতে বললাম "হ্যা চিনি তো !! ও আপনার ছোট মেয়ে জিনিয়া"। খালা বললো ওর হাতেও মেহেদি দিয়ে দে । তারপর ওকে রেখে চলে গেলে আমি কেমন আছে কোন ক্লাসে পড়ে জানতে চাইলাম । ও এবার সেভেন এ উঠেছে বললো । তারপর কয়েকজন কে মেহেদি দিয়ে ওকে বললাম , কিন্তু জিনিয়া বললো সে নাকি সবার শেষ দেবে । তারপর সবার শেষে যখন ওর হাতে মেহেদি দিয়ে দিচ্ছি , তখন হঠাৎ একবার লক্ষ্য করলাম ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে । আমি খুব একটা গায়ে মাখলাম না । ওর হাতে মেহেদি দেওয়া শেষ হলে খালা আর ওকে থাকতে দিলো না,, যদিও ও খুব জোর করছিলো .....

এরপর রাতে বাসর ঘর সাজিয়ে ওখানেই ঘুমিয়ে থাকলাম ... সকালে উঠে ফাইনাল টাস দিয়ে ঘর লক করে বের হয়ে গেলাম । স্নান করে ১০ টার দিকে গাড়িতে উঠলো সবাই । আমি আর আমার চাচাতো বোন একসাথে বসলাম । আমি জিনিয়াকে ডাকিনি আর ওকে পাশে বসতে বলিনি বলে ও রাগ করে বরযাত্রী যাবে না বললো । পরে অবশ্য আমাদের সামনের সিটে বসে গেলো.. । নতুন মামীদের বাড়ি পৌছে খালা আমাকে বললো "সুমন তুই ওকে সাথে রাখবি সব সময় "। আমি সম্মতি জানালাম । সাথে বিপদ ও বাড়ালাম .. । ওর জন্য কোন সুন্দরী মেয়ের ছবিই তুলতে পারলাম না ।

মনের দুঃখে ওর মাথার চুল ছেড়ার পণ করে বিয়ের কাজ শেষে নানা বাড়ি ফিরে আসলাম ।

রাতে মামার বাসর ঘরের পাশে গেষ্ট রুমে আমি একা একা থাকতে চাইলেও মামা থাকতে দিলো না কোন এক গোপন কারনে । কি আর করা অনেক আত্মীয় স্বজন তাই আমি ,মা, খালা ,জিনিয়া , নানী ,এবং ২টা ছোট ছোট মামাতো ভাই বোন এক রুম শেয়ার করলাম । মা , খালা আর জিনিয়াকে খাটের ওপরে দিয়ে আমি নানী আর ঐ ছোট ছোট ভাই বোন ২টা এক সাথে ফ্লোরে বিছানা পেতে শুয়ে পড়লাম ।

ভোর বেলা সবাই যখন উঠে চলে গেছে আমি তখনও ঘুমাচ্ছি ।

হঠাৎ কোন কিছুর স্পর্শ পেয়ে চোখ মেলে তাকালাম । দেখি আমার একটু সাইডে জিনিয়া ওদের ব্যাগ থেকে কি যেন বের করছে ,, আমাকে যেন না ডাকে ,তাই ঘুমের ভান করে শুয়েই থাকলাম ।

এরপর যা ঘটলো তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না ..। আমাকে কেউ একজন চুমু খেলো . .। আমার বুঝতে বাকি নেই কে সে !!! তবুও ঘটনার আকস্মিকতায় ভয়ে এবং লজ্জায় :#> :#> :#> আমি যেমন ছিলাম তেমন ভাবেই শুয়ে রইলাম । তারপর ও একটু সরে গিয়ে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলার চেষ্টা করলো ,,,আমি চোখ মেলে তাকালে ও বললো " খালা আপনাকে ডাকছে ,,খেজুরের রস খেতে ,, তাড়াতাড়ি উঠে পড়ুন ,,".

জীবনে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত শেষ চুমু পেয়েছি ওইটাই ।

ঐ দিনই বিকালে ওখান থেকে চলে আসি প্রাইভেট পড়া মিস হচ্ছে বলে । আসার সময় আমার ব্যাগে একটা চিরকুট পাই ,, সুন্দর করে কিছু একটা আঁকা তাতে ,, আর নিচে লেখা --"এই গোলক ধাঁধার সমাধান করতে পারলে অনেক কিছু শিখতে পারবেন "

সমাধান করেছিলাম তবে শিখতে পারিনি ..... আমি যখন এইচ.এস.সি ২য় বর্ষে পড়ি তখন ওর বিয়ে হয়ে গেছে । একটা সুন্দর ছেলেও হয়েছে । আর ছেলের নাম রেখেছে আমার নামের সাথে মিলিয়ে "ইমন" । )





( এইচ.এস.সি তে পড়ার সময় : সত্যিই একজন কে ভাল বেসেছিলাম । নাম ছিলো তামান্না , আমি ডাকতাম *তারা* বলে । মেয়েটির সাথে সম্পর্কটা বেশ ইন্টারেস্টিং ভাবে শুরু হয়েছিলো.। কারণ আমি সম্পর্কে ওর নানা হোতাম । আর ও পাগল হয়েছিলো ওর ছোট মামা আর নানা নানীর মুখে আমার প্রসংশা শুনে শুনে । শবে কদরের রাতে আমাকে আই লাভ ইউ বলেছিলো মোবাইলে । ২বছর মেয়াদি প্রেমে কয়েক দিন মোবাইলে আর মাঝে মাঝে একটু চোখের দেখা , আর ওর নানীদের বাড়িতে আসলে একটু কথা , এই ছিলো সব । আমি চেয়ে ছিলাম ওকেই সর্বশেষ বানিয়ে প্রেমের খাতা বন্ধ করে দিতে । কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে নি । ওর বড় খালা শত্রুতা করে ভেঙে দিয়েছে আমাদের সম্পর্ক ।

সত্যি সত্যিই বেশি ভালবেসেছিলাম তাই ওকে হারানোর প্রভাব টা আমার এইচ.এস.সি পরীক্ষাতে খুব বেশি আকারে পড়েছিলো .। প্রচন্ড জর আর কাশি সাথে মনের নিদারুণ ব্যাথা নিয়ে পরীক্ষা গুলো দিয়েছিলাম . ..



*তারা*র জন্য ঐ ২-বছরে অনেক পাগলামি করেছি ...এখানে আছে ওর ১৩তম জন্মদিনে আমার এক বিশেষ পাগলামির কাহিনী ; ইচ্ছে হলে দেখতে পারেন ...





{ চলবে ......} আগামি কাল অ্যাডমিশন প্রেম/মোবাইল প্রেম

৪৯ টি +৮/-০