![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারনত্বের মাঝে আমি। সাধারন ভাবেই ভাবতে চাই সবকিছু
সাহিত্যিক আনিসুল হক জানুয়ারী মাসের ১ তারিখে প্রথম আলোতে "পাঙাশ মাছ ও শুভ ২০১৩ " শিরোনামে লেখা নিবন্ধে লিখেছেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। কারণ হিসেবে তিনি নিজেকে নির্দেশ পূর্বক ১৭০ টাকায় ২টা পেয়ারা ক্রয়ের সামর্থ্যের কথা বলেছেন। তিনি জিডিপির প্রবৃদ্ধির কথা বলেছেন। তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেছেন। সকল উন্নয়নের পিছনে তিনি যে জাদুমন্ত্রের কথা বলেছেন তা হল গণতন্ত্র। তিনি বলেছেন "শুধু একটা জিনিস চোখের মণির মতো আমাদের রক্ষা করে যেতে হবে, আর তা হলো গণতন্ত্র। "
তার কথার সাথে একমত হতে পারছিনা। অবাক হয়ে যাই, যখন দেখি, সুশীল পরিচয়ধারী জনপ্রিয় সাহিত্যিক ও লেখক সত্যকে আড়াল করে কলাম লেখেন।
তিনি জিডিপির প্রবৃদ্ধির কথা বলেছেন, কিন্তু যেখানে গতবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৭ সেখানে বর্তমান হার ৬.৩ কি করে বৃদ্ধি হয় তা আমার মাথায় ধরে না। জিডিপির প্রবৃদ্ধির কথা বলেছেন ভাল কথা একইসাথে মূল্যস্ফীতি যে বেড়েছে তা তিনি বলেন নাই। গতবছর মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৮ কিন্তু বর্তমানে ১০.৮। গতবছরের তুলনায় এ বছর আমদানী-রপ্তানী উভয়ই কম ছিল। গতবছরের তুলনায় এ বছর বৈদেশিক ইনকাম ছিল কম।
রাজনৈতিক হানাহানি, মারামারি, খুন, ধর্ষণ, ইভটিজিং, বর্ডারে মানুষ হত্যা ছিল নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহার ছিল পুতুল খেলার মত, যেন ইচ্ছে হল তাই মামলা প্রাত্যাহার করলাম। ২০১২ সালের প্রথম ১১ মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী বিচার বহির্ভূত হত্যা ছিল ৬৭ টি, রাজনৈতিক সহিংশতায় নিহত হয় ১৫২ জন এবং আহত হয় ১৪৯৪৯ জন, এসিড সন্ত্রাসের স্বীকার ৯৭ জন, ধর্ষণের শিকার ৭৬০ জন, যৌন হয়রানীর স্বীকার ৪৫৯, গণপিটুনীতে মৃত্যু ১২০ জন।
এই যখন দেশের চিত্র তখন কি করে দেশ এগিয়ে চলে তা ভেবে পাই না। ২-১টি গ্রাফ পেপারে দাগ উঠু উঠু করলেই যদি এগিয়ে যাওয়া হয় তাহলে আর কিছু বলার নাই।
তিনি গণতন্ত্রে কথা বলেছেন। আমিও চাই আমাদের এই প্রিয় দেশে দৃঢ় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। আনিসুল হক যে গণতন্ত্রের কথা বললেন তা কি করে উন্নয়নের ধারক হয় বুঝে পাই না যখন দেখি সত্য কথা বলার কারনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে দৌড়ানী খাইতে হয়। নির্দিষ্ট মতাদর্শের বিরোধীতা করলেই যখন রাযাকর উপাধি কপালে জোটে তখন তা কি করে গণতন্ত্র হয় ভেবে পাই না। প্রতি পাচ বছরে একবার ভোট দেয়া ছাড়া যেখানে নাগরিকের কোন মূল্য নাই তা কি করে গণতন্ত্র হয় ভেবে পাই না।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
ব্যর্থ মানুষ বলেছেন: আমাদের সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকারকর্মী, আর সুশীলবাবুদের বেশিরভাগই দুদলের ছত্রচ্ছায় ঢুকে পড়েছেন। যে কারণে অধিকাংশ ঘটনাকে দেখার সময় তারা নিজ পক্ষের রঙ করা চশমাকেই ব্যবহার করেন।
২০১২ সাল বাংলাদেশের জন্য আগের বছরের থেকে আরো খারাপ গেছে। সরকারী আর বিরোধী দল মিলে দেশের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে। এর মধ্যেও ইতিবাচক কিছু দিক ছিল, তবে তা নিত্যান্তই নগণ্য।
যাই হোক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রত্যেকটা মানুষের রয়েছে। সাহিত্যিক কিংবা সুশীলরাও মানুষের মধ্যে পড়ে। একজন মানুষের মত প্রকাশের ধরণ আর মতামত দেখেই বোঝা যায় মানুষটি আসলে কী?
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
ফাগুল বলেছেন: মূল্য স্ফীতির হিসাবটা কি ঠিক আছে? রেফারেন্স কি?
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
আহির মাহাসিন বলেছেন: জাতীয় সংসদে ২০১২ সালের বাজেট বক্তৃতা
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৭
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
সত্যি বলতে ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে কিন্তু তাহা শ্রেণী ভাগে সরকারী ঘুসখোরদের ব্যাবসায়ীদের আর যারা দৈনিক আনে দৈনিক খায় - রপ্তানী ৫% মনে হয় বাড়ছে আগের বছর থেকে আমদানী কমছে এইডা ভালো লক্ষন --
আর দূরত্ব কিন্তু কমে নাই -- রাস্তায় বের হইলে নিজেকে কেমন জানি অপরাধী মনে হয় এতো মানুষ অনাহারে অথচ আমি মাছ মাংস ছাড়া ভাত খাই না বিশ্বাস করুন রাস্তার হীনমননা আমি রাস্তায় রেখেই আসি !!
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
বিদ্রোহী২০০৩ বলেছেন: সব দালাল
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৮
ফারজানা শিরিন বলেছেন:
এদের বক্তব্য বাস্তব জোকস হিসাবে নেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ঠোঁটকাটা বলেছেন: তিনি বুবুর স্বঘোষিত পুত্র (হাসিনাকে সে মা বলে ডাকে)। তো, খুব বেশি কি বলেছে?