| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
িজল্লুল
Want to do work for mankind. And want to focus for the children, women,older and those who are suffering/torchure through someone. We all should come forward to help vulnerable people.
ইকবাল জিল্লুল মজিদ
তারিখ: ১৭.১২.২৫
বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে। স্বাধীনতার মূল শক্তি ছিল জনগণ—রক্ত, ত্যাগ আর প্রত্যাশা। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকেই এক অদ্ভুত প্রশ্ন মাথা তোলে:
এই রাষ্ট্র কি জনগণের জন্য, না ক্ষমতার জন্য?
স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ভাবতে শুরু করে—বহুদলীয় রাজনীতি বাদ দিয়ে একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। জন্ম নেয় বাকশাল। বলা হলো—এটাই মুক্তির পথ। কিন্তু বাস্তবে জনগণকে বাদ দিয়ে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার এই ব্যবস্থাই দ্রুত বিলুপ্ত হয়। তবু বাকশালের দর্শন আর মানসিকতা কখনোই পুরোপুরি মাথা থেকে যায়নি।
এরপর আসেন খোন্দকার মোশতাক আহমদ—ঘোষণা দেন “সবুজ বিপ্লব”-এর। কিন্তু সেই বিপ্লব মাঠে নামার আগেই ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। খালেদ মোশাররফ, তারপর জিয়াউর রহমান। জিয়া রাজনীতিতে নতুন পরিচয় দেন—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। জনগণ আশা করে, এবার হয়তো গণতন্ত্রের পথে দেশ এগোবে।
কিন্তু ইতিহাস থামে না। আসেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ—ঘোষণা করেন ১৯ দফা, গঠন করেন জাতীয় পার্টি। আবারও বলা হয়—উন্নয়ন, শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা। কিন্তু জনগণ থাকে দর্শক, সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতা।
এরপর দীর্ঘ আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, পতন। আসে কেয়ারটেকার সরকার। জনগণ আবার আশাবাদী হয়—এবার হয়তো ভোটের মর্যাদা ফিরবে। কিন্তু রাজনৈতিক সরকারগুলো ফিরে এসে দেখায় এক ভয়ংকর চিত্র—
হরতাল, আন্দোলন, সংসদ বর্জন—সব চলতে থাকে, কিন্তু বেতন-ভাতা, গাড়ি, সুযোগ-সুবিধা ঠিকই নেওয়া হয়।
এরপর আবার সামরিক প্রভাব, আবার তথাকথিত নির্বাচন।
২০১৪, ২০১৮, ২০২৪—ভোটবিহীন বা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন।
ক্ষমতা আছে, সরকার আছে, সংসদ আছে—
কিন্তু জনগণের অংশগ্রহণ নেই।
সবশেষে আসে ছাত্র আন্দোলন। ইতিহাস বলে, যখন ছাত্ররা রাস্তায় নামে, তখন রাষ্ট্র কিছু হলেও ভাবতে থাকে । কারণ ছাত্ররা ক্ষমতা চায় না, তারা প্রশ্ন তোলে। আর প্রশ্নই ক্ষমতার সবচেয়ে বড় ভয়।
তাহলে প্রশ্ন একটাই—
এই দীর্ঘ যাত্রায় জনগণ কোথায়?
উত্তরটা কঠিন, কিন্তু সত্য:
জনগণকে শুধু দরকার হয় স্লোগানে, ভোটের পোস্টারে, আন্দোলনের ঢালে।
রাষ্ট্র চালাতে তাদের প্রয়োজন হয় না—
চালাতে চায় দল, গোষ্ঠী, পরিবার আর ক্ষমতার বৃত্ত।
এই দেশে সরকার বদলায়, দল বদলায়, শ্লোগান বদলায়—
কিন্তু একটি জিনিস বদলায় না:
জনগণ সবসময় বাইরে।
যতদিন না রাষ্ট্রের কেন্দ্রবিন্দুতে জনগণ ফিরে আসে,
ততদিন এই দেশ চলবে—
কিন্তু এগোবে না।
©somewhere in net ltd.