নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঝি ঝি পোকার আসর

আমি লিখি আমার মত করে। ভাল লাগলে আমার সাথেই থাকুন........

ঝি ঝি পোকার আসর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি শহীদ মিনারে ফুল দেইনা

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,

আমি কি ভুলিতে পারি!!

সত্যিই আমি ভুলতে পারি না এই দিনটির কথা। কিন্তু মনে রেখেই বা কি হবে? কিই বা করি আমরা সেই মহান শহীদদের জন্যে?

হয়তো বলবেন খুব ভোরে উঠে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে, নিরবতা পালন করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করি। কিন্তু কি হবে তা করে? আমি হলফ করে বলতে পারি, এসব করে কক্ষনই তাদের আত্মা শান্তি পাবে না।

একটা প্রবাদ আছে, “বন্যেরা বানে সুন্দর, শিশুরা মাত্রি ক্রোড়ে”। তেমনি একটা ফুল শহীদ মিনারের সামনে থাকার থেকে তা গাছেই অনেক সুন্দর মানাবে।

এই কথাটা হয়তো আপনার কাছে ভালো শোনাবে না। হয়তো বলবেন আমি রাজাকার, পাকিস্তানের দালাল। বললে বলতে পারেন, আমার কিছুই যাবে আসবে না।

এখন আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, কোন দিন কি সেই বীর শহীদদের জন্যে দুই রাকাত নফল নামায পড়ে দোয়া করেছিলেন, পুজা বা অন্যান্য কোন প্রার্থনা করেছিলেন? হয়তো জোড় গলায় বলবেন, আমি ধর্মে বিশ্বাস করি না, তাই ওগুলোও করি না।

এখন আমি আপনাকে একটা উদাহরণ দেই। ধরুন আপনি খুবই গরীব, অনেক কয়দিন ধরে না খেয়ে আছেন। এখন আপনাকে কেউ যদি এসে বলে, ভাই আমি আপনাকে অনেক সম্মান করি, তাই আপনার নামে ১০০০০টাকা একটা বৃদ্ধাশ্রমে দান করেছি। তারা আপনার প্রতি অনেক খুশি হয়েছে এবং আপনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার জন্যে তারা এক মিনিট নিরাবতা পালন করেছে আর আপনার জন্য অনেকগুলি ফুল পাঠিয়েছে। ওই সময় আপনার কেমন লাগবে??

হয়তো ভাবছেন এর সাথে ভাষা শহীদদের সম্পর্ক কি!

আমি বলব সম্পর্ক আছে।

এখন বলুন, আপনি কোন দিনও কি একজন ভাষা শহীদের পরিবারের খোজ খবর নিয়েছেন?? যে সকল বীর যোদ্ধারা আজো বেচে আছেন, তারা কেমন আছেন সে খবর কোনদিন কি নিয়েছেন?

আপনি জানেন কি? আজ কোটি কোটি টাকার ফুল যাদের জন্য শহীদ মিনারে দেয়া হচ্ছে তাদের আত্মিয় স্বজনরা চিকিৎসার অভাবে এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ভাষা শহীদ শফিউরের কথা কে না জানে!! তার মা চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। আর যে মানুষটি তার দেশের মানুষকে ভালোবেসে প্রাণ দিতে পারে, সে তার মায়ের জন্যে অনেক কিছুই করতে পারত, যদি আজ সে বেচে থাকত। কিন্তু বোকা শফিউররা তাদের প্রিয়জনদের আমাদের মত নিষ্ঠুর মানুষের ভরসায় রেখে গেছে। তাই আপনি যত কোটি টাকারই ফুল দেন না কেন, তাদের আত্মা কখনই শান্তি পাবে না।

যারা আজ বেচে আছেন তাদের মাঝেও অনেকে আজ অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন। অনেক মুক্তিযোদ্ধা আজ জীবনের তাগিদে দিনমজুরের কাজ করেন, রিক্সা চালান, ভ্যান চালান। আর আমরা তাদেরি রিক্সা ভ্যানে পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে বসি, তাদেরি পিঠে আমরা তুলে দেই আটার বস্তা।

আমরা আজ দাবী তুলেছি, রাজাকারের ফাসি চাই। কিন্তু সত্যিই যদি রাজাকারের ফাসি দিতে হয়, তাহলে সবার আগে তাদেরি ফাসি দিতে হবে যারা সেই বীর সৈনিকের স্বপ্নের স্বাধীন দেশের ভাত খেয়ে আজকের দিনে রাজাকারি করছে। আর ফাসির সেই কাঠগড়া থেকে আপনি আমি কেউই নিস্তার পাব না।

তাই আসুন সময় থাকতেই নিজেকে পাল্টাই। টাকা দিয়ে ফুল না কিনে, সেই টাকা সেই বীর যোদ্ধাদের উপকারে ব্যয় করি। তাই বলে আমি শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার বিরোধীতা আমি করছি না। আমরা যদি সেই বীর সন্তানদের উপকার করার পাশাপাশি শহীদ মিনারে ফুল দেই, তাহলেই আমরা তাদের সেই মহান ত্যাগের প্রতি কিছুটা হলেও সম্মান প্রদর্শন করতে পারব।

ধন্যবাদ…………।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.