![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ম পর্ব।
....
ধর্ষণকারীর বিচার চাই চাই,
বলে অনেকেই মানবন্ধন স্লোগান দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতিবাদ করছেন।
কিন্তু বাস্তব প্রেক্ষাপট কি?
.....
একজন ধর্ষিতা মেয়ে যখন তার জীবন কে আবার নতুন করে সাজাতে চায়,তা আর কখনো সম্ভব হয়ে উঠে না।
কারণ সে একজন ধর্ষিতা নারী,
সমাজ তাকে কখনো নতুন জীবন সাজাতে দিবে না বলেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
পাশের বাড়ির কাকিমা-চাচিমারাও এক কান দু কান করে বলে,..
ভাবি জানেন পাশের বাড়ি অমুকের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে,..
আর এক ভাবি বলে,.
ভাবি এক হাতে কি তালি বাজে?
নিশ্চয় মেয়েটি মাগি ছিলো বলেই এমন হইছে।
এই কাকিমারাও ভুলে যায় তাদের ঘড়ে একজন মেয়ে আছে।
পাড়া ছেলেরাও যখন ধর্ষিতা মেয়েটিকে দেখে বলে দেখ খানকি মাগিটা হেটে যাচ্ছে।
একদিন এরাই প্রতিবাদ করে বলেছিল ধর্ষণকারীর বিচার চাই।
তবুও সহ্য করে মেয়েটি নতুন জীবন চায়,সে আশায় যখন সে স্কুল কলেজে যায়,
তখন মাষ্টার মশাই বলেন,
এটা কোন পতিতালয় না।
তবুও চায় নতুন জীবন ধর্ষিতা মেয়েটি।
সে যখন তার প্রিয়ো বন্ধু বান্ধবী আত্মীয়র বাড়ি যায়
তখন তারাও গোপনে বলে,
এই মাগি সিনাল কে বাসায় আনলি কেন?
এর সাথে চলবি না,
ধর্ষণ কি শুধু শুধু হয়,এটা মাগি বলেই এমন হইছে।
তবুও সে চেষ্টা করে বাঁচবে বলে।
কোন ছেলেও যদি বিয়ের জন্য প্রস্তব পাঠায়,
তার আত্মীয় অনাত্মীয় বন্ধুরা বলে উঠে,
দেশে কি মেয়ের অভাব,পতিতা ধর্ষিতা মেয়েকে বিয়ে করবি!
এভাবে সমাজ রক্ষার জন্য ধর্ষিতা মেয়ে কে কেউ আপন করতে চায় না।
কারণ মেয়েটি ধর্ষিতার খাতায় নাম লিখিয়েছে।
সমাজের এই কান ঐ কান কথা শুনে
প্রিয় বাবা বলে উঠে মা তুই মরে যা।
আর নয়তো বাড়ি ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যা।
কিন্তু মেয়েটি যাবে কোথায়?
যে মা গর্ভধারণ করলো
সে মাই বলে উঠে,
আগে জানলে তকে পৃথিবীতে আসতে দিতাম না,
আর যদি জানতাম এমন হবে,তাহলে তর জন্মের পর গলা টিপে হত্যা করতাম।
তুই মর,
আমাদের বাঁচতে দে মা।
তখন সে ধর্ষিতা মেয়ে কেঁদে বলে আল্লাহ্ কেনোই আমি মেয়ে হয়ে জন্মো নিলাম?
একবার সে ধর্ষিত হলো কিছু নরপিশাচের কাছে,
আর একবার ধর্ষিত হলো সমাজের মুখের কথার কাছে।
সমাজে কোন ধর্ষিতার নতুন করে চলার অধিকার নেই।
কিন্তু একজন পর্ণস্টার আমাদের কাছে অনেক দামী।
ধর্ষিতাকে গ্রহণ করব না,
পর্ণস্টার কে গ্রহণ করবে সমাজ।
তখন উপায় না পেয়ে ধর্ষিতার কাছে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপয় থাকে না।
কারণ সমাজ তার সাথে তার মা বাবা কেও বাঁতে দিবে না,
কারণ ধর্ষিতার মা-বাবা।
বাঁচতে দিব না।
(চলবে)
২| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫১
দয়াল ভাই বলেছেন: হ্যা আপনার কথায় আমি সহমত প্রকাশ করলাম।
৩| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫৯
মাকামে মাহমুদ বলেছেন: অনেকগুলো বাস্তব সত্য বলার জন্য ধন্যবাদ।আর হ্যাঁ বানানের ব্যাপারে আরেকটু সচেতন হওয়ার অনুরোধ রইল।
৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০৫
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: এখন তো বেশিরভাগ সময় ধর্ষণের পর ধর্ষিতাকে হত্যা করা হয়। আর যদি দয়া করে ছেড়েও দেয় তবে সমাজ ধর্ষিতাকে হত্যা করে। ধর্ষিতার কোনো রেহাই নেই। হায় সমাজ! হায় ধর্ষিতা!
৫| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৩০
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: ধর্ষণের পর হত্যা করা হচ্ছে, তবুও একটি পর্যন্ত ফাঁসি দেখলাম না। ধর্ষণও থামলো না। আস্তে আস্তে দেশ বিভাগ জেলা ছাড়িয়ে এবার আমাদের প্রত্যেকের মা বোনের দিকে ওদের নজর। সাবধান সবাই। জেগে ওঠো একবার। একটি ফাঁসিই পারে শত শত ধর্ষণ রুখে দিতে।
৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: কঠিন এবং আইনের সঠিক প্রয়োগই পারে ধর্ষণ বন্ধ করতে।
৭| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৬
নতুন বলেছেন: এটা ছিলো এক সময়... তবে এখন সমাজ বদলাবে। ++
৮| ০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০
দয়াল ভাই বলেছেন: অবশ্যই ভাই যথাসম্ভব চেষ্টা চালাবো সঠিক বানানের জন্য।
৯| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১০
দয়াল ভাই বলেছেন: অবশ্যই চেষ্টা করবো বানানে সতর্ক হওয়ার জন্য।
১০| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১১
দয়াল ভাই বলেছেন: হ্যা ভাই ঠিক
১১| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৪
দয়াল ভাই বলেছেন: টাকা ছাড়া বিচার হয় না,আমি বাস্তব প্রমাণ।
আমার পরিবারে এমন ঘটনা ঘটেছে আমরা মামলায় জিতেছি শুধু টাকার জোড়ে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৯
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: "বিচারহীনতা-ই অপরাধ প্রবণতার প্রধান কারণ।"