নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলকুন্ডা দুর্গ
শিরোনামটি কি একটু অন্যরকম ? নিশ্চয় ভাবছেন রাখাল ছেলের পাহাড় চুঁড়ো আবার কেমন করে ইতিহাস হলো ! না না একটুও অবাক হবেন না আপনারা। অবশ্য এ নামে বললে খুব কম লোকই তাকে চিনতে পারবে। তবে যদি বলি অন্ধ্র প্রদেশ তথা তেলেঙ্গনা রাজ্যের গোলকুন্ডা দুর্গ তখন অনেকেই বলবে আরে এতো আমার অনেক চেনা,এই নাম তো অনেক শুনেছি ।
জী এই গোলকুন্ডা দুর্গের সাথেই আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো। স্থানীয় তেলেগু ভাষায় গোল্লা অর্থ রাখাল আর কুন্ডা হলো পাহাড়। এই দুইয়ে মিলে সৃষ্টি হলো গোল্লা কুন্ডা বা রাখাল ছেলের পাহাড়।
প্রধান তোরনের কাছ থেকে
ভারতের তেলেঙ্গনা রাজ্যের রাজধানী হায়দ্রাবাদের কেন্দ্র হুসেন সাগর থেকে ১১ কিমি দূরে ইব্রাহীম বাগ। আর সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে অন্ধ্র তথা হায়দ্রাবাদের গর্ব, একদা কুতুবশাহী সুলতানদের গৌরবময় রাজধানী গোলকুন্ডা দুর্গ। যার উপর থেকে আপনি পাখির চোখে দেখে নিতে পারবেন গোটা হায়দ্রাবাদ শহরটিকে।
গোলকুন্ডা দুর্গ থেকে পাখীর চোখে হায়দ্রাবাদ
প্রাথমিক অবস্থায় রাখাল ছেলের পাহাড় (শেফার্ড হিলস) নামে পরিচিত এই গোলকুন্ডা দুর্গের রয়েছে অত্যন্ত চমকপ্রদ এক ইতিহাস। একদিন এক রাখাল বালক মঙ্গলাভরম নামে এক পাহাড় চুড়োর মাটি খুড়ে এক মুর্তি খুজে পায়। আর সে খবর শুনে ১১৪৩ খৃষ্টাব্দে সেসময়ের কাকাতীয় বংশের রাজা পবিত্র জ্ঞ্যানে জায়গাটিকে মাটির দেয়াল দিয়ে ঘিরে দেয়। আবার কারো মতে ৯৪৫ -৭০ খৃষ্টাব্দেই কাকাতীয় বংশের রাজারা পশ্চিম দিক থেকে শত্রুর আক্রমন প্রতিহত করার জন্য গোলকুন্ডা দুর্গটি নির্মান করেছিল। তবে সেটা মাটির তৈরী ছিল। এর দুশ বছর পর বাহমনী সুলতানরা যুদ্ধ জয় করে সন্ধির চুক্তি হিসেবে গোলকুন্ডা দুর্গের দখল লাভ করে ।
অন্দর মহল
১৫১৮ খৃষ্টাব্দে কুলী কুতুব শাহ ক্ষমতাসীন বাহমনী সালতানাত থেকে বেরিয়ে এসে কুতুবশাহী বংশের সুচনা করেন এবং গোলকুন্ডা দুর্গকে তার রাজধানী হিসেবে ঘোষনা করেন । এরপর ৬০ বছর ধরে প্রথম তিন জন কুতুব শাহী সুলতানের হাত ধরে ইতিহাস বদলের সাথে সাথে বদলে দিল গোলকুন্ডা দুর্গের রূপ। মাটির দুর্গটিকে প্রথমেই বদল করা হয় কঠিন শিলা গ্রানাইট পাথরে। শুধু তাই নয়, বিস্তৃতি ঘটে তার আয়তনেও। ১২০ মিটার উচু সেই মঙ্গলাভরম পাহাড় ও তার পাদদেশকে কেন্দ্র করে ৫ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয় সুরক্ষিত এই দুর্গ নগরী গোলকুন্ডাকে। ১৬ থেকে ১৭ শতাব্দী পর্যন্ত কুতুবশাহী বংশের সুলতানী শাসনামলের বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই দুর্গের পতন ঘটে মুঘল সম্রাট আওরংজেবের হাতে তাঁর একাধিকবারের চেষ্টায় ১৬৮৭ খৃঃ এ।
বর্তমানে গোলকুন্ডার ভেতরের একটি অংশ
চারিদিকে ঘিরে থাকা পরিখার মাঝে আর একের পর এক মোট তিন তিনটি সুউচ্চ প্রাচীর ঘেরা এই বিশাল গোলকুন্ডা দুর্গটি শুধু দৃষ্টিনন্দনই নয়, শত্রুর আক্রমন ঠেকাতে এর নির্মান শৈলীতেও রয়েছে অত্যন্ত চমকপ্রদ পুরকৌশলের ব্যবহার। উদাহরণ এই গোলাকুন্ডা দুর্গটির উচু খিলান ওয়ালা ফতেহ দরওয়াজা দিয়ে প্রবেশ করেই খিলানের নীচে এক বিশেষ জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনি দু-হাত দিয়ে তালি বাজান , সেটা শোনা যাবে দুর্গের সর্বোচ্চ চুড়ো ১ কিলোমিটার উপরে নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা কোন ব্যক্তির কানে। অবাক কান্ড এই যে এ তালির আওয়াজ আপনি তোরনের আশে পাশের কোন স্থাপনা থেকে শুনতে পাবেন না ।
তোরনের এখান থেকে আপনাকে হাত তালি দিতে হবে
এর উদ্দেশ্য ছিল দুর্গের ফটকে কোন অনাহুত আগন্তকের আগমনের বার্তা সাথে সাথে উপরে থাকা রাজকীয় ব্যক্তিবর্গের কানে পৌছে দেয়া। অতিথির পরিচয় অনুযায়ী সে ব্যবস্থা নেয়া হতো। এই তালি বাজানোটি পর্যটকদের দারুন ভাবে আকৃষ্ট করে। আমাদের গাইড একবার নীচ থেকে আরেকবার উপরে থেকে তালি বাজিয়ে শুনালো। সত্যি ব্যপারটা বিস্ময়করই বটে।
পাহাড় চুড়োর ঠিক এখান থেকে আপনি শুনতে পাবেন নীচ থেকে আসা তালির আওয়াজ
গোলকুন্ডা দুর্গে প্রবেশের জন্য ছিল আটটি তোরন যার মধ্যে দক্ষিন পুর্ব দিকের তোরনটি্ উচু খিলানওয়ালা এবং সেই সাথে লোহার শলাকা দিয়ে গাঁথা।উদ্দেশ্য যেন কোন শক্তিশালী হাতীও তা ভেঙ্গে প্রবেশ করতে না পারে । এই তোরনটির নাম ফতেহ দরোওয়াজা যার অর্থ বিজয় তোরন। এই বিজয় তোরন দিয়েই আওরংগজেব বিজয়ীর বেশে দুর্গে প্রবেশ করেছিল বলেই কি এই নাম ! অবশ্য এই দুর্গ দখলের জন্য তাকে নয় মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল দুর্গ প্রাচীরের বাইরে । অবশেষে এক বিশ্বাসঘাতকের মাধ্যমে আওরংজেব এই দুর্গ দখল করতে সক্ষম হয়েছিল ।
আওরঙ্গজেবের বিখ্যাত কামান যা দিয়ে জয় করেছিল গোলকুন্ডা
ইতিহাস থেকে জেনেছি পুর্বদিকের বালাহিসার তোরনটি ছিল নাকি কেল্লার প্রধান ফটক। সেই তোরনে রয়েছে এমন সব চিত্র শিল্পের মোটিফ যা কিনা হিন্দু মুসলিম শিল্পের অপুর্ব মেল বন্ধনের নমুনা ।
বর্তমানে নিরাপত্তার কারনে দুর্গের আসল সব গেটই বন্ধ। তার বদলে আপনাকে এই বিজয় তোরণের বাঁ দিক দিয়ে ছোট লোহার একটি গেটের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
গেট পেরিয়ে বাঁ দিকের এই পথে আপনি যেতে পারেন রানীদের মহল অর্থাৎ অন্দর মহলের দিকে
রানী মহলের নকশা করা একটি দেয়াল
দুর্গের নিঃশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য ছিল চারটি ঝুলন্ত সেতু যা প্রয়োজন মত বিছিয়ে দেয়া যেত আবার উঠিয়ে নেয়া যেত । অর্থাৎ উপরে উঠিয়ে দিলে ভারী দরজার মত বন্ধ হয়ে যেত কেল্লায় প্রবেশের সেই চারটি মুখ।
গাইড জানালো পাহাড় চুড়োর বালাহিসার হল থেকে পালিয়ে যাবার জন্য নাকি এক সুড়ংগ পথ রয়েছে যা দুর্গের দেয়ালের বাইরে ১ কিঃমিঃ দূরে কুতুবশাহী সমাধিতে গিয়ে বের হয়েছে। সমাধি ক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাবার জন্য হায়দ্রাবাদ শহরের প্রানকেন্দ্র চারমিনার পর্যন্ত আরেকটি সুরঙ্গ পথ রয়েছে ।
কুতুবশাহী বংশের কোন এক সুলতানের সমাধি সৌধ
অন্দর মহলের বিভিন্ন মোটা মোটা গ্রানাইট পাথরের দেয়ালের জায়গায় জায়গায় রয়েছে ফুটো এতে আপনি ফিস ফিস করে কোন কথা বলবেন তা অন্য কোন ফুটোয় কান পেতে রাখা কেউ শুনতে পাবে। গুপ্তচর বৃত্তির অথবা সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য এক চুড়ান্ত উদাহরন। গাইড আমাদের শুনিয়ে দেখালো, এত ছোট সেই ছিদ্র যে গাইড না দেখালে কারো দেখারই কথা নয় ।
দেয়ালের গায়ে হাতের ঝুল কালিতে ময়লা হয়ে যাওয়া দেয়ালে ছোট ছিদ্রটি যা কারো নজরে পড়ারই কথা নয় ।
বহি শত্রুর আক্রমন রাজধানী অর্থাৎ দুর্গটি রক্ষার জন্য সেই সুউচ্চ সীমানা প্রাচীরে একটু পর পর একটি চৌকি ঘর ছিল যেখানে সৈনিকরা সব সময় পাহারায় থাকতো। সেই চৌকি ঘরগুলোতে কামান বসানোর বন্দোবস্থ ছিল, যার দু একটি এখনো উদাহরণ হিসেবে আপনার চোখে পড়বে । এমন ভাবেই কুতুবশাহী সুলতানরা তাদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল। এত কিছুর পরও কি শেষ রক্ষা হয়েছিল ? কুতুবশাহী বংশের শেষ সুলতান কি পেরেছিল আওরংজেবের হাত থেকে নিজেকে বা দুর্গকে বাঁচাতে?
দুর্গের ভেতর
না শেষ পর্যন্ত গোলকুন্ডা দুর্গ হার মেনেছিল সম্রাট আওরংগজেবের উপুর্যপুরি আক্রমনে আর সাথে তার ফতেহ রাহবেন কামানের ক্রমাগত গোলার আঘাতে আঘাতে। সেই ভেঙ্গেচুড়ে যাওয়া বিজিত দুর্গটিকে সংস্কার না করে সম্রাট তেমনি ফেলে রেখেছিলেন, হয়তো ভবিষতে আবার তার জন্য হুমকী হয়ে উঠতে পারে সেই আশংকায়।
বালাহিসার হল বা দরবার কক্ষ থেকে কি জানি দেখাচ্ছে আমাকে গাইড
দুর্গের একেবারে উপরে রয়েছে নীচ থেকে পানি সরবরাহের নল ।
এই দুর্গে আরো রয়েছে নীচু থেক উচু পর্যন্ত পানি সরবরাহের জন্য পয়নালী যা সে যুগের প্রযুক্তিতে এক বিস্ময়কর ব্যপারই বটে। প্রবেশ পথের ডান দিকে রয়েছে মাঝখানে সরু পথ যার দুদিকে সৈন্যদের ব্যারাক । তাদের সাথে টক্কর দিয়েই যেন সুলতানদের মুখোমুখি হতে হয় শত্রুদের।
সৈনিকদের ব্যারাক আর মাঝখানে সরু পথ, নাকি বাতাস খেতে দোলনায় দোলা বাতাসী কক্ষ ভুলে গেছি
বিশাল বিস্তৃত এই দুর্গের অভ্যন্তরে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বালাহিসার বা সিলাহখানা , সুলতানী নির্মান শৈলীতে নির্মিত বাগান নাগিনা বাগ যা বর্তমানে ধ্বংস প্রায়, আম্বরখানা বা খাদ্য গুদাম, পানির জন্য সিড়ি ওয়ালা কুয়া, বিশাল গ্রানাইট পাথর খোদাই করে তৈরী মন্দির, রামদাসুর কারাগার, প্রশাসনিক দুই সহোদর কর্মকর্তার নামে আখান্না মাদান্না প্রশাসনিক ভবন, দরবার হল, বারাদারি, হাম্মামখানা , রানী মহল , অন্দর মহল, অন্দর মহলের মাঝে ছাদ বাগান , রাজ দরবার ইত্যাদি।
একদা ঝাড়- বাতি আর আলোক সজ্জার জৌলুসে পুর্ন অন্দর মহল
রানীদের মহল ,
একদা ফুলের সুবাসে মৌ মৌ করা গাছ গাছালি আর অপরূপ দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারায় গোলাপ পানির শীতল কনা ছেটানো সেই ভগ্ন ছাঁদ বাগানটি সুলতানী স্থাপত্যকলার এক অপরূপ নিদর্শন। যেখানে কিম্বদন্তী দুই সহোদরা প্রেমমতীর অপ্সরা তুল্য নৃত্যে আর কিন্নরী কন্ঠি গায়িকা তারামতীর গানে মাটিতে স্বর্গ নেমে আসতো।
বর্তমানে জল-শুন্য ফোয়ারা আর বৃক্ষহীন ভাঙ্গাচোড়া সেই ছাদ বাগান
ভেঙ্গে পরা ছাদ বাগানের একটি অংশ
সুলতানের প্রিয় গায়িকা তারামতীর নামে মহিলা মসজিদ বা জেনানা মসজিদ
বিখ্যাত ইবরাহীম মসজিদ যা ছিল দুর্গের প্রধান উপাসনালয় ।
জেনানা মহলের ভেতরের রূপ
ঐ যে খুপরী খুপরী ফুটোগুলো দেখা যাচ্ছে সেটার ভেতরেই ছিল অন্দর মহল
সেখানেই অন্দরের বাসিন্দাদের বছরের পর বছর জীবন কেটে যেত । যা দেখেই আমার দম বন্ধ হয়ে আসার জোগাড়।
অন্দর মহলে প্রবেশ পথ যা এখন দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ
দুর্গের ভেতর আরো রয়েছে সৈনিকদের ব্যারাক, খাবার মজুদ রাখার গুদাম, ঘোড়ার আস্তাবল ইত্যাদি অসংখ্য স্থাপনা।
কুতুবশাহী সালতানাতের অত্যন্ত দক্ষ দুই প্রশাসনিক কর্মকর্তা আপন দুই সহোদর মাদানা আর আক্কান্নার অফিস
আম্বরখানা অর্থাৎ খাদ্য গুদাম
এমন কি এই দুর্গের ভেতরে একটি মন্দিরও রয়েছে যার সৃষ্টির ইতিহাসটি অত্যন্ত বৈচিত্রময় বলে শুনলাম। রামদাসু নামে এক হিন্দু ব্যক্তি সুলতান আবুল হাসানের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তহবিল তছরুফের অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। এর সত্যতা নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেন । যাই হোক সেই রামদাসু তার দীর্ঘ এবং একক কারাবাস জীবন কাটিয়েছিলেন সেই গোলকুন্ডা দুর্গের এ্ক অন্ধকার প্রকোষ্ঠে্। সেখানে আলো আসার একটিই পথ ছিল আর তা হলো অনেক উপরে গম্বুজাকৃতি ছাদের ঠিক মাঝখানে ছোট্ট এক ছিদ্র পথ দিয়ে । সেই অন্ধকার বন্দী জীবনে রামদাসু তার কারাগারের দেয়াল খোদাই করেছিল বিভিন্ন হিন্দু দেব দেবীর মুর্তি ।
আলো আসার একমাত্র পথ ছাদের উপরে সামান্য এই গোল করা ছিদ্র।
দেয়ালের গায়ে সেই আলো আঁধারিতে বানানো মুর্তিগুলো গাইড টর্চলাইট জেলে দেখালো আমাদের ।
এই মুর্তিগুলোই সে তৈরী করেছিল
সেই ঘরটি ঘিরেই পরবর্তীতে নির্মিত হয়েছে হিন্দু মন্দির। বিভিন্ন ভক্ত পুজারীদের দেখলাম প্রাসাদের থালা নিয়ে আসতে এখানে ।
সেই বন্দী খানাটি এখন মন্দির
আরেকটি কথা এই যে পৃথিবী বিখ্যাত হীরা যা বৃটেনের রানীর মুকুটে শোভা পাচ্ছে সেই কোহিনুর, ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভীর মুকুটে শোভা পাওয়া দরিয়া- ই- নুর, এবং জগৎবিখ্যাত হীরা দ্যা হোপ সবই আবিস্কৃত হয়েছিল এই গোলকুন্ডাতেই।
দুর্গের তোরন পেড়িয়ে ঢুকেই একটু সামনেই গেলেই দেখতে পাবেন একটি কামান।আর তার ডান পাশেই রয়েছে শবদেহ গোসলের ঘর । দুর্গের ভেতর বিশিষ্ট কেউ মারা গেলে এখানে তাকে গোসল করিয়ে কাফন পড়ানো হতো ।
শবদেহ গোসলের জন্য ঘর
ফতেহ দরওয়াজা দিয়ে প্রবেশ করে একটু এগুলেই দেখতে পাবেন একটি ওজন মাটিতে অর্ধেক প্রথিত অবস্থায় রয়েছে। গাইড জানালো যে ব্যক্তি এটা তুলতে পারতো শুধু তাকেই সুলতানের সৈন্যবাহিনীতে নিয়োগের সুযোগ দেয়া হতো ।
দেখুন সেই মাটিতে গাঁথা ওজনটি , পারবেন কেউ তুলতে !
আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে থাকুন দেখবেন আওরংজেবের কামানের গোলার আঘাতের সাথে সাথে কালের আঘাতেো ধ্বন্সপ্রাপ্ত বিভিন্ন স্থাপনাসমুহ। কিছু কিছু অবশ্য এখনো টিকে আছে ঝড় ঝাপটা সহ্য করে। তবে সেই ভাঙ্গাচুড়ো দুর্গও ভারতের প্রত্নতাত্মিক বিভাগ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে রক্ষনাবেক্ষন করে চলেছে । যেখানকার জিনিস তেমনি অবিকৃত রেখে দিয়েছে। আর আমাদের দেশে আহসান মঞ্জিল আর লালবাগের কেল্লার কথাই ধরুন, তাদের সংস্কারের চোটে আসল রূপই হারিয়ে যাবার জোগাড় ।
পাহাড় চুড়োর একদিকে থাকা গ্রানাইট পাথর এর টুকরো
দুর্গের ভেতরে রয়েছে বিশাল এক অস্ত্রশালা যা কিনা জনসাধারনের প্রবেশ নিষেধ। বাইরে থেকে দেখলেই বোঝা যায় সে সময়কার অস্ত্র শস্ত্রের চেহারা। গ্রীলের বাইরে থেকে দেখতে পেলাম অনেকগুলো কামান, তাদের বিশাল বিশাল গোলা, বন্দুক তীর ইত্যাদি ।
অস্ত্রাগার
এই দুর্গের ভেতর বিভিন্ন সিনেমার শ্যুটিং ও হয়ে থাকে যা আমরা দেখেছিলাম প্রায় আধঘন্টা ধরে। এ তথ্যটি আমি আমার আগের একটি পোষ্টে উল্লেখ করেছি। সেই প্রচন্ড আগুনের হল্কা ঝড়ানো সুর্যকে মাথায় নিয়ে নাচের একটি মুদ্রা তুলতে বার বার ব্যর্থ হওয়া ছোট ছোট জামা কাপড় পরা সেই শিল্পীদের জন্য আমার প্রচন্ড কষ্টই হয়েছিল। তৃষ্ণায় কাতর তাদের দেখছিলাম দৌড়ে এসে পাথরের আড়ালে রাখা পানির বোতলে চুমুক দিতে, যখনই পরিচালক কাট কাট করছিলেন । এরপর আমরা চলে যাই আরো উপরে বালাহিসার হলের আঙ্গিনায়। অনেকক্ষন পর যখন নেমে বের হওয়ার জন্য গেটের কাছে আসি তখনো লাউড স্পিকারে সেই একই গানের কলি ভেসে আসছিল । অর্থাৎ তারা এখনো সেই মুদ্রাটি তুলতে পারে নি ।
স্যুটিং পর্ব
এখানে রাতে নেমে আসে আলো আর শব্দের খেলা, সেই সাথে জগৎ বিখ্যাত অভিনেতা/আবৃত্তিকার অমিতাভ বচ্চনের জলদগম্ভীর ভরাট কন্ঠে মূর্ত হয়ে ওঠে সুলতানী আমলের গৌরবজ্জ্বল অতীত ইতিহাস। যা আপনার মন আর হৃদয়ের তন্ত্রীতে শিহরন জাগিয়ে তুলবে তাতে আমি নিশ্চিত ।
পাহাড় চুড়োয় বালাহিসার বা দরবার কক্ষ, যেখানে বসে সুলতান রা শুনতেন সবার অভাব অভিযোগ
বালা হিসারের ভেতর দিক
বালা হিসার থেকে নীচে আসছি নেমে
প্রথমদিন হায়দ্রাবাদ ডে ট্যুরে গাইডেড ট্যুরে গিয়েছিলাম অনেক পর্যটকদের সাথে । সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরে বিকেল হয়ে গিয়েছিল গোলকুন্ডায় আসতে আসতে । এতগুলো মানুষকে তাড়াহুড়ো করে উনি কি দেখালেন বুঝতে পারি নি । তাই পরে আমরা অটো ভাড়া করে নিজেরাই আবার গিয়েছি সেই গোলকুন্ডাকে দেখতে। একজন গাইড ভাড়া করে অনেকক্ষন লাগিয়ে মন ভরে দেখে আর শুনে আসলাম দুর্গের ইতিহাস। গাইডের আবেগমাখানো ভুল আর শুদ্ধে ভরা ইতিহাস তো আর প্রমান ছাড়া লেখা যায়না । সত্যের উপর ভিত্তি করেই লেখা হয় ইতিহাস। তাই এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাসটুকু লিখতে গিয়েও আমাকে যাচাই করতে হয়েছে বিভিন্ন প্রামান্য দলিলের সাথে।
পুরো দুর্গ ঘুরে অবশেষে অন্দর মহল হয়ে বের হয়ে এলাম সুদৃশ্য আঙ্গিনায় ।
উল্লেখ্য ঃ
সপ্তাহের সাত দিনই ৯.৩০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে দুর্গের ফটক। হায়দ্রাবাদ শহর থেকে সড়ক পথে খুব সহজেই যেতে পারবেন।
প্রবেশ ফি ভারতীয়দের জন্য ১০ রুপি হলেও বিদেশিদের জন্য ১০০ রুপি । আর লাইট এন্ড সাউন্ড শো এর জন্য মাথাপিছু ১৩০ রুপি
সব ছবি আমাদের ক্যামেরায় তোলা ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
জুন বলেছেন: প্রথম স্থান লাভের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।
পড়েছেন কি গোলাকুন্ডা দুর্গের ইতিহাস ছবি সমেত ?
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
প্রামানিক বলেছেন: আপনার গোলাকুন্ড ভ্রমণ দেখে আমার দম বন্ধ হয়ে আসার অবস্থা, এত উঁচু নিচু পাহাড় ঘুরলেন কিভাবে?
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯
জুন বলেছেন: কি যে বলেন প্রামানিক ভাই, এই টুকু উচুনীচুতে ঘুরতে না পারলে কি ভ্রমন হয়! একবার ভেবে দেখুন সেই আসল ইবনে বতুতা বা মার্কো পোলোর কথা
কি জানি এমনি সারাদিন আমার লেগে থাকে ক্লান্তি। কিন্ত বের হলেই আমি অন্য মানুষ
আবার আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: এইমাত্র পড়া শেষ করলাম। ধন্যবা জুন আপা।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২১
জুন বলেছেন: ওহ এইমাত্র পড়া শেষ করলেন! বলেন কি! আমিতো ভেবেছি পড়েই আপনি মন্তব্য করছেন
যাই হোক ফাও ফাও তিনটা মন্তব্য পেলাম
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আবারো
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
নাবিক সিনবাদ বলেছেন: সুন্দর পোস্টটির জন্য খুব করে ধন্যবাদ নিবেন।
প্রামানিক ভাইরে চা দিলে আমারে চকলেট দিতে হইবো...
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
জুন বলেছেন: আপনিও জানবেন আমার আন্তরিক ধন্যবাদ নাবিক সিন্দাবাদ।
ওকে প্রামানিক ভাইকে চা দিলে আপনাকে অবশ্যই চকলেট দেয়া হবে
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দূর্দান্ত বললেও কম হবে! অনেকদিন পর এত ফাটাইন্না একটা ভ্রমন পোস্ট দিলেন জুনাপু। হাত তালি দিলাম। আশা করি শুনতে পাচ্ছেন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮
জুন বলেছেন: আর বইলোনা কাল্পনিক, সিলেট নিয়ে একটা পোষ্ট রেডি ছিল। কিন্ত সেটা আর দিলাম না। কারন অনেক পোষ্ট এসেছে তাই। তাছাড়া আগামী পরশু আমি মাসখানেকের জন্য থাইল্যান্ড হয়ে ক্যাম্বোডিয়া যাচ্ছি। বেচে ফিরি কি না ফিরি তাই তারাহুড়া করে একটি লেখা দিয়ে গেলাম। অনেক ভুল থাকতে পারে। ভালোয় ভালোয় ফিরে এলে এংকরভাট নিয়ে একটা পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে। আমি আবার নিজের চোখে না দেখে কোন ভ্রমন পোষ্ট লিখি না।
অনেক অনেক ভালো থেকো আর সহি সালামতে জানি সবার মাঝে ফিরে আসি তার জন্য দোয়া কোরো।।
সব সসময় সাথে থাকা আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: দূর্দান্ত লেখা! অসাধারণ লেখা! চমৎকার লেখা! প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটান পড়ে তারপর একগ্লাস মিনারেল ওয়াটার পান করলাম!! লেখা এবং তৎসংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটা ছবিই অনেক সুন্দর! আপনার গোলকুন্ডার ইতিহাস পড়ে তো বহুত মজা পেয়েছি!! নেক্সটাইম কোথাও ভ্রমণে বের হলে আমাকে সঙ্গে নিতে ভুলেন না??
কাভা ভাইয়ের সাথে হাত তালিতে আমিও অংশগ্রহণ করলাম!! শুভ কামনা আপু......!!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সাহসী সন্তান, আপনার মন্তব্যে দারুনভাবে অনুপ্রানিত হোলাম।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য আর প্রতীক্ষা রইলো দারুন কোন বিষয় নিয়ে আপনার নতুন লেখার
৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এই ভ্রমণপোস্ট পড়লেই আমার কেন জানিনা লিভিংস্টোন হতে ইচ্ছে করে!
ঘুরেন ঘুরেন| একদিন আমিও ঘুরব আর ভ্রমণপোস্ট দেব| তখন আপনার ফুলবেন!
ভাল লেগেছে পোস্ট|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
জুন বলেছেন: জী আপনি সত্যি বলেছেন আরন্যক রাখাল, আমারো লিভিংস্টোন হয়ে আফ্রিকার গহীন বন, বিভিন্ন আদিবাসী আর ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের কাছে ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে করে।
না ভাই আমি খুশীই হবো আপনারা ঘুরে বেড়ালে।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যিউ সময়ের বাছে মানুষ কত অসহায়?
কোথায় সেই শক্তি, দম্ভ, অঞংকার রাজকীয় ক্ষমতা!
সেই যুদ্ধ, দ্বন্ধ??
এখন কেবলই পাথেরর স্তুপ!
কা_ভা আর সা_স এর মন্তব্যে সহমত। অসাধারন ভার্চয়াল ভ্রমনের জন্য উনী হয়ে রইলাম!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
জুন বলেছেন: এখন কেবলই পাথরের স্তুপ বিদ্রোহী।
পোষ্টটি পড়া আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
মধুমিতা বলেছেন: ভার্চুয়াল ভ্রমণ অনেক ভালো হল। আহা! আমরা যদি আমাদের স্থাপনাগুলো এভাবে সংরক্ষণ করতে পারতাম !
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
জুন বলেছেন: আহা! আমরা যদি আমাদের স্থাপনাগুলো এভাবে সংরক্ষণ করতে পারতাম !
আমি ষাট গম্বুজ মসজিদ আর শিলাইদহ কুঠিবাড়ি দেখে আসার কিছুদিন পরেই দেখলাম তাদের আসল লাল রঙ পালটে কার হুকুমে জানি সাদা চুনকাম করা হলো। আজব আমাদের দেশের কাজ কারবার।
যাই হোক অনেক দিন পর নাকি প্রথম মনে করতে পারছি না মধুমিতা আপনাকে আমার ব্লগে দেখে অনেক অনেক ভালোলাগলো। শুভকামনা জানবেন।
১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আপনার অনুমতি পেলে লেখাটা অন্যত্র প্রকাশ করতাম।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
জুন বলেছেন: কোথায় প্রকাশ করবেন মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন ? জানা থাকলে ভালো হতো আমার জন্য ।
আর এতখানি সন্মানিত করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।
১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
এহসান সাবির বলেছেন: সুপার জোস পোস্ট আপি.....!!
এক গুচ্ছ ভালো লাগা।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬
জুন বলেছেন: আমি কিন্ত ভ্রমনের সাথে একটু ইতিহাস যোগ করে দেই । জানি অনেকের বিরক্ত লাগে , কিন্ত আমি যে ইতিহাসের ছাত্রী তাই এর প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা এহসান সাবির । আপনারা পছন্দ করেন , পড়েন , মন্তব্য করেন আমার অনেক ভালোলাগে ।
শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য
১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮
কিরমানী লিটন বলেছেন: প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাসকে নন্দনিক ছবি আর মুগ্ধ বর্ণনায় তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ,বিনম্র সালাম এমন চমৎকার পোষ্টের জন্য...
সতত শুভকামনা জানবেন ...
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
জুন বলেছেন: আপনার জন্যও রইলো আমার শুভেচ্ছা সবসময়ের জন্য কিরমানী লিটন । আরো সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখে সবাইকে মুগ্ধ করবেন সেই প্রত্যাশায় ।
১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দারুন পোস্ট জুন আপা। এখানে গেছি আমি। ভারতের আরও ২০-২৫টা ফর্টে গেছি। এগুলোতে গেলে অন্যরকম একটা অনুভুতি হয়। কত কাহিনী যে মিশে আছে এইসব দুর্গ প্রাসাদের দেয়ালে।
পোস্টে ভালোলাগা রইলো।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩
জুন বলেছেন: আমি এই নিয়ে ১৫/১৬ বার ইন্ডিয়া ট্যুরে গিয়েছি শতদ্রু। আর অনেক বার মাসখানেক পর্যন্ত থেকেছি শুধু ঘুরে বেড়ানোর জন্য । কত ফোর্ট আর মন্দির দেখা হয়েছে তার ইয়াত্তা নেই ।
সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা ।
১৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট। ছবির সাথে সাথে ভালো বিবরণ। জায়গাটা চোখের সামনেই তুলে ধরলো পুরোটা।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২১
জুন বলেছেন: রক্তিম দিগন্ত ওরফে ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো চোখের উপর এত আঁকিবুকির ফাঁক গলিয়েও যে আমার লেখাটি আপনার নজর এড়িয়ে যায়নি তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে
১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এই গোলাকুন্ডা দুর্গটির উচু খিলান ওয়ালা ফতেহ দরওয়াজা দিয়ে প্রবেশ করেই খিলানের নীচে এক বিশেষ জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনি দু-হাত দিয়ে তালি বাজান , সেটা শোনা যাবে দুর্গের সর্বোচ্চ চুড়ো ১ কিলোমিটার উপরে থাকা নির্দিষ্ট কোন ব্যাক্তির কানে। অবাক কান্ড এই যে এ তালির আওয়াজ আপনি তোরনের আশে পাশের কোন স্থাপনা থেকে শুনতে পাবেন না । -------
বিস্ময় নিয়ে পড়লাম আপনার এই লেখাটি!!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু!!!!!!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
জুন বলেছেন: সত্যি ব্যপারটি বেশ বিস্মিত করেছিল আমাদের কামরুন্নাহার বিথী। সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও
আন্তরিক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮
মামুন রশিদ বলেছেন: আম্বরখানা মানে খাদ্যগুদাম!! লেডি বতুতার সৌজন্যে নিজের এলাকার নামের অর্থ জানলাম ।
মোঘলদের চোখ সবসময় থাকত দাক্ষিণাত্যের দিকে । কিছুদিন পরপর বিদ্রোহ করে বসা এই ভূখন্ডে তাদের বারবার কষ্টসাধ্য অভিযান পরিচালনা করতে হত । আর দাক্ষিণাত্য জয়ে সবচেয়ে বড় বাঁধা ছিল এই গোলকুন্ডা দূর্গ!
চমৎকার ছবি আর ঐতিহাসিক তথ্যে ভরপুর আরো একটি এপিক পোস্ট!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
জুন বলেছেন: হু এবার সিলেটে গিয়ে আমরা আম্বরখানার ব্রিটানিয়া হোটেলে উঠেছিলাম মামুন
হু আওরংজেবতো দাক্ষিনাত্যকে মুঘলদের পদানত করার জন্য উঠে পরে লেগেছিল। আন্তরিক এক মন্তব্য আর মনযোগী পাঠের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো মামুন রশিদ।
১৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পরিপূর্ণ একটি ভ্রমণ পোস্ট পড়লাম। লেখা পড়ে আর ছবিগুলো দেখে আমিও ডিজিটাল ভ্রমণ করে আসলাম।
সেই ভাঙ্গাচুড়ো দুর্গও ভারতের প্রত্নতাত্মিক বিভাগ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে রক্ষনাবেক্ষন করে চলেছে । যেখানকার জিনিস তেমনি অবিকৃত রেখে দিয়েছে। -- আমাদের দেশে এমন হলে খুব খুশি হতাম।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১০
জুন বলেছেন: সেটাই সুমন কর, রক্ষনাবেক্ষনের নামে আরো কদাকার করে তোলে সাথে হারিয়ে ফেলে ঐতিহ্যকে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: অনেক কষ্ট করে পড়লাম। অনেক বড় এবং ইতিহাস নির্ভর লেখা তারপরেও পড়েছি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
জুন বলেছেন: আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্য আমি আন্তরিক দু:খিত অনন্য দায়িত্বশীল আমি। তবুও কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
রাবার বলেছেন: ছবি আর ইতিহাস = মারাত্মক লাগিচ্ছে আপা
++++++
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২০
জুন বলেছেন: মজার একটি মন্তব্যে আর নিয়মিত পাঠের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রাবার
২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রুদ্ধশ্বাসে পড়লাম । এর রেশ কাটাতে অনেকক্ষণ ঝিম মেরে বসে আছি । মনে মনে রিভাইজ দিলাম ।
ছবি ও বর্ণনায় অসাধারণ পোস্টটি সামুতে আমার পড়া সর্বশ্রেষ্ঠ ভ্রমন পোস্ট ।
এ ধরণের পোস্ট স্টিকি করার নিয়ম থাকলে , পোস্টটি স্টিকি করার আবেদন রইল ।
দুর্গের আয়তন ,পালানোর সুড়ংগ পথ , কথা আদান প্রদানের ছিদ্র ও তালি'র বিষয় সব মিলিয়ে রূপ কথার মত মনে হচ্ছিল ।
নবম লাইক , প্রথম প্রিয়তে ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
জুন বলেছেন: এখন শ্বাস ছেড়েছেন তো গিয়াস লিটন!
এতখানি গুরুত্বের সাথে আমার লেখাটি পড়া আর মর্যাদা দেয়ার জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।
না ভাই স্টিকি হওয়ার মত আমার কোন লেখাই নেই আর ভবিষ্যতেও আসবে না নিশ্চিন্ত থাকেন তাছেড়া এ বিষয়টি নিয়ে আমি ভাবিও না। ওই রকম হাই প্রোফাইল লেখা লিকগতে শুরু করলে তার স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখার চিন্তাতেই আমার ঘুম হারাম হয়ে যেত। তাই এখন যা লিখি মনের আনন্দে কোন চিন্তা ভাবনা নেই
যাক অনেক বক বক করে ফেললাম, আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: গোলকুন্ডার এমন অসাধারণ সুন্দর বিবরণ মায় ছোট ছোট তথ্য সাথেই ছবি আবার ইতিহাস, এক অপুর্ব ভ্রমন কাহিনী। এত ডিটেইলস জানা ছিল না। সাতাশ বছর আগে গেছিলুম। খুব ভাল লাগল। কাম্বোডিয়া থাইল্যান্ড ঘুরে আসুন আরেকটা সুপারহিট কাহিনীর জন্য বসেই রইলুম। শুভেচ্ছা।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী আপনাকে। আপনার ইউরোপ ভ্রমন কাহিনীও অনেক সুলিখিত।
দোয়া করবেন যেন নিরাপদে ঘুরে আসতে পারি আর তখন সুস্থ থাকলে লিখবো এংকরভাটের ইতিহাস।
২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "প্রবেশ ফি ভারতীয়দের জন্য ১০ রুপি হলেও বিদেশিদের জন্য ১০০ রুপি । আর লাইট এন্ড সাউন্ড শো এর জন্য মাথাপিছু ১৩০ রুপি ।"
জুন আপু সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে পোষ্টে প্রবেশ করিয়া ৬০ মিনিট খরচ করিলাম; এইবার আমারে ১৫০ রুপি ফেরত দেন
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
জুন বলেছেন: ১৫০ রুপিতে কত জানি হয় মোস্তফা কামাল পলাশ! এখন্মনে হয় টাকা রুপির বিপরিতে শক্তিশালী
যাক অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভালোলাগলো।
আর রাতের বেলা সকাল! আপনে কই !
২৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: রাখাল ছেলেরে নিয়া এ তো রীতিমত শাহী কায়কারবার!! কেউ কি এভাবে কল্পনাও করতে পারে একটা রাখাল ছেলের কীর্তি এত দূর এগুতে পারে??
সাধারণত বড় লেখাগুলো সময় করে পড়ার অভ্যাস। এমনকি কয়েক সেশনে পড়ার রেকর্ডও বেশি।
এমনিতেই ঐতিহাসিক জায়গাসমূহের প্রতি আমার আকর্ষন। তাই আর দেরি না করে এক বসাতেই পড়ে শেষ করে ফেললাম। আপুর জন্য শুভকামনা!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
জুন বলেছেন: জী একেবারেই শাহী কারবার গেমচেঞ্জার ।
অত্যন্ত মনযোগী পাঠের জন্য আর সব সময় উৎসাহিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভকামনা আপনার জন্যও রইলো
২৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
কোহিনুর, দরিয়া- ই- নুর, এবং দ্যা হোপ এর মতো হীরের চমকে লেখা হিরন্ময় এক ইতিহাস । অন্দর মহলের অলিগলির মতো ইতিহাসের অলিগলির মধ্যে দিয়েই হাটিয়ে নিয়ে এসেছেন পাঠককে অতীতের মাঠ থেকে ।
দু-হাত দিয়ে তালি বাজিয়ে গেছেন ব্লগের পাতায় চুপিচুপি আর তা অনেক অনেক দুরের পাঠকের কানে এসে যেন ঝংকার তুলেছে ভ্রমন ছন্দে।
গোলকুন্ডার গোলক ধাঁধায় বাধা পড়ে গেছেন পাঠক । সব ছবি যেন পুরোনো দিনের কথা কয়ে গেছে , সাথে বর্ণনা যেন সে পুরোনো দিনের গায়ে আলোর বিচ্ছুরন ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
জুন বলেছেন: এত সুন্দর মন্তব্যের জবাব দেয়ার ভাষা আমার নেই আহমেদ জী এস , তাই আমাদের একজন প্রিয় ব্লগার এর ভাষায় বলি ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: আপনার লেখা দিয়ে আপনাকে বিবেচনা করার চাইতে আপনার কৃত মন্তব্যে আপনাকে বিবেচনা করা অনেক বেশি সহজ। ব্যাখ্যাগুলো একদম ঝকঝকে পরিষ্কার যেন বাজার থেকে কিনে আনা রূপার প্রলেপের স্বচ্ছ কাঁচের আয়না!
সুবাস ছড়ানো ফুলের কাছে পোকা আসে,ফুলের যেখানে বসতি, সেখানেও আসবে। সুবাস ছড়ানোর দায়িত্বটা সে পালন করুক,তাকে প্রোটোকল দেওয়ার ব্যবস্থা আমাদের মত সাধারণ মালিদের। আশা করি,বুঝতে পেরেছেন আপনার কাজটি কতটা সঠিক...
উৎসাহিত করুন,লেখাতে থাকবো,আমরা সবাই।
২৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি সবার পরে ।অমিতাভ আপনার খুব পছন্দের অভিনেতা । পোস্টটি ভাল লেগেছে ।দারুন সব ছবি আর তথ্যে ঠাসা ।অনবদ্য ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
জুন বলেছেন: সবার পরে কোথায় সেলিম আনোয়ার ? যখন সময় পেয়েছেন তখনই তো এসেছেন
অমিতাভ শুধু আমার কেন অনেকেরই প্রিয় অভিনেতা এবং আবৃত্তিকার তাই নয় কি ?
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যে ।
২৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৩
দীপংকর চন্দ বলেছেন: 'অসাধারণ' শব্দটা ছাড়া আর কোন শব্দ উপযুক্ত মনে হচ্ছে না!!!
ভালো লাগায় পূর্ণ উপস্থাপনের প্রতিটি অংশ!!
সেই ভেঙ্গেচুড়ে যাওয়া বিজিত দুর্গটিকে সংস্কার না করে সম্রাট তেমনি ফেলে রেখেছিলেন, হয়তো ভবিষতে আবার তার জন্য হুমকী হয়ে উঠতে পারে সেই আশংকায়।
বিশেষভাবে ভালো লাগলো ভাবনার এই অংশটুকু!
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
জুন বলেছেন: আপনিও অনেক অনেক ভালো থাকুন দীপংকর চন্দ আর সাথে থাকুন সব সময় ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।
২৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৯
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দারুণ ইতিহাস খঁচিত ভ্রমণ বৃত্তান্ত । ছবিগুলর মাধ্যমেও অনেক কিছু জানলাম । অসাধারণ ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৪
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পাঠ আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন। শুভকামনা সবসময়
২৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১০
রিকি বলেছেন: সকালেই পড়েছিলাম, কিন্তু মন্তব্য দিতে পারিনি। অনবদ্য, অসাধারণ, দারুণ---অনেকদিন পর আপির আবার ভ্রমণ ব্লগ পেলাম। অ্যাংকর ওয়াট থেকে তাড়াতাড়ি ঘুরে এসে, ছবি আর বর্ণনা দেন আপি---জায়গাটা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা হয় ভীষণ। অনেক বড় এলাকা জুড়ে নাকি, আর রহস্য রহস্যও কিছু ব্যাপার আছে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৬
জুন বলেছেন: দোয়া করেন যেন সহি সালামতে আপনাদের মাঝে ফিরে আসি রিকি। সব সময় সাথে থেকে উতসাহ যুগিয়ে যাচ্ছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
২৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
আবু শাকিল বলেছেন:
ভ্রমণ পোষ্টে এত নিখুঁত বর্ণনা এবং ছবি - কবে পড়েছি ঠিক জানি না,
মনে নাই ।
প্রতিটা বর্ণনা এবং ছবিতে মুগ্ধ হয়েছি ।অসাধারন লেখনি শক্তি আপনার ।
ভ্রমণ পোষ্ট কিভাবে লিখতে হয় তা আমাদের আপনার কাছে শেখা উচিৎ ।
ভাল থাকবেন আপু ।অনেক দোয়া রইল ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৯
জুন বলেছেন: এত সুন্দর প্রশংসা আবু শাকিল সত্যি খুব ভালোলাগলো। চেষ্টা করি নিখুত বর্ননা দিতে যাতে সত্যি ইতিহাসটা আপনাদের জানাতে পারি। তারপর ও হয়তো কিছু ভুল ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে যা আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন বলেই আশা করতে পারি বৈকি
মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
৩০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২৩
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আপনার ভ্রমণ পোস্টগুলো শিক্ষা সফরের মত। ইতিহাস প্লাস ভ্রমণ একসাথে অসাধারণ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
জুন বলেছেন: জীবনে প্রথম বার যখন আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে ইন্ডিয়া শিক্ষা সফরে গিয়েছিলাম তখন স্যার আমাদের জোর করে এসব জায়গাগুলো ঘুরে দেখাতো আর ইতিহাস তুলে ধরতো। কিন্ত আমাদের মন পরে থাকতো চাদনী চক,ক্যারলবাগ বা কিনারী বাজারে প্রবাসী পাঠক
লেখাটি পড়েছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৮
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ছোটবেলা গিয়েছিনু
গোলকুন্ডা দুর্গে;
স্মৃতি সব ফিকে হয়ে
বায়োপসি মর্গে।
স্মৃতি ছিলো টুকিটাকি
ফটোর এ্যালবামেতে;
ট্রান্ক কিবা আলমারী
আছে কোনো চিপাতে।
ব্লগ পরে ছলোছলো
জল ভরে চোখেতে;
কি মধুর স্মৃতি হায়
মাথা ঠুকি দুঃখেতে।
শোক কিছু ভুলে যাই
আরামের মলমে;
কতো ভালো উপশম
তোমার ঐ কলমে!!!
তুমি আপু বলো কি গো
কি যে ভালো পোষ্ট দাও;
মন খোশ,দিল খোশ
বলো কি বা খেতে চাও?
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬
জুন বলেছেন: এত সুন্দর একটি ছড়ায় ছড়ায় মন্তব্য করেছেন কি করি যে আর কিছু চাওয়ার কথা আমার মনেই আসছে না আপাতত। যখন মনে পড়বে তখন না হয় চেয়ে নেব কি বলেন!
আন্তরিক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
৩২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার যখন রাত আমার তখন দিন হে হে হে এইবার বুইঝা নেন
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮
জুন বলেছেন: হু বুঝলাম মোস্তফা কামাল পলাশ
মনে হয় সাত সমুদ্র তের নদীর ঐপার
৩৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: ছবি আর ইতিহাস মিলিয়ে চমৎকার গোলকুন্ডা উপস্থাপনা।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯
জুন বলেছেন: সময় করে এসেছেন, পোষ্টটি পড়েছেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ অগ্নি সারথি
৩৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আহহা কখনো যাওয়া হবে কি না কে জানে... ছবি দেখে দেখেই ঘুরে আসলাম আপু...
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪০
জুন বলেছেন: হয়তো কখনো যেতেও পারেন ইপ্সিতা কে জানে ভাগ্যে কি ঘটে
সাথে থেকে ঘুরে আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অসাধারণ বর্ণনা আর ছবি । ঐতিহাসিক স্পট গুলো আমাকে ভীষণ ভাবে টানে - ভীষণ ভালো লাগলো আপনার ছবি সহ বর্ণনা । অনেক কিছু জানাও হোল , ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক ইতিহাস সম্পর্কেই আমার জানা নেই । আসলে সেরকম ভালো কোন বই ও আমার হাতে পরেনি । আপনার পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
জুন বলেছেন: ঐতিহাসিক স্পট গুলো আমাকে ভীষণ ভাবে টানে -
আপনি যথার্থই বলেছেন গুলশান কিবরিয়া। তাই তো আমি যেখানে প্রাচীন ইতিহাস জড়িয়ে আছে সেখানে বেড়াতেই বেশি ভালোবাসি।
ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা।
৩৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ছবি আর ছবির সাথে আপনার বর্ণনা মিলে এক অসাধারণ পোষ্ট।
সুযোগ পেলে একবার ওখানে গিয়ে হাততালি দেওয়ার ইচ্ছে আছে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
জুন বলেছেন: অবশ্য গিয়ে হাত তালি দিয়ে আসবেন তারপর এসে শুনাবেন আমাদের সেই ইতিহাস ফেরদৌসা রুহী
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
সাথিয়া বলেছেন: ছবি আর লেখায় দেখা হলো গোলকুন্ডা কেল্লা।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে।
কোন একদিন স্বচক্ষে দেখে আসবেন সেই প্রত্যাশা করি সাথিয়া।
অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যে।
৩৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১
রমিত বলেছেন: চমৎকার পোস্ট জুন আপা। দ্রুত পড়েছি, আরেকবার পড়তে হবে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৩
জুন বলেছেন: আরেকবার পড়লে হয়তো এত চমৎকার নাও লাগতে পারে তাই নয় কি
তারপর ও পড়ে জানাবেন কি হাবিজাবি না লিখেছি আমি।
অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ড: রমিত আপনাকে।
৩৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২২
রোদেলা বলেছেন: ফাটাফাটি একটা পোস্ট।আমার শেষ পোস্টে আবার মন্তব্য করুন প্লিজ।
লেখাটা প্রিয়তে রাখলাম ভ্রমণ বিষয়ক লেখা দরকার অনেক।আপনার পুরো নাম জানা থাকলে লিস্ট করতে সুবিধা হয় পর্যটন বিচিত্রার জন্য।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
জুন বলেছেন: করেছি রোদেলা আপনার পোষ্টে মন্তব্য।
মন্তব্য আর প্রিয়তে রেখেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৫
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
দ্রাবিড় সভ্যতার সংশ্লেষ হয়েও অন্ধ্রপ্রদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ জানি। স্থাপত্য গঠনশৈলীতে ধ্বনিতাত্বিক গতিবেগের আইডিয়া, পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, সত্যিই অসাধারণ। তত সময়টাতে এপিঠে বিজ্ঞান-শিক্ষা উৎসাহিত হচ্ছিল বটে। রামদাসু, সুলতান আবুল হাসানের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তহবিল তছরুফের অভিযোগ আনা হয়। সেটা নাকি মিথ্যে ছিলো।
জুন, ছবিসহ ভ্রমণ পোস্ট প্রায়ই দেখি। তবে সেটাকে তথ্য-নির্দেশনা দিয়ে পর্যটকী করা বেশ খাটা-খাটনির কাজ। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনার শ্রম ও সময়ে।
অনুসন্ধিৎসু মানসিক ক্ষমতা ব্যবহার করা না গেলে; সারা পৃথিবী ঘুরেও খুব একটা অভিজ্ঞতা হয় না। শুভ কামনা করি, আপনি সমৃদ্ধ হতে থাকুন। (আপনার পোস্টে আমি অধম প্রতিবারই লাষ্টু হই )
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
জুন বলেছেন: অনেক মন লাগিয়ে পোষ্টটি পড়ে মন্তব্য করেছেন তার জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ অন্ধবিন্দু। আপনাদের মত পাঠকদের জন্য লিখে তৃপ্তি পাওয়া যায়।
পোষ্টের আকৃতির কথা ভেবে রামদাসুর তহবিল তছরূপের অভিযোগের মত অনেক কিছুই বাদ দিয়ে গেছি। যেমন রূপমতী বাগমতী, প্রেমমতী তারামতীর মত উল্লেখ্যোগ্য নর্তকীদের কথা। তাদের গানের জন্য উন্মাদ সুলতানদের বিভিন্ন কাহিনী ইত্যাদি।
যাক তারপর ও রামদাসু খুব একটা জায়গা নেবেনা তাই তার কথাটি যোগ করে দিলুম মূল পোষ্টে।
আগামীবার জেন ফাস্টু হন সেই দোয়া রইলো। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
৪১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬
রমিত বলেছেন: আরেকবার মনযোগ দিয়ে পড়লাম। চমৎকার লিখেছেন জুন আপা। এতসুন্দর একটা লেখা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
জুন বলেছেন: আরেকবার এসে পড়ে গেলেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৪২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২২
শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
চমৎকার ছবি আর সহজ ভাষায় বলা ইতিহাসের কথা গুলো অসম্ভব ভাল লেগেছে।
কোন যেন মনে হয়, রামদাসুকে নিয়ে একটা গল্প বা ছবি হলে ভালই হতোঃ
//এমন কি এই দুর্গের ভেতরে একটি মন্দিরও রয়েছে যার সৃষ্টির ইতিহাসটি অত্যন্ত বৈচিত্রময় বলে শুনলাম। রামদাসু নামে এক হিন্দু ব্যক্তি কি এক অপরাধে জানি বন্দী হয়। তার দীর্ঘ এবং একক কারাবাস জীবন কেটেছিল এ্ক অন্ধকার প্রকোষ্ঠে্। সেই ঘরে আলো আসার একটিই পথ ছিল আর সেটা হলো অনেক উপরে ছাদের ঠিক মাঝখানে । সেই অন্ধকার ঘরের বন্দী জীবনে রামদাসু ঘরের দেয়াল খোদাই করে তৈরী করেছিল বিভিন্ন হিন্দু দেব দেবীর মুর্তি ।//
ভাল থাকুন। সবসময়।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
জুন বলেছেন: হয়তো রামদাসুকে নিয়ে ছবি আছে শামসুল ইসলাম যা আমাদের অজানা। ওরা তো ওদের উল্লেখযোগ্য অনেক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে ছবি করেছে ।
আপনিও অনেক ভালোথাকুন। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
৪৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২০
লালপরী বলেছেন: আপু ব্যপক হইছে। আপনার সাথে রাখালের পাহাড়ে ঘুরে আসলাম
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
জুন বলেছেন: তাই নাকি লালপরী! ভালোইতো আমি একা নই আপনিও সাথে ছিলেন জেনে অনেক অনেক ভালোলাগা
৪৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
জেন রসি বলেছেন: আপু, চমৎকার পোষ্ট। অনেক কিছুই জানতে পারলাম।
++
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ জেন রসি
৪৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১১
সোহানী বলেছেন: আপনার লিখা এমন যে চোখে পড়লে রক্ষা নেই ঢুকতেই হয় আর পড়তেই হয়.... কি যে সময়ের টানাটানিতে আছি তারপরে ঢুকতে বাধ্য হলাম..........
কেমন আছেন আপু...... অসাধারন বরাবরের মতই...........+++++++++++
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২১
জুন বলেছেন: সোহানী অনেক ব্যস্ততার মাঝেও যে আমার পোষ্টে এসেছেন আর আমার লেখাটি পড়ার হাত থেকে রক্ষা পাননি জেনে ভীষন খুশী হোলাম
আমি আছি, চলছি খুড়িয়ে খুড়িয়ে। আপনি ভালো তো সোহানী?
৪৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৫
নেক্সাস বলেছেন: গোল্লা কুন্ডা ছবি ও ইতিহাস ভাল লাগলো।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৭
জুন বলেছেন: পোষ্টটি দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নেক্সাস
৪৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: প্রিয় সুন্দরী জুন আপু !!
রাখাল ছেলেকে নিয়ে এতো ইতিহাস ঘটে গেলো ! ছবি সমেৎ ইতিহাস পোস্ট আমি ভাল পাই । ছবিও যেন ইতিহাস বলে ! আর আপনার ছবির হাত তো মাশাল্লাহ । তাই ছবিগুলো আরও জীবন্ত হয়ে উঠে ।
অনেক ভাললাগা ।
ভাল থাকবেন সবসময় ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫
জুন বলেছেন: বুড়ি আপুর শুভেচ্ছা গ্রহন করুন ককাশে
অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম ব্লগে মনে হচ্ছে। ভালো থাকুন সব সময়।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: কই অনেকদিন । দিনগুলো খুব তাড়াতাড়ি চলে যায় তাই অনেকদিন মনে হচ্ছে । এইতো সেদিন ব্লগে আসলাম । উলটাপাল্টা লেখালেখি নিয়ে । এসে শিখতে চেষ্টা করলাম ভাল লেখনীদের থেকে । অনুপ্রেরণাও ছিল । অনেক ভাল লেখকরাও আমার বস্তাপঁচা লেখাগুলো পড়ে ভাল বলেছে । যেখান অজস্র বানান ভুল, মাধুর্য্য নেই, নেই কোন জ্ঞানগর্ব আলোচনা । এখনো শিখে যাচ্ছি, কখনো একটি ভাল লেখা লিখতে পারবো কিনা জানি না । তবে স্বপ্ন দেখি একটি লেখা লেখার যাকে লেখা বলা হবে ।
এই তো সেদিন । বেশি হয়নি ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
জুন বলেছেন: অনেক ভাল লেখকরাও আমার বস্তাপঁচা লেখাগুলো পড়ে ভাল বলেছে । যেখান অজস্র বানান ভুল, মাধুর্য্য নেই, নেই কোন জ্ঞানগর্ব আলোচনা ।
এটা কেমন ধারা কথা হলো ককাশে! আপনি অনেক ভালো লিখেন, আর কিছু বানান ভুল সবারই থাকে। আর কে এত জ্ঞ্যানগর্ভ লেখা ব্লগে লিখছে শুনি! যত্তসব। আর আমরা এখানে সবাই মোটামুটি টাইপের লেখক। কোন বুকার প্রাইয পাওয়া লোকজন ব্লগে থাকলেও থাকতে পারে তবে আমার জানা নেই।
আবার সুন্দর সুন্দর রহস্যময় গল্প নিয়ে আসবেন এই অপেক্ষায়
৪৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
দূর-পরবাসী বলেছেন: এসব স্থাপনায় গেলে সবসময় আমার মন খারাপ হয়ে যায়। ইতিহাসের নিশ্চুপ, নির্মম সাক্ষ্য প্রতিটি স্থাপনা। প্রবল প্রতাপশালী রাজ-রাজড়ারা যেখানে এক সময় দাপিয়ে বেড়াতো, আজ তারা হারিয়ে গেছে কালের অতল গর্ভে। দেয়ালে কান পাতলে ভেসে আসে মজলুমের বুকফাটা হাহাকার, অত্যাচারীর মুখব্যাদানো নিষ্ঠুর উল্লাস, নারীর উপর চরম পাশবিকতা। বছর পাঁচেক আগে লালকেল্লা, আগ্রা দুর্গ, আম্বেদকর দুর্গ এমনকি তাজমহল, সব জায়গায় একই অনুভুতি হয়েছিল। তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যই আমার বড় প্রিয়, দুনিয়া ঘুরবো সেগুলোর জন্যেই !!!!!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭
জুন বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন দূর পরবাসী। তবে ঐতিহাসিক আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাকে আকৃষ্ট করে বেশি। আর নির্মমতার কথা মনে হলে মিশরের স্থাপনাগুলো দেখাই কষ্টকর হতো। পিরামিড তৈরি র ইতিহাস ন্যাট জিওতে দেখলে গা শিউরে উঠে।
যাক এসব কথা আমার ব্লগে এসেছেন, মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
৫০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২৬
ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু অনেক কিছু জানা হল ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৮
জুন বলেছেন: অনেক কিছু জেনেছেন জেনে আমারও অনেক অনেক ভালোলাগলো ব্লগার মাসুদ।
একরাশ শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
৫১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
রাতুল_শাহ বলেছেন: ৩-৪ দিন থেকে আপনার পোষ্টটা পড়ছি
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২
জুন বলেছেন: কৌ কি তিন চারদিন ধরে এই পুচকা পোষ্ট! আমিতো হার্টফেল করলাম
৫২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোষ্টেই ঘুইরা ফেলাইছি। অহন টেকাটুকা খরচ কইরা না ঘুরলেও চলবে।
যাই হোক মাইনসে এইভাবে ভুইলা যায় আগে বুঝিনাই। একটা ফোন নাই, টেলিগ্রাম, ফ্যাক্স কিছু নাই। অন্তত কবুতরের পায়ে একটা চিঠি বাইন্দা দিয়াওত খোঁজ খবর নিতে পারতেন।
প্রিয় জুন আপা,
আছেন কিরাম ? আমি ভালই আছি।
পুনশ্চঃ ব্লগে ফিরিয়া আপনার পোষ্ট পড়িয়া প্রীত হইলাম খুব।
ইতি-
আপনার আদরের ছুট ভাই।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
জুন বলেছেন: আদরের ছুটু ভাই তো সারাদিন আমার খোজ করছে তাই আর আমি ফোনফ্যাক্স করে পয়সা খরচ করছি না আমিও দেখলাম প্রিয় ভাই বোনেরা কিভাবে ভুলে গেছে। আর কোথাও না পেলেও তো আমি কচ্ছপের মত এখনো ব্লগ কামড়ে পরে আছি এখানেও তো কোন চেনাশোনা লোকজন দেখি না যারা ছোট ভাই ছোট ভাই করে
তা কেমন আছে আমাদের কান্ডারি ভাই শুনি? ম্যালাদিন পর দেখে অনেক ভালোলাগলো।
মনে করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৫৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: বলেন কি!!!!!!!!!!!!!!
এখন কি কোথায় আপনি? এখন কি সুস্থ? আপেল কমলা হরলিক্স নিয়ে দেখতে আসবো?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
জুন বলেছেন: ব্যংককে। আপেল কমলা খাইনা, ড্রাগন ফ্রুট নিয়ে আসেন দেখতে
৫৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: কোথায় পাওয়া যায়? এইমাত্র নাম শুনলাম , আগে কখনও নাম শুনি নাই।
স্পেসিফিকেশন বলেন, জিটিপি ফরম দেন, তারপর নিয়ে আসবো।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৩
জুন বলেছেন: এই যে স্পেসিফিশন
কলা আপেল বাদে আরেকটা ড্রাগন ফ্রুট
দুটুকরা করে কাটার পর।
এভাবে ছোট করে কেটে খেতে হবে রাতুল
৫৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ লাগল আপনার সাথে হায়দ্রাবাদে ঘুরে বেড়াতে, আশা করি এরপর কম্বোডিয়া নিয়েও জম্পেশ পোস্ট পাচ্ছি।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৫
জুন বলেছেন: দোয়া কোরো জহির সহি সালামতে যেন ফিরে আসি। বেশ লম্বা সময় আছি। হায়দ্রাবাদ কাহিনী ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তা ইরান নিয়ে কি কিছুই নেই লেখালেখির!
৫৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮
আলোরিকা বলেছেন: গোলকুন্ডার গোলক ধাঁধায় আপনার সাথে প্রথম দিনই ঘুরে বেরিয়েছি আপু ..........বলা হয়নি ,রাখাল ছেলের পাহাড় চুড়ো - কি মিষ্টি শিরোনাম , বর্ণনাও অনবদ্য !
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৬
জুন বলেছেন: সেই সুকুমার রায়ের ঠিকানা খোজার মত আর কি আলোরিকা।
সাথে থাকা আর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
৫৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: দেখি: আলীবাবা ডট কম এ সার্চ দিতে হবে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
জুন বলেছেন: তাই দাও জলদি জলদি রাতুল, দেরী করলে নাও পাইতে পারো
৫৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, ইরান নিয়ে লেখালেখির বহু কিছু আছে, কিন্তু লেখার সময় নাই !
জীবন কেটে যাচ্ছে আলোর গতিতে...
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯
জুন বলেছেন: ওহ জহির আলোর গতি!! আমি ভেবেছি শব্দের গতিতে। তাহলে একটু হয়তো সময় পেতে মনে হয়
তারপরও একটু চেষ্টা করলে ভালো। সেই ভ্রমন কাহিনীগুলো অনেক মিস করি।
ইরানকে জানার অনেক শখ।
৫৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এমন কি এই দুর্গের ভেতরে একটি মন্দিরও
রয়েছে যার সৃষ্টির ইতিহাসটি অত্যন্ত
বৈচিত্রময় বলে শুনলাম। রামদাসু নামে এক
হিন্দু ব্যক্তি সুলতান আবুল হাসানের
কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তহবিল তছরুফের
অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। এর
সত্যতা নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেন ।
যাই হোক সেই রামদাসু তার দীর্ঘ এবং একক
কারাবাস জীবন কাটিয়েছিলেন সেই
গোলকুন্ডা দুর্গের এ্ক অন্ধকার প্রকোষ্ঠে্।
সেখানে আলো আসার একটিই পথ ছিল আর তা
হলো অনেক উপরে গম্বুজাকৃতি ছাদের ঠিক
মাঝখানে ছোট্ট এক ছিদ্র পথ দিয়ে । সেই
অন্ধকার বন্দী জীবনে রামদাসু তার
কারাগারের দেয়াল খোদাই করেছিল বিভিন্ন
হিন্দু দেব দেবীর মুর্তি ।
খুব পরিশ্রমী পোস্ট।অসাধারন ছবি এবং লেখা।ইতিহাসের একজন দক্ষ ছাত্রী বলে কথা।ঐতিহাসিক স্হান সম্পর্কে জানতে পেরে এবং ভ্রমণ করতে পেরে সত্যি খুব আনন্দ পেলাম।
+++++++++++
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১১
জুন বলেছেন: কিছু জানলেন, কিছু ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগলো রুদ্র জাহেদ।
শুভেচ্ছা রইলো
৬০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২০
bond007 বলেছেন: বরাবরের মতোই খুবই সুন্দর পোষ্ট এবং তার চেয়ে আরো বেশী সুন্দর পোষ্টের লেখা গুলো। আর আমি লেইট লতিফ সবসময় আসি লেইট করে আমার অব্যক্ত গুলো ব্যক্ত করার জন্য।
*******এই গোলাকুন্ডা দুর্গটির উচু খিলান ওয়ালা ফতেহ দরওয়াজা দিয়ে প্রবেশ করেই খিলানের নীচে এক বিশেষ জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনি দু-হাত দিয়ে তালি বাজান , সেটা শোনা যাবে দুর্গের সর্বোচ্চ চুড়ো ১ কিলোমিটার উপরে থাকা নির্দিষ্ট কোন ব্যাক্তির কানে। অবাক কান্ড এই যে এ তালির আওয়াজ আপনি তোরনের আশে পাশের কোন স্থাপনা থেকে শুনতে পাবেন না ।****** ------- সত্যিই বিষ্ময়কর...
*** ১টি ব্যক্তিগত প্রশ্ন: এই পর্যন্ত ভারতের কয়টি শহরে ঘুরেছেন? পশ্চিমের কলকাতার, দক্ষিনের বিশাখাপত্নম, হায়দ্রাবাদ এগুলো তো পোষ্টেই পেয়েছি। আর প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করছি কারন কিছু মিস করলাম কিনা জানার জন্য...
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ড ০০৭। দেরী করাটা কোন ব্যাপার না। শেষতক দেখেছেন, পড়েছেন এবং আপনার কিছু বক্তব্য রেখেছেন দেখে অনেক ভালোলাগলো।
আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তর :-
আসাম, শিলং, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কলকাতা, বীরভুম (শান্তিনিকেতন), ২৪ পরগনা, পুরী, ভুবনেশ্ব্রর, আরাকু হিল স্টেশন, হায়দ্রাবাদ, সেকেন্দ্রাবাদ, বিশাখাপটনম, পন্ডিচেরি, মাদ্রাজ, রামেশ্বরম, মাদুরাই, কন্যাকুমারি, কোভালাম, কোদাই কানাল, বেংগালুরু, মাইশোর, উটি, দিল্লী, জয়পুর, আজমীর। আগ্রা, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, কুলু, মানালি, সিমলা। আর গুলো মনে পড়ছে না আপাতত।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২২
জুন বলেছেন: আর অনেকেই ভারতের বিভিন্ন শহর নিয়ে লিখেছে। অনেকেরই জানা তাই ব্যাতিক্রম না হলে সেই শহর নিয়ে আর কিছু লিখিনি। হায়দ্রাবাদ বিশেষ করে আরাকু, বিশাখাপটনম, রামোজি একটু ব্যতিক্রমী মনে হয়েছিল bond ৭০০।
৬১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
bond007 বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, জুনাপা। শহড়ের নামগুলো জানতে চেয়েছি কারন ইনফিউচার কখনো আপনার ভিজিট করা কোন সিটিতে গেলে যাতে আপনার হেলপ পাই সেজন্য।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
জুন বলেছেন: অবশ্যই বন্ড ০০৭
৬২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৫
ফেলুদার তোপসে বলেছেন: কাজের সুবাদে একবছর থাকার পরেও আপনার মত চোখে দেখতে পারলাম না, নিজের উপর খুব লজ্জা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
প্রামানিক বলেছেন: আমি প্রথম হইছি চা দেন।