![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৭ই এপ্রিল মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ভারত সফরে গেছেন।
অনেক কিছু জানা শুনা থাকলেও একটি কথা বারংবার ঘুরেফিরে আসছে,তা হলো ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি।এই প্রতিরক্ষা চুক্তি আমাদের জন্য কতোটুক উপকার বয়ে আনবে।
তা আমাদের কারো জানা নেই?
লাভবান আমরা বাংলাদেশীরা হব,না ভারতীয়রা হবে?
যুদি যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন খুঁজেন, তাহলে নানান কথা ঘুরপাক খাবে।।
যেহেতু বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ সেহেতু জনগণে কি চুক্তি হবে তা জনগণের মাঝে প্রকাশ করতে হবে।
..
প্রতিরক্ষা চুক্তি গুলো কি?
আমি যতোটুকু জানতে পারলাম।
তা হলো...
১.ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্থলপথ সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা।
২.ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সমুদ্র পথ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৩.আকাশ পথ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
(তার মধ্যে আমাদের আকাশে সেটেলাইট ব্যবহার)
আরো অনেক চুক্তি,যা আমাদের জানবার বাইরে।
৪.পারমাণবিকের সুষ্ঠ্য ব্যবহার নিশ্চিত করা।
বিনিময়ে ভারত আমাদের অস্ত্র কিনার জন্য ঋণ প্রদান করবেন,তাও আবার তাদের কাছ থেকে আমাদের অস্ত্র গোলাবারুদ কিনতে হবে।
এটা কতোটুকু আমাদের জন্য ভাল?
১.আমাদের স্থলপথ ব্যবহার করে ভারত তাদের দেশ রক্ষা করবে,সময় মতো তারা আমাদের দেশে রাজ চালাবে।
(অনেকে হয়তে জানেন ভারতের আসাম ও নাগলেন্ড রাজ্য গুলো,তারা নিজেরা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা রাষ্ট্র ঘঠন দাবী ও বিচ্ছিন্নবাদী অনেক ঘটনা হয়ে থাকে)
তাই তাদের প্রথম চুক্তি স্থলপথ,এবং সময় মতো আমাদের উপর রাজ করবে।
২.আমাদের সমুদ্র পথ ব্যবহার করে ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের খনিজসম্পদ নষ্ট দংশের পরিকল্পনা করছে,ও সুযোগ মতো স্থলপথ ও জলপথে আমাদের দেশ দখলের ফন্দি আঁটছে।
৩.আকাশ পথ ব্যবহার করতে দেওয়াটাও আমাদের ক্ষতি,কারণ এতে কোন সুফল আনবেনা আমাদের দেশের জন্য।ভারত সেটেলাইট ব্যবহার করে বা ড্রোন ব্যবহার অযথাই বোমা ফেলে বলতে পারে,জঙ্গী আস্তানা গুলো দংশো করা হয়েছে।
যেমনটা আমেরিকা আরব ও পাকিস্তানের সাথে করেছে।
(যাইহোক আকাশপথ ব্যবহার করতে দেওয়াটাও,আমাদের জন্য অমঙ্গলজনক)
৪.পারমাণবিক বোমার সুষ্ঠু ব্যবহার হবেনা,ক্ষতি করে দিবে আমাদের বনজাত সম্পদ।
এবং ধীরেধীরে ভারত আমাদের দেশ দখল করে নিবে।
আচ্ছা ভারত যদি আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রই হয় তাহলে আজদি তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি কেন?
আচ্ছা ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রই হয় তাহলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি কেন?
যুদি প্রশ্ন খুঁজি বহু প্রশ্ন খুঁজে পাওয়া যাবে,কিন্তু উত্তর কিছুই পাওয়া যাবেনা।
১৯৭১যুদ্ধের সময় কালে তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী তাইজুদ্দিন আহামেদ ভারতের সাথে যে চুক্তি গুল করেন তা পরবর্তী কালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাতিল করেন।
(যুদিও এ ইতিহাস গুল আমাদের জানা নেই)
বঙ্গবন্ধু চাইলে এমন চুক্তি বহু আগেই করতে পারতেন তা তিনি করেন নাই।ক্ষতি পরিমান বেশী হবে বলে।
চিনের সাথেও আমাদের কোন চুক্তি হয়নি এখনো,যুদিও হয়ে থাকে অসংজনিত চুক্তি বলে বিভেচনা করা হয়।
এই প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারত আমাদের চাপে ফেলে করতে চাচ্ছে।
আমি এই চুক্তি বিরোধী,এই চুক্তি হলে ভারতের উগ্র মৌলবাদ আর,এস,এস উপকৃত হবে।
ক্ষতি হবে বাংলাদেশের মানুষের।
...
বি:দ্র:আমি এই চুক্তির বিপরীত,কিন্তু কোন সম্প্রদায় ভিত্তিক আঘাত দেওয়া আমার কাম্য নয়।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২১
দরজার ওপাশে আমি বলেছেন: ভাল লিখেছেন , ধন্যবাদ। কিন্তু শুধু ভারতের প্রাপ্তির কথা জানলাম, বাংলাদেশের প্রাপ্তি খুব একটা স্পষ্ট হল না? নাকি আপনি জানেন না? আমি নিজেও জানি না । বিএনপি ও আওয়াম লীগ বিরোধী দল কেন জানি, ভারত প্রাপ্তির কথাই বেশী ফোকাস করছে । বাংলাদেশ কি কিছুই পাবে না????? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি এত টাই বোকা নাকি ??? দেখি একটু অপেক্ষা করে।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৫৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নিকট প্রতিবেশীদের সাথে প্রতিরক্ষা সমঝোতা খুবই প্রয়োজন।
এতে উভয় দেশের অকারন বিপুল প্রতিরক্ষা ব্যায় থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
পাকিদের মত ভারত যুযুর ভয় দেখিয়ে অর্ধশত বছর নাগরিকদের ভয় দেখিয়ে বেকুব বানিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা দেখিয়ে সামরিক শাসন চালিয়ে গেছে, জঙ্গি সন্ত্রাসিদের অস্ত্রদিয়ে ভেতরে পাঠিয়েছে।
১ ইঞ্চ জমিও দখল করতে পারেনি।
ভারত যুযুর ভয় দেখিয়ে পাকিরা বাংগালীদেরও বেকুব বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংগালীরা লাইথ্যাইয়া খেদায় দিছে।
তবে এখনো এদেশে পাকি চামচাদের প্রধান অস্ত্র "ভারত বিরোধীতা"
অকারণ প্রতিবেশী বিরোধিতা কাম্য নয়।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:০২
রিফাত হোসেন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী সাহেব একজন কট্টর ওয়ামী পন্থী
উনার মন্তব্য টা জুতসই হল না।
অন্তত পোষ্টের পয়েন্ট অনুযায়ী বিস্তারিত বললে খুশি হতাম!
পিছলানো মন্তব্য ভাল নয়।
উপরের পয়েন্টগুলি আদও চুক্তিতে আসবে কি না জানি না, তবে এগুলো ভাল যদি বলে থাকেন এই সরকারের, এই ধরনের চুক্তিতে যা পোষ্টে বলা হয়েছে তা গ্রহণীয় নয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যয় দিয়ে কি করব?
আমরা তো নিজেদের সীমান্তই ঠিকমত পাহাড়া দিয়ে রাখতে পারছি না অধিকন্তু সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী কর্তৃক বাংলাদেশী নিহত হচ্ছে, তা হতে পারে চোরাকারবারী বা ভিন্ন কোন কারনেই হোক। আমারা পাহাড়ায় রাখতে পারি নাই বিধায় ঘটনা বেশী হচ্ছে। সুতরাং আমারা অন্য দেশে গিয়ে নিশ্চয়ই সন্ত্রাসী দৌড়ানি দিতে যাব না! তাই না?
এটা ভারতের বেশী প্রয়োজন হতে পারে, বাংলাদেশের সীমানা ব্যবহারের। আমাদের ভারতের সীমানা নয়।
বরং আমরা রিকোয়েস্ট করলে তারা যদি রাজী হয় তাহলে তারাই সন্ত্রাসী উচ্ছেদ অভিযান করতে পারে তাদের সীমানায়।
তাদের থেকে অস্ত্র ক্রয়ের দরকারটা কি? (যদি চুক্তি থাকে) আবার তাদের থেকে ঋণ নিয়ে!
এখন এসব নিয়ে বললেই আমি পাকি চামচা হয়ে গেলাম, ????
@ব্লগার হাসা সাহেবের কাছে?
পয়েন্টে কথা বললে খুশি হব।
আমি রাজনীতি বুঝি কম।
খারাপ ভাল, লাভ লোকসান,প্রয়োজন অপ্রয়োজন, দূরদর্শীতা পারদর্শীতা বুঝি । তাই ভেঙ্গে বললে উপকৃত হতাম আপনি বা আপনারা কোনটা ভাল পয়েন্ট পাচ্ছেন ভারতকে যদি সামরিক সহযোগীতা বেশী দেওয়া হয়! বেশী এজন্য বলছি -প্রয়োজন তাদের এই ব্যাপারে, আমাদের নয়। (যদি চুক্তিতে থাকে)
তবে সবচেয়ে ভাল হবে wait & C কারণ আমরা জানি না, আমাদের প্রধান মন্ত্রী কি চুক্তি করবেন বা লুকায়িত(hidden) চুক্তিও আছে কিনা!
আরেকটা কথা পাকি পাকি না করাই ভাল। তাদের প্রতি অতি সহমর্মিতা আমারও নাই। পারলে পাকিস্তানী এ্যাম্বাসী বাংলাদেশ থেকে উঠায়া দেন বা আর্জি জানান, যেটা পারবেন না আর করবেন না।
আমি আর্জি জানালাম।
ব্যাংকে গেলে পাকি পতাকা তথা এ্যাম্বাসীর সামনে দিয়েই যেতে হয়।
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৪৮
মানবী বলেছেন: বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তার দল ভারত থেকে বরাবরই কুমিরই এনেছেন, সোনার হরিন কখনও এনেছেন বলে মনে পড়ছেনা।
উপরল্লিখিত চুক্তিগুলো সত্য হলে তা হবে দেশের সর্বভৌমত্য অফিশিয়ালি বিসর্জন দিয়ে ভারতের হাতে তুলে দেয়া।
আমাদের দেশের এক পাল নরাধম শুধু কী বোর্ড ঝড় তুলে মুক্তি যুদ্ধের গান গেয়ে যায় আর এধরনের দেশের স্বার্থ, স্বাধীনতা আর অস্তিত্ববিরোধী কার্যকলাপ দেখে লেজ গুটিয়ে গর্তে লুকিয়ে পড়ে। যারা খুব বেশী নির্লজ্জ তারা এসব দেশবিরোধী কাজের যুক্তি দিতে চেষ্টা করে!
"এই চুক্তি হলে ভারতের উগ্র মৌলবাদ আর,এস,এস উপকৃত হবে।
ক্ষতি হবে বাংলাদেশের মানুষের।"
- যাদের দীর্ঘ আট বছর ধরে ক্ষমতায় বসিয়ে রেখেছি তারা যেহেতু এ্সব আরএস্এস, বিজেপির সামনে নতজানু হয়ে পদলেহনে ব্যস্ত, সেখানে এমনটাই তো হবার কথা।
আওয়ামিলীগের মগজধোলাইকৃত ক্রীতদাসের পাল আপনার পোস্ট, আমার মন্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দুর্গন্ধ পেয়ে যাবে, আর তাদের দলীয় প্রভু দেশ বিকিয়ে দিলেও সেখানে মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির সুগন্ধি খুঁজে পায়। এমনই নির্বোধ আর দেশপ্রেম বর্জিত এরা।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ দয়াল ভাই।
৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫০
রিফাত হোসেন বলেছেন: হাসান সাহেব রাগ করবেন না, ভুলে ``@ব্লগার হাসা সাহেবের কাছে?`` লিখেছিলাম, টাইপিং এ ভুল।
এটা হবে @ব্লগার হাসান সাহেবের কাছে? _________------
মাত্রই খেয়াল করলাম। আপনি পুরান ব্লগার কিনা.. মাইন্ড টাইন্ড করলে তো সমস্যা ।
৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৯
দয়াল ভাই বলেছেন: হা হা হা
৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৮
দয়াল ভাই বলেছেন: আমি দুঃখিত,আমি পেপারে পড়লাম এই সব গুলোই প্রাপ্তি।গতো কয়ক দিন আগে DBC News এক টকশো তে ভাতের প্রাপ্তি কথাটাই বেশী বলেছে।এমন কি সাংবাদিকরাও বলেছেন,বাংলাদেশ সরকার এক কথায় চাপে পড়ে চুক্তি করতে চাচ্ছেন।
ভারত থেকে প্রাপ্তি আমাদের অস্ত্র কিনার জন্য ঋণ দেবেন ও এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মিল বন্ধন করা হবে।সুনীধিষ্ট কোন প্রাপ্তি পাবে কি না জানি না।
৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২৬
দয়াল ভাই বলেছেন: আমি জানি অতশত বুঝি না।
আমি একজন বাংলাদেশী আমি একজন বাঙ্গালী আমাদের রক্তে লেখে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।
কি বিরোধী বা পাকি দালাল আমি নই।
সুনিদ্ধিষট তথ্য জানা থাকলে বলুন।
আমার রক্তে লেখ স্বাধীনতা।
বুঝে নিবেন।
১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩০
দয়াল ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
ভুল করলেই জামাতি আর পাকিস্তানি।
১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: কুমির অনেক দিন আগেই ঢুকিয়েছেন
১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভারতের সংগে কোন চুক্তিতেই বাংলাদেশ লাভবান হয়নি। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য বাংলাদেশের সবস্বার্থকে জলাঞ্জিলী দিয়েছে। ফরেন এফেয়ার্সে চেতনা ধারী দলীয় চামচা নিয়োগ দিলে কখনই চুক্তিতে সুবিধা করতে পারবেনা।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি উনাকে ভোট না দেয়ায়, উনি উনার পথে খুঁজছেন।