![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারনত্বের মাঝে আমি। সাধারন ভাবেই ভাবতে চাই সবকিছু
ইসলামে অনুমোদিত চার বিয়ে নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। কেহ বলে থাকেন, ইসলাম বহুবিবাহ নীতি অনুমোদন করে। কেহ বলেন, ইসলাম পুরুষের চার বিয়ে অনুমোদনের মাধ্যমে নারীকে অসম্মানিত করেছেন। এ বিষয়ে দু'চারটি কথা বলব। ভুল হলে শুধরে দিবেন আশা করি।
প্রথমে আশা যাক, ইসলাম বিয়ে সম্পর্কে কি বলে। মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, প্রত্যেক সামর্থবান (আর্থিক ও শারীরিক) পুরুষের উচিত বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। কিন্তু যাদের বিয়ে করার সামর্থ নেই তারা রোযা পালন করবে। এখানে একটি বিষয় খুব স্পষ্ট যে, বিয়ের পূর্ব শর্ত হল আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা।
কিছু নারীর সাথে ইসলাম বিয়ে নিষিদ্ধ করে। তারা হল
মা, সৎ মা, দাদী/নানি, বোন, কন্যা, মায়ের বোন, বাবার বোন, ভাইয়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে, পালক মা, পালক মায়ের বোন, বৌয়ের মা, সৎ বোন, নিজ ছেলের বৌ।
বিয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম আরো কিছু বিষয় নিষিদ্ধ করে।
স্ত্রী থাকা অবস্থায় স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করা, স্ত্রী থাকা অবস্থায় স্ত্রীর ফুফু/খালা কে বিয়ে করা, স্বামী থাকা অবস্থায় অন্য নারীকে বিয়ে করা, চারের অধিক বিয়ে করা, নারীর বিশেষ সময়ে তাকে বিয়ে করা।
উপরে বর্ণিত চার বিয়ে নিয়ে অনেক বিতর্ক। কিন্তু এখানে চার বিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কোন প্রেক্ষাপটে ইসলাম চার বিয়ে অনুমোদন করে। ইসলাম কিছু অবস্থার প্রেক্ষাপটে চার বিয়ে অনুমোদন করে; এর অন্যথা হলে ইসলামে একের অধিক বিয়ে নিষিদ্ধ।
১। যদি সমাজে নারীর সংখ্যা পুরুষের থেকে বেড়ে যায় এবং যদি এর ফলে সমাজে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়ে ব পড়ার আশংকা থাকে।
২। যদি কারো স্ত্রী সন্তান ধারণে অক্ষম হয় ও তাদের কোন সন্তান না থাকে এবং পারিবারিক অবস্থা যদি এমন হয় যে তাদের সন্তান প্রয়োজন এক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে ২য় বিয়ে করা যায়।
৩। যদি কারো স্ত্রী অসুস্থ থাকে এবং তার পক্ষে স্বামীকে সঙ্গ দেয়া সম্ভব না হয় এক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে ২য় বিয়ে করা যায়।
৪। একের অধিক বিয়ে করলে সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ভালবাসা থাকতে হবে এবং কারো প্রতি অন্যের অধিক দুর্বলতা থাকা যাবেনা।
উপরিউক্ত শর্তের ভিত্তিতেই কেবল ইসলাম একের অধিক বিয়ের অনুমোদন দেয়।
উল্লেখ্য, আল্লাহ পবিত্র কুরআনে একটি বিষয় খুব স্পষ্ট করে বলেছেন মানুষের পক্ষে সবার প্রতি সমান ভালবাসা সম্ভব নয় সুতারং আমরা যেন একের অধিক বিয়ে না করি।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩০
দুর্ভেদ্য বলেছেন: অনেকে জানে, অনেকে জানে না..., অনেকে জেনে মানে না, অনেকে না জেনে মানে না... বিচিত্র আমরা...সমাজব্যবস্থা তো খারাপ হবেই... জানানোর জন্য ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৭
আহির মাহাসিন বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: না করলে তসলিমা নিতির মত সব উগ্রে যেত
ধন্যবাদ
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৭
আহির মাহাসিন বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩২
মদন বলেছেন: +
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৭
আহির মাহাসিন বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩২
ভাবুক৫৬ বলেছেন: সাহাবাদের অনেকেই একাধিক বিয়ে করেছেন, তাহলে কোরান অনুসারে ব্যাখ্যা কি?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
আহির মাহাসিন বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পূর্বে আপনি আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দেন। আপনি ১৫ জন সাহাবার নাম বলেন যারা একের অধিক বিয়ে করেছেন?
আশা করব, আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিবেন কারণ আপনি লিখেছেন, সাহাবাদের অনেকেই একাধিক বিয়ে করেছেন।
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
সুফিয়ান শাকিল বলেছেন: এখন আমার নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেনঃ
১। যদি সমাজে পুরুষের সংখ্যা নারীর থেকে বেড়ে যায় এবং যদি এর ফলে সমাজে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়ে বা পড়ার আশংকা থাকে তাহলে কি করা উচিৎ?
২। যদি কোনও স্বামীর কারনে স্ত্রী সন্তান ধারণে অক্ষম হয় ও তাদের কোন সন্তান না থাকে এবং পারিবারিক অবস্থা যদি এমন হয় যে তাদের সন্তান প্রয়োজন এক্ষেত্রে স্ত্রীর কি করা উচিৎ?
৩। যদি কারো স্বামী অসুস্থ থাকে এবং তার পক্ষে স্ত্রীকে সঙ্গ দেয়া সম্ভব না হয় এক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে স্ত্রীর কি ২য় বিয়ে করা সম্ভব?
৪। "একের অধিক বিয়ে করলে সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ভালবাসা থাকতে হবে এবং কারো প্রতি অন্যের অধিক দুর্বলতা থাকা যাবেনা " ভালোবাসা কি দারিপঁড়িপাল্লা দিয়ে মেপে দেয়া সম্ভব? আর যদি প্রথম স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা থাকেই তাহলে আরেকটা বিয়ের প্রয়োজন কি সেটাই তো বুঝতেছি না। ভালোবাসা আর যৌনতা তো এক জিনিস না। বরং আমি মনে করি প্রেম দ্বারাই কাম নিয়ন্ত্রন হয়।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৬
আহির মাহাসিন বলেছেন: ১। যদি সমাজে নারীর সংখ্যা বেশী এক্ষেত্রে এক নারী একাধিক স্বামী গ্রহণ করতে পারেন না কারন সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রে বাবার পরিচয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সুতারং যদি কোন পুরুষ সামর্থবান হওয়া সত্তেও বিয়ে করার জন্য নারী না পান এক্ষেত্রে সে রোযা পালন করবে।
২। যদি স্বামী সন্তান জন্মদানে অক্ষম হন এক্ষেত্রে নারী প্রয়োজন করলে সন্তান দত্তক নিতে পারে। কিংবা পারিবারিক মধ্যস্ততার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারে। একটা বিষয় মনে থাকা প্রয়োজন পৃথিবীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল সমাজেই সন্তানের বংশ পরিচয় তার বাবার বংশের মাধ্যমেই হয়। সুতারং কোনভাবেই স্ত্রী স্বামী ব্যতিরেকে অন্য কারো সন্তান গর্ভে ধারণ করতে পারেনা।
৩। পারিবারিক মধ্যস্ততার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারে।
৪। সবার প্রতি যদি সমান ভালবাসা সম্ভব না হয় তবে একের অধিক বিয়ে করার দরকার কি?
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৯
নিষ্কর্মা বলেছেন: @ লেখকঃ কাধিক বিয়ে করেছলেন এমন সাবাহাদের ভেতরে তিন খলিফার নাম আসে।
সুরা নিসা, আয়াত ৩। বাংলা অনুবাদ পেলাম না, তাই ইংরেজিটাই দিলামঃ
And if you fear that you will not deal justly with the orphan girls, then marry those that please you of [other] women, two or three or four. But if you fear that you will not be just, then [marry only] one or those your right hand possesses. That is more suitable that you may not incline [to injustice].
এইটা পড়ার পরে মনেহচ্ছে এতিম মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বিয়ের অনুমতি দেওয়া আছে, অন্য ক্ষেত্রে না। আর নবী অনেক বিয়ে করলেও কুর'আনেই তার এই বিয়েগুলিকে সাধারন লোকেদের জন্য প্রযোজ্য করা হয় নাই।
সুতরাং ভেবে দেখেন, ইসলাম কি আদৌ চার বিয়ের অনুমতি দেয় কিনা? যত যুক্তিই দেওয়া হোক না কেন, ইসলাম কিন্তু সুফিয়ান শাকিলের প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হবে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১
আহির মাহাসিন বলেছেন: ভাই, হাসাইলেন। আপনি এখানে ইয়াতীম কথা তুলে ধরেছেন। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে ইয়াতিমদের সাথে আমাদের আচরন সম্পর্কে কি বলা হয়েছে তা তুলে না ধরে কেবলমাত্র একটি আয়াতের দিয়ে কথা উল্লেখ করে তো উপসংহারে আপনি আসতে পারেন না। আপনি যে আয়াতের কথা বলেছেন তার পূর্বে অবশ্যই ইয়াতীমদের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষন ও তাদের অভিভাবকত্তের কথা বলা হয়েছে।
৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৭
আব্দুর রহ্মান বলেছেন: ইসলাম এমণ ধরম যেখান থেকে আপনি আপনার ইছছা মত বিধান নিতে পারবেন। চিনতার কিছু নাই।
৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
সুফিয়ান শাকিল বলেছেন: আহির ভাই,
প্রথমে আপনি যুক্তি দেখালেন নারীর সংখ্যা বেড়ে গেলে সমাজে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকে।আমার প্রশ্নে ছিল পুরুষের সংখ্যা বেড়ে গেলে কি হবে? এখন আপনি যুক্তি দেখালেন পরিচয়ের ক্ষেত্রে বাবার পরিচয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাভিচারের প্রসঙ্গটা কোথায় গেলো? রোযা রেখেই যদি পুরুষরা ব্যাভিচার থেকে দূরে থাকতে পারে তাহলে বিয়ের আবশ্যকতা কোথায়?
২। যদি স্বামী সন্তান জন্মদানে অক্ষম হন এক্ষেত্রে নারী প্রয়োজন করলে সন্তান দত্তক নিতে পারে আর যদি স্ত্রী সন্তান দানে অক্ষম হন তাহলে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে... এই ক্ষেত্রে দত্তক নেয়ার বিষয়টি কেনও স্বামীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়? বংশ পরিচয়ের ধুয়ো তুলে পুরুষের কাম-প্রৄবত্তিকে কি এখানে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে না?
৩। এই খোঁড়া যুক্তির উপর আমার কিছু বলার নেই।
৪। এই প্রশ্নতো আমার? সমান ভালোবাসা বলতে কি আপনি সমান যৌন সম্ভোগ বুঝাচ্ছেন?
আসলে প্রায় সব ধর্মই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পুরুষদের দ্বারা। তাই ধর্মে নারী-পুরুষের অসামঞ্জস্যতা খুব দৃষ্টিকটু ভাবেই চোখে পরে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪১
আহির মাহাসিন বলেছেন: সুফিয়ান শাকিল ভাই, আমি হয়ত সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি নাই। মুল বিষয় চার বিয়ে নয়, মুল বিষয় হল সামাজিক পূনর্বাসনের জন্য জরুরী অবস্থার মোকাবিলার জন্য চার বিয়ের কথা বলা হয়েছে।
তাবুকের যুদ্ধে যখন অনেক মুসলমান শহীদ হন তখন সেই সব বিধবা মহিলাদের সম্মানজনক সামাজিক অবস্থান করে দেয়ার জন্য এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
একটু ভেবে দেখেন, বর্তমান বাংলাদেশের এক কোটি বিবাহিত পুরুষ যদি কোনো যুদ্ধে মারা যান এক্ষেত্রে তাদের স্ত্রীদের অবস্থা কি হয়। তাদের সন্তানদের অবস্থা কি হয়। নিশ্চয়ই ৭১ সাল পরবর্তী নারী পূনর্বাসন সংক্রান্ত ঘটনাবলী আপনার জানা আছে। কেবলমাত্র, সামাজিক স্থিরতা ধরে রাখার জন্যই এই বিধান।
আমার লেখায় ২ এবং ৩ নং যে শর্ত দেয় তার পরেই ইসলাম একথাও বলে দেয় যে একের অধিক বিয়ে করবে তাকে ৪নং শর্তও পালন করতে হবে।
ইসলাম কোনো নতুন সামাজিক ব্যবস্থা নিয়ে আসে নাই বরং চলতি সামাজিক অবস্থার খারাপ দিকগুলো কেটে ফেলে বিকল্প একটা ব্যবস্থা অনুমোদন দেয়। ইসলাম যে সমাজে আসে সেই সমাজের কথা চিন্তা করুন। তৎকালে মানুষেরা অনেকগুলো বিয়ে করত। তাদের ঐতিহ্যগত অনুশীলন একদিনে নিষিদ্ধ করলে তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া হত! তাই "সমান আচরণ" নামক এমন একটা শর্ত জুড়ে দেয় যার ফলে কারো পক্ষে ইসলামের দোহাই দিয়ে একের অধিক বিয়ে করা সম্ভব নয়। এবং ৪ নং শর্ত পালন ব্যতিরেকে একের অধিক বিয়ে করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
সর্বশেষে, আল্লাহ একথা বলে দেন, মানুষের পক্ষে সবার প্রতি সমান আচরণ সম্ভব নয়। যেহেতু সমান আচরণ সম্ভব নয় সুতারং একের অধিক বিয়ে অননুমোদিত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৬
ভাঙ্গাকুলা বলেছেন: দিশ পাইলাম