![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে আলিঙ্গন করতে যদি মরণমরণও আসে,ফাঁসির দড়িতে যেন মুচকি হাসে!
‘…এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান/ জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে/ চলে যেতে হবে আমাদের।’ কবিতার এই ক’টি লাইন অকালপ্রয়াণ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের। সুকান্ত ‘ছাড়পত্র’র এই লাইনগুলোর মাধ্যমে শিশুদের জন্য পৃথিবীতে জায়গা করে দিয়ে জঞ্জাল পরিষ্কার করে দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, পৃথিবী থেকে আমাদের চলে যাবার সময় হয়েছে। বর্তমান সে জায়গাটি শিশুদের।
তবে শিশুদেরকে নিয়ে তাঁর এই ছাড়পত্র আজকের দিনে কি ছাড় পেয়েছে? বিশ্বযুদ্ধ, ভিয়েতনাম থেকে শুরু করে সিরিয়া সঙ্কটে শিশুরা কীভাব বলি হয়েছে বা হচ্ছে যুদ্ধবাজদের অমানবিক নীতির জন্য, ইতিহাস তার সাক্ষী রয়েছে। সম্প্রতি সমুদ্রতটে আইলানের নিথর শরীর বিশ্বকে দুলিয়ে দিয়েছে। কী বিভীষিকাময় একটি ছবি! মানবাধিকার, শিশু অধিকার নিয়ে যখন বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আত্মতৃপ্তি ও আত্মশ্লাঘার কোনো শেষ নেই, ঠিক সেই মুহূর্তে মানবতার এই লজ্জা, এই গ্লানি আমরা কী দিয়ে ঢাকব? আর বাংলাদেশের চিত্র যেন আরও ভয়ানক।
প্রবাদ আছে- ‘বিদেশে কী রাজ্যে যার পুত্র মারা যায়/ পশুপঙ্খী না জানিতে আগে জানে মা-য়’। এই প্রবাদের অর্থ বুঝাতে ব্যাখ্যা করা খুব একটা প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। এটা সর্বজনবিধিত যে, মায়ের অগোচরে যদি সন্তানের কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তবে কেউ জানার আগেই মায়ের বুকটা ধড়ফড় করে ওঠে। মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক এতোটাই নিবিড়।
কিন্তু এ কী দেখলাম আমরা! মায়ের আঁচলের নিচে রেখেই দুই দুইটি সন্তানকে নিজ হাতে হত্যা করেছেন মা। তাও একদম ঠা-া মাথায়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বনশ্রীতে দুই ভাই-বোন নুসরাত আমান (১২) ও আলভী আমানকে (৬) তাদের মা খুব স্বাভাবিকভাবেই হত্যা করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। অথচ বিজ্ঞান বলে, মায়ের কাছে তার সন্তান সবচেয়ে নিরাপদ। সেই নিরাপদ স্থানের জায়গাটি এমন বীভৎস হলো কেমনে? সন্তান যেন থাকে ‘দুধে-ভাতে’, এটিও মায়ের চাওয়া নয় কি! সেই মা কীভাবে এতো নৃশংস হতে পারেন!
বলা হয়, পিতা-মাতার পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। সন্তানের মুখ না দেখলে যেখানে বাবা-মায়ের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়, সেই পিতা-মাতার হাতেই যখন সন্তানের রক্তের দাগ লাগে, তখন বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে পারিবারিক বন্ধনের দৃঢ়তা সত্যিই প্রশ্নবিদ্ধ। পিতামাতার হাতে সন্তান হত্যার এমন পৈশাচিকতা শুধুমাত্র আইন করে কিংবা পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন অভিভাবক মহলে সচেতনতা বৃদ্ধি।
২০১৫ সালে সিলেটে রাজন ও আবু সাঈদ, খুলনায় রাকিব, বরগুনায় রবিউল হত্যার পর মাত্র কয়েকটা দিন বন্ধ ছিল শিশুহত্যা। তারপর চলতি বছরের শুরুতেই হবিগঞ্জে চার শিশু খুন দিয়ে শুরু হলো আবার সেই নৃশংস চিত্র। কোন সমাজ এটা। শুধু শিশুদেরই টার্গেট করা হয় কেন? বড়দের দ্বন্দ্বের বলি শিশু হবে কেন?
সাম্প্রতিক সময়ে শিশু রাজন নির্যাতন সবচেয়ে আলোচিত একটি ঘটনা। এই মামলার রায় ইতোমধ্যে হয়েছে। ১৩ বছরের শিশু সামিউল ইসলাম রাজনের শরীরে ৬৪টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ ২৮ মিনিট ধরে চলে তার ওপর নির্যাতন। এ নির্যাতনের পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও করে নির্যাতনকারীরাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
রাজন হত্যার মাস দু’এক আগে সিলেট নগরীতেই ঘটে আরেক পৈশাচিক শিশু হত্যা। খোদ এক পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে এ হত্যার শিকার হয় নগরীর কুমারপাড়ার স্কুলছাত্র আবু সাঈদ (৯)। ঘাতকরা সাঈদকে অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল। শিশুটির অভিভাবকরা বিষয়টি প্রশাসনের সাথে আলোচনার পরপরই খুন হয়ে যায় আবু সাঈদ। ৮টি বস্তা দিয়ে মুড়িয়ে পুলিশ সদস্য এবাদের বাসার চিলেকোঠায় রেখেছিল তার বস্তাবন্দি লাশ।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) তথ্যমতে, ২০১২ সালে হত্যাকান্ডের শিকার হয় ২০৯ জন শিশু। এছাড়া আরও ৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ২০১৩ সালে হত্যা করা হয় ২১৮ শিশুকে এবং হত্যার চেষ্টা করা হয় ১৮ শিশুকে। ২০১৪ সালে ৩৫০ শিশু হত্যাকান্ডের শিকার হয়। হত্যার চেষ্টা করা হয় ১৩ শিশুকে। ২০১৫ সালে হত্যাকা-ের শিকার হয় ২৯২ শিশু।
চলতি বছরের চিত্র যেন আরো ভয়াবহ। বছরের প্রথম দেড় মাসেই ৩৭ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। গড়ে দিনে একজন করে হত্যার এই পরিসংখ্যান বছর শেষে গিয়ে কোথায় থামবে, তার যেন কোনো সীমা নেই। বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসে শিশু হত্যার আরও করুণ চিত্র ওঠে আসে। হবিগঞ্জে বড়দের বিরোধের জেরে এক সাথে চার চারটি শিশুকে হত্যা করে বালুচাপা দিয়ে রাখা হয়।
সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের বিষয়, পেশাদার খুনিদের চেয়ে শিশুরা বেশি খুন হচ্ছে পরিচিতজন ও আত্মীয়স্বজনের হাতে। এমনকি মা-বাবার হাতেও শিশু খুন হওয়ার ঘটনাও কম নয়। ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট খুলনায় ১১ মাসের কন্যা সুমাইয়াকে হত্যা করেছে মা-বাবা। রাজধানীর আদাবরে শিশু সামিউল হত্যা, সবুজবাগে রিয়া হত্যা ও পুরান ঢাকার শিশু তানহা হত্যার রক্তও লেগে আছে মা-বাবার হাতে। পরিসংখ্যান বলছে, শুধু ২০১৫ সালের প্রথম ছয় মাসেই মা-বাবার হাতে খুন হতে হয়েছে ২৭ শিশুকে। এর মধ্যে মায়ের হাতে খুন হয়েছে ১৩ শিশু এবং বাবার হাতে খুন হয়েছে ১৪ শিশু। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে মায়ের আঁচলের নিচে থেকে সেই মায়ের হাতেই খুন হয় দুই শিশু।
হত্যার শিকার শিশুর তালিকা লম্বা হলেও বিচারের তালিকা খুব ছোট। বেশির ভাগ শিশুহত্যার বিচারের জন্য স্বজনদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে বছরের পর বছর। কোথাও মামলা হওয়া নিয়ে গড়িমসি, কোথাও তদন্তে গাফিলতি, আবার কোথাও বিচার কার্যক্রমেই কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
তবে বিচারের এত সব অনিশ্চয়তা বা অপেক্ষার মধ্যে স্বজনদের জন্য কিছুটা হলেও আশার আলো জাগিয়েছে সিলেটের রাজন ও খুলনার রাকিব হত্যার বিচার। বলা যায়, কম সময়ের মধ্যেই এ দুই খুনের ঘটনায় রায় হওয়ায় কিছুটা হলেও দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। বিচার পাওয়ার আশা জেগেছে সকলের মনে।
সমাজে প্রচলিত কথা, শিশুরা ফুলের মতো পবিত্র, শিশুরা নিষ্পাপ, কোমল-মমতার যোগ্য শিশুদের ‘দেবশিশু’র সঙ্গে তুলনা করেন কেউ কেউ। অথচ এই কোমলমতি শিশুদের ওপর আঘাতের প্রবৃত্তি হয় কীভাবে? কীভাবে হবিগঞ্জের বাহুবলে পঞ্চায়েত বিরোধের কারণে এক সাথে চার শিশুকে গলা টিপে হত্যা করা হয়! পরে আবার লাশগুলো বালু চাপা দেয় হয়!! ঘটনাটি সকলেরই জানা। নিহত শিশুরা হলো স্থানীয় আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) এবং আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)। আসামীরা গ্রেফতার হয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। তারা অকপটে বর্ণনা করে গেছে, চার চারটি শিশুকে কত নৃশংস আর বীভৎসভাবে হত্যা করে বালুচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। ঘাতকের হাত তাদের গলায় বসে কীভাবে? কিংবা ঘাতকের ছোরা ও ধারালো হাতিয়ার? ভাবা যায় না। একাত্তরের নিষ্ঠুরতা দেখা ও শোনার পরও বাঙালি কীভাবে শিশুহত্যায় অংশ নিতে পারে?
অপরাধীরা প্রতিশোধ নেয়ার সহজ উপায় হিসেবে শিশুদের টার্গেট করছে। শিশু হত্যা ও অপহরণ অন্য অপরাধের চেয়ে সহজ। দুর্বৃত্তরা ব্যক্তির উপর ক্ষোভ চরিতার্থ করছে তাদের সন্তান বা নিকটাত্মীয় দুর্বল শিশুদের হত্যা ও নির্যাতনের মাধ্যমে। পারিবারিক কলহ, সামাজিক দ্বন্দ্ব কিংবা ব্যবসায়িক টানাপোড়েন- সবক্ষেত্রেই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে শিশুদের প্রতি সহিংস আচরণ বেড়েছে। এভাবে একের পর এক শিশুর প্রতি সহিংসতা আর হত্যাকে বিশ্লেষকরা দেখছেন সমাজের ভয়াবহ চরিত্রের একটি দিক হিসেবে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘শিশুর প্রতি এই নির্মম সহিংসতার প্রধান কারণ বিচারহীনতা৷ এছাড়া নির্যাতিত এবং নিহত শিশুদের অধিকাংশই নি¤œবিত্ত পরিবারের৷ ফলে বিচার পাওয়া তাদের জন্য বেশ দুরূহ।’ তবে তিনি মনে করেন, ‘আমাদের সমাজ শিশুদের জন্য এখনো যথেষ্ট সভ্য হয়ে ওঠেনি৷ এখানে শিশুদের প্রতি নির্মম আচরণ এবং সহিংসতা সাধারণভাবেই নেয়া হয়৷ দু-একটি ঘটনায় হয়তো সংবাদমাধ্যমের কারণে ব্যাপক আলোচনায় আসে৷ তখন মানুষ প্রতিবাদী হয়৷ কিন্তু এটা ব্যতিক্রম৷ শিশুদের প্রতি সহিংসতা এখানে অতি সাধারণ ঘটনা৷’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ জরিপে জানা গেছে, দুই তৃতীয়াংশ শিশু তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারাই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হয়৷ আর নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুদের মধ্যে ৭৭ ভাগের বয়স চার থেকে ১২ বছরের মধ্যে৷
শিশুনির্যাতন বন্ধে ২০১৩ সালে শিশু অধিকার আইন করা হলেও এখনো বিধি করা হয়নি। আইনের প্রয়োগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কার্যকর ভূমিকা পালন করেন না। এগুলো শিশুহত্যা মহামারিতে পরিণত হওয়ার অন্যতম কারণ। শিশুহত্যার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা ও বিচারের জন্য জোরালো জনদাবি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত বছর সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন ও খুলনায় মোহাম্মদ রাকিব হত্যার বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদী হয়ে রাস্তায় নামার পর দোষীরা দ্রুত সাজা পায়।
এখন প্রায় প্রতিদিন টিভি কিংবা পত্রিকা খুললেই কোনো না কোনো শিশুনির্যাতন, শিশু অপহরণ, শিশুহত্যার ঘটনা থাকবেই বা চোখে পড়ছেই। এই যদি হয় গণমাধ্যম বা পত্র-প্রত্রিকার অবস্থা, তবে তার বাইরে কী অবস্থা তাতো সহজেই অনুমান করা যায়।
শেষ করছি সুকান্তের সেই ‘ছাড়পত্র’ কবিতা দিয়েই। ‘…চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল/ এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি-/ নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’
সভ্যতার এই শিখরস্পর্শী অগ্রযাত্রারকালে, পারিপার্শ্বিক অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমাদের প্রিয় এই পৃথিবীটি ক্রমেই শিশুদের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আমরা কি আমাদের শিশুদের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলব না? অনাগত প্রজন্মকে একটি সুস্থ সমাজ, একটি নিরাপদ আবাসভূমি তৈরি করে দেয়ার দায়িত্ব কি আমাদের নয়? আমাদের নতুন দিন শুরু হোক শিশুদের প্রতি ভালোবাসা দিয়ে। ধ্বংসস্তূপ থেকে তৈরি হবে নতুন সূর্যের।
১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৩
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫০
বিজন রয় বলেছেন: হায়রে আমার মানুষ!!
১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৫
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: আমরা মানুষ,হয়ে গেছি দানব।
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৯
সাগর মাঝি বলেছেন: মানুষ আর মানুষ রইলো না। অমানুষে পরিণত হচ্ছে সবাই।
১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৭
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: পৃথিবীর মানুষগুলো দানবে পরিণত হচ্ছে।
৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৬
শরীফ বিন ঈসমাইল বলেছেন:
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪
বিএনপি ডটকম বলেছেন: আমরা কি মানুষ,নাকি দানব?
১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০২
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: চমৎকার তথ্য বহুল পোষ্ট। আমরা বর্বর জাতিতে পরিণত হচ্ছি।