নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঝড়007

আমি চির দূর্বীণিত নৃশংস

ঝড়007 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিটামিন এ খাওয়ানোর পর শিশুদের মৃত্যু .. এর দায় কার..?

১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১২

সকাল থেকে বেশ কয়েক স্থান থেকে সংবাদ আসলে বিশেষ করে কুমিল্লা নোয়াখালী তে নাকি ভিটামিন এ খাওয়ানোর পর বেশ কিছু শিশু মারা গেছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমার পরিচিত প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজন সকলে টিকা খাওয়ানো বন্ধ করে দিয়েছেন। সত্যি যদি টিকার প্রভাবে কোন কোমলমতী শিশুর জীবনহানী হয় এর দায় কার? গতকাল থেকে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সাইটের মাধ্যমে এর সম্পর্কে জানতে পারার কারনে আমার পরিচিত কেউ এই টিকা খাওয়ায় নি। আপনাদের নিকট আপনার এলাকার আপডেট থাকলে জানাবেন?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

rainbristi বলেছেন: লিংক দেন ভাই মানুষ মরছে এইটা কি সত্যি?

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২২

টোকাই সিকদার বলেছেন: মান নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আপত্তি থাকা সত্ত্বেও দেশের আড়াই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিনবার সময় পরিবর্তন করে ১২ মার্চ এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, ভারতের বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা এসব ক্যাপসুল ‘ক্ষতিকর নয়’ প্রমাণ করতে তিনবার তারিখ পরিবর্তন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আপত্তি জানানো এসব ক্যাপসুল সম্পর্কে পুরোপুরি আশ্বস্ত করতে পারেনি ভারতীয় অপর এক প্রতিষ্ঠান। সবশেষে সিঙ্গাপুরের রিপোর্টের ভিত্তিতে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারো ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের সঙ্গে কৃমিনাশক অ্যালবেন্ডাজল ট্যাবলেটও খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সূত্র জানায়, গত ২ মার্চ ‘ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন’ এর আওতায় সারাদেশের শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী আড়াই কোটি শিশুকে খাওয়ানোর জন্য ভারতের বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ভারতীয় অলিভ হেলথ কেয়ারের কাছ থেকে ১০ কোটি পিস ক্যাপসুল কেনে সরকার। কিন্তু এসব ক্যাপসুল শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে আপত্তি জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপর এসজিএস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এসব ক্যাপসুল পরীক্ষা করে। তারা মান আপত্তি না জানালেও তাদের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তখন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রথম দফায় ক্যাপসুল খাওয়ানোর তারিখ পরিবর্তন করা হয়। এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের নির্দেশে পরীক্ষার জন্য দ্বিতীয় দফায় সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় এসব ক্যাপসুল।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান ব্যানার ফার্মা থেকে কেনা ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মধ্যে ২ লাখ ইউনিটের প্রায় ১ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার পিস ও ১ লাখ ইউনিটের প্রায় ১২ লাখ পিস ক্যাপসুল এখনও রয়ে গেছে। চলতি বছরের এপ্রিলে এসবের মেয়াদ শেষ হবে। সারাদেশে ২ লাখ ইউনিটের ক্যাপসুলের চাহিদা রয়েছে ২ কোটি পিস এবং ১ লাখ ইউনিটের ক্যাপসুলের চাহিদা ৩০ লাখ পিস। এই হিসাবে অবশিষ্ট ক্যাপসুলের সঙ্গে চাহিদার পার্থক্য যথাক্রমে ৪২ লাখ ও ১৮ লাখ পিস। সূত্রগুলো জানায়, অলিভের ক্যাপসুল মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর নির্ধারিত ২ মার্চ এবং পরবর্তীতে ৬ মার্চ ক্যাপসুল খাওয়ানোর তারিখ পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু ১২ মার্চ ওই ক্যাপসুলই খাওয়ানো হবে।
অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা বিতর্কিত অলিভের ক্যাপসুলের পক্ষে সাফাই গায় এবং সদস্যদের মতামত উপেক্ষা করে প্রশ্নবিদ্ধ অলিভের পক্ষ নেন। অলিভ সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো যাচাই-বাছাইও করা হয়নি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নীরব ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

প্রসঙ্গত, শিশু মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস, অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে সরকারিভাবে দেশের ২ কোটি ৫০ লাখ শিশুকে বছরে দুবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। যার অর্থ যোগানদাতা বিশ্বব্যাংক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিদেশ থেকে এই ক্যাপসুল সংগ্রহের ব্যবস্থা করে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অলিভের কাছ থেকে কেনা ১০ কোটি ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বিশ্বব্যাংকের আপত্তির মুখে দু’দফা ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর তারিখ পরিবর্তন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মেসার্স অলিভ হেলথ কেয়ার অনভিজ্ঞ এবং ভিটামিন জাতীয় ক্যাপসুল সরবরাহের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায়ও এর নাম নেই। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ইতিপূর্বে অন্য কোনো দেশে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সরবরাহও করেনি। এমনকি নিজ দেশ ভারতেও নয়। তবে অলিভ হেলথ টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটিকে জানিয়েছিল তারা নাইজেরিয়াতে ২০ কোটি ক্যাপসুল সরবরাহ করে। কিন্তু টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি অলিভের পেশকৃত তথ্য যাচাই-বাছাই না করে কেবল সর্বনিু দরদাতা বিবেচনা করেই তাদের এ কাজের জন্য মনোনীত করে।

এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি ইনস্টিটিউটের (আইপিএইচএন) পরিচালক অধ্যাপক ডা. এখলাসুর রহমান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি সারাদেশে শুধুমাত্র ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে। ওষুধ সরবরাহ করে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার আর সর্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকে মন্ত্রণালয়। মেসার্স অলিভ হেলথ কেয়ার কর্তৃক সরবরাহকৃত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত। ওষুধ আমদানি রফতানি এবং মান নির্ণয়ের বিষয় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের আওতাধীন। তাই আমি কোনো মতামত দিতে পারছি না।’

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে গিয়ে এবং টেলিফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সিএমএসডি পরিচালকের ফোন নম্বর চাইলে তার পিএ প্রতিবেদকের সাঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে অধিদফতরের এবং সংযুক্ত বিভাগগুলোর কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের মোবাইল নম্বরে (০১৭৩০৪৪১৮১৭) একাধিকবার ফোন ও এসএমএসএ করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে আগামী ১২ মার্চ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর যে তারিখ নির্ধারণ হয়েছে, সেখানে পূর্বের মতো কোনো পরিবর্তন থাকবে কিনা সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

এ জাফর বলেছেন: ঘটনার সত্যতা থাকলে লিন্ক দেন বা মোবাইল নং দেন প্লিজ।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

ফয়েজ ০৮ বলেছেন: আমার দুই বোনরে চার বাচ্চাকে খাওয়াতে দেইনি আমিও।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

েজ আলম বলেছেন: কি বলেন ভাই। আমি আমার বাচ্চা ও এক ভাতিজা ও এক ভাতিজী কে খাইয়েছি। এখনো পর্যন্ত কোন সমস্যা দেখিনি। আমি চট্টগ্রামে খাইয়েছি।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: এ দায় বাশেরকেল্লার।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

সাদা রং- বলেছেন: আমিও আমার পিচ্চিকে খাইয়েছি কুমিল্লা থেকে কিন্তু কোন সমস্যাতো দেখছিনা।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

shfikul বলেছেন: আমি আমার সন্তানকে খাওয়াইনি।না খাওয়ানো উত্তম মনে করলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.