![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথের পাচালীর রথে চড়ে ঠায় দাড়িয়ে দেখে যাই তোমারদের ফরমালিনে ডোবা সভ্যতা। পর্বতোহোরন আর বিউটিফিকেশনে খুব ঝোক, মুকুটে গোজা তোমার চকচকে পালক। নীলাকাশে চোখ রেখে তুমি করো সুবিশাল সুদকষা ।
সারাদিন সবার অমানুষিক পরিশ্রম দেখলাম মানুষের পাশে মানুষকে অভাবনীয়রকমভাবে দাড়াতে দেখলাম , খুব অল্প বয়সী কিংবা খুবই রোগা ছেলে মেয়ে অনেকেই এসেছিল রক্ত দিতে , আবারও বুঝলাম দেশ কিভাবে ৯ মাসে স্বাধীন হয়, দেখলাম কিভাবে দেশের দুর্দিনে ১৬ কোটি লোকই একটা পরিবার হয়ে যায় । আমি বরাবরই খুবই আশাবাদী একটা মানুষ , সবসময় মনে হয় আমার দেশে এখনো ভালো মানুষের সংখ্যা বেশী এবং দেশ খুব দ্রূতই উন্নতি করবে ।এত সম্ভাবনার হাতছানি দেখেও আজকাল বড় অসহায় লাগে নিজেকে , একটা সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রের সমগ্র কর্মকান্ড পরিচালিত করা হয় ছোট ছোট ভাগে ভাগ করা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে, সেই মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীদের হাতে থাকে দেশের ভবিষ্যৎ কেননা তারাই নির্ধারণ করেন একটা রাষ্ট্রের গতিপথ এবং সেই মন্ত্রীরা হবেন সমাজের সবচাইতে ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন , মেধাবি , বিচক্ষন সর্বোপরি দেশের জনগনের প্রতি থাকবে গভীর ভালবাসা আর সম্মানবোধ ।সম্মানবোধের কথা আসে এই জন্য যে তাদের সেবার জন্য তাদের এই মন্ত্রীত্ব এবং তাদের ছেলেমেয়েদের মুখে যদি একবেলাও কোনো হালাল খাবার জোটে তা আসে আমার মত জনগনের করের টাকায় ।মন্ত্রী শব্দটা আসে মিনিষ্টার থেকে যার আভিধানিক অর্থ ভৃত্য আজকাল তাদের কথাবার্রতা শনলে মনে হয় তারা আসলেই যেনো কোনো অদৃশ্য শক্তির ভৃত্য , তারা দুইটা জিনিস খবই সুচারূভাবে সম্পন্ন করতে পারে, তা হলো দালালী আর গালাগালি।একটা চুতিয়ার নমুনা দেখুন,
"বিবিসিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর,"কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে । ভবনটি ধসে পড়া পেছনে সেটাও একটি সাম্ভাব্য কারণ হতে পারে"
দালালী আর গালাগালির বাইরে কোনো কাজই দেখি নাই তারা করতে পারে ।শ্রেষ্ঠ মানুষের কথিত অনুসারিরা যে কতটা জঘন্য আর নিম্নশ্রেনীর হতে পারে তাদের না দেখলে বুঝতাম না।ক্ষমতার অপব্যবহার , কপটতা, অর্থলুন্ঠন , হত্যাকান্ডের মদদদাতা এমন কোনো শয়তানিক গুনাবলী নাই যা তারা আয়ত্বে নেন নাই।খারাপ পোলাপনের কর্মকান্ডে যেমন বাপ মা তুইলা গালি দেই তেমনি তাদের শয়তানিক (অনেক ধৈর্য্য ধরে ভালো শব্দ দিলাম ) কর্মকান্ডে যে ২/১ জন ভালো আছেন(আছে কিনা সন্দেহ হয়) তারাও সবাই ঢালাও ভাবে গালি খান কেননা আপনাদের উচিত ছিলো এই ধরনের চুতিয়াদের ঝাটা মাইরা বাইর করা আর না পারলে আমাদের মত বোকা*দা জনগনের পাশে থাকা।
এইসব ঘৃণ্যরাজনীতিবিদরা দুপুরে বলে যায় যেকোনো মুল্যে অপরাধিদের বিচারের আওতায় আনা হবে , সন্ধ্যায় চলে মদের গ্লাসে সম্প্রীতি , চলে গোপনে লেনদেন নইলে একটার পর এক অপরাধ করার সাহস কোথায় পায় সমাজের "রানা " রা ।শালার চুতিয়াদের দিকে তাকাতে আজকাল ঘৃণা হয় , নেকড়েগুলার দাতে সবসময় লেগে থাকে প্রতিদন্ধী কুকুরের ছেড়া লোম জড়ানো মাংস , মুখে লেগে থাকে বিষাক্ত লালা , আর চুতিয়াদের জিহবাগুলা যেনো পতিতাপল্লীর দূর্গন্ধময় নালা । কু*রেরবাচ্চারা জানিস যেহেতু তোদের জিহবা দূর্গন্ধময় তাহলে একটু ঢাইকা রাখনা , আমরা তো শেষ কিন্তু আমরা চাই না তোদের কারনে আমাদের শিশুগুলো বেড়ে উঠুক হতাশা নিয়ে , বেড়ে উঠুক দুঃস্বপ্ন নিয়ে ।
আমি জানি মিনিষ্টার সাহেব আপনার হাত অত লম্বা না (নাকি আপনার হাত সুবিধাভোগী ) যে আপনি যুবলীগের নেতা রানা আর লোভী খুনী গার্মেন্টস মালিক কে ধরতে পারবেন , আপনার দৌড় আমাদের মত কিছু নিরীহ লাইক , কমেন্টস আর শেয়ার দেওয়া ভার্চুয়াল বেয়াড়াদের ধরা পর্যন্তই , আর সর্বোচ্চ রিমান্ডে নিতে পারবেন । যে মেয়েটা সকালে খেয়ে না খেয়ে কাজে গেছে , পয়সার অভাবে রিকশার কথা ভাবতেও পারেনি কোনোদিন , ফাটল ধরা ভবনে কাজ করতে বাধ্য হয়েছে অনিচ্ছাসত্ত্বেও কেননা সে এমন এক শৃংখলে বাধা যে যেখানে শোষিত বাধ্য হয়ে এগোয় শোষকের কাছে , ঠিক যেনো লোভী শিকারীর ধারালো ছুরিকার নিচে অসহায় হরিনশাবক । পারবেন সেই অসহায় জীবন ফিরিয়ে দিতে , পারবেন তাদের পরিবারের স্বপ্ন ফিরিয়ে দিতে ? পারবেন না , পারবেন না কারন আপনারা ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছেন , আপনারা তাই আসল অপরাধীকে খুজে পান না ।
মাননীয় রাষ্ট্রপ্রতির (প্রধানমন্ত্রীর কাছে করতে করতে ফেড আপ, কাম হয় না) কাছে আমার আকুল আবেদন থাকবে তিনি যেনো মাননীয় মন্ত্রীমহোদয়দের মদ গেলার পরিমান নির্দিষ্ট করে দেন আর নতুন একটা আইন কারা হোক যাতে সরকারের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি যেনো আর কোনোদিন মদ্যপ / মাতাল অবস্থায় মিডিয়ার সামনে জনগনের জন্য কোনো বানী প্রসব না করেন ।
©somewhere in net ltd.