নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাধি সৌধের দেয়ালে টাঙ্গানো শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের প্রতিকৃতি
১৮ই মার্চ ২০১৫ ইয়াঙ্গন এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে আসতেই চোখে পড়লো আমাদের নাম লেখা কার্ড হাতে দাড়িয়ে আছে হাসি খুশী এক তরুনী। হোটেলে যেতে যেতে পরিচয় হলো। দুদিন ইয়াঙ্গুন শহর ঘুরিয়ে দেখানোর দায়িত্ব এই তরুনী মিজ ওয়া লিউইনের উপর। জিজ্ঞেস করলাম কি কি আছে আইটেনারীতে ? অনেক কিছুর নামই বল্লো কিন্ত যা দেখার জন্য আমি উদ্গ্রীব বহুদিন বছর ধরে, তার নাম ও উচ্চারিত হলো না ।
তাই নিজে থেকেই প্রশ্ন করলাম 'বাহাদুর শাহ জাফরের সমাধি সৌধ নেই তালিকায়' ?
গাইড লিউইন অপ্রস্ততভাবে জানালো সে নাকি জীবনেও এর নাম শুনেনি।
শডেগনের পেছন দিকে জীবক রোডের ৬নং ঐতিহাসিক বাড়ীটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
আমার মন খারাপ দেখে আমার স্বামী বল্লো, ‘চিন্তা করো না আমি খুজে বের করবো। এর আগের বার আমি দেখে গেছি ওদের বিখ্যাত বৌদ্ধ বিহার শডেগনের আশেপাশেই আছে’। মনটা শান্ত হলো । পরদিন থেকে এক সপ্তাহ ইয়াঙ্গনের বাইরে ঘুর ঘুর করে ফিরতেই আবারো দেখি মিজ লিউইন আমাদের জন্য এয়ারপোর্টে অপেক্ষারত ।
রাস্তার ওপাশে ঐ সেই লাল দেয়াল ঘেরা বাড়িটি বৃটিশ ক্যাপ্টেন ডেভিসের গাড়ীর গ্যারেজ, যা একদা হয়ে উঠেছিল মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের শেষ আশ্রয়স্থল।
আমার হাত ধরে এক গাল হেসে বল্লো ‘জুন, সুখবর,। আমার প্রশ্নবোধক চোখের দিকে তাকিয়ে বল্লো, ‘আমি শুধু তোমার জন্য অনেক খুজে খুজে বাহাদুর শাহ জাফরের সমাধি সৌধের ঠিকানা বের করেছি, আজই যাবো আমরা'। বুঝলাম এদেশের বেশিরভাগ মানুষ এই ইতিহাসের নুন্যতম খবরও রাখে না । গাইড স্কুল শিক্ষিকা মিস লিউইন আমাদের আগ্রহের কথা জেনে অন্তর্জাল ঘেটে এর অস্তিত্ব খুজে পেল।
প্রবেশ দরজা, উপরে গ্রীলের মাঝে লেখা দরগা বাহাদুর শাহ জাফর, এম্পেরর অফ ইন্ডিয়া ১৮৩৭ -১৮৫৭
ইয়াঙ্গন শহরের ঠিক মাঝখানে বুদ্ধদের প্রধান তীর্থ কেন্দ্র শডেগনের পাশ ঘেষেই জীবক রোড। দু একটা বাড়ী ছাড়াতেই হাতের বা দিকে চোখে পড়লো একটি সাদামাটা লোহার গেট। গাড়ী থেকে নেমে ৬ জীবক রোডের গেট ঠেলে ছোট্ট একটি আঙ্গিনায় ঢুকলাম। চোখ পড়লো দেয়ালের গায়ে বাহাদুর শাহ জাফরের ছবি সহ লেখা মসোলিয়াম । উপরে লেখা দরগা এবং এখানকার লোকজনের কাছে তার পরিচিতি একজন সন্ত হিসেবেই।
সামনের আঙ্গিনায়, বাদিকে ওজুখানা
সমাধি সৌধের ভেতর সবুজ চাদরে ঢাকা পাশাপাশি তিনটি কবর । যার একটি হলো বাহাদুর শা জাফরের কবরের রেপ্লিকা বাকি দুটির একটি প্রিয়তমা পত্নী জিনাত মহল যিনি সম্রাটের মৃত্যুর ২০ বছর পর মৃত্যুবরন করেন আরেকটি তাদের পুত্র মির্জা জওয়ান বখতের। চারিদিকে দেয়ালের গায়ে ঝোলানো সম্রাটের বিভিন্ন সময়ের ছবি , তার পত্নী ও ছেলেদের আলোকচিত্র, তার শের , তার সুবিখ্যাত ক্যালিগ্রাফি, তার নিকাহনামার সার্টিফিকেট যা প্রত্যেকটি এক একটি ক্ষুদ্র ইতিহাস তুলে ধরছে আমাদের সামনে।
সম্রাটের নিজ হাতে লেখা কবিতা হয়তো বা, অপরুপ ক্যালিগ্রাফি
ঝুলানো আছে দেয়ালে শায়েরী চিত্র
ইতিহাস ভীড় করে এলো, মনে পড়লো বিখ্যাত মুঘল সম্রাট বাবর, আকবর, জাহাঙ্গীর ও শাহজাহানের উত্তরসূরী এই বাহাদুর শাহ জাফর মুঘল সাম্রাজ্যের মহাদুর্দিনে ভারতবর্ষের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। যে কয়েকজন প্রবাদ পুরুষ অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেম ও চরম আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছিলেন, এই বাংলার মাটিতে স্বাধীনতার স্বপ্ন বীজ বপন করেছিলেন তাদের মাঝে সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
পরিচয়
ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নামে ব্যাবসা করতে এসে বৃটিশ বেনিয়ারা একসময় ভারতবর্ষের শাসন ক্ষমতাও কুক্ষিগত করে নেয় । বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা পেনশন দিয়ে দুর্বল সম্রাটকে দিল্লীর লাল কেল্লায় করা হলো গৃহবন্দী।সেই অপমান লাঞ্ছনা ভুলে থাকার জন্য তিনি তার পুর্বসুরী জাহাংগীরের মত সুরায় নিমগ্ন না থেকে কবিতা আর গজল লেখায় মন দেন।
সৌধ দেখার জন্য টিকিট ঘর
১৮৫৭ খৃঃ মিরাটে বৃটিশদের সৃষ্ট ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সেনাদের মাঝে ভারতীয় হিন্দু এবং মুসলিম সৈন্যরা বৃটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে। যা ইতিহাসে সিপাহী বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ প্রথম শুরু হয়েছিল মিরাটে গুলি বা কার্তুজে শুকরের ও গরুর চর্বি ব্যবহারের প্রতিবাদে। ১১মে ১৮৫৭ সিপাহীরা দিল্লী অধিকার করে বহু ইংরেজকে হত্যা ও বিতাড়িত করলো।
দেশপ্রেমিক সিপাহিরা এ দিন লালকেল্লায় প্রবেশ করে ক্ষমতাহীন নামে মাত্র মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরকে ভারতের স্বাধীন সম্রাট বলে ঘোষণা করেন।
সমাধিতে প্রবেশ দুয়ার
সিপাহিরা সম্রাটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে শপথ নেন। এ দিন গভীর রাতে লালকেল্লায় একুশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে ৮২ বছরের বৃদ্ধ সম্রাটকে দেওয়ান-ই খাস এ সম্মান জানানো হয়। বাহাদুর শাহ জাফর সিপাহিদের বিপ্লব তথা ভারতবর্ষের প্রথম সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ সংবাদে একের পর সেনাছাউনিতে বিদ্রোহ হতে থাকে। কিন্ত ইংরেজরা অতি নির্মমভাবে এই বিদ্রোহ দমন করেন। এক ঘন্টার এই যুদ্ধে ৪১ জন সিপাহী মৃত্যবরণ করেন।
দুই ছেলে সহ বন্দী বৃদ্ধ সম্রাট বৃটিশ দের হাতে
বাহাদুর শাহ জাফর তখন উদভ্রান্তের মতো প্রাণ বাঁচাতে লালকেল্লা ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাদশাহ হুমায়ুনের কবরে। মাত্র দুই ছেলেকেই সঙ্গে নিয়ে যেতে পেরেছেন তিনি। মির্জা খোয়ায়েশ আর জওয়ান বখত। তাঁর মোট ২২ জন ছেলের বাকিরা নিছক প্রাণটুকু বাঁচাতে লালকেল্লা ছেড়া জামা মসজিদের চারপাশে, উর্দু বাজার, রোশনপুরা মালিওয়ারাতে আশ্রয় নিলেন, তবে, সেই আশ্রয় ছিল ক্ষণস্থায়ী। ইণ্ডিয়া গেটের কাছে এখন যা ‘খুনি দরওয়াজা’ বলে কুখ্যাত, সেখানে মির্জা খোয়ায়েশের আঠারো জন ভাইকে ফাসী দেয়া হল। এক মুহুর্তে শেষ হয়ে গেল একদা দর্পিত মোগল পরম্পরা। নিভে গেল সম্রাট বাবরের প্রতিষ্ঠিত, মহামতি আকবরের ভারত বর্ষ জুড়ে বিস্তৃত মুঘল সুর্য্যের শেষ রশ্মি।
বেঁচে যাওয়া সম্রাটের দুই পুত্রের ছবি
২২ সেপ্টেম্বর, ১৮৫৭-য় ধরা পড়লেন শেষ মোগল সম্রাট। সঙ্গে গ্রেফতার হলেন তাঁর বেগম আসরাফ মহল, আর জিনাত মহল। ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে সেই রাতেই হুমায়ুনের কবরস্থান থেকে ব্রিটিশ রণবাহিনীরই এক দেশি সেপাইয়ের সাহায্যে একবস্ত্রে পালিয়ে গেলেন আসরাফ মহলের পুত্র মির্জা খোয়ায়েশ।ইতিহাসে যার আর কোন উল্লেখই নেই।
বৃটিশদের বর্বরতা আর নিষ্ঠুরতার চরম উদাহরন হলো বাহদুর শাহের কয়েকজন পুত্র ও নাতিদের ছিন্ন মাথাগুলো একটি থালায় সাজিয়ে নওরোজ উৎসব উপলক্ষে বন্দী বাদশাহর কাছে উপঢৌকন হিসেবে পাঠিয়ে তাকে উপহাস করা! কতখানি অমানবিক ।
সমাধির ভেতরে অল্প সংখ্যক দর্শনার্থী
ধরা পরার পর বিচারের নামে প্রহসনের আদালতে দাড় করানো হলো বৃদ্ধ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে। হাজির করা হলো বানোয়াট সাক্ষী। বিচারকরা রায় দেন, দিল্লির সাবেক সম্রাট ১০ মে থেকে ১ অক্টোবর ১৮৫৭ পর্যন্ত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সংগঠনের দায়ে অপরাধী। তার শাস্তি চরম অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। কিন্তু তার বার্ধক্যের কথা বিবেচনা করে প্রাণ দণ্ডাদেশ না দিয়ে তাঁকে বার্মার তথা মায়ানমা্রের রাজধানী ইয়াঙ্গু্নে নির্বাসনে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।
সম্রাটের আসল কবরটি
১৮৫৮ সালের ৯ ডিসেম্বর সম্রাট ও তার পরিবারকে বহনকারী জাহাজ ইয়াঙ্গনে পৌঁছে। ব্রিটিশ বাহিনীর ক্যাপ্টেন নেলসন ডেভিসের বাসভবনের ছোট গ্যারেজে সম্রাট ও তার পরিবার-পরিজনের বন্দিজীবন শুরু হয়। আজীবন আরাম আয়েশ আর বিলাস ব্যাসনে অভ্যস্থ সম্রাটকে শুতে দেয়া হলো একটা পাটের দড়ির খাটিয়ায়। প্রিয় মাতৃভূমি ভারত থেকে বহু দূরে ইয়াঙ্গনের মাটিতে সম্রাটের জীবনের বাকি দিনগুলো চরম দু:খ ও অভাব অনটনের মধ্যে কাটতে লাগলো। ইংরেজ সরকার নির্বাসিত সম্রাট ও তার পরিবারের ১৬ জন সদস্যের জন্য খোরাকি বাবদ দৈনিক এগার টাকা এবং প্রতি রোববারে বার টাকা করে দিতেন। আর মাসের পহেলা দিনে সাবান, তোয়ালে কেনার জন্য মাথাপিছু দু’টাকা করে দিতেন।এখানে একটি কথা উল্লেখ করতে চাই তা হলো বার্মা তথা মায়ানমার দখলের পর ব্রিটিশরা সেখানকার শেষ রাজা থিবোকেও ভারতে নির্বাসন দিয়েছিল । তবে তার জন্য রত্নগিরীতে দোতলা বাংলো বাড়ী আর মাসিক ৫০ রুপি বরাদ্দ ছিল ।
পত্নী জিনাত মহল
এমন অর্থনৈতিক কষ্ট ছাড়াও কোনো লোককে সম্রাট ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে দেয়া হতো না। কাজের লোকদেরও পাস নিয়ে তাদের কাছে যেতে হতো। কারাগারের অভ্যন্তরে এক বদ্ধ প্রকোষ্ঠে, শতরকম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মধ্যেই ৮২ বছরের বৃদ্ধ সম্রাট রচনা করেছিলেন অসংখ্য সুবিখ্যাত পংক্তিমালা, গজল, শায়েরি। কষ্ট ও বিষাদ ছিল তাঁর কবিতার মূল বিষয়। এর সাথে দেশ ও জাতির পরাধীনতার কথা বিধৃত। একটি কবিতায় আছেঃ
“Umer e daraz mang ka lae the char din,
Do arzo me kat gae; do intezar me.”
যার অর্থ:
“চার দিনের জন্য আয়ু নিয়ে এসেছিলাম।
দু’দিন কাটল প্রত্যাশায় আর দু’দিন অপেক্ষায়।”
বাহাদুর শাহ জাফরের লেখা গজল পরিবেশন করছে তার ভক্তরা
সম্রাটের শেষ ইচ্ছা ছিল স্বদেশের মাটিতে সমাহিত হওয়া। জন্মভূমির প্রতি ছিল তার প্রচণ্ড অনুরাগ। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন জীবনের শেষ সময় ঘনিয়ে আসছে। স্বদেশের মাটিতে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ কিংবা সমাহিত হওয়ার সাধ কোনোটাই পূরণ হবে না। নিদারুণ দু:খে তিনি লিখেছেন একের পর এক কালোত্তীর্ণ কবিতা।
নীচের জগত বিখ্যাত শেরটি যা কাঁচ দিয়ে বাধানো আছে সমাধির বুকে
"কিতনা বদ নসীব হ্যায় জাফর,
দাফনে কে লিয়ে দু গজ জমিন ভী না মিলি কু ইয়ার মে"
ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী মায়ানমার সফরে গিয়ে তার সমাধি সৌধ পরিদর্শন করেন ।সে সময় তিনি আক্ষেপভরা এই বিখ্যাত শায়েরীর জবাবে পরিদর্শক বইতে লিখেছিলেন
"দু গজ জমিন তো না মিলি হিন্দুস্তান মে , পার তেরী কোরবানী সে উঠি আজাদী কি আওয়াজ, বদনসীব তো নাহি জাফর, জুড়া হ্যায় তেরা নাম ভারত শান আউর শওকত মে, আজাদী কি পয়গাম সে"।
বাংলায় অনুবাদ করলে দাড়ায়;
"হিন্দুস্তানে তুমি দু গজ মাটি পাও নি সত্য।তবে তোমার আত্মত্যাগ থেকেই আমাদের স্বাধীনতার আওয়াজ উঠেছিল। দুর্ভাগ্য তোমার নয় জাফর, স্বাধীনতার বার্তার মধ্যে দিয়ে ভারতবর্ষের সুনাম ও গৌরবের সঙ্গে তোমার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে"।
সম্রাট তার শেষ দিনগুলোতে
১৮৬২ সালের ৭ই নভেম্বর হতভাগ্য সম্রাটের করুন মৃত্যুর সাথে সাথে অস্তমিত হলো চেঙ্গিস খান আর তৈমুর লং এর উত্তরসুরী ভারত তথা পৃথিবীর ইতিহাস বিখ্যাত মহাপরাক্রমশালী মুঘল রাজবংশের। সেই সাথে নিভে গেল মুঘল সুর্য্যের শেষ রশ্মি। তড়িঘড়ি করে নির্বাসিত জীবনের চারটি বছর কাটানো বাসাটির পেছনের বাগানে মাটি দেয়া হলো । না তৈরী হলো কোন সৌধ, না রাখা হলো কোন চিনহ। বাশ দিয়ে ঘেরা কবরটি হারিয়ে গেল ঘাসের আচ্ছাদনে। লুকিয়ে ফেলতে চাইলো তাকে সকল লোক চক্ষুর অন্তরালে যা কিনা ১৯৯১ সালে পুনঃ আবিস্কৃত হয় । অবশ্য এর আগে ডেভিস চাপে পড়ে তার কবরটি চুন সুরকী দিয়ে চারিদিক ঘিরে দিয়েছিল।
সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের কবরের রেপ্লিকা, পত্নী জিনাত মহল ও এক ছেলের কবর
এই ভাগ্য বিড়ম্বিত বৃদ্ধ সম্রাটের শেষ আশ্রয়স্থল দেখে চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠলো ।মিজ লিউইন ও সব্কিছ জেনে নির্বাক হয়ে গেলেন।
সেখানকার একজন খাদেম নাম হাফিজ কামালুদ্দিন খুটিয়ে খুটিয়ে দেখালো সব কিছু সাথে তার আবেগ আর ভালোবাসায় জড়ানো প্রমানিত অপ্রমানিত কিছু ঐতিহাসিক বিবরণ। নিয়ে গেল বর্তমান ভবনের নীচ তালায় ইটের গাথুনি দেয়া সাদা মাটা আসল কবরটি দেখাতে । চাদর তুলে দেখালো আমাদের ।
কবরটি দেখাচ্ছে খাদেম হাফিজ কামালুদ্দিন
।বৃটিশ শাসকরা চেয়েছিল বাহাদুর শাহ জাফরকে সবার মন থেকে মুছে ফেলতে, আজ দেখলাম এব্যাপারে তারা সত্যি সফল। তবে আজও ভারতের যে কজন শীর্ষ নেতা মায়ানমার সফর করেছেন তারা প্রত্যেকে তাদের পুর্বসুরী আত্বত্যাগের মধ্যে দিয়ে ভারতের স্বাধীনতার আওয়াজ তোলা সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করতে ভুল করেনি। এর মাঝে রাজীব গান্ধী, এ পি জে আবুল কালাম আজাদ আর মন মোহন সিং এর ছবি দেয়ালে ঝুলানো দেখলাম।ছবিতে আরো আছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ এবং বাংলাদেশের হাইকমিশনার ।
ভারতীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পরিদর্শন বইতে সাক্ষর করছেন
এসব নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ ছাড়াও স্থানীয় কিছু সাধারন মুসলিম জনগনও তাকে একজন সুফী সাধক হিসেবে সন্মান করতে ভুলেন না।আর বেশ কিছু ভক্তদের দেখলাম নীরবে কবরের পাশে বসে সুফী এই সম্রাটের আত্বার মাগফেরাত কামনা করে কোরআন তেলওয়াত করছে।
শেষ জীবনে সুফী হিসেবে তার শিস্যদের মাঝে
বের হয়ে আসার আগ মুহুর্তে আমার সহপর্যটকের একটি ছবি ক্যামেরাবন্দী করলাম
অনেক দিনের সাধ ছিল দেখার,কিন্ত দেখার পর বিষন্ন মনে বের হয়ে আসলাম ইতিহাসের এক দুর্ভাগা সম্রাটের সমাধি থেকে।
সব ছবি আমাদের ক্যামেরায় তোলা
১৫ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আবু মুছা আল আজাদ
১৫ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আবু মুছা আল আজাদ
২| ১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
মো:ফয়সাল আবেদিন বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম । ধন্যবাদ আপু আপনাকে ।
১৫ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২
জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য মো:ফয়সাল আবেদিন
৩| ১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১৩
পুরান লোক নতুন ভাবে বলেছেন: উফ অতি সুন্দর বর্ণনা!! এতোবার ইয়াঙ্গুন গেলাম কিন্তু এর খবর জানলাম না! ইনশাল্লাহ পরবর্তীতে যাবো!!
১৫ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১
জুন বলেছেন: আগে থেকে না জানা থাকলে সেখানে গিয়ে জানাটা খুবই দুঃসাধ্য পুরান লোক নতুন ভাবে । কারন আমরা যত জনার সাথে এ বিষয় আলাপ করেছি তারা কেউই এর খবর জানে না ।
অবশ্যই যাবেন, ভালোলাগব্ গ্যারান্টি যদি ইতিহাস পছন্দ করেন ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
৪| ১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
জেন রসি বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার।
ইতিহাস জানতাম। তবে এখন ভ্রমণের স্বাদ পেলাম।
ধন্যবাদ আপু।
১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪৯
জুন বলেছেন: হ্যা ভ্রমন আর ছবিতে ইতিহাস পড়ালাম একটু খানি জেন রসি
ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন
শুভেচ্ছান্তে
৫| ১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪
রাসেল বলেছেন: Narrating is excellent. Thanks and pray more such type of writting.
১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫২
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে আর পোষ্টটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রাােসল।
৬| ১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭
আরমান নীল বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম, ধন্যবাদ।
১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:০২
জুন বলেছেন: আমিও অনেক খুশী হোলাম পোষ্টটি পড়া আর মন্তব্যের জন্য আরমান নীল ।
শুভেচ্ছা রাত্রির
৭| ১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৮
মুরশীদ বলেছেন: অসাধারন সুন্দর বর্ণনা।
১৬ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:০৭
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সর্ব ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য
৮| ১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:২৮
মুরশীদ বলেছেন: "হিন্দুস্তানে তুমি দু গজ মাটি পাও নি সত্য।তবে তোমার আত্মত্যাগ থেকেই আমাদের স্বাধীনতার আওয়াজ উঠেছিল। দুর্ভাগ্য তোমার নয় জাফর, স্বাধীনতার বার্তার মধ্যে দিয়ে ভারতবর্ষের সুনাম ও গৌরবের সঙ্গে তোমার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে" Best part!
১৬ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:০৯
জুন বলেছেন: বাহাদুর শাহ জাফরের শের কে উদ্দেশ্য করে লেখা রাজীব গান্ধীর এই অবিস্মরনীয় উক্তিটিও দারুন জনপ্রিয় পেয়েছে।
আবার আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ মুর্শীদ
৯| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: যে কয়েকজন প্রবাদ পুরুষ অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেম ও চরম আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছিলেন, এই বাংলার মাটিতে স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ বপন করেছিলেন তাদের মাঝে সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ইহা মানিতে পারলাম না। শীতকালীন প্রাসাদে যুদ্ধের ৬ মাস কাটায়ে আসা মানুষ যে কি না বীনা যুদ্ধেই পরাজয় মেনে নেয় তারে প্রবাদ পুরুষ মানতে আমি নারাজ, বাট উনি বিরাট কবি ছিলে...
১৬ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:২১
জুন বলেছেন: সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ফ্রাঙ্কেস্টাইন। হয়তো অশিতীপর বাহদুর শাহ জাফর বুঝতে পেরেছিলেন তিনি শুধু ক্ষমতাহীন, অর্থহীন , যশহীন, স্বাস্থ্যহীন বৃটিশদের হাতের পুতুল নামে মাত্র এক সম্রাট। যে কিনা উপঢৌকন পেয়েছিল তার ১৮টি যুবক পুত্রের খন্ডিত মাথা । তার অনেক কিছুই আমরা ক্ষমার চোখে দেখতে পারি তাই নয়কি ভাই ?
তার লেখা গজল গাইছিল তার ভক্তরা সেই সমাধিতে । সত্যি উনি কবিই ছিলেন, শাসক নয়
১০| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই বিষয়টা সম্পর্কে জানতাম না আপু। অনেক ধন্যবাদ ইতিহাসের এই অজানা বিষয় সম্পর্কে জানানোর জন্য। এই সম্রাটের জন্য রইল অনেক শ্রদ্ধা।
১৬ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩
জুন বলেছেন: এ বিষয়টি অনেকেরই অজানা কাল্পনিক । পোষ্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১১| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: বাহাদুর শাহ জাফর সম্পর্কে যা জানা যায় তাতে তাঁর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা রাখা মুশকিল। তবে এটা আমার বদ্ধমূল ধারণা নয়। কারণ আমাদের ইতিহাসের অনেক দিক ইচ্ছাকৃত/অজ্ঞতাবশত: চাপা পড়ে আছে। ইতিহাসের এই প্রলেপ সরানো গেলে তাঁর সম্পর্কে প্রকৃত মূল্যায়ন সম্ভব হবে। সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার জন্য বাহাদুর শাহের নেতৃত্বগুণের অভাবকেই দায়ূী বলে মনে হয়। তবে বাহাদুর শাহ জাফর ব্যর্থ হলেও সিপাহী বিদ্রোহের ফলে ভারতের শাসন ব্যবস্থায় বড়ো একটা পরিবর্তন হয়েছে। এর সূত্র ধরে ভারতে বেনিয়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসনের অবসান হয়। শুরু হয় বৃটিশ শাসন। অর্থাৎ এর ফলে আমাদের প্রভু বদল হয়েছে। এটাই সিপাহী বিদ্রোহের সবচেয়ে বড়ো গুরুত্ব।
অনুপ জালোটার একটা গজলের একটি লাইনের কথা এ প্রসঙ্গে মনে পড়ছে- কিস তাল্লুক ম্যায়, ক্যায়সে তড়ু জাফর !
১৬ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
জুন বলেছেন: এর জন্য আপনাকে পড়তে হবে দ্য ফল অফ মুঘল এম্পায়ার কামাল ভাই । তার বহু বহু আগে থেকেই যার পতন সুচিত হয়েছিল । বলতে পারেন সেই আওরংজেবের আমল থেকেই । ইতিহাসে এটা প্রমানিত সত্য, ঐতিহাসিক ইবনে খালুদন বলেছিলেন কোন রাজ বংশই ২০০ বছরের বেশী গৌরবজ্জল অবস্থায় থাকে না ।
আর সেই বৃদ্ধ, মানসিক বিপর্যস্ত সম্রাটের কাছ থেকে আমরা কিবা আশা করতে পারি।
অনেক দিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালোলাগলো
১৬ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫
জুন বলেছেন: * Sorry kamal vai ২০০ na ১০০ bochor hobey
১২| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫
লাবনী আক্তার বলেছেন: আপাতত ছবি দেখলাম। বর্ণনা পরে পড়ব আপা।
ভালোলাগা রইল।
১৬ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:২৩
জুন বলেছেন: অকে পইড়ো লাবনী খুশি হবো আমি আর জ্ঞ্যানী হবে তুমি
ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা
১৩| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা, তবে আরো কিছু শায়েরি যোগ করলে প্রীত হতাম!
১৬ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
জুন বলেছেন: স্বাগত আমার ব্লগে কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত)
সম্রাটের জীবনের কিছু ঐতিহাসিক মুহুর্ত বন্দী করতে চেয়েছি এই ছোট্ট পরিসরে
তাই শায়েরীদের দিয়েছি ছুটি ।
সাথে থাকবেন আগামীতেও
শুভকামনা রইলো
১৪| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
শুরুটা চমৎকার হয়েছে।
আমার একটা বদ অভ্যাস আছে, শুরুটা ভাল না লাগলে - ইতি টানি অথবা গা ছাড়া ভাবে পড়া শেষ করি।
১৬ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
জুন বলেছেন: প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে অত্যন্ত খুশী হোলাম শামছুল ইসলাম ।
প্রার্থনা আগামী পোষ্টগুলোও যেন আপনার প্রিয় তালিকায় রাখার জন্য হাত নিশপিশ করে ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১৫| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২১
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: সুন্দর বর্ননা। দারুন পোষ্ট।
১৬ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
জুন বলেছেন: অনেক ধনয়বাদ আপনাকে
১৬| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: কোন অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে আসলেই ভাল লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে!!
১৬ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
জুন বলেছেন: আমার ও তাই সাহসী সন্তান । পোষ্টটি পড়া আর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৭| ১৫ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ইতিহাসের সঙ্গে ছবিগুলি মিলিয়ে সে এক দারুন পোষ্ট।
অনেক ধন্যবাদ।
ওমরই দারাজ ম্যাংগ কে লিয়ে, দো চার দিন
দো আরজ ম্যায় কাট গিয়া, দো ইন্তেজার ম্যায়
বাহ বাহ কেয়া শায়েরী হ্যাঁয়
১৬ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
জুন বলেছেন: হ্যা মোজাম ভাই এটা অত্যন্ত সুন্দর একটি শায়ের । এছাড়াও অনেক গজল /শের লিখে গেছেন সুফী সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর।
সব সময় সাথে আছেন ভবিষ্যতেও থাকবেন আশা করি
১৮| ১৫ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আহ ! অসাধারণ বর্ণনা , হারিয়ে গিয়েছিলাম , ইতিহাসের এক করুন অধ্যায়ে ।চমতকার পোস্টের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জুন।
১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:২৯
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ গিয়াসলিটন। আরো ধন্যবাদ উৎসাহ যোগানো মন্তব্যটির জন্য। আগামীতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
১৯| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:২৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইতিহাসে আমি বরাবরই অতি দুর্বল। আপনার সুলেখনী'র গুণে এই অজানা ইতিহাস জানা হল। বর্ণনা খুবই দারুণ হয়েছে, মুগ্ধ হয়ে একটানে পড়ে গেলাম আর হঠাৎ করেই পোস্ট শেষ হয়ে গেল। আরও বড় হল না কেন?
এত্ত এত্ত ভাললাগা আর +++। ভালো থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা।
১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫
জুন বলেছেন: আমার কাছেও এক সময় ইতিহাস খুবই অনাকর্ষনীয় এক বিষয় ছিল। মনে হয় ক্লাশ এইট নাইনে পড়ার সময় আমি এর প্রেমে পড়ি যা আমার সম্পুর্ন শিক্ষাজীবন থেকে এখন পর্যন্ত চলে আসছে।
এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলি বোকা মানুষ আমি কখনো কোন ভ্রমনে আনন্দ পাই না যদি না তাতে প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক কিছু থাকে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সামনেও সাথে থাকুন
ভালো থাকুন, শুভকামনা রইলো সব সময়ের জন্য ।
২০| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৩৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: ভিষন ইচ্ছে ছিলো ভাগ্য বিড়ম্বিত এই শেষ মোগল সম্রাটের সমাধি দেখার। তোমার বর্ণনা ও ছবিতে চোখ, মন অনেকটাই জুড়ালো। অনেক ধন্যবাদ বন্ধু!
১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
জুন বলেছেন: দেইখা আইসো বন্ধু সুযোগ পাইলে । অনেক দিন পর তোমাকে দেখে অনেক অনেক ভালোলাগলো সুরঞ্জনা ।
এখন তো কিছু লিখতে পারো । এখন তো তোমার শ্যামার ভাষায় অখন্ড অবসর, সব দায়িত্বমুক্ত হয়েছো্ তাই না ?
তোমাকে নিয়মিত ব্লগে দেখতে চাই
২১| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৩
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: ইতিহাস টুকু জানা ছিল শুধু , চমৎকার বর্ণনা আর ছবি । মুগ্ধ হয়ে পড়লাম ।
১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৫১
জুন বলেছেন: আমরা অনেকেই ইতিহাস বই পড়ে জানি কিন্ত অনেক সময় তার ফেলে যাওয়া রেখা দেখা হয়ে উঠে না বিভিন্ন কারনে আদ্বিতীয়া। তাই আমি যতটুকু দেখি তা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার লোভ সামলাতে পারি না ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ । সাথে থাকুন আগামীতেও । শুভেচ্ছা জানবেন
২২| ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:১৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আর্টসের ছাত্র হিসাবে বাহাদুর শাহ জাফরের কথা জানা ছিল,ছিল তার শেষ দিনগুলির দূর্ভাগ্যজনক পরিনতি।। পরাক্রমশালী মুগল সাম্রাজের শেষ উক্তরাধিকারীর করুন পরিনতি!!
তবে একটা কথা শুনেছিলাম সিপাহীরা যখন তাকে বৃটিশদের আগমনের খবর দেয়,তখন তিনি আজকের বিখ্যাত উক্তি "দিল্লী দূর অস্ত" বলে গ্রাহই করেন নি-এটা সত্যি কি না ?? তবে অমর হয়ে আছেন তার শের-শায়রী নিয়ে।।
নূতন কছুর জানার আনন্দই আলাদা।। তাই তো আপনার চোখ দিয়েই আমিও ঘুরে এলাম শেষ মুঘল সম্রাটের শেষস্থানটি।।
১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬
জুন বলেছেন: সচেতন হ্যাপী প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আপনার তথ্য সমৃদ্ধ মন্তব্যগুলোর জন্য যা আমার পোষ্টকে সম্পুর্নতা দেয়। এতে বোঝা যায় আপনি কতটা মনযোগী এবং বিশ্লেষক একজন পাঠক ।
দিল্লি হনুজ দূর অস্ত কথাটি কি অনেকেই ব্যাবহার করেছিল কিনা জানি না , তবে আমার জানামতে এটা ব্যাবহার করেছিলেন হযরত নিজামুদ্দিন তুঘলক শাসকের বিরুদ্ধে । কি জানি আমার জানার ও ভুল হতে পারে ।
সামনের দিনগুলোতেও আপনার মন্তব্যের প্রত্যাশায় থাকলাম
২৩| ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:৩৭
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: সিপাহিরা সম্রাটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে শপথ নেন। এ দিন গভীর রাতে লালকেল্লায় একুশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে ৮২ বছরের বৃদ্ধ সম্রাটকে দেওয়ান-ই খাস এ সম্মান জানানো হয়
তার এত ছেলে থাকতে, ৮২ বছর বয়সে তার দায়িত্ব নেওয়া ঠিক হয়নি। তিনি ভাল মানের শাসক নন, তিনি কবি, সূফি..।
মুঘল(মোঙ্গল, মঙ্গোলিয়া থেকে মোঙ্গল) সম্রাটরা তাদের মাতৃপূর্বপুরুষ চেঙ্গিস খানের ইতিহাসের চেয়ে ইসলামের ইতিহাস নিয়ে সাম্রাজ্য শাসন করেছিলেন।
১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৩
জুন বলেছেন: ভাই শাস্বত স্বপন প্রথমেই স্বাগত জানাই আমার ব্লগে আসার জন্য । আপনার মন্তব্য দেখে বোঝা যায় অনেক মন দিয়ে পড়েছেন আমার পোষ্টটি।
আপনি যথার্থই বলেছেন বাহাদুর শাহ জাফর একজন সুফী কবি । কিন্ত রাজতন্ত্রে জীবিত রাজাকে বাদ দিয়ে তার ছেলেদের হাতে দায়িত্ব দেয়া কি সম্ভব ? তাছাড়া সেই অস্তমিত সাম্রাজ্যের শেষ সুর্য্যকে ঐক্যের প্রতীক হিসেবেই হয়তো দেখেছিল । আর তখনকার সেই মহাপরাক্রমশালী ইংরেজ যাদের রাজত্বে সুর্য্য অস্ত যায়না বলে প্রবাদ তাদের বিরুদ্ধে ক্ষয়িষ্ণু মুঘল বংশের তরুন যুবকরাই কি বা করতে পারতো বলুন ?
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
২৪| ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ৩:২৫
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: সিপাহী বিপ্লবে উনার সরাসরি কোন অংশগ্রহন ছিল না বলে জানতাম। বিপ্লবীরা সম্রাটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিল। উনার নেতৃত্ব গুনও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। উনি কাব্যচর্চা নিয়েই বেশি নিমগ্ন ছিলেন।
পোস্টে ১৬ নং ভালোলাগা।
১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
জুন বলেছেন: প্রবাসী পাঠক প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ।
৮২ বছরের একজন মৃত্যমুখ সম্রাট যার ছবি আমার পোষ্টে দিয়েছি , কাচের ভেতর আলো রিফ্লেক্ট করার ঘোলা এসেছে যা নীচে ব্লগার আহমেদ জী এস অন্তর্জাল থেকে পরিস্কার একটি কপি শেয়ার করেছে। আমাদের কি মনে হয় এই লোকটি শারিরীক বা মানসিক ভাবে কোন বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম ?
আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন যেহেতু তখন ও সে কাগজে কলমে ভারত বর্ষের সম্রাট সেহেতু সিপাহীরা তার প্রতিই নিয়মানুযায়ী আনুগত্য প্রকাশ করেছিল।
ভালোলাগার কথা জেনে অনেক ভালোলাগলো
২৫| ১৬ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৭:২১
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসাধারণ!
১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আমি ময়ুরাক্ষী
২৬| ১৬ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো পোস্ট
১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০৯
জুন বলেছেন: আপনার কাছে ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো চাদ্গাজী ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
২৭| ১৬ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
গোধুলী রঙ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সুন্দর পোস্ট।
গত বছর এপ্রিল-জুন এর মধ্যে দেড় মাস ইয়াঙ্গুনে ছিলাম। যে হোটেলে ছিলাম সেটা বোজো মার্কেটের কাছে। হোটেল থেকে সাকুল্যে ১০ মিনিটের হাটার রাস্তা। শুধু জানা ছিলো না বলে যাওয়া হয় নি, আফসোস........। আবার সুযোগ হলে অবশ্যই যাবো।
১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১২
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে গোধুলী রঙ।
আমরাও বোজো মার্কেটের কাছেই ওদের ঐতিহ্যবাহী থামাডা হোটেলে ছিলাম । হ্যা সেই শপিং এরিয়া থেকে হাটা দুরত্বেই বাহাদুর শাহের সমাধি । অবশ্যই দেখবেন পরবর্তী সময় গেলে ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
২৮| ১৬ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
রিকি বলেছেন: অসাধারণ লেগেছে আপু ++++++
১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১৩
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে রিকি
২৯| ১৬ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মায়ানমারে নির্বাসিত হয়েছিলো জানতাম কিন্তু সন্তান আত্মীয় পরিজনের এই করুন পরিণতি জানতাম না ।
বিষাদে ভারাক্রান্ত হলাম ।
চমৎকার লিখেছেন আপু ।
১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা । সত্যি আমারও মনটা অনেক খারাপ ছিল সব কিছু দেখে আর শুনে ।
সাথে থেকো আগামীতেও
৩০| ১৬ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
আপনার এই পোষ্টে দুএকটি মন্তব্যের কারনেই এই লেখাটুকু ।
ইতিহাস সবকালে বিজয়ীদের পক্ষেই স্বাক্ষ্য গায় ।সিপাহী বিদ্রোহের যে ইতিহাস আমরা দেখি সচারচর তার অধিকাংশই বিজয়ীদের কৃত ভাষ্য ।তারপরেও এসবে সিপাহী বিদ্রোহে বাহাদুর শাহ জাফরের সম্পৃক্ততাকে খুব একটা ছোট করে দেখানো হয়নি ।
এই সিপাহী বিদ্রোহকে বলা হয়ে থাকে ইন্ডিয়া’জ ফার্ষ্ট ওয়র অব ইন্ডিপেন্ডেন্স .... দ্য গ্রেট রেবেলিয়ন । এখানে বাহাদুর শাহ জাফরের ভুমিকাকে খুব একটা চ্যালেঞ্জিং বা টেরিফাইয়িং বলা যাবেনা তবে বয়স ও কবি স্বভাবের কারনে তিনি আমাদের পরিচিত
বিদ্রোহী চরিত্রের মতো মারকুটে হয়ে উঠতে পারেন নি ।বরং যে ৫২ জন ইংরেজকে বিদ্রোহী সিপাহীরা প্রাসাদের সামনের পিপুল গাছের নীচ হত্যা করেছিলো তাতে সায় দিতেও পারেন নি তিনি । অথচ দিল্লীতে তার প্রাসাদে আশ্রয় নেয়া ২০০ জন বিদ্রোহী সেনা ও কিন্ু বাহাদুর শাহকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যই করে গেছে তার বয়স আর ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারনে । যদিও বাহাদুর শাহ ঐ ২০০ জনের নেতৃত্ব দিয়েছেন দিল্লীর বিদ্রোহে আর অন্যত্র যেখানে যেখান বিদ্রোহ চলছিল সেখানে তাদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলেন ।
সাথের এই ছবিটি তার সেই সময়কালের ।
ধৃত বাহাদুর শাহ জাফর
।এই বয়সে তার পক্ষে কি ; আমি চির দূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস হয়ে ওঠা সম্ভব ছিল ? এক্ষেত্রে কোনও একটি মন্তব্যে আপনার দেয়া জবাবটি ই হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর হতে পারে ।
সুন্দর অথচ করুন একটি ইতিহাসের মরচে ধরা পাতাকে আবার যে ঘসেমেজে চোখের সামনে এনেছেন তার সাধুবাদ আপনাকে জানাতেই হয় ।
সবটুকু পড়ে মনে হলো , বাহাদুর শাহ জাফরের লেখা শের এর মতো আমাদের ও দুদিন কাটবে প্রত্যাশায় আর দুদিন অপেক্ষায় ।
১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
জুন বলেছেন: আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্যটি আমাকে করা প্রশ্নের উত্তর দিতে দারুনভাবে সাহায্য করবে বলে আমি বিশ্বাস করি আহমেদ জী এস । আপনার ছবিটি আমিও দিয়েছি সৌধের দেয়ালে ঝোলানো আলোকচিত্র থেকে । কাচের প্রতিফলনে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে না । এই বৃদ্ধ সম্রাটের পক্ষে কতটুকু সম্ভব তা ইতিহাসই বিচার করেছে বা করবে ।
মন্তব্যে সব সময় উৎসাহিত করার জন্য ওসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । শুভকামনা সতত ।
১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯
জুন বলেছেন: একই মন্তব্য দুবার আসায় একটি মুছে দিলাম আহমেদ জী এস
৩১| ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: জুন আপু অসাধারণ । চাপা পড়ে যাওয়া ইতিহাসকে তুলে এনেছেন খুব সুন্দরভাবে । সাথে ছবিও আছে । সবকিছু মিলিয়ে অনেক জ্ঞানগর্ব পোস্ট । আমরা জানতে পেরেছি এক সফল অধ্যায়ের করুণ পরিনতি ও মুছে ফেলার চেষ্টার ইতিহাস ।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।
শুভ কামনা সবসময় ।
১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২
জুন বলেছেন: চাপা পড়েছে বিশেষ করে সেখানকার লোকজন এ ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ । অবশ্য অত প্রচারও নেই বলেই হয়তো ।
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ককাশে । সাথে থেকো আগামীতেও । শুভেচ্ছা রইলো
৩২| ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০০
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক অজানাকে জানলাম, অনেক অনেক অদেখাকে দেখলাম।
অস্বাধারণ বর্ণনা সেই সাথে ছবি!
চমৎকার লিখেছেন আপু!!!
১৭ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
জুন বলেছেন: পোষ্ট দেখা আর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ কামরুন্নাহার বিথী ।
এক এক সময় লেখার উৎসাহ হারিয়ে ফেলি , আবার আপনাদের উৎসাহে কীবোর্ড নিয়ে বসি ।
শুভেচ্ছা জানবেন সন্ধ্যার
৩৩| ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:০০
রাখালছেলে বলেছেন: বহুদিন পর এত সুন্দর একটা পোষ্ট পেলাম । তাহলে ইনিই শেষ মুঘল সম্রাট । এই করুণ পরিনতি হল মুঘল বংশের । বাহাদুর শাহ কে আরও বিস্তারিত জানার ইচ্ছা জাগল ।
১৭ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
জুন বলেছেন: মুঘল সাম্রাজ্যের সত্যিকারের পতন তো শুরু হয়েছিল সম্রাট আওরংজেবের সময় থেকেই রাখাল ছেলে । বাহাদুর শাহ জাফরের মৃত্যু ছিল প্রদীপের শেষ সলতেটকু নিভে যাওয়া মাত্র ।
যাক আপনার ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো । আগামীতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায়
শুভেচ্ছা সন্ধ্যার
৩৪| ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৪
রিয়াদ হাকিম বলেছেন: মোঘলরাও তো ব্রিটিশ দের মতোই ক্ষমতার লোভে এই দেশ আক্রমন করেছিল, তাহলে মোঘল আর ব্রিটিশ এর মদ্ধে পার্থক্য কোথায় - একটু বুঝিয়ে বলবেন??
১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে রিয়াদ হাকিম । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । আপনি যথার্থই বলেছেন ক্ষমতার লোভ। তবে কিছুটা পার্থক্য আছে বইকি । মুঘলরা বিশেষ করে বাবর রাজ্য প্রতিষ্ঠার লোভে ভারত বর্ষে এসেছিল । বৃটিশরা এসেছিল ব্যাবসা করতে । মুঘলরা শক্তির জোরে ক্ষমতা দখল করেছিল যা তখনকার দিনে বহুল প্রচলিত, আর বৃটিশরা ছল চাতুরীর মাধ্যমে । , একমাত্র প্রথম সম্রাট বাবর তার বাবরনামা বই এ দু একবার তার দেশ ফেরগানা কথা উল্লেখ করেছেন , সেই সাথে চিনার বৃক্ষ আর খরবুজার কথা। বাকি ২০ জন সম্রাট এদেশকেই নিজের দেশ ভাবতো । ভারত বর্ষ থেকে তারা বহু সম্পদ আহরন করেছেন কিন্ত তার সবই এদেশেই ব্যবহার করেছে । বৃটিশদের মত লুটপাট করে নিজ দেশে চালান করে নি । এদেশের সাধারন মানুষদের, কৃষকদের আকবর অনেক কর মকুব করেছিল । বৃটিশরা এখানকার কৃষকদের চাবুক মেরে বাধ্য করেছিল তাদের জমিতে নীল চাষ করতে এবং সেই উৎপাদিত নীল তারা নিজ দেশে পাঠাতো । এমন আর ও অনেক উদাহরন আছে রিয়াদ হাকিম, দিলাম না । সংক্ষেপে লিখলাম ভাই।
সাথে থাকবেন আগামীতেও
শুভেচ্ছা অনেক অনেক
৩৫| ১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: আচ্ছা শাহ সুজাও তো মায়ানমারে গিয়েছিলেন? উনার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেন।
১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
জুন বলেছেন: বাংলার সুবাদার শাহ সুজা ছিলেন সম্রাট শাহজাহান এবং মমতাজ মহলের ২য় পুত্র সন্তান রাতুল । সিংহাসন দখলের জন্য তার ছোট ভাই আওরংজেব বড় ভাই দারাশিকোকে হত্যা করে এবং তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে সৈন্য পাঠায়। সেসময় শাহ সুজা তার পরিবার পরিজন নিয়ে চিটাগাং হয়ে আরাকান যান । সেটা ১৬৬০ সনে । আর বাহাদুর শাহ জাফর নির্বাসনে যান ১৮৬২ তে ।
কিন্ত আরাকান রাজার চক্রান্তে মৃত্যুর মুখোমুখি শাহ সুজা পালিয়ে মনিপুর চলে যান । আওরংজেব জানতে পেরে তাকে হত্যা করার জন্য সেখানে খোজ করেন । কিন্ত সেখানকার রাজা এবং ত্রিপুরার রাজার সহায়তায় তিনি প্রানে বেচে যান । এবং সেখানেই তিনি বাকী জীবন কাটিয়ে ১৬৬১ সনে ৪৪ বছর বয়সে মারা যান ।
পোষ্টটি পড়া আর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রাতুল
৩৬| ১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আর আমার ক্ষেত্রে উল্টো ঘটনা, আমি মুখস্ত ব মেমরাইজিং এ খুবই দুর্বল বলে ক্লাস নাইনে উঠে সাইন্স নেই, তাও ফুল সাইন্স (আগেকার সিস্টেম, মনে আছে নিশ্চয়ই)। যদিও ক্লাস এইটের ফাইনাল পরীক্ষায় গণিতে পেয়েছিলাম মাত্র ৩৬!!! মজার ব্যাপার কি জানেন আপু, পরবর্তীতে আমি দীর্ঘ ১৫ বছর প্রাইভেট টিউশনি করেছি শুধু এই গণিতে, স্কুল লেভেল থেকে শুরু করে স্নাতক লেভেল পর্যন্ত!!!
অপ্রাসাঙ্গিক মন্তব্যে দুঃখিত, কিন্তু আপনার ইতিহাসের প্রতি ভালবাসার কথা প্রতিত্তরে জেনে এই শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। ভালো থাকুন, শুভকামনা নিরন্তর।
১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
জুন বলেছেন: ওহ বোকা মানুষ তাহলে আমার এই পোষ্টটা তোমাকে পড়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি
http://www.somewhereinblog.net/blog/June/29133556
৩৭| ১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার অসম্ভব সুন্দর বর্ণনা আর চমৎকার ছবি, জানলুম হতভাগা শেষ মুগল সম্রাটের কাহিনী, তার দুর্ভাগা সন্তান আর নাতি নাতনীদের চরম পরিণতির কথা। খুব ভাল লাগল লেখাটি। ধন্যবাদ সুন্দর জিনিস দেখাবার জন্য।
১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০১
জুন বলেছেন: হ্যা ঢাকাবাসী ভাই ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির দারুন শখ ছিল , যদিও তেমন মান সম্পন্ন লেখতে পারি না তারপর ও এই ব্লগে এসে অনেক দিনের শখ পুর্ন করছি , লিখছি, আর আপনারাও উৎসাহ দিচ্ছেন । অনেক অনেক ভালোলাগে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই , সামনের দিনগুলোতেও সাথে পাবো আশাকরি ।
আপনি পোষ্ট দিচ্ছেন না কেন ?
৩৮| ১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: "আজও ভারতের যে কজন শীর্ষ নেতা মায়ানমার সফর করেছেন তারা প্রত্যেকে তাদের পুর্বসুরী আত্বত্যাগের মধ্যে দিয়ে ভারতের স্বাধীনতার আওয়াজ তোলা সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করতে ভুল করেনি। এর মাঝে রাজীব গান্ধী, এ পি জে আবুল কালাম আজাদ আর মন মোহন সিং এর ছবি দেয়ালে ঝুলানো দেখলাম।ছবিতে আরো আছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ এবং বাংলাদেশের হাইকমিশনার ।"
অনন্য এই ঐতিহাসিক বিষয় উপস্থাপনে শ্রদ্ধা অনেক।
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৮
জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য দীপংকর চন্দ ।
সাথে থাকুন আগামীতেও
শুভকামনা আপনার জন্যও
৩৯| ১৮ ই জুন, ২০১৫ রাত ২:৪৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না-ভুলটি বোধহয় আমারই।। আবছা ভাবে মনে পড়ছে সেই শাসক শেষ পর্যন্ত পৌছুতে পারে নি।। পথেই তার মৃত্যু হয়-তাই না।।
অনিচ্ছকৃত ভুলটির জন্য আমি দুঃখিত।।
১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
জুন বলেছেন: এটা এমন কোন ভুল নয় সচেতন হ্যাপী । দুঃখিত হওয়ার কিচ্ছু নেই আপনার । মানুষই তো আমরা তাই না ?
ঘটনাটি হলো ঃ
হযরত নিজামুদ্দিন যখন দিল্লীতে জীবন শুরু করে তখন দিল্লীর শাসক ছিলেন গিয়াসুদ্দিন তুঘলক। তিনি তার নতুন প্রতিষ্ঠিত রাজধানী তুঘলকাবাদে আর নিজামুদ্দিন আউলিয়া দিল্লীতে লোকজনের পানির অভাব দূর করতে একই সময়ে পুকুর খনন করতে শুরু করে । সেসময় মজুর ছিল অপ্রতুল । মজুররা প্রথমেই বিনা মজুরীতে হযরত নিজামুদ্দিনের পুকুর কাটতে শুরু করে । এতে গিয়াসুদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে আউলিয়াকে শাস্তি দেয়ার তার নতুন প্রতিষ্ঠিত রাজধানী তুঘলকাবাদ থেকে দিল্লী এগিয়ে আসছিল । সেসময় আওউলিয়ার ভক্তরা তাকে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছিল । তখন নিজামুদ্দিন আউলিয়া এই বিখ্যাত উক্তিটি উচ্চারন করেন । দিল্লী হনুজ দূর অস্ত । দিল্লীর প্রান্তে উপস্থিত হলে তার পারিষদরা একটি সম্বর্ধনার আয়োজন করে। সেখানে হাতির শুড়ে আঘাত লেগে তাবু ভেঙ্গে পরে গিয়াসুদ্দিনের মৃত্যু হয়।
সত্যি দিল্লী অনেক দূর ।
আবার আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
৪০| ১৮ ই জুন, ২০১৫ ভোর ৫:৩০
রিফাত হোসেন বলেছেন: অজানা অনেক কিছু জানলাম ।
বহুদিন পড়া হয় না ব্লগ যদিও ।
১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
জুন বলেছেন: আমিও দেখি না আপনাকে ইদানীং ব্লগে ।
পোষ্টটি পড়ার জন্য আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রিফাত হোসেন
৪১| ১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৪
রিভানুলো বলেছেন: জুন আপনার ছবি আর লেখায় মুর্ত হয়ে উঠলো সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর
++++
১৮ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
জুন বলেছেন: অনেক খুশি হোলাম আপনাকে দেখে রিভানুলো
৪২| ১৮ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩
nobodhonyicf বলেছেন: অসাধারন…
আপনার ব্লগটিও ঘুরে দেখলাম খুব চমত্কার
১৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া আর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ nobodhonyicf
শুভকামনা রইলো
৪৩| ১৮ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:১৬
ইয়ার শরীফ বলেছেন: বৃটিশদের বর্বরতা আর নিষ্ঠুরতার চরম উদাহরন হলো বাহদুর শাহের কয়েকজন পুত্র ও নাতিদের ছিন্ন মাথাগুলো একটি থালায় সাজিয়ে নওরোজ উৎসব উপলক্ষে বন্দী বাদশাহর কাছে উপঢৌকন হিসেবে পাঠিয়ে তাকে উপহাস করা! কতখানি অমানবিক "
করুন এক কাহিনী, অনেক কিছু জানলাম। সময়ের সাথে আমাদের কত ইতিহাস এমনি লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাচ্ছে।
১৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
জুন বলেছেন: তারপর ও ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে যাতে মানুষ তার থেকে কিছু শিখতে পারে ।
অনেক দিন পর আপনাকে দেখলুম ইয়ার শরীফ ।
পোষ্টটি পড়া আর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৪৪| ২১ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭
রূপা কর বলেছেন: সত্যি বদনসীব বাদশাহ জাফরের আপু ++++
২১ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬
জুন বলেছেন: একমত আপনার সাথে রুপা কর । লেখাটি পড়ায় অনেক খুশি হোলাম
৪৫| ২২ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
দীপান্বিতা বলেছেন: আপনার পোস্টের জন্য এ কারণেই অপেক্ষায় থাকি... শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের প্রতি শ্রদ্ধা ....
২২ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
জুন বলেছেন: আমিও তোমাদের মত গুটিকয়েক পাঠকের কথা ভেবে বেহায়ার মত অং বং লিখেই চলেছি দীপান্বিতা।
ক্ষমো মোর এ ধূষ্টতা । সাথে থেক শেষতক । অজস্র ধন্যবাদ
৪৬| ২২ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
লালপরী বলেছেন: অসাধারন আপু +++্
২২ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ লালপরী ।
৪৭| ২২ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন। আপনার এই ধরনের লেখাগুলো আমার খুব ভাল লাগ। পুরো লেখা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লাম এবং ছবি দেখলাম। খুব ভাল লাগল। শুভেচছা রইল।
২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৮
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই আপনার আন্তরিক মন্তব্যটির জন্য । আগামী দিনগুলোতেও সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন আশাকরি । শুভকামনা জানবেন ।
৪৮| ২৫ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
কাবিল বলেছেন:
বরাবরের মতই চমৎকার।
ছোটকাল থেকেই আমার ভ্রমনের খুব সখ, কিন্তু -------------
তাই আপনার ব্লগে ছুটে আসি একটু ভ্রমন করতে (ধুধের সাধ ঘোলে মেটানো )।
পরবর্তী আরও সুন্দর কোনও ভ্রমন কাহিনীর অপেক্ষায়।
২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:০৩
জুন বলেছেন: অসংখ ধন্যবাদ আপনাকে কাবিল, অনেক অনেক ভালোলাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে । আশাকরি আগামি দিনগুলোতেও সাথে থাকবেন
৪৯| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক নতুন তথ্য জানলাম আপু, অনেক ধন্যবাদ।
২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:২৮
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ঝির ভাই
৫০| ২৬ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:২৬
মোঃমোজাম হক বলেছেন: মন্তব্যগুলিও পড়ে অনেক মজা পেলাম
৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩
জুন বলেছেন: শুনে অনেক ভালোলাগলো ।
কেমন আছেন মোজাম ভাই ? বাসার সবাই ভালোতো ? ঈদ কি দেশে করবেন নাকি বাইরে ?
শুভকামনা থাকলো আপনার ও পরিবারের সবার জন্য
৫১| ৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
আলোরিকা বলেছেন: চমৎকার !!!
৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আলোরিকা । আশাকরি অনেক ভালো আছেন । শুভকামনা সতত।
৫২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৫
মশিকুর বলেছেন:
সম্রাটেরা যেমন সৌভাগ্যবান তেমনি মাঝে মাঝে দুর্ভাগাও বটে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে সেখানে মানবতার স্হান দেয়া চলে না। যে লম্বা সময় মুঘল রাজত্ব চলেছে তা বন্ধ করতে ইংরেজদের এই প্রচেষ্টা। কিন্তু এভাবে??? কি নির্মমতা!! পোস্ট পড়ে মন ভারী হয়ে উঠলো সেক্ষেত্রে আপনার বর্ণনার প্রশংসা করতেই হয়...
+
ভালো থাকুন জুন আপু
০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৬
জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ মশিকুর । সম্রাটের ছেলেদের মৃত্যুদন্ড দিল কোন ন্যয্য অধিকারে তারপর আবার ঢাকা দেয়া পাত্রে করে পিতার কাছে উপঢৌকন হিসেবে পাঠানো কোন সভ্যতার লক্ষন বলুন মশিকুর ?
সত্যি মন ভারী হওয়ার মতই ঘটনা ভাই । পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৫৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ওয়াও! ছবি আর ডিটেইলস দারুণ। বরাবরের মতই ঈর্ষান্বিত হইলাম।
০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৬
জুন বলেছেন: কেন কেন ঈর্ষান্বিত কেন বলেন গর্বিত হোলাম । হাজার হলেও আমি আপনার কো ব্লগার
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । তবে আপনার লেখাগুলো অনেক মিস করি প্রফেসর ।
৫৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আসলেই আপা আপনি একজন ইবনে বতুতা।
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
জুন বলেছেন: হ আসল বতুতাই তো হইতে চাই সব কিছু ভেজালের দেশে কান্ডারী
ধন্যবাদ
৫৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: আপ চোখের অশ্রু বাঁধ মানলো না।
সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের কথা মনে হলেই আমার ভেতরে ইংরেজদের প্রতি তীব্র ঘৃণা জমে ওঠে।
আপনাকে ধন্যবাদ ইতিহাসের গলিতে হাঁটিয়ে আনার জন্য।
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
জুন বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন কবি , সেই যখন পড়েছিলাম তার হতভাগ্য সন্তানদের নিয়ে নিষ্ঠুর তামাশার কথা তখন থেকেই এই বৃদ্ধ সম্রাটের দুঃখে দুঃখী হয়েছি। আর মায়ানমার গিয়ে তার সমাধিটি দেখার আমার প্রচন্ড আগ্রহ ছিল ।
পোষ্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । সাথে থাকবেন আগামীতেও সেই কামনা থাকলো ।
৫৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৪
মোঃ রাশেদ এয়াকুব বলেছেন: "বৃটিশদের বর্বরতা আর নিষ্ঠুরতার চরম উদাহরন হলো বাহদুর শাহের কয়েকজন পুত্র ও নাতিদের ছিন্ন মাথাগুলো একটি থালায় সাজিয়ে নওরোজ উৎসব উপলক্ষে বন্দী বাদশাহর কাছে উপঢৌকন হিসেবে পাঠিয়ে তাকে উপহাস করা! কতখানি অমানবিক "- এটা হল নিষ্ঠুরতার ইউরো-আমেরিকান মডেল। এশিআ অংশে অনেক নিষ্ঠুর রাজা-বাদশা-সম্রাট এসেছে কিন্তু ঠিক এমন ধারা নিষ্ঠুর "উপহাস" করেছে বলে তো শুনিনি। আর সাম্প্রতিক সাদ্দাম-গাদ্দাফি মডেলটিও ভেবে দেখ। ইউরো-আমেরিকান শক্তিই রাজ প্রাসাদ থেকে স্রেফ হাইজ্যাকারের কায়দায় বের করে দিয়ে দুজনকেই মেরে ফেলল। একই পরিণতি সিরিয়ার বাশারের জন্যও তৈরি ছিল। হায় কি ছিল সেই ইরাক আর লিবিয়া অার আজ কি হচ্ছে সেখানে? গণতন্ত্রের পুরোহিতদের চাপিয়ে দেওয়া গণতন্ত্র! আসলে সবই শোষণের পথ খোলা রাখার মন্ত্র। থুথু দেই এই গণতন্ত্রে।
আর হ্যা, 'দিল্লী দূর অস্ত" নিজামুদ্দিন আউলিয়াই এই বিখ্যাত উক্তিটি উচ্চারন করেন ।" হনুজ" শব্দটি আরবি-ফার্সি নয়, এটা তাই সাথে যায়না। কোন ভাবে এটা পরে যুক্ত হয়েছে। যাযাবরের "দৃষ্টিপাত" এ ঘটনাটির সুন্দর বর্ণনা দেওয়া আছে।
ইংরেজ আর মুঘল সম্রাট বা তার আগের শাসক সুলতানদের মধ্যে মৌলিক যেটা পার্থক্য তা হল এরা বিদেশ থেকে আসা বিজেতা ও পরে শাসক হলেও তারা আমৃত্যু এদেশেই রয়ে গেছেন। এদেশের মাটি মানুষ আর জলহাওয়াকে তারা আপন করে নিয়েছিলেন। লিখা খুবি ভাল হয়েছে সাথের ছবিও কিন্তু শেষমেষ মনটা বিষাদেই ভরে রইলো।সিংহাসন সিংহাসন খেলাটা যেন ক্রিকেট খেলার মতই অনিশ্চয়তায় ভরা। কি করুণ, কি নিষ্ঠুর।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
জুন বলেছেন: সত্যি দারুন ভাগ্যাহত সম্রাট । বৃটিশদের বর্বরতার এক দৃষ্টান্ত হয়ে আছে এই ঘটনাটি ।
আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্য এবং বিশ্লেষনে মনে হলো অনেক মন দিয়ে আমার লেখাটি পড়েছেন েমাঃ রােশদ এয়াকুব ।
অনেকগুলো পোষ্ট এক সাথে পড়া আর মন্তব্য করা সহজ নয় । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৫৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অসাধারন সুন্দর বর্ণনা।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দেশ প্রেমিক বাঙালী ।
৫৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
আমিনুর রহমান বলেছেন:
পোষ্ট পড়ে মন বিষণ্ণতায় ভরে গেলো।
২২ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আমিনুর
৫৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
মেহবুবা বলেছেন: আমাদের নসীব ও তো বদ; মুঘল দের নানা কীর্তি নিয়ে কত হৈ চৈ অথচ শেষ সম্রাট এর কথা তেমন করে কারো মনে আসে না। ধন্যবাদ এমন পোষ্ট উপহার দেবার জন্য।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১১
জুন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো মেহেবুবা । আশাকরি ভালো আছেন ।
পরাজিতের কথা কে মনে মনে রাখে বলুন , ইতিহাস তো শুধু বিজয়ীদের জন্যই মুলত লেখা ।
পোষ্ট পড়া আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৬০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জীর্ণ সমাধিটিতে তার বুকফাটা আর্তনাদ যেনও অনুভব করছিলেম। ঐতিহাসিক তথ্য, ছবির রত্নে আপনার এই পোস্ট বিশেষ কিছু। উইলিয়াম ড্যালরিম্পেলের ‘দি লাস্ট মোগল’ গ্রন্থটি সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের প্রতি ভিন্ন দৃষ্টি এনেছিল। আমার থিব্য মিনের কথাও মনে পড়ছে....
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
জুন বলেছেন: অন্ধবিন্দু
বেশ পুরনো একটি পোষ্টে আপনার আন্তরিক মন্তব্য পেয়ে খুব ভালোলাগলো ।
আপনি হয়তো শুনলে অবাক হবেন রেঙ্গুনে আমরা যে ঐতিহ্যবাহী হোটেলটিতে ছিলাম সেই রুমেই রাজা থিবোর একটি স্থির চিত্র টাঙ্গানো ছিল । সাধারন পোশাক পরা । পরিবার নিয়ে গরুর গাড়ীতে উঠছে। পরে শুনলাম সেটাই রাজা থিবোর ছবি , নির্বাসনে যাবার প্রস্ততি ।
অনেক কথা বলে ফেল্লুম অপ্রাসঙ্গিক ভাবে ।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন ।
৬১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২
অনভিজ্ঞ বলেছেন: পুরো নাম আবুল মুজাফ্ফর সিরাজুদ দীন মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ গাজী। তবে বাহাদুর শাহ ‘জাফর’ নামেই সর্বাধিক পরিচিত। ভারতের শেষ মোগল সম্রাট তিনি। ২৭ শাবান ১১৮৯ হিজরি, ২৪ অক্টোবর ১৭৭৫ সাল দিল্লির লালকেল্লায় জন্ম, সম্রাট দ্বিতীয় আকবর শাহ ও সম্রাজ্ঞী লাল বাঈর দ্বিতীয় পুত্র। পিতার মৃত্যুর পর ১৮৩৭ সালে ৬২বছর ব দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর বংশতালিকা বিশতম স্তরে গিয়ে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দীন মুহম্মদ বাবরের সাথে মিশেছে।মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম (১৭৫৯-১৮০৬) এবং পিতা সম্রাট দ্বিতীয় আকবর শাহ উভয়ের মত দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পেনশনভোগী ছিলেন। তিনি বাত্সরিক ১ লক্ষ টাকা ভাতা পেতেন ! অথচ তাঁর পূর্বপুরুষ সম্রাট জাহাঙ্গীর এক দিন এই ইংরেজ বণিকদের এ দেশে ব্যবসার অধিকার দিয়েছিলেন !!
সম্রাটের ইচ্ছা ছিল স্বদেশের মাটিতে পূর্বপুরুষদের সমাধির পাশে স্থান পেতে। জন্মভূমির প্রতি ছিল তাঁর প্রচণ্ড অনুরাগ। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন পরাধীনতার গ্লানি মোচন প্রচেষ্টার দায়ে তাঁকে যেমন নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে, চার সন্তানাদি, মোগল বংশধর ও স্বাধীনতা প্রিয় সিপাহিদের হত্যা করা হয়েছে তেমনি হত্যাবশিষ্টরা ভারতবর্ষের আনাচে-কানাচে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। স্বদেশে ফিরে যেতে পারা কিংবা সেখানকার মাটিতে জীবনের শেষ বিশ্রাম নেয়া কোনো আশাই পূরণ হবার নয়। ভারাক্রান্ত হূদয়ের কথাগুলো ভগ্নপ্রায় ভবনের দেয়ালে লিখে রাখতেন। তেমনই একটাতে লিখেন মৃত্যুর পর দাফনের জন্য স্বদেশের মাটিতে দু’গজ মাটি না মেলার করুণ আকুতি-"জাফর, তুমি এতই দুর্ভাগা, ভালবাসার দেশে তোমার কবরের জন্য দু'গজ মাটিও জুটল না...!!"
নির্বাসিত অবস্থায় ১৮৬২ সালের ৭ নভেম্বর ৮৭ বছর বয়সে বাহাদুর শাহ মারা গেলে, ১৮৬৭ সালে বাহাদুর শাহের পরিবারের সদস্যদের কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। জিনাত মহল মারা যান ১৮৮৬ সালের ১৭ জুলাই। দীর্ঘ কারাবাসে জওয়ান বখতের স্ত্রী জামানি বেগম গুরুতর অসুস্থ এবং পরে অন্ধ হয়ে যান। শাহজাদা আব্বাস ইয়াঙ্গুনের এক মুসলিম ব্যবসায়ীর মেয়েকে বিয়ে করেন। তাঁদের বংশধরদের কেউ কেউ এখনো ইয়াঙ্গুনে বসবাস করছেন।
উপমহাদেশ প্রায় তিনশ’ বছর শাসন করার সময় মোঘলরা ভারতের শিল্প সংস্কৃতি এবং স্থাপত্য শাখায় ব্যাপক অবদান রেখেছিল। তাজমহল, লাল কেল্লা, আগ্রা দূর্গ এবং লাহোরের শালিমার বাগ উল্লেখযোগ্য। প্রতি বছর এসব ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো থেকে বিরাট অঙ্কের অর্থ আয় করে থাকে সরকার। অথচ ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস !! আজ তাদেরই এক বংশধর দিনাতিপাত করেন কলকাতার বস্তিতে, "সুলতানা বেগম" শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের প্রপৌত্রী- জীবনের তাগিদে এক চালা খুপড়ি দোকানে চা বিক্রি করেন। তিনি ভারত সরকারের কাছ থেকে পেনশন হিসেবে পান মাত্র ৬০ ডলার !! উল্লেখ্য, মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর ছিলেন সুলতানার স্বামী মরহুম মোহাম্মদ বদর বখতের দাদার দাদা।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে মায়ানমার যখন জাপানি সেনার অধিকারে, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার আজীবন সংগ্রামী নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৪১ সালে বাহাদুর শাহের সমাধিতে ফুল দিয়েই আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে ‘দিল্লি চলো’ ঘোষণা দেন।ওই মাঠেই তাঁবু ফেলেছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের মেয়েদের 'ঝাঁসির রানি' ব্রিগেড।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এই পুরনো ইতিহাস সামনে নিয়ে আসার জন্যে
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৭
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পুরনো একটি পোষ্টে আমার না উল্লেখিত পুরনো ইতিহাসের খুটিনাটি বিষয়গুলো অভিজ্ঞ হাতে তুলে ধরার জন্য অনভিজ্ঞ।
৬২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০
অনভিজ্ঞ বলেছেন: ধন্যবাদের জন্য কি ধন্যবাদ দিতে পারি........??
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২
জুন বলেছেন: অবশ্যই
৬৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "কিতনা বদ নসীব হ্যায় জাফর,
দাফনে কে লিয়ে দু গজ জমিন ভী না মিলি কু ইয়ার মে" কী নিদারুণ কষ্টদায়ক বাক্য!
নেতাজি সশস্ত্র সংগ্রাম শুরুর অাগে (সম্ভবত অাজাদ হিন্দ ফোর্স গঠনের পরে) সম্রাটের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়েছিলেন । তাঁর বইতে (নামটা মনে" নেই) উল্লেখ অাছে । নেতাজির একটা অাক্ষেপ ছিলো (অামার ধারণা অামি সহ সবারই), বৃটিশরা যখন একটা একটা করে রাজ্য দখল করছিলো, ভারতের বিভিন্ন রাজারা যদি সম্মিলিতভাবে তাদের অাক্রমণ করতেন; তারা (বৃটিশরা) টিকতে পারতো না । অামাদের রাজাদের মধ্যে তখন সমন্বয় ছিলোনা । সবাই নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন অথবা ভয়ে কারও পাশে দাঁড়াননি । বিচ্ছিন্নভাবে ঝাঁসিবাঈ, টিপু সুলতান সহ অনেকেই জীবন দিয়ে লড়েছেন । তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি । একসময় বৃটিশরা সারা ভারতই দখল করে নেয় ।
অসাধারণ পোস্ট ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
জুন বলেছেন: বইটির নাম মনে হয় আমি সুভাষ বলছি রূপক বিধৌত সাধু। সেই বই পড়ে আজাদ হিন্দ ফোর্সের সৈনিকদের দুর্দশায় কত যে কেদেছি তার ইয়াত্তা নেই। আফসোস তার মত এক দেশ প্রেমিক শুধু ভুল রাজনীতির কারনে দেশ বিদেশে ব্রাত্য হয়েই রইলো।।
একতা আমাদের এই উপমহাদেশে কখনো ছিল বলে মনে হয়না।
যাই হোক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১
জুন বলেছেন: আমি সুভাষ বলছি বইটির লেখক শৈলেশ দে যতদুর মনে পরে সাধু
৬৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: গাইড লিউইন অপ্রস্ততভাবে জানালো সে নাকি জীবনেও এর নাম শুনেনি। - । এটা তার না শোনারই কথা। আমাদের ছেলেপুলেদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখেন, তারাই বা ক'জনা শুনেছে, দেখবেন অনেকেই জানেনা। ইতিহাস পড়া থেকে আমরা দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছি যে!
রাস্তার ওপাশে ঐ সেই লাল দেয়াল ঘেরা বাড়িটি বৃটিশ ক্যাপ্টেন ডেভিসের গাড়ীর গ্যারেজ, যা একদা হয়ে উঠেছিল মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের শেষ আশ্রয়স্থল - সকাল বেলার আমীর সে যে, ফকির সন্ধ্যা বেলা!
বৃটিশদের বর্বরতা আর নিষ্ঠুরতার চরম উদাহরন হলো বাহদুর শাহের কয়েকজন পুত্র ও নাতিদের ছিন্ন মাথাগুলো একটি থালায় সাজিয়ে নওরোজ উৎসব উপলক্ষে বন্দী বাদশাহর কাছে উপঢৌকন হিসেবে পাঠিয়ে তাকে উপহাস করা! কতখানি অমানবিক - এই বর্বর বৃটিশ জাতটাই দুনিয়ার মুরুব্বী সেজে সবাইকে তথাকথিত ভদ্রতা শিখিয়েছে।
ইংরেজ সরকার নির্বাসিত সম্রাট ও তার পরিবারের ১৬ জন সদস্যের জন্য খোরাকি বাবদ দৈনিক এগার টাকা এবং প্রতি রোববারে বার টাকা করে দিতেন। আর মাসের পহেলা দিনে সাবান, তোয়ালে কেনার জন্য মাথাপিছু দু’টাকা করে দিতেন।এখানে একটি কথা উল্লেখ করতে চাই তা হলো বার্মা তথা মায়ানমার দখলের পর ব্রিটিশরা সেখানকার শেষ রাজা থিবোকেও ভারতে নির্বাসন দিয়েছিল । তবে তার জন্য রত্নগিরীতে দোতলা বাংলো বাড়ী আর মাসিক ৫০ রুপি বরাদ্দ ছিল - চমৎকার এ অজানা তথ্যটুকুর জন্য ধন্যবাদ।
চার দিনের জন্য আয়ু নিয়ে এসেছিলাম।
দু’দিন কাটল প্রত্যাশায় আর দু’দিন প্রতীক্ষায় - শায়েরীর উৎকর্ষতায় অভিভূত!
ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী মায়ানমার সফরে গিয়ে প্রয়াত সম্রাটের আক্ষেপভরা সেই বিখ্যাত শায়েরীর জবাবে পরিদর্শক বইতে যা লিখেছিলেন, তা পড়েও অভিভূত হ'লাম। এই অমূল্য তথ্যটুকু সংযোজন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, জুন।
অবশ্য এর আগে ডেভিস চাপে পড়ে তার কবরটি চুন সুরকী দিয়ে চারিদিক ঘিরে দিয়েছিল। - প্রয়াত সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের সমাধিতে তাও এখনো ভক্তরা ও দর্শনার্থীরা যায়। ক্যাপ্টেন নেলসন ডেভিস এর সমাধিটা কোথায় যেন??
অফটপিকঃ গত ০৭ জানুয়ারী ২০১৬ তারিখে "নীরব প্রার্থনা" নামে আমার ব্লগের পাতায় একটা কবিতা প্রকাশ করেছিলাম। সেটাতে আপনার মন্তব্য আশা করছি।
২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২১
জুন বলেছেন: কতখানি মনযোগী পাঠক হলে এমন মন্তব্য করা যায় তাই ভাবছি খায়রুল আহসান। ইতিহাসের ছাত্রী হিসেবে শুনে এসেছি ইতিহাসের মর্যাদা নিয়ে। কারন হিস্ট্রি রিপিটস ইটসেল্ফ। মানুষ বিশেষ করে রাজনীতিববিদরা যেন এ থেকে শিক্ষা নেয় তার জন্য বার বার তাগিদ দেয়া হয়েছে। কিন্ত আজ মনের খোরাক বা জ্ঞ্যানের জন্য নয়, নিজেকে পরিশীলিত করার জন্য নয়, ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য নয়। শুধু টাকা পয়সা রোজগারের জন্যই যতটুকু পড়ালেখা করি আমরা।
বৃটিশ তাদের বহু হীন কুটনীতি আর নৃশংসতা দিয়ে সারা পৃথিবীর অধীশ্বর হয়েছিল।
রাজীব গান্ধীর উত্তরটি সত্যি চমৎকার।
বাহাদুর শাহ জাফরের সমাধিটি কিন্ত ভারতের শেষ মুঘল সম্রাট হিসেবে নয়, একজন সন্তের দরগাহ হিসেবেই অল্প কিছু লোক বিশেষ করে স্থানীয় মুসলমানদের কাছে পরিচিত।
সকালের শুভেচ্ছা জানবেন।।।
জী আমি গত রাতেই আপনার অসাধারণ কবিতাটি পড়ে আমার যোগ্যতা অনুযায়ী মন্তব্য করে এসেছি। অনেকের মত অত পাণ্ডিত্যপূর্ণ মন্তব্য করার মত মেধা হয়তো আমার নেই তবে আন্তরিকতার অভাব আর অহমিকা থাকে না তাতে।
ভালো থাকুন, নীরোগ থাকুন এই বয়সে এটাই থাকুক পরস্পরের প্রতি আমাদের নীরব প্রার্থনা।
৬৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: নিজের লেখা এবং অপরের লেখায় মন্তব্য করা, এ দুটো ব্যাপারেই যে আপনি ভীষণ আন্তরিক, তা আপনার লেখা পড়লেই সবাই বুঝতে পারে। আর তাই তো আজ আপনার অনুসারীর সংখ্যা ৬৩২ জন। আপনার লেখা পড়া মানে আপনার সাথে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ানো, অথবা আপনার গল্প শোনা। দুটোতেই চমৎকার আনন্দ পাওয়া যায়।
প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি কি এখন দেশে আছেন, না বিদেশে?
যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন, নীরোগ থাকুন, আনন্দে থাকুন সপরিবারে- এ প্রার্থনাটুকু সরবেই করে গেলাম।
২২ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
জুন বলেছেন: এত আন্তরিক প্রশংসার জন্য আপনাকে জানাই কৃতজ্ঞতা খায়রুল আহসান। ভালো থাকুন, শুভকামনা সতত।
৬৬| ০২ রা মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বৃটিশদেরও শাসনের অস্ত ডুবেছে।
এমন নিস্ঠুরতা মোটেও ঠিক হয়নি।
++++++++++
০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
জুন বলেছেন: পুরনো পোষ্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন মাইদুল সরকার।
৬৭| ০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ২০১৫ সালের এই লেখাটা আমার পড়া ছিল না। এখন পড়লাম। অসংখ্য ছবি ও তথ্যসমৃদ্ধ এমন সাবলিল লেখা আমি খুব কমই পড়েছি। সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের ওপর একটা প্রায় সাড়ে তিনশো পৃষ্ঠার ইংরেজি বই (এই মুহূর্তে নাম মনে পড়ছে না) অনেক দিন আগে পড়েছিলাম। আপনার এই লেখা পড়ে ঐ বইয়ে বর্ণিত ঘটনা গুলো আবার আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। আপনার লেখার গুনে এটা সম্ভব হয়েছে। তবে বইটিতে আরও অনেক ঘটনা এবং বিস্তারিত বর্ণনা ছিল।
ধন্যবাদ বোন জুন।
০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৩
জুন বলেছেন: হেনা ভাই আগ্রহ নিয়ে আমার পুরোনো লেখাটি পড়েছেন তাতে অনেক খুশি হয়েছি আমি। এই বিষয়টি আমাদের পাঠ্যসুচীতে ছিল "ফল অফ দ্যা মুঘল এম্পায়ার "। আমিও অনেক বিস্তারিত পড়েছি। কিন্ত ব্লগে বেশি বড় লেখা হলে পাঠক আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই আমার চোখে যতটুকু দেখেছি শুনেছি তার সাথে খানিকটা অতীত ইতিহাস জুড়ে দিয়ে এই লেখা। যাই হোক আপনার ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো।
শুভকামনা জানবেন আর ভালো থাকবেন সব সময়।
৬৮| ০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার শ্রমসাধ্য এই পোস্টটি পড়েছিলুম অনেক আগেই। তখন সম্ভবত মন্তব্যে তেমন একটা আসা হত না। দীর্ঘ দিন পরে আজ চিহ্ন রেখে যাওয়া।
এতো সুন্দর করে উপস্থাপন করায় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাগ্য বিড়ম্বিত মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের কবরে শান্তির সুবাতাস বয়ে যাক।
০৬ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭
জুন বলেছেন: তারপরও মনে করে আসলেন আর কিছু কথা বলে গেলেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ রইলো নতুন নকিব। শুভকামনা সবসময়ের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: খুবই সুন্দর ও তথ্যবহূল পোষ্ট