নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাশ দীপিকা
কোন এক ব্যস্ত নগরীর তার চেয়েও ব্যস্ত এক বানিজ্যিক এলাকার সুউচ্চ-সুরম্য ভবনগুলোর মাঝে ৪১ তালা ভবনটি মাথা তুলে রাস্তার বাঁ পাশে যেন সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে। মুনিয়া শুনেছে সে ভবনের অনেক উপরের এক নিভৃত কোঠায় আছে একাকী নি:সংগী এক আকাশ দীপিকা ।
আগে আগে পথ দেখিয়ে সেখানে নিয়ে যাচ্ছে সুমন। সেই অট্টালিকার ৩৫ তালা পর্যন্ত উঠতে উঠতে দুবার লিফট বদলাতে হলো মুনিয়া আর মাসুদকে। অটোমেটিক তালা লাগানো কাঠের দরজাটি চাবি ঘুরিয়ে খুলতেই ঘরের ভেতর থেকে ভ্যাপসা গরমের সাথে এক বিশ্রি বোটকা গন্ধ ঝট করে নাকে এসে লাগলো মুনিয়ার। সাথে সাথে নাক কুঁচকে উঠে তার।
ঘরের ভেতর পা রেখে মুনিয়ার মনে হলো কতদিন পরিস্কার করা হয়নি কিছু। লজ্জিত সুমন তাড়াতাড়ি এক হাতে নোংরা কোচকানো টু সিটার সোফার কভারটি হাত দিয়ে ঝেড়ে টেনেটুনে সমান করতে করতে বসতে বল্লো তাদের।
“ভাবী বসেন, বসেন, কিছু মনে করবেন না, আমার স্ত্রী অসুস্থ, তাই ঘর বাড়ীর এমন অবস্থা। গন্ধের উৎস খুজতে গিয়ে মুনিয়া তাকিয়ে দেখলো ঐ ঘরেরই এক কোনায় থাকা ছোট্ট কিন্ত আধুনিক রসুই ঘরের তাকের উপর থেকে মেঝে পর্যন্ত বাসী খাবারের খালি প্যাকেট এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।পাশেই বেসিনের ভেতর একগাদা ময়লা বাসন কোসন ডাই হয়ে পরে আছে।
‘না না এটা কোন ব্যাপার না সুমন সাহেব । বিদেশ বিভুই এমন তো হতেই পারে’, মাসুদ বলে ওঠে।
ওদের বসিয়ে সুমন পাশের রুমে গেল। ফিরে আসতেই মুনিয়া প্রশ্ন করে,
“কেমন আছে আপনার স্ত্রী” ?
‘ভালো নেই, দেখি বিকেলের দিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো। বমি হচ্ছে ভীষন , কিছুই খেতে পারে না’।জীবনে প্রথম বারের মত পিতা হতে যাওয়া বাংগালী যুবকটি লজ্জায় চোখ নামিয়ে নেয় ।
তার স্ত্রীকে দেখার জন্য মুনিয়াকে ভেতরে যেতে অনুরোধ করলো সুমন। দুটো ছোট ছোট রুম নিয়ে তৈরি সেই ফ্ল্যাটটির একটি সেই বসা আর রান্নার জন্য আর এটা হলো তাদের শয্যাকক্ষ।সে ছোট্ট ঘর জুড়ে ঢাউস এক ডাবল বেড তাতে কুচকে থাকা চাদরের আধখানা গায়ে টেনে শুধু ফোমের উপর ঐদিকে মুখ ফিরিয়ে কাত হয়ে শুয়ে আছে আকাশ দীপিকা।
আসতে আসতেই সুমন বলেছিল এখানে ইলেকট্রিসিটি বিল অনেক ঊঠে তাই এসি ব্যাবহার না করে একটা ফ্যান কিনে নিয়েছে।সার্বক্ষনিক এসি চালানোর উপযোগী করে তৈরী সেই বাড়ির দুটো কক্ষই বাইরের প্রখর রোদ আর আদ্রতা মিলিয়ে যেন ভেপসে আছে। বদ্ধ ঘরের সেই আগুন গরম ভাপকে প্রানপনে দমাতে চেষ্টা করছে মাঝারী সাইজের এক টেবিল ফ্যান।
সামনে এসে দাড়াতেই মুনিয়া দেখতে পেলো শ্যামল পলি মাটিতে তৈরী সদ্য কৈশোর পেরুনো একটি মেয়ে প্রতিমার মত মুখ নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। কালো ধনুকের মত বাঁকা ভুরুর নীচ থেকে এক জোড়া পটল চেরা চোখ তুলে মৃদু ম্লান গলায় সে মুনিয়াকে বসতে অনুরোধ করে।তার কাজল কালো চোখের অতল দিঘীতে কি এক অজানা আশংকার ছায়া।
বিস্মিত মুনিয়ার মনে হলো বিধাতা যেন তার অকৃপন হাতে বাংলার সমস্ত সৌন্দর্য্যকে ঢেলে দিয়েছে সন্তান সম্ভবা এই কচি মেয়েটির দেহে। খুচরো কিছু আলাপের ফাকে ফাকে মুনিয়া চারিদিকে তার দৃষ্টি বুলিয়ে নেয়। ঘরের সব কিছুর মাঝেই যেন অযত্নের ছাপ ।এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাপড় চোপড়গুলো পড়ে আছে ঠিক সামনের ঘরের সেই বাসি খাবারের প্যকেটে গুলোর মতই। খাটের পাশে একটা ছোট্ট তেপয়ার উপর সাত সকালেই দুটো জ্যুসের প্যকেট আর গ্লাস সাজিয়ে রেখে গেছে সুমন, কিছু খেতে পারছে না যখন তখন সে যেন শুয়ে শুয়েই জ্যুস ঢেলে খায় ।
সুমন সকাল দশটা থেকে রাত দশটা এগারোটা পর্যন্ত তার বিভিন্ন রকম ব্যবসা নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত থাকে। ভালোবাসার কমতি না থাকলেও আকাশ দীপিকাকে দেয়ার মত সময় তার হয়ে উঠে না। ভয়ানক প্রতিযোগীতার এই বাজারে বাড়ীতে বসে থাকলে চলে না সুমনের। এসবই আসতে আসতে সুমন অস্ফুট গলায় বলছিল মুনিয়া আর মাসুদকে।
মুনিয়া চেয়ে দেখে ঘরের একদিক জুড়ে থাকা কাচের দেয়াল ভেদ করে মেয়েটির কালো হরিণ চোখের ভেজা দৃষ্টি চলে গেছে সীমানা পেরিয়ে বহু বহু দুরে তার নিজ দেশে, নিবিড় ছায়ায় ঘেরা গ্রামের বাড়ীতে যেখানে আছে তার প্রিয়জনেরা। সেই প্রিয় মুখগুলো বিশেষ করে তার মাকে দেখার জন্য সমস্ত অন্তর যেন ব্যাকুল হয়ে আছে।
‘আপনার বাড়ী থেকে কেউ আসে নি’! মুনিয়ার প্রশ্নের জবাবে মেয়েটি জানায় তার এ অবস্থার কথা শুনে অবিবাহিতা এক ছোট বোন এসেছিল। তারপর একটু দম নিয়ে বল্লো :
“জানেন আমি এদেশের খাবার খেতে পারি না, এখানে কেউ নেই আমাকে দেখবে। আমার মায়ের হাতের রান্না খেতে খুব ইচ্ছে করে আপা, আমার মা যে কি অসাধারন রান্না করে কি বলবো আপনাকে’।
সব সন্তানের সেই চিরন্তন কথা শুনে মুনিয়ার মনে হলো শুধু মায়ের হাতের রান্নাই নয়, এই বালিকা বধুটি যেন তার অনাগত দিনের সমস্ত ভয়-ভাবনা নিয়ে মা এর আঁচলের ছায়ায় আশ্রয় নিতে ব্যাকুল ।
“তাহলে ভাইকে বলে আপনার মা কে কিছুদিনের জন্য এখানে আনিয়ে নেন।এ ভাবে সারাদিন একা একা ঘরে পড়ে থাকা”... কথা শেষ করতে পারে না। !
কিন্ত মা যে তার আসতে পারে না, বাবা, ভাই-বোনরা ছাড়াও গরু, বাছু্র, হাঁস মুরগী নিয়ে তাঁর মা এর এক বিশাল পরিবার। বিশেষ করে হাস মুরগীগুলো কি করে রেখে আসবে, কে দেখবে মা ছাড়া ! অবলা জীবের কাছে মেয়ের ভালোবাসা পরাজিত হয়ে গেছে যেন।
“তাছাড়া আপনার ভাই চায় আমি এখানে থাকি, বলে এদেশে চিকিৎসা ভালো, বলেন দেখি আমাদের দেশে মেয়েদের কি বাচ্চা হয়না, সবার বাচ্চাই কি বিদেশে হয়”!
খাঁচায় আটকে থাকা পাখির মতন বদ্ধ ঘরের ভেতর ক্লান্ত বিপর্যস্ত এক আর্ত কন্ঠের ছুড়ে দেয়া প্রশ্নের জবাব দিতে পারে না মুনিয়া। তার নিজেরও যেন সুউচ্চ অট্টালিকার অনেক উপরের সেই ছোট্ট ঘরের ভেতর বসে দম আটকে আসছিল। তাড়াতাড়ি মেয়েটির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সামনের ঘরে এসে দাড়ালো মুনিয়া ।
‘কেমন দেখলেন’ ? সুমন এর উদবিগ্ন প্রশ্নের উত্তরে মুনিয়া জানালো সে যেন কিছুদিনের জন্য হলেও অন্ততঃ তার স্ত্রীকে দেশে তার আপনজনের মাঝে পাঠিয়ে দেয়, না হলে কোন রকম মানসিক রোগে সে আক্রান্ত হতে পারে ।
‘দেখি কি করা যায়, এই মন্দার বাজারে ব্যবসা রেখে কিছুদিনের জন্য যাওয়া মুশকিল, দেশ থেকে কাউকে এনে পাঠিয়ে দেবো কি না বুঝতে পারছি না, টাকা পয়সার তো একটা ব্যাপার আছে,’, বলে চুপ হয়ে গেল সুমন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আকাশ দীপিকা সুউচ্চ ভবনের অনেক উপরের সেই খাচায় বন্দী হয়েই আছে। চারিদিক আবদ্ধ সেই বাসায় রাপুনজেলের মত জানালা দিয়ে তার দীর্ঘ কেশ ঝুলিয়ে দেবার কোন উপায় নেই যা বেয়ে কেউ এসে তাকে উদ্ধার করে দেশে নিয়ে যাবে । কি অসহায় ..।।
এক ক্রন্দসী হিরন্ময়ী উর্বশী
আজ একটি জরুরী কাজে মুনিয়াকে সরকারী একটি অফিসে যেতে হলো । টাচ স্ক্রীন থেকে সিরিয়াল নাম্বার বের করে দিল এক হাসি খুশী যুবক। কাউন্টার থেকে কাজ সেরে তাকে এক অফিসারের সামনে বসিয়ে দিয়ে গেল একজন । মুনিয়া চেয়ে দেখে হালকা নীলের উপর স্ট্রাইপ দেয়া শার্ট, টাই, কালো কোট আর স্কার্ট পড়া সেই দুর্দান্ত স্মার্ট অফিসার তরুনী ডান দিকে সামান্য মুখটি ঘুরিয়ে কার সাথে জানি ফোনে কথা বলছে।
মাঝখানে সিঁথি করা হালকা বাদামী রঙ এর কাধ পর্যন্ত কাটা ক্লিপ দিয়ে আটকানো চুলগুলো লুটিয়ে পড়ে আছে তার শঙ্খের মত ঘাড়ের ওপর। একবার এক সেকেন্ডের জন্য এদিকে মুখ ঘোরাতেই মুনিয়া অবাক হয়ে গেল মেয়েটির রূপ দেখে!
ভাষা না জানার জন্য মুনিয়া কিছুই বুঝতে পারছিল না । কিন্ত তার গলার স্বরে বোঝা যাচ্ছিল সে তার খুব প্রিয় একজনের সাথে কথা বলছে ।তার অভিব্যক্তির সাথে সুর আর স্বরের ওঠানামায় মিশে ছিল মান অভিমান, ঈর্ষা, রোষ, বেদনা যা মিলিয়ে প্রেমের করুন সব অনুভুতি্র প্রকাশ ।
তার উপস্থিতি সম্পর্কে মনে হলো সম্পুর্ন অজ্ঞাত সেই অপরূপা মুখ ফিরিয়ে ফোনে কথা বলছেই । দীর্ঘ সময় ধরে তার ক্লান্ত ও আকুল কন্ঠ কোন এক জনের মিথ্যা অভিযোগ খন্ডনে বার বার সনির্বন্ধ অনুরোধ করে চলেছে, তারই সাথে ক্ষোভ-দুঃখ একসাথে ঝরে পরছে তার সুরেলা কন্ঠ বেয়ে।
এমন সময় স্লিপ দেয়া সেই ছেলেটি লাজুক লাজুক ভাবে মুনিয়ার পাশের চেয়ারে এসে বসলো আর তাকিয়ে দেখতে লাগলো সেই মেয়েটির দিকে। মুনিয়াও অবাক হয়ে ভাবছিল সার্ভিসের ব্যাপারে তাদের এত সুনাম সেখানে তাকে বসিয়ে মেয়েটি কার সাথে এতক্ষন ধরে কথা বলছে!এমন ঘটনা তো সে কখনো এর আগে দেখেনি ! আর অফিসিয়াল কথা যে নয় তা সে আগেই বুঝতে পেরেছিল। তারপর ও সেই রূপসীর রূপে বিস্মিত মুনিয়া অবাক হলেও এক বারের জন্যও বিরক্ত বোধ করে নি ।
প্রায় ৭/৮ মিনিট পর মেয়েটি ফোন রেখে রিভলভিং চেয়ারটি ঘুরিয়ে মুনিয়ার দিকে পুরো চোখ মেলে তাকালো। তার সেই চোখে এক গভীর বেদনাক্লিষ্ট দৃষ্টি। তাড়াতাড়ি মাথা নীচু করে বুকের কাছে হাতদুটো নিয়ে করজোড়ে ইংরাজীতে বার বার বলতে লাগলো “আমি দুঃখিত, আমি অত্যন্ত দুঃখিত”।
কিন্ত মুনিয়া মুখে বলছে ‘ইটস ওকে’, কিন্ত সে বিস্মিত নয়নে চেয়ে আছে মেয়েটির দিকে। মানুষ ও এত সুন্দর হয়! ঠিক যেন ঊষার মত, ভরা পুর্নিমার চাঁদের মত এক নির্মল, কোমল আর রৌদ্রকরোজ্জ্বল সুর্য্যের মত উজ্জ্বল সেই রূপ।
দুধের সাথে আলতা নয়, খানিকটা হলুদ ছেচে যেন মিশিয়ে দিয়েছে এমনি মসৃন তার গায়ের রঙ, সামান্য লম্বাটে মুখটিতে অত্যন্ত আকর্ষনীয় এক জোড়া চোখের দীর্ঘ ঘন কালো পল্লব, হয়তো মাসকারা দিয়েছে। চোখের পাতার উপর চিক চিক করছে আফসানার মতন খানিকটা আই শ্যডো। গোলাপী গাল দুটোয় ব্লাশ অন লাগানো , অথবা এমনই লাল আভাময় কে জানে! তার সাজ সজ্জা দেখে মনে হলো কোনটাই অতিরঞ্জিত নয়, কোন কিছুই যেন তার নিজস্ব সৌন্দর্য্যকে ছাপিয়ে যায় নি ।
তার কাছে কি কাজে এসেছে মুনিয়া জিজ্ঞেস করতেই গাঢ় গোলাপী একজোড়া ঠোটের ফাকে সাদা ধবধবে দাতের সারি দেখা গেল। মুনিয়ার মনে হলো এই অপরূপ রূপসী মেয়েটি কিছুতেই পার্থিব জগতের নয়, এ যেন, এ যেন ঠিক স্বর্গের কোন এক হিরন্ময়ী উর্বশী।
প্রাচীন কবি রাজশেখরের কবিতার ভাষায় বলতে হয় ...
নীল সরোজে নয়ন গড়া,মুখ গড়েছে শ্বেত কমল ,
পল্লবেরি রক্ত অধর, দন্তে ঝোলে কুন্দ দল ।
তবে এই মুহুর্তে মুনিয়ার কাজ নিয়ে দারুন ব্যস্ত হলেও ক্রন্দসী হিরন্ময়ী তার সমস্ত সৌন্দর্য্য দিয়েও লুকিয়ে রাখতে পারছে না আহত হৃদয়ের গভীর সেই বেদনাকে। দীর্ঘ পল্লব ঘেরা আয়ত চোখের কোনায় জমে থাকা চিক চিকে হীরের কুচির মত অশ্রু কনাগুলো যেন মুনিয়ার সামনে পড়ে না যায় তার আপ্রান চেষ্টায় রত।
চোখের কোনে জমে থাকা হীরের কুচির সাথে খানিক আগে ফোনের সেই মিনতি ভরা ক্লান্ত কন্ঠের ভাষা মুনিয়া না বুঝলেও এটুকু বুঝেছিল যে বহুদিনের একটি গভীর সম্পর্কের আজ ইতি ঘটলো ।
ছবি সুত্রঃ নেট থেকে, জ্যামাইকান র্যগে সিংগার বব মার্লের একটি বিখ্যাত গানের কলি ।
০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪
জুন বলেছেন: আপনি কেমন আছেন বর্তমানে তাই বলেন প্রামানিক ভাই ? আল্লাহর রহমতে এখন সুস্থ তো ?
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০০
বিজন রয় বলেছেন: জুন আপা ভাল আছেন?
ঈদ মোবারক।
০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১২
জুন বলেছেন: জী আমি ভালো আছি। আপনি ভালো আছেন তো? আপনার জন্য রইলো ঈদের শুভেচ্ছা বিজন রয়
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০১
সুমন কর বলেছেন: দু'টোই ভালো লাগল। প্রথমটি বেশি। ২য়টির মূল বিষয় ক্ষুদ্র কিন্তু বর্ণনা ছিল দারুণ।
অনেক দিন পর, আপনার গল্প পড়লাম। ভালো থাকুন।
০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৮
জুন বলেছেন: আপনার মতন একজন একনিষ্ঠ পাঠকের মন্তব্যে অসংখ্য ভালোলাগা রইলো সুমন কর।
অনেক দিন ধরে আমার লেখার একজন উতসাহদাতাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এক ক্রন্দসী হিরন্ময়ী উর্বশীর রূপের যে বর্ণনা দিলেন, এক কথায় অসাধারণ ।
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৭
জুন বলেছেন: সাধু হয়েও যে নারীর রূপ বর্ননা আপনার নজর এড়ায়নি তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞ রূপক বিধৌত
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো সাথে ঈদের শুভেচ্ছা।
৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯
চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: গল্পের কথাগুলো খুব সুন্দর লাগল।
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে চিন্তিত নিরন্তর। মন্তব্যের জন্য রইলো আন্তরিক ধন্যবাদ।
৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫
পবন সরকার বলেছেন: আপনাদের দোয়ায় অনেকটা সুস্থ্য
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫১
জুন বলেছেন: আপনি কি অসুস্থ ছিলেন পবন সরকার! দু:খিত আমার জানা ছিল না। দোয়া করি আপনি সম্পুর্ন সুস্থ হয়ে উঠুন।
৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঈদ মোবারক!
মুগ্ধ হয়ে পড়ে গেলাম। শেষ হলেও মুগ্ধতাটুকু শেষ হল না
+++++++++++++++++
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
জুন বলেছেন: আপনার জন্য রইলো চলে যাওয়া ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ভৃগু।
গল্পটি আপনার ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো
৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ক্লে ডল বলেছেন: আপু আপনি গল্পও লিখতে পারেন! জানতাম না।
প্রথমটা ভালো লেগেছে।
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে ক্লে ডল। তাই নাকি আপনি জানতেন না! হতেই পারে। আমার পুরানো লেখায় বেশ কিছু গল্প পাবেন। তবে একে যদি গল্পের মর্যাদা দিতে চান
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২২
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ঈদ মুবারক।
গল্প ভাললেগেছে, প্রথমটা বেশী ।
ভাল থাকুন। সবসময়।
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
জুন বলেছেন: আপনাকেও জানাই ঈদের শুভেচ্ছা শামসুল ইসলাম। গল্পটি আপনার কাছে ভালোলেগেছে জেনে ভীষণ আনন্দিত আমি। আমার কাছে দূটোই ভালোলেগেছে, আমার নিজের লেখাতো তাই দুজনাই আমার সন্তানের মত।
ভালো থাকুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে আর সাথে থাকুন
১০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৬
কালনী নদী বলেছেন: অনেকদির পর আপনার লেখা পড়ে সত্যি ভালো লাগল। শুভেচ্ছা জানবেন।
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪
জুন বলেছেন: আপনার জন্যও রইলো অজস্র শুভকামনা কালনী নদী। ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা।
আমি আসলে দেশের বাইরে ছিলাম বলে ল্যাপটপ এর অভাবে লেখালেখি থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হয়েছি। আপনাদের লেখাও অনেক মিস করেছি। চলে যাবার আগে তাড়াহুড়ো করে হাবিজাবি কিছু লিখছি আর কি সাথে রহাকুন বরাবরের মতই।
শুভেচ্ছান্তে
১১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: ঈদ মোবারক
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৪
জুন বলেছেন: ঈদ মুবারক রাতুল। পোষ্ট নিয়ে কিছু বললে না যে!! ভালো হয়নি বুঝি?
১২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০১
নিনজা টার্টল বলেছেন: ক্রন্দসী হিরন্ময়ির প্রেমে পড়ে গেছি এখন কি করি!!!!
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
জুন বলেছেন: সামনাসামনি দেখলে অনেকেই প্রেমে পড়তে বাধ্য বলেই আমার বিশ্বাস নিনজা টার্টেল। আমি যদি কখনো দেখা পাই তবে আপনার কথা জানিয়ে আসবো
আর স্বাগতম জানাই আমার ব্লগে।
১৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভালো লাগলো আপু। ঈদের শুভেচ্ছা।
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৩
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়েও অনেক ভালোলাগলো গোফরান চবি। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
অট: চবি টা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়?
১৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৫৭
পুলহ বলেছেন: "সব সন্তানের সেই চিরন্তন কথা শুনে মুনিয়ার মনে হলো শুধু মায়ের হাতের রান্নাই নয়, এই বালিকা বধুটি যেন তার অনাগত দিনের সমস্ত ভয়-ভাবনা নিয়ে মা এর আঁচলের ছায়ায় আশ্রয় নিতে ব্যাকুল । "
"অবলা জীবের কাছে মেয়ের ভালোবাসা পরাজিত হয়ে গেছে যেন। "-- সবচেয়ে ভালো লাগা দুটি বাক্য। আকাশ দীপিকা নামটাও ভারি সুন্দর।
আমি প্রথমে দুটো গল্পের মাঝে যোগসূত্র খোজার চেষ্টা করছিলাম। সুমন কর দাদার মন্তব্য ও প্রতি-মন্তব্য দেখে বিষয়টা ক্লিয়ার হোল
দুটি গল্পের নায়িকাই প্রেমে পড়ে যাবার মত রূপবতী মনে হচ্ছে- এতোটাই অসাধারণ বর্ণনা দিয়েছেন।
অনেকদিন বাদে লেখা পেলাম আপনার, ভালো আছেন আপু আশা করি
ঈদের শুভেচ্ছা
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২১
জুন বলেছেন: আপনি যে আমার সামান্য লেখাটি অত্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়েছেন তা আপনার মন্তব্যেই ফুটে উঠেছে পুলহ।
কোন যোগসুত্র নেই, দুটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা তবে দুজন নারীরই ছিল অশ্রুসজল চোখ।
দুজনই ছিল রূপসী এতে কোন সন্দেহ নেই
অনেকদিন পরেই লিখলাম। দেশের বাইরে থাকায় লেখার সমস্যা ছিল। তারপর এসেই অসুস্থ। আবার চলে যাওয়া কিছু দিন পর। তার ফাকে ফাকে কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি অনেক ভালো থাকবেন আর সাথে থাকবেন। শুভেচ্ছান্তে।।
১৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
পড়ি নি। পড়বো।
কেমন আছেন আপু?
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
জুন বলেছেন: আচ্ছা পড়া শেষ করে একটা মন্তব্য করবে সেই অপেক্ষায় রইলাম দিশেহারা। ভালো না লাগলেও বলো অনেক ভালোলেগেছে
আমি বেশি আলো নে।। জ্বর ঠান্ডা কাশি সাথে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা চলছে গত দশ দিন ধরে। দোয়া কোরো তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে উঠি।
দিশেহারা ভালো আছেতো? কেমন ঈদ হলো?
১৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: আমার কাছেও প্রথম অংশটা বেশী ভালো লেগেছে। দারুণ হয়েছে লেখা। বিশেষ করে সাবলীল বর্ননা।
১০ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩
জুন বলেছেন: কেন? কেন? শুধু প্রথম অংশ কেন আমারতো দুটোই ভালোলেগেছে ঠিক যেন যমজ সন্তানের মত সাইফুল্লাহ শামীম আসলে আমি লিখেছি বলেই হয়তো, অথবা প্রথমটাতে আমাদের দেশের কাদামাটির ছোয়া আছে বলে।
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন সকালের।
১৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো। আপনার লিখনশৈলীর স্বাতন্ত্র্য উল্লেখযোগ্য।
ধন্যবাদ বোন জুন।
১০ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬
জুন বলেছেন: প্রথমেই আপনার জন্য রইলো আমার আন্তরিক শুভ কামনা আবু হেনা ভাই। শারিরীক অসুস্থতার কারনে আপনাদের মন্তব্যের উত্তরগুলো দিতে দেরী হচ্ছে তার জন্য দু:খিত আমি।
আপনার মত একজন ছোট গল্প লেখার যাদুকরের প্রশংসা পেয়ে খুব ভালোলাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ
১৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখাটি অনেক ভালো লেগেছে, জুন আপা। মুগ্ধ।
প্রথমাংশের শেষদিকে রাপুনজেলের সাথে চমৎকার মিলিয়েছেন।
অনেক যত্নে লেখেছেন, মনের সমস্ত সৌন্দর্য্য ঢেলে দিয়েছেন আকাশ দীপিকা আর ক্রন্দসী হিরন্ময়ীকে।
১০ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা প্রিয় ব্লগার মাইনুদ্দিন মইনুল।
যত্ন করে লিখতেতো চেষ্টা করি, কিন্ত সংসারের হাজার কাজের ফাকে আর ডাকাডাকিরে মনোনিবেশ করতে পারি কই!
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
কালপুরুষ কালপুরুষ বলেছেন: প্রথমবার আপনার লেখা পড়লাম মুগ্ধ হলাম
অসাধারণ বর্ণনা; খুব ভালো লাগলো
ভালো থাকবেন।
১০ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে কালপুরুষ কালপুরুষ
ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো। আপনিও ভালো থাকুন।
২০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
গাজী বুরহান বলেছেন: জুন দেখি জুলাই মাসে!!
কি ব্যাপার
সামথিং ইজ নট রাইট
এই ভেবে গল্পটি পড়া শুরু করছিলাম।ভালো লেগেছে। (এই প্রথম আপনার গল্প পড়া)।
১০ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
জুন বলেছেন: জুন শুধু জুনে নয় বছর ধরেই জুন বলতে পারেন গাজী বুরহান।।
ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো।
আপনার পোষ্টে সিলেটে আমন্ত্রনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছান্তে।
২১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০
নীলপরি বলেছেন: বেশ কয়েকদিন বাদে লিখলেন । আর অসাধারণ লাগলো পড়তে । ++
১০ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
জুন বলেছেন: নানা রকম কিছু ব্যক্তিগত সমস্যায় লেখা হয়ে ওঠেনি নীলপরি। আপনার কাছে ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো আমার। আন্তরিক ধন্যবাদ
২২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: না পড়ে কি করে বলবো? এখন পড়তে আসলাম
১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৫
জুন বলেছেন: কি এখনো পড়া শেষ হয়নি এত ছোট গল্প দুদিন লাগছে রাতুল
যাক পড়া শেষ হলে কিছু বলে যেও
২৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
বেশ কিছুদিন পরে ব্লগে ঢুকেই অপূর্ব শৈল্পিক এ্ক শিরোনামে আপনার লেখাটি চোখে পড়লো । সম্ভবত "জীবন যেখানে যেমন" তেমন বাস্তবের দু'টো আলাদা আলাদা কাহিনী নিয়ে গড়ে ওঠা লেখাটি মনের কোথাও যেন এলোমেলো করে দিয়ে গেলো ।
প্রথম কাহিনীটিতে বাস্তবের এক বন্দিনীর যে হাহাকার তা এই একটি লাইনেই আরও তুমুল হাহাকার নিয়ে তেমন মনের যে কাউকে কাঁদাবেই ---- চারিদিক আবদ্ধ সেই বাসায় রাপুনজেলের মত জানালা দিয়ে তার দীর্ঘ কেশ ঝুলিয়ে দেবার কোন উপায় নেই যা বেয়ে কেউ এসে তাকে উদ্ধার করে দেশে নিয়ে যাবে । আকাশ দীপিকা ভালো থাকুক ।
দ্বিতীয়টি মনহারিনী । দীর্ঘ পল্লব ঘেরা আয়ত চোখের কোনায় জমে থাকা চিক চিকে হীরের কুচির মত অশ্রু কনাগুলো যেন মুনিয়ার সামনে পড়ে না যায় তার আপ্রান চেষ্টায় রত। এই লাইনটিতেও বাস্তব যে কতো কঠিন তা দারুন মুন্সীয়ানায় এঁকে গেছেন । হিরন্ময়ীর চোখে আর যেন অশ্রু না ঝরে কোনও দিন ......................
আসলে মানুষের জীবনে যে কতো শত-সহস্র জটিলতা !
১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৯
জুন বলেছেন: বরাবরের মতই আমার লেখাকে ম্লান করে দিয়ে গেল আপনার অদাধারন মন্তব্যটি আহমেদ জী এস। অত্যন্ত মনযোগী পাঠক আপনি তা মন্তব্যের প্রতিটি লাইনেই ফুটে উঠেছে। সাথে আছেন দীর্ঘদিন, আশা করি আগামীতেও সাথে থেকে ভুল ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দিয়ে আরো পরিশীলিত লিখিয়ে হতে সাহায্য করবেন।
আন্তরিক ধন্যবাদ সাথে রাতের শুভেচ্ছা জানবেন।
২৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫২
অশ্রুকারিগর বলেছেন: আহা। সৌন্দর্য্য! একইসাথে কষ্ট!
দেরিতে ঈদ মোবারক, আপু।
১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫১
জুন বলেছেন: আপনার জন্য ও রইলো চলে যাওয়া ঈদের টাটকা শুভেচ্ছা অশ্রু কারিগর।
ভালো থাকুন
২৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৯
শায়মা বলেছেন: আপুনি ঈদ মুবারাক!
১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫১
জুন বলেছেন: ঈদ মুবারক শায়মা
২৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্পটা ভাল লেগেছে।
কিছুকিছু বর্ণনা দারুন। পটল চেরা চোখ টাইপ উপমাগুলো কেউ কেন জানি ব্যবহার করে না। পুরাতন হয়ে গেছে বোধহয়। তবে আপনার লেখায় ভাল লাগল বেশ।
আর বাংলার পলিমাটির মতো মেয়েটির জন্য খারাপ লাগছে।
খুব ভালো লিখেছেন। অনবদ্য
১১ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৯
জুন বলেছেন: অত্যন্ত মনযোগী পাঠক আপনি আরন্যক রাখাল। পুরনো উপমাগুলো তুলে ধরতে ভালো লাগে। পুরানো দিনের মানুষ বলেই হয়তো
আপনার ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগা রইলো
২৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:১৪
বিপ্লব06 বলেছেন: মুনিয়ার জন্য শুভকামনা।
অনেক ভালো লাগছে। বেস্ট লাইন, "শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আকাশ দীপিকা সুউচ্চ ভবনের অনেক উপরের সেই খাচায় বন্দী হয়েই আছে। চারিদিক আবদ্ধ সেই বাসায় রাপুনজেলের মত জানালা দিয়ে তার দীর্ঘ কেশ ঝুলিয়ে দেবার কোন উপায় নেই যা বেয়ে কেউ এসে তাকে উদ্ধার করে দেশে নিয়ে যাবে । কি অসহায় ..।"
ভাল থাকবেন।
১১ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
জুন বলেছেন: হু বন্দী বটেই। পরিস্থিতির শিকার বলিতে পারেন বিপ্লব ০৬।
ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
২৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: ঈদ মুবারক আপু।
ভালো লাগলো মুনিয়ার চোখে দেখা মানুষের ক্ষণে ক্ষণে অভিনয়।
কত জায়গা কত মানুষ কত মত কত মুখোশ।
১১ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮
জুন বলেছেন: ঈদ মুবারক শোভন। অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে।
লেখাটি ভালোলাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫২
মশিকুর বলেছেন:
ঈদ মোবারক আপু। ঈদ কেমন গেল?
১১ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫০
জুন বলেছেন: ঈদ মুবারক মশিকুর। খুব একটা ভালো যায়নি অদুস্থতার কারনে। এখনো শয্যাশায়ী
আপনার ঈদ কেমন হলো?
গল্পটি নিয়ে আপনার সামান্য মতামত আশা করছি
৩০| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:০৭
জেন রসি বলেছেন: লেখায় গভীর বোধের স্পর্শ পেলাম।
ভালো লেগেছে আপু।
১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
জুন বলেছেন: জেন রসি লেখাটি খুব মন দিয়ে পড়েছেন বুঝলাম। তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইলো। আপনার ইদানীংকার লেখাগুলো পড়ি কিন্ত মন্তব্য করা হয়ে ঊঠে না লেখার বিষয়বস্তু র জন্য। আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না। বুঝতেই তো পারেন কতখানি প্রতিকূলতার মাঝে আমাদের লেখালেখি। অনেক ভালো থাকুন, সুখে থাকুন সেই শুভ কামনা রইলো প্রতিনিয়ত।
৩১| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পটি খুব সুন্দর হয়েছে, দুটু নারী চরিত্রের হদয় বিদারক করুন কাহিনী বিমুর্ত হয়ে উঠেছে গল্পটিতে । লেখিকা নিপুন হাতের ছোয়ায় গলপটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন ।
ভাল লাগার এ গল্পটিকে আমি এখানে আমার নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে গল্পনিহীত চারটি চরিত্র সম্পর্কে মন্তব্য দানে একটু ব্রতি হব । আলোচনার প্রারম্ভে বলে নিই, কপি এন্ড পেষ্ট অংশের মধ্যে বোলল্ড করা অংশ টুকু আমার মন্তব্য
প্রথমেই আসব মুনিয়া চরিত্রটিতে, মুনিয়া চরিত্রে লেখিকা পরম মানবীয় দৃস্টি কোণ থেকে আকাশ দীপিকা ও ক্রন্দসী হিরন্ময়ী উর্বশীর জীবনের সকরুন দিকটি ফুটিয়ে তুলেছেন । আকাশ দীপিকা ও ক্রন্দসী হিরন্ময়ী উর্বশীর সৌন্দর্যের অপরূপ বর্ণনা গল্পটিকে মোহনীয় করেছে , লেখিকা মুনিয়া চরিত্রের অনন্ন শৈল্পিক প্রকাশ ঘটিয়েছেন ।
গল্পভুক্ত মাসুদ চরিত্রটির ভুমিকা তেমন কিছুই নেই । তার ভুমিকার মুল্যায়ন যথাস্থানে করা হয়েছে ।
সুমনের স্ত্রী আকাশ দীপিকা , সে বরাবরই ছিল নির্যাতিতা।
গল্পের নায়ক সুমন তাকে নিয়েই এখন যত কথা ।
ঘরের ভেতর পা রেখে মুনিয়ার মনে হলো কতদিন পরিস্কার করা হয়নি কিছু ( কতদিন তার মানে বেশ কয়েক দিন পরিস্কার করা হয়নি , মাত্র দুজনের ছোট সংসার , স্ত্রী পোয়াতি , সকাল ১০ টা থেকে রাত ১১ পর্যন্ত ব্যবসার কাজে সময় দিতে হয় স্বামী বেচারাকে , দিনের বাকি ১১ ঘন্টা তিনি স্ত্রীর কাছে ঘরে থাকার সময় পান , তিনি স্ত্রীর এরকম সময়ে কোন কিছুই করিবেন না , দুরুমের বাসা , গুছিয়ে রাখতে পাঁচ/দশ মিনিটের বেশী সময় কারো লাগার কথা না , স্ত্রীর এরকম সময়ে তিনি ৫/১০ মিনিট সময় দিবেন না, পোয়াতী ঘরে বোটকা গন্ধ পরিবেশ বজায় রাখবেন দিনের পর দিন , সুউচ্চ-সুরম্য ভবনগুলোতে এয়ার কনডিশন সিসটেম থাকলেও প্রয়োজনে বদ্ধ ঘরের ভেপসা বায়ু নিস্কাসনের ব্যবস্থা নিশ্চয়ই থাকবে কিন্তু তিনি তা করেন নি , দিনে ১১ ঘন্টা সময় হাতে রেখেও তিনি পোয়াতী ঘরটিকে ভেপসা বিশ্রি গন্ধময় করে রেখেছেন , এমন অকর্মন্য স্বামী বিশ্ব চরাচরে খুব কমই আছে )। লজ্জিত ( লজ্জা কি তার আদৌ আছে সে তো ভাল করেই জানে তার ওরকম ঘরে কাওকে নিয়ে গিয়ে তার স্ত্রীর ও ঘরের দুরাবস্থা দেখালে লজ্জা পেতে হবে , নীজের স্ত্রী ও ঘরের দুরাবস্থা দেখাতে যার একটুও দ্বিধা নেই তার আবার লজ্জা কিসের সে এক বিস্ময় ) সুমন তাড়াতাড়ি এক হাতে নোংরা কোচকানো টু সিটার সোফার কভারটি হাত দিয়ে ঝেড়ে টেনেটুনে সমান করতে করতে বসতে বল্লো তাদের।
“ভাবী বসেন, বসেন, কিছু মনে করবেন না, আমার স্ত্রী অসুস্থ, তাই ঘর বাড়ীর এমন অবস্থা ( কি সুন্দর বাহনা সমস্ত দোষ অসুস্থ স্ত্রীর ঘারে চাপিয়ে দিলেন স্বামী দেবতা নীজে দুধে ধোয়া তুলছি পাতা !!!। ) গন্ধের উৎস খুজতে গিয়ে মুনিয়া তাকিয়ে দেখলো ঐ ঘরেরই এক কোনায় থাকা ছোট্ট কিন্ত আধুনিক রসুই ঘরের তাকের উপর থেকে মেঝে পর্যন্ত বাসী খাবারের খালি প্যাকেট এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।বেসিনে একগাদা ময়লা বাসন কোসন ডাই হয়ে পরে আছে।( দুজনের সংসারে পোয়াতী স্ত্রীর পাশে শক্ত সামর্থ এক অকর্মন্য ব্যাবসায়ী স্বামী , যিনি আবার বসবাস করেন বানিজ্যিক এলাকার সুউচ্চ-সুরম্য ভবনে , নিশ্চয়ই বানিজ্যিক এলাকার ব্যয় বহুল ভবনে জীবন যাপন , তার সে সামর্থ ছিল বলেই তিনি সেখানে বসবাসের ব্যবস্থা করেছেন ; প্রসঙ্গটি পরেও আবার আসবে )
‘না না এটা কোন ব্যাপার না সুমন সাহেব । বিদেশ বিভুই এমন তো হতেই পারে’, মাসুদ বলে ওঠে ( একটা অকর্মন্য স্বামীকে মাসুদের কি সুন্দর শান্তনা!!! , কেননা বিদেশ বিভুইয়ে শতকরা ৯৯ টি ঘরই থাকে ফিট ফাট বিদেশ বিভুই এমন হয়না, এখানেই মাসুদ চরিত্রের যানিকা ) ।ওদের বসিয়ে সুমন পাশের রুমে গেল। ফিরে আসতেই মুনিয়া প্রশ্ন করে, “কেমন আছে আপনার স্ত্রী” ? ( সুমনের ঘরে গিয়ে এ প্রশ্নটা করার মধ্যে দিয়ে প্রমানিত হয় গল্পের শুরুটায় সুমন সুপরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রীর কুশলাদির বিষয়টি এড়িয়ে গেছে ,তার স্ত্রীর শারিরিক কুশলাদি নিয়ে কোন কথা হয়নি , তাই সুমনের ঘরে গিয়ে আপনার স্ত্রী কেমন আছে প্রশ্নটি করতে হয়েছে মুনিয়াকে )।
‘ভালো নেই, দেখি বিকেলের দিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো। বমি হচ্ছে ভীষন , কিছুই খেতে পারে না’।জীবনে প্রথম বারের পিতা হতে যাওয়া বাংগালী যুবকটি লজ্জায় চোখ নামিয়ে নেয় । ( ঘরে অতিথি আগমনের পরেও শয্যাগত অসুস্থ স্ত্রী যিনি অসুস্থাহেতু বসার ঘরে যেতে পারছেন না তিনি যে কতটা অসুস্থ তা সহজেই বুঝা যায় , সেই স্ত্রীর জন্য স্বামী বেচারা তাচ্ছিল্য করে বলেন দেখি বিকেলের দিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো , দেখি শব্দটা তাচ্ছিল্যরই পরিপুরক , তার বরং বলা উচিত হতো : বিকালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো )
তার স্ত্রীকে দেখার জন্য মুনিয়াকে ভেতরে যেতে অনুরোধ করলো সুমন। দুটো ছোট ছোট রুম নিয়ে তৈরি সেই ফ্ল্যাটটির একটি সেই বসা আর রান্নার জন্য আর এটা হলো তাদের শয্যাকক্ষ।সে ছোট্ট ঘর জুড়ে ঢাউস এক ডাবল বেড তাতে কুচকে থাকা চাদরের আধখানা গায়ে টেনে শুধু ফোমের উপর ঐদিকে মুখ ফিরিয়ে কাত হয়ে শুয়ে আছে আকাশ দীপিকা।( কত তুচ্ছ তাচ্ছিল করে সুউচ্চ বিলাসী ভবনে বসবাসকারী অকর্মন্য স্বামী তার পোয়াতী অসুস্থ স্ত্রীর দেখ বাল করছে বিষ্ময়ে অবাক হতে হয় )
আসতে আসতেই সুমন বলেছিল এখানে ইলেকট্রিসিটি বিল অনেক ঊঠে তাই এসি ব্যাবহার না করে একটা ফ্যান কিনে নিয়েছে ( বানিজ্যিক এলাকার ব্যয় বহুল সুউচ্চ ভবনে বসবাসের সময় ব্যবসায়ী অকর্মন্য স্বামীটির মস্তকে একটি বারের জন্যো কি শীতাতপ নিয়স্ত্রন যন্ত্রের ব্যয়ের কথাটি মনে আসেনি , তবে বর্তমানে কোন কারণে সামর্থে না কুলালে বাসাটি বদল করে নেয়া যেতে পারতো তা না করে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ পোয়াতী স্ত্রীটিকে বোটকা ভেপসা ঘরে আবদ্ধ রেখে অসুস্থ করে তুলেছে ),।সার্বক্ষনিক এসি চালানোর উপযোগী করে তৈরী সেই বাড়ির দুটো কক্ষই বাইরের প্রখর রোদ আর আদ্রতা মিলিয়ে যেন ভেপসে আছে। বদ্ধ ঘরের সেই আগুন গরম ভাপকে প্রানপনে দমাতে চেষ্টা করছে মাঝারী সাইজের ( এটা দিয়ে প্রাণ পনে হলে আর একটু বড় ফ্যান হলে ক্ষতি কি ছিল নাকি স্ত্রী বেচারীর উপরে নির্যাতনের মাত্রাটি কম হবে এ বিবেচনায় বড় ফ্যান ইউজ করা হয়নি!!! এক টেবিল ফ্যান। ( বিদেশে বসে কোন বাংগালীর ব্যবসা করার অধিকার পেতে হলে তাকে হয় কোন বড় মাপের বিনিয়োগ করতে হয় না হলে অন্য স্থায়ী অভিবাসন প্রক্রিয়া সমপন্ন করতে হয় তার মানে আর্থিক দুরাবস্থায় তার হরেক পদের সহায়ক থাকে , এট লিষ্ট এক পোয়াতি স্রীর বসতঘরে আলো বাতাস পানির ব্যবস্থা করার জন্য বিদেশে সোসাল ও স্ব্যাস্থ সেবার কোন কমতি নেই, এত কিছু জানার পরেও ঐ অপদার্থ স্বামিটি কেন নীজ স্ত্রীকে অযত্ন অবহেলা করে এমন একটি দুর্বিসহ শয্যাগত অবস্থায় পরিনত করেছে তার কি জবাব দিবে এই অকর্মন্য স্বামী দেবতা )
সামনে এসে দাড়াতেই মুনিয়া দেখতে পেলো শ্যামল পলি মাটিতে তৈরী সদ্য কৈশোর পেরুনো একটি মেয়ে প্রতিমার মত মুখ নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। কালো ধনুকের মত বাঁকা ভুরুর নীচ থেকে এক জোড়া পটল চেরা চোখ তুলে মৃদু ম্লান গলায় সে মুনিয়াকে বসতে অনুরোধ করে।তার কাজল কালো চোখের অতল দিঘীতে কি এক অজানা আশংকার ছায়া।
বিস্মিত মুনিয়ার মনে হলো বিধাতা যেন তার অকৃপন হাতে বাংলার সমস্ত সৌন্দর্য্যকে ঢেলে দিয়েছে সন্তান সম্ভবা এই কচি মেয়েটির দেহে। খুচরো কিছু আলাপের ফাকে ফাকে মুনিয়া চারিদিকে তার দৃষ্টি বুলিয়ে নেয়। ঘরের সব কিছুর মাঝেই যেন অযত্নের ছাপ ।এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাপড় চোপড়গুলো পড়ে আছে ঠিক সামনের ঘরের সেই বাসি খাবারের প্যকেটে গুলোর মতই। খাটের পাশে একটা ছোট্ট তেপয়ার উপর সাত সকালেই দুটো জ্যুসের প্যকেট আর গ্লাস সাজিয়ে রেখে গেছে সুমন, কিছু খেতে পারছে না যখন তখন সে যেন শুয়ে শুয়েই জ্যুস ঢেলে খায় । ( কি দুর্বিসহ অবস্থা করে রেখেছে অকর্মন্য স্বামীটা)
সুমন সকাল দশটা থেকে রাত দশটা এগারোটা পর্যন্ত তার বিভিন্ন রকম ব্যবসা নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত থাকে। ভালোবাসার কমতি ( স্ত্রীর প্রতি বিন্দু মাত্র ভালবাসা যে নেই তা তার কার্যকলাপ থেকে পরিস্ফুট )না থাকলেও আকাশ দীপিকাকে দেয়ার মত সময় তার হয়ে উঠে না ( এটা আবার কেমন হল তার হাতে দিনে কমপক্ষে হিসাব অনুযায়ী ১১ ঘন্টা সময় অবশিষ্ট থাকে যা দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে খুব কমই থাকে ) । ভয়ানক প্রতিযোগীতার এই বাজারে বাড়ীতে বসে থাকলে চলে না সুমনের ( এ সব কথা দ্ধারা অকর্মন্য সুমনের নীজকে ডিফেনস দেয়ার একটি বাহনা মাত্র , ঘরের দরজা জানালা খুলে কিংবা ভেনটিলেশন চালু করে আলো বাতাশ ডুকানো , কিচেনের সিন্কের থালা বাসন ধোয়া , বসার ঘরের দু ছিটের সোফাসেট গোছানো, অসুস্থ স্ত্রীর বিছানার চাদর পরিপাটি করে দেয়া প্রভৃতি মাত্র ১০ থেকে ২০ মিনিটের কাজ , এর জন্য প্রতিযোগীতামুলক বাজারের ব্যবসার ব্যস্ততাকে টেনে আনা নীজের স্ত্রীর এসময়ে তার তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতার বিষয়টিকে ডিফেন্নস দেয়ার একটি চেষ্টা ছাড়া কিছুনা ) । এসবই আসতে আসতে সুমন অস্ফুট গলায় বলছিল মুনিয়া আর মাসুদকে।
মুনিয়া চেয়ে দেখে ঘরের একদিক জুড়ে থাকা কাচের দেয়াল ভেদ করে মেয়েটির কালো হরিণ চোখের ভেজা দৃষ্টি চলে গেছে সীমানা পেরিয়ে বহু বহু দুরে তার নিজ দেশে, নিবিড় ছায়ায় ঘেরা গ্রামের বাড়ীতে যেখানে আছে তার প্রিয়জনেরা। সেই প্রিয় মুখগুলো বিশেষ করে তার মাকে দেখার জন্য সমস্ত অন্তর যেন ব্যাকুল হয়ে আছে। ( মুনিয়ার মায়াময় অনুভুতি প্রসংসার দাবীদার) দেশর বাড়ী থেকে কেউ আসে নি’! মুনিয়ার প্রশ্নের জবাবে মেয়েটি জানায় তার এ অবস্থার কথা শুনে ছোট বোন এসেছিল, তারপর একটু দম নিয়ে বল্লো :
“জানেন আমি এখানের খাবার খেতে পারি না, এখানে কেউ নেই আমাকে দেখবে। আমার মায়ের হাতের রান্না খেতে খুব ইচ্ছে করে আপা, আমার মা যে কি অসাধারন রান্না করে কি বলবো আপনাকে’।
সব সন্তানের সেই চিরন্তন কথা শুনে মুনিয়ার মনে হলো শুধু মায়ের হাতের রান্নাই নয়, এই বালিকা বধুটি যেন তার অনাগত দিনের সমস্ত ভয়-ভাবনা নিয়ে মা এর আঁচলের ছায়ায় আশ্রয় নিতে ব্যাকুল ।
“তাহলে ভাইকে বলে আপনার মা কে কিছুদিনের জন্য এখানে আনিয়ে নেন।এ ভাবে সারাদিন একা একা ঘরে পড়ে থাকা”... কথা শেষ করতে পারে না। ! ( মুনিয়া ও আকাশ দীপিকার এ কথোপকথন গল্পটির প্রাণ)
কিন্ত মা যে তার আসতে পারে না, বাবা, ভাই-বোনরা ছাড়াও গরু, বাছু্র, হাঁস মুরগী নিয়ে তাঁর মা এর এক বিশাল পরিবার। বিশেষ করে হাস মুরগীগুলো কি করে রেখে আসবে, কে দেখবে মা ছাড়া ! অবলা জীবের কাছে মেয়ের ভালোবাসা পরাজিত হয়ে গেছে যেন। ( লেখিকার এ আক্ষেপ গল্পটিকে নিয়ে গেছে অনন্ন উচ্চতায়)
“তাছাড়া আপনার ভাই চায় আমি এখানে থাকি, বলে এদেশে চিকিৎসা ভালো, বলেন দেখি আমাদের দেশে মেয়েদের কি বাচ্চা হয়না, সবার বাচ্চাই কি বিদেশে হয়”! ( এ দেশের ভাল চিকিৎসার সুযোগটা সে যে কত নিচ্ছে তাত বুজাই যাচ্ছে পোয়াতী স্ত্রীর শারিরিক অবস্থা সে কোথায় নিয়ে গেছে যে শয্যা ছেড়ে উঠতে পারছেনা, নিজের বিছানার একাংশ গায়ে জড়াচ্ছে , এ যেন চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষে বাসন্তিদের জাল দিয়ে শাড়ি পড়ার মত , শীয়রের কাছে জুসের প্যকেট রেখে দিতে হচ্ছে , উঠে গিয়ে জল পান করার শারিরিক অবস্থা রাখে নাই , তার পরেও বলে এ দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভাল এর থেকে রসিকতা আর কি থাকতে পারে সুমন চরিত্র গাথায় )
খাঁচায় আটকে থাকা পাখির মতন বদ্ধ ঘরের ভেতর ক্লান্ত বিপর্যস্ত এক আর্ত কন্ঠের ছুড়ে দেয়া প্রশ্নের জবাব দিতে পারে না মুনিয়া। তার নিজেরও যেন সুউচ্চ অট্টালিকার অনেক উপরের সেই ছোট্ট ঘরের ভেতর বসে দম আটকে আসছিল। তাড়াতাড়ি মেয়েটির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সামনের ঘরে এসে দাড়ালো মুনিয়া । ( এক জন সুস্থ মানুষ যেখানে দু মিনিট থাকতে পারেনা সেখানে অকর্মন্য স্বামীটা কি করে পোয়াতী বালিকা বধুকে এমন ঘুমোট বদ্ধ ঘরে দিনের পর দিন ঘন্টার পর ঘন্টা আবদ্ধ করে রেখেছে , যদি ব্যাসায়িক ব্যস্ততার কারণে স্বামী দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বোধ করেই থাকে তাহলে তার ছোট বোনের সাথে কেন দেশে পাঠিয়ে দিলনা, বিদেশের মাটিতে অবস্থান গেড়ে যে ব্যবসা করতে পারে যে সমাজের উচ্চ বিত্তেরই একটি জাতক তাতে সন্দেহের কারণ থাকতে পারেনা )
‘কেমন দেখলেন’ ? সুমন এর উদবিগ্ন প্রশ্নের উত্তরে মুনিয়া জানালো সে যেন কিছুদিনের জন্য হলেও অন্ততঃ তার স্ত্রীকে দেশে তার আপনজনের মাঝে পাঠিয়ে দেয়, না হলে কোন রকম মানসিক রোগে সে আক্রান্ত হতে পারে । (‘কেমন দেখলেন’ ? এ প্রশ্নের প্রথম উত্তর টি তে যদি বলা হত “দেখলাম পোয়াতি বউটাকে কেমন করে রেখেছেন” তাহলে বেশী খুশী হতাম তবে এর পরের উত্তরগুলি যতার্থ হয়েছে )
‘দেখি কি করা যায়, এই মন্দার বাজারে ব্যবসা রেখে কিছুদিনের জন্য যাওয়া মুশকিল, দেশ থেকে কাউকে এনে পাঠিয়ে দেবো কি না বুঝতে পারছি না, টাকা পয়সার তো একটা ব্যাপার আছে,’, বলে চুপ হয়ে গেল সুমন। ( অকর্মন্য স্বামী সুমন আবার মিথ্যা ছলনার আশ্রয় নিয়েছে, বিদেশের বাজারে বসে ব্যাবসা করার ক্ষমতা সম্পন্ন কোন মানুষের স্ত্রীকে দেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানের জন্য বিশেষ কোন চিন্তার প্রয়োজন পড়েনা , তবে সে যদি ছোটখাট কোন চাকুরীজীবি হতো তাহলে এমন একটি জবাব তার মুখে মানাত ভাল )
শেষ খবর ( শেষ খবরটা কতদিন পরের তা উল্লেখ থাকলে বুঝা যেত অকর্মন্য স্বামীটা তার জন্য আর কি কি নির্যাতনমুলক ব্যবস্থা বজায় রেখেছে ) পাওয়া পর্যন্ত আকাশ দীপিকা সুউচ্চ ভবনের অনেক উপরের সেই খাচায় বন্দী হয়েই আছে। চারিদিক আবদ্ধ সেই বাসায় রাপুনজেলের মত ( রাজপুনজেলের মত শব্দ দিয়ে লেখিকা সম্ভবত বুঝাতে চেয়েছেন মুনিয়ার শারিরিক অসুস্থতা কোন পর্যন্ত গড়িয়েছে , বিষয়টি পরিস্কার হবে রাজপুনজেলের সিনড্রম গুলি যদি আমরা একটু অবলোকন করি
Extension of hairs beyond the stomach into the small bowel in the form of a tail has been termed Rapunzel syndrome, after Rapunzel, the heroine of a German fairy tale.
A hair ball occupying the whole stomach (A) and extending down into the jejunum (B).
Jejunum( middle part of the small intestine) এখন সহজেই বুঝা যায় লেখিকার বিবরণ অনুযায়ী অকর্মন্য স্বামীটা তার স্ত্রী মুনিয়াকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে )
জানালা দিয়ে তার দীর্ঘ কেশ ঝুলিয়ে দেবার কোন উপায় নেই যা বেয়ে কেউ এসে তাকে উদ্ধার করে দেশে নিয়ে যাবে । কি অসহায় ..।।
গল্পের এখানে এসে গলপ লেখিকার সাথে একমত, আকাশ দীপিকা আজ সত্যিই বড় অসহায়
পরের গল্পটিও এক করুন অব্যক্ত গাথায় সিক্ত, সেটা আজ এ পর্যায়ে না হয় অব্যক্তই থাক ।
প্রাণবন্ত এ গল্প দুটুর জন্য রইল লেখিকার
প্রতি উঞ্চ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা
১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯
জুন বলেছেন: মনযোগী পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
৩২| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
আমি ইহতিব বলেছেন: কি অসাধারণ সুন্দর গল্প দুটো। আমার কাছে ২য় টি বেশী ভালো লেগেছে, কি দারুণ বর্ণনা। মুগ্ধপাঠ অনেকদিন পর।
ভালো আছেন আপু?
১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬
জুন বলেছেন: ইহতিব অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগ বাড়িতে দেখে খুব ভালোলাগলো। গল্পটি আমারই লেখা তারপর ও দ্বিতীয়ার কষ্টটি আমাকে বেশি কষ্ট দেয়। আকাশ দীপিকার তো ভালোবাসার মানুষের অভাব নেই, এমনকি সুমন ও তাকে অনেক ভালোবাসে কিন্ত সে পরিস্থিতির শিকার। আর উর্বশী তো তার বহুদিনের এবং একমাত্র ভালোবাসার জনাকে চিরতরে হারিয়ে ফেল্লো মনে হয়।
আমি ভালো আছি আপু। আপনি ভালোতো?? সন্ধ্যার একরাশ শুভেচ্ছা রইলো।
৩৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আকাশ দীপিকা সুউচ্চ ভবনের অনেক উপরের সেই খাচায় বন্দী হয়েই আছে। চারিদিক আবদ্ধ সেই বাসায় রাপুনজেলের মত জানালা দিয়ে তার দীর্ঘ কেশ ঝুলিয়ে দেবার কোন উপায় নেই যা বেয়ে কেউ এসে তাকে উদ্ধার করে দেশে নিয়ে যাবে । কি অসহায় ..।।
হায়রে!! আমার জানা বাস্তবের এক রাপুনজেলও এখন এই অবস্থায় আছে!!!!!!!!!
১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
জুন বলেছেন: তাই নাকি গেম চেঞ্জার ! আপনার জানা রাপুনজেল। তাড়াতাড়ি জানান দেখি কে সে জনা?
ভালো আছেন আশা করি? ব্লক বাস্টার জুলাইতে শেষের দিকে একটু বসার জায়গা দিয়েন কিন্ত ঠাট্টা করলাম, আশাকরি মনে কিছু করবেন না
মন্তব্যের জন্য রইলো আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
৩৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ১ম গল্পটাই আমাকে টাচ করেছে বেশি!!
১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫
জুন বলেছেন: ওম-মা বলেন কি গেম চেঞ্জার আপনারও প্রথম গল্পটি ভালোলেগেছে! যাই হোক দুটো চরিত্রই আমার সৃষ্টি ভালোলাগলেই খুশী
অনেক অনেক ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা সন্ধ্যার।
৩৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতিউত্তরের জন্য ।
কারো লিখায় রেশী মনযোগী হওয়া সবসময় তেমন সুখকর হয়না । গতানুগতিক ভাল লেগেছে সুন্দর হয়েছে জাতীয় কথা গুলিই মুল লেখককে অনেক সময় প্রিত করে বেশী । আশংকায় ছিলাম ভুলবালভাবে লিখাটি পাঠে যে রকম মনযোগী হয়েছি তাতে জানি লিখকের কি ধরনের প্রাতিক্রিয়া অাসে ।
ভাগ্য মানি সুমনের মত আমার ভুলগুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং ধন্যবাদের মধ্যেই সীমিত আছে দেখে । লিখাটি পাঠে একটু বেশী আবেগতারিত হয়েছিলাম , সুমনের আচরণকে মেনে নিতে পারছিলাম না , তাই গল্পের মত করেই তার চরিত্রটিকে মুল্যায়নে মনযোগী হয়েছিলাম ।
প্রতিতি হচ্ছে মন্তব্যটি ভাল লাগেনি , মন্তব্য লিখার পরে সাবমিট বাটনে চাপ দেয়ার পরে মনে হল এর অনেক জায়গায় এডিট করা প্রয়োজন , অন্যথায় লিখক ভুল বুঝতে পারেন । কিন্তু আমার নিয়ন্ত্রনের মধ্যে এডিট বা মুছে দেয়ার ক্ষমতা না থাকায় তা করার আর কোন সুযোগ ছিলনা । তবে মনে ধারণা করে রেখেছিলাম লিখকের কাছে ভাল না লাগলে নীজের বে আক্কেলের জন্য মাফ চেয়ে নিব না হয় মুছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করব। ধরেই নিব সময়টা আমার কিছুটা ভুল কাজে ব্যয় হয়েছে।
যাহোক এ যাত্রায় এমন কিছু হলনা বলে আবারো ধন্যবাদান্তে
ভাল থাকার জন্য শুভ কামনা রইল ।
১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭
জুন বলেছেন: আবার আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ডা: এম এ আলী
৩৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭
স্টাইলিশ বয় বলেছেন: গল্পটা অফলাইনে পড়ে ভাবছিলাম সময় সুযোগ মত জুনাপুর পোস্টে একটা বৃহৎ মন্তব্য ঝাড়বো। কিন্তু ডঃ এম এ আলীর মন্তব্য পড়ে তো আমি স্তব্ধ বাকরুদ্ধ! ইদানিং এই ধরনের বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্যতো ব্লগ থেকে উঠে যাইতেছে। সব থেকে ভাল্লাগছে মন্তব্যের মাঝে উনার দেওয়া ছবি দুইটা! যেন একদম হাতে কলমে সব কিছু তিনি বুঝিয়ে দিলেন!
একজন ব্লগার কোন লেখা পোস্ট করার পরেই তো ঠিক এমনই মন্তব্য চায়, যে তার পোস্টটা নিয়ে যেন সবাই বিশ্লেষণ করে। তাই হোক না সেটা গল্প! আমিও ডঃ এম এ আলীর মন্তব্যের সাথে পূর্ণ সহমত জানাই গেলাম!
তবে সর্বপরি গল্পটা খুব ভাল্লাগছে! শুভ কামনা রইলো!
১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
জুন বলেছেন: ওম-মা স্টাইলিশ বয় আপনি! আসুন আসুন।
জী আমার লেখা নিয়ে উনার মত কাটাচেড়া আর কেউ করে নি স্টাইলিশ বয়
ছবিদুটো ইদানীং সবাই ব্যস্ত। সময় কই এত বিশ্লেষন করার। তারপরো দু একজন ব্যতিক্রম
যাক আপনি যে অফলাইনে পড়ে সময় সুযোগ মত মন্তব্য করতে এসেছেন তার জন্য আমি খুশী।
ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন। শুভেচ্ছা রইলো
৩৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শেয়াল বলেছেন: (৩১) বাজে কাটাছেড়া ছবি দিসে । এই যে একটা বলদা আপনার পোস্টে বাম হাত ঢুকাইসে হের মাথায় কি ইস্ক্রু কয়েকটা ঢিলা ?? ডক্টরেট নেওয়া মাইনশের কমন নলেজ এতু কম হওয়ার তো কত্থানা
স্যরি আফা , এইটারে উস্টা না দিলে উপায় নাই । আপনার ২টাই গলফো ভালা হইছে ।
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৪
জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শেয়াল আমার লেখায় মন্তব্যের জন্য
৩৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রতোত্তরের জন্য ধন্যবাদ জনাতে অাসলাম । আগেও বলেছি পোষ্ট করার পরে বুঝতে পেরেছিলাম কিছু বিষয়ে ভুল বুঝার অবকাশ থাকবে অনেকের । এ গল্পে রাজপুনজেলের মত একটি শব্দের প্রয়োগ ক্ষেত্র বুঝতে আমাকে যথেস্ট পড়াশুনা করতে হয়েছে । পড়্শুনায় দেখতে পাই বিষয়টির সাথে কেশের সংণ্লিষ্টা আছে, এটা সত্যিই ভয়ানক শারিরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে । আপনার লিখাটি যে গভীর অন্তরদৃষ্টি ও অনেক জানাশুনা থেকেই লিখা হয়েছে এবং এ গল্পে একটি বদ্দ গোমুট ঘরে বন্ধী মুনিয়ার শারিরিক অসহায় অবস্থা বুঝানোর জন্য প্রয়োগ করা হয়েছে তা বুঝানোর জন্য দিয়েছিলাম। তবে এটাও বলেছি সম্ভবত । গল্প যেমন কাল্পনিক গল্পের চরিত্র বিশ্লেষনও তেমনি কাল্পনিক । দীর্ঘ দুটি গল্প পাঠে লম্বা সময় দিতে পারব আর তা ভাল লাগা না লাগার বিষয়টি এক কথায় প্রকাশ করার মানসিকতা নিয়ে সাধারনত কোন লিখা পাঠ করিনা , কোন লিখা ভাল লাগলেই কেবল তাতে সময় দেই । কোন কোন লিখায় একটি শব্দের অর্থ বুঝার জন্য আমার মত বোধাইকে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয় । এই এখানেও যেমন রাজপুনজেল বিষয়ক বষয়াদি বুঝার জন্য আমাকে বেশ সময় দিতে হয়েছে । তবে রাজপুনজেলের করুন পরিনতির ছবি দেয়ায় যে এমন শ্রবন নন্দন বচন শুনতে হবে তা সত্যিই কমনসেনসে আসে নাই । শিক্ষার কোন শেষ নেই । শেয়াল মশায় তার পান্ডি্ত্য নিয়ে মধুর সুবচনে যে শিক্ষা দিয়েছেন তা শীরোধার্য করে নেয়া হলো । কথায় আছে ব্যার্থ কাজে মত্ত হলে কে না হয় লাঞ্ছিত। ধরে নিলাম তাই হলো ।
যাহোক কষ্ট করে এই অতি ব্যস্ততার মাঝেও শেয়াল মহাশয় যে যে দুলাইন লিখে মধুর বচন ঝড়িয়েছেন যে জন্য আপনার মাধ্যমে উনাকে উঞ্চ অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানালাম , কামনা করছি উনার এধরনের মুল্যবান মন্তব্য উনাকে নিয়ে যাক আরো অনেক উচ্চতায় । আর দু চারটে ডিলা স্ত্রু নিয়েও অামি যেন শালীনতা ও বিনয়ের নিম্মতায় অবস্থানটিকে ধরে রাখতে পারি ।
শুভ কামনা থাকল
নিরন্তন ভাল থ্কুন ।
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯
জুন বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন ড: এম এ আলী
৩৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫
সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটা একদিক থেকে সাধারনই বলা যায়। তবে আপনার বর্ননার গুণে সেটা অসাধারন হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রথমাংশের কিছু ডায়ালোগ খুব টাচি! এযাবত কাল আপনার যে কয়েকটি গল্প পড়েছি নিঃসন্দেহে এটি তার অন্যতম!
দ্বিতীয়টিও ভাল! তবে চেহারার বর্ননাটা একটু বেশি হওয়ায় গল্পের মূল আকর্ষণ কিছুটা লোপ পেয়েছে বলা যায়! গল্পের কেন্দ্রিয় চরিত্র ছাড়া পার্শ চরিত্রকে এতটা নিখুত ভাবে উপস্থাপন করতে গেলে মূল চরিত্র গুলো মাঝে-মাঝে ম্লান হয়ে যায়! সুতরাং অবশ্যই লেখক/লেখিকাকে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া খুব জরুরি!
সর্বপরি গল্পটা খুবই সুখ পাঠ্য হয়েছে! শুভ কামনা জুনাপু!
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭
জুন বলেছেন: প্রথমেই অভিনন্দন জানাই সাহসী নিক ফিরে পেয়েছো তার জন্য। আগামীতে আর কখনো দুষ্টামী করবে না আশা করি
এটা গল্প নয়, বলতে পারো জীবনের চালচিত্র বা পথে যেতে যেতে ক্ষনিক দেখা কিছু ঘটনা।
আমারতো দ্বিতীয়টাই ভালোলেগেছে। জানো তো সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র সে মুখে যেই যা বলুক। তার উপর যদি হয় প্রতিভাময়ী তবেতো একেবারেই সোনায় সোহাগা। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তো দুজন। এখানে পার্শ চরিত্র বলেতো কিছু নেই
যাই হোক অবশেষে সুখপাঠ্য যে হয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকলাম
৪০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬
ভাবনা ২ বলেছেন: পোস্টের গল্প দুটি পাঠ করলাম , ভাল লেগেছে , এ সাথে পাঠকের মন্তব্যগুলিও একটু দেখা হল । একটি বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্যে ড: এম এ আলী গল্পভুক্ত চরিত্রগুলির চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন । শুধু তাই নয় প্রথম গল্পের উপসংহারে প্রায় অচেনা রুপানজেল জাতীয় একটি বিদেশী শব্দের উৎসমুল বিবরণ দেয়া সহ এর সচিত্র একটি চমৎকার বিবরণ দিয়েছেন। ভাল হত লিখকই যদি বিষয়টি একটু খোলাশা করে দিতেন । জার্মান রূপ কথার ফেইরী টেল হতে উদ্ভুত রুপানজেল শব্দটি ড: এম এ আলীর মন্তব্যের ইংরেজী অংশ হতে জানতে ও বুজতে পারলাম । যাহোক, এ অপুর্ণতাটুকু জনাব আলী পুর্ণ করে দিয়েছেন । সামুর পাতায় কোন লিখার উপর বিশ্লষণধর্মী মন্তব্যদানের এ খড়ার যুগে ব্যতিক্রমী দু একজন কলম ধরেছেন দেখে ভাল লাগল ।
ধন্যবাদ
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮
জুন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ভাবনা ২
৪১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫
কল্লোল পথিক বলেছেন:
বিলম্বিত ঈদ মোবারক জুন আপু।
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
জুন বলেছেন: আপনাকেও জানাই ঈদের শুভেচ্ছা কল্লোল পথিক। আমার আশা ছিল আপনি আমার লেখা নিয়ে দু চার লাইন বলবেন
শুভেচ্ছান্তে
৪২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
কল্লোল পথিক বলেছেন:
আপনার গল্পের বুননওউপস্থাপন বরাবরের মতই চমৎকার হয়েছে,
তবে আমার কাছে গল্পের প্রথম অংশটা বেশী ভাল লেগেছে।
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১
জুন বলেছেন: জোর করে জানতে চাওয়ায় আশা করি মনে কিছু করেন নি পথিক। আসলে তেমন উচুদরের লিখিয়ে নইতো তাই মনের মাঝে খুতখুতোনি কি লিখলাম কেমন হলো কেমন হলো টাইপ
যেই অনশই হোক আমারই তো লেখা, ভালোলাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: দুটি গল্পই একি বৃন্তে ফোটা দুটি ফুল। গল্পের বর্ননা। ভাষাশৈলী, অসাধারণ। মন ছুঁয়ে গেছে!
১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:২৮
জুন বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ভ্রমরের ডানা। দুটি মেয়ের জন্যই আমার পরম মমতা। বিদেশিনী হলেও সেতো মেয়েই তাই নয় কি?
ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন
৪৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৭
অদৃশ্য বলেছেন:
দুইটাই একরকম ভাবে শেষ হলো... আশাহত হলাম ওদের সাথে আমিও... লিখা দুটি চমৎকার...
জুনাপুর জন্য
শুভকামনা...
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪১
জুন বলেছেন: আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা অদৃশ্য। গল্পটি ভালোলাগার জন্য রইলো আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
কালো আর ধলো বাহিরে কেবল,ভিতরে সবার সমান রাঙা.........সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার এই লাইনটুকু মনে পড়ে গেল।
মানুষ যত সুন্দর বা কুৎসিতই হোক সুখ দুঃখে ভড়া জীবন, তবে প্রথম দৃশ্যের সুমন নামক লিকটার প্রতি আমার ঘৃণা জন্মাইয়া গেছে, এতোটা দায়িত্বহীন হলে স্বামী হওয়া যায় না।
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮
জুন বলেছেন: আপনার উল্লেখিত কবিতাটি অত্যন্ত প্রাসংগিক সাদা মনের মানুষ। না না সুমনকে অত ভয়ংকর ভাবে দেখবেন না। বিদেশে প্রতিযোগিতার বাজারে ছোট খাট কাজ করে প্রানপনে জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এক অল্প বয়সী তরুন যুবকের কতটুকু করার আছে তাও তো দেখতে হবে, তাই না? তাছাড়া সেতো আমার গল্পের নায়ক, তাই তার প্রতি অতটা নিষ্ঠুর আমার হওয়া কি সাজে??
মন্তব্য এ বুঝে নিলাম আপনার মনযোগী পাঠের ব্যপারটি। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন আর সাথে থাকবেন বরাবরের মত সেই প্রত্যাশায়।
৪৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: লিকটার < লোকটার
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪
জুন বলেছেন: বুঝতে পেরেছি টাইপো
৪৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার অলরাউন্ড নৈপুন্যের খবরটা আজই আমি জানতে পারলাম.........আন্তরিক শুভেচ্ছা
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬
জুন বলেছেন: আপনার জন্য ও রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা সাদা মনের মানুষ। কিসের অল রাউন্ডার বুঝতে পারলাম না ভাই!! আবার এসেছেন বলে আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো
৪৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প দুটো লেখার সময় কি আপনার মন খারাপ ছিলো?
আকাশ দীপিকা - নামটা খুব ভালো লেগেছে। ছবিটাও মনে রেখাপাত করে।
সেই মিনতি ভরা ক্লান্ত কন্ঠের ভাষা মুনিয়া না বুঝলেও এটুকু বুঝেছিল যে বহুদিনের একটি গভীর সম্পর্কের আজ ইতি ঘটলো - এমন সুন্দর একটা মেয়ের মনের গভীরে এমন বিষাদময় একটা পরিণতি বাসা বাঁধলো, ব্যথিত হ'লাম।
আপনার গল্প বোধকরি এই প্রথম পড়লাম। সাহিত্যের সব শাখাতেই আপনি স্বচ্ছন্দ, সাবলীল।
আপনার "প্রতীক্ষা আর নয়নসুখ" এ নতুন একটা মন্তব্য রেখে আসলাম। আশাকরি সময় করে একবার দেখে নেবেন।
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০৪
জুন বলেছেন: সত্যি বলতে কি মন খারাপ তো অবশ্যই ছিল খানিকটা। যদিও অধিকাংশ পাঠকের বিরুদ্ধে যাবে হয়তো তারপর ও বলি আমার কিন্ত বেশি মন খারাপ লেগেছে ক্রন্দসী উর্বশীরর জন্য। জানেন তো বিদেশে মানুষ বড্ড একা। কারো কাধে মাথে রেখে বুকের ভাড় জুড়াবে তেমন কেউ নেই।
আমার কিন্ত বেশ অনেকগুলো লেখা গল্প আছে ব্লগে। খুজলেই দেখতে পারবেন। জানিনা অত মান সম্পন্ন কি না। তবে একটি গল্প ব্লগের কোন এক বছরের দশটি সেরা গল্পের একটিতে স্থান পেয়েছিল। পেপারেও আমার গল্প ছাপা হয়েছিল। ভ্রমন ছাড়াও গল্প কবিতা ফিচার অনুবাদ ও ইতিহাস ভিত্তিক লেখা আমার আছে ব্লগে খায়রুল আহসান
মন্তব্যের উত্তর দিয়েছি দেখে নিবেন আশাকরি।
৪৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:২৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তার অনাগত দিনের সমস্ত ভয়-ভাবনা নিয়ে মা এর আঁচলের ছায়ায় আশ্রয় নিতে ব্যাকুল ।[/sb ছোট একটি লাইন অথচ কি গভীরতা আমার কাছে।। প্রবাসীরা হয়তো দেশের চেয়ে অনেক বেশী কামায় কিন্তু বিনিময়ে কত যে হারাতে হয় !!
গল্প দুটিতে আমি আমার দৃষ্টিতে গ্রাম এবং শহরকেই দেখতে পেলাম।।
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৬
জুন বলেছেন: সচেতনহ্যাপী আপনি যে দুটি গল্পকেই সমান্তরাল ভাবে দেখেছেন তার জন্য আপনার তীক্ষ নজরের প্রশংসা করতেই হয়। সুমনকে যে ভিলেন বানিয়ে ফেলেন নি, তার অপারগতাকে যে বুঝতে পেরেছেন সহমর্মিতায় জেনে অনেক ভালোলাগলো। হয়তো আপনার চোখে দেখা কোন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়।
আন্তরিক ধন্যবাদ অনেক দিন ধরে সাথে থেকে উতসাহিত করার জন্য সচেতন হ্যাপী।
অনেক ভালো থাকুন আর সুস্থ থাকুন।
৫০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি শুধু ক্যামেরা নিয়া দেশ বিদেশে ঘুইরা বেড়ান না, ভালো গল্প লেখার মাল মসলাও আপনার ভেতর আছে, এই গুনটার কথাই বলেছিলাম আপু।
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩
জুন বলেছেন: তাই নাকি সাদা মনের মানুষ! আমি মানুষকে কাছে থেকে দেখার চেষ্টা করি একটু আধটু। কতটুকু সফল জানি না তবে তারা আমার মনে দাগ কেটে যায়। আমি কিন্ত বেশ কিছু গল্প লিখেছি ব্লগে, জানিনা কেমন হয়েছে সে সব তবে আমার লেখাতো তাই আমার কাছে ভালোই লাগে
আবার এসেছেন দেখে অনেক খুশী হয়েছি
৫১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
খুব আন্তরিকতার সাথে জবাব দিচ্ছেন সবার মন্তব্যের । এটা ভালো লাগলো । আপনার সব লেখা পড়া হয়নি মনে হয় । তবে আপনার ইতিহাস ভিত্তিক লেখা আমি পড়ি্ । এ গল্পটাতেও সাদামাটা মন্তব্য করেছি যার উত্তর দিয়েছেন অসামান্য ভাবে ।
সেজন্যে ধন্যবাদ । আপনার মঙ্গল হোক ।
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০১
জুন বলেছেন: আপনি আমার মত সামান্য এক ব্লগারের ঘরে দ্বিতীয় বার আসলেন তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
আমি চেষ্টা করি সবার মন্তব্যের জবাবই আন্তরিকতার সাথে দিতে আহমেদ জী এস। এখানে কে নতুন কে পুরানো, কে আপন কে পর বলে কোন কথা নেই। সবাই আমার কাছে সমান
আমার ইতিহাস ভিত্তিক লেখা আপনি পড়েন জেনে অনেক অনেক খুশী হোলাম।
সত্যি বলতে কি ব্লগের সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবে আপনার উচ্চমার্গ এর মন্তব্যের কথা। যার উত্তর দিতে সমকক্ষ হই না, ফলে সেই অসামান্য মন্তব্যের উত্তর হয়তো আমার মত সামান্য ব্লগার সাদামাটা ভাবেই দিয়ে ফেলি। আমার এ দীনতার জন্য আশাকরি ক্ষুদ্ধ হবেন না।
বরাবরের মতই সাথে থাকবেন, মন্তব্যে সমালোচনা, প্রশংসা সব কিছুই সাদরে গৃহীত হবে কথা দিচ্ছি। শুভকামনা জানবেন
৫২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০৮
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: উর্বশী কে ভাল্লাগছে ।
বিলম্বিত ঈদ মোবারাক আপু ।
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
জুন বলেছেন: আমার লেখার কোন একজন কে ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো এডওয়ার্ড মায়া।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সাথে আগামী ঈদের শুভেচ্ছা
৫৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
অশ্রুত প্রহর বলেছেন: চোখের কোনে জমে থাকা হীরে কুচির মত জ্বল জ্বলে অশ্রু কনার সাথে খানিক আগে ফোনের সেই মিনতি ভরা ক্লান্ত কন্ঠের ভাষা মুনিয়া না বুঝলেও এটুকু বুঝেছিল যে বহুদিনের একটি গভীর সম্পর্কের আজ ইতি ঘটলো । .. ইতি কেন ঘটে ?
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
জুন বলেছেন: অশ্রুত প্রহর এটা আমারও প্রশ্ন "কেন ইতি ঘটে "!!
পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য রইলো অসংখ্য ধন্যবাদ
৫৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২২
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: পড়লাম । তবে বেশ লেগেছে ।
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২০
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দেবজ্যোতিকাজল। আপনার লেখারও আমি নিয়মিত পাঠক।
৫৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০১
আমিই মিসির আলী বলেছেন: বরাবরই অসাধারন হইছে।
মুগ্ধ হইছি।
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৬
জুন বলেছেন: অনেক ভালোলাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি মিসির আলী। মুগ্ধ হয়েছেন অনেক ধন্যবাদ
৫৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +
১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০৭
জুন বলেছেন:
বহুদিন হেটে, বহু দেশ ঘুরে,
বহু পথ ধরে, বহু ক্রোশ দূরে সেলিম আনোয়ার আপনার পদার্পন ঘটলো আমার ।
কোথায় ছিলেন কেমন আছেন ? ভালো আছেন তো ?
ও হ্যা আমার লেখাটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে ।
৫৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষের জীবনে কস্ট জমে জমে কস্টটাই জীবনের রূপ নিচ্ছে; সুক্ষ্ম অনুধাবন
২২ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৩
জুন বলেছেন: চমৎকার অনুধাবন আপনার চাদগাজী। অসংখ্য ধন্যবাদ আমার মামুলী লেখাটি পড়ার জন্য।
৫৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন:
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫
জুন বলেছেন: কি ব্যাপার মনিরা এমন একটি মিষ্টি হাসি!! কিছু কি লুকিয়ে আছে এ হাসির আড়ালে??
৫৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই তো বুঝতে পেরেছ আপু
এত মমতা নিয়ে যে নিজের গল্পের চরিত্র সাজায় তাকে কি ভাষায় প্রশংসা করি বল।
২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:১৮
জুন বলেছেন: তোমার ভাষার অভাব এটাও বিশ্বাস করতে বলছো আমাকে মনিরা!! তোমার কবিতাগুলো পড়ে আমি সব সময় ভাবি মনিরা কেমন করে এত সুন্দর সুন্দর শব্দ চয়ন করে!
তোমার মত একজনের ভালোলাগার কথা জেনে অনেক ভালোলাগলো
শুভকামনা রইলো
৬০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯
অপরিচিত সেই আমি বলেছেন: পাঠক কি নতুন আর কোন পোস্ট পাবে না আপু? বহুদিন তো হয়ে গেল, এবার একটা নতুন পোস্ট দিন!
২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪২
জুন বলেছেন: স্বাগত আমার ব্লগে অপরিচিত সেই আমি। আপনি আমার এই পোস্ট পড়েছেন কি না আপনার মন্তব্যে বুঝতে পারি নি বলে দূ:খিত।
নতুন পোষ্ট লেখার কথা ভাবছি কিন্ত ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় ভীষণ ব্যাস্ত থাকায় সম্ভব হয়ে উঠছে না।
দেখি সময় পেলেই দেবো। সাথে থাকুন। শুভেচ্ছা দুপুরের
৬১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩৬
পুলক ঢালী বলেছেন: গল্প দুটো বিষয় একই মানবিকতার পদদলন ভিন্ন ভিন্ন রূপে আর ভিক্টিম যথারিতি নারী। সুন্দর উপস্থাপনা রচনাশৈলীও দারুন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৭
জুন বলেছেন: ভিক্টিম যথারিতি নারী।
আপনি একেবারে গল্পের মুল বক্তব্যটি সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন । এমন মনযোগী পাঠের জন্য অভিনন্দন রইলো পুলক ঢালী ।
সাথে থাকবেন আগামীতেও সেই প্রত্যাশায় । শুভেচ্ছান্তে ।
৬২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৩
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সামনে এসে দাড়াতেই মুনিয়া দেখতে পেলো শ্যামল পলি মাটিতে তৈরী সদ্য কৈশোর পেরুনো একটি মেয়ে প্রতিমার মত মুখ নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। কালো ধনুকের মত বাঁকা ভুরুর নীচ থেকে এক জোড়া পটল চেরা চোখ তুলে মৃদু ম্লান গলায় সে মুনিয়াকে বসতে অনুরোধ করে।তার কাজল কালো চোখের অতল দিঘীতে কি এক অজানা আশংকার ছায়া।
অতুলনীয় উপমা! খুব ভাল লেগেছে! বব মার্লে আমারো অনেক প্রিয়! বাফালো সোলজার গানটা প্রায় শুনি! আর এই কোটেশনটা মনে রাখতে চেষ্টা করি!
সামনে এসে দাড়াতেই মুনিয়া দেখতে পেলো শ্যামল পলি মাটিতে তৈরী সদ্য কৈশোর পেরুনো একটি মেয়ে প্রতিমার মত মুখ নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। কালো ধনুকের মত বাঁকা ভুরুর নীচ থেকে এক জোড়া পটল চেরা চোখ তুলে মৃদু ম্লান গলায় সে মুনিয়াকে বসতে অনুরোধ করে।তার কাজল কালো চোখের অতল দিঘীতে কি এক অজানা আশংকার ছায়া।
অতুলনীয় উপমা! খুব ভাল লেগেছে! বব মার্লে আমারো অনেক প্রিয়! বাফালো সোলজার গানটা প্রায় শুনি! আর এই কোটেশনটা মনে রাখতে চেষ্টা করি!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯
জুন বলেছেন: প্রিয় ভ্রমরের ডানা, প্রথমেই জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো অনেক মনযোগ দিয়ে পড়েছেন আমার গল্পটি। আর প্রশংসা কার না ভালো লাগে বলুন? আমি তো কোন ছাড়। তাই খুব খুশী হোলুম সেটা পেয়ে।
বব মার্লে আমারো পছন্দের একজন গায়ক তবে মাইকেল জ্যাকসনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে নি ভালোলাগায়।
আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।
৬৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৩
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আচ্ছা No women No cry এর অর্থ আসলে কোনটা? "না মেয়ে কেঁদো না" নাকি "এখানে কোন মেয়ে নেই তাই কান্নাও নেই বা সুখে আছি টাইপ কিছু "
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৬
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে, নতুনত্ব রয়েছে আপনার নিক নেইমে। শেষ অংশটুকুই হবে অঞ্জন ঝন ঝন। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৬৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২১
সামিয়া বলেছেন: এত অসাধারণ এবং অতিরিক্ত ভালো লেখা অনেকদিন পর পড়লাম।
পৃথিবীর প্রায় সব আকাশ দিপীকাদের অবস্থা একই রকম।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩
জুন বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যে অত্যন্ত খুশী হোলাম ইতি সামিয়া। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য আর প্রত্যাশা রইলো আগামীতেও সাথে থাকার।
৬৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আবারো এলাম, আবারো পড়লাম, আবারো ভাল লাগলো।
বাড়তি পাওয়া হিসেবে পেলাম চাঁদগাজীর একটা চমৎকার মন্তব্য (৫৭ নং)!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
জুন বলেছেন: আবারো আসা পড়া আর সুন্দর একটি মন্তব্য রেখে যাবার জন্য খুবই খুশী হোলাম খায়রুল আহসান ।
আপনি ঠিকই বলেছেন, বিভিন্ন পোষ্টে চাঁদগাজীর অনেক মন্তব্যগুলো সত্যি চমৎকার ।
শুভেচ্ছান্তে
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: জুন আপা কেমন আছেন?