নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Jokiad

Jokiad › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের মৃত্যুর পর যা হয়

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৫

মনপাখি উড়াল (হৃদযন্ত্র বন্ধ) দিলে দেহ ধীরে ধীরে পচন ধরে। তবে দেহের সব অংশ একসঙ্গে পচন ধরে তা কিন্তু না। মৃত্যুর পর মুহূর্ত থেকে কোন কোন পথ ধরে শরীর পচতে শুরু করে তা তুলে ধরা হলো-

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, মানুষের মৃত্যু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের সব কোষ মারা যায় না। যখন হৃদযন্ত্র তার পাম্প করা বন্ধ করে তখন অন্যান্য কোষগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আর অক্সিজেন পাওয়া বন্ধ হলে পেশীগুলো ধীরে ধীরে শিথিল হতে থাকে। পাশাপাশি অন্ত্র এবং মূত্রস্থলী খালি হতে শুরু হয়।

শরীরের মৃত্যু ঘটলেও অন্ত্র, ত্বক বা অন্য অংশে বসবাসকারী প্রায় একশো ট্রিলিয়ন ব্যাক্টেরিয়া তখনও জীবিত থাকে। আর এরপর শরীরের অভ্যন্তরে যা যা ঘটে তা ওই জীবিত ব্যাক্টেরিয়ার ফলেই ঘটে।

শরীরের মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম শরীরের কোন পরিবর্তন আসে? প্রথমেই হয় অ্যালগর মরসিট ঘরের তাপমাত্রায় না আসা পর্যন্ত শরীরের তাপমাত্রা প্রতি ঘণ্টায় ১.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট কমতে থাকে।

লিভোর মরটিস বা লিভিডিটি: এ ক্ষেত্রে শরীরের নিচের অংশের রক্ত এবং তরল পদার্থ জমা হয়। মৃতের ত্বকের আসল রঙ বদলে ক্রমশ তা গাঢ় বেগুনি ও নীল রঙে বদলে যেতে থাকে।

রিগর মরটিস: শেষে শরীরে রিগর মরটিস হয়। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ক্ষরণের ফলে পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এই অবস্থা থাকে। এখানে একটা বিষয় আমরা দেখি কোনো কোনো মৃতের চোখ খোলা থাকে এর কারণও কিন্তু রিগর মরটিসের ফল।
এরপর শরীরে পচন ধরতে শুরু করে। মৃত্যুর পর রক্ত চলাচল বন্ধ হয়। এর ফলে কার্বন-ডাইঅক্সাইডের গঠন শুরু হয় আর অম্লের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাই কোষগুলিতে ভাঙতে শুরু করে। ২ থেকে ৩ দিনে শরীর পচতে থাকে। পরিপাক নালীতে থাকা ব্যাক্টেরিয়া এবং আণুবীক্ষণিক প্রাণীরা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তলপেট সবুজ বর্ণ ধারণ করে এবং তাতে গ্যাস তৈরি হয়। তার চাপে শরীরের মল-মূত্র নিষ্কাশিত হয়। পিউট্রেসিন এবং ক্যাডাভেরিনের মতো জৈবিক যৌগ শিরা-উপশিরায় ছড়িয়ে পড়ে। দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। এই গন্ধই মৃতদেহের অন্যতম বৈশিষ্ট। নেক্রোসিস পদ্ধতিতে এরপর শরীরের রং সবজেটে থেকে কালো রঙ ধারণ করে।

মৃতদেহে পোকা আমরা পোকা দেখতে পাই। মূলত পোকারা দুর্গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মৃতদেহে বাসা বাঁধে। সেখানে শুধু তারা বাসাই বাঁধে না ডিমও পারে। মাত্র ডিম ফুটে বের হওয়া ওই কীটরা এক সপ্তাহে শরীরের প্রায় ৬০ ভাগ খেয়ে সাবার করে দিতে পারে।

এতোক্ষণ যা জানানো হলো তা শুধু মৃত্যুরে প্রথম সাতদিনের কাহিনী। এরপর ধীরে ধীরে প্রাণহীন মানবদেহ মাংস-চামড়ার খোলস পচে গলে পরিণত হয় হাড়ের কঙ্কালে।এরপর শরীরে পচন ধরতে শুরু করে। মৃত্যুর পর রক্ত চলাচল বন্ধ হয়। এর ফলে কার্বন-ডাইঅক্সাইডের গঠন শুরু হয় আর অম্লের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাই কোষগুলিতে ভাঙতে শুরু করে। ২ থেকে ৩ দিনে শরীর পচতে থাকে। পরিপাক নালীতে থাকা ব্যাক্টেরিয়া এবং আণুবীক্ষণিক প্রাণীরা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তলপেট সবুজ বর্ণ ধারণ করে এবং তাতে গ্যাস তৈরি হয়। তার চাপে শরীরের মল-মূত্র নিষ্কাশিত হয়। পিউট্রেসিন এবং ক্যাডাভেরিনের মতো জৈবিক যৌগ শিরা-উপশিরায় ছড়িয়ে পড়ে। দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। এই গন্ধই মৃতদেহের অন্যতম বৈশিষ্ট। নেক্রোসিস পদ্ধতিতে এরপর শরীরের রং সবজেটে থেকে কালো রঙ ধারণ করে।

মৃতদেহে পোকা আমরা পোকা দেখতে পাই। মূলত পোকারা দুর্গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মৃতদেহে বাসা বাঁধে। সেখানে শুধু তারা বাসাই বাঁধে না ডিমও পারে। মাত্র ডিম ফুটে বের হওয়া ওই কীটরা এক সপ্তাহে শরীরের প্রায় ৬০ ভাগ খেয়ে সাবার করে দিতে পারে।

এতোক্ষণ যা জানানো হলো তা শুধু মৃত্যুরে প্রথম সাতদিনের কাহিনী। এরপর ধীরে ধীরে প্রাণহীন মানবদেহ মাংস-চামড়ার খোলস পচে গলে পরিণত হয় হাড়ের কঙ্কালে।

লিংকঃhttp://www.somoyerkonthosor.com/news/134807

লেখাটি বেশ দারুন লেগেছে।তাই শেয়ার করলাম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.