নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিউজিয়ামের সামনে অপরূপা বানপো রমনীর ভাস্কর্য নির্মিত ফোয়ারা
ইতিহাস থেকে জানতে পারি যে প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের এই বিশ্বের বিভিন্নস্থানে বিভিন্ন ধরনের সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছিল। এর মধ্যে চৈনিক সভ্যতা, সিন্ধু নদের তীরের হরপ্পা মোহেঞ্জোদারো সভ্যতা,দজলা ফোরাতের তীর ঘেষে সুচিত মেসো্পটেমিয়ান সভ্যতা, মিশরীয় সভ্যতা, গ্রেইকো-রোমান সভ্যতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।সাধারনতঃ চীনের যে সভ্যতার কথা আমরা সচরাচর জেনে থাকি তাহলো পাচঁ হাজার বছর আগের। কিন্ত তার চেয়েও হাজার বছরের পুরোনো সেই নতুন প্রস্তর যুগ অর্থাৎ যাকে চিনহিত করা হয় নিওলিথিক যুগ বলে সেই নিওলিথিক যুগে চীনের শিয়ান প্রদেশে উন্মেষ ঘটেছিল বানপো নামে মাতৃতান্ত্রিক এক সভ্যতার।
মানচিত্রে চীনের প্রাচীনতম সভ্যতার সুতিকাগার শিয়ান প্রদেশ
বছর পাঁচেক আগে আমরা যখন বেইজিং থেকে ১২০০ কিলোমিটার দুরত্বে প্রাচীনতম ঐতিহাসিক শহর শিয়ান ভ্রমনে গিয়েছিলাম তখন বেইজিং এর ট্যুর কোম্পানী তাদের ভ্রমন তালিকায় বানপোর নামও উচ্চারন করেনি। আর এ সম্পর্কে জেনেছিলাম তখন যখন সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা টেরাকোটা সোলজারের মিউজিয়াম দেখার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। যার জন্য বানপো সভ্যতার ইতিহাস সম্পর্কে আগে থেকে আমাদের কোন তথ্য জেনে নেয়া সম্ভব হয়নি।
বানপোদের গৃহের আদলে তৈরী মিউজিয়ামের দৃষ্টিনন্দন গেট।
গাইড জানালো এখন সে আমাদের নিয়ে যাবে এক প্রাচীন প্রত্নতাত্বিক যাদুঘর যার নাম বানপো মিউজিয়াম। ক্ষুন্ন মনে চল্লাম তার সাথে বাসে করে। মন পড়ে রইলো টেরাকোটা সোলজারে।কিন্ত সেই বানপো মিউজিয়ামে প্রবেশ করে সব বিরক্তি ভুলে গেলাম এক লহমায়। দৃষ্টিনন্দন গেট পেরিয়ে প্রবেশ করলাম পৃথিবীর প্রাচীনতম এই প্রত্নতাত্বিক যাদুঘরে যার উদ্ভোধন হয়েছিল ১৯৫৮ খৃষ্টাব্দে। নাম লিখালাম সেই তালিকায় যেখানে প্রতিমাসে ছেচল্লিশ হাজার দর্শকের প্রবেশ ঘটে। তার মধ্যে বাঙালি পর্যটকের পদচিনহ কখনো পড়েছিল কি না জানতে পারিনি । দেখলাম বিদেশী পর্যটকদের সুবিধার জন্য যাদুঘরের ভেতরের চারিদিকে ইংরাজীতে এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস লেখা রয়েছে।
এমন ধাতু ফলকে লেখা বানপো ইতিহাস
দেয়াল বেষ্টিত শিয়ান শহরের বাইরে চারিদিকে শুকনো পরিখাবেষ্টিত এই ওভাল আকৃতির গ্রামটি ৫০,০০০ হাজার স্কয়ার মিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত।সেই গ্রামে বড় মাঝারী এবং ছোট এরকম নানা আকারের ৫০০ ঘরের সন্ধান পাওয়া গেছে যা কিনা পাঁচটি ভাগে ভাগ করা।এছাড়াও সেখানে ছিল দুশটি খাবার মজুদ করার ভান্ডার ঘর, ছটি মৃত শিল্প কারখানা এবং আড়াইশোটি কবর।
বানপো গ্রামের একটি মডেল
প্রত্নতাত্বিকদের ধারনা সেই গ্রামে বিভিন্ন জাতির নৃ গোষ্ঠীর বসবাস ছিল।
এখানে বসবাসরত বানপোদের সমাজব্যাবস্থা মাতৃতান্ত্রিক ছিল বলে প্রত্নতাত্বিকদের দৃঢবিশ্বাস।তাদের সমাধিক্ষেত্রের বিভিন্ন নিদর্শন পর্যালোচনা করেই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বিশেষজ্ঞ্ররা।বানপোদের কবরস্থানটিই বর্তমানে মিউজিয়াম।
সিড়ির পর সিড়ি বেয়ে উঠতে হবে বানপো সমাধিস্থল তথা বর্তমান মিউজিয়ামে
সব মাতৃতান্ত্রিক সমাজের মত এখানকার সমাজেও পুরুষরা ছিল মায়ের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। পুরুষ সদস্যরা মারা গেলে তাদের অন্য কোন পুরুষের সমাধিতে সমাহিত করা হতো। এর প্রমান রয়েছে বানপোদের সমাধিক্ষেত্রে।
প্লেনের হ্যাঙ্গারের মত আচ্ছাদিত বানপো প্রত্নতাত্বিক মিউজিয়াম
বেশ বড় একটি জায়গাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত বানপোদের সমাধিক্ষেত্রে রয়েছে ১৭৪ টি কবর যা কিনা সব প্রাপ্তবয়স্কদের। এর একটিতে রয়েছে একাধিক মৃতদেহ, আরেকটি কবরে রয়েছে চারটি একই বয়সী যুবতীর মৃতদেহ।
একটি কবরে চারজন যুবতী নারীর শবদেহ
আরেকটি সমাধিতে দুটো প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের মৃতদেহ। এছাড়া বাকি সবগুলো সমাধিতে একটি করে মৃতদেহ আর তা ছিল নারীদের।একক কবরে শুধুমাত্র নারী এবং এক কবরে একই লিঙ্গের একাধিক শবদেহ মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের চিনহ বুঝিয়ে থাকে।এখানে কোন কবরেই নারী পুরুষের যৌথ মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।
একক নারী সমাধিক্ষেত্র
গাইড আধ ভাঙ্গা ইংরেজীতে সেই প্রাচীনতম সভ্যতার বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে বিস্তৃত বর্ননা দেয়ার পন্ডশ্রম করে যাচ্ছিল।আমাদের সাথী দশ পনের জন পাশ্চাত্যের পর্যটক ছিল যারা গাইডের জ্ঞ্যানের উপর ভরসা না করে যার যার হাতের বইটিতে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিল। চীনারা নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা মেনে নিয়ে মিউজিয়ামের কোনায় বিশাল মনিটরে বানপো সভ্যতা সম্পর্কে ইংরাজীতে ধারাবাহিক বর্ননা আর তাদের জীবনযাত্রার কাল্পনিক ছবি দেখিয়ে যাচ্ছিল। বিশাল প্লেনের হ্যাঙ্গারের মত আচ্ছাদিত সেই সমাধিক্ষেত্রের মনিটরের ধারা বর্ননায় জানলাম তাদের সমাজে বিয়ে প্রথার আদৌ কোন প্রচলন ছিল কি না ?
বিশাল প্লেনের হ্যাঙ্গারের মত আচ্ছাদিত সেই সমাধিক্ষেত্র
না ছ হাজার বছর আগে বানপোদের সেই মাতৃতান্ত্রিক সমাজে আজকের মত এক নারী এক পুরুষের মধ্যে কোন বিয়ের প্রচলন ছিলনা। উপযুক্ত মেয়েরা একাকী এক ঘরে বসবাস করতো। রাতে তাদের ঘরে যে কোন পুরুষের অবাধ প্রবেশাধিকার ছিল।সকালে তাদের সেই সম্পর্কের ইতি ঘটতো।
ছেলেরা আবার ফিরে যেত মায়ের কাছে, থাকতো নানা রকম সাংসারিক কাজে ব্যপৃত। এযুগের মত তাদের সমাজে কোন স্থায়ী সম্পর্কের স্থান ছিলনা। প্রত্যেক নারী পুরুষই একাধিক নারী পুরুষের সাথে সম্পর্কিত ছিল। তবে তাদের মধ্যে যদি ভালোবাসা তৈরী হতো তাহলে সম্পর্কটা হয়তো কিছুদিন দীর্ঘস্থায়ী হতো। এ নিয়মের ফলে এদের সন্তাদের কাছে পিতৃ পরিচয় চিরদিনই অজানা থেকে যেত। এমনকি মায়েরাও জানতোনা তাদের সন্তানের পিতা কে ! সন্তানরা তাদের মাকেই চিনতো এবং মায়ের দ্বারাই সমাজে পরিচিত হতো।
নদী থেকে পানি আনার পাত্র
কবর দেয়ার সময় মৃতদেহের সাথে জিনিসপত্র দেয়ার প্রথা বা রীতি প্রাচীনকালের অনেক দেশেই লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে মিশরের ফারাওদের কবরে বিভিন্ন দামী দামী জিনিসপত্র দান করার রীতি ব্যাপকভাবে বিস্তারলাভ করে । এই রীতিটি আমরা বানপো সমাধিগুলোতেও লক্ষ্য করে থাকি। তবে তাদের যে সমাজ ব্যাবস্থা ছিল মাতৃতান্ত্রিক তার আরেকটি প্রমান নারী পুরুষের কবরে পাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্রের পার্থক্য।
নারী বানপোর সমাধিতে দান করা তৈজসপত্র
বানপো সমাধিক্ষেত্রে একটি তিন চার বছরের শিশু কন্যার সমাধিতেও ৭৯টি বিভিন্ন জিনিস দেখা যায় যেখানে একজন পুর্নবয়স্ক পুরুষের সমাধিতে রয়েছে দুটো কি তিনটি জিনিস। এসব নিদর্শন বিশ্লেষন করে প্রত্নতাত্বিকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে সেই হাজার হাজার বছর আগে বানপো সমাজে নারীদের ছিল উচ্চ মর্যাদা আর পরিবার ও গোত্রের মধ্যে তাদের ছিল সর্বোচ্চ আসন।
কৃষিকাজ আর শিকারে ব্যাস্ত বানপো। শিল্পীর কল্পনায় আকাঁ
বানপোদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা আবর্তিত ছিল অন্যান্য প্রাচীন নৃ গোষ্ঠীর মানুষদের মতই শিকার, কৃষিকাজ আর মাছধরাকে কেন্দ্র করে। পাথর দিয়ে তাদের তৈরী কুড়াল, ফসল কাটার কাঁচি থেকে শুরু করে প্রায় ৫,২৭৫ টি কৃষি যন্ত্রপাতি মাটির গর্ভ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।এ সমস্ত তথ্য প্রমান করে যে সেই নিওলিথিক যুগেই বানপো গোত্রের মানুষরা কৃষি বিপ্লবের সুচনা করেছিল।অন্যান্য নৃ গোষ্ঠির মত শুধুমাত্র শিকার করার উপরই তাদের জীবনযাত্রা নির্ভরশীল ছিলনা। এছাড়া মাছ ধরাও যে তাদের অন্যতম জীবিকা ছিল তার প্রমান পাওয়া যায় ছিপ এবং বড়শীর প্রাপ্তি থেকে। রান্নার বিভিন্ন তৈজসপত্র থেকে অনুমান করা যায় যে তারা আগুনের ব্যাবহার জানতো অর্থাৎ কিনা তারা কাঁচা খাবার খেতোনা।
বানপোদের তৈরী রঙ্গিন নকশা করা হাড়িকুরি
তাদের সেই গৃহস্থালী জিনিসপত্র গুলো ছিল বিভিন্ন আকৃতির।যা সে সময়ের জন্য ছিল বিস্ময়কর। যেমন এই পানির পাত্রটি। পদার্থ বিজ্ঞানেও যে তাদের ধারনা ছিল তা এখানে লক্ষ্য করা যায় বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত। কুজোর মত এই মাটির পাত্রটি পানিতে ছেড়ে দিলে কাত হয়ে পানি ভরতে পারতো।যখন ভরে যেত তখন নিজে নিজেই সোজা হয়ে যেত। এ থেকে পানি কখনো উপচে পড়তোনা কারন এর মুখটা ছিল সরু। দুদিকে আঙ্গটা লাগানো এই জগটা বহন করাও ছিল সুবিধাজনক। বহন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলে এর সুচালো গোড়াটা মাটিতে গেথে রাখা যেত সহজেই। কি অসম্ভব বুদ্ধিমান ছিল এই জাতি।
অপরূপ ডিজাইনের পানির পাত্র
এছাড়াও বানপোদের সেই গ্রামে বিভিন্ন শিল্প কর্মের প্রচুর নিদর্শনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের জন্য মাটি দিয়ে বিভিন্ন আকৃতির তৈজসপত্র নির্মানে তারা ছিল সুনিপুন। এমনকি সেই সব ঘর গৃহস্থালীর কাজে ব্যাবহৃত প্রতিটি জিনিসেও তাদের শিল্পী মনের পরিচয় লক্ষ্য করা যায়। যেমন এগুলোতে তারা নানারকম রঙ দিয়ে বিভিন্ন নকশা একেছে, এছাড়াও আকাঁ আছে বিভিন্ন পশু, পাখি বা মানুষের মুখ। তারা হাড়, দাত বা ঝিনুক দিয়ে তৈরি করতে পারতো অসাধারন ডিজাইনের গলার হার, হাতের বালা, কানের দুল প্রভৃতি। এসবের নমুনা পাওয়া গিয়েছিল বানপো নারীদের সমাধিগুলোতে।
সেই প্রস্তর যুগে শিল্পমনা বানপোদের নির্মিত নকশী করা মাটির গামলা
বানপোরা তাদের নিজস্ব হরফে লিখতে পারতো বলেও প্রত্নতাত্বিকদের দৃঢ বিশ্বাস।তবে তা ছিল চীনের প্রাচীনতম সভ্যতা স্যাং রাজত্বের আমলে লেখা হরফের চেয়েও পুরোনো ধারায়।
আমাদের সম্পুর্ন অজানা এই বানপো সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারাটা ছিল বিষেশ করে আমার জন্য এক বিশাল সৌভাগ্যের ব্যাপার। সেই সাথে প্রাচীনতম এক নৃ গোষ্ঠীর সমাজব্যাবস্থা এবং রীতিনীতি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যাবলী আমা্কে বিস্মিত করেছিল।
ধীরে ধীরে বের হয়ে আসলাম সামনের প্রকান্ড চত্বরে সেই ছ হাজার বছরেরও আগের এক সমাধিক্ষেত্র থেকে।যেই চত্বরে রয়েছে এক অসাধারন নির্মান শৈলিতে নির্মিত ফোয়ারা, যাতে এক বানপো রমনী তাদের নিজস্ব বৈজ্ঞানিক ধারনায় নকশা করা পানির পাত্র থেকে জল ঢেলে যাচ্ছে অবিরাম।
মিউজিয়াম থেকে বের হয়ে এসে তুলে নিলাম স্মৃতির মনি কোঠায় তাকে
সেই হাজার হাজার বছর আগে নিওলিথিক আমলে চীনের আদি একটি গোত্র বানপোদের সভ্যতার নিদর্শন তুলে ধরা প্রাচীনতম এই যাদুঘরটি না দেখলে আমাদের শিয়ান ভ্রমন হয়তো অসমাপ্তই থেকে যেত।ধন্যবাদ জানাই শিয়ানের ট্যুর কোম্পানীকে আর সেই গাইডকে যে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তুতলিয়ে আমাদের বোঝানোর আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছিল।
দু একটি বাদে আর সব ছবি আমাদের ক্যামেরায় তোলা
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
জুন বলেছেন: সেই নিওলিথিক যুগে চিন্তা করতে পারো এমন শিল্প কর্মের কথা তাও আবার প্রাত্যহিক জীবনে ব্যাবহার করা হাড়ি পাতিলে শায়মা।
প্রথম মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট !!!!!!!!!!
+++++++++++++
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য আর প্লাসের জন্য
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ইয়ে মানে মন্তব্য প্রথম করার চিন্তা ছিলো।
শায়মা আপু দিয়ে ফেললো, মাইনাচ
তৃতীয় প্লাস।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
জুন বলেছেন: আগে প্লাস দিয়ে নিতে দুর্জয় তারপর মন্তব্য
অসংখ্য ধন্যবাদ আর ঈদের শুভেচ্ছা।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৬
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ওয়াও, খুব অসাম হৈসে পোস্টটা ।
আমি আপনার ১ম পোস্টে একটা কমেন্ট দিসি, আপনি দেখেন নাই। এত্তগুলা মাইনাস ||
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০২
জুন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ইমরাজ কবির মুন সবসময় সাথে থাকার জন্য।
তাই নাকি ?? আসলে আমি এই পোষ্ট লিখতে ব্যাস্ত থাকায় হয়তো নজর এড়িয়ে গেছে
অবশ্যই উত্তর দেব।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
মাহবু১৫৪ বলেছেন: চরম পোস্ট আপু
+++++++++
ভাল লাগা এবং প্রিয়তে নিলাম সরাসরি
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অনেক দিন ধরে লেখালেখিতে ক্রমাগত সাপোর্ট দেয়ার জন্য
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো অনেক
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ছবি ও বর্ণনা মিলিয়ে অসাধারণ ++++++++++++
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব ভালোলাগার জন্য ।
৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।একবার পড়লাম। আরো কয়েকবার পড়তে হবে। খুবই উপভোগ্যও তথ্যবহুল পোস্ট। বানপো নৃ গোষ্ঠীর শ্রী বর্ননায় ১০০ তে ১০০ দিলাম। পোস্ট প্রিয়তে এবং ভাললাগায় ।+++
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার আমার একজন প্রিয় ব্লগার আপনি।সব সময় সাথে থেকে উতসাহ দেয়া এবং অনুপ্রানিত করার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন।
৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বানপো সমাধিক্ষেত্রে একট তিন চার বছরের শিশু কন্যার সমাধিতেও ৭৯টি বিভিন্ন জিনিস দেখা যায় যা কিনা একজন পুর্নবয়স্ক পুরুষের সমাধিতে রয়েছে দুটো কি তিনটি জিনিস। এসবের মাধ্যমে বোঝা যায় সেই হাজার বছর আগে বানপো সমাজে নারীদের উচ্চ মর্যাদা আর পরিবার এবং গোত্রের মধ্যে তাদের ছিল সর্বোচ্চ আসন।
অথচ আধুনিক কালে আমরাই এই নারীদের পণ্য করেছি।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
জুন বলেছেন: হু ঠিকই বলেছেন কান্ডারী তবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে বলতে হবে এই পন্য বানানোর প্রসেসে নারীরাও সমান ভাবে জড়িত। যেমন বর্তমানে আমাদের দেশের এক চেইন শপ যা বাংলাদেশ এবং বিদেশেও অত্যন্ত সুপরিচিত ব্র্যান্ডেড কাপড় এবং এক্সেসোরিজের জন্য। এটা যে বিখ্যাত এক এন জি ও র অংগ সঙ্গঠন বর্তমানে তার প্রধানও নারী। আর উনি আসার পর থেকে সেখানকার পন্য প্রচারে বিশাল বিশাল বিলবোর্ডে নারী দেহের প্রদর্শনী চোখে পড়ার মত।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন।
৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস। ঈদমোবারক।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আর ঈদের শুভেচ্ছা আপনি ও আপনার পরিবারবর্গকে খেয়াঘাট।
১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
আরুশা বলেছেন: অসাধারন পোস্ট আপু ।
এদের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না এতদিন।
++++্
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৭
জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । অনেকদিন পর আসলেন মনে হলো।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন
১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট লিখেছেন আপু । আপনার লেখা পড়ার আগে বানপো সভ্যতা সম্পর্কে আগে কোন কিছু জানতাম না ।
নিউলিথিক বা নব্য প্রস্তর যুগে বানপো সভ্যতা শুরু হলেও এই সভ্যতা কতদিন টিকেছিল, এ ব্যাপারে কোন ধারণা পেলাম না । মনে হয় খুব একটা দীর্ঘস্থায়ি হয়নি । আমাদের হরপ্পা-মহেঞ্জদারো নব্য প্রস্তর যুগে শুরু হয়ে লৌহ এবং তাম্রযুগ পর্যন্ত টিকেছিল ।
লেডি বতুতার জন্য এত চমৎকার একটা সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারলাম । পোস্টে অনেক অনেক মুগ্ধতা আর ভালোলাগা রেখে গেলাম ।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মামুন আপনার প্রাসংগিক মন্তব্যটির জন্য। এ সভ্যতা কতদিন টিকেছিল সে সম্পর্কে আমার কোন সঠিক তথ্য জানা নেই। আর ঐতিহাসিক বিষয়ে কাল্পনিক কিছু লেখা ঠিক নয়। আমারও ধারনা আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়েছিল স্বল্প সময়ের মধ্যেই ।
ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো। সাথে আছেন সব সময় এটাও এক বিশাল প্রাপ্তি আমার জন্য।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন আপনি ও আপনার পরিবারের সবাই
১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
সায়েম মুন বলেছেন: বেশ ঘোরাঘুরি হলো আপু। ছবি বর্ণনায় সুন্দর একটা ভ্রমণ পোস্ট। আজকে একজন অতিথিকে দেখতেছি সচলায়তনে ভ্রমণ ব্লগ পড়তেছে। আমি আবার তাকে সামুর ভ্রমণ ব্লগের কথা বললাম। সাথে সাথে ইবনে বতুতা আপুর নাম উঠে আসলো। জুন লিখে সার্চ দিলেই পাওয়া যাবে।
ইবনে বতুতার ব্লগ - জুন এর বাংলা ব্লগ | সামহোয়্যার ইন ব্লগ - বাঁধ ভাঙার ...
http://www.somewhereinblog.net/blog/June
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
জুন বলেছেন: বলো কি জুন সার্চ দিলেই আমারে দেখা যায় কিন্ত কৈ আমি সার্চ দিয়ে দেখলাম জুন মাস নিয়ে লিখছে, আমার কথা কিছু নাই
মুন মুন অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমার মত একজন পাঠক আজ সাড়ে তিন বছর ধরে আমার লেখাগুলো পড়ে চলেছে নিরলসভাবে।
ঈদের শুভেচ্ছা যেন তুমি ও তোমার পরিবারের সবাই
১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
অদৃশ্য বলেছেন:
আপু
খুবই সুন্দর... প্রায় ছ'হাজার বছর পূর্বের সেই বানপোদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা হলো... যা একেবারেই অজানা ছিলো
তাদের সমাজ ব্যবস্থারও কিছুটা ধারনা পাওয়া গেলো... খুবই বিষ্ময়কর সব তথ্য... মাতৃতান্ত্রিক বানপোদের মেয়েদের মর্যাদা... ইত্যাদি আরো বেশ কিছু তথ্য ও ছবি...
যা কিনা আপনার মাধ্যমেই প্রথম দেখলাম ও জানলাম... ছবিতে ব্যবহৃত জিনিসগুলো ও ভাস্কর্য থেকে বুঝা যায় যে তারা আগুন ও পোশাকের ব্যবহার মোটামোটি ভালোভাবেই শিখেছিলো...
শুভকামনা...
শুভকামনা...
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৮
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা অদৃশ্য।
সেটাই, আর খেয়াল করেছেন তাদের তৈজসপত্রের নকশাগুলো ? আমিতো সবচেয়ে আশ্চর্য্য হয়েছি তাদের পানির পাত্র নির্মানের উদ্ভাবনী কৌশল দেখে।
আপনাদের এই প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে সামান্য হলেও জানাতে পেরে ভালোলাগছে অনেক।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন অদৃশ্য আপনিও ও আপনার পরিবারের সবাই
১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
বোকামন বলেছেন:
গাইড আধ ভাঙ্গা ইংরেজীতে সেই প্রাচীনতম সভ্যতার বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে বিস্তৃত বর্ননা দেয়ার পন্ডশ্রম করলেও সম্মানিত লেখকের প্রচেষ্টা কিন্তু পন্ডশ্রম হয়নি। কারণ সাধারণ পাঠক সহজ উপস্থাপনায় মুগ্ধ হলাম।
[মনে পড়ে গেলো বানপো ব্রিজের রেইনবো ওয়াটার ডিসপ্লের কখা....।]
ভালো থাকুন সবসময়।
শুভকামনা অনেক :-)
“+”
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
জুন বলেছেন: বোকামন অজস্র ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানবেন। আপনার মন্তব্যে আমি কোথাও আপনার বোকামনের পরিচয় পাইনি। আপনিসহ আরো কয়েকজন ব্লগারের নিরন্তর উতসাহ আমাকে সত্যি লেখার ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলছে আবার নতুন করে। যা অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছিল।
কোরিয়ার সিওলে হান নদীর উপর বানপো রেইনবো ব্রীজ সত্যি অসাধারন এক নান্দনিক সৌন্দর্য্যময় ।
ঈদ শুভেচ্ছা ক্ষুদে নীল নয়না সহ তার পিতা মাতাকে
১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার পোস্টে মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনেক খুশী হোলাম প্রোফেসর শঙ্কু। ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন আপনি ও আপনার পরিবারের সবাই ।
১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আরেকটি বতুতা পোষ্ট। সপ্তদশ ভালোলাগা। কিন্তু আমার কি মনেহয় জানেন আপু, সভ্যতা বরাবরই মাতৃতান্ত্রিক। পুরুষরা শুধুই কর্মী মৌমাছি।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
জুন বলেছেন: কি বলো কুনো বতুতা পোষ্ট !! বলো প্রত্নতাত্বিক বিষয়ক পোষ্ট
তাই নাকি মাতৃতান্ত্রিক ! পুরুষদের জন্য দুক্ষ পেলাম
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঈদ শুভেচ্ছা নিও
১৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
বরাবরের মতোই দুর্দান্ত পোষ্ট।
বানপো সভ্যতা সম্পর্কে চমৎকার বর্ণনা ও ছবি +++
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আমিনুর রহমান আপনার ভালোলেগেছে জেনে।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন।
১৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার ! পিছে লাগছি আই মিন অনুসরনে নিলাম !
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
জুন বলেছেন: পিছে লেগেছেন !! তাইতো বলি এমন ভয় ভয় লাগে কেন :-&
হা হা হা স্বপ্নবাজ অভি অনেক অনেক ধন্যবাদ আর ঈদ শুভেচ্ছা
১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বানপো সভ্যতা সম্বন্ধে জানলাম। খুব ভালো পোস্ট আপু।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
জুন বলেছেন: ছাই ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার ভালোলেগেছে জেনে । আপনার মতন একজন গুনী লেখকের ভালোলাগা পাওয়া বিশাল ব্যাপার।
পরিবার সহ সবাই আমার ঈদ শুভেচ্ছা জানবেন দেশী ভাই
২০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: অপুর্ব সব ছবি আর চমৎকার পেশাদার বর্ণনা, সব মিলিয়ে একটা অসাধারণ লেখা। আপনার কল্যানে বানপো সভ্যতা সম্পর্কে অনেক কিছু দেখলুম জানলুম। ধন্যবাদ।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। আসলে এ সভ্যতা সম্পর্কে খুব কম কম ধারনাই আছে অনেকের মধ্যে । যাক আমার কল্যানে কিছুটা হলেও দেখতে পেলেন যেনে অনেক খুশী হোলাম।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন
২১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
অক্লান্ত আপনার পদযুগল । সেথায় বাঁধা ঘুঙুরটি হঠাৎ হঠাৎ রিনঝিন করে ওঠে আর পাঠক যেন তার শব্দ তরঙে ভেসে যায় এক অদেখা দূরদেশে ।
এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি ।
তুলে এনেছেন এক হারিয়ে যা্ওয়া সভ্যতাকে । মাতৃতান্ত্রিক সমাজের একটি সুন্দর ছবিও এঁকেছেন । হয়তো মনের গহনে কোথা্ও এমোন একটি দেশের ছবি আপনাকে নাড়া দিয়ে থাকবে আমাদের দেশের বর্তমান হালচাল দেখে । তারই স্ফুরন হয়তো এই লেখাটি !
সহ ব্লগার *কুনোব্যাঙ* খুব চমৎকার একটি কথা বলেছেন - "সভ্যতা বরাবরই মাতৃতান্ত্রিক। পুরুষরা শুধুই কর্মী মৌমাছি।"
হায়....এ সত্যটি যদি আমরা বুঝে উঠতে পারতাম !
ভালো থাকুন আর এই সন্ধ্যের শুভেচ্ছা রইলো ।
[ প্রিয়তে নিয়ে রাখছি...]
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস প্রথমেই জানাই আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এত্ত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। আপনার মন্তব্যের সৌন্দর্য্য আর স্টাইল যা দারুন একটি ব্যাপার যা আমার সাদামাটা পোষ্টকেও আরো আকর্ষনীয় করে তোলে। সত্যি বলতে কি আমি আগ্রহ নিয়েই অপেক্ষা করি আপনার মতামতের জন্য । আপনার লেখক/শিল্পী মনের পরিচয় ফুটে উঠে মন্তব্যের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে। আপনি যে আমার সকল লেখা গভীর মনযোগ দিয়ে পড়ে তার চুলচেরা বিশ্লেষন করেন তার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
কি জানি মনের গহীনে আমার কি আকাঙ্ক্ষা লুকিয়ে আছে তা হয়তো উপরওয়ালাই ভালো জানেন। তবে সুখী একটি দেশ দেখার আকাঙ্ক্ষা আছে আর সকলের মত সেটা মাতৃতান্ত্রিকই হোক আর পুরষতান্ত্রিক।
আপনিও ভালো থাকুন আর ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন।
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
২২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আদিম বংশ বিস্তার ধারণা আমার কছে অসভ্যতা মনে হয়। সন্তান জানবে ই না তার পিতা কে বি বি্চ্ছিরি রে বাবা। এখন ই ভালো। আর কবরে আসবাবপত্র দেয়ার কারণ বোধ করি তারা সেখানে খাওয়া দাওয়া রান্না বান্না করতে পারে যাতে সেগুরোর নিশ্চয়তা ।তাহলে পুরুষের কবরে এত কম আসবাবপত্র কেন? বৈষম্য । সে ই আদি কাল থেকে বৈষম্য চলে আসছে। আগে নারীরা করেছে এখন পুরুষরা বোধ করি তার প্রতিশোধ নিচ্ছে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৯
জুন বলেছেন: কি করবেন সেলিম আনোয়ার যস্মিন দেশে যদাচার। যে সময় বা সমাজে যে ব্যাবস্থা। আমাদের কিছুই করার নেই ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সবসময় সাথে আছেন বলে ।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন আপনি ও আপনার পরিবারের সবাই।
২৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৪
অর্ণব আর্ক বলেছেন: amer kase mrit silpo r Architecture gula besi Agroho uddipok mone hoice. Ekhon Porteci. Pore Commentabo. Na pore ei Post e comment deoa ta hobe Ghor Onnay.
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৩
জুন বলেছেন: হু অর্নব আমিও আশ্চর্য্য হয়ে গেছি সেই নিওলিথিক পিরিয়ডে এই নৃগোষ্ঠির শিল্পকলার উপর এই দক্ষতা দেখে সাথে এসব মৃতশিল্প আর কৃষিকলায় অসাধারণ দক্ষতা দেখে।
আচ্ছা পড়ে ঠিকঠাক মত দিও । হাজার হলেও তুমিও এক প্রত্নতত্ববিদ
প্রাথমিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
২৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৫
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: পোস্টে ডাবল প্লাস ++
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩১
জুন বলেছেন: আমিও ডাবল ধন্যবাদ জানালাম মাসুম১৪
সারাদিন এত নেট প্রব্লেম ছিল যে কারো মন্তব্যই দিতে পারছি না
ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো ।
২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১১
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আপু, রাহুল সাংস্কৃতিয়ান এর "ভোলগা থেকে গঙ্গা" বইটা পড়েছেন? মাতৃতান্ত্রিক সমাজের চমৎকার বর্ণনা আছে সেখানে। এ ছাড়াও কিভাবে মাতৃতান্ত্রিক থেকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে রূপান্তর হলো, সেই কাহিনীও বিধিত আছে। চমৎকার একটা বই।
ছবি আর বর্ণনা উভয়ই চমৎকার! অনেক অনেক ধনবাদ জুনাপু।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪০
জুন বলেছেন: ভলগা থেকে গঙ্গা সেই কবে পড়েছি ভুলেও গেছি তার কাহিনী সজীব। দেশী বিদেশী বিখ্যাত লেখকদের শত শত ইংরাজী, বাংলা, ছাড়াও বিভিন্ন অনুবাদ সাহিত্য পড়ে পড়ে এই পর্যন্ত আসলাম মনে আছে একদম ছোটবয়সে উপহার হিসেবে পুতুল পাওয়ার আগে বই পেয়েছিলাম বাবা মার কাছ থেকে । সেই নেশা এখনো ছাড়েনি আমায়।
পোষ্ট ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো
২৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা ফিচার করেছেন আপু। টপিকটাও বেশ ইন্টারেস্টিং। আরো আরো ছবি দেখতে মন চায়। পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম। সামনে হয়ত কোথাও রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগবে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
জুন বলেছেন: কাল্পনিক অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করেছো আবার প্রিয়তেও রেখেছো বলে। তোমার কোন কাজে লাগলে আমি অনেক খুশী হবো।
সেই কখন থেকে চেষ্টা করছি সবার মন্তব্যের জবাব দিতে। কিন্ত নেটের সমস্যার জন্য কিছুতেই পারছি না। দেরী হচ্ছে বলে মনে কিছু কোরোনা কাল্পনিক।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো অনেক
২৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০০
আরজু পনি বলেছেন:
বানপো সম্পর্কে জানতাম না। আপনার জন্যে জানতে পেরে ভালো লাগছে।
ক্ষমতা যার কাছেই যায় সেই তা ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে চায়।
আর ছবিগুলো দিয়ে পোস্টটা অনেক বেশিই দারুণ ...অবশ্য আপনার পোস্ট বরাবরই অসাধারণ ।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
জুন বলেছেন: আমরা অনেকেই জানি না এই জাতি সম্পর্কে আরজুপনি। সেই কত হাজার বছর আগে এসে কবেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তারপর নানা রকম সভ্যতার বিস্তারে হারিয়ে গেছে কালের গর্ভে একদিন।
এটাইতো ক্ষমতার মজা পনি। এজন্যই তো কেউ ক্ষমতা হারাতে চায় না বা ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে ওঠে এখনো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ পোষ্ট ভালোলাগার জন্য।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো তুমি সহ তোমার পরিবারের সবাইকে
২৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: মাটির পাত্রে রং দিয়া করা নকশি গুলা ভালো লাগছে !!!
পোষ্টে ২৪ তম ভালো লাগা দিলাম সুন্দর পোষ্ট
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
জুন বলেছেন: হু পাইলট অসাধারন শিল্পমনা বানপোরা। আমিও অবাক হয়েছিলুম মিউজিয়ামে এসব দেখে সাথে তাদের গয়নাগাটি।
ভালোলাগার জন্য অনেক ভালোলাগা ।
ঈদের অনেক শুভেচ্ছা জেনো
২৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩১
রামন বলেছেন:
অজানা এক সভ্যতার কথা জানলাম। আর লেখা নিয়ে কি আর বলবো , সবাই তো বলেছে। তবুও এক কথায় বলি- অসাধারণ।
ধন্যবাদ তথ্যপূর্ণ পরিশ্রমী পোস্টের জন্য।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রামন ব্যাস্ততার মাঝেও কষ্ট করে আসার জন্য আর পড়ার জন্য।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো ...।
৩০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
খইকাঁটা বলেছেন: ছ হাজার বছর আগে বানপোদের সেই মাতৃতান্ত্রিক সমাজে আজকের মত এক নারী এক পুরুষের মধ্যে কোন বিয়ের প্রচলন ছিলনা। উপযুক্ত মেয়েরা একাকী এক ঘরে বসবাস করতো। রাতে তাদের ঘরে যে কোন পুরুষের অবাধ প্রবেশাধিকার ছিল।সকালে তাদের সেই সম্পর্কের ইতি ঘটতো।
ছেলেরা আবার ফিরে যেত মায়ের কাছে, থাকতো নানা রকম সাংসারিক কাজে ব্যপৃত। এযুগের মত তাদের সমাজে কোন স্থায়ী সম্পর্কের স্থান ছিলনা। প্রত্যেক নারী পুরুষই একাধিক নারী পুরুষের সাথে সম্পর্কিত ছিল। তবে তাদের মধ্যে যদি ভালোবাসা তৈরী হতো তাহলে সম্পর্কটা হয়তো কিছুদিন দীর্ঘস্থায়ী হতো। এ নিয়মের ফলে এদের সন্তাদের কাছে পিতৃ পরিচয় চিরদিনই অজানা থেকে যেত। তারা মাকেই চিনতো এবং মায়ের দ্বারাই সমাজে পরিচিত হতো।
--------------------------------------
পোস্টের এই অংশ ও ৮নং কমেন্টের উত্তরের জন্য ধন্যবাদ।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
জুন বলেছেন: মনযোগী পাঠ আর আমার সাথে একমত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ খইকাটা।
ঈদে আপনিও আপনার পরিবারের জন্য রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।
৩১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
সোহাগ সকাল বলেছেন: মোবাইল থেকে বড় মন্তব্য করতে পারছিনা আপু। আমার ল্যাপটপটা নষ্ট হয়ে গেছে। ব্লগেও আর আসতে পারিনা এখন। পোস্টটা অনেক ভালো লেগেছে।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৮
জুন বলেছেন: বড় মন্তব্যের দরকার নেই সোহাগ সকাল আপনি যে কষ্ট করে পড়েছেন তাতেই আমি অনেক খুশী হয়েছি। আশাকরি শিঘ্রই আপনার ল্যাপটপ ঠিক হবে আর আপনি নতুন নতুন পোষ্ট নিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন
ভাললাগলো জেনে অনেক অনেক ভালোলাগলো আমারও।
ঈদ শুভেচ্ছা জানবেন আপনিও আপনার পরিবারের সবাই।
৩২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: কয়েকবার রিলোড দেওয়ার পর অবশেষে পোষ্ট পড়তে পারলাম।
ভাল লাগা রইলো।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩০
জুন বলেছেন: হু নেট যা জালানো জ্বালাচ্ছে তা আর কহতব্য নয়। কমেন্টের উত্তর দিয়ে সেন্ড করতেই দেখি লগ আউট শো করছে। কেমন লাগে বলো
ভালোলেগেছে জেনে অশেষ ধন্যবাদ রাতুল
ঈদের শুভেচ্ছা জেনো
৩৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ভিয়েনাস বলেছেন: বানপোদের বিষয়ে এই প্রথম কিছু পড়লাম আপু। একি কবরে এতো জনের শব কেন ? বানপোদের ভিন্ন ধরনের জীবনপ্রনালী পড়ে ভালো লাগলো। চমৎকার পোস্ট।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
জুন বলেছেন: আমরাও শিয়ান যাবার পর প্রথম শুনেছিলাম এই সভ্যতার কথা।
সেই নিওলিথিক যুগেও কিছু কিছু বেশ বিজ্ঞানসম্মত জীবন যাত্রা ছিল যা সত্যি অবাক করার মত ভিয়েনাস।
ভালোলেগেছে জেনে আমারো ভালোলাগলো। অনেক ধন্যবাদ।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন বাড়ীর সবাই
৩৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! অনেক ভালো লাগলো! নতুন একটা সভ্যতা সম্পর্কে জানলাম!
শুভকামনা!
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
জুন বলেছেন: আপনার জন্যও রইলো অনেক শুভকামনা সাথে ঈদের শুভেচ্ছা ৎঁৎঁৎঁ
৩৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০২
ফারিয়া বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার ভ্রমনকাহিনি। নতুন কিছু জানতে পারাটা আমার পছন্দের। তার উপরে প্রাচীনকালের ইতিহাস আরো বেশি ভালো লাগে! অনেক শুভকামনা, এমনি আরো অনেক ইতিহাসে জানার সঙ্গী হতে চাই আপনার সাথে।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
জুন বলেছেন: সাথে আছেন যেনে অনেক ভালোলাগলো ফারিয়া। বানপোদের এই সভ্যতাটা আমারও অজানা ছিল না দেখা পর্যন্ত। আসলে সেই প্রস্তর যুগের মানবজাতি ও তাদের আচার আচরণ সম্পর্কে আমাদের ধারনা বেশ কমই বলতে গেলে।কারণ মনে হয় আমাদের ইতিহাস চর্চা সেই সিন্ধু চীন আর অন্যান্য সভ্যতা নিয়েই শুরু হয়।
যাক এসেছেন মন্তব্য করেছেন অনেক অনেক ভালোলাগলো দেখে।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন
৩৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আবার পড়লাম
দূর্দান্ত পোস্ট।
এসব পোস্ট থেকে কিছু শেখা যায়।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২০
জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দুর্জয় আবার আসার জন্য
কাউরো শেখার মত কিছু তথ্য দিতে পারছি জেনে খুব ভালোলাগলো।
শুভেচ্ছা জেনো।
৩৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মুরশীদ বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। হারিয়ে যাওয়া একটা জাতি সম্পর্কে স্বল্প কথায় অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন,ভালোলাগলো।
+++
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২১
জুন বলেছেন: আপনার ভালোলেগেছে জেনে আমারও অনেক ভালোলাগলো
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন পরিবারের সবাই :#>
৩৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: বাহ কি দারুন পোস্ট । পোস্টে ভাল লাগা ।
জুন আপু ঈদ মোবারক । ফেবুতে একটি রিকুয়েস্ট দিয়েছি । একটু দেখবেন এক্সেপ্ট করা যায় কিনা ? Click This Link
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ সাথে রইলো ঈদের একরাশ শুভেচ্ছা দুঃস্বপ্ন০০৭
দেখেছি এক্সেপ্ট করেছি
৩৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
কাঠফুল বলেছেন: ঈদ মোবারক...
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
জুন বলেছেন: আপনাকেও ঈদ মুবারক কাঠফুল ভাই।
ভালো আছেন আশাকরি সব কিছু মিলিয়ে।
৪০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫১
আরজু পনি বলেছেন:
ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে ...
প্রিয় ব্লগারের জন্যে রইল
♥ ঈদ মোবারক ♥
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
জুন বলেছেন: বাব্বাহ শুরুতেই দারুন এক গানের কলি
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে রইলো চলে যাওয়া কিন্ত রেশ রেখে যাওয়া ঈদের একরাশ শুভেচ্ছা ।
৪১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
শোভন শামস বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা অসাধারণ
অনেক অনেক ধন্যবাদ ++++++
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
জুন বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম মনে হলো শোভন শামস। আশাকরি ভালো আছেন অবশ্যই। ভালোলাগার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
৪২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
অ্যানোনিমাস বলেছেন: চমতকার পোস্টে প্লাস!!
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অ্যানোনিমাস
৪৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: বাহ! দারুন!
খাসিয়া সম্প্রদায়ে এখনো মাতৃতান্তিক পরিবার চালু আছে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
জুন বলেছেন: শুধু খাসিয়া নয় আমাদের পার্বত্য উপজেলাগুলো ছাড়াও গারো হাজং এসব নৃগোষ্ঠির মধ্যেও এমনটি আছে সুরঞ্জনা। ইশ এমন হলে কি ভালোই না হতো
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে
৪৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২২
গরম কফি বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম ।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
জুন বলেছেন: আমিও জানাতে পেরে অনেক খুশী হোলাম গরম কফি
অনেক ধন্যবাদ অনেকদিন পর আপনাকে দেখে।
৪৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪২
অর্ণব আর্ক বলেছেন: আমার কাছে চীন গুরুত্বপূর্ণ এর ঐ পিকিং মানব নিয়ে ব্রিটিশদের ফটকাবাজি থেকে। যদ্দুর জানা যায় মূল চীনের সাথে আরো কয়েকটি প্রতিবেশী রাজ্য যুক্ত হয়েছিল। এগুলো হচ্ছে তিব্বত, সিংকিয়াং, মঙ্গোলিয়া এবং মাঞ্চুরিয়া। তবে প্রাকৃতিক বাধার কারণে মূল চীন থেকে এ সকল অঞ্চল অনেকটা বিচ্ছিন্ন ছিল। বাধাগুলো হচ্ছে উত্তরে গোবি মরুভূমি, পশ্চিমে তিব্বতের উঁচু মালভূমি। এটি এত বিশাল অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত যে একে বলা হয় পৃথিবীর ছাদ। এছাড়াও চীনের পূর্ব-দক্ষিণ সীমানা জুড়ে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর। গোটা চীন দেশের পাঁচ ভাগের চার ভাগ জুড়েই রয়েছে পাহাড়, পর্বত ও মারুভূমি। বাকী একভাগ সমুদ্র ও নদী তীরের সমভূমি। সভ্যতা গড়ে তুলতে নদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রাচীন চীনে তিনটি উর্বর ভূমিতেই সভ্যতা গড়ে তোলার মত পরিবেশ ছিল। এর একটি হোয়াং হো নদী তীরবর্তী অঞ্চল, দ্বিতীয়টি ইংয়াং জে কিয়াং নদীর তীরের উর্বর অঞ্চল এবং তৃতীয়টি দক্ষিণ চীনের ভূখণ্ড। হোয়াং হো নদীতে খুব স্রোত ছিল না। তাই প্রতিবছরই বন্যায় দুকূল ভাসিয়ে নিত। বন্যার পর উর্বর পলিমাটি জমতো। এখানে ফলতো প্রচুর ফসল। কিন্তু বন্যায় প্রায় বছরই পাকা ফসল ভাসিয়ে নিত। তাই হোয়াং হো নদীকে বলা হতো চীনের দুঃখ। দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত ইয়াং জে কিয়াং বিশ্বের অন্যতম বড় নদী। এই নদী তীরের উর্বর মাটিতেও প্রচুর ফসল উৎপন্ন হতো। এক সময় চীনারা হোয়াং হো নদীতে বাঁধ দিয়ে একদিকে যেমন বন্যা ঠেকাতে সক্ষম হয় অন্যদিকে বন্যার পানি ধরে রেখে জমিতে সেচের সুবিধা বাড়িয়ে দেয়। দক্ষিণ চীনের ভূখণ্ড ছিল পাহাড়ে ছাওয়া। একানে প্রচুর খনিজ সম্পদ ছিল। দক্ষিণে গড়ে উঠেছিল সমুদ্র বন্দর। এই বন্দর দিয়ে ব্যাবসা বাণিজ্যের সুযোগ বেড়ে যায়।Ñএভাবে ভৌগোলিক নানা সুবিধা চীনে সভ্যতা গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখে। চীনা লেখা থেকে জানা যায় ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে চীনের অনেকগুলো জাতি মিলে হুয়াং তি নামের একজনকে তাদের নেতা নির্বাচন করেন। হুয়াং তি-এর সময় চীনারা গুটিপোকার চাষ, নৌকা ও মালটানা গাড়ি তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করে। এ সময়েই চীনের ম্নাুষ লিখতে শিখেছিল। হুয়াং তির পর আরো কয়েকজন রাজা হন। এঁদের মধ্যে রাজা ইয়াও-এর সময় হোয়াং হো নদীতে ভয়ানক বন্যা হয়। তখন রাজ্যের গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা একত্রে বসে বন্যা থেকে বাঁচার উপায় বের করার চেষ্টা করলেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘কুন’ নামে একজনকে বন্য প্রতিরোধের দায়িত্ব দেয়া হয়। এই কাজে ব্যর্থ হলে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় কুনকে। এরপর পিতার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেন কুনের ছেলে ‘উ’। তিনি তের বছর পরিশ্রম করে বন্যার পানি নদীপথে প্রবাহিত করে সাগর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে উ রাজা হন।
চীন সভ্যতার সূচনায় সবচেয়ে সফল রাজা ছিলেন ‘ফু সি’। তিনি তাঁর প্রজাদের বিয়ে, লিখনপদ্ধতি, মাছধরা, সঙ্গীত, চিত্রকলা, পশুপালন ও রেশম চাষ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। তাঁর পরবর্তী রাজা শেননাঙ কৃষি, বাণিজ্য ও চিকিৎসাবিদ্যা প্রভৃতির শিক্ষা দিয়েছিলেন। পরবর্তী শাসকগণ চাকা ও কম্পাস উদ্ভাবন, ঘর তৈরি ও পঞ্জিকা লেখার ব্যাপারে সফল হয়েছিলেন।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৭
জুন বলেছেন: তোমার এই সুন্দর গবেষনালদ্ধ মন্তব্যটি ভাবছি পোষ্টে যোগ করে দেব অর্নব। হাজার হলেও এ বিষয়ে তুমি যে অগাধ জ্ঞ্যানের অধিকারী সেটা সবার জানা, সুতরাং এটা নিয়ে প্রশ্ন করার কেউ নেই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এত দামী এবং অনেক বিষয় তুলে এনে আমার পোষ্টের মান কে তুলে ধরার জন্য।
শুভকামনা অনেক অনেক ।
৪৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৪
অর্ণব আর্ক বলেছেন: অ.ট. শিরোনামের ঐ মাতৃতান্ত্রিক কিংবা পিতৃতান্ত্রিক শব্দগুলো জেন্ডার অসমতা তৈরি করে। পোস্ট-ফেমিনিস্ট হিসেবে এই সকল জেন্ডার বিক্রি করে উদরপূর্তিকারী শব্দগুলোকে কখনোই সহ্য করি না আমি। সবথেকে বড় পরিচয় মানুষ। এখানে জেন্ডার অসমতা-সমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কেনো ?
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৯
জুন বলেছেন: এটা কি আমি বলেছি নাকি অর্নব
এটাতো তোমাদের মত প্রত্নতাত্বিকরাই বলেছে
হু কেন কেন এই বৈষম্য
দাড়াও জেন্ডার আপারে খবর দিচ্ছি সে এসে জবাব দিক
৪৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ব্যাপক ইতিহাস জানলাম আপু...
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩০
জুন বলেছেন: হু জানাইয়া আমিও ব্যাপক টায়ার্ড জহির :-< :-<
৪৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১২
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট আপু। আপনার পোস্টের ছবি দেখেই না আমার মত আজন্ম কুড়ের নতুন কিছু দেখা হল। অনেক ভাল লাগা থাকল আপু। প্লাস দিয়েছি কিন্তু সামু নিয়েছে কি না জানিনা
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
জুন বলেছেন: মহামহোপাধ্যায় আমি ভাবতেই পারছি না কি করে এই মন্তব্য আমার চোখ এড়িয়ে গেল । আমি অনেক দুঃখিত এত দেরী করে মন্তব্যের জবাব দেবার জন্য। কিছু ভালোলাগলো জেনে আমারও অনেক ভালোলাগছে ।
কিছু মনে করোনা আমার নিজেরই এখন দেখে কষ্ট হচ্ছে।
শুভেচ্ছা রাত্রির
৪৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: মনিপুরে এখনো মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রচলিত ।
"এক কবরে একই লিঙ্গের একাধিক শবদেহ মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের চিনহ বুঝিয়ে থাকে" কিভাবে ?এই ব্যাপারটা তো ঠিক বুঝলাম না ।
চীনারা মানব সভ্যতার প্রথম দিকের অগ্রদূত ।পোস্টে একটি প্লাস ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৩
জুন বলেছেন: "এক কবরে একই লিঙ্গের একাধিক শবদেহ মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের চিনহ বুঝিয়ে থাকে" কিভাবে ?এই ব্যাপারটা তো ঠিক বুঝলাম না ।
মাতৃতান্ত্রিক সমাজে পুরুষরা বোধহয় সিডিউল কাস্ট
অনেক দেরিতে আপনার মন্তব্যটি দেখলাম তার জন্য সকল দোষ নোটিফিকেশনের সিদ্দার্থ
অশেষ শুভকামনা সাথে ধন্যবাদ রইলো।
৫০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৩
শের শায়রী বলেছেন: জুন আপা, আপনাকে তো আর সাধে ব্লগের ইবনে বতুতা উপাধি দেয়া হয় নি, এই বান পো দের নিয়ে আমার জ্ঞানে যে নতুনত্ব টুকু যোগ হল সেটা হল নিওলিথিক যুগে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থা। যদিও আধুনিক কালে কিছু উপজাতি বা বিভিন্ন গোত্রে এই মাতৃতান্ত্রিক প্রথা চলে কিন্তু নিওলিথিক যুগে আমার জানা মতে প্রথম।
লিঙ্ক টা দিয়ে কৃতজ্ঞ পাশে আবদ্ধ করলেন। আপনার এই পোষ্ট টা আমি আমার প্রিয় শের শায়রীর রহস্যের দুনিয়ায় স্বাগতম সংকলনে যোগ করে নিলাম।
পোষ্টে ভালো লাগা।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৭
জুন বলেছেন: গারো চাকমা এসব আদিবাসীদের মাঝে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা এখোনো রয়েছে শের শায়েরী। মনযোগী পাঠ ও লিংক যুক্ত করার জন্য সবিশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। মোবাইলে লেখালেখিতে এক্টু সমস্যা ও ব্যাক্তিগত ব্যস্ততার জন্য উত্তর দিতে দেরী হলো বলে আন্তরিক দুঃখিত আমি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১০
শায়মা বলেছেন: মৃৎশিল্পগুলো সহ বানপো সব কিছুই অনেক অনেক মজার ছিলো মনে হচ্ছে আপুনি।