নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাঘের গর্জন

জেনিস মাইকেল সিকদার

দেশ কে ভালোবাসা কি অপরাধ?

জেনিস মাইকেল সিকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৪

প্রেম হল অন্য কোন ব্যক্তির প্রতি কোন ভালোবাসার অনুভূতি, বা কোন দৃঢ় আকর্ষণ, এবং এসকল বিষয়ের ফলে সৃষ্ট আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক বিয়ের নিমিত্তে বিবাহপূর্ব সম্পর্ক গঠনকারী আচরণাবলি প্রকাশের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

যদিও প্রেমাত্মক ভালোবাসার আবেগ-অনূভূতিগুলো ব্যাপকভাবে যৌন আকর্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত, তবুও শারীরিক সম্ভোগের আশা ব্যতিরেকেও প্রেমানুভূতির অস্তিত্ব থাকতে পারে এবং পরবর্তীকালে তা সেভাবে প্রকাশিতও হতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে প্রেম নামক পরিভাষাটি মধ্যযুগের অভিজাত নারীদের প্রতি নাইট সৈনিকদের প্রেমাবেগীয় মতবাদ হতে এসেছে যা মধ্যযুগের শিভালরিক প্রেমের সাহিত্যের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে

সাধারণ সংজ্ঞা :
প্রেম হল ভালোবাসার সাথে সম্পর্কিত একটি উত্তেজনাপূর্ণ, যৌনতাপূর্ণ এবং রহস্যময় অনুভূতি। এটি হল কোন ব্যক্তির প্রতি যৌন আকর্ষণের সাথে সম্পর্কিত কোন আবেগীয় আকর্ষণ হতে উদ্বুদ্ধ একটি বহিঃপ্রকাশমূলক ও আনন্দঘন অনুভূতি। গ্রিক চারটি আকর্ষণের মধ্যে এটি আগেপ, ফিলিয়া কিংবা স্টরজ-এর তুলনায় ইরোসের সঙ্গে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানী চার্লস লিন্ডহোমের সংজ্ঞানুযায়ী প্রেম হল "একটি প্রবল আকর্ষণ যা কোন যৌন-আবেদনময় দৃষ্টিকোণ হতে কাওকে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরে, এবং যাতে তা ভবিষ্যতে দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার মনোবাসনাও অন্তর্ভুক্ত থাকে।কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এতে অপর ব্যক্তির প্রতি একইসাথে শক্তিশালী মানসিক এবং যৌন আকর্ষণ কাজ করে। প্রেমের সম্পর্কে যৌনতার তুলনায় ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি অধিক গুরুত্বের অধিকারী হয়।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্পর্কসমূহের সূচনাপর্বে প্রেমের অনুভূতি অধিকতর দৃঢ়ভাবে কাজ করে। তখন এর সঙ্গে এমন এক অনিশ্চয়তা এবং দুশ্চিন্তা অনুভূত হয়, যে এ ভালোবাসা হয়তো আর কখনো ফিরে নাও আসতে পারে।

প্লেটোনিক ভালোবাসা বা বায়বীয় ভালোবাসা (ইংরেজি: Platonic love) হ'ল সেই শুদ্ধতম ভালোবাসা যাতে কামনা বাসনার কোনও স্থান নেই। এ শব্দটির উৎপত্তি মূলত প্লেটোর "প্লেটোনিজম" মতবাদ থেকে যাতে বলা হয় এমন প্রকার ভালোবাসার কথা যাতে প্রেমিক-প্রেমিকা ভালোবাসার সর্ব্বোচ পর্যায়ে প্রবেশ করবে কিন্তু শরীর নামক বস্তুটি থাকবে অনুপস্থিত। যে প্রেমে শরীর বিষয়টি অনুপস্থিত অথচ প্রেমের স্বাদ বা রস আস্বাদন করা যায় ষোলো আনা, এমন প্রেমই একমাত্র প্লেটোনিক প্রেম বা বায়বীয় ভালোবাসা হিসেবে পরিগণিত হবে। এ ভালোবাসা কামগন্ধহীন, কেবলই নিজেকে বিলিয়ে দেয় পরিবর্তে নেয় না কিছুই। এমন নিষ্কাম প্রেম, যে প্রেম রাজাধিরাজের মতো দু’হাত ভ'রে শুধু দিয়ে যায়, নেয় না কিছুই। যাকে লাভ করার জন্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর দুঃসহ যন্ত্রণাসমূহও সহ্য করতে হয় মুখ বুজে। বিনিময়ে কখনও কখনও কপালে জোটে ব্যর্থ প্রেমিকের অপবাদের ছাপ! প্রেমের জন্য স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে নিজের জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়-প্রেমের এমন ভয়ঙ্কর রূপের নামই তো প্লেটোনিক লাভ! যেখানে প্রেমিকের শরীরের গন্ধই প্রেমিকাকে মোহিত করার জন্য যথেষ্ট তার উপস্থিতির দরকার পড়ে না। এরূপ ভালবাসায় থাকে না কোনও চাহিদা, থাকে কেবল অনন্ত ভালোবাসা। যৌনতার কোনও স্থান নেই প্লেটোনিক ভালোবাসায়। এ প্রেম ভালোবাসার সর্ব্বোচ পর্যায়। এ এক প্রচণ্ড ভালোবাসা যখন প্রেম কে মনে হয় স্বর্গ সুখ।

রোমান্টিকতা (ইংরেজি ভাষায়: Romanticism) পশ্চিমা বিশ্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ধারা বা আন্দোলনের নাম যা সাহিত্য, সঙ্গীত, চিত্রকলা, স্থাপত্য, সমালোচনা এবং ইতিহাস-লিখনের ক্ষেত্রে নতুন ধারার সৃষ্টি করে। অষ্টাদশ শতকের শেষ দিক থেকে শুরু হয়ে ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত এই আন্দোলন সক্রিয় ছিল। সাধারণ ক্লাসিসিজ্‌ম এবং নব্য-ক্লাসিসিজ্‌মের নিয়মানুবর্তিতা, সৌষ্ঠব, ভারসাম্য, আদর্শিকতা, স্থিরতা এবং যৌক্তিকতাকে বর্জনের মাধ্যমে রোমান্টিকতার উদ্ভব ঘটেছিল। এছাড়া একে আলোকপ্রাপ্তি এবং অষ্টাদশ শতকের যুক্তিবাদ ও ভৌত বস্তুবাদের সাধারণ প্রতিবাদ হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায়। রোমান্টিকতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল যুক্তিহীনতা, কল্পনা, স্বতঃস্ফূর্ততা, আবেগ, দৃষ্টিভঙ্গি এবং লৌকিকতা বহির্ভূত স্বজ্ঞা। রোমান্টিক সাহিত্যিকদের অনেকে সাদা খাতা সামনে রেখে মনে যা আসত তা-ই লিখে যেতেন। সাহিত্যের উৎস হিসেবে চেতন মনের তুলনায় অবচেতন মনকে প্রাধান্য দিতেন।

ফ্লার্ট, ফ্লার্টিং বা প্রণয়চাতুর্য (ইংরেজি: Flirting বা coquetry) (অর্থ: খেলাচ্ছলে প্রেমের ভান করা, প্রেম প্রেম দুষ্টুমি) হল এক ব্যক্তির প্রতি অপর কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রদর্শিত অথবা দুজন ব্যক্তির মাঝে পারস্পারিকভাবে সঙ্ঘটিত একটি মানব আচরণ, যাতে কোন ব্যক্তির প্রতি যৌন ও প্রেমময় আগ্রহ প্রদর্শন করা হয়। আলাপ, দৈহিক ভাষা (যেমন চোখের ইশারা), অথবা সীমিত শারীরিক সংস্পর্শ এর অন্তর্গত। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে স্বীকৃত ফ্লার্টিং-এর মাত্রার বিভিন্নতা দেখা যায়।অধিকাংশ সংস্কৃতিতেই, প্রকাশ্যভাবে যৌন সুবিধার সুযোগ গ্রহণ করা সামাজিকভাবে অস্বীকৃত, কিন্তু পরোক্ষ বা ইঙ্গিতসূচক সুবিধা গ্রহণকে (যেমন ফ্লার্টিং) প্রায়শই গ্রহণযোগ্যরূপে বিবেচনা করা হয়।অন্যদিকে, কিছু লোক শুধুমাত্র নিছক আনন্দ নেবার জন্যই খেলাচ্ছলে ফ্লার্ট করে থাকেন।
সূত্র : উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেনিস মাইকেল সিকদার,




এই সকালবেলাতেই উইকিপিডিয়া থেকে কপিপেষ্ট করেছেন। :(
সূত্রটিও উল্লেখ করেন নি। এটা ব্লগিং নয়।

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: প্রেম ভালোবাসা অনেক বড় ব্যাপার।
প্রেম ভালোবাসার জন্যই এই পৃথিবী এখনও টিকে আছে।

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪২

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ভালবাসা আর প্রেমের মধ্যে অনেক পাথর্ক্য আছে
ভালবাসা যেকোন মানুষকে বাসা যায় কিন্তু প্রেম
পারা যায় না-------------------------

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.