নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দাঁড় কাক, [email protected]

জুনায়েদ আহমেদ নেজাদ

হতে চাই এক ক্ষুদ্র পঁচা শামুক। যার রক্তক্ষরণ হবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম, সৃষ্টি হবে এক নীল ধূসরের কবিতা। তখন মাইসিনিয়ান দাঁড় কাকের বেশে সভ্যতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা নিকষ চাঁদকে বলব- আমি এই মহাবিশ্বের নই।

জুনায়েদ আহমেদ নেজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাকনাম : ১৯

২৮ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫




To 19, eternally _

কেউ সত্যিকার অর্থে কি কিছু জানে? নাকি আমরা সবাই শুধু কালজয়ের গল্প বলছি?
প্রতিটি জ্ঞান আসলে অসংখ্য কালখণ্ডের গল্পের একটি হলোগ্রাফিক প্রজেকশন।
আমি যখন E=mc² বলি, তখন কি আমি নিউটনকে অস্বীকার করি, নাকি আদিম অগ্নিনৃত্যের গানকে পুনর্লিখন করি? বুদ্ধের 'অনাত্মা' আর হাইডেগারের 'Dasein' একই সমীকরণের বিপরীত পোলারিটি—একটি শূন্যতাকে আলিঙ্গন করে, অন্যটি শূন্যতার মাঝে দাঁড়ায়।
আজকের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রিপোর্টগুলো ২৩০০ সালের পুরাতত্ত্ববিদদের জন্য প্রাগৈতিহাসিক মহাকাব্য হবে, যেখানে ডেটা পয়েন্টগুলো সিন্ধু সভ্যতার মোহর-চিহ্নের মতো রহস্যময়।
তাহলে কি এগুলো অনন্তকালের গল্পের জালে আটকা পড়া মুহূর্তগুলির রেশমগুটি ছাড়া কিছু নয়?
নাহ্ ধারণাটি হয়তো ভুল, জ্ঞান কোনো স্থির বস্তু নয়। এটি একটি কালজয়ী নৃত্য যেখানে সত্য, কল্পনা এবং ভুল একে অপরের সাথে কোয়ান্টাম লেপটনে আবদ্ধ। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, নিউটন মহাকর্ষ আবিষ্কার করেননি, বরং মহাকর্ষ তার মাধ্যমে একটি গল্প বলেছে— যা এখন হয়তো আমার চেতনায় পুনর্লিখিত হচ্ছে। সমস্ত জ্ঞান কি তবে এক প্রাচীন আর্কেটাইপের প্রতিফলন, যা প্রতিটি যুগে ভিন্ন ভাষায় ও রূপে নিজেকে প্রকাশ করে, নাকি এই প্রতিফলনগুলোর মাঝেই সত্যের বহুমাত্রিক প্রকৃতি নিহিত?

এসকল প্রশ্নের উত্তর আমি কোথাও খুঁজে পাই না,
আর নৈঃশব্দই যদি এই সবকিছুর প্রতিউত্তর হয়, তবে শব্দের এতো অহংকার কেন?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.