নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিক ও রাজাকার মুক্ত ব্লগ

আমি তুমি আমরা

লেখার সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

আমি তুমি আমরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিশাচ কাহিনীঃ জানোয়ারের রক্ত

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৬



সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ গল্পটিতে অশ্লীল ভাষা ও শব্দের ব্যবহার রয়েছে। অতিমাত্রায় সুশীলগণ পোস্টটি এড়িয়ে যেতে পারেন।

-মানিকের পর কিন্তু আমি যাব। পরিমল হাসতে হাসতে ঘোষণা করে।
-আর তারপরে আমি। এবার পান্নাও যোগ দেয় পৈশাচিক হাসিতে। এই বাবুল, তুই কিন্তু সবার শেষে। তুই সবার ছোট কিনা, সেজন্যই। এবার চোখ টিপে দেয় পান্না।
-দে... দে... দেখ, তোমরা কিন্তু এটা ঠিক করছ না। কোনরকমে তোতলাতে তোতলাতে বলে বাবুল।
হঠাৎ রেগে যায় পরিমল।ঠিক করতেছ না, মানে? এই বাবুইল্যা, ঠিক-ভুলের তুই কি বুঝস?
-দেখ, মেয়েটা হয়ত কোন ভদ্র ঘরের মেয়ে। তার সাথে তোমরা এভাবে... ...
বাবুল পুরো বাক্যটা শেষ করতে পারে না। লজ্জায় নাকি ঘৃণায় শেষ শব্দগুলো সে উচ্চারন করতে পারে না, হয়ত সে নিজেও জানে না।
-এহ, আসছে আমার ভদ্র ঘরের মেয়ে? পরিমল মুখ বাঁকিয়ে উত্তর দেয়।কোন ভদ্র ঘরের মেয়ে রাত দেড়টার সময় সী বীচে আসবে? তাও আবার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে?
-আরে, কিসের বয়ফ্রেন্ড? পরিমলের মুখের কথা কেড়ে নেয় পান্না। মাইয়ার ড্রেসআপ দেখছস? যে টাইট টপসরে বাবা, আর স্কার্টটাও কোনরকমে হাঁটু টাচ করছে। আমি শিওর পোলাটা ওর খদ্দের।এত রাইতে বীচে আসছিল নষ্টামি করতে।
-তো তোমরা কোন ভালমানুষগিরি করছ? একটা মেয়েকে এভাবে... এবারও মুখের কথা শেষ করতে পারে না বাবুল।
-চোপ, একদম চোপ। ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার ইশারা করে পরিমল। আসছে আমার মহামানব। মুখ একদম বন্ধ।
বাবুল এবার হাঁটতে শুরু করে।
-এই বাবুইল্যা, কই যাস? পান্না বাবুলের হাত ধরে টান দেয়।
-হোটেলে।
-কেন?
-আমি থাকব না তোমাদের সাথে।ঢাকা চলে যাব।
-ঢাকা চলে গেলে কিভাবে হবে? গতকাল রাতেইতো বলছিলি ২৮ বছর বয়স হয়ে গেল, কোন গার্লফ্রেন্ড নাই, শেষে ভার্জিন মরে যেতে হয় কিনা। আজ রাতেই তোর সুযোগ। ভার্জিন মরতে হবে না। বলতে বলতে পরিমল আবার পৈশাচিকভাবে হাসতে শুরু করে।
বাবুল কোন জবাব দেয় না। আবার হাঁটতে হাঁটতে শুরু করে।
-এই বাবুল, দাঁড়া। পান্না আবার হাত ধরে থামানোর চেষ্টা করে বাবুলকে।
-দেখ পান্না, যদি হাত না ছাড় তাহলে কিন্তু আমি পুলিশের কাছে যাব। দৃঢ়তার সাথে বলে ওঠে বাবুল।
বাবুলের চোখ দেখে হয়ত কিছু বুঝতে পারে পান্না, হাতটা ছেড়ে দেয় ও।
-পুলিশের কাছে যাবি? এবার চিৎকার করে ওঠে পরিমল। গিয়ে কি বলবি? পুলিশ ভাইয়া, পুলিশ ভাইয়া, আমার "ওইটা" নাই। সেজন্য বন্ধুরা সুযোগ দেয়ার পরেও মেয়েটাকে কিছু করতে পারি নাই। বলেই বিশ্রীভাবে হাসতে থাকে পরিমল।
বাবুলের কোন জবাব দেয়ার রুচি হয় না। মদ খাওয়ার পর ওর তিন বন্ধুর একজনও স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করতে পারছে না, তাই এই মাঝরাতে সমুদ্র সৈকতে স্বামীর সাথে আসা কোন তরুণীকে তারা ভদ্র ঘরের সন্তান বলে ভাবতে পারছে না, মনে হচ্ছে "বেশ্যা"-যাকে যখন ইচ্ছে তখন, যেখানে ইচ্ছা সেখানে ভোগ করা যায়। শুধু যাওয়ার আগে মেয়েটার গায়ের ওপর কটা নোট ছুড়ে দিলেই হল।
বাবুল আবার হাঁটতে শুরু করে।
-বাবুল, শেষবারের মত বলছি, দাঁড়া। পরিমল চিৎকার করে।
পরিমলের কন্ঠে কি যেন ছিল, বাবুল থেমে যায়,ঘুরে তাকায়।
-আর যদি এক পা আগাস, তাহলে এই ছেলেটার মৃত্যুর জন্য তুই দায়ী থাকবি।
বাবুল এবার নিজের চোখ আর কান-কোনটাকেই বিশ্বাস করতে পারে না। পরিমল তার পকেট থেকে একটা চাকু বের করে এনেছে, চেপে ধরেছে ঠিক ছেলেটার গলার সামনে। বাবুল আর এক পা এগিয়ে গেলেই পরিমল ছুরিটা চালিয়ে দেবে ছেলেটার গলা লক্ষ্য করে!
-আমি কিন্তু সত্যি সত্যি চাকুটা চালায় দিব। আবার হুমকি দেয় পরিমল।
-আচ্ছা, আমি যাচ্ছি না।প্লিজ ছেলেটাকে কিছু কোর না।বাবুল চেষ্টা করে পরিমলকে শান্ত করার।
-এইতো চান্দু লাইনে আসছ। খেক খেক করে এবার হেসে ওঠে পান্না, হাসতে হাসতে চেপে ধরে বাবুলের একটা হাত।আমরা অপরাধী হব আর তুমি হবা সাক্ষী-সেটা হবে না। আমরা মাইয়াটারে লাগামু, তারপর তুই লাগাবি। আমরা যদি অপরাধী হই, তুইও হবি।
-দেখ...
-এই বাবুইল্যা, একদম চুপ। টলতে টলতে আবার চিৎকার করে ওঠে পরিমল। পান্না যা বলছে, তা-ই হবে। আগে আমরা, সবার শেষে তুই। আর যদি একটা কথা কস, তাইলে তোর ওইটা একদম কাইট্টা দিমু। বলেই বাবুলের সামনে চাকুটা নাচাতে থাকে পরিমল।
বাবুল কি করবে বুঝতে পারে না। শুনশান রাত, হয়ত ইতিমধ্যেই দুইটা বেজে গেছে। মূল সৈকত থেকে অনেকটাই দূরে ওরা, এতরাতে সৈকতের এদিকটায় ওরা ছাড়া কয়েকজন আর কেউ নেই। পান্না এখনো ওর একটা হাত চেপে ধরে রেখেছে, পরিমল ওর চোখের সামনে একটা ধারাল চাকু নাচিয়ে যাচ্ছে।
বাবুল আড়চোখে এককোণে পড়ে থাকা ছেলেটার দিকে তাকায়। পিছন থেকে হঠাৎ করেই মানিক, পান্না আর পরিমল সম্মিলিতভাবে আক্রমন করেছিল ছেলেটাকে, মেরে একেবারে অজ্ঞান করে দিয়েছে। ছেলেটার নিশ্চল শরীর পরে আছে একটা ঝাউগাছের নীচে, মানিক মেয়েটাকে ধরে নিয়ে গেছে ওদের গাড়িতে, হয়ত এতক্ষণে মেয়েটার সর্বনাশও করে ফেলেছে।
ওরা কি ছেলে আর মেয়েটাকে মেরে ফেলবে? মনে হয় না।আজ বিকালেও বাবুল ওদের তথাকথিত ভদ্রঘরের সন্তান বলেই জানত, অথচ এই রাতের আধারে ওরাই ধর্ষকে পরিণত হয়েছে।যদিও ওরা পেশাদার অপরাধী না, তবে কোন সম্ভাবনাই আর উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
আচ্ছা, ওরা কি বাবুলকে মেরে ফেলবে?
সম্ভাবনা কম। বাবুলের বাবা হাইকোর্টের বিচারক, তারওপর বাসায় বলে এসছে বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছে।বাবুলকে খুন করে ওরা পার পাবে না।
যদি ওরা বাবুলকেও ধর্ষণ করতে বাধ্য করে?
আর ভাবতে পারে না বাবুল।
-আমার আগেই বাধা দেয়া উচিত ছিল।মনে মনে নিজেকে গালি দেয় বাবুল।
-কিছু বললি নাকি? পরিমল জানতে চায়।
-না। বলতে বলতে বাবুল অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। পরিমলের মুখ থেকে মদের বিশ্রী গন্ধ আসছে।
এমন সময় গাড়ির ভেতর থেকে গগণবিদারী চিৎকার ভেসে আসে।বাঁচাও।
-মানিক মনে হয় সেঞ্চুরী কইরা ফেলছে। বিশ্রীভাবে হাসতে হাসতে বলে ওঠে পান্না।
হাসতে হাসতে হ্যা-সূচক মাথা নাড়ে পরিমল। হালায় একটা মাল।
"বাঁচাও"। আবার গাড়ির ভেতর থেকে গগণবিদারী চিৎকার ভেসে আসে।
প্রথমবার বাবুলের সন্দেহ হয়েছিল, এবার সে নিশ্চিত হয়। গাড়ির ভেতর থেকে যে চিৎকার ভেসে আসছে সেটা কোন নারীকন্ঠ নয়, পুরুষকন্ঠ এবং সেটা মানিকেরই-এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
যদিও মাতাল, তবুও পান্না আর পরিমলের মাথায়ও সম্ভবত একই চিন্তা খেলা করে। এসময়তো মানিক চিৎকার করার কথা না।
-এই পান্না, তোকে না বলছিলাম গাড়ির জানালা দিয়ে সব ভিডিও করার জন্য। এইসব ঘটনায় ভিডিও করে রাখতে হয়, যাতে মাগীগুলা মামলা করতে না পারে। তুই এখানে দাঁড়ায় বাবুইল্যার হাত ধরে টানাটানি করতেছস কেন?
"বাঁচাও"। তৃতীয়বারের মত চিৎকার ভেসে আসে। এবার ওরা তিনজনই নিশ্চিত হয়, এই চিৎকার আর কারও নয়, মানিকেরই।
ওরা তিনজন সৈকতের কাছে পার্ক করে রাখা ওদের গাড়িটা লক্ষ্য করে দৌড় দেয়।
গাড়ির দিকে ছুটতে ছুটতে হঠাৎ কি মনে করে যেন পেছন ফিরে তাকায় বাবুল।
নেই।
ঝাউগাছের নীচে যেখানে ছেলেটার অজ্ঞান দেহটা পরে ছিল, সেখানে কেউ নেই।
আশ্চর্য! ছেলেটা গেল কোথায়?

পেছন ফিরে তাকানোর কারণে একটু পিছিয়ে পড়েছিল বাবুল, গাড়ির কাছে পৌছাতে তাই একটু দেরী হয়ে যায় বাবুলের।
-কি হয়েছে? জানতে চায় বাবুল।
পান্না আর পরিমল-দুজনেরই মুখ হা হয়ে আছে বিস্ময়ে, এমনকি এই মাতাল অবস্থায় দৌড়ানোর পর হাঁপানোর কথাও ভুলে গেছে।ওরা কোন জবাব দিতে পারে না।
বাবুল ভেতরে উকি দেয়ার চেষ্টা করে, গাড়ীর কালো কাচ ভেদ করে ভেতরের কিছুই সে দেখতে পায় না।
খানিকক্ষণ গাড়ীর দরজা নিয়ে টানাটানি করে বাবুল, লাভ হয় না। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ।
শেষ পর্যন্ত সৈকতে একটা পাথর কুড়িয়ে পায় বাবুল, অবশেষে ওটা দিয়ে গাড়ীর কাচ ভাঙে।
কিন্তু যা দেখল বাবুল, তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না বাবুল। গাড়ীর ব্যাকসীটে পড়ে আছে মানিকের দেহ, নিথর, প্রানহীন। আর তার ঘাড় থেকে রক্ত চুষে খাচ্ছে মেয়েটা!
গাড়ীর কাচ ভাঙ্গার শব্দে মেয়েটা মুখ তুলে তাকায়, চাঁদের আলোয় মেয়েটার ঠোঁটের কোণা দিয়ে গড়িয়ে পড়া রক্ত স্পষ্ট দেখতে পায় বাবুল।
-আসলে ওর কোন উপায় নেই।
হঠাৎ পুরুষ কন্ঠ শুনে ঘুরে তাকায় বাবুল, দেখে মেয়েটার স্বামী এগিয়ে আসছে ওকেই লক্ষ্য করে। বাবুল খেয়াল করে দেখে ছেলেটার হাতে একটা চাকু, সম্ভবত পরিমলেরটাই। ইতিমধ্যেই সে ছুরিটা দিয়ে পোচ বসিয়ে দিয়েছে পরিমল আর পান্নার গলা লক্ষ্য করে, ওরা দুজনেই নিজ নিজ গলা চেপে ধরে বসে পড়েছে, প্রাণপণ আটকাতে চেষ্টা করছে রক্তের ধারা।
-মানে? কাঁপা কাঁপা কন্ঠে জানতে চায় বাবুল।
-আসলে ভ্যাম্পায়ারে পরিণত হওয়ার পর থেকে সীমা আর রক্ত না খেয়ে থাকতে পারে না।গরু ছাগলের রক্ত খেয়ে দেখেছে, পোষায় না।আবার নিজের তৃষ্ণার জন্য কতগুলো নিরপরাধ মানুষকে মারতেও ওর মন সায় দেয় না। এজন্যই প্রতি পূর্ণিমার রাতে আমরা বের হই। মানসিকভাবে বিকৃত কিছু জানোয়ার যখন সীমার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে, তখন সীমা শুধু অপেক্ষা করে মেঘের আড়াল থেকে চাঁদটা বের হওয়ার। ওই জানোয়ারগুলারগুলোরও শ্বদন্ত আছে, কিন্তু চাঁদের আলোয় সীমার শ্বদন্ত দেখে ওরা সব ভয় পেয়ে যায়। এই জানোয়ারগুলোর রক্ত দিয়েই এখন সীমা তার তৃষ্ণা মেটায়।
বাবুল পেছন ফিরে তাকায়। সীমা গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে, ওর শ্বদন্ত বসে পড়েছে পরিমলের ঘাড় লক্ষ্য করে।
-এটা একটা দুঃস্বপ্ন। একটু পরেই আমি জেগে উঠব। বাবুল মনে মনে বলে।
-মোটেই না। যা দেখছ, তার পুরোটাই বাস্তব। ছেলেটা হেসে ওঠে।
-ভাই, আমাকে ছেড়ে দাও। আমিতো তোমাদের কোন ক্ষতি করিনি। তোমার স্ত্রীর সম্মান নষ্ট করার কোন ইচ্ছাই আমার ছিল না।ওরা যখন তোমার ওপর হামলা করেছিল, তখনও আমি দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
-একটা ব্যাপার কি জান? আপরাধীরা সাহস পায় তোমাদের মত লোকেদের কারণে, যারা দূরে দাঁড়িয়ে সব অপরাধগুলো দেখে আর মনে মনে ভাবে, আমিতো কিছু করিনি।
-দে... দে...দেখ...
বাবুল তার কথাটা শেষ করতে পারে না, চাঁদের আলোয় ছেলেটার হাতে থাকা চাকুটা চিকচিক করে ওঠে।


==================================================================
আমার লেখা আরো কিছু পিশাচ কাহিনীঃ

রক্তখেকো ডাইনী
অন্ধকারে বিলীন
আমাদের নতুন পুরানো ঘর
হোটেল একশ তলা
একশ তলায় আবার
রাতের আঁধারে
কন্ঠ
অতিথি
শয়তানের পাল্লায়
খোলা দরজা
নির্ঘুম রাত
একটি ফটোগ্রাফ
কান্নার শব্দ

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ভাল লিখেছেন!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ সম্রাট ইজ বেস্ট :)

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গল্প খুবই ভালো হয়েছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ ঠাকুর মাহমুদ :)

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
আরো ভয়ানক পিশাচ কাহিনি চাই।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আরো বীভৎস?

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

শিখা রহমান বলেছেন: ওয়াও!! খুব ভালো লেগেছে। শেষের টুইস্টটা ধরতে পারিনি আগে।

সময় করে আপনার অন্যান্য ভয়ের গল্পগুলো পড়ে দেখতে হবে।
শুভকামনা ও প্রথম লাইক দিলাম।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।

বাকি গল্পগুলোও পড়ে দেখুন। আশা করি ভাল লাগবে।

গল্পপাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। :)

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩২

মা.হাসান বলেছেন: অসাম। ব্লগে আমার একজন প্রিয় লেখক ছিলেন, ইমন জুবায়ের। ওনার কথা মনে পড়ে গেল।
আমরা চুপচাপ বসে থাকি বলেই আজ এ অবস্থা । দায় আমাদেরও আছে, সত্য।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ইমন ভাই আমারও অসম্ভব প্রিয় লেখক ছিলেন, ভৌতিক গল্প কিংবা সায়েন্স ফিকশান অথবা তথ্যমূলক বিশ্লেষণ-প্রতিটা ক্ষেত্রেই অনবদ্য ছিলেন তিনি। আমার লেখা পড়ে আপনার ইমন ভাইয়ের কথা মনে পড়েছে-জেনে সত্যিই সম্মানিতবোধ করছি।

আমরা চুপচাপ বসে থাকি বলেই আজ এ অবস্থা । দায় আমাদেরও আছে, সত্য।

যারা অপ্রাধ করে তারা মূলত ভীতু, সংখ্যায়ও তারা কম। আমরা চুপ করে থাকি বলেই তারা ক্রমাগত অন্যায় করার সুযোগ পায়। শুধু আমাদের দায় আছে স্বীকার করাটাই যথেষ্ট নয়, সেই দায় থেকে আমাদের উত্তরণের পথ খুঁজে নিতে হবে।

ভাল থাকুন।শুভকামনা রইল :)

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৯

আনমোনা বলেছেন: ভালো লেগেছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ আনমোনা :)

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৩

বলেছেন: ফাটাফাটি ...........

ভিন্ন স্বাদের গল্প --
সুশীল না তাই পড়লাম /////

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সুশীল না তাই পড়লাম

;)

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬

নিঃসঙ্গ সারথী বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাই

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম :)

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস ভাই :)

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাবুলকে মারাটা ঠিক হয় নাই। সে প্রতিবাদ তো করেছিল.....অন্ততঃ এই জন্যে একটা ক্লিনচিট পেতেই পারতো। অন্যরা তো তাও করে না।

ভাবছি, ভ্যাম্পায়ারদের সম্রাট ড্রাকুলাভাইয়ের কাছে সীমা আর ওর বরের নামে নালিশ করমু। ভ্যাম্পায়ারদের ইমেজ নষ্ট করতাছে ওরা!! X(

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বাবুলকে মারাটা ঠিক হয় নাই। সে প্রতিবাদ তো করেছিল.....অন্ততঃ এই জন্যে একটা ক্লিনচিট পেতেই পারতো। অন্যরা তো তাও করে না।

তা ঠিক, বাবুল প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। বাবুলের উচিত ছিল প্রতিরোধ করা। আমরাও অনেক সময় চারপাশে অপরাধ দেখে শুধুমাত্র একটা ফেসবুক পোস্ট দিয়ে কিংবা বহুদূর থেকে অপরাধীকে হালকা বকে দিয়ে (সেই বকা হয়ত অপরাধীর কানেও পৌছায় না) ভাবি অনেক প্রতিবাদ করে ফেলেছি, আমরা বিশাল প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, কিন্তু বাস্তবে সেই প্রতিবাদের ফলাফল হয় শূন্য।এই প্রতিবাদের কোন মাহাত্ম্য নেই। আমি ঠিক সেটাই বলতে চেয়েছি।

ভাবছি, ভ্যাম্পায়ারদের সম্রাট ড্রাকুলাভাইয়ের কাছে সীমা আর ওর বরের নামে নালিশ করমু। ভ্যাম্পায়ারদের ইমেজ নষ্ট করতাছে ওরা!!

কি যে বলেন। আমার মতে রবিন হুডের ভ্যাম্পায়ার ভার্সন :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.