নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেষ হল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম আসর। এবার চোখ বুলানোর পালা আসরের খেরো খাতার দিকে। যাতে দেখা যায় ৩৩৮ রান করে গোল্ডেন ব্যাট জিতেছেন ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান। আর বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১৩ উইকেট শিকার করে গোল্ডেন বল জিতেছেন পাক পেসার হাসান আলি।
গল্পের শুরুটা আজ আনপ্রেডিকটেবল বিশেষন দিয়েই হোক। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেও আলোচনায় ছিল না যে দলটি তাদের শিরেই কি'না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মুকুট! হয়ত দলটি পাকিস্তান বলেই সম্ভব হয়েছে এমনটি। যার মধ্য দিয়ে মধুর এক প্রতিশোধই নিয়েছে মিকি আর্থারের শিষ্যরা। ফাইনালের আগ পর্যন্ত এবারের আসরে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার ছিল যাদের বিপক্ষে, সেই ভারতকেই তারা দিয়েছে ১৮০ রানে হারের লজ্জা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এ সর্বোচ্চ রানের দেখা মিলেছে ফাইনাল ম্যাচে। ৩৩৮ রান করে ছড়ি ঘুরিয়েছে পাকিস্তান। আর সর্ব নিম্ন ১৫৮ রানের স্কোরটা তাদের চীর প্রতিদ্বন্দ্বীদের। উইকেটের হিসেবে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে যে হিসেবটা ছিল ৯ উইকেটে। তবে টুর্নামেন্ট সেরা ২২৪ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়ে বিশ্ববাসীকে ঠিকই নিজেদের জাত চিনিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ-সাকিব।
এবার দৃষ্টি ফেরানো যাক ব্যাক্তিগত নৈপুন্যের দিকে। আসর সর্বোচ্চ ৩৩৮ রান এসেছে শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে। যেখানে সেঞ্চুরির সংখ্যা একটি আর অর্ধশত আছে তার দ্বিগুন। এর পরের চারটি নামের একটি টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালের। চার ম্যাচে এক সেঞ্চুরিতে তিনি করেছেন ২৯৩। ৩০৪ নিয়ে তামিমের উপর আছেন অরেক ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা। তবে আলো ছড়ালেও জো রুট আর বিরাট কোহলির মত তারকারা ছাপিয়ে যেতে পারেননি তামিম ইকবালকে।
বল হাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের জাত চিনিয়েছেন পাক পেসার হাসান আলি। শিকার করেছেন টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট। ৯ উইকেট নিয়ে এরপরই আছেন অজি বোলার জস হ্যাজেলউড। সেরা পাচেঁর পরের তিনটি স্থান দখলে নিয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট, জুনাইদ খান এবং আদিল রশিদ। তবে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক হ্যাজেলউড। ৫২ রানে তিনি শিকার করেছেন ৬ উইকেট। যা এই আসরে কোন পেসারের এক মাত্র পাঁচ উইকেট শিকার।
©somewhere in net ltd.