নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুঘু ডাকা নিরালা নিঝুম দুপুরে ভাঙ্গা ঘাটের পৈঠায় বসে কাঁসার দু তিনটে থালা আর একটা বড় জামবাটি তেতুল দিয়ে একমনে ঘসে ঘসে মেজে চলেছে মিনু ওরফে মিনতি রানী দেবী।
এই থালা বাসনগুলো আজ থেকে সেই কত বছর আগে তার বিয়েতে পেয়েছিল দান সামগ্রী হিসেবে, তবে বেশিরভাগই গিয়েছে কালের গর্ভে। সেদিন ঝুলভরা তাক থেকে উইএ কাঁটা কিছু পুরনো বই ফেলে দিতে গিয়ে নজর পরলো এগুলোর দিকে। কত বছর হলো ছুঁয়েও দেখেনি কারন দেখার দরকারও যে হয়নি। অনেকদিন হলো এলুমিনিয়াম তারপর মেলামাইন এসেছে ঘরে। সেই মান্ধাতার আমলের পুরনো কাঁসার ভারী থালাবাসন আজ অপাংতেয়। ধুলো বালি আর ব্যবহার না করায় কালচে হয়ে গেছে।
সাত সাতটি কন্যা সন্তানের মা বিধবা মিনতি রানীর মনে পরলো সেদিনের কথা যেদিন একটি জীর্ন মলাটবিহীন বই হাতে তার স্বামীর গৃহপ্রবেশ। সেই বই এর একটি পাতায় চৌখুপি কাটা নয়টি ঘর, লেখা আছে সেই ঘরের সাতের কোঠায় যদি কারো আঙ্গুল পরে তবে তার নাকি পুত্র সন্তান হবে। কিন্ত পোড়া কপাল সেই ঘরে আঙ্গুল ফেলার সৌভাগ্য তার স্বামীর কোনবারই হলোনা।
তিনটি মেয়েকে সবকিছু বেচে কোনরকমে পার করে তিনিতো স্বর্গবাসী হলেন। এখন অবিবাহিত চার চারটি যুবতী মেয়ে নিয়ে মিনতি রানীর কি করে দিন কাটছে তা সেই জানে আর বিধাতাই জানে।
পানিতে পায়ের গোঁড়ালি পর্যন্ত চুবিয়ে উপুর হয়ে নারকেলের ছোঁবায় তেতুল মাখিয়ে গায়ের সর্বশক্তি দিয়ে জোরে জোরে মেজে চলেছে কাঁসার থালাবাটিগুলো। তার সেই ভঙ্গীতে ফুটে উঠেছে নিয়তির বিরুদ্ধে এক চাপা আক্রোশ। যেন সেই তীব্র ঘর্ষনে মুছে ফেলতে চাইছে তার কপালের লিখন।
একটু দম নিয়ে তাকিয়ে দেখে মাঝ পুকুরে কচুরিপানার দামের ভেতর খালি জায়গাটায় একটা পানকৌড়ি ডুব দিচ্ছে আবার ভেসে উঠছে ভুস করে। এবার মুখে ছোট্ট একটা মাছ। পুকুরের ওপাশের বাদিকের কোনায় এক ঘর ব্রাম্মনদের বাস। বাড়ীতে পুজা পার্বনের জন্য সেই বৃটিশ আমলে তাদের এখানে বসিয়েছিল বাড়ীর প্রতিষ্ঠাতা মালিক বিখ্যাত পাট ব্যাবসায়ী স্বর্গীয় হরিপ্রসাদ রায়।
এক সময় লোকজনের ভীড়ে গমগম করা, শান শওকত আর জৌলুসে ভরপুর চুন সুরকির দোতলা বাড়ি,সাথেই লাগানো পুজোর জন্য পাকা নাট মন্দির। আর তার চারিদিকে বিশাল এলাকা জুড়ে ফুল আর ফলের বাগান, দিঘী যা আজ হেজে মজে গিয়ে পুকুরে পরিনত, সবই আজ ক্ষয়িষ্ণু, ধ্বংস প্রায়। কারুকার্য্যময় বিশাল দোতালা বাড়ি তার সব রূপযৌবন হারিয়ে ভগ্ন পোড়োবাড়ির রূপধারন করেছে। মাথার উপর যেকোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পরতে পারে জেনেও মিনতি রানীর মত কিছু অসহায় পরিবার এবাড়ীর একটি দুটি ঘর লীজ নিয়ে বসতি গেড়েছে।
অনেকক্ষন পর সোনার বঁরণ ধারন করা কাঁসার থালা বাটিগুলো কঁচলে ধুয়ে নিল মিনতি দেবী ।এবার বা হাতের উপর থালাগুলো সাজিয়ে নিয়ে ভেজা কাপড়ে সপসপ আওয়াজ তুলে বাগানের মাঝের সরু মাটির রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলো।
আজ ছুটির দিন, দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে শর্মিলা নির্মলা দুবোন খাটে শুয়ে শুয়ে নাটক দেখছিল। মিনতি রানী তাদের সজাগ থাকতে বলে পুকুরে গিয়েছে। কি জানি ঘুমিয়ে পড়লো কি না ।সারা সপ্তাহ অমানুষিক খাটুনির পর ঘুমিয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। তাদের ঘরের সামনের দিকে আসতেই নজরে পরলো উঠোনে দাঁড়িয়ে এক ভদ্রমহিলা ঘরের ভেতর উকি ঝুকি দিচ্ছে।
"কে কে আপনি" ?
আগন্তক চোখ ফিরিয়ে তাকে দেখে এগিয়ে আসলো তারপর নরুন পাড় সাদা ধুতির শাড়ি পরা শ্যামলা মুখখানির দিকে তাকিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত স্বরে বলে উঠলো ‘মাসীমা!
"কে আপনি চিনতে পারছি না"? চোখের উপর হাত রেখে সুর্য্যের আলো বাঁচিয়ে প্রশ্ন করে।
‘মাসীমা আমি রোকেয়া, শর্মিলার রুকু ভাবী'।
"ওহ তুমি! আসো আসো মা ঘরে আসো এই কই তোরা দ্যাখ কে এসেছে ", বলেই তাড়াতাড়ি বারান্দায় থালাগুলো নামিয়ে ডানদিকের ঘরটায় প্রবেশ করলো মিনতী রানী।
মায়ের ডাকে ধরমর করে উঠে বসে দুবোন। ততক্ষনে স্যন্ডেল খুলে রুকুও বারান্দায় উঠে এসেছে।ঝকঝকে মেঝেতে পা রাখতেই ঠান্ডা শীতল অনুভুত হলো পায়ের পাতায়। শর্মিলা বেড়িয়েই রুকুকে দেখে ভাবী বলে জড়িয়ে ধরে রুকুও এক হাতে তার হাত পেঁচিয়ে ধরলো।
"ভাবী কতদিন পর আপনাকে দেখলাম ? এত দিনে আমাদের কথা মনে হলো"? গলায় অভিমানের স্বর ফুটে উঠে শর্মিলার।
'দিদি আপনিও তো আমার খোঁজ করেন নি, আমিতো তবুও ভয়ে ভয়ে আসলাম এত দূর পথ পেরিয়ে। মনে হচ্ছিল হয়তো আপনারা এখানে নেই’।
"কই যাবো এখানেই আছি ভাবী, আপনি একা এসেছেন ? আতিক ভাই আসে নি" ?
‘না দিদি আমি একাই এসেছি, আপনার ভাইতো এক সপ্তাহের জন্য দেশের বাইরে’।
বলতে বলতে সেই দিনের বেলায়ও অন্ধকার হয়ে ওঠা ঘরটায় ঢুকে সেই প্লাস্টিকের ভাঙ্গা চেয়ারটায় বসলো, যাতে সে পনের বছর আগে বসেছিল পাঁচদিন। বাড়ীটা যেন আরো জীর্ন হয়ে পড়েছে। অশ্বথ আর বটের চারার শেকড়গুলো কড়ি বর্গা ভেদ করে ঘরে ঢুকে পরেছে মনে হয়। অবস্থা দেখে রুকুর মনে হলো সামান্য বাতাসেই এটা ধসে পরবে কোন দিন।
মাসীমা কাপড় বদলে সামনে এসে দাড়ালো। সিঁথির সাথে কপালটাও পরিস্কার, গতবারের দেখে যাওয়া টকটকে লাল সিদুরের ফোটাটা অদৃশ্য।
টুকটাক দু একটা কূশল প্রশ্ন করে নির্মলাকে নিয়ে পাশের ঘরে স্টোভ জ্বেলে বসলো রুকুর জন্য নাস্তা বানাতে।
রুকু বেশ অনেকদিন আগেই কার মুখে জানি শুনেছিল শর্মিলাদির বাবা মারা যাওয়ার কথা।এখন মাসীমাকে দেখে সেটা যেন স্পষ্ট হয়ে উঠলো।
“বাবা মারা গেছে শুনেছেন ভাবী”?
‘হ্যা শর্মিলাদি শুনেছি, কি হয়েছিল মেসোমশাই এর’ ?
“স্ট্রোক”
‘ওহ’
“আতিক ভাই কেমন আছে? আর আমাদের ভাগ্নে তার খবর কি? ওকে নিয়ে আসলেন না কেন, দেখিনি কখনো”।
‘সবাই ভালো আছে দিদি, রাতুলের পরীক্ষা তাছাড়া আপনারা আছেন কিনা তাই তো জানি না। তারপর কেমন আছেন’?
“আছি আর কি চলে যাচ্ছে। কোনরকম”।
‘বিশাখা, লক্ষী, রানী ওরা সবাই কোথায়’?
“লক্ষীর আজ বিকেলে ডিউটি আর রানী মনে হয় ছাত্র পড়াতে গিয়েছে"।
'আর বিশাখা' ?
"ভাবী বিশাখার কথা আর কি বলবো আপনাকে, মুখ নীচু করে শর্মিলাদি ভয় পাওয়া গলায় ফিসফিস করে বলে উঠলো "সেতো পালিয়ে গিয়ে অন্য ধর্মের এক ছেলেকে বিয়ে করে চলে গেছে, বাবা ওকে ত্যজ্য করেছে।জানেনতো সমাজ না হলে আমাদের এক ঘরে করতো"।
বিশাখার মিষ্টি মুখটি মনে পড়লো রুকুর, ‘কিন্ত দিদি সে ভালো আছে তো ? নাকি সেই ছেলেও তাকে ছেড়ে গেছে?’
“না ভালোই আছে শুনেছি। এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার। জামাই পয়সাওয়ালা। ওকে সুখেই রেখেছে"।
এ কথা শুনে চুপিসারে একটা স্বস্তির নিঃশাস ছাড়ে রুকু। হোক অন্য ধর্মের, সংসার, স্বামী- সন্তানের সুখতো বরাতে জুটেছে মেয়েটির।
ছেলে ছেলে করে শর্মিলাদিরা সাতটা বোন হলো তারপর ও পুত্র সুখ অধরাই থেকে গেল ছোট এক উপজেলার সামান্য স্কুল মাষ্টার শ্রী দিলীপ চন্দ্র রায়ের।
“ভাবী আজ কিন্ত থেকে যেতে হবে”, হাতটা আরো জোড়ে জরিয়ে ধরলো শর্মিলাদি।
‘না দিদি আজ নয় আরেকদিন আসবো, আজ কাউকে বলে আসিনি’।
রুকুর মনে পড়ে গেল সেইসব দিনগুলোর কথা,যখন তারা একই কমপ্লেক্সে থাকতো। সারা দিন মনে হয় তারা মানিকজোড়ের মত ছিল। উনি সেই প্রতিষ্ঠানের এক প্রকল্পের প্রশিক্ষক ছিলেন । রুকু সেখানেও গিয়ে মাঝে মাঝে হানা দিত। বিকেলে গ্রামের ভেতর বেড়ানো, রাতে একসাথে ক্যন্টিনে খাওয়া। কোন বাটির মাছের টুকড়াটা বড় তাই নিয়ে বাবুর্চি চাচার সাথে খিটিমিটি। কোথায় সেই দিন গুলো দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে বুকের ভেতর থেকে। মাঝে মাঝে দিদি বাড়িতে যেত । অনেক সময় ওনার বাবা এসে নিয়ে যেতেন। তখন কিযে খালি খালি লাগতো রুকুর।
নির্মলা থালায় করে লুচি আর হালুয়া নিয়ে আসে। মাসীমা চা এর কাপ হাতে এসে বসে।নাস্তা খাওয়া শেষ।বিকেল হয়ে আসছে। রুকু উঠে দাঁড়ায়।ওরা সবাই বড় রাস্তার কাছে এগিয়ে আসে তার গাড়ী পর্যন্ত এগিয়ে দেবার জন্য। এসময় মাসীমা একটু দ্রুতলয়ে কাছে চলে আসে ।রুকুর হাতদুটো ধরে কাতর মিনতিতে বলে ওঠে ‘মা তোমার শর্মিলাদির জন্য একটা পাত্র দেখো, আমি বিধবা মানুষ,মাথার উপর চারটে কুমারী মেয়ে, ভগবান আমাকে একটি পুত্র সন্তানও দিলোনা যে ওদের দেখে রাখবে। এদের একটা গতি করে না গেলে আমি যে মরেও শান্তি পাবো না মা। ’।
এক নিশ্বাসে বলে যায় মাসীমা তাঁর মনের কোনে অহর্নিশি বয়ে চলা কষ্টের কথা , চোখে ফুটে উঠে এক গভীর বিষাদ যা রুকুকে খানিক্ষনের জন্য স্তব্ধ করে দেয়। কোনমতে বলে উঠে ‘ মাসীমা আমি চেষ্টা করবো’।
কিন্ত আপনাদের জাত, পাত, ঠিকুজি কোষ্ঠি মিলিয়ে পাত্র খুজে পাওয়া কি সম্ভব আমার পক্ষে,আর আমি কি এসব বুঝি ! মনের ভেতর আকুল বিকুলি করা কথাটি বলতে গিয়েও বলতে পারেনা রুকু ? আস্তে গাড়ীতে উঠে বসে । জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলো দুপাশে দু মেয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মিনতী রানী, মনে হচ্ছে বিশাল পাহাড় সমান বোঝা কাঁধে নিয়ে।
মনে পড়ে বছর পনের আগে রুকু অর্থাৎ রোকেয়া চৌধুরী শর্মিলাদির এই বাসায় এসে পাঁচদিন থেকে গিয়েছিল। দ্বিতীয়দিন বিকেলে মাসীমা শর্মিলাদিকে ডেকে বলেছিল 'শর্মি মেয়েটাকে নিয়ে আমাদেরদের গ্রাম আর সেখানে ফেলে আসা গ্রামের বাড়ীটা দেখিয়ে নিয়ে আয়'।
মেঠোপথ ধরে হাটতে হাটতে এগিয়ে যাচ্ছিল রুকুকে নিয়ে শর্মিলা। পাশে একটা পুকুর তার উপরে উপুর হয়ে আছে এক ঝুপসী বট গাছ, যার ঝুড়িতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা দোলনা বেধে ঝুলছে। পাশে লম্বা একটা ঘর। ওটা নাকি স্কুল। বাদিকে দুর দিগন্ত ঘেষা ধানের মাঠ তাতে সোনালী ধানের ছড়া ফলভারে নুয়ে পরেছে। বেশ কিছুদুর হাত ঘুরিয়ে এনে পরিমানটা দেখিয়ে শর্মিলাদি বলে উঠে, “ভাবী এই জমিগুলো না আমাদের ছিল”।
‘এখন কি হয়েছে দিদি’? উৎসুক মুখে প্রশ্ন করে রুকু।
“মেজদির বিয়ের সময় বেঁচে দিয়েছে বাবা”।
‘কি বলেন’! আর্ত কন্ঠে বলে উঠে রুকু।
“জী ভাবী আমাদের মেয়ের বিয়েতে অনেক টাকা যৌতুক দিতে হয়”।
রুকুর মুখে আর কথা যোগায় না,সাত মেয়ের মাঝে মাত্র দু মেয়ের বিয়ে দিতেই যার সর্বস্ব বিক্রি করতে হয় তার পর কি হবে!আস্তে আস্তে শর্মিলাদি দেখিয়ে চলে তাদের প্রাক্তন বসত বাটি। গাছপালায় ঘেরা বিশাল উঠোন নিয়ে খোলামেলা সেই বাড়িটি ত্যাগ করে তারা নিরাপত্তার জন্য গিয়ে উঠেছে জীর্ন পুরাতন ভাঙ্গাচুড়া দালানবাড়ীতে, যেখানে ঘরে ঘরে এক পরিবারের বাস।
সেই পাঁচদিন রুকু ঐ বাড়ীর মেয়ের মতই হয়ে গিয়েছিল। পুকুরে গোসল, আসন পেতে ভাত খাওয়া, সব কিছুই। এমনকি ঘরের ভেতর ছোট আসনে রাখা দেবতার নিত্য পুজার সময় ও সে উপস্থিত থাকতো।
মেসোমশাই অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। সাতটা মেয়ে হলেও তিনি তার স্ত্রী কন্যাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। মা ছাড়া কোন মেয়ের সাথে কখনো কথা বলতেন না। রুকুকেও মা বলেই সম্বোধন করতেন ।
রুকুকেও পাঁচটি দিন আদরে মমতায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার স্নেহাতুর মুখটি ভেসে উঠলো রুকুর মনের পর্দায়। প্রচন্ড এক ঝড়ের দাপট সামলে চলেছেন কি অনন্ত সাহস নিয়ে। চার চারটি বিয়ের উপযুক্ত কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার মুখে স্নেহের হাসি ম্লান হতে দেখেনি।
একটু আগে রুকু চলে গেল, অনেক বছর পর আসলো মেয়েটা, আগের বার যখন এসেছিল তখন তার কোন সন্তান ছিল না। এখন সে এক পুত্রের মাতা,স্কুলে নাকি পড়ে।রুকুর স্বামীকে আগের বার দেখেছিল, সুদর্শন ভদ্রলোক। রুকুকে দেখে মনে হলো অনেক সুখেই আছে। রুকুকেও বলেছে শর্মিলার জন্য পাত্র দেখতে, ভগ্নস্বাস্থ্য চল্লিশোর্ধ কন্যার জন্য রুকু কি পাবে পাত্র ! যাই যুটুক একটা মেয়েরও গতি যদি হতো, বিধাতা কি তার মুখের দিকে ফিরে চাইবে না ?
একে একে চার কন্যা যখন হলো তখন মিনতী রানী অনেক লজ্জার মাথা খেয়ে স্বামীকে বলেছিল আর সন্তান না নেয়ার কথা। দিলীপ বাবু গভীর বিশ্বাসের সাথে বলেছিল ‘ তুমি দেখে নিও এবার আমাদের পুত্র সন্তান হবেই। ছেলে না থাকলে মরার সময় কে মুখে জল দিবে রাধার মা কে মুখাগ্নি করবে বলো? আর তা না হলে আমার চৌদ্দপুরষ নরকস্থ হবে যে মিনু’।
অসহায় মিনতীর গলায় আর শব্দ ফোটেনা, চোখ ফেটে অশ্রু গড়িয়ে পরতে থাকে মেঝেতে। চতুর্থ মেয়ের জন্মের আগে কার কাছ থেকে শুনে কোথা থেকে এক ছেড়াফাটা এক বই নিয়ে আসলো। কিসের বই এটা? মিনতীর প্রশ্নের জবাবে লাজুক হেসে দিলীপ বাবু জানালেন ‘ এটা খুব গুরুত্বপুর্ন একটা বই। এতে ভাগ্য জানা যায়। দেখ বইটি্র এই পাতায় লেখা আছে,
“ওঁ নমো ভগবতী মাতঙ্গিনী সর্বকার্য সিদ্ধি কুরু কুরু স্বাহা" ..মন্ত্রটি তিন বার বলে এই নয়টি অংকের যে ঘরে হাত রাখবে সেই রকম ফল পাবে। দেখ, দেখ লেখা আছে সাত নম্বর ঘরে পরলে পুত্রসন্তান লাভ হবে’।
কিন্ত বিধাতার ইচ্ছা ছিল ভিন্ন। তিনি বোধ হয় চাননি তাদের পুত্র সন্তান হোক। কারন যতবারই মিনতী দেবী সন্তান সম্ভাবা হতেন ততবারই দিলীপ বাবু সেই বইটি নিয়ে বসতেন। কিন্ত কোনবারই তার প্রত্যাশিত সাতের ঘরে আঙ্গুল পরেনি। একে একে সাত কন্যার জননী মিনতী দেবীর লজ্জা/ভয় সরে গিয়ে ভেতরে ভেতরে প্রচন্ড এক ক্রোধের সুত্রপাত হয়েছিল। বিধাতার উপর তার চরম আক্রোশ মিটিয়েছিল বইটি ছিড়ে কুটি কুটি করে আগুনে পুড়িয়ে।
দু বছর আগে এক সন্ধ্যায় টিউশনি সেরে বাসায় এসে ধপ করে বারান্দায় বসে পরে দিলীপ বাবু। তার মিনতি ডাকে মা মেয়ে সবাই দৌড়ে আসে। তাদের চিৎকারে সামনের বাড়ীর ছেলেটাও বেরিয়ে আসলো। সবাই ধরাধরি করে নিয়ে গেল উপজেলা হাসপাতালে। অজানা আশংকায় বুকটা খামচে ধরে মিনতী দেবীর। নার্স এসে জানালো এক জন একজন করে ভেতরে যেতে দেখার জন্য।সবার শেষে আসলেন মিনতী দেবী। স্বামীর নিমিলিত চোখ কিন্ত অস্ফুট গলায় কি যেন বলছে। কানের কাছে মুখ নিতেই শুনলো
“মিনতী তুমি চিন্তা করোনা এবার আমার সাতের ঘরে আঙ্গুল পড়বেই, নাহলে কে আমাদের মুখাগ্নি করবে বলো”?
চৌদ্দপুরুষ নরকস্থ করার দায় নিয়ে অহল্যার মত কঠিন প্রস্তরবত হয়ে বসে থাকে মিনতী রানী দেবী তার সদ্য শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা স্বামীর শিয়রে।
উপরের ছবিটি আমার আঁকা + এডিট ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৪
জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখোয়াড় । ভালোলেগেছি কি গল্পটি আপনার ?
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৩
শামিল কায়সার বলেছেন: পুষ্ট ষ্টিকি করা হউক। মডুরা এইদিকে চায়না ক্যারে?
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৫
জুন বলেছেন: মডু ঘুমায় :-<
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৪
শামিল কায়সার বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে, তৃতীয় পিলাস।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১০
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ কায়সার শামিল গল্প পড়া আর যোগচিন্হ প্রদানের জন্য
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৪
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুরুটা চমৎকার লাগলো ।
কিছুক্ষণ পড়ার পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর কথা মনে পড়ল আপনার লেখা পড়ে ।
আর শেষদিকে এসে আমাদের সমাজের চিরাচরিত নিয়ম দেখা গেলো ।
মানুষের আশার বর্ণনা শেষ লাইনে ভালো লাগলো ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৪
জুন বলেছেন: আপনার ভালোলেগেছে জেনে আমারও অনেক ভালোলাগলো নাজমুল হাসান মজুমদার। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভারতের সেই স্বর্ন যুগের বিখ্যাত লেখকদের প্রচুর বই পড়ার সুবাদে আমার লেখায়ও হয়তো প্রভাব পড়তে পারে। তবে অজান্তে হয়তবা , জ্ঞ্যানত আমি কাউকে অনুসরন বা অনুকরন করি না আমার এই সামান্য লেখালেখিতে
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১২
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
অনেকদিন পর আপনার সুন্দর একটা লেখা পাওয়া গেল !
ব্লগে দেখাই যায় না ! ভালোলাগা জানবেন, ভালো থাকুন ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫২
জুন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকেও দেখলুম আমার পোষ্টে গ্রানমা। অনেক অনেক ভালোলাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।
অশেষ ধন্যবাদ আর ভালো থাকুন আপনিও ।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩২
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: আহা ! কি সুন্দর লেখা রে ! +++++++++++++++++++
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
জুন বলেছেন: তাই তিতির ? সত্যি তোমরা পাশে আছো তাই লিখি সাহস করে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
গল্পের ভেতর চিৎকার। অসহনীয় এক জঠর জ্বালা, নিদারুণ মর্মব্যথা ...
মর্ত্যের এই ঘটনাগুলো সপ্তম ঘরে কেবল গল্পই নয় দৃষ্টিনন্দন সাহিত্যও বটে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
জুন বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে অসংখ্য ভালোলালাগা অন্ধবিন্দু। আপনার মন্তব্য পেতে অপেক্ষায় থাকি । ভালো থাকুন সবসময় ।
৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++
অনেকদিন পরে আপনার পোস্ট পেলাম আপু । মনে হল পুরনো কোন বইয়ের পাতা থেকে তুলে আনা একটি ছবি , মলীন জীবনের সোঁদা ঘ্রাণ ! গল্প বলার ভিন্ন ঢং ভালো লাগলো খুব ।
প্রকল্পের , টুকরাটা , পাঁচদিন *
ভালো থাকবেন সবসময়
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
জুন বলেছেন: গল্পটি ভালোলাগার জন্য এবং খুঁটিয়ে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ অপুর্ন রায়হান।
আর বানান ভুল খুজতে বসেন না ভাই। প্রচুর বানান ভুল হয় শেষে ঠগ বাছতে গা উজাড় :!>
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৭
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পে ষষ্ঠ ভালো লাগা।
একটি পুত্র সন্তানের আশায় পুরো পরিবারকে অনিশ্চয়তার মাঝে ফেলে রাখার মত কুসংস্কার থেকে এখনো আমরা মুক্ত হতে পারি নি।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৯
জুন বলেছেন: প্রবাসী পাঠক কতদিন পর আপনাকে আমার ব্লগ বাড়ীতে দেখে খুব ভালোলাগলো। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুধু নির্দিষ্ট কোন ধর্মই নয় আমার জানামতে দুনিয়ার সব পরিবারই ছেলে ছেলে করে জান দিচ্ছে। কিন্ত মেয়েরা যে বাবা মা এর প্রতি কত কেয়ারিং আর সিন্সিয়ার হয় সেটা বুঝতে চায় না।
সবার মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হচ্ছে, কাল দুপুরের পর থেকে কোন ব্রাউজারেই সামুতে লগ হতে পারছিলাম না
১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৯
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
আপু খেয়ে এসে পড়তেছি .......
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১০
জুন বলেছেন: আরেকবার নাস্তা খাওয়ার টাইম হয়ে গেল
১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৬
কলমের কালি শেষ বলেছেন: বেপক লাগলো গল্প । +++
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৬
জুন বলেছেন: ভালোলাগা অর্থাৎ বেপক লাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ককাশে।
সকালের শুভেচ্ছা জানবেন
১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫১
আবু শাকিল বলেছেন: চমৎকার গল্প ।
গল্পে অনেক ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম এবং প্রিয় ব্লগার প্রবাসী পাঠকের মন্তব্যে সহমত ।
"একটি পুত্র সন্তানের আশায় পুরো পরিবারকে অনিশ্চয়তার মাঝে ফেলে রাখার মত কুসংস্কার থেকে এখনো আমরা মুক্ত হতে পারি নি।"
জুনাপু মডুর উপ্রে ভরসা পাই না।তাই নিজেই গল্প স্টিকি করে গেলাম
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৮
জুন বলেছেন: আপনি গল্পের থিমটি এক কথায় তুলে ধরেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আবু শাকিল ।
ছুটির দিন ঘর সংসারের কাজ সারতে সারতে আপনাদের মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল যার জন্য আমি আন্তরিক দুঃখিত।
যাক ষ্টিকি হয়েছে তাহলে
১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২১
মামুন রশিদ বলেছেন: জুনাপ্পীর লেখা দারুণ একটা গল্প পড়লাম । সত্যি জানিনা মানুষ এমন ছেলে ছেলে করে কেন? বাবা মায়ের কাছে সব সন্তানই সমান হওয়া উচিত । মানুষের এই চিন্তা ভাবনা পাল্টানোর সময় এসেছে ।
গল্পে অষ্টম ভালোলাগা ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪০
জুন বলেছেন: যাক গল্পটি দারুন লাগলো জেনে অসম্ভব ভালোলাগলো মামুন । জানতে চেয়েছো সমাজে সবাই কেন ছেলে ছেলে করে ?
আমার ধারনাঃ
তুমি হয়তো ভালো করেই জানো আমাদের এই পৃথিবীর মানুষ যখন তথাকথিত সভ্য হলো তখন মেয়েরা আদিমযুগের মত আর স্বাধীন থাকলোনা। ঘর বন্দী জীবনযাত্রা শুরু হলো তাদের। অর্থনীতির চাকা পুরুষের হাতে । তাই মনে হয় পুরুষ তথা পুত্র সন্তানের প্রতি সমাজের সবার আকর্ষন । আর এটাকেই বিভিন্ন ধর্মের বন্ধনে আবদ্ধ করা হলো নানা রকম ভয় ভীতি দেখিয়ে।
জানিনা মামুন আমার ব্যাখ্যায় তুমি সন্তষ্ট হলে কি না ।
১৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: “মিনতী তুমি চিন্তা করোনা এবার আমার সাতের ঘরে আঙ্গুল পড়বেই, নাহলে কে আমাদের মুখাগ্নি করবে বলো”?
মাঝে মাঝে মনেহয় চাইনিজদের এক সন্তান নীতিটাই ভালো আছে! দুই ফ্যামিলি মিলে পরে এক ফ্যামিলি হয়ে যায়।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭
জুন বলেছেন: আমি এমন এক পরিবারের কথা জানি কুনো যার ছেলে ছেলে করে ১১ জন মেয়ে হয়েছিল। তারপর এক ছেলে জন্মে যে কিনা ছয়মাসের সময় টিটেন্যাস হয়ে মারা যায়। মেয়েগুলোর চেহারায় কেমন যেন অপরাধীর ছায়া দেখতাম। খুব করুন ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ গল্প জুন আপু। অনেক ভালো লাগলো।
কুসংস্কার এখন সমাজটাকে পিছনে টেনে ধরে রেখেছে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
জুন বলেছেন: আবার এসেছো দেখে অনেক ভালোলাগলো শোভন। কুসংস্কার শুধু পেছনেই টানেনা অন্ধকারেও টেনে নিয়ে যায়।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১১
নস্টালজিক বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা। ডিটেইল।
শুরুটা খুব ভালো হয়েছে।
শুভেচ্ছা, জুন।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫১
জুন বলেছেন: নষ্টালজিক অনেকদিন পর আপনাকে দেখে অনেক ভালোলাগলো ।
ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অটঃ আমাদের ব্লগার ভাবীকে আর দেখা যায়না ইদানীং ব্লগে। খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তাই না ?
আপনাদের দুজনার জন্যও শুভকামনা ।
১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪৪
অশ্রুত প্রহর বলেছেন: বাহ!!! বেশ ভালো লেগেছে.. :-) :-)
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩২
জুন বলেছেন: স্বাগতম অশ্রুত প্রহর আমার ব্লগে
ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৩৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ ভালো লাগল।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫
জুন বলেছেন: অনেকদিন সাথে থেকে উৎসাহ দিচ্ছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ।
১৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫০
জাফরুল মবীন বলেছেন: অনেকদিন পর বোন জুন’এর কাছ থেকে চমৎকার একটা গল্প উপহার পেলাম।
অনেকদিন এটা আমার হৃদয়ে স্টিকি হয়ে থাকবে
সালাম ও শুভেচ্ছা জানবেন।
অটঃপোস্টে প্রথম মন্তব্য করা,প্রখম লাইক দেওয়া সবই মিস করেছি।কিন্তু প্রথম প্রিয়তে নেওয়ার ক্রেডিটটা আমার দখলে
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯
জুন বলেছেন: জাফরুল মবীন অসম্ভব সুন্দর এক মন্তব্য আর প্রিয়তে নেয়ায় অনেক খুশী হোলাম।
আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা অনেক
২০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪
তুষার কাব্য বলেছেন: সমাজের এক কঠিন,নির্মম বাস্তবতার সমাবেশ পুরো গল্পে...চমত্কার লাগলো আপু..১৪ তম প্লাস দিয়ে গেলাম....
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১১
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ তুষার কাব্য ।
ভালোলেগেছে জেনে খুব ভালোলাগলো
শুভেচ্ছা রইলো সকালের ।
২১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৫
লেখোয়াড় বলেছেন:
জুনাপু, গতকাল প্রথম মন্তব্য করেছিলাম কিন্তু পড়িনি।
আজ সকালে সময় নিয়ে পড়লাম।
আপনি যে একজন খাঁটি বাঙালি মেয়ে তা বার বার আপনার লেখায় আর ব্যবহারে ফুটে ওঠে। আমরা তা অনায়াসে বুঝতে পারি।
আর আপনি যে অনেকদিন থেকে নিরলস ব্লগিং করছেন সেটাও আমাকে মুগ্ধ করে, সব মিলিয়ে আপনাকে অনেক সন্মান করি। আপনাকে দেখলে আর একজনের কথা মনে পড়ে, তিনি হলেন সুরঞ্জনা আপু। তিনি অবশ্য এখন অনিয়মিত।
আপনার এই গল্পটি ষোলঅানা ভাললাগার।
কবিতা, গল্প কিংবা ভ্রমণ আপনার লেখা সবসময় হৃদয়গ্রাহী হয়। শুধু বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে নয় উপস্থাপনাও।
আপনি অনেক ভাল থাকুন।
হেমন্তের মিষ্টি আর সোনালি সকালের মতো।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৪
জুন বলেছেন: আমিতো বাঙ্গালী মেয়েই লেখোয়াড়। ব্লগিং করছি অনেক দিনই হলো এটা সত্য তবে কোয়ালিটি নয় কোয়ান্টিটি ব্লগিং।
ভালোলেগেছে জেনে আমারও ভালোলাগলো অনেক।
সাথে থাকা হবে ভবিষ্যতেও সেই কামনায়
সকালের শুভেচ্ছা ।
২২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
ত্রিশোনকু বলেছেন: ""But man is not made for defeat," he said. "A man can be destroyed but not defeated." I am sorry that I killed the fish though, he thought. Now the bad time is coming and I do not even have the harpoon. "
-The Old Man and the Sea, Earnest Hemingway.
তোমার লেখা পড়ে কেন জানি এই কথাগুলো মনে পড়ে গেল।
যে আশাবাদ নিয়ে শেষ করলে ছোট গল্পটি তা অনবদ্য
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৬
জুন বলেছেন: হেমিংওয়ে আমারও একজন প্রিয় লেখক আর তার শ্রেষ্ঠ বই থেকে উদ্ধৃতি আবেগাপ্লুত করলো অনেক।
অসংখ্য ধন্যবাদ ত্রিশঙ্কু আপনাকে ।
শুভেচ্ছা সকালের।
২৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কঠিন বাস্তবতার চিত্র! গল্প ভালো লেগেছে!
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
জুন বলেছেন: গতানুগতিক গল্পটি ভালোলেগেছে জেনে অনেক অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক।
উজ্জিবীত করার জন্য খুশী হোলাম অনেক
২৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৫
সানজিদা হোসেন বলেছেন: চমৎকার লেখনী। কিন্তু গল্পটা মন খারাপ হয়ে যাওযার মত
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
জুন বলেছেন: আমারও অনেক খারাপ লাগে কারো জীবনে এমন পরিস্থিতির কথা ভাবলে।
প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সানজিদা হোসেন
২৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫০
অদৃশ্য বলেছেন:
খুব সুন্দর একটি গল্প পড়ে ফেললাম... আপনার লিখার পরিবেশ ও পরিস্থিতি আমার অনেকটা পরিচিত বলে আরও বেশি ভালো লেগেছে... খুব কাছ থেকেই সব ঘটনাগুলো দেখলাম মনে হলো... সুন্দর প্রকাশ আপু...
শুভকামনা...
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
জুন বলেছেন: আমিতো মাটির সুবাস নিয়ে লিখতে চাই অদৃশ্য। অবাস্তব অকল্পনীয় কোন কিছু আমার দ্বারা কখনই লেখা সম্ভব নয় । যারা লিখতে পারে তাদের আমি শ্রদ্ধার চোখে দেখি। আমি আকতে স্বচ্ছন্দবোধ করি আমার চেনাজানা পরিবেশ নিয়ে।
সাথে থাকা আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ অদৃশ্য ।
সন্ধ্যার শুভকামনা
২৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
অতঃপর জাহিদ বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন, শুভেচ্ছা রইলো।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ অতঃপর জাহিদ
আপনার জন্যও রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।
২৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
খুব সহজীয়া ঢংয়ে এককালের সমাজচিত্র এঁকেছেন । পাশাপাশি সে দিনগুলোতে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নির্মলতাও বিরাজিত ছিলো সমাজে, তার নিপুন আভাসও দিয়ে গেছেন ।
একটি পরিবারের ক্রান্তিকালের ছবি ফুঁটে উঠেছে গল্পে দারুন ভাবে । হিন্দু সম্প্রদায়ের কন্যাদায়গ্রস্থ পরিবারের এই ছবিটি আজও যেন এক অলিখিত নিয়তির মতো ঝেড়ে ফেলা গেলোনা ।
শেষে বলি, গল্পটি পড়ে নজরুলের গানের একটি কলি মনে এলো - আমরা একই বৃন্তে দু’টি কুসুম / হিন্দু মুসলমান .......
শেষ বিকেলের শুভেচ্ছা ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৭
জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস আপনিও আপনার অনিন্দ্য সুন্দর ভঙ্গীতে সুন্দর এক মন্তব্যের মাধ্যামে আমার লেখার অসম্পুর্নতাটুকু পুর্ন করেছেন বরাবরের মতই।
জী লেখার ভেতরের একাধিক বক্তব্যগুলো খুব স্পষ্ট করে তুলেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন খুব আর মঙ্গলে থাকুন নিয়ত ।
সন্ধ্যার শুভেচ্ছা জানবেন ।
২৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
শায়মা বলেছেন: একটু পরে আসছি তোমার গল্প পড়তে। এখন আপাতত উঠতে হচ্ছে। তবে লেখোয়াড় ভাইয়ামনির কমেন্ট টা মন দিয়ে পড়লাম আর একটা কথা মনে হলো।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২
জুন বলেছেন:
কি কথা বলে বলে ভুলে গেছ ?
কি ব্যাথা মনে মনে রেখে গেছ,
হায় শায়মা
২৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:
অসাধারণ !!!
দৃশ্যটা একেবারে বাস্তব। আজকাল কর্পারেট জীবনের ছবি দেখতে দেখতে ঐ জীবনের ছবি এভাবে ফুটিয়ে তোলা কঠিন কম্ম নয় আপু।
গপ্প টা পড়ার পরে ভাবছি আশি টাকার নাস্তার দাবি ছেড়েই দিব। এত্ত সুন্দর একটা গপ্প লিখলেন !!! কিছুতো একটা দিতে হয় বৈকি।
একটা প্রশ্ন ছিল। কাঁসার জিনিস কি আসলেই তেতুঁল দিয়ে ডললে পরিস্কার হয়???
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
জুন বলেছেন: মৃদুল শ্রাবন অপুর্ব এক মন্তব্য আমার হৃদয়স্পর্শ করে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ ।
হায়রে ৮০ টাকার নাস্তা মরেও মুক্তি নেই মনে হচ্ছে আমার
কাঁসা পিতলের জিনিস্ তেতুল বা টক জাতীয় জিনিস দিয়ে মাজলে স্বর্নের মত চকচকে হয়ে যায়। ব্রাসো আবিস্কারের আগে এটাই ছিল একমাত্র পন্থা। এখনো এর ব্যাবহার সার্বজনীন। আর আটা দিয়ে কাচের গ্লাস মাজলে তাকিয়ে থাকতে হবে সেই নতুনের চেয়েও নতুন গ্লাসের দিকে
৩০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
সুমন কর বলেছেন: অনেকদিন পর অাপনার গল্প পেলাম। বর্ণনা অার কাহিনী দু'টোই চমৎকার হয়েছে। সমাজের কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
মামুন ভাইয়ের মতো, আমারও একই প্রশ্ন "সত্যি জানিনা মানুষ এমন ছেলে ছেলে করে কেন?"
গল্পে ভাল লাগা।
+
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
জুন বলেছেন: আদি যুগে পুরুষরাই ছিল অর্থ রোজগারের সাথে জড়িত। মেয়েরা ঘর সংসারের কাজে যে কাজের অদ্যাবধি কোন দাম নেই। তাই মনে হয় ভবিষ্যতের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সবাই পুত্র সন্তান কামনা করতো। এখন যুগ পাল্টেছে, মেয়েরাও অর্থ রোজগারে বিশাল ভুমিকা রাখছে। এখন মনে হয় ছেলে ছেলে বুলি কমবে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন কর
৩১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৮
ফা হিম বলেছেন: যুগ যুগ ধরে তো এভাবেই চলে আসছে। কোন প্রতিকার নেই। ধর্ম সকলের জন্য সুখকর হয় না।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪
জুন বলেছেন: অর্থ রোজগারের সাথে আদি থেকেই পুরুষ সমাজ জড়িত বলেই তাদের প্রতি এই আগ্রহ । সেটা যেই আবরণেই হোক ফাহিম । মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা অনিঃশেষ।
৩২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৪
জন কার্টার বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন । গল্পে ++++++++
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জন কার্টার গল্পটি পড়ার জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন সকালের ।
৩৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮
আরজু পনি বলেছেন:
গল্প পড়ে বিশাল একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো !
অনেকদিন পর দারুন একটা গল্প পড়লাম ।
বলার স্টাইলটা আপনার দারুন ছিল ।
অনেক শুভকামনা রইল
আর সাথে ২০ তম প্লাস ।।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭
জুন বলেছেন: অনেকদিন পর আরজুপনিকে দেখেও অনেক ভালোলাগলো।
গল্প ভালোলাগা আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার ।
শুভকামনা রইলো নিরন্তর ।
৩৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আজও শহর কি গ্রাম, অনেকবাড়িতেই এই পুত্রসন্তান জন্ম দিতে না পারার দুঃখ বহন করতে হয় অনেক মিনতী দেবীদেরই।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৫
জুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন আমি ময়ুরাক্ষী । সমাজটাই এমন , এমনকি মেয়েরাও চায়/খুশী হয় পুত্রসন্তান পেলে। গল্পটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
৩৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১২
আরুশা বলেছেন: কেমন আছেন জুন আপা ? অনেক অনেক দিন পর ব্লগে আসলাম । সবকিছু অচেনা লাগছে। আপনার গল্পটি পড়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পরলাম। সব ধর্মেই মনে হয় পুত্র সন্তান এর চাহিদা বেশি মেয়েদের কোন দামই নাই মনে হয় । ভালোলাগা ++++++
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
জুন বলেছেন: আরেহ্ কি খবর আরুশা ? অনেকদিন পর পথ ভুলে নাকি ?
ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
৩৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আপু সবাই তোমার গল্পের প্রশংসা করছে, আমি করবোনা কারণ তুমি এমনি লেখো সবসময় আমি জানি, তাই তোমার লেখনি শক্তি নিয়ে আমি এখন আর অবাক হইনা, তবে ভাবনার বিষয় হলো আমাদের সমাজে কি পুত্র সন্তান অভাব বোধ বিলুপ্ত হবে কোন দিন? বা এই থেকে পরিত্রাণের উপায় কি বলে তুমি মনে করো?এটা কি শিক্ষার সাথে জড়িত কিংবা শিক্ষা অভাবে বিতাড়িত?
তোমার ভাবনা জানার অপেক্ষায় রইলাম
ধন্যবাদ
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
জুন বলেছেন: ব্লগিয় জীবনের শুরু থেকে সাথে আছো, যা লিখি তারই প্রশংসা করো তার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না।
তুমি প্রশ্ন করেছো তার উত্তর আমি উপরেও কিছুটা ছুঁয়ে গেছি বিভিন্নজনের মন্তব্যে।
তারপর আবারও বলি আসলে আমাদের সমাজে ছেলেরা বাই ডিফল্ট মেয়েদের চেয়ে বেশী ক্ষমতা/সুযোগের অধিকারী। তাই বাবা মা কি এমন একজন সন্তান চাইবে যে কম ক্ষমতার অধিকারী হবে?
শিক্ষার ব্যাপারটা মাইন্ডসেট নির্ধারনে অবশ্যই সম্পর্কিত তবে মূল কারন টা অনেক গভীর। আমাদের সমাজে এখনো অনেক শিক্ষিত পরিবার কন্যা সন্তান জন্মে তেমন খুশি হয়না।
শুভকামনা সন্ধ্যার ডাইরেক্ট
৩৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
মুরশীদ বলেছেন: গল্পটি উন্নতমানের, সন্ধেহ নাই। গল্পের বক্তব্য ছেলে সন্তানের জন্য আকুলতা। কারন ধর্মীয় অনুশাসন। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপিত । অনেকের প্রশ্ন এটা কেন হয় ? কারন খুব গভীর । সমাজের এক সময়ের প্রয়োজনের জন্যেই এর সূচনা । তবে সমাজ পরিবর্তনের সাথে এর প্রেক্ষাপট বদলাচ্ছে । আর তাই এর প্রয়োজনটাও এক সময়ে ফুরিয়ে যাবে। ছেলে বা মেয়ে সন্তান উভয়কে সমান চোখে দেখা হবে। গল্পের পটভূমি যদি চিন্তার খোরাক হয় তবেই সার্থকতা । সেদিক থেকে গল্পটি সার্থক ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
জুন বলেছেন: গপের থিম টুকু অল্প কথায় ফুটিয়ে তোলার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভেচ্ছান্তে .।.।।
৩৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
অশ্রুত প্রহর বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি গল্প পড়লাম। :-) :-)
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জুন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ অশ্রুত প্রহর
৩৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ম্যালা দিন পর সামুতে ঢুকেই দারুন কিছু গল্প পড়ে ফেললাম।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ শুঁটকি মাছ। ম্যালাদিন পর এসেই আমার ব্লগে আসলেন বলে
শুভকামনা রাত্রির ।
৪০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
“মিনতী তুমি চিন্তা করোনা এবার আমার সাতের ঘরে আঙ্গুল পড়বেই, নাহলে কে আমাদের মুখাগ্নি করবে বলো”?
আপু শেষটায় এসে বুকের ভেতর যেন কিছু একটা কামড়ে ধরল।
অনেকদিন পর গল্প পড়ে পুরানো সেই আমেজ ফিরে পেলাম। এখন কার আধুনিক গল্পের ভিড়ে খুবই চমৎকার লাগল আপনার গল্পটা।
আপনার লেখায় সব সময় একটা স্নিগ্ধতা থাকে। এতটুকুই যথেষ্ট।
আর গল্পের প্রচ্ছদটা মন ছুঁয়ে গেছে। আহা ! কতদিন দেখিনা এমন সোনালী ধানের শীষে ছেয়ে থাকা অবিরত মাঠ।
প্রিয় ব্লগারের জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৭
জুন বলেছেন: কান্ডারী তোমার মন্তব্য অসাধারন লাগলো। বলার কিছু নেই যা বলার তুমি বলে দিয়েছো।
প্রচ্ছদটা পালটে নিজের আকা্ + এডিট করা একটা ছবি দিয়েছি। দেখতো কেমন হলো এবার?
অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা
৪১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ছিঃ ছিঃ আপু ! আপনার ভুল ধরি নি আমি , সেরকম যোগ্যতাও আমার নাই । আমার নিজেরই প্রচুর ভুল হয় । ভেবেছিলাম হয়তো খেয়াল করেন নি , তাই ।
অন্য কিছু মনে করবেন না আশাকরি । আর , সরি
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
জুন বলেছেন: স্যরি কি আবার ? আমাকেও তাহলে ছি ছি বলতে হয় অপুর্ন আমি কিছুই মনে করি নি। মনে করার প্রশ্নই আসে না । আমি ভুলের উর্দ্ধে সেটা আমি স্বপ্নেও ভাবি না ।এতদিন হলো ব্লগে আছো জানি না আমাকে কতটুকু চিনেছো ? তবে আমি খুবই নিরহংকারী একজন তা বলতে আমার সংকোচ নেই।
আর আমার বানান ভুল ! সেতো আমার নিজের চোখেই পরছে অহরহ।
দেখেছো সবার মন্তব্যের উত্তর বাদ দিয়ে তোমারটা দিয়ে গেলাম।
তবে নেক্সট টাইম আর ধইরোনা ভুল
৪২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
৮০ টাকার নাস্তা ছাড়া কোন কমেন্ট হবে না আর :/
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪১
জুন বলেছেন: ওহ
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা আমিনুর সাথে থাকার জন্য
৪৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২১
ইমিনা বলেছেন: অসাধারন একটি গল্প পড়লাম। জুন আপুর জন্য অনেক ভালোলাগা রইলো।
সেই সাথে অনেক অনেক শুভকামনা ...
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪২
জুন বলেছেন: গল্পটি ভলোলাগলো শুনে আমারও অনেক ভালোলাগলো ইমিনা ।
সকালের এক রাশ শুভেচ্ছা রইলো
৪৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অতি প্রাসঙ্গিক টপিকে দূর্দান্ত গল্প।
আপনার গল্প বলার মুন্সিয়ানা ঈর্ষণীয়।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫০
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ দুর্জয় মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য ।
সকালের স্নিগ্ধ শুভেচ্ছা ।
৪৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
etto boro goLpo porar dhoirjo, shomoy, iccha konotai kaj krLo na।na। tobu comment diLam ekta
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫১
জুন বলেছেন: গল্প না পড়ো মুন, তবুও যে মনে করে আমার ব্লগে এসে কড়া নেড়ে গেছ তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মুন ।
৪৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
ডি মুন বলেছেন: দারুণ গল্প। খুব ভালো লেগেছে।
++++++++
শুভকামনা সবসময় প্রিয় জুন আপু
সুন্দর হোক প্রতিটিদিন।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা ডিমুন।
ভালো থাকা হোক মঙ্গলে থাকা হোক সর্বক্ষন ।
৪৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৮
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ছবিটা ভালো হয়েছে আপু।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ শোভন । সত্যি অনুপ্রেরনা পাই এমন মন্তব্যে, তা ভালো হোক না হোক
৪৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেকদিন পর জুনাপুর পোস্ট পেলাম। গল্পে ভালো লাগা +++++
তবে সন্তান নিয়ে সেন্তিমেণ্ট কিন্তু বিপরীতও দেখেছি। আমার এক আত্মীয়ার মেয়ে সন্তানের আশায় পাঁচটা ছেলে সন্তান হয়। শেষে কনিষ্ঠ ছেলেটাকে ছোট বেলা থেকে মেয়েদের জামা কাপড়, খেলনা এমনকি প্রসাধনী দিয়ে সাজিয়ে রাখতো, বিভিন্ন অনষ্ঠানেও নিয়ে যেত ঐ সজ্জায়! যার জন্য বড় হয়ে ছেলেটিকে অনেকদিন সাফার করতে হয়েছে।
শুভ কামনা জানবেন।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
জুন বলেছেন: বোকামানুষকেও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আসলে আল্লাহ তা আলা দু ধরনের (ছেলে মেয়ে) মানুষ জাতি যখন সৃষ্টি করেছে তখন দুটো পাওয়ার জন্য হয়তো একটা আকাঙ্ক্ষা তৈরী হয় মনের মাঝে। তবে আদি যুগ থেকে বিশেষ করে অর্থনৈতিক কারনেই পুত্র সন্তান কামনা করতো বিভিন্ন ধর্মের নাম ব্যাবহার করে।
শুভকামনা রইলো বোকা মানুষ
৪৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০৭
খাটাস বলেছেন: চমৎকার গল্প আপু। বাংলার ছোঁয়ামাখা । যেটা সব খানে পাওয়া যায় না।
++++++++++++++++++
আমিনুর রহমান বলেছেন:
৮০ টাকার নাস্তা ছাড়া কোন কমেন্ট হবে না আর :/
সমর্থন জানিয়ে গেলাম। ঘটনার আমি ও একজন সাক্ষী । :#>
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
জুন বলেছেন: হায়রে ৮০ টাকার নাস্তা
খাটাস তুমিও ওদের দলে
গল্প ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
৫০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
এহসান সাবির বলেছেন: জুনাপু পোস্ট অফ লাইনে পড়েছিলাম। ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ এহসান সাবির ।
এত্ত বড় গল্প পড়ে বোর হয়ে যাওনি সেটাই তো আমার ভাগ্য
সন্ধ্যার শুভেচ্ছা ।
৫১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
দীপান্বিতা বলেছেন: ভাল লাগল...
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৩
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ দীপান্বিতা । গল্পটা আমাদের সমাজের কিছু কুসংস্কার নিয়ে লেখা। এ ব্যাপারে তোমার মতামত পেলে ভালোলাগতো
৫২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪০
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: বেশ সুন্দর লেখনী। চমৎকার গল্প।
খুব ভাল লেগেছে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৫
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য আর ভালোলাগার জন্য দ্য ইলিউশনিস্ট
৫৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০
জলমেঘ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো গল্পটা
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭
জুন বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম জলমেঘ
গল্পটি ভালোলাগা আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৫৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১১
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ৩০ তম ভাল লাগা
খুব ভাল লাগলো লেখাটা
++++++
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মাহবু১৫৪ গল্পটি পড়া আর মন্তব্য করার জন্য।
শীতের দ্বিপ্রহরে শুভেচ্ছা একরাশ
৫৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
বেশ চমৎকার থিম ৷
তবে কিছু জায়গায় খানিকটা আরো যত্নের প্রয়োজন হয়ত রয়েছে ৷ ভেবে দেখবেন ৷
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৮
জুন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তর দিচ্ছি আমি ভীষন দুঃখিত ।
আমার ব্লগে অদেখা মন্তব্যসমুহ কেন জানি দেখা যেতনা। তাই আপনার মন্তব্যখানিও আমার চোখ এড়িয়ে গেছে ।
কোন জায়গাটি যত্নের প্রয়োজন ছিল উল্লেখ করলে আমার ভুলটুকু শুধরে নিতে পারতাম। অবশ্য অনেকদিন পার হয়ে গেছে । এই পোষ্ট আপনারও আর নজরে পড়বে কি না সন্দেহ
যাক শুভকামনা রইলো এবং অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
৫৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একটানে একরাশ মুগ্ধতায় পড়ে গেলাম।
যেন পাশের বাড়ীর জানা কাহিনীটাই লেখায় দারুন ফুটে উঠল! অনিল দার কথা মনে পড়ল। উনার ঘরে এভাবেই পরপর ৫ কন্যা হতে দেখেছি। শেষ আর জানা হয়নি দূরে চলে আসায়!
সুলিখিত, সুপাঠ্য, সুন্দর গল্পে ৩৫তম++++
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮
জুন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু আমাদের সমাজে এখনও যে কত কুসংস্কার রয়ে গেছে তার ঠিকানা নেই । কত জাত -পাত, ধনী -গরীব, কালো-ধলো এমন সব ভেদাভেদ ভাবতেও কষ্ট হয় ।
গল্পটি পড়া ও ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৫৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
বিজন রয় বলেছেন: অনেক ভাল একটি গল্প।
+++
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
জুন বলেছেন: ব্লগার মঞ্জু রানী সরকারের আজকের পোষ্ট এ আমার দেয়া লিংক ধরে এসে প্রিয় গল্পটি পাঠের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ বিজন রয় ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
লেখোয়াড় বলেছেন:
জুনাপু............
প্রথম প্লাস।