নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

মুসলমানদের পক্ষে কথা বল্লেই আজকে সম্প্রদায়িক। মানলাম রোহিঙ্গারা মুসলিম, কাকে খুশি করতে আজকে বর্ডার বন্ধ করে প্রহরী বৃদ্ধি করা হল। অতচ অসম্প্রদায়িকতার ট্যাগ নিয়ে আমরা আজকাল নোবেলের স্বপ্ন দেখি। আমরাওত একদিন আশ্রিত ছিলাম! তাই অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হউক একটা শান্তিময়য় আশ্রয়স্থল যা দেখে পৃথিবী অবাক হবে।

মিয়ানমারে যে কান্ড চলছে, সেটা কোনো সভ্য দুনিয়ার দৃশ্য নয়। এই একবিংশ শতাব্দীতে, এত সজাগ মিডিয়া আর সোশাল মিডিয়ার যুগে মানুষের উপর এমন বর্বরতা বিশ্বাস করা যায় না। রোহিঙ্গাদের উপর যা চলছে, মধ্যযুগের বর্বরতাও তার কাছে কিছুই না।

বাংলাদেশ কি করছে?? আমি মিয়ানমারের প্রতিবেশী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কথাই বলছি। খবরে প্রতিদিন পড়ছি মিয়ারমারে সামরিক অভিযান থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে শত শত রোহিঙ্গা শরণার্থী , সতর্ক অবস্থানে বাংলাদেশ, তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন। এটা শুধু বাংলাদেশের মিড়িয়ার খবর নয় বরং আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমেও একই খবর প্রকাশ হচ্ছে যে মায়ানমারের নির্জাতিতি শরণার্থীদের ঢুকতে দিচ্ছে না বাংলাদেশ।

অতচ খরটা যদি অন্য রকম হত যে বাংলাদেশ তার সীমিত সামর্থের মধ্যে থেকেও মায়ানমারের অসহায় শরণার্থী মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে। তাহলে পুরো বিশ্ব দেখত একটা অন্য বাংলাদেশ।

বিশ্ব দেখত আনসাং একজন অযোগ্য এবং তিনি শান্তির জন্য কিছুই করতে পারেন নি শান্তির নোবেল পকেটে থাকার পরেও অতচ সেই দায়িত্ব বাংলাদেশ নিয়েছে আর বাংলাদেশ কোন নোবেল প্রাইজের ধার ধারে না।
বিশ্ব অন্ধ নয়। বিশ্ব বধির নয়। কাজেই বিশ্ব বাংলাদেশকে ''শান্তির দেশ'' বলবে। আর এটাই শ্রেষ্ঠ সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার সুযোগ । আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দেই সীমিত সম্পদ কোন প্রতিবন্ধকতা নয় বরং সীমিত সম্পদ নিয়েই আমরা দেখিয়ে দিতে চাই রোহিঙ্গা হোক, শাওতাল হোক, হিন্দু হোক, মুসলমান হোক, বাংলাদেশ যেন হয় সব ধর্ম আর মতের আশ্রয়স্থল।

তাই সরকার বাহাদুরের কাছে আবেদন থাকল সব বিতর্ক দূরে ঠেলে আপাতত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

এ আর ১৫ বলেছেন: হিন্দু বনাম রোহিংগা নিপীড়নঃহিন্দু বনাম রোহিংগা নিপীড়নঃ

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: রোহিঙ্গা বা মুসলমান শব্দগুলো বাদ দিলেও মানুষ হিসাবে মানবতা দেখানো অবশ্যই কর্তব্য। অতীতে বাংলাদেশ সেই কর্তব্যটা ঠিকঠাকই পালন করেছে, কিন্তু পরবর্তিতে এই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী সনদ নিয়া বিভিন্ন দেশে ঢুকে বাংলাদেশীদের জন্য নানা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপকুলিয় এলাকায় হেন অকাজ নাই যে ওরা করেনা, কিছুদিন আগেও টেকনাফে এক আনসার কমান্ডারকে খুন করে ১০টার মতো অস্র ও গুলি লুট করেছে। তাছাড়া ওরা যেহেতু মিয়ানমারের নাগরিক ওদের ওখানেই থাকা উচিৎ। বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মোয়ানমার নিতে সোস্বীকার করছে, ওরা বলছে রোহিঙ্গারা নাকি বাংলাদেশী। সেক্ষেত্রে তারা একুল ওকুল দু'কুল হারানোর চাইতে নিজ দেশেই থেকে ওদের উপর অত্যাচারের বিষয়গুলো বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা উচিৎ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

জুয়েল তাজিম বলেছেন: রহিঙ্গাদের নাম দিয়ে বাঙ্গালিদের রোহিঙ্গা সাজার নজির কম নয় । নিজ দেশে থাকতে পারলে কেউই বাংলাদেশের সীমান্তে এসে বিজিবির গুথা খেত না। তারা আজকে অসহায় হিংস্র শাসকের অত্যাচারে। তাদের পাশে দড়ানো মানুষ হিসবে আমাদের কর্তব্য আর প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে তো বটেই

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

জুয়েল তাজিম বলেছেন: ভারত থেকে পানিতে ভেসে আসা হাতিকেবাঁচাতে আমরা, আমাদের দেশের মিডিয়া কত কিনা আয়োজন করেছিলাম! বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাকরছিল, শেষ পর্যন্ত বঙ্গবাহাদুর উপাধী দিয়েছিল। আর কি কি দেওয়া হয়েছে তালিকা সকলের জনা। তারপরেও বলব ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা অনেক কম হয়েছে । এই রহিঙ্গারা যদি মানুষ না হয়ে ভারতের হাতি হত তবে অনেক সুবিদা পেত।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

মিস্টার খাঁন বলেছেন: মিয়ানমারে বৌদ্ধদের হাতে চলছে
নির্বিচারে মুসলিম রোহিঙ্গা হত্যা,,,মুসলিম নাগরিকদের হাত-পা-মাথা
কাটা লাশ,,ছোট ছোট শিশুদের মাথা কাটা লাশ রাস্তায় নদী নালায়
পড়ে আছে!! সে কি নির্মমতা!! এমতাবস্থায় মানবিকতা আজ গুমরে
গুমরে কাদছে,,সারা বিশ্বের সকল মানুষ আজ নিরব!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.