![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন সবচেয়ে কম—এটা নিছক অভিযোগ নয়, এটি বাস্তবতা। মালদ্বীপে একজন প্রাথমিক শিক্ষক মাসে পান প্রায় এক লক্ষ টাকা, যা বাংলাদেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের সমান। ভারতে এই বেতন প্রায় ৫০ হাজার, নেপালে ৫৫ হাজার, ভুটানে ৪০ হাজার, শ্রীলঙ্কায় ও পাকিস্তানে গড়ে ২৫ হাজার টাকা। অথচ বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকের মাসিক আয় মাত্র ১২-১৪ হাজার টাকা।
এই বৈষম্য আরও গভীর হয় যখন দেখা যায়—বাংলাদেশে জীবনযাত্রার ব্যয় এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ একই বাজারদরে চাল, ডাল, বাসা ভাড়া ও পরিবহনের খরচ বহন করেও বাংলাদেশের শিক্ষককে কম টাকায় বেঁচে থাকতে হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁদের ‘তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী’ বলা হয়, অথচ তাঁদের হাতেই গড়ে ওঠে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভিত্তি। বোনাস বা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় নামলে, ন্যায্য দাবিকে দমন করার জন্য পুলিশি শক্তি ব্যবহার করা হয়—যা এক ধরনের অসভ্যতা ছাড়া আর কিছু নয়।
একটি জাতির অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে শিক্ষা, আর সেই শিক্ষার মান নির্ভর করে শিক্ষক মর্যাদা ও আর্থিক স্থিতির ওপর। যখন একজন শিক্ষক সংসারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খান, তখন তাঁর কাছে শিক্ষাদান পেশা নয়, টিকে থাকার সংগ্রাম হয়ে দাঁড়ায়।
তাই সময় এসেছে শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র ও সম্মানজনক বেতন কাঠামো প্রণয়নের। শিক্ষককে কেবল ‘কর্মচারী’ নয়, বরং ‘জাতি গঠনের কারিগর’ হিসেবে মর্যাদা দিতে হবে। উন্নত দেশের কথা না বললেও চলে—দক্ষিণ এশিয়ার মানদণ্ডেই বাংলাদেশে শিক্ষকের বেতন এখন লজ্জার বিষয়।
যদি আমরা শিক্ষার মান উন্নত করতে চাই, তবে আগে শিক্ষকদের মর্যাদা ও প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, শিক্ষক অবমূল্যায়িত হলে জাতিও অবমূল্যায়িত হয়।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সবার জন্য কাজ পাওয়া দরকার।
হাজার হাজার বেকার কাজ পায় না।
বিদেশে কামলা দিতে যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ১৩তম grade এ ঢুকে ১০ম grade চাইলে কেউ মানবে না । কেবল এমসিকিউ আর ভাইভা দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয় । কোয়েশচেন লিক করে বুয়েট । দুনিয়ায় কোথাও এভাবে নিয়োগ হয় না । ১০ম grade এ ২০০ মারকস এর রিটেন দিতে হয় । টিচার বলে আলাদা সিমপেথি দেখানোর সুযোগ নেই ।
।