নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক বিদেশির শিক্ষা: জাপানের সততার পাঠ

১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪২

একজন ভারতীয় ভদ্রলোক, বয়সে চৌত্রিশ-পঁয়ত্রিশের বেশি না, প্রথমবার জাপান ভ্রমণে গেলেন। দেশে বন্ধুদের বলেছিলেন,
“এইবার এমন একটা ফাইভ স্টার হোটেলে থাকবো, যেটার টয়লেটেও ওয়াইফাই থাকবে!”

সবকিছু ঠিকঠাক। হোটেল রাজকীয়, ঘর চকচকে, আর সুইমিংপুল — আহা, মনে হবে রুপালি আয়না!
এক সকালে গেস্ট সাহেব একাই পুলে নামলেন। চারপাশে কেউ নেই। জাপানের নীরবতা, ঠাণ্ডা পানি, আর মনে দুষ্টুমি চাগিয়ে উঠলো।
ভাবলেন, “এই পুলে এক ফোঁটা ইন্ডিয়ান টাচ দিয়ে দেই!”

তারপর যা হওয়ার, তিনি নিঃশব্দে নিজের ‘লিকুইড পারফরম্যান্স’ শুরু করলেন!

কিন্তু, ভাই, জাপান তো জাপান!
পুলের পানি হঠাৎ গোলাপি হয়ে উঠলো, সাথে সাথেই অ্যালার্ম!
“পি পি পি পি— ইনট্রুডার অ্যালার্ট!”

দৌড়ে এলো হোটেল স্টাফ, যেন কেউ পারমাণবিক বোমা ফেলেছে!
দুই মিনিটের মধ্যে লোকটাকে তুলে আনা হলো পুল থেকে।
স্টাফরা বললো,
“স্যার, এখন পুরো পুলের পানি ফেলে পরিষ্কার করতে হবে। আপনার কারণে আমাদের বিশ হাজার ডলার খরচ হবে।”

দশ মিনিট পর রিসেপশনে ডেকে এনে বলা হলো,
“স্যার, আপনার ব্যাগ রেডি। দয়া করে এখনই হোটেল ছাড়ুন।”

লোকটা ভাবলো, “বেশ! আমি তো ধনী ট্যুরিস্ট, অন্য ফাইভ স্টারে উঠে যাবো।”
কিন্তু পরের হোটেলে গিয়ে রিসেপশনিস্ট পাসপোর্ট দেখে একচোট তাকিয়ে বললো,
“ওহ্! ইউ আর দ্য পুল গাই? সরি স্যার, আমাদের রুম ফুল।”

একই ঘটনা দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ হোটেলেও।
শেষে থ্রি স্টার, টু স্টার, এমনকি হাফ স্টার পর্যন্ত ট্রাই করে ফেললো — কিন্তু না,
পুরো জাপান জানে, এই লোকটাই সেই “পুল পিশার”!

দিন শেষে তিনি গিয়ে উঠলেন নিজের দেশের এমব্যাসিতে।
ওখানে কর্মকর্তারা শান্ত স্বরে বললেন,
“স্যার, আপনি এখন জাপানে কোনো হোটেলেই উঠতে পারবেন না, যেখানে সুইমিংপুল আছে।
আপনার পাসপোর্টে ‘হাই রিস্ক লিকুইড ইনসিডেন্ট’ ট্যাগ লেগে গেছে!”

অবশেষে এয়ারপোর্টে ফেরার সময় অফিসার পাসপোর্টে সিল মারতে মারতে বললো,
“স্যার, আশা করি এবার আপনি আপনার লিকুইড কার্মা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন!”

দেশে ফিরে লোকটা ফেসবুকে পুরো কাহিনি লিখে শেষ লাইনে লিখলো—
“পুরো জাপান জেনে গেছিলো, আমি ওদের হোটেলের সুইমিংপুলে হিসু করেছি।”

শেষ কথা টেনে দেই ----

জাপানে একজন মানুষের ছোট্ট দুষ্টুমি তার সারা জীবনের লজ্জার কারণ হলো।
আর আমাদের দেশে?
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার উধাও হয় —
তবুও কেউ জানে না কে করলো, কোথায় গেলো, কবে ফেরত আসবে!

তফাতটা এখানেই —
জাপান তাদের পুলের পানি পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখে,
আর আমরা এখনো রক্ষা করতে পারি না আমাদের দেশের মানিব্যাগ!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৯

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



যদিও রূপকথা লিখেছেন ও সেখানে ভারতীয়কে টেনেছেন; কিন্তু আপনার অসততার কারণে রূপকথায় ১টা মিথ্যা যোগ হয়ে গেছে।

যেহেতু , লোকটার অসততা ধরা পড়েছে "টেকনোলোজির কাছে", কোন জাপানী তাকে রুম না দেয়ার জন্য মিথ্যা বলবেন না, " স্যার, আমাদের রুম ফুল"; ওরা বলবে, "আপনাকে রুম দেয়া সম্ভব হচ্ছে না"।

আপনি অসত মানুষ।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আরবদের ১ জন আলামিন ছিলো, জাপানীদের ১৬ কোটী আলামিন আছে।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: আপনার দেশে ওরকম হয় না কেন বলতে পারবেন?

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: জেনারেশন একাত্তর গ্রেট।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: একদিন জাপানিদের বদ অভ্যাস সম্পর্কিত গল্প লিখব ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.