![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষটার পরিচয় নিয়ে বলার খুব বেশী কিছু নেই। পরিবারের জন্যে উৎসর্গীত বড়ো ছেলে। একজন প্রবাসী।
মেয়েটা কান্না করছে।অঝোর ধারায় চোখের পানি ঝরে পড়ছে অশ্রু নামের মেয়েটির দুই চোখ বেয়ে।
চোখের পানি কিছুতেই বাঁধ মানছেনা।
জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যটির মুখোমুখি দাড়িয়ে চোখের পানির নীরব প্রতিবাদ ছাড়া আর কোন ভাষা জানা নেই অশ্রুর।
মা-বাবা শখ করে নাম রেখেছিলেন অশ্রু।সেই নামের যে এতো মহিমা সেটা কি তার মা-বাবা জানতো!
মা-বাবার আদরের মেয়ে অশ্রু।লেখাপড়া করে স্থানীয় কলেজের একাদশ শ্রেণীতে।মুখশ্রী অতোটা সুন্দর না হলেও রংটা ভারী ফর্সা।সেই ফর্সা চামড়ার আকর্ষণেই হয়তো ছেলেগুলো মৌমাছির মতো অশ্রুর আশেপাশে গুনগুন করতো।
অশ্রুর এদের কাউকে ভালো লাগতোনা।এদের সবসময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতো।
অশ্রুর মনের মানুষ অবশ্য একজন ছিলো।অশ্রুর যাকে ভালো লাগতো সে ছিলো তাদের কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত শাওন।কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিকেই পোশাক পরিচ্ছদে ফিটফাট এবং স্মার্ট ছেলেটির প্রেমের জালে ফেঁসে যায় অশ্রু।
শাওন ছিলো কলেজের উঠতি ছাত্রনেতা।সেই সূত্রে অশ্রুর বিভিন্ন সমস্যার তড়িৎ সমাধান করে অশ্রুর মনে জায়গা করে নেয় শাওন।
অশ্রুর আঠারোতম জন্মদিনে অশ্রুকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় শাওন।বিভিন্ন কারণে শাওনের কাছে কৃতজ্ঞ অশ্রু তার প্রস্তাবে সাড়া দেয়।
তাছাড়া অশ্রুর ভালো লাগতো স্মার্ট ছেলেটিকে।
সময় গড়াতে লাগলো।সেই সাথে বাড়তে লাগলো অশ্রু আর শাওনের ঘনিষ্ঠতা।
শাওনের ২১ তম জন্মদিনে অশ্রুর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদটি উপহার হিসেবে চাইলো শাওন।প্রিয় মানুষটিকে হারানোর ভয়ে ভীত দুর্বল মেয়েটি পারলোনা বাঁধা দিতে।
হারালো সবকিছুই।
এবং জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি করলো।
শাওন বদলে যেতে লাগলো এরপর থেকেই।ধীরে ধীরে যোগাযোগ কমিয়ে দিলো অশ্রুর সাথে।অশ্রু যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেই দুর্ব্যবহার করতো।
এরমধ্যেই একদিন অশ্রু নিজের মধ্যে আরো একটি সত্তার অস্তিত্ব টের পাই।
শাওনকে অশ্রু কথাটা জানাতেই শাওন অস্বীকার করে সবকিছু।অশ্রুকে দুশ্চরিত্রা,পতিতা বলে অপমান করে।
রুমের দরজা বন্ধ করে কান্না করছে অশ্রু।তারপর চোখের জল মুছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেলে অশ্রু।
টেনে নেয় খাতা,কলম।
সেদিন রাতে হাজার ডাকাডাকির পরেও মেয়ে দরজা না খোলার কারণে উৎকন্ঠিত মতিন সাহেব এবং আফিয়া খানম দম্পতি প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে সিলিংয়ের সাথে ঝুলন্ত মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
টেবিলের উপর ছিল মা-বাবার জন্য লেখা অশ্রুর শেষ বার্তাটি,"বাবা-মা আমাকে ক্ষমা করে দিও।"
একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে মতিন সাহেব এবং আফিয়া খানমের সংসার পরিণত হয় শশ্মানে।
মতিন সাহেব মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখে স্ট্রোক করেন।বেঁচে গেলেও তার শরীরের বাম অংশ প্যারালাইজড হয়ে যায়।আর আফিয়া খানম পরিণত হন বোধশক্তিহীন একটা রোবটে।
শুধুমাত্র একটা ভুল চারটা মূল্যবান জীবন নষ্ট করে দিলো।তছনছ করে দিলো একটা সুন্দর সাজানো সংসার।
তাই সময় থাকতে সাবধান হোন।যে ভালবাসাকে অজুহাত দেখিয়ে দাবি করে যে আপনার শরীরের উপর তার অধিকার রয়েছে জুতাপেটা করুন তাকে।
শরীরে হাত না দিয়ে ভালোবাসা হয় এবং সেটাই সত্যিকার ভালোবাসা।
সবকিছু উৎসর্গ করে যদি ভাবেন যে আপনার ভালোবাসার নজির স্থাপন করেছেন তাহলে ভুল করবেন।যার জন্য করছেন সেই নিজ দায়িত্বে আপনাকে বৈশ্যা,পতিতা ট্যাগ লাগিয়ে দিবে।আর নেটে যাদের এমএমএস,ছবি ছাড়া হচ্ছে তারাও কিন্তু আপনার মতোই ভালোবাসার নজির স্থাপন করতে গিয়ে কাউকে নিজের সর্বস্ব দিয়েছেন।
মনে রাখবেন ফুলের মধু খাওয়া শেষ হলে মৌমাছি কখনো আর সেই ফুলে বসেনা।তখন মৌমাছি উড়ে যায় অন্য কোন ফুলের সন্ধানে।
সুতরাং সাবধান!
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: ছেলেটি ছাত্রলীগ করে।
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯
আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: নূর আল আমিন ভাইয়া, এসব ক্ষেত্রে যা কিছু হয় তা উভয় পক্ষের সম্মতিতেই হয়।
আর সেটাই আমি উপসংহারে উল্লেখ করেছি।
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪
আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: আহমেদ মামুন ভাইয়া, আমি বিশেষ কোন দলের উল্লেখ করিনি!
কেউ দুধে ধোয়া তুলসি পাতা নয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০
নূর আল আমিন বলেছেন: মেয়েটিরও দোষ আছে