নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিভ্রান্ত পথিক

জাহিদ জুয়েল

নিজের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না, কারন আমার আমি প্রতিদিনই রং পাল্টায় , ঠিক আকাশের মত একটা জিনিস বলতে পারি বাংলা লেখা যেখানেই পাই পড়া শুরু করি চাই সেটা ঝালমুরির ঠোংগায় লেখা হোক।অল্পতেই রাগ করি আবার পরোক্ষণেই শান্ত হই। খুব জানতে ইচ্ছা করে অজানাকে। সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরতে চাই।

জাহিদ জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্প: কারমিনা থ্যারাপি

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

ছোট গল্প: ♥ কারমিনা থ্যারাপি ♥

হকের মোড়ের শিপনের চায়ের দোকানে আড্ডা না দিলে আমার পেটের ভাত হজম হয়না।
রোজ বিকেলে আড্ডার আসর বসে এখানে, বরাবরের মতই প্রিয় সব বন্ধু দের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছি।

ঘুরে ফিরে বারবার আড্ডার টপিকস চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে, আমরা কখনোই সিরিয়াস হতে চাইলেও পারি না।

কথার মাঝেই মেয়ে নামক বস্তুটি ঢুকে পরত। আর এ নিয়েই শুরু হত যত সব রসালো আলাপ।

আমরা বন্ধুরা একেক জন একেক রকম হলেও এক ছিলাম বন্ধু যখন।


রাসেলের কথার ফাকে ফাকে সিগেরেটের ধোয়া সবথেকে বেশি আমি খাইতাম, যদিও আমি সিগেরেট কখনোই খাই নি।

আর শাওন তো পুরাই নির্বোধ বালকের মত, সবকিছুই না বোঝার ভান করত কিন্তু সে ছিল সবথেকে বুদ্ধিমান।

বয়সের তুলনায় শাওনকে অনেক ছোট দেখাত, বেচারা দিনে দুইবার শেভ করত তবুও তার দাড়ি উঠে না। কি আফসোস তার!!!!

মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে কিছু দাড়ি ধার দেই শাওনকে।

আর অংকুর ছিল নাম্বার ওয়ান প্রেমিক।
একটা দুটা নয় একসাথে চার পাচটাও চালাত সে।
মাঝে মাঝেই ভাবি ওর ওই কংকাল দেহ কিভাবে পারে???

তবে সে আমাদের কখনোই হতাশ করত না। যখনি কেউ সিংগেল থাকত তখনি সে কিছু একটা ম্যানেজ করে দিত।
ধলা -কালা, লম্বা -খাট এমন কিছুই বাদ নাই যা অংকুরের কাছে নাই।

এবার আসি চিরকুমার কারমানির কথায়,
বন্ধুর নামটা না হয় নাই বললাম।

কারন আমরা সবাই কারমিনা বলেই ডাকি।

বেচারা কারমিনা এত্ত ভীতু, সুন্দর বনের বাঘের থেকে বেশি ভয় পায় মেয়েদের।

সে নাকি একজনকে ভুল করে ভালবেসে ফেলেছে, কিন্তু এখন সে আর ভয়ে কিছুই বলতে পারছে না।

শেষমেশ আমরা সবাই মিলে মেয়ের কাছে প্রস্তাব দিলাম কারমিনার পক্ষ থেকে।
কিন্তু মেয়ে তো রাজি না।

পরের দিন তিন রাস্তার মোড়ে কারমিনাকে পেয়েই মেয়ে বলল তুমি নাকি আমাকে ভালবাস??

কারমিনা ভয়ে বলল কই না তো? তারপর এক দউড়ে রুম এ.........

এরপর যা হবার তাই হল। বেচারা কারমিনা ভুল করে কিংবা সজ্ঞানে আর কোনদিন প্রেমে পরেনি।
সে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে সে চিরকুমার থাকবে।

আমরা সবাই মিলে প্রেমবিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম।
সব ঘটনা শোনার পর লাভ গুরু বলল
উনার তো ক্ষুধা নেই?

আমরা তো অবাক!!
লাভ গুরু কি বলছে এসব, কারন ও যথেষ্ট খেতে পারত।

পরে অবশ্য লাভ গুরু খোলাসা করল ব্যাপারটা।

বলল উনার প্রেমের ক্ষুধা কমে গেছে আর উনার আরো একটা সমস্যা মেয়ে দেখলেই চোখে বাঘের ছবি ভেসে উঠে।

তারপর উনি একগাদা প্রেমপত্র দিল পড়ার জন্য সাথে লাভ চশমা ( যাকে দেখবে তাকেই পছন্দ হবে)
আর তিনটা প্রেমের কারমিনা সিরাপ।

সেই থেকে আমরা সবাই কারমিনা বলেই ডাকি।
কারমিনা খেয়ে কোন লাভ তো হয়েই নি উল্টা তার ভুরির সাইজটা বেড়ে গেছে।

আমাদের সনামধন্য রেলমন্ত্রীর চিরকুমার সভাপতির শুন্য পদে এবার কারমিনা ভাই নিয়োগ পেয়েছে। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।

সবার কথাই বলা হল, আমারটা হলই না।
অবশ্য বলার কিছুই নাই, মাস ছয়েক আগে প্রানপ্রিয়া চলে গেছে অন্যের হাত ধরে।

কারন হিসেবে বলছে কারমিনা যেন আমার বন্ধুর লিস্টে না থাকে।

এটা কি করে হয়!!!
আমি গারল্ফ্রেন্ড ছাড়তে পারি, কিন্তু বন্ধুকে ছাড়তে পারব না। কারন আমি বন্ধুদের খুব ভালবাসি।

অংকুরের কাছে আজ একটা অর্ডার দিতে হবে, এদিকে মা ও নাকি ছেলের জন্য বউ খুজতেছে।

চিন্তা করলাম সারাজীবন বাবা মাকে সাহায্য করতে পারি নি।
এবার না হয় তাদের বউমা খোজার দায়িত্বটা নিজের ঘারেই নিলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.