নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৪ই অক্টোবর ১৯৭৩ যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা একটি রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রান দিয়েছিল তাদের স্মরনে এই স্মৃতিস্তম্ভ
রাজপ্রাসাদের রাজ মন্দির ওয়াট আরুনে চন্দন কাঠের উপর সোনায় মোড়ানো কফিনে শায়িত প্রয়াত রাজার দেহ। তাঁর মৃত আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোর সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখনও দুরদুরান্ত থেকে কালো পোশাকের হাজারো শোকার্ত লোকের আসা যাওয়া। ভাবলাম টিভিতে তো প্রতিদিনই দেখছি , এবার স্বচক্ষে দেখে আসি আর শ্রদ্ধা জানিয়ে আসি শ্রদ্ধা জানাতে আসা শোকার্ত জনতার ঢলকে সঙ্গী করে।
রাজার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকাল থেকে রাত এমনি করে দিনের পর দিন মানুষের স্রোত
স্বর্নালী রঙ্গে মোড়ানো অপরূপ কারুকাজে শোভিত রাজপ্রাসাদের বাইরে চাও ফ্রায়া নদীর তীর ঘেষা চত্বর যা সানাম লুয়াং নামে পরিচিত। এখানেই রাজ রাজরাদের শেষ কৃত্য অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। রাজার মৃত্যুর পর তাঁর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেই সানাম লুয়াং চত্বরে দুপুর আর রাত দুবার এক সংগীতে অংশগ্রহন করেছিল প্রায় তিন লক্ষ থাই জনতা।
অশ্রুসজল চোখে রাজকীয় সংগীত গেয়েছিল লাখো জনতা
রাতের সেই সঙ্গীতে সবার হাতে ছিল একটি করে মোমবাতি যা অপার্থিব এক দৃশ্যের অবতারনা করেছিল। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা ও সেলুলয়েডের ফিতায় ধারন করেছেন প্রখ্যাত থাই জাতীয় শিল্পী ও চলচিত্র নির্মাতা MC Chatrichalerm yukol ।
সেদিন অন্ধকার রাতের আকাশ শুধু লাখো জনতার গানেই নয়, মোমবাতির আলোতেও উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল
শোকের কালো পোশাক আর অশ্রু সজল চোখে থাইবাসীরা রাজার প্রতি অসীম দরদ নিয়ে অন্তর দিয়ে গেয়েছিল সেই গান যা রাজকীয় সঙ্গীত নামে পরিচিত। কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সার্টিফিকেট দিচ্ছিলেন রাজা ভুমিবলের সব কাজের সংগী তার দ্বীতিয় কন্যা রাজকুমারী শ্রীনিধন মহাচক্রী। স্টেজে দাঁড়ানো অবস্থায় সে গান শুনে পিতার জন্য তাঁর দুচোখ বেয়ে নেমে এসেছিল অশ্রুধারা যা ছিল সকল প্রটোকলের পরিপন্থি। কিন্ত আবেগ বাঁধ মানেনি।
প্রজ্জলিত মোমবাতি তুলে ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র
আমাদের সাময়িক নিবাসের পেছন দিয়ে যে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করে তা আগেই এক পোষ্টে উল্লেখ করেছি। শুনেছি তার একটি পথ শেষ হয়েছে রাজবাড়ীর কাছে গিয়ে। সকাল আটটায় আমি আর সহ-পর্যটক রওনা হোলাম বেশ কয়েক বছর আগের দেখা সেই রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে।
থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদের সামনে চৌরাস্তার এক দৃষ্টি নন্দন সড়ক দ্বীপ
ওয়াটার ট্যক্সি থেকে নেমে চওড়া রাস্তা পার হয়ে আসলাম , সেই পথে বেশ কিছু শেতাঙ্গ পর্যটক কালো পোশাক পড়ে আমাদের সংগী হয়েছিল । কিছুদুর এগুতেই দু তিনটা টেবিল পেতে সামনে খাবার দাবার সাজিয়ে কিছু মানুষ বসে আছে। উদ্দেশ্য সেখানে আসা লোকজনের মাঝে বিনে পয়সায় খাবার বিলি করা। আমরা দুটো সেদ্ধ ডিম আর দু গ্লাস পানি নিলাম । জানিনা কত পথ হাটতে হবে ।
শ্বেতশুভ্র অর্কিড বেশ অনেকখানি পথ আমাদের সাথী হয়ে চল্লো
পানি খেয়ে আবার হাটা শুরু করলাম সে পথে যে পথ চলে গেছে রাজবাড়ীর দিকে। পাশে পাশে চলেছে পবিত্রতার প্রতীক সাদা শুভ্র অর্কিডের সারি। যা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। রাস্তার মাঝখানটিতে সড়ক দ্বীপ সাজানো রয়েছে সদ্য প্রয়াত রাজা ভুমিবলের বিভিন্ন ছবি দিয়ে।
দুটি স্বর্নালী ময়ুরের মাঝে ফ্রেমে বাধানো হাস্যোজ্জ্বল প্রিয় মুখ
হঠাৎ পথের পাশে পিলারের গায়ে সবুজ তীর চিনহ দেয়া নাম ফলকে লেখা দেখলাম ১৪ই অক্টোবর ৭৩ মেমোরিয়াল । রাজপ্রাসাদের কাছে ১৪ ই অক্টোবর ৭৩ এ কি এমন ঘটেছিল যার জন্য তৈরি হয়েছে স্মৃতিসৌধ !
১৪ই অক্টোবর ১৯৭৩ সড়ক
ভাবতে ভাবতেই হাতের বাঁদিক ঘেষে গোলাকার এক স্থাপনার সামনে এসে হাজির হোলাম । চারিদিকে হলুদ আর লাল থাই ঐতিহ্যবাহী নকশায় তৈরী ঘরবাড়ীর পাশে সিমেন্ট আর কংক্রীটের অদ্ভুত এই স্থাপনাটি যেন বড্ড বেমানান। তাকিয়ে দেখি প্রাচীরের গায়ে থাই আর ইংরেজী ভাষায় লেখা আছে ১৪ই অক্টোবর ৭৩ মেমোরিয়াল ।
থাই আর ইংরাজীতে লেখা ১৪ই অক্টোবর ৭৩ মেমোরিয়াল ।
কি হয়েছিল সেই ১৯৭৩ এর ১৪ই অক্টোবরে? কি তার ইতিহাস জানার জন্য অনুসন্ধিতস্য মন উসখুস করে উঠলো । প্রবেশ দারে কোন দরজা নেই, সবার জন্য অবারিত, সবাইকে আহবান জানাচ্ছে “আসো দেখো আর শুনে যাও আমাদের ইতিহাসের এক নির্মম করুন কাহিনী”।
১৪ই অক্টোবর মেমোরিয়াল , দোতালার সিড়ি থেকে
সেখান দিয়ে প্রবেশ করতেই সিড়ি যার একটি ধাপ নীচের দিকে অন্যটি উপরের খোলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়েছে।আয়তকার সেই ভবনের দেয়ালে দেয়ালে রয়েছে অজানা এক ইতিহাস আর কাগজের পাতা থেকে কেটে নেয়া বাধানো সব ছবি। খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলাম ছবিগুলো সাথে লেখা ছিল থাই ভাষায় সেই করুন ইতিহাসের বিস্তারিত বর্ননা যা আমাদের বোধগম্য ছিল না । দু এক জায়গায় খুব সামান্য ইংরাজী বর্ননা ও ছিল। সেখানে দেখাশোনা করে এমন উপস্থিত কিছু লোকের কাছ থেকে প্রশ্ন করে জানলাম এর বিস্তারিত ইতিহাস।
সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ছাত্র সমাজ ।
এই ইতিহাস জানার জন্য আমাদের ফিরে যেতে হবে বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনায়। ১৯২৫ সালে সিঙ্গহাসনে বসার পর থেকেই থাইল্যান্ডের বিখ্যাত চক্রী বংশের ষষ্ঠ রামা রাজা প্রজাধীপক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন । তার মাঝে সবচেয়ে বড় ছিল অর্থনৈতিক সমস্যা । ১৯৩২ সনের জুন মাস, কিছু প্রগতিশীল ছাত্র এবং রাজার প্রতি আনুগত্যহীন কিছু সামরিক বাহিনীর সদস্য হাতে হাত মিলিয়ে গনতন্ত্রের দাবীতে সোচ্চার হয়েছিল। রাজা বিনা প্রতিবাদে তাদের দাবী মেনে নিলে থাইল্যান্ডের সাতশ বছরের পুরানো রাজতন্ত্র আর দেড়শ বছরের প্রাচীন চক্রী রাজবংশের নিরংকুশ ক্ষমতার পতন ঘটলো। সেই রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের ফলে প্রতিষ্ঠিত হলো গনতন্ত্র, প্রতিষ্ঠিত হলো নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র। এতে রাজার ক্ষমতা কিছু নিদৃষ্ট কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেলো, দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হলো প্রধানমন্ত্রী ও তার অধীনস্থ জাতীয় সংসদ।
সস্ত্রীক শেষ নিরংকুশ ক্ষমতাধর রাজা প্রজাধীপক
এরপর থেকে থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক নেতারা মাঝে মাঝে ক্ষমতায় আসলেও সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বার বার তাদের হটিয়ে দিয়েছে , গনতন্ত্রকে কবর দিয়ে চালু করেছে সামরিক শাসন আর তারাই হয়েছে দেশের হর্তাকর্তা।
১৯৭৩ সালের ১৪ই অক্টোবর থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক ইতিহাসে রচিত হলো এক নতুন ইতিহাস, লিপিবদ্ধ হলো এক কালো অধ্যায়। সেদিনের সেই ভয়ংকর ঘটনার সাথে মিল রয়েছে আমাদের দেশের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ের ছাত্র আন্দোলনের ঘটনাবলীর। মিল আছে সেসব শহীদের রক্ত আর আত্মদানের করুন কাহিনীর।
আমাদের শহীদ মিনার, আমাদের গর্ব
১৯৬৩ সনে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল থানোম তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও সামরিক বাহিনী প্রধান সারিতকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজে প্রধানমন্ত্রী পদ গ্রহন করেন । দশ বছর পর ১৯৭৩ সালে থানোম জাতীয় সংসদকে বিলুপ্ত করে নিজেকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে ঘোষনা করেন। সে সময় আমেরিকার সাথে ভিয়েতনামের যুদ্ধ চলছিল । থানোম আমেরিকাকে সব রকম সাহায্য সহযোগিতা করেন, তাদের থাইল্যন্ডের মাটিতে ঘাটি গাড়ার সুবিধা দেন। এমনকি থাই সৈন্যবাহিনীকে সেই যুদ্ধে আমেরিকার পক্ষ হয়ে অংশ গ্রহন করতে বাধ্য করেন। থানোমের এই অনৈতিক কার্যকলাপ থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এমনকি সামাজিক অবস্থাকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলছিল।
থামাসাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের ছবি আর বিবরণ।
৭০ এর প্রথম দিক থেকেই উন্নত বিশ্বে পড়াশোনা শেষে ফিরে আসা ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও থাইল্যান্ডের মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সমাজ রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে উঠতে থাকে। আকন্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত সামরিক শাসনের অধীনে থাকা জনগন অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ছিল ব্যাগ্র। এরই ফলে বিভিন্ন কোন্দলে বিভক্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যবৃন্দ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ ও বিদ্বেষ ঘনীভুত হতে শুরু করে । যা পরিনতি লাভ করে ১৯৭৩ এর ১৪ই অক্টোবর ছাত্র- জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে।
ইংরাজীতে লেখা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের ঘটনাবলী
থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদ আর তার খুব কাছেই সেখানকার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থামাসাট। ১৯৭৩ এর জুন মাসে থামাসাট বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রকে সরকার বিরোধী কার্যকলাপের জন্য বহিস্কার করা হলে এলাকা জুড়ে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠে । এই বিক্ষোভ আরো উসকে উঠে যখন সে বছরের ৫ই অক্টোবর কয়েকজন ছাত্র নেতাকে গ্রেফতার করা হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল থিরায়ুথ বুনমি। ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে সামরিক সরকার তাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় । কিন্ত ১৩ই অক্টোবর তাদের পুনরায় গ্রেফতার করা হলে পরিস্থিতি দাঁড়ায় আগুনে ঘৃতাহুতির মত।
থাই ভাষায় লেখা ১২ ই অক্টোবরের বিবরন যা আমরা বুঝতে পারি নি
আর এরই ফলে ১৪ ই অক্টোবর এক রক্তাক্ত বিপ্লবের সুচনা ঘটে। ছাত্রনেতা সহ তাদের তেরজন সহপাঠীদের মুক্তির দাবীতে সেদিন থামাসাট ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, বেড়িয়ে আসে রাস্তায়।অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও এই আন্দোলনে অংশ নেয় সামরিক শাসকদের দুঃশাসনে নিস্পেষিত সাধারন জনগন।
এই সেই বিখ্যাত ডেমোক্রেসী মনুমেন্ট যা নির্মিত হয়েছিল নিরংকুশ রাজতন্ত্র পতনকে স্মরন করে ।
রাজপ্রাসাদের কাছেই বিখ্যাত ডেমোক্রেসি মনুমেন্টকে ঘিরে প্রায় তিন লাখের উপর মানুষ সেদিন সমবেত হয়েছিল, যা সেদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের গন জমায়েত । এটা হলো সেই মনুমেন্ট যা নির্মিত হয়েছিল ১৯৩২ সনে থাইল্যান্ডের নিরংকুশ রাজতন্ত্রের পতন আর গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্মরনে।
জনতার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড ছুড়ে মারছে এক সামরিক বাহিনীর সদস্য
সেই বিশাল জনতার বিক্ষোভ দমন আর ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বাহিনী ব্যার্থ হলে তলব করা হলো সৈন্যবাহিনীকে।তারা আধুনিক সমরাস্ত্র ট্যাংক, হেলিকপ্টার আর সশস্ত্র সৈন্যবাহিনীর বিশাল বহর নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র ছাত্র ও জনগনের উপর। উপরের নির্দেশে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে ছাত্র-জনতার উপর।
১৩ই অক্টোবর ১৯৭৩ এর বিবরন লেখা
তাদের একতরফা আক্রমনে বিক্ষোভরত ছাত্র জনতার অনেকেই লুটিয়ে পড়ে রক্তস্নাত রাস্তায়। কেউবা আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে পালাতে থাকে, রাজপ্রাসাদ ঘিরে থাকা লেকের পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে অনেকে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা না করে ছাত্র জনতাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য রাজা ভুমিবলের নির্দেশ খুলে দেয়া হয় তার রাজকীয় প্রাসাদ চিত্রলদার প্রধান ফটক।সেখানেও আশ্রয় নেয় বিক্ষোভকারী অনেকেই।
জনতার উপর নিপীড়নের ছবি
বলা হয়ে থাকে এর মাঝে অনেক সাহসী বীর জীবনের মায়া তুচ্ছ করে পথের উপর গাছে ফেলে তাদের দিকে এগিয়ে আসা ট্যাংকের গতিরোধ করেছিল। সরকারী হিসাব অনুযায়ী সেই কলংকময় দিনে ৭৭ জন নিহত হয়েছিলো আর আহতের সংখ্যা ছিল ৮০০ র ও বেশি ।
নিরস্ত্র ছাত্র আর জনগনের উপর আক্রমন
নিরস্ত্র ছাত্র জনতার উপর সেনাবাহীনির এই এক তরফা আক্রমনের পেছনে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল বলে বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন জনের কাছে এ ঘটনারও বিভিন্ন রকম বর্ননা রয়েছে। তবে যাই থাকুক থাইবাসীরা আজও সামরিক বাহিনীর এই ন্যাক্কারজনক এবং একপেশে আক্রমনকে সম্পুর্নরূপে যুক্তিহীন বলেই মনে করে থাকে।
এ ঘটনার পর পরই রাজা ভুমিবল জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে সামরিক ও পুলিশ বাহিনী প্রধান যারা আবার পরস্পরের আত্মীয় ছিল তাদের পদত্যাগের নির্দেশসহ দেশ ত্যাগে বাধ্য করতে প্রধান ভুমিকা রাখেন।
রাজা ভুমিবল ,দেশের বিপর্যয়ে সবসময় যিনি ছিলেন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক স্বরূপ
১৯৭৫ সালের জানুয়ারী মাসে থামাসাট ইউনিভার্সিটির রেকটরকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হলো। তিরিশ বছর পর একজন বেসামরিক ব্যাক্তি প্রধানমন্ত্রী হলেন। তাঁর হাত ধরে দেশে এক দীর্ঘ এবং স্থিতীশিল গনতন্ত্র আসবে এটাই ছিল থাইবাসীর প্রত্যাশা।
আন্দোলনটি যেমন হঠাৎ করেই শুরু হয়েছিল তেমনি দ্রুতই মিলিয়ে গিয়েছিল থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে । নেতাসহ ছাত্র ছাত্রীরা ফিরে গিয়েছিল তাদের শিক্ষা জীবনে। এটাকে পুজি করে তারা অন্যান্য দেশের মত ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েনি।
আন্দোলনে যারা মৃত্যুবরন করেছিলেন সেইসব হতভাগ্যের ছবি
এই ঘটনার বিশ বছর পর গনতন্ত্রের জন্য প্রান দিয়েছিল যারা তাদের স্মরনে এই মনুমেন্টটি তৈরী হয় । এই স্থাপনাটির মাঝখানে খাড়া উচু হয়ে আছে এক স্মৃতিস্তম্ভ । সেখানে লেখা আছে সেইসব হতভাগ্যের নাম যারা ১৯৭৩ এর ১৪ই অক্টোবর প্রান হারিয়েছিল ।
এর নীচ তালায় রয়েছে ছোট একটি স্থান যাতে প্রদর্শন করা হয়েছে সেদিনের ঘটনার টুকরো টুকরো ছবি ।
গ্যালারীতে সাজিয়ে রাখা সেই আন্দোলনের ছবি
এদেশের ছাত্র আন্দোলনের এক অজানা ইতিহাস জানা হলো আমার । যুগে যুগে দেশে দেশে ছাত্ররাই যে সমস্ত প্রগতিশীল আন্দোলনের সুচনাকারী তা আবার প্রমানিত হলো এই স্মৃতিস্তম্ভ দেখে ।
রাজা ভুমিবলের মৃত্যুর পর তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাইল্যান্ডের অত্যন্ত জনপ্রিয় রক গায়ক সহোদর আসানি ও ওয়াসান ছোটিকুলের গাওয়া একটি গান আপলোড করলাম ।
https://youtu.be/miKh4S0q9Ww
৪টি ছবি ছাড়া বাকি সব আমাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনে তোলা । কিছু আছে টিভি থেকে সরাসরি তুলেছি ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬
জুন বলেছেন: প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন সামিউল ইসলাম বাবু ।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছাত্র আন্দোলনের এমন এক অজানা ইতিহাস আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল অনেক অল্প কথায় এই বিশাল ছাত্র আন্দোলনের উপর লেখা আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য । ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন বরাবরের মতই ।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: নতুন পোস্ট!!!!!!!!
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৫
জুন বলেছেন: হ্যা রাতুল , সেদিন বললে না নতুন পোষ্ট দিতে । অবশ্য আরো কেউ কেউ বলেছিল । তাদের জন্য আমার এই সামান্য ইতিহাস
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১২
সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার ইতিহাস সমৃদ্ধ পোস্ট! আপনার উঠানো ছবি এবং সুন্দর প্রাঞ্জল বর্ননা মিলিয়ে ভীনদেশি ছাত্র আন্দলোনের এক অজানা ইতিহাস জানতে পারলাম জুন আপু! আপনার ছবি ব্লগটা আমার কাছে সব থেকে এত বেশি পরিমাণে ভাল লাগার কারণ হল, কেবল ছবি নয়; আপনার বর্ননার কারণে অনেক অজানা ইতিহাসও জানা যায় সেজন্য!
তবে পোস্টটা পড়ে সর্বসাকল্যে এটাই জানতে পারলাম- 'ছাত্ররাই আসলে একটা দেশের ভবিষ্যৎ, সেদেশের চালিকা শক্তি! এবং বিপুল পরিমাণে অত্যাধুনিক অস্ত্র-সস্ত্র গোলা-বারুদ থাকার সত্তেও ছাত্ররাই যে একটা দেশের অন্যতম সুপার পাওয়ার, ১৯৭৩ সালের ১৪ই অক্টোবর থাই ছাত্ররা সেটা আরো একবার প্রমাণ করে দিয়েছিল!'
সুন্দর তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টে অসংখ্য ভাল লাগা! শুভ কামনা জুন আপু!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৬
জুন বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানিয়ে নেই সাহসী এত নিরস পোষ্টেও তোমার সরস আগমনে । ইতিহাস মনে হয় আমার রক্তেই আছে । তাই যাই লিখতে বসি তাতেই কিছু ইতিহাস এসে যায় । এ ক্ষেত্রে মনে পড়ছে আমার ব্লগের পাতায় আমার প্রথমদিকের পদচারণার কথা । তখন কম্পিউটার চালানো ছিল সম্পুর্নই আমার আয়ত্বের বাইরে । শুধু লেখার প্রতি এক অদম্য আগ্রহ আমাকে টেনে এনেছিল এই জগতে ।তার উপর কিভাবে লিখতে হয় সে সম্পর্কেও কোন ধারনা ছিল না । সেসময় ব্লগে আমার কিছু শুভাকাংখী আমাকে মন্তব্যের ঘরে এসে নিস্বার্থভাবে বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়েছিল, তার একটি ছিল লেখায় সন তারিখ ও কিছু তথ্য সন্নিবেশিত করা । এর ফলে একেইতো ইতিহাসের ছাত্রী তাতে আবার ওনাদের ইন্ধন । শুরু হলো পথ চলা। তাদের এই পরামর্শের জন্য আমার ব্লগিও জীবনে আমি সব সময়ই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ ।
থাই ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কেও আমার এত বিস্তারিত ধারনা ছিল না । যদিনা সেদিন চিত্রলদা প্যালেস দেখতে যাবার সময় সেই নাম ফলকটা চোখে না পড়তো । আর তোমার বক্তব্যের সাথে সম্পুর্ন সহমত পোষন করছি । 'ছাত্ররাই আসলে একটা দেশের ভবিষ্যৎ, সেদেশের চালিকা শক্তি! এবং বিপুল পরিমাণে অত্যাধুনিক অস্ত্র-সস্ত্র গোলা-বারুদ থাকার সত্তেও ছাত্ররাই যে একটা দেশের অন্যতম সুপার পাওয়ার, ১৯৭৩ সালের ১৪ই অক্টোবর থাই ছাত্ররা সেটা আরো একবার প্রমাণ করে দিয়েছিল!' কিন্ত সব দেশের ছাত্ররা নয় এটাও সত্য
আন্তরিক মন্তব্য আর সব সময় সাথে থাকার জন্য সকালের প্রথম ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: দুটা ডিম আর দু গ্লাস পানি খেয়ে ইবনে বতুতা তারা যাত্রা শুরু করলেন।
রাজা ভুমিবল কি চক্রী বংশেরই তো?
একটা ব্যাপার দেখলাম- সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্ররাই আওয়াজ তুলে।
কম্বডিয়া নিয়ে লেখা পোস্ট পড়ার পর, তার ইতিহাস সম্পর্কে প্রশ্ন করলে একটা জানি জানি ভাব কাজ করে।
এখন থাই নিয়েও এই জানি জানি ব্যাপারটা কাজ করে।
ইতিহাস জানার মাঝে কেমন জানি আনন্দ আছে।
যা্ইহোক: ঐ রাস্তায় কি কি ফ্রি খাবার পাওয়া যায়?
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪১
জুন বলেছেন: রাতুল প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আরেকবার এসেছো বলে ।
সেই দুটো ডিম সেদ্ধ আর দু গ্লাস পানির ছবিও ছিল । কিন্ত সেটাযে কোন ফোল্ডারে রেখেছি তন্ন তন্ন করেও খুজে পেলাম না ।
রাজা ভুমিবল চক্রী বংশের নবম রাজা ছিলেন । সপ্তম রামা রাজা প্রজাধীপকের কোন ছেলে না থাকায় তার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হয়েছিল ভুমিবলের বড় ভাই আনন্দ মাহিদল । আঠারো বছর বয়সে এক রহস্যময় ঘটনায় তার মৃত্যু হলে ছোটভাই ভুমিবল মাত্র আঠারো বছর বয়সে রাজা হন। তার উপাধী ছিল নবম রামা ।
রাতের আধারে মোমবাতি হাতে থাইবাসীরা প্রিয় রাজার উপাধী ৯ কে স্মরন করেছে। থাই ভাষায় এটা হলো নয় ।
ইতিহাস জানায় আনন্দ আছে শুনে অনেক খুশী হোলাম । অনেকে দেশ বিদেশের ইতিহাস জানাটাকে বিরক্তিকর মনে করে।
আর খাবারের কথা বলছো ? হ্যা সেখানে কিছুদুর পর পর বিনামুল্যে অনেক রকম খাবারের অস্থায়ী ক্যাম্প ছিল দর্শনার্থীদের জন্য। ফ্রি বাস, ট্যাক্সি, মোটর সাইকেল ছিল সুবিধাজনক কোন জায়গা থেকে মানুষ জনকে আনা নেয়ার জন্য । ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ছিল একটু পর পর । দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের আনা নেয়ার জন্য রয়েছে ফ্রি বাস সার্ভিস । আর এটা করছে তারা স্বতস্ফুর্ত ভাবে ,ভালোবেসে । কোন চাপের মুখে নয় রাতুল ।
আবারও ধন্যবাদ জেনো । আর সাথে থেকো যতদিন ব্লগে আছি ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২০
জুন বলেছেন:
রাতুল এই সেই সেদ্ধ ডিম আর পানি । অর্ধেক খোসা ছাড়ানোর পর মনে হলো এর একটা ছবি তুলি । বাইচান্স যদি রাতুল দেখতে চায়
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছাত্র ও যুবসমাজ যে কোন আন্দোলনের নিউক্লিয়াস। এক অজানা ( অথবা ভুলে যাওয়া ) সংগ্রামের কাহিনী জেনে ভালো লাগলো। ছবিগুলো প্রাসঙ্গিক হওয়ায় পোস্টটি মানসম্মত হয়েছে।
ধন্যবাদ বোন জুন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
জুন বলেছেন: ছাত্র ও যুবসমাজ যে কোন আন্দোলনের নিউক্লিয়াস।
অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন একটি কথা বলেছেন আবু হেনা ভাই । আমাদের ছাত্ররাও দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন ইস্যুতে গৌরবময় ভুমিকা রেখেছিল । বর্তমানে রাজনৈতিক নেতাদের প্ররোচনা আর প্রলোভনে তারা তাদের সেই গৌরবময় ভুমিকার অনেকখানিই খুইয়ে বসেছে।
আমিও এই ঘটনাটি এত বিস্তারিত জানতাম না যদি না সেদিন চোখে পড়তো ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন , সাথে শুভকামনা ।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আঁধার রাত মোমবাতির আলোয় আলোকিত! দারুন একটা ছবি!
অন্যান্য ছবি ও বর্ননাশৈলী সুন্দর হয়েছে!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া, প্রশংসা আর সব সময় সাথে থেকে অনুপ্রানিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান ।
কাছ থেকে নেয়া আলোকিত ছবিতে লাখো জনতার চাপা কান্নার দৃশ্য ।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমাদের জুন আপি প্রতিবারেই আমাদের জন্য উপস্থাপন করেন তাতো বিরল , অজানা কিছু কথা , সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি যা কথা বলে যায় নিজের তথ্য সম্ভারে । তোমার এই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকুক। পাঠক মাত্রই মনে রাখুক আমাদের জুনাপুটিকে সেই প্রত্যাশায়।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৮
জুন বলেছেন: পোষ্ট পড়া ও আন্তরিক এক মন্তব্যের জন্য প্রথমেই অশেষ ধন্যবাদ রইলো মাহমুদুর রহুমান সুজন । পৃথিবীতে অজানা বলে এখন খুব কম জিনিসই আছে । তারপর ও চেষ্টা থাকে অজানা কিছু শেয়ার করার জন্য । দোয়া করবেন যেন আপনাদের সাথে থেকে প্রত্যাশানুযায়ী কিছু লিখে শেয়ার করতে পারি ।
শুভেচ্ছা প্রতিনিয়ত ।
৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো সুমন কর ।
শুভকামনা জানবেন ।
১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভালো কিছু শেয়ার করলেন। কিন্তু দুই বা তিন পর্বের সিরিজ আকারে দিতে পারতেন (এটা আমার মতামত)।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া ও আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) । একে তো নিরস বিষয় তাতে এতটুকু লেখা তাই আর পর্বে পর্বে ভাগ করি নি ভাই। আপনাদের কষ্টের জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি । ভবিষ্যতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রাঞ্জল বর্ণনায় একটা ইতিহাস আমাদের এক উজ্জ্বল আন্দোলনের গল্প শুনিয়ে গেল।
যুগে যুগে দেশে দেশে ছাত্ররাই যে সমস্ত প্রগতিশীল আন্দোলনের সুচনাকারী তা আবার প্রমানিত হলো এই স্মৃতিস্তম্ভ দেখে - আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দিয়ে গেল।
সমৃদ্ধ পোস্ট। + +
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সামান্য লেখায় মুল্যবান একটি মতামত দেবার জন্য খায়রুল আহসান ।
১৪ ই অক্টোবরের ঘটনা শুনে সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে আমাদের ছাত্রদের গৌরবজ্জ্বল ভুমিকার কথা মনে পড়ছিল ।
শুভেচ্ছা জানবেন আর সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪
তারেক ফাহিম বলেছেন: ছাত্র অান্দোলনের সুন্দর পোষ্টটি দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে তারেক ফাহিম । পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্য রাখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । ভবিষ্যতেও সাথে থাকবেন সেই আশা করি
১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১১
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ,আমি ব্লগে নতুন, আপনাদের মাঝে আশ্রয় নিয়ে অজানাকে জানতে চাই, আশা রাখি পাশে থাকবনে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে শামীম সরদার নিশু । অবশ্যই আমাদেরকেও আপনার সাথে রাখবেন ।
সুন্দর হোক আপনার ব্লগিং জীবন সেই কামনায়
পোষ্টে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।
১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আপনি কি থাইল্যান্ডে পড়াশোনা করার জন্য আছেন, নাকি বেড়াতে গিয়েছেন। বেড়াতে গিয়ে থাকলে আরো আরো পোষ্ট চাই।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৪
জুন বলেছেন: স্বাগত আমার ব্লগে প্রশ্নবোধক । পোষ্টটি পড়ে মন্তব্য করেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি।
প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা বলতে যা বোঝায় তার পাট চুকে গেছে অনেক আগেই । তারপর ও প্রবাদ আছে পড়াশোনার কোন শেষ নেই । সে হিসেবে আমি এখনও ছাত্রী থাইল্যান্ডে বেড়াতে যাওয়াই বলতে পারেন । থাইল্যান্ড নিয়ে অনেক টুকরো টুকরো লেখা আছে দেখতে পারেন ।
শুভেচ্ছা সকালের ।
১৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এদেশের ছাত্র আন্দোলনের এক অজানা ইতিহাস জানা হলো আমার । যুগে যুগে দেশে দেশে ছাত্ররাই যে সমস্ত প্রগতিশীল আন্দোলনের সুচনাকারী তা আবার প্রমানিত হলো এই স্মৃতিস্তম্ভ দেখে । ------- শ্রদ্ধায় নুয়ে আসে মনঃপ্রাণ!!!
আপনি দেখলেন, জানলেন, জানালেন!!!
অনেক অনেক শুভকামনা জুন আপু!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪
জুন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ কামরুন্নাহার বিথী পড়া আর মন্তব্যের জন্য । নিজে দেখলে মনে হয় সবার সাথে শেয়ার করি আগে তো কোথাও থেকে ঘুরে এসে আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের সাথে গল্প করতাম। এখন ব্লগে লিখে আর ছবি জুড়ে দিলেই হয়ে গেল
সাথে থাকবেন সব সময় সেই প্রত্যাশায় । শুভেচ্ছা সব সময়ের জন্য ।
১৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
আন্দোলনটি যেমন হঠাৎ করেই শুরু হয়েছিল তেমনি দ্রুতই মিলিয়ে গিয়েছিল থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে । নেতাসহ ছাত্র ছাত্রীরা ফিরে গিয়েছিল তাদের শিক্ষা জীবনে। এটাকে পুজি করে তারা অন্যান্য দেশের মত ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েনি। -----------
আর আমাদের দেশে!!! কোন এক আন্দোলন শুরু হলে, দেশটাকে পংগু করে দিয়ে থামে, তার আগে নয়!!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৪
জুন বলেছেন: আবার আসার জন্য অনেক খুশী হোলাম বিথী ।
হ্যা সে সব ছাত্ররা ফিরে গিয়েছিল তাদের শিক্ষা জীবনে । কোন টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজিতে জড়িত হয় নি । তারা মিশে গেছে দেশের সমস্ত জনগনের সাথে ।
শুভকামনা কামনা রইলো
১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ছাত্র অান্দোলনের অজানা ইতিহাস জানলাম ........
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবির আমার সামান্য লেখাটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য ।
সাথে থাকুন সেই প্রত্যাশী ।
শুভেচ্ছান্তে
১৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই অসাধারন অজানা এক সমৃদ্ধ ইতিহাস জানানোয় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
ভাল লাগা অফুরান
++++++++++
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু সব সময় সাথে থেকে উৎসাহিত করার জন্য । ভবিষ্যতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায়
শুভকামনা রইলো ।
১৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
প্রামানিক বলেছেন: আপনার লেখা আর ছবি দেখে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ জুন আপা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪
জুন বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই নিয়মিত নিঃস্বার্থভাবে এসে পোষ্ট পড়ে আর মন্তব্য করে যান বলে
আগামীতেও সাথে থাকবেন আশাকরি ।
২০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮
নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পোষ্টটা পড়ে । অনেক অজানা কিছু জানলাম ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬
জুন বলেছেন: অজানা কিছু জানাতে পেরে আমারও অনেক ভালোলাগছে নীলপরি ।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
২১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১০
সোহানী বলেছেন: ছাত্র আন্দোলনের কৃতিত্ব শুধু আমাদের একার না থাইবাসীদের ও আছে।
অনেক ভালোলাগলো বিষয়টি জেনে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন সোহানী এতদিন ধরে সেখানে আসা যাওয়া আর ঘর বসত করার পরেও এই ইতিহাসটি আমারও অজানাই ছিল । তবে রাজা ভুমিবল জাতীয় ঐক্যের প্রতীক । দু দুবার দেশকে গভীর সংকটের হাত থেকে রক্ষা করেছিল এটা জানতাম । সমগ্র দেশবাসীর কাছে সে ছিল মর্তের দেবতা, তাদের কাছে তাঁর গ্রহনযোগ্যতা ছিল তুলনাহীন । তার ফলেই সে এই কেলেংকারীর নায়ককে পদচ্যুত ও দেশত্যাগে বাধ্য করতে পেরেছিল ।
বিষয়টি নিজে জেনে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমারও ভালোলাগছে সোহানী । অনেক দিন ধরে সাথে আছেন , ভবিষ্যতেও থাকবেন সেই প্রত্যাশায়
শুভকামনা রইলো ..
২২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৯
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: থাই ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস জানলাম ।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জুনাপু।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০১
জুন বলেছেন: পোষ্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এডোয়ার্ড মায়া । থাই জাতির এই গৌরবজ্জ্বল ইতিহাসটুকু আমারও অজানা ছিল । জানা মাত্রই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম
সাথে থেকে উৎসাহিত করার জন্য আবারও ধন্যবাদ জানবেন সাথে শুভেচ্ছা ।
২৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একটি ছাত্র আন্দোনের ঐতিহাসিক বিবরণ
শিরোনামের সাথে ভুমিকা দেখে মন্ত্র মুগ্ধের মত
এগিয়ে গেছি কি হলো তা জানতে । ভুমিকাটি
এত সুন্দর হয়েছে যে তা পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ
বুঝতে সহায়তা করেছে দারুন ভাবে ।
অান্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট , ঘটনার
সচিত্র কিছু বিবরণ , ছাত্র শক্তির চমতকার ধারা ভাষ্য,
একটি মনোরম কাব্য গাথার মত সাজানো হয়েছে
লিখাটিতে । একটি দেশে গনতন্ত্রের সংগ্রামের বিরত্বপুর্ণ
পরিনতি , এর প্রতি সে দেশের সাধারন মানুষের শ্রদ্ধাপুর্ণ
স্বীকৃতি , স্মুতি স্তম্ভ , আন্দোলনে ছাত্রদের ছোটবড়
সকল কৃতিত্বকে সুন্দর করে সর্ব সাধারণের জন্য
দর্শনীয় করে তোলার জন্য মহতি কার্যক্রমের যে
মনোমুগ্ধকে বিবরণ লিখাটির প্রতিটি ছত্রে ছত্রে
তুলে ধরা হয়েছে তাতে সেখানকার ঐ ছাত্র আন্দোলনটি
বিশ্বসমাজে নতুনভাবে ভুলে যাওয়া অনেক অজানা
কথা জানান দিয়েছে ( বাংলা ভাষায় লিখা
ঐ ছাত্র আন্দোলনটি আমাদের মত ১৭ কোটি বাংগালীর
কাছে পরিচিতি পাওয়ায় একে বিশ্বসমাজের একটি রূপক
হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে ) ।
এমন সুন্দর তথ্য সমৃদ্ধ লিখনিটির জন্য রইল অভিনন্দন ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
জুন বলেছেন: ড: এম আলী,
আপনার মন্তব্যটি পড়লেই বোঝা যায় কি সুগভীর মনযোগ দিয়ে আপনি আমার এই সামান্য লেখাটি পড়েছেন। আপনার কাছে কৃতজ্ঞ এত সুন্দর করে থাইল্যান্ড এর ছাত্র আন্দোলন এর ইতিহাস টুকু তুলে ধরেছেন।
এ ব্যপারে আপনার মাধ্যমে একটি কথা সবাইকে বলতে চাই। আমাদের ইতিহাসের সাক্ষী এই শহীদ মিনারটি শুধু একটি নিদৃষ্ট দিনের জন্য আমরা ধোয়া মোছা করে ফুলে ফুলে শোভিত করে তুলি। বাকি দিন তার আশ পাশ দিয়ে হাটতেও ভয় পায় লোকে। কেন আমরা সেটাকে সারা বছর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখি না। আমরাও তার চারিদিকে একটি গ্যালারীরর মত করে আমাদের গৌরবব্জ্বল ভাষা আন্দোলন ও ভাষার জন্য যারা প্রান দিয়েছিল সেই সব ইতিহাসকে তুলে ধরতে পারি না?
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো আর সাথে থাকবেন সামনের দিনগুলোতেও সেই প্রত্যাশা ও।
২৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
থাই সম্পর্কে অনেক ভালো কথা শুনি, ওদের মেয়েরা কেন পশ্চিমে দেহ ব্যবসায় ১ম স্হানে?
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭
জুন বলেছেন: চাঁদ্গাজী ,
আমার পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য প্রথমেই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
আপনি স্বাধারণত রাজনৈতিক লেখা লিখে থাকেন । আমি আপনার কাছ থেকে তেমনি একটি মন্তব্য আশা করেছিলাম । যাই হোক কেন থাই নারীরা আদি পেশায় বিশ্বের ১ নম্বর এই তথ্যটি ভাই আমার কাছে অজানা ।
কিন্ত কেমন করে তাদের মতন রক্ষনশীল সহজ- সরল পরশ্রমী একটি জাতির কপালে এমন একটি তকমা জুটলো তা আমি আমার লেখায় সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলেও ধরেছি। ১৪ ই অক্টোবর ৭৩ এ যার বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা একটি সফল আন্দোলন করেছিলেন সেই সামরিক শাসক থানোম তার নিজ দেশ থাইল্যান্ডে আমেরিকাকে ঘাটি গাড়ার সুযোগ দিয়েছিল । সামরিক শাসকের সহায়তায় আমেরিকান সেই সব সৈন্যরা থাইল্যান্ডের দূর দুরান্ত থেকে আসা দারিদ্র পীড়িত মেয়েদের নিয়ে মত্ত হয়েছিল । সংসারের হাল ধরতে গরীব মেয়েরাও তাদের দ্বারা ব্যাবহৃত হয়েছিল এই ইতিহাসটুকু আপনার নিশ্চয় জানা আছে । সারা জীবনেও কারো পরাধীন ছিলনা এমনি একটি জাতি শুধু পরিশ্রম আর কাজের মাধ্যমে এশিয়ার অনেক দেশের মাঝে মাথা তুলে আছে ।
নীচে লিংক দিলাম । আপনি এটা পড়ে দেখতে পারেন । এই মেয়েটির মতই বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে । দিন রাত নির্ভয়ে বাসে ট্যক্সিতে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছে ।
প্লামঃ উন্নত দেশগুলোর মতো নারীবাদ থাইল্যান্ডে লক্ষনীয় নয়। কারণ, এটা এমন কিছু না যেটা আমরা বিদ্যালয় থেকে শিখতে পাব। কিন্তু অনেক নারী আলোচনা করে তাদের সামাজিক মর্যাদার জন্যে। আমরা সাধারণত নিত্যদিনকার বৈষম্য দেখি না। বেশিরভাগ সময়, আমরা চেষ্টা করি এটাকে বন্ধ করতে। আমরা স্পষ্টভাবে পুরনো দিন পার করে এসেছি যেখানে শুধু নারীরা বাড়িতে থাকা আর রান্নার কাজ করত। এখন থাই মহিলারা ডাক্তার, বিজ্ঞানী, কবি, ক্রীড়াবিদ, স্থপতি হচ্ছে। http://hello.bdnews24.com/kothaykothay/article12270.bdnews
অনেক কথা লিখলাম । আপনার মাধ্যমেই জানিয়ে দিতে যে অনেকে এক ভুল ধারনা নিয়ে আছে একটি দেশ সম্পর্কে ।
আশাকরি আমার মন্তব্যে আপনি কিছু মনে করবেন না । আবারো ধন্যবাদ জানাই এ কথাগুলো তুলে ধরার সুযোগ দেয়ার জন্য ।
২৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫৯
সৈয়দ তাজুল বলেছেন: ধন্যবাদ
খুব ভালই লিখলেন।
আমাদের শহীদ মিনার, আমাদের গর্ব
সবটাই ভাল লাগলো
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
জুন বলেছেন: স্বাগত জানাই আমার ব্লগে সৈয়দ তাজুল । আমার লেখাটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য রইলো আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।
২৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৬
খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট । পড়ে ভালো লাগল।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫১
জুন বলেছেন: স্বাগত খাইরুন নাহার বিনতে খলিল।
লেখাটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য রইলো আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
২৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩
শোভন শামস বলেছেন: সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সময়ের কথামালা। এক অজানা ইতিহাস আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭
জুন বলেছেন: শোভন শামস বহুদিন পর আপনাকে ব্লগে নিয়মিত দেখে খুব ভালো লাগছে ।
আমার এই নীরস লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব খুশী হয়েছি । ভবিষ্যতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা সবসময়ের জন্য ।
২৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ও ই আন্দোলনের পর থাকেই মনে হয় থাইল্যান্ডের রাজার প্রতি মানুষদের আস্থা বেড়ে বেড়ে যায়, তাই আজকে রাজপ্রাসাদে এতো এতো শোকার্ত মানুষের ভীর।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬
জুন বলেছেন: সাদা মনের মানুষ আপনার জন্য রইলো সকালের একরাশ শুভেচ্ছা । সংসারের নানা ঝামেলায় সময় মত মন্তব্যের উত্তর দিতে পারছি না বলে আন্তরিক দুঃখিত ।
শুধু ঐ আন্দোলন নয় তার আগে থেকেই রাজা ভুমিবল তার দেশের আপামর জনগনের কাছে শুধু তাদের রাজাই নয়, ছিলেন দেবতুল্য । থাইল্যান্ডের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য নিয়ন্ত্রিত ক্ষমতার মধ্যে থেকেও কতখানি পরিশ্রম করেছে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় । সপ্তাহের একটি দিনও তিনি বিশ্রাম নেন নি । দিনের পর দিন দুর্গম এলাকাসহ সারা থাইল্যান্ড চষে বেড়িয়েছে তার দরিদ্র জনগনের কার্যকর উন্নতির জন্য । শুধু কাগজে কলমে নয় । আমি আগেও উল্লেখ করেছি এসব কথা অন্যান্য পোষ্টে । আমি তার বিভিন্ন দিকের অবদান নিয়ে ভাবছি একটা পোষ্ট লিখবো । একটা মানুষের এত প্রতিভা থাকা অবিশাস্য ।
আবারো ধন্যবাদ জানাই সব সময় সাথে আছেন বলে
২৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
সামুর ইমু বলেছেন: এক অজানা দারুন ইতিহাস। ভাল লাগলো
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩
জুন বলেছেন: স্বাগতম জানাই আমার ব্লগে সামুর ইমু । ইতিহাসের ছাত্রী হয়েও এশিয়ার এই দেশটির এই গুরুত্বপুর্ন ইতিহাস টুকু আমার ও অজানা ছিল । তাইতো জানামাত্র আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা । সাথে থাকুন ।
৩০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: জুনাপু তোমার প্রথম পোস্ট পড়ে মন্তব্য রেখে এসেছি!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
জুন বলেছেন: তাই নাকি বিলিয়ার রহমান !! ঐ পোষ্টটা অসংখ্য বানান ভুল আর ফন্ট না জানায় জট পাকানো অবস্থায় ছিল । পরে কার বুদ্ধিতে জানি ঠিক করেছি । এখন মনে হয় স্মৃতি হিসেবে ওটা রেখে দেয়াই উচিত ছিল
আচ্ছা শীঘ্রী দেখে আসবো ।
৩১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যুগে যুগে দেশে দেশে ছাত্ররাই যে সমস্ত প্রগতিশীল আন্দোলনের সুচনাকারী তা আবার প্রমানিত হলো এই স্মৃতিস্তম্ভ দেখে !
জুনাপুর নিজস্ব ছাপের অনবদ্য পোষ্ট !!
শুভ কামনা আপু
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২
জুন বলেছেন: প্রাসংগিক একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা । আসলে ছাত্র সমাজ থাকে শিক্ষিত , সমাজ সচেতন ,তাদের তরুন মনে থাকে দেশের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা । আর সে কারনেই তারা বেশির ভাগ সময়ই এ ধরনের আন্দোলনের পুরোধা হিসেবে থাকে ।
শুভকামনা ও সুস্বাস্থ্য কামনায় । সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
৩২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০১
রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেকে দেশ বিদেশের ইতিহাস জানাটাকে বিরক্তিকর মনে করে।
সেই অনেকগুলো কিন্তু বিরক্তিকর।
আপনি যা করতেই যান কেন , তার ইতিহাস জানতেই হয়।
ইতিহাস না জানলে, কিছুর সমাধান আসে না। এই জন্যই ইতিহাস আমার খুব প্রিয়।
হুম, সবাই ফ্রি খাওয়ার সুযোগ পায়, এই আমি চাপ দিয়েও সুযোগ পাই না। আসলে সবার কপাল তো আর এক না। নিয়তি ! মেনে নিতে হয়।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭
জুন বলেছেন: অনেকে দেশ বিদেশের ইতিহাস জানাটাকে বিরক্তিকর মনে করে।
আসলেই মনে করে রাতুল । আর এ অভিজ্ঞতা আমার এই ব্লগেই হয়েছিল । যদিও সেই নিকটি আমি আর কখনো দেখিনি । তবে আমার পাশে তখন অনেক বিশিষ্ট ব্লগার দাড়িয়েছিল । এরপর থেকে ইতিহাস বিষয়ে কিছু লিখতে গেলে ভয় ভয় করে ।
ইতিহাস বই এর প্রথমেই লেখা আছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নাও কারন হিস্ট্রি রিপিট ইটসেলফ । আর তাহলে প্রথমেই আমরা এর থেকে সাবধান হতে পারবো ।
ফ্রি ফ্রি খাওয়া কি ভালো আমরা তো সুযোগ পেয়েও ঐ ডিম আর পানি ছাড়া কিচ্ছু খাইনি
আরেকটি মন্তব্য জমা হলো তার জন্য রাতুল শাহকে এত্তগুলা ধন্যবাদ
৩৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: //আন্দোলনটি যেমন হঠাৎ করেই শুরু হয়েছিল তেমনি দ্রুতই মিলিয়ে গিয়েছিল থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে । নেতাসহ ছাত্র ছাত্রীরা ফিরে গিয়েছিল তাদের শিক্ষা জীবনে। এটাকে পুজি করে তারা অন্যান্য দেশের মত ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েনি।//
আপনার মতো এতো সূক্ষ্মভাবে কোনো কিছু দেখা অন্তত আমার পক্ষে সম্ভব নয় এক জীবনে।
শ্রদ্ধা বিষয় নির্বাচনে।
মুগ্ধতা উপস্থাপনে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
জুন বলেছেন: না দীপংকর চৌধুরী সে সময় তো দূর এখনও তাদের ছাত্র ছাত্রীরা লেখা পড়া ও এই সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া অন্যায়/ দুর্নীতিকে সম্পুর্ন ভাবে এড়িয়ে চলে বা সচেতন ভাবেই পরিহার করে । উপরে সহ ব্লগার চাঁদগাজীকে একটা লিংক দিয়েছি , ক্লিক করে দেখতে পারেন । আর সেই মেয়েটির মতই আমার দেখা বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রী ।
আপনিও অনেক সুক্ষ দৃষ্টির অধিকারী , না হলে আমার এই লাইনটি খুজেই পেতেন না । মন্তব্য ও মনযোগী পাঠের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্যও ।
ভালো থাকুন ।
৩৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শুভকামনা জুন আপু!
রাজা ভুমিবলের ক্ষমতারোহন + ঐ ক্রান্তিকালীন সময়ে তাঁর ভুমিকা নিয়ে আরো জানার ইচ্ছে ছিল! তবে আফসোস হচ্ছে আমাদের দেশের কথা ভেবে, প্রগতিশীল কোন আন্দোলনই আমাদের দেশে প্রকৃত সফলতা পায়নি!
(পোস্টে +)
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮
জুন বলেছেন: আপনার জন্যও রইলো অশেষ শুভ কামনা গেম চেঞ্জার । আপনার মত একজন প্রতিভাবান ব্লগার কই কই যে হাওয়া হয়ে যান আল্লাহ মালুম । অনেকদিন পর আমার ব্লগে আপনার দীর্ঘ মন্তব্য দেখে খুব ভালোলাগলো ।
আমারও ইচ্ছে আছে এই কিম্বদন্তীতুল্য এই ব্যাক্তিকে নিয়ে কিছু লেখার । তবে তার দীর্ঘ এবং বিশাল পরিধির কর্ম জীবন ও দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম নিয়ে যাই লিখিনা কেন তাও কম হয়ে যাবে ।
পোষ্টটি পড়া মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৩৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫
পুলহ বলেছেন: "থানোম আমেরিকাকে সব রকম সাহায্য সহযোগিতা করেন, তাদের থাইল্যন্ডের মাটিতে ঘাটি গাড়ার সুবিধা দেন। এমনকি থাই সৈন্যবাহিনীকে সেই যুদ্ধে আমেরিকার পক্ষ হয়ে অংশ গ্রহন করতে বাধ্য করেন"-- দেখা যাবে এই ব্যক্তির ক্ষমগ্রহণের পেছনেও হয়তো কলকাঠি নেড়েছে সি আই এ।
"আন্দোলনটি যেমন হঠাৎ করেই শুরু হয়েছিল তেমনি দ্রুতই মিলিয়ে গিয়েছিল থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে । নেতাসহ ছাত্র ছাত্রীরা ফিরে গিয়েছিল তাদের শিক্ষা জীবনে। এটাকে পুজি করে তারা অন্যান্য দেশের মত ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েনি। "-- ক্রুশাল পয়েন্ট।
'৩২ এর ক্ষমতার ট্রানজিশনের ইতিহাসটুকুও অনন্য।
ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস অংশটুকু ভালো লেগেছে। শুভকামনা জানবেন আপু!
আপনার কোরিয়ান রূপকথার একটা পোস্টে মন্তব্য রেখে এসেছিলাম কয়দিন আগে। আনন্দ পেয়েছিলাম পড়ে !
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
জুন বলেছেন: পুলহ আমার লেখাটি যে আপনি অত্যন্ত মনযোগের সাথে পড়েছেন তার প্রমান হলো আপনার মন্তব্য ।
প্রথম ছত্রের নীচে যে মতামত রেখেছেন তার সম্ভাবনা শতকরা ৯৯।৯% । এই প্রতিষ্ঠানটি জন্মের পর থেকেই মনে হয় তাদের স্বার্থের জন্য এ ধরনের জঘন্য কাজই করে এসেছে ।
দ্বিতীয় ছত্রটির ক্রুশিয়াল পয়েন্টটা নির্মন সত্য ।
অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা রইলো । সব সময় সাথে আছেন দেখে উৎসাহিত হই ।
তাই নাকি ? ঐ সাগর তোমার জলটি কেন নোনা পোষ্টে । দাড়ান এক্ষুনি দেখে আসছি ।
৩৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: কাছের একটি দেশের ইতিহাসের এক চমৎকার অধ্যায়ের এত সুন্দর বর্ণনা আর অপুর্ব সব ছবি! কি আর বলব, আপনি পারেন বটে! হ্যাঁ ওদের ছাত্র ছাত্রী নেতারা আন্দোলন শেষে আসল জীবনেই ফিরে গেছিল, আমাদের দেশের লাহান মাস্তান হয়ে পরের টাকায় হেলিকপ্টার নিয়ে বাড়ি বেড়াতে যায় নি, টেন্ডারে কোটি কোটি টাকা কামাই করা শুরু করেনি। আর তাই ওরা এত সুন্দর! আমরা ইতাহাস থেকে শিখিনা ইতিহাস বানাই! ধন্যবাদ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে সত্যি আপ্লুত হোলাম ঢাকাবাসী । আমি যা বলতে পারি নি আপনি তা বলে দিয়েছেন , তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ টুকু আপনার পাওনা বলেই মনে করি । বিখ্যাত রাজনিতীবিদদের অবশ্য পাঠ্য ছিল ইতিহাস আর আইন শাস্ত্র । ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিত যাতে ভুলের পুনারাবৃত্তি না হয় । কিন্ত ... থাক আর বলতে চাই না ।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকু্ন, আর নাতি-নাতনী নিয়ে আনন্দে থাকুন । আর মাঝে মাঝে এসে উকি দিয়ে যাবেন সেই প্রত্যাশা রইলো
৩৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩
ফারহানা হোসাইন বলেছেন: সুন্দর ইতিহাস আর ভ্রমন কথা
দুইয়ে মিলে ভাল লাগল অনেক
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
জুন বলেছেন: স্বাগত জানাই আমার ব্লগে আমার লেখায় ফারহানা হোসাইন । ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা জানবেন । সামনের দিনগুলোতেও চলার পথে সঙ্গী হবেন সেই প্রত্যাশায়
৩৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়ের প্রশ্নটা ইন্টারেস্টিং! তবে আপনার প্রতিউত্তরটা আরো ভাল হইছে আপু! ব্যাপারটা আমিও জানতাম না, সেদিক বিবেচনা করে গাজী ভাইরে একটা ধন্যবাদ জানানোই যায়, কি বলেন.....
তবে প্রতিউত্তর দেখে মনে হল, থাইল্যান্ডের ব্যাপারটাও অনেকটা আমাদের উপমহাদেশের মত! মানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী যেভাবে আমাদের দেশে এসে ব্যবসার নামে দেশ দখল করে আমাদেরই মা-বোনদেরকে তাদের নিজেদের ভোগ বিলাশের কাজে ব্যবহার করতো, কিছুটা সেই রকম!
আর একটা ব্যাপার এখানে লক্ষনীয়! একবার যখন কেউ খারাপ হয়ে যায়, কিংবা জোর করে হলেও যাকে খারাপ বানানো হয়; তারপর কিন্তু তার কপালে ঐ খারাপের তকমাটাই জোঠে! চাইলে সে আর তখন ভালোর দিকে ফিরে আসতে পারে না! কারন পরিবার, সমাজ তাকে তখন আর ভাল বলে গ্রহণ করতে চায় না! আর মনে হয় এভাবেই ধীরে ধীরে দেহ ব্যবসা প্রসার লাভ করতে থাকে!
অর্থাৎ ধরুন আমি খারাপ! কিন্তু এক সময় আমি ভাল হইতে চাই! কিন্তু সমাজ যদি আমাকে সেই সুযোগটা করে না দেয়, তখন তো আর আমার কিছু করার থাকে না তাই না?
বাই দ্যা ওয়ে, আপু মন্তব্যের উত্তর করার জন্য পি.এস লাগবো নাকি?
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯
জুন বলেছেন: ব্লগার চাঁদগাজী সব সময়ই বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্য করে । তার ছোট ছোট মন্তব্যে অনেক বিশাল বক্তব্য লুকিয়ে থাকে । আমি ঠিক জানি না ওনার কাছে হয়তো এ ব্যাপারে কোন তথ্য আছে যা আমার অজানা । আর আমি ে বিষয়ে কিছু জানতেও আগ্রহী নই । তবে আমি শিক্ষিত থাই সমাজের সাথে চলাফেরা করার দরুন এ ধরনের কালচার তাদের মাঝে লক্ষ্য করি নি । হয়তো কিছু নিদ্দিষ্ট এলাকাতেই এসব সীমাবদ্ধ যা সব দেশেই আছে । ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর চেয়েও ভালো উদাহরন আমেরিকান বিভিন্ন বেস , যারা বিভিন্ন দেশ বা দ্বীপে ঘাটি গেড়ে সে দেশের সমাজকে তথা মানুষকে কলুষিত করে ছেড়েছে ।
পি এস দিয়ে কি হবে ? আর বিনা বেতনে কি কেউ পিএস হতে রাজী হবে ? আর বেতন দেয়ার মত অবস্থা নেই
প্রাসংগিক একটি মন্তব্য দেয়ার জন্য আবার আসায় একরাশ ধঈন্যাপাতা আর শুভেচ্ছা রাশি রাশি
৩৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৫
মুরশীদ বলেছেন: নিখাদ নিস্বার্থ দেশ প্রেম ছাত্রদের মাঝেই বেশি থাকে অর্থাৎ দেশ প্রেম তাদের কচি তরুন মনে ভীষন ভাবে গেথে থাকে । ফলে দেশের এবং জনগনের স্বার্থবিরোধী অন্যায় অবিচার তারা মেনে নিতে পারে না । তাই তারা জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে প্রতিবাদ করে , দেয় জীবন বিসর্জন । দেশে দেশে তার প্রমান মেলে । থাইল্যান্ডের এই আন্দোলন ও তার একটি উদাহরন ।
চমৎকার পোস্টের জন্য অভিনন্দন ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০২
জুন বলেছেন: নিখাদ নিস্বার্থ দেশ প্রেম ছাত্রদের মাঝেই বেশি থাকে তাদের কচি তরুন মন দেশের এবং জনগনের স্বার্থবিরোধী অন্যায় অবিচার মেনে নিতে পারে না
এরপর আমার আর কিছু বলার নেই । পোষ্ট এর মুল বিষয় নিয়ে যথার্থ একটি মন্তব্য রাখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
৪০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৬
কালীদাস বলেছেন: চমৎকার! জানলাম! ক্যারিয়ার শুরু করার পর আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমণ থাইল্যান্ডে, অথচ বলতে গেলে কিছুই জানিনা ওদের ব্যাপারে! আপনি আছেন বলে অনেক কিছু জানতে পারছি।
একটা প্রশ্ন করি, আপনি কি চেহারা দেখে থাই, ভিয়েতনামিজ, বার্মিজ, মালয়েশিয়ানদের আলাদা করতে পারেন? আমি পারিনা। সিমিলারলি পারিনা চাইনিজ/জাপানিজ/কোরিয়ানদের চিনতে
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
জুন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন কালীদাস কতদিন ধরে মন্তব্যে বিভিন্নভাবে অনুপ্রানিত করছেন বলে । আমিও প্রথম প্রথম গিয়ে শুধু বিভিন্ন ট্যুরিষ্ট স্পটগুলোতে ঘুরেছি । আস্তে আস্তে জেনেছি তাদের এক সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির কথা । কাছ থেকে দেখেছি সেখানকার মানুষের জীবন যাত্রা ।বিভিন্ন মানুষ ও তাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ আমার সব সময়। আমি আমাদের দেশেও কোথাও ঘুরতে গেলে রিকশা চালক , নৌকার মাঝি এদের সাথে গল্প করি, গল্প করি আমার বাসার গৃহ পরিচারিকাদের সাথে । জানি তাদের জীবন যাত্রার কথা। আর তাই মাঝে মাঝে আপনাদের সাথে শেয়ার করি ।
না ভাই চেহারা দেখে আমি খুব কমই এসব দেশের মানুষ চিনতে পারি । তবে ভিয়েত্নামের মানুষের মুখ মন্ডল একটু গোলগাল , চ্যাপ্টা ধরনের। জাপানীজ ও চাইনীজদের চোখের পাতার উপর একটা ভাঁজ থাকে যাকে ইংরাজীতে বলে Epicanthic fold । যা দেখে পার্থক্য করা যায় ।
আবারও ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো কালীদাস । সাথে থাকবেন বরাবরের মতই সেই প্রত্যাশায় ।
৪১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
এবারে লেখার ষ্টাইলটি সুন্দর । শুরু করেছেন যে কথা দিয়ে , তাকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন এক প্রতিবাদী স্বাক্ষরের ইতিহাসের দিকে । যে ইতিহাস যুগযুগ ধরে লিখে গেছেন ছাত্রসমাজ-ই , দেশে দেশে। লেখার ফাঁকে এক আধাবর্বর জাতির সভ্য , নম্র হয়ে ওঠার ইতিহাস ও শুনিয়ে গেলেন । শুনিয়ে গেলেন, আলো দেখানো এক রাজপূত্রের কথা ।
সবকথার মাঝে লুকানো যে একটা দীর্ঘশ্বাস আছে , বুদ্ধিমান পাঠকের তা বুঝে নিতে কষ্ট হয়না । কষ্ট হয়না দেশানুভবের তীব্রতায় সিক্ত এক লেখিকাকে চিনে নিতে ।
একটি ইতিহাসের কাছে যেতে লিখেছেন - " জানিনা কত পথ হাটতে হবে । "
আমরাও জানিনা, আর কত পথ হাটতে হবে আমাদের ।
রাতের শুভেচ্ছা । কাল সকালের রোদটি উঠুক, লেখাটির পেছনে অন্তর্নিহিত বক্তব্যের উজ্জলতা নিয়ে ...............
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৯
জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস ,
আপনি যখন বলেছেন এবারে লেখার স্টাইলটি সুন্দর তখন আপনার এ বাক্যটি আমার শিরোধার্য্য করা উচিত । কিন্ত প্রতিটি লেখাই আমার সন্তানের মতন । তাই মা হিসেবে আমার সঃব লেখাই আমার কাছে ভালোলাগে ।
জী ছাত্র সমাজ থাকে দেশের আপামর জনগনের মধ্যে সবচেয়ে আলোকিত, অনেক প্রগতিশীল । আমার স্মৃতিশক্তি যদি বেইমানী না করে থাকে তবে আপনার কোন লেখায় বা মন্তব্যে পড়েছি বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে আপনার জড়িত থাকার গর্বিত এক টুকরো ইতিহাস । তাই এ ব্যাপারে আপনি আমার চেয়েও অনেক ভালো বলতে পারবেন বা উপল্বধি করতে পারবেন ।
এখানে আপনার সামান্য একটু স্লিপ অফ পেন না বলে টাইপিং বলা উচিত তা হলো আপনি থাইদের আধা বর্বর বলে উল্লেখ করেছেন । থাইরা কখনোই বর্বর জাতি ছিল না তারা, অত্যন্ত নম্র ভদ্র রংক্ষনশীল এক জাতি । এক সময় ব্যবসা বানিজ্যে শিল্প সংস্কৃতিতে তারা অনেক উন্নত ছিল, এর প্রমান রয়েছে প্রাচীন স্থাপত্য আর শিল্পে বিশেষ করে তাদের প্রাচীন রাজধানী আয়ুথিয়ায়, যেখানে ইউরোপিয় বনিকরা বানিজ্য করতে আসতো । তাদের অনেক রাজাই ইউরোপ আমেরিকার বিখ্যাত বিদ্যালয় থেকে পাশ করে এসেছিল । তারা শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পেরে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছিল এ বিষ্যটি আমি আয়ুথিয়া পোষ্টে উল্লেখ করেছি ।
যাই হোক আপনি এসেছেন আর করেছেন আপনার স্বভাবসুলভ এক বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্য যা আমার পোষ্টে সব সময় এক অলংকারের মতই ।
বরাবরের মতই সাথে থাকবেন এটুকু প্রত্যাশা করতেই পারি । শুভেচ্ছা সকালের ।
৪২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একটি দীর্ঘশ্বাস শুধু বেড়িয়ে এলো।। যদিও ইতিহাসের মোড় ঘুড়িয়ে দেয় এই ছা্রসমাজই, কিন্তু আমরা তাদের ব্যাবহার করি "হাতিয়ার" হিসাবেই।। অন্য দেশগুলি যাকে সন্মানের সাথে ইতিহাসের মোড়কে তুলে।।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩
জুন বলেছেন: ইতিহাসের মোড় ঘুড়িয়ে দেয় এই ছা্রসমাজই, কিন্তু আমরা তাদের ব্যাবহার করি "হাতিয়ার" হিসাবেই।
সচেতনহ্যাপী আপনি শুধু সচেতনই নন , জড়িতও ছিলেন এ বিষয়ে তা আমি বুঝতে পারি আপনার বিভিন্ন লেখায় ।
আপনাদের সময় ছাত্র সমাজ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ,ব্যক্তিগতভাবে কোন কিছু পাওয়ার আশায় নয় এটা সত্য, তবে এখন যে আর সে দিন নেই তা বিভিন্ন পত্র পত্রিকা আর ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে অহরহই দেখতে পাই ।
ভালো থাকুন আর নিজের আত্মার কাছে সুচী স্নিগ্ধ থাকুন সেই শুভ কামনা রইলো ।
৪৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫০
জুন বলেছেন:
ওকে ওকে কফি তো খাওয়া শেষ হলো সাদা মনে
এখন এই নিন আপনার জন্য রইলো রোদে শুকানো আম পেপে আর কিউই ফল
৪৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক শ্রমসাধ্য পোস্ট, যা আপনার স্বভাবসিদ্ধ। আপনার সবমিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পোস্ট প্রকাশ করেন সবসময়। এজন্যই ব্লগে বিনতে বতুতা হয়ে থাকলেন...
এক সময় বলা হতো পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর শক্তি হলো ছাত্রজনতা। আপনি তো উল্লেখই করেছেন, আমাদের দেশেও ছাত্রজনতা ক্ষেপলে জনগণ সেটাকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। (এখনকার কথা আলাদা)।
থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবলের মতো এমন অবিসংবাদিত শাসক কতজন আছেন জানি না। তিনি তো থাই জনতার একতার প্রতীক থেকেই মৃত্যুবরণ করলেন। আশা করছি তার রেখে যাওয়া শান্তি থাইল্যান্ডবাসীরা অক্ষুণ্ণ রাখবে।
এদিকে ব্লগবাসী কিন্তু থাইল্যান্ডের কথা ওঠলেই জুনাপাকে স্মরনাইবে, আপনাকে শ্রদ্ধার সাথে মনে করবে। এটি আপনার প্রাপ্য, ঝুনাপা
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩২
জুন বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,
প্রথমে আমার একটি প্রশ্নের জবাব দিবেন কি ? তা হলো আপনার মত একজন ঋদ্ধ ব্লগারের অনুপস্থিতির কারন কি ? সেকি শুধুই জীবনের তাগিদে নাকি ব্লগের প্রতি অনাগ্রহ ?? অনেক মিস করি আপনার লেখা আর বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্যগুলো ।
শ্রম সাধ্য তো অবশ্যই তবে আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ারের লোভ আমার কষ্ট ভুলিয়ে দেয়
ছাত্ররা আজ তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত অবশ্য তার কারন ও আছে সেটা আপনিও জানেন আমিও জানি ।
মৃদু ভাষী রাজা ভুমিবল একমাত্র ব্যক্তি যার কাছে দুই বিবাদমান পক্ষও মাথা নত করেছে। মেনে নিয়েছে তার ইচ্ছাকে । কারন সে ছিল জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এক আদর্শের প্রতীক । তিনি ছিলেন সবার অভিভাবক, সবার পিতা । আর সেই সন্মান তিনি অর্জন করেছিলেন তার অসামান্য ত্যাগ আর তিতিক্ষার মাধ্যমে ।
থাইল্যান্ডের কথা মনে হলে সামুর বাসিন্দাদের যদি এক সেকেন্ডের জন্যও আমার কথা মনে হয় সেটা হবে আমার জন্য গৌরবের বিষয় ।
শুভকামনা রইলো আপনার ও আপনার পরিবারের সবার জন্য । এমন করেই সব সময় সাথে থেকে উৎসাহিত করবেন সেই প্রত্যাশায় রইলুম ।
৪৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: থাই ছাত্র আন্দোলন শেয়ার করাতে ধন্যবাদ। সুন্দর ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫২
জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেকদিন পর দেখে খুব ভালোলাগছে সেলিম আনোয়ার ।
এখন থেকে নিয়মিত হবেন সেই প্রত্যাশা রইলো ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
৪৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০
রাতুল_শাহ বলেছেন: আমার কাছে ভালো মন্দ নাই। যেখানে ফ্রি খাবার সেখানে আমি। ফ্রি খাবারের মজা আলাদা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
জুন বলেছেন: ফ্রি ফ্রি খেতে আমার খুব সংকোচ হয় রাতুল । তাইতো অনেক জায়গায় অনেক রকম খাবারের ব্যবস্থা থাকার পর ও শুধু মাত্র দুটো ডিম নিয়েছিলাম । আগে জানলে তোমাকে খবর দিতাম
৪৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, মায়ানমার জাতিগুলোর উত্তপত্তি ও উদ্ভব নিয়ে জানার আগ্রহ প্রচুর। এই ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে তা কিছুটা বুঝলাম। ছবিগুলো অত্যন্ত সুন্দর, সুনন্দ!
নান্দনিকভাবে এ ইতিহাসজ্ঞ তুলে আনার জন্য ধন্যবাদ আপু! শুভকামনা!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫
জুন বলেছেন: আপনার জন্যও রইলো শুভেচ্ছা সকালের ভ্রমরের ডানা । আপনি নিশচয় জানেন শারিরীক বৈশিষ্ট অনুসারে পৃথিবীতে প্রধান তিনটি জাতি রয়েছে । ককেশীয়, মঙ্গলোয়েড এবং নিগ্রোয়েড । প্রতিটি জাতিরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট আছে । এই ছোট পরিসরে তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই । তবে মাত্র তিনটি বৈশিষ্ট দিয়ে আপনি তিনটি জাতিকে আলাদা করতে পারবেন ভ্রমরের ডানা । তা হলো ককেশীয়দের তাদের যে খাড়া নাক তা আর দু জাতির কারো নেই । এক সময়ে এদের বাস ইউরোপ থেকে ইরান পর্যন্ত ধরা হয় । মঙ্গলোয়েড জাতির চোখের ওপর যে ভাঁজ আছে তা অন্য দুই জাতির মধ্যে নেই । চীন জাপান সহ পুরো সাউথ ইষ্ট এশিয়া জুড়ে তাদের বসবাস। নিগ্রোয়েডদের বৈশিষ্ট তাদের ব্যাতিক্রমী কোকড়ানো চুল যা অন্য কোন জাতির মাঝে নেই । আপনি যে জাতির উদ্ভব নিয়ে জানতে চেয়েছেন তারা সবাই মঙ্গোলয়েড জাতির ।
আশাকরি এই বিশাল বিষয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ননায় আপনি কিছুটা ধারনা করতে সক্ষম হবেন
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ , সাথে থাকুন নিরন্তর ।
৪৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
আসতেই হলো ।উপায় ছিলোনা যখন প্রতিমন্তব্যে লিখলেন --"এখানে আপনার সামান্য একটু স্লিপ অফ পেন না বলে টাইপিং বলা উচিত তা হলো আপনি থাইদের আধা বর্বর বলে উল্লেখ করেছেন । "
না ম্যাডাম , স্লিপ অফ পেন বা টাইপিং ভুল হয়নি । আমি মন্তব্য করতে গিয়ে কনফিউজড হয়ে পড়েছিলুম । থাইদের চেহারা মনে করতে গিয়ে যখন বোঁচা নাকের কথা মনে হলো তখনই বার্মিজ ( বার্মা ) শব্দটা মাথায় ঢুকে গেলো । আর মনে পড়লো তাদের যতো বর্বরতার কথা । সেটাই এই লেখায় আমার করা মন্তব্যে চলে এসেছে । দুঃখিত, থাইদের সম্পর্কে অনিচ্ছাকৃত ভাবে এমন অনভিপ্রেত মন্তব্য করায় ।
এই আসাতে একটা লাভও অবশ্য হয়েছে । রাজা ভুমিবলের মৃত্যুর পর তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা একটি গানের লিংক আপলোড করেছেন দেখলুম , আগে যেটা ছিলোনা । ক্লিক করে শুনেছি পুরোটা । না শুনলে একটি অদ্ভুত কোমল ও দুঃখে ভেজা একটি সুর মিস হয়ে যেতো জীবন থেকে । অর্থ না বুঝলেও গানটির সুরের আবেদন সন্মোহিত করে রেখেছিলো পুরো সময়টাতে , বিশেষ করে এ্যাম্বুলেন্সে রাজার শবদেহটি নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটুকুতে সুরের যে কান্না তা হৃদয় নিংড়ে নিয়ে গেছে ।
রাতের শুভেচ্ছা আবারও ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫
জুন বলেছেন: যাক বর্মীদের সাথে ভুলে থাইদের তুলনা করেছেন ভেবে স্বস্তি পেলাম। বর্মীরা থাইল্যান্ডের এক সময়ের জৌলুসপুর্ন রাজধানী আয়ুথিয়াকে কিভাবে ধ্বংস করেছিল তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করবেন না । একই ধর্মের হয়ে তারা সেখানকার বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস সহ অসংখ্য বৌদ্ধ মন্দির-মঠ, বৌদ্ধ মুর্তির মাথা কেটে ফেলে রেখে গিয়েছিল।এ জন্য আমার পরিচিত অনেকে বার্মার নাম শুনতে চায় না ।
আর গানের কথা এত সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছেন যাতে মনে হয় আপনার কানদুটো গানের অন্তরে প্রবেশের জন্যই সৃষ্টি।
থাইল্যান্ডে অসম্ভব জনপ্রিয় দুই ভাইয়ের এই রক ব্যান্ড যা আগেই উল্লেখ করেছি আহমেদ জী এস ।
দু জনার মাঝে আসানি ছোটিকুল গিটার নিয়ে উন্মাতাল গানের জন্য খ্যাত হলেও ওয়াসান ছোটিকুল বিখ্যাত তার আবেগমথিত, সুরেলা গলার নরম কন্ঠের গানের জন্য। তাদের বেশিরভাগ গানেই মেয়ে ভোকালিষ্টদের কোরাস থাকে যাকে গানের ভাষায় হুক বলা হয় । এটা সাধারনত রক, হিপহপ, পপ এসব গানে অল্প কিছু জায়গায় ব্যবহার করে থাকে যার উদ্দেশ্য হলো শ্রোতার কানকে গানের মাধুর্য্যে টেনে রাখা। যা তারা খুব সফল ভাবেই করেছে আমার লিংক দেয়া গানে।
গানটি সম্পুর্নই গাওয়া হয়েছে প্রয়াত রাজার প্রতি অন্তরের পুর্ন শ্রদ্ধা জানিয়ে । গানটিতে জুড়ে দেয়া হয়েছে তার জন্মদিনে হলুদ পোশাকে লাখো জনতার ভীড় যে সমাবেশে তিনি শেষ বারের মত দেশবাসীর সামনে এসেছিলেন । তার মৃত্যু আসন্ন এ সংবাদ শুনে তার ছেলে মেয়ে সহ রাজপরিবারের সদস্যদের দ্রুত সিরিরাজ হস্পিটালে ছুটে যাওয়ার দৃশ্য এবং শেষে রাজার ইচ্ছানুযায়ী অত্যন্ত সাধারন একটি এম্বুলেন্সে তার কফিন বহন করে পুরানো ব্যংককের মাঝ দিয়ে ধীর গতিতে রাজ প্রাসাদে ফিরে যাওয়া , তার জন্য জনগনের আবেগমথিত কান্না সহ কালো পোশাকে লক্ষ থাইবাসীর রাজকীয় সঙ্গীত গাওয়ার দৃশ্যগুলো ।
আপনি ঠিকই ধরেছেন এম্বুলেন্সে শবদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় আসানি ওয়াসান হুকের ব্যবহার করে গানটিকে শ্রোতাদের মর্মে পৌছে দিয়েছে। আমি এমন জায়গা দেখিনি যেখানে এ গানটি তার স্মরনে বিভিন্ন গায়করা গাইছিল না ।
আরেকবার আসার জন্য কৃতজ্ঞ আহমেদ জীএস । আপনার মাধ্যমে এ কথাগুলো বলার সুযোগ দেয়ার জন্য । ভালো থাকুন । সকালের শুভেচ্ছা ।
৪৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
ছাত্র সমাজ ইতিহাস পাল্টে দেয়।
দারুন একটি অজানা ইতিহাস তুলে ধরলেন। অনেক শুভ কামনা।
একটি জাতির, একটি দেশের একটি জনপদের উঠে আসার পেছনে যুগে যুগে নবীন তরুন এই যৌবনের গানের পাখিদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু আমাদের ছাত্র সমাজ আজ কোথায়? লেজুরবৃত্তি, দলপুজা আর অসত নেতৃত্বের পিছু ছুটে ছুটে হালুয়া রুটি কিছু জোটে ঠিকই; পরিনামে নিজের, সমাজের এবং সর্বোপরি দেশের জন্য অদক্ষ, অযোগ্য অশিক্ষিত বিএ, এমএ সার্টিফিকেটধারী তৈরি হয়ে জাতিগত দৈন্যতার পথ প্রশস্ত হয় দিনে দিনে।
আমাদের দেশে বোধ করি বিকাশমান এই দৈন্যতার সর্বশেষ উদাহরন হচ্ছে- ২০১৭ সালের প্রাথমিকের পাঠ্য বই রচনা ও ছাপার ঘটনা। অসংখ্য ভুলে ভরা এসব বই।
যাক, অন্য দিকে চলে যাচ্ছিলাম।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৬
জুন বলেছেন: নতুন নকিব আপনার কি প্রথম মন্তব্য আমার ব্লগে ? তাহলে স্বাগত জানাই । একটি জাতির, একটি দেশের একটি জনপদের উঠে আসার পেছনে যুগে যুগে নবীন তরুন এই যৌবনের গানের পাখিদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু আমাদের ছাত্র সমাজ আজ কোথায়? লেজুরবৃত্তি, দলপুজা আর অসত নেতৃত্বের পিছু ছুটে ছুটে হালুয়া রুটি কিছু জোটে ঠিকই; পরিনামে নিজের, সমাজের এবং সর্বোপরি দেশের জন্য অদক্ষ, অযোগ্য অশিক্ষিত বিএ, এমএ সার্টিফিকেটধারী তৈরি হয়ে জাতিগত দৈন্যতার পথ প্রশস্ত হয় দিনে দিনে।
আপনার এই কথার পর আমার আর বলার কিছু নেই । এই হালুয়া রুটির ভাগাভাগি শব্দটা সবচেয়ে বেশি শুনেছি বাম পন্থী নেতৃবৃন্দের মুখে । এখন তারাই হালুয়া রুটি ভাগ করে খাচ্ছে । আবার স্মরণাপন্ন হোলাম আলেকজান্ডার ও তার সেনাপতির কথোপকথনে, "হায় সেলুকাস ! কি বিচিত্র এই দেশ" !
আপনিও ভালো থাকবেন এবং সামনের দিনগুলোতে সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় । মনযোগী পাঠ ও মন্তব্যের জন্ত আন্তরিক ধন্যবাদ
৫০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
থাইল্যান্ডের বর্তমান আর্থ সামাজিক অনস্হান এই দেশকে আধুনিক বিশ্বের উঁচু স্হান দিয়েছে, এই সম্র্কে আমার ধারণা স্পস্ট; কিন্তু ইউরোপে এখনো দেহ ব্যবসায় থাই মেয়েদের দেখা যাচ্ছে এখনো। ইউক্রেন ও থাই মেয়েদের এই অবস্হা হওয়ার কথা নয়।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
জুন বলেছেন: চাঁদ্গাজী আবার আসার জন্য প্রথমেই আপনাকে এক দফা ধন্যবাদ জানিয়ে নেই ।
আপনার তথ্যটি হয়তো সত্য । তবে আমার মনে হয় কি জানেন , থাইল্যান্ডে ছেলেদের তুলনায় মেয়ে্দের সংখ্যা বেশি । এক সময় বিদেশীরা সেদেশের শিথিল আইন কানুনের সুযোগ নিয়ে সহজ সরল দরিদ্র থাই মেয়েগুলোকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের উপর অনেক অন্যায় আচরন করেছে । যার একটি হলো পসচিমা দেশের পতিতালয়ে নিয়ে বিক্রী পর্যন্ত । আমি চীন থেকে শুরু করে সাউথ ইষ্ট এশিয়ার অনেক দেশেই গিয়েছি । এদের মাঝে থাই মেয়েরা সবচেয়ে আকর্ষনীয় দেখতে এটাও একটা কারন। দুবাইতে আমি ফিলিপিনো মেয়েদের দেখেছি বিভিন্ন তারকা হোটেলের রেস্তোরায় কাজ করতে যার আড়ালে ছিল সেই আদিম পেশা ।
কিন্ত বর্তমানে থাইল্যান্ডের সরকার বিদেশীদের থাই মেয়ে বিয়ে করা নিয়ে ভীষন কড়া আইন প্রনয়ন করেছে । আপনাকে বিয়ে করতে হলে নিজ দেশ থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স , ডিসির অফিসের সার্টিফিকেট , ফরেন মিনিস্ট্রির সার্টিফিকেট তারপর থাইল্যান্ডে নিজ দেশের এম্বেসী থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে । এত কিছুর পর ও পৃথিবীর কয়েকটি দেশের জন্য আইন আছে তাদের ইমিগ্রেশনে হলফনামা জমা দেয়া আপনার ঠিকুজি কুষ্ঠি দিয়ে । তারপর আপনি একটি থাই মেয়ে বিয়ে করতে পারবেন । বিয়ের পর আপনি কোন কারনে তাদের ডিভোর্স দিতে চাইলে সেরকম ভরন পোষন দিতে হবে। শুধুমাত্র নিজ দেশের এই কলংক মোচনের জন্য তাদের এই দৃঢ় পদক্ষেপ । তারপর ও ফাক ফোকড় থেকে যায় যার সুযোগ কিছু কিছু লোক গ্রহন করে । কিছু কিছু মেয়েও তথাকথিত উন্নত জীবনের প্রলোভনে এ পথে পা বাড়ায় ।
এ সমস্ত তথ্য আমার অত্যন্ত পরিচিত কিছু উচ্চ শিক্ষিত থাই মেয়ের কাছ থেকে পাওয়া ।
আশাকরি আপনি আমার পয়েন্টগুলো বুঝতে পারবেন
অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো বিষয়টি নিয়ে আমাকে খোলাখুলি আলোচনা করতে সাহায্য করার জন্য ।
৫১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
প্রতিমন্তব্য দেখে বুঝতে পারলুম , দেশ দেশে-ই বিচরণ শুধু নয় , আপনার বিচরণ গানের জগতেও ।
আমার মাধ্যমে লিংকের গানটি সম্পর্কে কথা বলার সুযোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন । ধন্যবাদ তো আপনাকেই দেয়া উচিৎ আগে । থাইল্যান্ডে অসম্ভব জনপ্রিয় ঐ দুই ভাইয়ের রক ব্যান্ড সম্পর্কে কিছু জানিয়ে যাবার জন্যে । এটা তো জানাই হতোনা , আপনি এখানে না বললে । জানা হতোনা, গানের সাথে পিকচারাইজেশানের যথাযথ সম্পর্কটি ।
সে জন্যেই তো বলি "বিদূষী" বলতে যা বোঝায় আপনি তার সমার্থক ।
অনেক ভালো লাগলো এই প্রতিমন্তব্যটি । লাইক ......................
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২
জুন বলেছেন: আপনার মতন একজন বিজ্ঞ ব্লগারের কাছ থেকে এমন মন্তব্য পেয়ে আমি কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আহমেদ জী এস ।
আমার জানা সামান্য কিছু তথ্য শেয়ারের সুযোগ আপনারাই দিয়ে থাকেন । আপনাদের এত উৎসাহ না পেলে অনেক আগেই হয়তো এ ভুবন থেকে হারিয়ে যেতাম । আর এ জন্য সব সময় আপনাদের মত কিছু ব্লগারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ থাকি ।
আন্তরিক শুভ কামনা জানবেন । ভালো থাকুন সব সময়ের জন্য আর সাথে থাকুন ।
৫২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
দীপান্বিতা বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা ----- বরাবরের মত অসাধারণ পোস্ট ---খুব ভাল লাগল
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮
জুন বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা দীপান্বিতার জন্য ও। ভালোলাগার জন্য অনেক ভালোলাগা
৫৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯
নেক্সাস বলেছেন: অনেক পরিশ্রমি পোষ্ট। দারুন ফিচার লেখক আপনি জুনাপা।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
জুন বলেছেন: নেক্সাস পরিশ্রমী পোষ্ট এটা সত্যি তবে দারুন ফিচার এটা শুনে অনেক ভালোলাগলো । নাইবা হলো পেপার পত্রিকায় ছাপা । আর প্রশংসা শুনতে খারাপ লাগে এত বড় মিথ্যা আমি বলবো না ।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।
৫৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
আমির ইশতিয়াক বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোস্ট। ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ রসকষহীন আমার এই পোষ্টটি পড়ার জন্য আমির ইশতিয়াক । আশাকরি আগামি দিনগুলোতেও সাথে থাকবেন । শুভেচ্ছা ।
৫৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৫
পিকাচু বলেছেন:
ভেরী নাইস! (ফাঁকিবাজী কমেন্ট)
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৩
জুন বলেছেন: আমি আপনাকে চিনতে না পারলেও কমেন্ট যে ফাকিবাজি সেটা ধরতে পেরেছি ভালোমতই পিকাচু
যাক তারপর ও আপনি এসেছেন বলে অনেক খুশী হয়েছি ।
শুভেচ্ছা
৫৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: নতুন কিছু জানতে চাচ্ছি।
দয়া করে নতুন কিছু জানান।
আর কোথায় কোথায় গেলে ফ্রি খাবার পাওয়া যাবে আমাদের জানান।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২
জুন বলেছেন: নেটওয়ার্কের সমস্যা রাতুল । অল্প সময়ের জন্য আসতে পারছি । তাই নতুন লেখালেখি ফেব্রুয়ারীর পরেই চেষ্টা করবো । যদিও তেমন কিছু লেখা হয় না । তারপর ও আসো , খোজ নাও তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাইয়া ।
ফ্রি ফ্রি খাওয়া
৫৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৫
পুলহ বলেছেন: রিসেন্টলি কোন একটা পোস্টের কমেন্টে দেখলাম খুব তাড়াতাড়িই ব্লগে আপনার সাত বছর পূর্ণ হবে, সেটারই অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ।
ব্লগে যে কয়জনকে আমি অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি, আপনি তাদের একজন। (আপনাকে অবশ্য হিংসাও করি আপনার ঘুরে বেড়ানোর কারণে, হা হা)।
জুন আপুর শারীরিক সুস্থতা এবং সার্বিক কল্যাণ কামনা করছি।
ভালো থাকুন !
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৫
জুন বলেছেন: আপনার শ্রদ্ধা আমি মাথা পেতে নিলুম পুলহ । অনেক অনেক ভালোলাগা জানবেন ।
সাত বছর পুর্ন হবে ভেবে আমিও খুব বিস্মিত হচ্ছি । এত ধৈর্য্য আমার কেমন করে আসলো !! হয়তো আপনাদের মত কিছু সংখ্যক ব্লগারের সাহচর্য্যেই হয়তো সামুতে এত দীর্ঘদিন টিকে থাকা আমার
আমিও আপনার কল্যান কামনা করি প্রতিনিয়ত ।
ভালো থাকুন সবসময় ।
৫৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৯
শায়মা বলেছেন: এত কষ্ট করে এমন তুমিই পারো আপুনি!!!!!!!!
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৯
জুন বলেছেন: আর তুমিই বা কম কিসে শায়মা ! আমিতো এ ব্যপারে তোমার ধারে কাছেও নেই
এত কষ্ট করে পড়ার জন্য তোমাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ
ভালো থেকো অনেককক
৫৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭
মানবী বলেছেন: নতুন ইতিহাস জানা হলো।
শ্রমসাধ্য লেখার জন্য ধন্যবাদ জুন।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মানবী আমার কষ্ট করে লেখাটি পড়ে এপ্রিসিয়েট করার জন্য
৬০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শামীম সরদার নিশু বলেছেন:
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৮
জুন বলেছেন: আপনার প্রিয় ব্লগাররা আমারো অনেক অনেক প্রিয় শামীম সরদার নিশু । শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
৬১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪০
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: প্রিয় তালিকায় আপনিও আছেন। একটু নজর দিলেই দেখতে পারবেন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪
জুন বলেছেন: আপনি যে তালিকা দিয়েছেন তাতে তো আমার ছোট্ট দুই অক্ষরের নামটি দেখতে পাচ্ছি না শামীম সরদার নিশু । চোখে হয়তো চালশে ধরেছে আমার
আবার আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৬২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫০
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: সুন্দর একটি পোস্ট। ভালো লাগলো।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫
জুন বলেছেন: ভিনদেশের এক যুগান্তকারী রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে লেখা পোষ্টটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ অতঃপর হৃদয় ।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
৬৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: অনেক পরে হলেও অনেক ভালো লাগা নিয়েই পড়লাম | অনেক ভাবনা মনে এলো | আপনার লেখাটা পরে তারচেয়েও বেশি এলো হতাশাগুলো | মনের এই অন্তহীন এই হতাশা তাড়াতে এখন অবশ্যই এক মহাযুদ্ধও করতে হবে | সেই যুদ্ধে জিততে হতে হবে মহাবীর আলেক্সান্ডার !! আপনার অসাধারণ সুন্দর লেখাগুলোর বেশির ভাগই আর পাখির আনন্দে পড়তে পারলাম না | পড়ে খুশিতে বাঁধাহীন আকাশে উড়তে পারলাম না | বারবাড় মাটিতে আছড়ে পড়লাম মনে হয় ! না না, আপনার দোষ নেই এতে একরত্তি|এটা মনে হয় আমাদের ভাগ্যের দোষ |
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭
জুন বলেছেন: আপনার এই গুনটির প্রশংসা করতেই হবে মলাসইল্মুনা যে কোন একটি লেখার লিংক দিলে আপনি খুব দ্রুত রিএক্ট করেন। অর্থাৎ সাথে সাথে সেটা আপনি পড়তে বসে যান। খুব ভালোলাগলো আমার এই পুরনো পোষ্টে আপনার সুচিন্তিত একটি মন্তব্য পেয়ে। সত্যি বাধাহীন ওড়ার ক্ষমতাই।যে আমাদের নেই। ডানা কেটে ফেলেছে তাই বার বার স্বভাবগত ভাবে ঝাপ্টে উঠেও মাটিতে আছড়ে পরা ছাড়া গতি নেই আমাদের।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
৬৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনাকে একটা কথা জানাতেই ভুলে গেছি | প্রধানমন্ত্রী থাকসিন যে রাজা ভূমিবলের সামনে যেয়ে (মাটিতে বসে সম্ভবত) মাথা নুইয়ে ক্ষমা চেয়েছিলো তার একটা ভিডিও আমি কোথায় যেন অনেক দিন আগে দেখেছিলাম | তখনও নিউজটা দেখে আমার খুব অবাক লেগেছিলো | এভাবে একজন প্রধানমন্ত্রীকে রাজার সামনে বো ডাউন করতে দেখে! আমার ধারণা সেই সাথে কিছু আর্মি অফিসিয়ালও সেখানে ছিল ক্ষমা চাইবার জন্য | আপনার লেখা পরে অনেক কিছু জানা হচ্ছে | ভালো থাকবেন |
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০
জুন বলেছেন: রাজার সামনে মাথা নীচু করাটা সেখানে একটি প্রথাই বলতে পারেন। ভুমিবলের আগে যেসব রাজারা ছিল তারাও সাংঘাতিক রকম দেশপ্রেমী। তবে ভুমিবলকে তারা জাতির পিতা এবং দেবতার অংশ মনে করতো। তার উপরে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি দেখলে বুঝতে পারতেন সে তার জনগনের উন্নতির জন্য বছরের পর বছর দিন রাত কি অমানুষিক পরিশ্রম করেছে। থাকসিন কেনো ওদের দেশে এমন কোন ব্যাক্তি নেই যে রাজার সামনে হাটু গেড়ে বসেনি। এমনকি শেষ পিএম ইংলাক সিনাবাত্রাও। আর্মি অফিসাররাতো এই আন্দোলনের পরে রাজার ডাকে হাটু গেড়ে বসে তার আদেশ শিরোধার্য করে দেশত্যাগ করেছে।
কয়েক বছর আগে শিয়াম স্টেশনের কাছে বোমা বিস্ফারণ এ কিছু মানুষ মারা গিয়েছিল যার মাঝে অপরাধিরাও ছিল। আমার পরিচিত থাই মেয়েটা রাজার মৃত্যুর পর এই ঘটনা আমাকে বলে চোখ মুছতে মুছতে বলেছিল," আওয়ার কিং ক্রাই"। মামা উনি বলেছেন "খারাপ হলেও ওরাতো আমারই সন্তান "। তার কান্নটাও সাধারন থাইবাসীদের কাছে অনেক কষ্টের। আমরা এমন কোন নেতা কবে পাবো যিনি দেশের সবাইকে তার নিজ সন্তানের মত দেখবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ