![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আজ বড় একা তাইতো তোমাদের মাঝে।
এক লোক বাজার থেকে কিছু ফরমালিন মুক্ত আম কিনলো, এবং আমের অর্ধেকটা খেয়ে বাকী অর্ধেক সে ঘরের এক কোনে রেখে দিল। এবং ঘরের চতুর্দিকে সে বড় বড় করে লিখলো, . . এই আমরে উপর যদি কোন মাছি বসে, তাহলে তাকে ফাসিঁ দেওয়া হবে, তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু লিখলো। আচ্ছা বলুন তো মাছিরা কি এই সমস্ত আইনের কথা ভেবে আমের উপর বসা ছেড়ে দিবে? অবশ্যই না। কিন্তু যদি আম গুলোকে কোনো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়, তাহলে তার উপর কোনো মাছি বসবে না। চাইলেও বসতে পারবে না। এই ভাবেই আমাদের দেশে নারীদেরকে খোলামেলা চলাফেরা না করে, একটু ঢেকে/পর্দা করলে , ধর্ষন ইভটিজিং এর মত সামাজিক ব্যাধি অনেকাংশে কমিয় আনা সম্ভব, আর আমাদের দেশে কঠোর আইন তো রয়েছে-ই।
আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন কেন বললাম অনেকাংশে কমিয় আনা সম্ভব, পুরোপুরি সম্ভব না কেন ?
আসলে শুধু আইন করে, একটু- আধটু পর্দা করে, ধর্ষন ইভটিজিং এর মত সামাজিক ব্যাধি পুরোপুরি কমিয় আনা সম্ভব না।
তবে হাঁ, পুরোপুরি সম্ভব, যদি সকলের মধ্যে থাকতো সাহাবী আযমাঈনদের মত মজবুত ঈমান, ত্বাকওয়া, অন্তরে আল্লাহর ভয়
তাহলে ধর্ষন ইভটিজিং প্রতিরোধে আইন করার প্রয়োজন হত না । এখন এজন্য আইন করা হচ্ছে সমাজে যে নষ্ট লোকদের ছড়াছড়ি।
দেখুন না!! প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে কোটি কোটি নারী-পুরুষ হজ্ব ও ওমরা করতে মক্কা মদিনায় যান। নারী সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়, প্রায় ২৫/৩০ লাখ।
রাশিয়া, সিরিয়া, মরক্কো ও ইরানীসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অত্যধিক সুন্দরী নারীরাও এই হজ্বে অংশগ্রহণ করেন।
তখন প্রায় পুরুষের মত নারীদেরও পরনে থাকে সাধাসিধে পোষাক।
হজের বিধান হিসেবে নারীদের তখন চেহারা ঢাকাও নিষেধ। কিন্তু আপনারা কি কখনো শুনেছেন সেখানে গিয়ে কোন নারীকে যৌন নিপীড়নের শিকার হতে?
শুনেছেন কি কোন পুরুষকে কোন নারীর কাপড় টেনে খুলে দিতে?
গত ১৪০০ বছরের ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন। পারবেন না একটিও এমন ঘটনা দেখাতে। কারণ সেখানে কেউ নষ্টামি করতে যায় না,
সবাই আল্লাহর রহমতের আশায় যায়। তাদের অন্তরে আছে আল্লাহর ভয়, জায়গাটাও নষ্ট লোকদের নয় ।
©somewhere in net ltd.