নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা ডিম বাইরের আঘাতে ভাঙলে ভেতরের জীবনটা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ভেতরের আঘাতে ভাঙলে সেখান থেকে নতুন একটি জীবনের সূচনা ঘটে।\n\nসুতরাং ভাল কিছুর সূচনা ভেতর থেকেই শুরু হয়। তাই আমাদের উচিত ভেতরটাকে সাদা করা ।

জ্যাস বলেছেন যে

জ্যাস বলেছেন যে › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথা হচ্ছিল মরহুম আইনুদ্দিন আল আজাদ সাহেব নিয়ে এক ভাইয়ের সাথে..

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২২

কথা হচ্ছিল মরহুম আইনুদ্দিন আল আজাদ সাহেব নিয়ে এক ভাইয়ের সাথে । কেবল মাত্র আজাদ সাহেবের গলার আওয়াজ ভাল লাগে বলে , কেউ যদি কিছু কয় তাকে নিয়ে প্রয়োজনে খুন করতে প্রস্তত এই ভাইটি......

ক্যাম্পাসে চা খেতে খেতে কথা হচ্ছিল । ওনার রিংটোনেও দেখি আইনুদ্দিন সাহেব , "কি হবে বেছে থেকে..." অনেক তক্কিঝক্কির পর শুধুমাত্র বলেছি ভাই , ভালবাসার মূলে গলার আওয়াজ না হয়ে আল্লাহর রাজিখুশিই হওয়া উচিত...।।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে সবচয়ে নাখোস আছি আইনুদ্দিন সাহেবের ওপর । গোটা চমমোনাই সম্প্রদায়ের মধ্যে সিরিয়াল করলে আমি এনাকেই আগে রাখব নাখোস লিস্টে । আপনি হয়তো বলবেন ভাই , এতবড় বড় বেদাতি থাকতে অই শিল্পিটাকেই কেন ?

এ ব্যাপারে আমার একটা লজিক আছে । আজ আপনাদের সাথে সেয়ার করছি । বহুদিন আগে । আব্বাজান আমাকে পাঠালেন চরমোনাইতে , যাওয়ার সময় বললেন জীবনের প্রথম সফর তোমার সাবধানে যেও । আমি জামায়াতে ইসলামি করি ।তোমাকে চরমোনাইতে পাঠাচ্ছি কারন তুমি বুঝতে পারবে কেন আমি ও পথে নাই । অনেক এক্সাইটেড ছিলাম যেহুতু আব্বাজান নিজেও তাসাউফের আদলে চলা লোক তাই ছোট কাল থেকে প্রায়ই শুনতাম একজন বরিশাইল্লা পীর আছেন যিনি মেল্লা বড় । সেই শোনা থেকেই একটা ঝোক ছিল । যাইহোক আমার তখন খুব একটা বয়স ছিল না তবে বুঝতাম অনেক কিছুই । প্রায় দুই দিন পর সেখানে পৌছলাম আমরা । যথারীতি বিভিন্ন সময়ান্তে বিভিন্নভাবে বয়ান চলে । এর মাঝে মাঝে কলরবের কাহিনী ফিট থাকে । তো বয়ান চলছে ভাল কথা । সবাই আঠার বস্তার মত ঠেসে ঠেসে মহব্বতের সাহিত বসিয়া শুনছি । না বুঝলেও শুনতে ভাল লাগে তাই শুনিতেই আছি মনযোগ দিয়া । হঠাৎ দেখি স্টেজে দেড় দুইফুটি একটা পিচ্চি হুজুর মস্তানি দেখাচ্ছে । মানে সেইরকম ইনস্ট্রাকশন ছুড়তেছে । জনগনের মাঝে আবার চেখি চাঞ্চল এসে গেল যারা ঠেসে ঠেসে ছিল তারা এখন স্পেস নিয়ে বসতে লাগল । ওদিকে দেখি পিচ্চি হুজুর মাইক স্টান্ড থেকে খুলে হাতে নিয়ে সামা গাওয়া শুরু করলো । যাহাকে কোনভাবেই ইসলামি সংগীত বলা যায়েজ হইবে না । কারন এগুলা আমরা ভালই জানি । ছোটকাল থেকে আমরাও নিজের এলাকায় শুনিয়া আসিতেছি । যাইহোক সে যেই দুই লাইন শেষ করেছে অমনি দেখি ঝড় শুরু ! কইলাম , কিরে নাই বাতাস , নাই পানি অথচ ঝড় অনভূত হয় ক্রেরে ? চাইয়া দেখি উপরে সাইমনা ঢুলে , বাঁশ নরে । আরও চক্ষু নিবেশ করিয়া দেখি ওমা এটাতো ইনসানি ঝড় , হিউমান টব্বাটব্বি । আমার সম্পর্কের এক দাদাকে ঘটনা কি জানতে চাইলাম । সে কয় ইস্ক জাগিছে বেবাগের । মাওলারে পাইতে গেলে এভাবে ঝাপা লাগে । এতে কোন মতে যদি একবার বাবার শিতল নয়নে ঠেকা যায় তবে আর কিছুই লাগবেনা । এক্ককেবারে জান্নাতের রাহবারি মিলবে ...।।

বাপু প্রায়ই আমাদের যে দিক্ষা দিতেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই জিকির বিষয়ক । আমি জানি আল্লাহ আমার ঘারের ও কাছে আছেন । আমি আল্লাহর নৈকট্ট পাইতে গেলে আমারে চিল্লাতে লাগবেনা । এই কথা যখন কইছি সে কয় , তোমারে না আনার সিদ্ধান্তই ভাল ছিল আমাদের । এদিকে যা বিদিকিস্তি লাফানি শুরু হইলো তাতে ভয় লাগতে লাগল কখন যে ভত্তা হইয়া যাই । স্টজের প্রায় ৩০ হাতের মধ্যেই ছিলামতো তাই নজরানা যা দেখছি তাতে অইদিনই ক্লিয়ার বাপুর কথা...

যাইহোক অই যে আইনুদ্দিন শুরু কইরা দিল ব্যস লাফানি আর থামে না । ক্ষনে ক্ষনে শুরু হয় , দুই মিনিট শান্ত থাকে আবার শুরু হয় । আমার অই বয়সে মনে হয়েছিল উহাদের কিছু কামড়ায় কিছুক্ষন পরপর মনে হয় , নাহলে এতো কুতাকুতি করে কেন । আবার একবার কানে আইলো কাহার যেন লুংগি ফারিয়া গিয়া উলঙ্গ হইইয়া গেল । লোক মুখে শুনিতে মিলিত এই গাট্টু হুজুর মূলত ইস্কের চুলকানি ভাইরাস । ইনি এসেই ভাসিয়ে দেন সেই চুলকানি । শুরু হয় সামা গাওয়ার খাউজানি । পরে বাবা আসিয়া মলম দেন ।

আইনুদ্দিন আল আজাত চরমোনাই দরবারে কালে কালে আরও ক্ষিপ্রতর ইস্কবান হয়ে গিয়েছিল । মারা যাওয়ার বছর অব্দি তার ইস্কর ধারেও কেউ যেতে পারত না । ঝাকানির এই পরম বেদাতের শুরুর দায়িত্বের জন্যাই সবচেয়ে বেশি নাখস আছি ওনার ওপর । যাইহোক আল্লাহ তাকে তার কর্মের ওপর বিবেচনা করে উত্তম যাযাহ দিক । আল্লাহ সকল ভ্রান্তবাদকে মুঝে দিক............।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.