![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আহসান খোকন। আমের জন্য দুনিয়া বিখ্যাত চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে আমার জন্ম। বছর দু\'য়েক আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে একাডেমিক শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি টেনেছি। এখন বিশ্বায়ন ও মন্দার চক্করে পড়ে পরিপূর্ন বেকার জীবন উপভোগ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পর্কে আমি খুবই উন্নত ধারনা পোষন করতাম। ভাবতাম ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের জ্ঞান হবে ইউনিভার্সাল। আমার এই ভুল ভাঙতে বেশিদিন লাগেনি। কয়েকদিনেই বুঝে গেলাম এখানে ক্রিয়েটিভিটির স্থান নেই। সব মুখস্তের দলে। তাই প্রচলিত পদ্ধতির প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাকে তেমন একটা টানেনি। যে ক\'জন মনের মত শিক্ষক ছিলেন তারাও কেউ ঢাকায়, কেউ বিদেশে পাড়ি জমালেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে আমার প্রাপ্তি কিছু অসাধারণ মানুষের বন্ধুত্ব, গীটার শেখা এবং প্রকৃতি ও আড্ডা থেকে প্রাপ্ত অসীম জ্ঞান। এগুলোই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।বিদ্যালয়ের পাঠ্য বই আমার কাছে চিরকাল অপাঠ্যই ছিল। সাহিত্য আমাকে ছোটবেলা থেকেই পড়া শিখিয়েছে। জন্মসূত্রে প্রাপ্ত বাবার ছোট্ট লাইব্রেরী এবং গ্রামের \'প্রতীতি\' নামক বিশাল লাইব্রেরীর বই আমার জন্য বিরাট প্রাপ্তি। আমি হলপ করে বলতে পারি বাংলাদেশের নব্বই শতাংশ মানুষ এই সুবিধা সারা জীবনে পায়না। এটা আমার জন্য ডায়মন্ড লাক বলতে হবে। বাবার সংগ্রহ করা অতি পুরাতন মলাটহীন বইগুলো চাখতে চাখতে কখন যে নেশায় ডুবে গেছি বুঝতে পারিনি। যখন বুঝলাম তখন বই গিলে খাওয়া শুরু করেছি। ইদানিং অবশ্য ইন্টারনেট ব্যবহারের চাপে বই পড়া কমে গেছে।পদার্থবিজ্ঞান আর রসায়নের জটিল ও উচ্চমার্গীয় সমীকরন ছাড়া আমার সমস্ত বিষয় পড়তে ভাল লাগে। সাহিত্য, ইতিহাস, রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, ধর্ম, দর্শন,বিতর্ক, চিত্রশিল্প, চলচিত্র, সঙ্গীত, কার্টুন ও অ্যানিমেশন ও কার্টুন, খেলা ইত্যাদি আমার প্রিয় বিষয়। সবগুলোকেই আমি উপভোগ করি। কিন্তু এও জানি কোন একটা বিষয়ে পন্ডিত হতে না পারলে কোথাও সফল হওয়া সম্ভব নয়। ছোটবেলা থেকেই কবিতা লেখার অভ্যাস ছিল। এখন গীটারের টুংটাং এর সাথে মিলিয়ে কিছু কথা লিখতে ভালই লাগে। আমি জানিনা কথাগুলো সত্যিকারের লিরিক কিংবা সুরগুলো গান হয়ে উঠে কিনা। না হলেও কোন ক্ষতি নেই। আমি এসব নিজের জন্যই করি, একান্তই নিজের প্রশান্তির জন্য করি। সঙ্গীতে আমার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। ব্লগিং আমি করতে চাইনা। এটা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর একটি জিনিস। তারপরও ব্লগীং করতেই হবে যেমনটা টয়লেটে যেতে না চাইলেও যেতেই হয়। আমি চাই গান নিয়ে থাকতে, সারাবেলা সুরের মুর্ছনায় ডুবে থাকতে চাই। কিন্তু আমি পারিনা। দেশমাতৃকার বেহাল দশা, মানুষের অবর্ননীয় অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও নৈতিক দুর্দশা দেখে আমি কিছুতেই স্থির থাকতে পারিনা। কিন্তু আমি কিছুই করতে পারিনা, আমি দুর্বল মানুষ। আমি সমাজ বদলে দিতে চাই, কিন্তু হাতিয়ার নেই। নাহ ভূল বললাম। গানই আমার হাতিয়ার, গীটারই আমার অস্ত্র। সুরের হাওয়ায় বদলে দেবো সমাজ, এ আমার অঙ্গীকার। কবির সুমন আমার ভাবগুরু।আমার ব্লগে শালীনতা বজায় রেখে যেকোন মন্তব্য করবেন। মতভেদ হলে সমস্যা নেই। মতভেদ তো থাকবেই এবং এর মাধ্যমেই আমার সত্যটা জানা হয়ে যাবে। আপনি নাস্তিক হলেও আমার সমস্যা নেই কিন্তু কোন ধর্মকে আঘাত করে মন্তব্য করবেন না। মানুষের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করার মত জঘন্য কাজ আর কিছু নেই। কারন মানুষ একমাত্র ধর্ম পালন করেই পরিপুর্ন আত্মিক প্রশান্তি লাভ করে। যার যা ধর্ম তাতেই তার আত্মীক আনন্দ।ফেসবুকে আমি- www.facebook.com/ahsan.khokon ইমেইল- [email protected]আমার ব্লগ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, ভালো রাখুন, ভালোবাসুন প্রতিটি সৃষ্টিকে।
সুন্দরবনে তেলের ট্যাংকার ডুবে সুন্দরবনের সমস্ত এলাকায় প্রায় আড়াই লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল ছড়িয়ে পড়ছে। এতে পরিবেশবিদ গণ পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের কথা বলছেন। স্বয়ং জাতিসংঘ উদ্বেগ জানিয়েছে।ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের সাইটের মাধ্যমে বিপর্যয়ের চিত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। নদীতে মাছ পাওয়া যাচ্ছেনা, ডলফিনের দেখা মিলছেনা, কুমিরের মুখে ঘা দেখা দিয়েছে,মৃত মাছ ও সাপ ভেসে উঠছে, নদীতে হরিণ ও অন্যান্য প্রানীকে পানি খেতে দেখা যায়নি, নদীর পানি পান ও ব্যবহার করা যাচ্ছেনা ইত্যাদি বেশ কিছু সংকট প্রতীয়মান। এমনকি তেলের গন্ধে বাতাসও চরমভাবে বিষাক্ত।
এর প্রেক্ষিতে BIWTA র চেয়ারম্যান ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার খুব মজার একটি মন্তব্য করলেন। প্রথমত, এই বিপর্যয়কে তিনি বিপর্যয় বলতে নারাজ। তার মতে এই ঘটনায় পরিবেশের কোন ক্ষতি হবেনা।
সবচেয়ে মজার কথা তিনি যেটি বলেছেন তা হল, এই ঘটনার ফলে একটি বিরাট উপকার হয়েছে। আর তা হল ঐ তেল সংগ্রহ করে নদী তীরবর্তী লোকজন বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন।
এই কথা শোনার পর আর কিছু ভাবতে পারেনি। অতি দুঃখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি বটে কিন্তু অতি কৌতুকের পুলকে থেমে হেসে উঠছি। শুধু কিছু প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
১/ সরকারী কর্তা ব্যক্তিরা দায়িত্ব পালন কালে কি গাধা হয়ে যান? নাকি তাদের মগজ বেচে দিয়ে আসেন? তাদের নামের পাশে তো ডক্টরেট ডিগ্রির টাইটেল লেখা থাকে।
২/ তিনি এই মহা বিপর্যয়ের মধ্যেও কিভাবে প্রফিট খুঁজে পেলেন?
৩/ মন্ত্রী আমলারাও আজকাল কোন বিপর্যয়ের দোষ স্বীকার করতে চাননা। কোন দুর্ঘটনাকে যদি বিপর্যয় হিসাবে স্বীকার না করা হয় তবে কিভাবে এর মোকাবেলা করা হবে? প্লান অব অ্যাকশন কিভাবে ঠিক করা হবে
৪/ বিপর্যয় ঘটতেই পারে। সব ধরনের অত্যাধুনিক ভাবে সতর্কতা গ্রহনের পরও বিশ্বের কোন দেশই বিপর্যয় রুখতে পারেনি। কিন্তু এই বিপর্যয়কে ভালভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব। কিন্তু এই বিপর্যয়ের পর তিন দিন চলে গেলেও তেল অপসারনের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি উদ্ধারকারী জাহাজ পৌঁছেছে ট্যাংকার উদ্ধারের পর। কেন এই দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা? পরিবেশ কি এতটাই হেলাফেলার বিষয়?
৫/ ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারনে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে গ্রামবাসীর উপর। তারা স্পঞ্জ দিয়ে তেল অপসারন করে বাজারে বিক্রি করলেই নদী দূষণমুক্ত হবে। তাছাড়া স্বাভাবিক জোয়ার ভাটার মাধ্যমে সব বর্জ সমুদ্রে চলে গেলেই নদীর জল দূষণমুক্ত হবে। এই আশ্চর্য খোঁড়া যুক্তি দিতে BIWTA র মাননীয় চেয়ারম্যান সাহেবের কি মোটেই লজ্জা করলো না? বিপর্যয়ের আলামত কি তার চোখে কোনভাবেই পড়ছেনা? নাকি তিনি দেখেও দেখছেন না, শুনেও শুনছেন না?
উত্তর মিলছেনা কিছুতেই। হয়তো মিলবেও না কোনদিন। কেননা এমন দেশে জন্ম নিয়ে প্রশ্ন করাও যে পাপ।
শুনেছি মাদকাসক্তরা নিজেদের কিছুতেই মাদকাসক্ত হিসাবে স্বীকার করেনা। এমনকি হাতেনাতে ধরলেও স্বীকার করেনা। আমার প্রশ্ন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে সকলেই মাতাল হয়ে যায়? কোন সরকারের সময়েই এই মাতালদের অবস্থার হেরফের হয়নি।
এর মধ্যে আবার দায়িত্ব ঠেলাঠেলি যেন আর না হয়। সব কর্তৃপক্ষ যেন একসাথে কাজ করে। এর চেয়ে বেশিকিছু কামনা করতে পারছিনা এই মুহুর্তে।
বিঃদ্রঃ - কিছু ব্যতিক্রম হয়তো আছে। But exception can't be example.
তথ্যসূত্রঃ ৭১টিভি, Bdnews24.com,prothom alo, অন্যান্য।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
গান সৈনিক বলেছেন: হুম, কিচ্ছু করার নেই। এই গ-দের যারা চালায়, তারা আবার তেল মর্দন খুব পছন্দ করেন। তাই ঠক বাছতে গাঁ উজাড়। যারা ভাল থাকতে চায়,সৎ ভাবে কাজ করতে চায় তারা বছরে চারবার প্রত্যন্ত এলাকায় ট্রান্সফার অথবা ওএসডি।
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
বিডি আইডল বলেছেন: প্রাণী মরা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে
এটা শুধু হাস্যকর রিমিডিয়েশন ব্যবস্হাই নেয়া হচ্ছে তাই নয়...এর মাধ্যমে যে সয়েল কন্টামিনেশন করা হচ্ছে আরো ব্যাপক আকারে, সেটা নিয়েও কারো কোন ধারণা নেই
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
গান সৈনিক বলেছেন: এতো কেবল শুরু। ভয়াবহতা টের পাওয়া যাবে আর কয়েকদিন পরে। কয়েকমাস পরে কি অবস্থা হয়, ভাবতেই ভয় লাগছে।
ধন্যবাদ বিডি আইডল সুন্দর ছবি সমেত উদাহরণ দেবার জন্য।।।
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: এর প্রেক্ষিতে BIWTA র চেয়ারম্যান ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার খুব মজার একটি মন্তব্য করলেন। প্রথমত, এই বিপর্যয়কে তিনি বিপর্যয় বলতে নারাজ। তার মতে এই ঘটনায় পরিবেশের কোন ক্ষতি হবেনা।
সবচেয়ে মজার কথা তিনি যেটি বলেছেন তা হল, এই ঘটনার ফলে একটি বিরাট উপকার হয়েছে। আর তা হল ঐ তেল সংগ্রহ করে নদী তীরবর্তী লোকজন বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন।
এই রামছাগলগুলা প্রশাসনের হর্তাকর্তা হয়াতেই তো জাতির আজকে এতো উন্নতি! উন্নতির বন্যা, জোয়ার, ঝড় বৃষ্টি, সাইক্লোন, সুনামি!
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮
গান সৈনিক বলেছেন: উন্নতির বন্যা, জোয়ার, ঝড় বৃষ্টি, সাইক্লোন, সুনামি!,,,,
হা হা হা, খুব ভাল বলেছেন অপূর্ন রায়হান।
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: সাক্সসনাল পাম্প দেয়া নৌকা নামিয়ে অনেক তেল উদ্ধার করা যাবে । ওখানের জোয়ার ভাটা খুবই তীব্র । ইতিমধ্যেই কিছু তেল সমুদ্দুরে নেমে গেছে এবং কিছু পুনঃ জোয়ারে উঠে আসছে। পূর্ণ জোয়ারে তীরে আসা তেল গ্রামবাসীরা তক্তার তৈরি স্ক্রাবার দিয়ে পাড়ে উঠাতে পারে । আশা করি স্বাভাবিক হয়ে উঠুক জীবনযাত্রা । কর্মকর্তারা সবাই বেতন বাড়ার স্বপ্নে নিমজ্জিত , দেশ নিয়ে ভাবার সময় কোথায়???
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
গান সৈনিক বলেছেন: আমাদের এক্সপার্টাইজ নাই সত্য, কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে বিন্দুমাত্র আন্তরিক হয়ে চেষ্টা নাই। কোন উদ্বেগ নেই।
৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আজিজ'দা@ ওনারা বলছেন,
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ অবশ্য ডুবে যাওয়া জাহাজ উত্তোলনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকার বিষয়টাকে দায়ী করেছে। তারা বলছে, ডুবন্ত জাহাজ উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী বড় জাহাজ, তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে রাবার বুম (একধরনের ভাসমান বাধা, যাতে তেল ছড়িয়ে পড়তে না পারে), স্কিমার, সরবেন্ট ম্যাটারিয়ালসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তাদের নেই।
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! আর BIWTA র চেয়ারম্যান এর কথাবার্তা শুনছেন!
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫
গান সৈনিক বলেছেন: শুধু চেষ্টা থাকলেই অনেকখানি বাঁচিয়ে দেয়া যেত।
৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮০ বর্গকিলোমিটার অর্থাৎ ৮০০০ হেক্টর জায়গায় তেল ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনার স্থানটি এমন জায়গায় এবং প্রবল জোয়ার ভাঁটার প্রভাবে পশুর, শ্যালা, রূপসা ও বলেশ্বর এই চারটি নদীর মাধ্যমে এই তেল ছড়িয়ে পড়ছে । এটা এই পর্যন্ত ম্যানগ্রোভ বা শ্বাসমূলীয় বনের ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের ঘটনা। এর আগে ইন্দোনেশিয়া, পানামা, নাইজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও পুয়ের্তোরিকোতে এ রকম তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। তবে এসব দুর্ঘটনার কোনোটাতেই পাঁচ-ছয় হাজার হেক্টরের বেশি এলাকায় তেল ছড়ায়নি।
এর আগে যেসব দেশের শ্বাসমূলীয় বনে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার সবখানেই প্রথম দিন থেকেই তেল নিয়ন্ত্রণে প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল। তার পরও ওই দেশগুলোতে বনের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি এড়ানো যায়নি।
সুন্দরবনের আগে কাছাকাছি মাত্রার দুর্ঘটনা ঘটেছিল নাইজেরিয়ার উপকূলবর্তী নাইজার ব-দ্বীপে। ২০০৮ সালে সেখানে শেল কোম্পানির পাইপ থেকে তেল নিঃসরণের ফলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে ধ্বংস হয় এক হাজার হেক্টর শ্বাসমূলীয় বন। আর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির শিকার হয় পাঁচ হাজার হেক্টর বনভূমি, যেটাকে লন্ডনভিত্তিক আইনি সংস্থা লেই ডে তখনকার সময়ের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করে।
২০১৩ সালের মধ্যে বিশ্বে যতগুলো এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর উল্লেখ করে গত বছর একাধিক প্রতিবেদন ছেপেছে হাফিংটন পোস্ট ও গার্ডিয়ান পত্রিকা। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তা গত মঙ্গলবারের সুন্দরবনের বিপর্যয়ের তুলনায় কম।
আগের বিপর্যয়: ১৯৮৬ সালে পানামার বাহিয়া লাস মিনাস অয়েল স্পিলের ঘটনাকে গবেষকেরা মহাবিপর্যয়কর হিসেবে চিহ্নিত করেন। ঘটনার পাঁচ বছর পরও গবেষকেরা বনে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত শ্বাসমূলের অস্তিত্ব দেখতে পান এবং লক্ষ করেন, বনের চারাগাছের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৯২ সালের ইরা স্পিল ঘটনার চার বছর পরও বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার কোনো লক্ষণ খুঁজে পাননি গবেষকেরা।
১৯৮৪ সালে পানামায় ট্রপিকস স্পিল নামের একটি পরীক্ষামূলক তেল নিঃসরণ ঘটানো হয়। ঘটনার সাত মাস পর গবেষকেরা দেখতে পান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ম্যানগ্রোভ বৃক্ষের মৃত্যুর হার ১৭ শতাংশ। ১০ বছর পর দেখা যায়, আক্রান্ত এলাকার অর্ধেক গাছই মৃত্যুবরণ করেছে।
( প্রথম আলো )
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
গান সৈনিক বলেছেন: এরকম হাজার হাজার উদাহরণ দেয়া যাবে যারা নিজেদের সম্ভব সমস্ত কিছু করেছে পরিবেশ ও বিপন্ন প্রাণি রক্ষা করতে। এতকিছু থেকেও যারা শিক্ষা প্রাক প্রস্তুতি নেয়নি তাদের আর কিই বা বলার আছে।
এরপর অতি সমালোচনার কারনে কিছু প্রযুক্তি আনা হবে এবং সেখানেও হবে দুর্নীতি। তাই আবার বিপর্যয় আসলে সেগুলো কোন কাজেই আসবেনা হয়তো। তখন হয়তো অন্য দল ক্ষমতায় থাকবে। তারা তখন একে অপরকে কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন, এখন যেমনটা করেন প্রতিটা ক্ষেত্রে।
শেষ পর্যন্ত দুর্ভাগা জনগনই উন্নয়নের জোয়ারে ডুবে মরবে।
৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
কাজী রায়হান বলেছেন: হয় অযোগ্যরাই অনেককে খুশি করে পদে বসে পরে । অথবা যোগ্য ছেলেটা তাদের সাথে থেকে থেকে অযোগ্য হয়ে পরে । এই দুর্যোগে দ্রুত পরিত্রান আশা করছি
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬
গান সৈনিক বলেছেন: যোগ্য লোকটা ট্রান্সফার হতে হতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেই পড়ে থাকে অথবা ওএসডি হয়ে যায়। কখনো কখনো চাকুরীও চলে যায়।
৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
শাহ আজিজ বলেছেন: অপূর্ণ রায়হান
ওই পদ্ধতি আমাদের নেই বলেই আমি লোকাল এবং দ্রুত কার্যকর পদ্ধতির কথা বললাম। আপনার পদ্ধতি দেখেছিলাম কুয়েত ইরাক যুদ্ধের পর গালফে ছড়িয়ে পড়া অপরিশোধিত তেলের আস্তরন সরিয়ে নিতে। রাষ্ট্র যন্ত্রের কোন প্রস্তুতি নেই বিপর্যয় পরবর্তী পদক্ষেপে।
৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: প্রশাসনে নিয়োগ কিভাবে দেয়া হয় এইটা জানার কৌতূহল আমার অনেক দিনের। আমার ব্যক্তিগত ধারণা ইন্টার্ভিউ এর সময় কাঁঠাল পাতা , ঘাস , খর খেতে দেয়া হয়। যে যত বেশি খেতে পারে সেই নিশ্চিত নিয়োগ পায়। নয়ত এই রকম গাধা আর রামছাগল গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পাওয়ার কথা না।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
গান সৈনিক বলেছেন: হা হা হা, ভালই বলেছেন। তবে কাঁঠাল পাতা, ঘাস, খড় খাওয়া প্রানীগুলো নিতান্তই নিরিহ এবং খুবই উপকারী। এদের সাথে ঐ লোকগুলোর সাথে তুলনা করে প্রানীগুলোকে অসম্মান করবেন না।
১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৩
প্রফেসর মরিয়ার্টি বলেছেন: সুন্দরবন ধ্বংস হইয়া গেলেও লাভ আছে, আমরা সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে পারব। তখন সেখানে গড়ে তোলা হবে একটি মিনি চিড়িয়াখানা ও একটি একুরিয়াম, যা দেশের পর্যটন শিল্পে বিশাল অবদান রাখবে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
গান সৈনিক বলেছেন: এখনতো দেশ চালায় ব্যবসায়ীরা। তাদের মাথায় এ ধরনের চিন্তা হরহামেশাই ঘোরে। এর নমুনা খাল,বিল,পাহাড় ইত্যাদি দখলের মাধ্যমে দেখা গেছে। আর সেগুলো করেন যখন যারা ক্ষমতায় থাকেন তাদের ব্যবসায়ীরা। তাই আপনার কথা তেমন মিথ্যে নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশে এধরণের গর্দভরাই নিয়োগ পায়! অবশ্য সারা দেশে সব চে.ম্যা..রাই এক ধরনের স্টুপিড ইডিয়ট, অপদার্থ অদক্ষ ঘুষখোর .............। কেউ খুন হলে এই দুশ্চরিত্র গর্দভরা বলবে ভালই হলো সম্পত্তির ভাগিদার কমল, একটা রুম খালি হল, ভাত কম লাগবে....