নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিয়াং- মাই থেকে এক উষ্ণ প্রস্রবনে

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪


দুরন্তবেগে আকাশপানে উঠে যাওয়া এক উষ্ণ প্রস্রবন
আধো ঘুম আধো জাগরনের পর যখন খুব ভোর সকালে ঘুম ভাংলো আর সাথে সাথে চোখ গেলো জানালায় । জানালার কাঁচ নামাতেই চোখে পড়লো অপরূপ এক প্রকৃতির দিকে। সে যে কখন গা থেকে অন্ধকারের চাদর ফেলে হালকা এক কুয়াশার শাল মুড়ি দিয়ে ছুটে চলেছে আমাদের ট্রেনের দুপাশ ঘেষে ঘুমের ঘোরে তা টেরই পাইনি ।

ট্রেনের জানালা থেকে সেই পাহাড়ি ঝিরি
এরই ফাঁকে ফাঁকে ডাইনে বায়ে কিছু পাহাড়ী ঝিরি চোখে পড়লো যা হয়তো চিয়াং মাই এর বিখ্যাত ঘোর বর্ষায় দুকুল ছাপিয়ে যায়।এখন শুকনোর দিন বলে পায়ের গোড়ালি ভেজানো নীলাভ সবুজ কিছু পানি এ খাদ থেকে সে খাদে লাফিয়ে লাফিয়ে চলছে।
সারি সারি পাহাড়ের মাঝ দিয়ে সাপের মত একে বেকে ছুটে চলেছে আমাদের ট্রেন। গন্তব্যে পৌছাতে তার এখনও ছয় ঘন্টা বাকি।

দূরে রঙ্গীন পাতায় ঢাকা পাহাড়
বর্নিল রঙীন পাতায় ঢাকা পাহাড়গুলোকে বেশ মোহনীয়ই লাগছে। এদের বেশিরভাগই আমার পরিচিত গাছ গাছালি যেমন সেগুন, মেহগনি, শাল ছাড়াও বিভিন্ন কাঠের গাছ।আর তারই ফাঁকে আগুন ছড়ানো পলাশ আর শিমুল ফুটে থাকা গাছগুলো যেন আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে এই ভিন দেশেও বসন্ত এসেছে । রেলপথের দুপাশে বাঁশের ঝাড় থেকে শুরু করে জংলীগাছের ঝোপ সবই আমাদের দেশের মতই বড্ড চেনাজানা মনে হলো। পথের পাঁচালীর সেই অপুর মত প্রকৃতিতে মুগ্ধ আমি শুধু একাই নই, বগির অন্য যাত্রীরাও নির্বাক কেউবা ছবি তুলে নিচ্ছে অবিরত।

এই দৃশ্য দেখলে কে ভাববে আমাদের দেশ থেকে হাজার মাইল দুরের এক দেশ।
ট্রেনটি এক্সপ্রেস হলেও যাত্রী ওঠা নামার জন্য প্রায় অনেক স্টেশনেই কয়েক মিনিটের জন্য থামছিলো। আবার কখনও প্লাটফর্মের বাইরে থেমে সুপার ফাস্ট স্পেশাল ট্রেনগুলোকে পাস করার সুযোগ দিচ্ছিল। সুউচ্চ পাহাড় ভেদ করে চিয়াং মাই শহরে যেতে হলে আপনাকে ছোট বড় দুটো টানেল পার হতে হবে। সেই ঘোর ভুতুড়ে অন্ধকার বড় টানেলের(১.৩ কিঃমিঃ)ভেতর ট্রেনটা প্রবেশ করা মাত্রই প্রচন্ড গম গম আওয়াজ করে উঠলো।বহুবার টানেলের ভেতর দিয়ে পাহাড় পেরিয়ে যাবার অভিজ্ঞতা থাকলেও বের হয়ে ঐ পাশে আলো না দেখা পর্যন্ত আমার কেমন জানি দম বন্ধ হয়ে আসে।

অচেনা এক ছোট্ট ট্রেন স্টেশন
পাহাড় থেকে বেরিয়ে এবার সমতল আর রেল লাইনের দুপাশ জুড়ে বিস্তীর্ন এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে ফলের বাগান।এদের মাঝে মুকুলে ছেয়ে থাকা আমাদের চির পরিচিত আম আর লিচু গাছও নজরে এলো। জনমানব শুন্য এতাটা পথ পেরিয়ে আসার পর ছোট একটা নদী,বিচ্ছিন্ন দু একটা বাড়ী-ঘর, পথ ঘাট আর পথিক মিলিয়ে ধীরে ধীরে একটি লোকালয়ের অবয়ব ফুটে উঠলো।


দুরের ঐ যে ঐ সেতুটি পেরিয়ে গেলেই চোখে পড়বে লোকালয়

ঠিক সাড়ে এগারোটায় আমাদের ট্রেন এসে পৌছালো চিয়াং মাই এর প্রধান রেল স্টেশনে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ছিমছাম সেই স্টেশন থেকে বেরিয়ে যাত্রীরা যে যার মত রওনা দিচ্ছে। আমরাও বের হয়ে এসে দেখি ব্যাংককে আমাদের অতি পরিচিত সেই সবুজ-হলুদ বা গোলাপী রঙ্গা কোন মিটার ট্যাক্সি ক্যাবই নেই, নেই সেদেশের বিখ্যাত টুকটুক।


আমাদের টেম্পু,স্থানীয় ভাষায় যার নাম ‘songtaews’

তার বদলে সামনের চত্বরে বোঝাই হয়ে আছে লাল রঙ এর বেশ বড় সাইজের অনেকগুলো টেম্পু, একে স্থানীয় ভাষায় বলে ‘songtaews। এগুলো কি ভাবে ভাড়া করতে হয় এনিয়ে যখন দুজন ভাবছি সে সময় এক জন এগিয়ে এসে জানতে চাইলো আমরা কোথায় যাবো? হোটেলের ঠিকানা দিতেই সে আমাদের অমন একটা টেম্পুতে উঠিয়ে দিল।আমাদের দুজনকে নিয়েই হোটেলের দিকে রওনা হলো, ভাড়া মাথা পিছু ৫০ বাথ।

রাতের আলোয় সেজে আছে চিয়াং মাই এর বিখ্যাত নাইট বাজার

আমাদের হোটেলটি ছিল শহরের যাকে বলে প্রান কেন্দ্র একেবারে নাইট বাজারের পাশেই। বিগত দিনের কিছু নীরস অভিজ্ঞতা থেকেই শহরের প্রানকেন্দ্রে হোটেল নির্বাচন। চেয়ে দেখি চারিদিকে শ্বেতাংগ ট্যুরিষ্ট গিজ গিজ করছে, কেউ সপরিবারে কেউবা একা অথবা সংগী সহ। কিছু কিছু ব্যাগপ্যাকার্সদের পোশাক- আশাকে মনে হবে আমি কলকাতার সাদার স্ট্রীটে আছি। তবে পথে ঘাটের পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে আকাশ পাতাল তফাত এই যা। আমাদের কল্পনায় ছিল পুরো চিয়াং মাই শহরটি বুঝি পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বসানো। কিন্ত না, অনেক পাহাড় পাড়ি দিয়ে আসলেও পুরো শহরটি একেবারেই সমতলে।তবে শহরের চারিদিকে তাকালে দূরে আবছা মত পাহাড় দেখা যায়।

নীচে উপত্যকায় ঘন কুয়াশায় দেখা যাচ্ছে এক সময়ের বিখ্যাত লান্না রাজ্যের রাজধানী চিয়াং মাই ।

হোটেলে আসতে আসতে সোয়া বারোটা বাজায় সাথে সাথেই রুম পেয়ে গেলাম। বিখ্যাত হোটেল মোটেল বুকিং কোম্পানী বুকিং ডট কমের সদস্য হওয়ায় ছাড় পেয়ে ভাড়া প্রতি দিন ১০০০/= বাথ ঠিক হলো। সাত দিনের জন্য নেয়া হলো সাত হাজার বাথে। হোটেলটি একদমই নতুন এবং আধুনিক কিন্ত থাকার জন্য আরামদায়ক নয়। স্যুটকেস রেখে রুমে রাখা চা কফি খেয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হোলাম খাবারের খোজে। হোটেলের গার্ড আমাদের পোশাক দেখেই জানালো ডান দিকে গেলেই একটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট আছে।


সোমতাম , চিকেন ফ্রাই ও স্টিকি রাইস
আমরা সেই রেস্তোরা খুজে না পেয়ে ছোটখাটো একটা থাই খাবারের রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়লাম।আমি বেশী ঝামেলায় না গিয়ে কাঁচা পেপের সালাদ সোমতাম অর্ডার করলাম। সাথে ফ্রাইড চিকেন আর স্টিকি রাইস “খাও নিয়ে”।ব্যাংককের চেয়ে এখানে সব কিছুরই দাম কম মনে হলো। আর একটা সুবিধা পর্যটনের শহর হওয়াতে এখানে সবাই মোটামুটি ভালো ইংরাজী বলতে পারে, ব্যংককের অবস্থা না।
আমাদের হোটেলের পাশেই তিন চারটা মানি এক্সচেঞ্জ এবং ট্যুর অপারেট এর অফিস ।

হোটেলের পাশে পাতার ফাকে ফুটে থাকা লাল ফুলটি নাকি রুদ্র পলাশ
থাইল্যান্ডে বেশিরভাগ ব্যবসাই পরিবার কেন্দ্রিক। রেস্তোরা থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই স্বামী, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, মেয়ের জামাই সবাই মিলে ব্যাবসা পরিচালনা করে। মা বোন রান্না করছে, ভাই পরিবেশন আর বাবা ক্যাশ বাক্স সামলাচ্ছে। এখানেও দেখলাম মহিলারা ডেস্কে বসা কাস্টমারের সাথে লেনদেন করছে আর স্বামী বা ছেলেরা হয়তো নিজস্ব গাড়ী/ভ্যান নিয়ে পর্যটকদের ঘুরিয়ে আনছে বিভিন্ন স্পট থেকে।

গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গালের এক ছোট্ট কফি শপ
এক ট্যুর কোম্পানীর সাথে আলাপ হলো কি কি দেখার আছে আর আমরা কি দেখতে পারি। আমার সহ-পর্যটক এখানে আসার আগেই ঘোষনা দিয়েছিল যে সে থাইল্যান্ডের একেবারে উত্তর সীমান্ত ঘেষা পাহাড়ী শহর চিয়াং রাই যাবে আর বিখ্যাত গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল এলাকাটি দেখবেই দেখবে। আমি যদি না যাই তবে যেন হোটেলে বসে থাকি।

এই বিড়ালটি যেমন বসে আছে ক্যাট ক্যাফের মেনু বই এর উপর, তেমনি যেন ঘরে বসে থাকি
পাহাড়ের পাক-দন্ডী পথে চক্কর দিতে দিতে ২৫৬ কিঃমিঃ দূরের সেই চিয়াং রাই যেতে হবে ভেবে আমার ভেতরটা শুকিয়ে উঠলো। মনে পড়লো ভুটানের কথা, এমন পাহাড়ি পথে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি পুনাখা পার হয়ে ওয়াংডি পৌছানোর পর। যার জন্য চুড়ান্ত গন্তব্য সেই পবজিখা যেখানে রয়েছে হাজারো রংগের রডোড্রেন্ডন ফুল আর তিব্বত থেকে উড়ে আসা ব্ল্যাক নেক ক্রেইন এর নাচ না দেখেই ফিরে এসেছিলাম তিনজন মাথাপিছু ৭৪ ইউএস ডলার গচ্চা দিয়ে।

পাহাড়ী পথে ঘুরে ঘুরে ওঠা
আমার ভয়ের কথা শুনে ভদ্রমহিলা জানালো চিয়াং রাই যাবার সেই পীচ ঢালা হাইওয়ে নাকি খুবই সুন্দর, মসৃন আর চওড়া । আকাবাঁকা পথ থাকলেও তা টের পাওয়া যায় না। শুনে রাজী হোলাম, না হলে সারা জীবন আমার হয়তো একটা আফসোসই থেকে যেত।
সকাল সাড়ে সাতটায় রওনা দিয়ে রাত আটটায় ফিরে আসা এর মাঝে বিভিন্ন সাইট সিয়িং প্রোগ্রাম মাথা পিছু টিকিট ৮৫০ বাথ। লাঞ্চ সহ একটি মন্দিরে ঢোকার ৫০ বাথের টিকিট এতে অন্তর্ভুক্ত। আগামীকাল সকাল সাতটায় ভ্যান আসবে আমাদের হোটেল থেকে তুলে নিতে। আমরা যেন লাউঞ্জে রেডী থাকি। হাই এস বা টয়োটা এমন বিভিন্ন কোম্পানীর লাক্সারী মাইক্রোবাসগুলো থাইল্যান্ড, ক্যাম্বোডিয়ায় ভ্যান নামে পরিচিত।

১২৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত উত্তর থাইল্যান্ডের বিখ্যাত লান্না রাজত্বকালে নির্মিত দেয়ালের ধ্বংসাবশেষ।

পরদিন ঠিক সময়ে ভ্যান এসে হাজির। ড্রাইভার লিষ্ট দেখে নাম ধরে ডেকে নিল আমাদের। ড্রাইভার আর একটি অল্প বয়সী মেয়ে গাইড ছাড়া গাড়ীতে আমরা বিভিন্ন দেশের মোট তের জন পর্যটক ছিলাম। গাড়ী চলতে শুরুর সাথে সাথে গাইড পানিতা সামনের সিট থেকে মাথা ঘুরিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে সবার সাথে পরিচিত হলো,সেই সাথে আমাদের ট্যুর প্ল্যানটাও জানিয়ে দিল।

দেয়াল ঘেরা চিয়াং মাই শহরের দেয়ালগুলো মাঝে মাঝে ভেঙ্গে পড়লেও সংস্কারের ফলে গেটগুলো অটুট।
ঝকঝকে নীল আকাশ সুন্দর দিনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে একদা গৌরবময় লান্না রাজত্বকালের নিরাপত্তা দেয়ালবেষ্টিত শেষ রাজধানী চিয়াং মাই শহর থেকে বের হয়ে আসলো আমাদের বাস। দক্ষ চালক চলতে শুরু করলো চার লেনের চওড়া এক মসৃন ঝা চকচকে পথ ধরে। চারিদিকে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। দুপাশে হাল্কা থেকে গাঢ় সবুজবনে ছাওয়া পাহাড়ের পর পাহাড় পার হয়ে চলেছি।

এখনো অনেক পথ বাকি বহু দূর দূর যেতে হবে ।
পাহাড় পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাবার জন্য সেই সমতল রাস্তায় এত বড় বড় বাঁক নিয়ে ঘুরে ঘুরে উঠছি যে টেরই পাইনি আমরা কখন এত উপরে উঠে গেছি।আবার একটু পর পরই নেমে আসছি সমতলে। দ্রুতগামী সেই ভ্যানের জানালা দিয়ে দেখতে পাচ্ছি রাস্তার দু পাশে ছোট ছোট ছাপড়া দোকানে স্থানীয় পাহাড়ী জনগোষ্ঠী তাদের উৎপাদিত ফল বিক্রী করছে।যার মধ্যে আনারসটাই নজরে পড়লো বেশি।

পথের ধারে এমন করে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন ফল
আমাদের প্রথম গন্তব্য হলো চিয়াং মাই থেকে ৬৫ কিলোমিটার দুরত্বের এক প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবন যা গাইড আগেই জানিয়েছিল। সেই বহু আগে ঊষ্ণ প্রস্রবন সম্পর্কে পড়েছি ন্যাশনাল জিওগ্রাফি বইতে। আর সেটা ছিল আমেরিকার ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক যার বিবরণ ছাড়াও ছবি দেখেই মুগ্ধ হয়েছিলাম। সে সময় টিভিতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফী চ্যানেল ছিলো না। ইয়েলোস্টোন না হলেও কোন এক উষ্ণ প্রস্রবন আমি স্বচক্ষে দেখবো ভাবতেই উত্তেজনা বোধ করছি।

এই সেই প্রাকৃতিক ঊষ্ণ প্রস্রবন
এক ঘন্টার একটু বেশী চলার পর আমাদের যাত্রা পথ ১১৮ নম্বর মহাসড়কের বাঁদিকে এক খোলা চত্বরে ভ্যান থামলো। চত্বরে প্রবেশের মুখেই চারিদিক শিলা পাথরে বাধানো স্বপ্নের সেই ঊষ্ণ প্রস্রবন যার উপরে ঝোলানো কাঠের সাইনবোর্ডে নাম লেখা Thaweesin Hot Spring”।

Thaweesin Hot Spring”
এখানে সময় পনের মিনিট কারন আমাদের শেষ গন্তব্য গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল যে আরো প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দূরে। এই পথের দু পাশেই অনেক উষ্ণ প্রস্রবন রয়েছে তবে পর্যটক-বান্ধব বলে বেশিরভাগ ট্যুরিষ্ট কোম্পানী তাদের অতিথিদের এখানেই নিয়ে আসে। তাড়াতাড়ি বাস থেকে নেমেই দৌড়ে গেলাম সেই ফোয়ারার কাছে। বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখলাম খানিক পর পরই ফোয়ারা থেকে বাস্প সহ গরম পানি তীব্র গতিতে আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে, যার উষ্ণতা প্রায় ৯৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

বাস থেকে নেমেই উপর থেকে নেমে আসা উষ্ণ প্রস্রবনের দিকে এগিয়ে চলেছে সবাই
এখানে পর্যটকদের জন্য প্রধানত তিনটি আকর্ষনের মাঝে প্রথম হলো উষ্ণ প্রস্রবনের পানিতে এক মিনিটে সেদ্ধ করা ডিম। বাস থেকে নামার সাথে সাথেই আমাদের দিকে এগিয়ে আসলো স্থানীয় পোশাকের কিছু মেয়ে, তাদের হাতে একটি লাঠি আর তার ডগায় ছোট ছোট ঝুড়ির ভেতর মুরগী আর কোয়েলের ডিম। দরিদ্র পরিবারের সেই মেয়েগুলো ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরাজীতে জানালো আমরা চাইলে দু মিনিটের মধ্যে গরম ঝরনার জলে এই ডিম সেদ্ধ করে দেবে। অনেকেই শুধু পদ্ধতিটি দেখার জন্য তাদের কাছ থেকে ডিম কিনছিল ।

উষ্ণ প্রস্রবনের পানিতে ডিম সেদ্ধ হচ্ছে ।
আমরাও কিছু কোয়েলের সেদ্ধ ডিম কিনে সামান্য এগুতেই দেখি দ্বিতীয় আকর্ষন ফুট স্পা অর্থাৎ গরম পানিতে পা চুবিয়ে বসে আছে কিছু নারী পুরুষ। পশ্চিম বিশ্বের শেতাংগ পর্যটক ছাড়াও বেশিরভাগই ছিল চীনা আর জাপানীজ পর্যটক। থাই বা কোরিয়ান ছিল কি না বুঝতে পারি নি । আর আমরা দুজনাই তৃতীয় বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করছিলাম।

ফুট স্পাতে পর্যটক
সবুজ পাহাড়ের দিক থেকে নেমে আসা প্রচুর সালফার সমৃদ্ধ ঝরনার কুসুম কুসুম সেই গরম জলে পা চুবিয়ে বসে থাকার ব্যাপারটি বেশ আকর্ষনীয়ই মনে হচ্ছিল । কিন্ত স্নিকার পরা থাকায় দ্বিতীয় আকর্ষনও আমার কাজে লাগলো না,কে জুতা মোজা খুলবে আবার পড়বে! এ ছাড়াও রয়েছে ফিস স্পা ।একুরিয়াম বোঝাই ক্ষুদে মাছ, আপনি পা চুবিয়ে বসে থাকলেই হলো, মাছরাই চেটেপুটে খেয়ে করে দেবে আপনার পাকে ঝকঝকে তকতকে। সময় কম তাই সেটাও বাদ গেলো ।

স্যুভেনীর শপ
আর তৃতীয়ত হলো স্থানীয় স্যুভেনীরের দোকানগুলো থেকে কেনাকাটা। স্থানীয় নকঁশায় পাহাড়ী জনগনের হাতে তৈরী বিভিন্ন জিনিস ছাড়াও রয়েছে চিয়াং মাই এর বিখ্যাত খাঁটি রূপোর গহনা আর ঘর সজ্জার সম্ভার।স্যুভেনীর আর কিনবো না বলে পণ করেছি। রাখার জায়গা নেই ঘরে,তাই আর ঐদিকে গেলামই না।

কফি খাবার পালা
প্রিয় ভুট্টা সেদ্ধ দিয়ে নিয়ে অগত্যা গিয়ে বসলাম এক কফি শপে নাম সাবাই কফি শপ। উত্তর থাইল্যান্ডের পাহাড়ী জনগোষ্ঠী যারা এক সময় পপি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতো রাজা ভুমিবলের অক্লান্ত চেষ্টায় বদলে যাওয়া সেই আদিবাসীরা রয়েল প্রোজেক্টের সহায়তায় উৎপাদন করছে বিশ্বখ্যাত এরাবিকা কফি । সেই অসাধারন ফ্লেভার যুক্ত কফির স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে আমার।

হট স্প্রিং চত্বরের এক পাশে রয়েছে খেমার নকশায় তৈরী মন্দির ।
পনেরো মিনিট শেষ হলো আমরা আস্তে আস্তে ভ্যানে গিয়ে বসলাম। আবার চলা শুরু হলো । এবারের গন্তব্য ওয়াট রঙ খুন বা হোয়াইট টেম্পল যার বিস্তারিত বর্ননা আমি আগের পোষ্টে দিয়েছি। তাই আর পুনরুক্তি করলাম না । তারপর আছে লম্বা গলার কায়ান মেয়েদের গ্রাম সহ আরো অনেক কিছুই । সাথে থাকবেন আশাকরি ।

ছবি :- ফলের ছবিটি নেট থেকে বাকি সব আমাদের ক্যামেরা আর মোবাইলে ।

মন্তব্য ১১১ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (১১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দারুন পোষ্ট

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ফরিদ আহমদ চৌধুরী ।
সাথে থাকবেন আগামীতেও ।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখলাম খানিক পর পরই ফোয়ারা থেকে বাস্প সহ গরম পানি বাস্প তীব্র গতিতে আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে, যার উষ্ণতা প্রায় ৯৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

অবিশ্বাস্য উষ্ণতা!

আনারসগুলো খেতে কেমন? খেয়েছেন কী?

চমৎকার ছবিগুলোর সাথে সাবলিল ভ্রমণ কাহিনী। ধন্যবাদ বোন জুন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২১

জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ হেনা ভাই এত আন্তরিক মন্তব্যটুকুর জন্য । থাইল্যান্ড আমাদের ঘরের কাছের দেশ । কিন্ত তারা জানে না কি ভাবে ফল ফসলে রাসায়নিক মেশাতে হয় । বেশিরভাগ থাইরাই অত্যন্ত নীতিপরায়ন যা ছোটবেলা থেকেই তাদের স্কুলের কারিকুলামে থাকে । আর সরকার থেকেও এ ব্যাপারে কঠোর নীতিমালা রয়েছে এবং তা বাস্তবায়িতও হচ্ছে ।
প্রচুর আনারস খেয়েছি ভাই । ঐ হট স্প্রিং এ বসেই ।
আপনার জন্যও রইলো অন্তর থেকে শুভকামনা যেন সুস্থ আর ভালো থাকেন ।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: অাপুনি, অাপনি কি শুধু ঘুরেই বেড়ান?

অনেক চমৎকার +

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

জুন বলেছেন: কি যে বলেন সামিউল বাবু ! কোথায় আর ঘুড়ে বেড়াই আমি !
মজার একটি প্রশ্ন সম্বলিত মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে :)

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,





উষ্ণ প্রস্রবনের মতোই ওম তোলা । রুদ্র পলাশের মতোই বর্নিল বর্ণনা । লেখা আর ছবিতে মন ভেজানো " স্পা" ।

তবে , প্রস্রবনের পানি ক্লোরিন না কি সালফার সমৃদ্ধ হবে ?
ভালো লাগলো ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

জুন বলেছেন: আপনার রঙ ঝলমলে মন্তব্য ও ভালোলাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
ঠিক করে দিয়েছি ভুলটুকু। ধরিয়ে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা ।

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমিও যেন ঘুরছিলাম আপনার সাথেই । দেখছিলাম আপনার চোঁখে দেখা অপূর্ব সেই সব দৃশ্য। যাক অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে যে ২য় পর্ব দিলেন তার জন্য ধন্যবাদ। ছবি গুলি অনেক সুন্দর হয়েছে ।
পরের পর্ব নিশ্চয় তাড়াতাড়িই পাব। সময় আর সমর্থ থাকলে শুধু ঘুরেই বেড়াতাম মনে হয়। আপনার লেখা পড়ে জুন আপু আপনাকে দেখার ইচ্ছেটা মনে জেগেছে। তবে আমার মনে হয় আপনি আমাদের সামনে সহজেই ধরা দিবেন না। যে কারনে আপনার ছবি পোষ্টে একটিও নেই । ভাল থাকুন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

জুন বলেছেন: ভাই মোস্তফা সোহেল প্রচন্ড ব্যাস্ততার মাঝেও লিখছি যখন শুরু করেছি চিয়াং মাই নিয়ে লেখাটি। শুরু না করতাম তাহলে হয়তো আর লিখতাম না । তাই কিছু ছোট ছোট ভুল হয়ে গেছে। যেমন আমি জানি ঐ পানিতে সালফার থাকে , লিখেছি ক্লোরিন । এমনিতর অনেক কিছুই হয়তো পাওয়া যাবে । শুদ্ধ করে দিয়েছি ।
জী পরের পর্বগুলো তাড়াতাড়ি দিতে চেষ্টা করবো । সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশাটুকু রইলো ।
শুভকামনা অজস্র :)

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: জানালার কাচ নামাতেই চেয়ে পড়লো অপরূপ এক প্রকৃতির দিকে।জুন আপু চেয়ে এর স্থানে কি চোঁখ হবে না?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

জুন বলেছেন: ঠিক করে দিয়েছি মোস্তফা সোহেল । ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ।

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

পুলহ বলেছেন: "ব্যাংককের চেয়ে এখানে সব কিছুরই দাম কম মনে হলো।"-- পর্যটন শহর অথচ দাম কম ! আর আমাদের কক্সবাজার। পর্যটন শহর হওয়াতেই তো মনে হয় সেখানে সবকিছুর এতো দাম...
হট স্প্রিং এর উষ্ণতা তো অনেক বেশি !! ফুট স্পা কি সে হট স্প্রিং এর পানি 'প্রসেস' করেই দেওয়া হয়? যদিও আপনি লিখেছেন "সবুজ পাহাড়ের দিক থেকে নেমে আসা প্রচুর ক্লোরিন সমৃদ্ধ ঝরনার কুসুম কুসুম সেই গরম জলে পা চুবিয়ে বসে থাকার ব্যাপারটি বেশ আকর্ষনীয়ই মনে হচ্ছিল", তারপরো আমার নিজের কনফিউশন ক্লিয়ার হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করলাম।

বগা লেকে পা ডুবিয়ে বসে থাকলেও মাছ এসে খুটাখুটি শুরু করে। তবে এটাকে যে ফিস স্পা বলে সেটা জানতাম না। টেম্পু আর songtaews এর মত অবস্থা আর কি !! হা হা...
সেদিন আল জাজিরায় দেখছিলাম এরকম হট স্প্রিং ব্যবহার করে স্থানীয়রা কিভাবে কেক বানায়- সেটা। সম্ভবত ককেশীয় অঞ্চলের কোন এক দেশ নিয়ে দেখাচ্ছিলো, ঠিক মনে নেই এখন আর।
ছবির চেয়েও আপনার বর্ণনা সুন্দর জুন আপু। অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। সম্ভবত প্রকৃতির সৌন্দর্য পূর্ণাংভাবে বোঝার জন্য দর্শনেন্দ্রিয়টাই যথেষ্ট নয়, হৃদয়দৃষ্টিরও প্রয়োজন। আর আপনার এই লেখাই তার প্রমাণ....
শুভকামনা জানুন !

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

জুন বলেছেন: পুলহ তারা একদিনের ব্যবসা করতে আসেনি আমাদের মত । তারা একটি কাষ্টমারকে ধরে রাখতে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা করে। সততা বেশিরভাগ থাইদের মজ্জাগত । সকালে নাস্তা খেতে বের হয়েছি গার্ড দেখিয়ে দিল এক ৫ তারকা হোটেলের রেস্তোরা । আমি একটু ইতস্তত করছিলাম । কিন্ত তাদের মেনুতে লেখা দাম দেখে সত্যি বিস্মিত হই । তাছাড়া ফুটপাথ থেকে বড় রেস্তোরা প্রতিটিতেই আপনি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা আর স্বাস্থ্য সম্মত খাবার পাবেন ।
ফুট স্পা র পানি যতটুকু দেখলাম মনে হলো না প্রসেস করা । কারন সেটা তো পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে খোলা আকাশের নীচ দিয়ে নেমে আসছে। এতে পানি ৮৫/৯৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকার কথা না ।
ভারতের মানালীতেও এক মন্দিরে দেখেছিলাম সাধুদের ভাত রান্না করতে । কিন্ত পানি উপরের দিকে উঠতে দেখি নি ।
ছবি ভালো হবে কি করে বলুন ? আমিতো এডিট ও করি না আর ভালো ক্যামেরাও ওজনের জন্য ইদানীং আর ব্যাবহার করি না আর পাহাড়ী এলাকার বেশিরভাগই ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন।। ছোট্ট ক্যানন ক্যামেরা আর মোবাইলে কি আর ভালো ছবি উঠবে। তাই লেখায় পুষিয়ে দিতে চেষ্টা করি । জানি এটা অনেকের চোখে ধৃষ্টতা ।
তবুও যে সাথে থাকেন, নাক উচু করে চলে না গিয়ে মন্তব্য করে যান তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো ।

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

সামিয়া বলেছেন: অসাধারণ ভ্রমন ব্লগ। আপু আপনার লাইফ তো বেশ এডভেঞ্চারের। কাশ আমি এরকম ঘুরতে পারতাম!! :(

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

জুন বলেছেন: আমার অতি সাধারন একটি লেখাকে অসাধারন বলেছেন কারন আপনার অসাধারন একটি মন রয়েছে তার জন্য ইতি সামিয়া ।
এডভেঞ্চার ! হতেও পারে আসলে ঠিকঠাক বুঝতে পারি না ।
ঘুরবেন অবশ্যই শুধু একটু ইচ্ছার দরকার :)
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অসাধারণ একটা পোষ্ট। ভ্রমণ বৃত্তান্ত আর সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো মনোমুগ্ধকর। অনেক অনেক ভালো লাগা রইল আপু।

শুভকামনা সবসময়।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

জুন বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন লেখাটি অসাধারন কি না জানি না তবে আপনার মন্তব্যটি আমার কাছে অনেক আন্তরিক মনে হলো ।
শুভকামনা সবসময় আপনার জন্যও ।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

লেখা পাগলা বলেছেন: অসাধারণ একটা পোষ্ট। শুভকামনা সব সময়।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ লেখা পাগলা ।
আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা নিরন্তর।

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

পুলহ বলেছেন: আরেকটা জিজ্ঞাসা ছিলো- ফুট স্পা এর ছবিটাতে যে ভাষা দেখা যাচ্ছে, সেটা কি থাই ভাষা? মিয়ানমারের লেখ্য রূপও তো মনে হয় এরকমই অনেকটা। ওই ভাষায় কি আমাদের মত কার/ ফলা এর ব্যাপার আছে? নাকি ইংরেজির মত শুধু অক্ষর?
আপনার ভ্রমণ পোস্টগুলো শুধু প্লেজার রিডিং হয় না, অনেক কিছু জানা যায়- তাই বিরাট প্রশ্ন লিস্ট ফেদে বসলাম !

"ছোট্ট ক্যানন ক্যামেরা আর মোবাইলে কি আর ভালো ছবি উঠবে। "-- ওহ, হয়তো এটাই হবে কারণ। যদিও আমি ছবির টেকনিকাল ব্যাপার স্যাপার (লেন্স টাইপ, জুম) অত বুঝি না।

কিন্তু তাতে কি হয়েছে ! উপরের কমেন্টে যেটা বোঝাতে চেয়েছি, সেটা তাহলে আবারো বলি- স্রষ্টার তৈরি সৌন্দর্য অপরূপ আর প্রবল ঐশ্বর্যশালী। সেটাকে শুধু চোখে দেখে পরিপূর্ণরূপে অনুভব করা যায় না। বরং তার সাথে সাথে দরকার শৈল্পিক আর কাব্যিক এক হৃদয়দৃষ্টির....

সেই মহান স্রষ্টার পক্ষ থেকেই এ পোস্টের শ্রদ্ধেয় লেখককে যেরকম হৃদয়দৃষ্টি দান করা হয়েছে !

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

জুন বলেছেন: না পুলহ ওটা থাই ভাষা ।
মিয়ানমার দক্ষিন চীন, লাওস থাই সব ভাষার মধ্যে যোগসুত্র আছে। তবে থাই ভাষায় সবচেয়ে বেশি গৃহীত হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃত এবং পালি ভাষা । আর এর ঘটেছে সেদেশে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসারের পর থেকে ।
আপনাকে দুটো ছবি দেই তাহলেই পরিস্কার হবে ব্যাপারটি :)
เกลียดตัวเองที่ต้องมาขำอะไรแบบนี้เป็นบ้าเป็นหลัง นี่จะนอนอยู่แล้ว จากง่วงก็ตาสว่าง บ้าจริง ช่วยด้วย
এটা থাই ভাষা ।

এটা মিয়ানমারের ভাষা ।
আপনার প্রশংসা আপনার মনের উদারতাকেই তুলে ধরে পুলহ । অত্যন্ত আনন্দিত হোলাম আরেকবার আসায় ।
সাথে থাকবেন আগামীতেও সেই প্রত্যাশা করি :)

১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: অপু হয়ে পথের যে বর্ণনা দিয়েছেন, অসম্ভব ভালোলেগেছে । অন্যদেশে গিয়েও যখন নিজের দেশকে দেখা যায়, তার চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে? উষ্ণ প্রসবনে ঘোরাঘুরিটা সামুর পাতায় আমিও খুব উপভোগ করলাম!!!!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

জুন বলেছেন: অপু দুর্গা ছেলেবেলা থেকেই আমার মনে গেথে আছে । তারও আগে এক পাহাড়ী এলাকায় থাকার সুবাদে প্রচুর বুনো গাছ গাছালীর সাথে আমার খাতির ছিল শামসুল ইসলাম । তাই বার বার আমার বিভিন্ন লেখায় তারা ফিরে ফিরে আসে ।
আপনার মন্তব্যটিও মনকে আলোড়িত করে গেলো । আপনাকে ব্লগে কদিন ধরে নিয়মিত দেখে খুব ভালোলাগছে ।
সাথে থাকুন আগের মতই । শুভেচ্ছা সন্ধ্যার ।

১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ছবির সাথে সুন্দর বর্ণনা।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ অতঃপর হৃদয় ।

১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: আপনি পোষ্ট দেবার সাথে সাথেই খুলে বসেছিলাম পড়ার জন্য আর ভাবছিলাম ১ম কমেন্টস টা বোধ হয় আমারই হবে কিন্তু হঠাত অফিসের বিগ বস হট স্প্রিং এর মত এসে এক গাদা কাজ দিয়ে গেল সেটা করতে করতে এই অবসর পেলাম, যাক এক নিঃশ্বাসে পড়লাম, অনেক অনেক সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন, খুব ইচ্ছা হচ্ছে যেতে আর সেই অসাধারন পরিবেশে পা ডুবিয়ে বসে থাকতে, অনেক ভাল লাগল আপনার ধারা বিবরণী।
অপেক্ষায় থাকলাম কোন নতুন জায়গার কাহিনী শোনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

জুন বলেছেন: আপনি যে প্রথম কমেন্ট দিতে চেয়েছিলেন তা শুনেই ভালোলাগলো সঞ্জয় নিপু । নাইবা হলো প্রথম ১৪তমই বা খারাপ কি ? এসেছেন তো তাতেই আমি খুশী ।
আপনার ভালোলেগেছে জেনে আমারও অনেক ভালোলাগলো । খুব শীঘ্রই দেবো বাকি পর্বগুলো । দেশের বাইরে যাবার কথা খুব শীঘ্রি । কবে ফিরবো জানি না । তাই যাবার আগে চেষ্টা করবো পুরো চিয়াং মাই ভ্রমনটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তখন আবার বিরক্ত হবেন না যেনো :)
শুভকামনা রইলো আর সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা ।

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
অসাধারণ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা ! ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে সাথে বর্ণনাও।

শুভ কামনা রইলো আপু
ভালো থাকুন সবসময়......

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩১

জুন বলেছেন: পোষ্টটি ভালোলাগা ও সব সময় পাশে থেকে উৎসাহিত করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবির ।
শুভকামনা আপনার জন্যও আর ভালো থাকুন সব সময় ।

১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

ভিটামিন সি বলেছেন: সবই বোঝলাম কিন্তু সমস্যা হইল গিয়া, ওই দ্যাশে কোন নেতা নাই্!! এত গুলি ছবি দিলেন রাস্তার অথচ কোন ছবিতেই রাস্তার পাশে কোন নেতা, নেতার পোষ্টার, ব্যানার, প্যানা বা আগমনী শুভেচ্ছা কিছুই দেখলাম না। কোন বিশেষ দিবস উপলক্ষে অনেক নেতার তেলতেলামুখ সম্বলিত ইয়াবড় খোমা দেখলাম না। ওরা নেতার মর্ম বোঝে না, তাই ওদের দেশে নেতা জন্ম নেয় না। আঙগো দেশে লক্ষ লক্ষ নেতা, পায়ের নিচে পড়ে নেতা।

এমন ঝকঝকে রাস্তা কি আমাদের দেশে ও হবে??

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

জুন বলেছেন: কোন বিশেষ দিবস উপলক্ষে অনেক নেতার তেলতেলামুখ সম্বলিত ইয়াবড় খোমা দেখলাম না। ওরা নেতার মর্ম বোঝে না, তাই ওদের দেশে নেতা জন্ম নেয় না। :P
এমন ঝকঝকে রাস্তা কি আমাদের দেশে ও হবে??
এমন রাস্তা হলে দুদিন পর পর ভাঙা গড়ার খেলা চলবে কি করে :-*
আমার আর কিচ্ছু কৌয়ার নাই ভিটামিন সি ;)
অনেক অনেকদিন পরে এসে আপনার স্বভাবসুলভ এক মন্তব্য দেখে খুব ভালোলাগলো ।
আশা করি বরাবরের মতই সাথে থাকবেন আর পোষ্ট পাঠ মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ ।

১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে ভ্রমন বিবরণি ও সাথের ছবিগুলি । সবগুলি ছবিই ভাল লেগেছে । তবে আমার কাছে বেশ আকর্ষনীয় লেগেছে Thaweesin hot springs টি । এই উষ্ণ প্লশ্রবনটি সমর্কে আমার কিছু কৌতুহল ছিল অনেক আগে থেকেই । এ বিষয়টি সম্পর্কে আমার উত্তরের যাত্রা একটি পোষ্টে মন্তব্যের ঘরে আপনি উল্লেখ করেছিলেন থাইল্যান্ডে এমন গেইজার আছে সেখানে লোকজন গরম প্রশ্নবনে ডিম সিদ্ধ করতে পারে । সে সময়েই বিষয়টি সম্পর্কে আমার অনুসন্ধানে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য জানতে পেরেছিলাম , সেই জানাটুকুর কিছুটা এখানে শেয়ার করা হলো । থাইল্যান্ডে বর্তমানে যে কয়টি একটিভ উষ্ণ প্লশ্রবন আছে ( যদিও হটস্প্রীং ও গেইজারের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে তথাপী পর্যটকদের বুজার সুবিধার্থে এগুলির গেইজার হিসাবেও পরিচিতি রয়েছে) তার মধ্যে চিয়াংমাই হতে চিয়াং রাই যাওয়ার পথে এই পাকৃতিক গেইজারটি আপনি দেখেছেন শুনে ও তার দেয়া ছবি দেখে ভাল লাগল । এটা আসলেই থাইল্যন্ডের উষ্ণ প্রশ্নবন আছে এমন পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত একটি খুব সুন্দর উষ্ণ প্লশ্রবন( গেইজার) যা প্রায় ১৭৮ মিটর গভীর , পাকুতিক অবস্থায় এই গেইজারের উচ্চতা ৩৭ মিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা যায় । আপনি ঠিকই বলেছেন এর তাপমাত্রা সবসময়ই প্রায় ৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে । পাকৃতিক অবস্থায় এটা প্রায় ৩০ মিনিট অন্তর অন্তর উর্ধমুখী হয় এবং প্রতিবার প্রায় ৭-৮ মিনিট স্থায়ী হয় । তবে পর্যটকেরা এখন এই গেইজারের নাটকিপনা কান্ড কারখানা দেখতে পায়না বললেই চলে কারণ জানা যায় এটা এখন মেশিনের সাহায্যে র্নিয়ন্ত্রিত হয় যেন সর্বক্ষন একে উত্থিত অবস্থায় পর্যটকেরা দেখতে পায় । তবে পর্যটকেরা অনুরোধ করলে মেশিনকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে তাদেরকে পাকৃতিক ভাবে গেইজার থেকে উত্তপ্ত বাস্প উদ্গিরণের নাটুকে দৃশ্য দেখানো হয় বলেও জানা যায় । আপনারা যেহেতো দলে বেশ ভারী ছিলেন তাই অনুরোধে এর উদ্গিরনের পাকৃতিক দৃশ্যটিই দেখেছেন বলেই ধারনা করি। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় আপনারা বেশ সৌভাগ্যবান। :)

সেখানকার শপিং প্লাজাতেও খুব সুন্দর মুল্যবান জেমসস্টোন পাথর পাওয়া যায় , যা দেখতে খুবই সুন্দর । ঘরে জায়গা নেই বলে না কিনে কি ভুলটাই না করেছেন , কিনলে আমরা ভাল করে দেখতে পারতাম । পাথরগুলির এক্সক্লোসিভ ছবি দেখতে পারলে ভাল লাগত । এগুলির দাম কেমন জানতে পারলে একটি ধারনা পাওয়া যেতো । থাই শিল্পীদের হাতে সুচারুভাবে পলিশ করা এই মুল্যবান জেমস স্টোনগুলির একটি ভাল বিশ্ব সুনাম রয়েছে বলে জানা যায় ।

আপনার পরবর্তী পর্বে উপরের ছবিতে দেখানো এই মুল্যবান পাথরগুলি সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানালে ( যদি সম্ভব হয় ) খুশী হব ।

পোলস এন্ড ওভেন বাস্কেটে করে সেখানে ডিম সিন্ধ করার ছবিটিও বেশ উপভোগ্য মনে হল । আপনি সেখানে বাস্কেটে করে কোয়েল পাখীর ডিম সিদ্ধ করেছেন শুনে ভাল লাগল । শুনেছি ২ থেকে ৩ মিনিটেই নাকি ডিম সিদ্ধ হয়ে যায় , দারুন ইন্টারেস্টিং জিনিষ ।

অসাধারণ পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

জুন বলেছেন: অত্যন্ত তথ্য সমৃদ্ধ একটি বিস্তৃত মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন ডঃ এম আলী । আমি লেখাটি লেখার সময় আপনার কথাই বার বার ভাবছিলুম । আপনি এ সম্পর্কে লেখার ব্যাপারে আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে একাধিকবার উৎসাহিত করেছিলেন তা আমার মনে ছিল । জানিনা যথাযথ ভাবে তা লিখতে পেরেছি কিনা । অন্তর্জ্বাল থেকেও আপনি অনেক তথ্য দিয়েছেন যা আমার পোষ্টকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে।
আপনি বলেছেন মেশিনের সাহায্যে উষ্ণ প্রস্রবনের পানি উদ্গীরণ হয় । হতেই পারে কারন আমরা মাত্র ১৫ মিনিটে অনেকবারই এই দৃশ্য দেখেছি ।
আর শপিং প্লাজার মুল্যবান জেমসস্টোন আমরা অনেকবার দেখেছি। থাইল্যান্ডের বড় বড় শহর যেমন ব্যংকক পাতায়া আর ফুকেটে জেমস এন্ড জুয়েলারী গ্যালারীতে গিয়ে বিশাল বিশাল রুবি , নীলা পান্না, পোখরাজ এর পলিশ করা টুকরা আর গয়না দেখে আমার চোখ ধাধিয়ে গেছে । ওগুলো মনে হয় বিলিওনিয়াররাই কিনতে পারে ।
আর আপনি যে স্টোনের ছবিগুলো দিয়েছেন তার গয়না আমি কিনি নি বটে তবে আমার পতিদেবতার প্রচন্ড শখ ছোট ছোট হাতী সংগ্রহের । তার বিশাল হাতীর সম্ভার থেকে আপনার জন্য বেছে মাত্র কয়েকটা দিলাম । দেখেনতো এর ভেতর আপনার পাথরগুলো আছে কি না ?

উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম :)
শুভেচ্ছা জানবেন সকালের ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১০

জুন বলেছেন:
আরেক এঙ্গেল থেকে একই পাথরের হাতিদের আরেকটা ছবি দিলাম । গহনার জন্য তৈরী নয় বলে পলিশ আপনার দেয়া ছবির মত ঝকঝকে দেখা যাচ্ছে না । তাছাড়া ভালো ক্যামেরাম্যানও নই :(

১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

রাতু০১ বলেছেন: শুধু উষ্ণতার জন্য। :D

দারুন পোষ্ট ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে রাতু০১ ।
অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টটি দেখা ও মন্তব্যের জন্য ।
সাথে থাকবেন চিয়াং মাই ঘুর ঘুর পর্যন্ত এই প্রত্যাশায় :)

১৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
খুব ভাল লাগল আপু । ভ্রমন বিবরণির সাথের ছবিগুলি অনেক সুন্দর হয়েছে।

তবে আমার কাছে গৃহেই বিরাম, গৃহেই আনন্দ, গৃহেই আমার সাথে আমারই সুখসম্মিলন ।
আর ভ্রমন যেন কেবল শ্রান্তির ভার, কেবল অনিচ্ছাকৃত শ্রম, কেবল বিচ্ছেদ ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

জুন বলেছেন: হায় হায় সেচ্ছায় গৃহবন্দী মুশি ১৯৯৪ :-*
আমার কাছে ভ্রমনেই আনন্দ , ভ্রমনেই একঘেয়েমীর হাত থেকে বিরাম, ভ্রমনেই সুখ ।
যাক যার কাছে যা ভালোলাগে তাতেই আনন্দ আর সুখী থাকা উচিৎ । নইলে সবাই হয়তো গৃহেই সেচ্ছা নির্বাসনে থাকতো অথবা ঘর বাড়ী ছেড়ে সব পথে পথে :)
আপনার মন্তব্যটিও আমাকে গভীর ভাবনার এক সুযোগ এনে দিল ।
অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য ।
শুভকামনা রইলো ।

২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোহানী বলেছেন: যাবার দৃশ্য দেখেতো মনে হলো আমাদের গ্রামে যাবার দৃশ্য! একেবারে দেশী রাস্তা।

আমার জানার পরিধি খুবই লিমিটেড, এ উষ্ণজলের কথা মাত্র শুনেছিলাম এর বেশী কিছু জানি না। এখন মনে হচ্ছে জীবনে কি আছে এসব না দেখে মরা যাবে না....হাহাহাহাহা

আলীভাইয়ের মন্তব্য মানে আপনার অসাধারন বর্ননার সাথে আরো কিছু মূল্যবান ডেকোরেশান পিস। (জেমস্ বর্ননা চাই, তবে মনে হচ্ছে আলীভাই সামনে জেমস্ নিয়ে আসবেন :-B

অনেকদিন পর ভিটামিস সি...আর ভিটামিস সি মানে ইউনিক কমেন্ট :P

সবসময় সাথে আছি আপু.... বাকিগুলা ও চলুক।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

জুন বলেছেন: কোথায় যাবার দৃশ্যের কথা বললেন সোহানী বুঝলাম না । কোনটা আপনার গাঁয়ের পথের মত ? সেকি সেই পাহাড়ী রাস্তার কথা বোঝালেন কি ?
হা হা হা জানার পরিধি লিমিটেড থাকাই ভালো । নাহলে আপনার সংগীদের ইগোতে লাগার সম্ভাবনা আছে ;)
আমি এমন একজনকে জানি সে শুধু তার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য অজ্ঞানতার অভিনয় করতো ।
জী ডঃ এম আলি সব সময়ই অসাধারন তথ্য নিয়ে আসে সাথে এপ্রোপ্রিয়েট ছবি ।
আমারও মনে হয় উনি এই বিষয় নিয়ে লিখবে । এখন মনে হয় তথ্য জোগাড় করছেন :)
ভিটামিন সি কে আমিও অনেকদিন পরে দেখলাম । সেই যে সিংগাপুর থেকে বসত গুটিয়ে ফিরে আসার পর ছেলের জন্য নাম চেয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছিল । আমিও ওনার মন্তব্য উপভোগ করি সোহানী সাথে আপনার আন্তরিক মন্তব্যগুলোও ।
সাথে থাকবেন জানি তবে লেখায় আপনাদের প্রত্যাশা পুরন করতে পারবো কি না ভয় হয় ।
শুভকামনা রইলো অনেক ।

২১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ভাল লাগা আরো একটি ভ্রমণ কাহিনী। অসাধারণ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক ভালোলাগা জানবেন কলিমুদ্দি দফাদার ।
সাথে আছেন থাকবেন সিরিজটিতে সেই প্রত্যাশায় :)

২২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর সব ছবি আর বর্ণণা। উষ্ণ প্রস্রবনের পানি আগের দিনে অসুধ হিসেবে ব্যবহার হতো ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

জুন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভালোলাগলো সেলিম আনোয়ার ।
উষ্ণ প্রস্রবনের পানিতে প্রচুর সালফার থাকায় এটা চর্মরোগ সারাতে কাজে দেয় । ডাক্তাররা চামড়ার বিভিন্ন রোগের জন্য যে ঔষধ দেয় তার প্রধান উপকরনই তো সালফার ।
পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন । সিরিজটির সাথে থাকুন :)
শুভেচ্ছান্তে

২৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: Many many thanks for your travel write. Waiting for next part.

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ শাহিন- ৯৯ । পরের পর্ব খুব শীঘ্র দেবার চেষ্টা করবো ।

২৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: লেখাগুলি সত্যিই অসাধারণ লিখেছেন আপু। অনেক সুন্দরভাবে বোঝাতে পেরেছেন। বৃত্তান্ত শুনে মনে হলো আমি নিজেই ঘুরে ঘুরে দেখছি।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

জুন বলেছেন: বোঝাতে পেরেছি জেনে তৃপ্তি পেলাম নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন । লিখতে গেলেই মনে হয় অনেক অপ্রাসংগিক কথায় পোষ্ট ভারী হয়ে গেলো বুঝি । পাঠকদের হয়তো বুঝতে কষ্টই হবে । যাক আপনার কথায় লেখাটি স্বার্থক হলো ।
এমন মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা থাকলো । সাথে থাকবেন আশাকরি :)

২৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর সব বর্ননা সহ ছবি গুলো যে আপুনি তোমার দৃষ্টি থেকে আমাদের মাঝে দৃশ্যায়ন করেছে এ যেন সত্যি দেখেছি মনে হলো। লিখাগুলো কথা আর ছবি গুলো ভিডিও মনে হল। অনেক সুন্দর অনেক!

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন সব সময় মন্তব্যে উৎসাহিত করার জন্য ।
সিরিজটি শেষ হওয়া পর্যন্ত সাথে থাকবেন বলেই আশা রাখি :)
শুভকামনা অনেক ।

২৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অ-নে-ক পিছনে!! স্বাভাবিকই।।
প্রথমবারেই ব্যাংককের যা চোখে পড়েছিলো, তা হলো এর পরিছন্নতা।। এর আের অভিজ্ঞতা শুধু দেশ আর ভারতের থাকায়, এটা বুঝি নি।। এখানে তাই এটাই চট করে চোখে পড়েছিলো।। ব্যাংকক থেকে ঐ সুদুরেও সব ঝকঝকে/তকতকে!!
৪নং ছবিটা তো নিয়ে গেল সেই "পিচ্চিবেলার" গ্রামের বাড়িতে।। ( জানেন আমি প্রায় ত৫ বছর ধরে, গ্রামের বাড়িতে যাই না!!)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

জুন বলেছেন: অ-নে-ক পিছনে!! স্বাভাবিকই । বুঝতে পারিনি সচেতনহ্যাপী কি বোঝাতে চাইলেন !
ওদের বেশিরভাগ লোকজনকেই দেখি খুবই পরিচ্ছন্ন । সামান্য কিছুও আপনাকে এত সুন্দর করে পরিবেশন করবে বা প্যাকেজিং করবে যা দেখলেই ভালোলাগে ।
আমিও অনেক বছর পর গ্রামে গিয়েছিলাম । তবে সেই ছোটবেলার গ্রাম আর নেই । নেই সেই পুকুর যার ঘাটের পাশে দুপুর হলেই কাজিনদের সাথে ছিল আমাদের দাপাদাপি। গ্যাস পানি বিদ্যুত আর দালান কোঠায় এখন তা শহরের মতই লাগে ।
সাথে থাকুন সিরিজটিতে :)
শুভকামনা সতত ।

২৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৮

সুমন কর বলেছেন: আহা..........ফুট স্পা করাতে পারলেন না।

যা হোক, লেখা পড়ে আর ছবি দেখে পোস্ট ভালো লাগল। সাথেই আছি।
+।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

জুন বলেছেন: না কই আর পারলাম সুমন কর :(
তবে রাতে হোটেলে ফিরে পাশেই পার্লারে গিয়ে পা ম্যাসেজ করে এসেছি ।
আমি জানি আপনি সাথে থাকেন সব সময় । এবারও থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
ধন্যবাদ ।

২৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: নতুন পোস্ট। ল্যাপটপ নষ্ট হওয়ার পর থেকে মোবাইলে ব্লগ পড়া কষ্টকর হয়ে গেছে। আপনার পোস্টের কোন ছবি দেখতে পারলাম না।
আশা করি ছবিগুলো........

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

জুন বলেছেন: ল্যাপটপ নষ্ট শুনে খুব মন খারাপ লাগছে রাতুল । এর আগেও একবার বলেছিলে । ওটা কি সারাই অযোগ্য ?
ছবি দেখতে পারোনি শুনে খুব খারাপ লাগলো । আচ্ছা মোবাইলে কি ছবি দেখা যায় না ?
তারপর ও এসেছো তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।

২৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সবকিছুই যেন ছিমছাম সাজানো গোছানো। দেখলেই ভালো লাগে। সুন্দর একটা পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০১

জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ নিয়মিত আমার হাবিজাবি লেখাগুলো পড়ে মন্তব্য করে যাবার জন্য :)
শুভকামনা রইলো । সাথে থাকবেন বাকি পর্বেও ।

৩০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: অসাধারন ভ্রমন অভিজ্ঞতা

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ শাহরিয়ার ইমন :)

৩১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল ;)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

জুন বলেছেন: আরেকবার এসে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপনাকেও জানাই শুভকামনা শাহরিয়ার ইমন ।

৩২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব সুন্দর ছবি ব্লগ আপু। আপনার সাথে সাথে সব জায়গা পাঠকদেরও ঘোরা হয়ে যায় :)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

জুন বলেছেন: ঊম্মে সায়মা আপনার প্রশংসা মাথা পেতে নিলাম। আমার লেখার মাধ্যমে আপনাদের কেও ঘুরিয়ে আনতে পারি তা ভেবে খুব ভালোলাগলো । পড়া ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন :)

৩৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভালো লাগলো আপু। অচেনা ছোট্ট স্টেশনটা দেখে মনে হচ্ছে ওখানে গিয়ে দু'দন্ড বসি।
আপনার হাতিশাল দেখে বিস্মিত হয়েছি। এত্তো কিউট। :)

পুলহ ভাই বগা লেকের যে কথাটা বলেছেন সেটা সত্যিই বেশ মজাদার। হ্রদের পানিতে পা ডুবালে ছোট ছোট মাছ এসে ছোট ছোট ঠোকর দেয়। ব্যাপারটা সত্যিই খুব উপভোগ্য।

ইন্ডিয়াতে বেশ কিছু উষ্ণ প্রসবন আছে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মের চার ধামের তিনটিতেই আছে। যমুনাত্রী, কেদারনাথ আর বদ্রীনাথে। ঠিক কেদারনাথে নয়, মন্দিরটাতে যাবার ১৪ কিলোমিটার আগে গৌরিকুন্ড নামের জায়গাতে। তবে ২০১৩ সালের ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো, শুধু ক্ষীণ একটা ধারা প্রবাহমান আছে।
বদ্রীনাথের উষ্ণ প্রসব্রণ এতোটাই উষ্ণ যে ওখানে কেউ নামলে মারা যাবার প্রবল সম্ভাবনা। তবে এটি দেখতেই সবচাইতে সুন্দর, পাশেই রয়েছে বিখ্যাত অলকানন্দা নদী।
সবচাইতে আরামদায়ক হচ্ছে যমুনাত্রী উষ্ণ প্রস্রবন। এখানেই যমুনা নদীটা তৈরী হয়েছে। বরফ গলা ঝরনা থেকে নদীটার উৎপত্তি। আরামদায়ক প্রাকৃতিক গরম পানিতে ডুবে থেকে বরফের পাহাড়গুলো দেখতে সত্যিকারের অসাধারণ লাগে। আমি প্রায় দেড় ঘন্টা এই পানিতে ডুবে ছিলাম। পাশের বেশি গরম কুন্ডটাতে কাপড়ে চাল বেধে ভাত রান্না করে হচ্ছে, সেগুলি প্রসাদ।

আমি এই ভ্রমণ কাহিনীটা লেখা শুরু করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমার তোলা বেশিরিভাগ ছবি নষ্ট হয়ে গেছে। :(

আমি আপনার লেখাগুলো সবসময়ই মুগ্ধতা সহকারে পড়ি। আপনার এই পর্বটা বোধহয় বেশ তাড়াহুড়ো করে লেখা, আপনার অন্য লেখাগুলোকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি।

ভালো থাকবেন আপু। B-)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৮

জুন বলেছেন: অচেনা ছোট্ট স্টেশনটা দেখে মনে হচ্ছে ওখানে গিয়ে দু'দন্ড বসি। ঠিক আমার মতই ইচ্ছে আপনার সারাফাত রাজ ।
হাতীশালে আরো অনেক অনেক হাতী আছে । ব্লগার ডঃ এম আলী যে পাথরের ছবি দিয়েছেন তার অনেকগুলোই আছে তবে গয়নায় নয় , ক্ষুদে হাতীতে :)
পুলহের কথাটি মজাই লেগেছে । এখন এদেশে ফুট স্পা করতে গেলে আমাদের সেই বগা লেকে যেতে হবে দেখছি যেখানে জোক আর ভয়ংকর ম্যালেরিয়ার মশায় ভরপুর ।
ভারতের উষ্ণ প্রস্রবনের কথা আমি জানি বিশেষ করে যমুনাত্রী যেখানে সন্ন্যাসীরা ভাত রান্না করে । কিন্ত সেখান থেকে কি পানি উপরে উৎক্ষিপ্ত হয় কি সারাফাত রাজ ? এই তথ্যটা আমার জানা নেই । আপনি জানলে আমাকে জানাবেন । সীতাকুন্ডের পাশেই বাড়বকুন্ড এ উষ্ণ প্রস্রবন রয়েছে যা আমি দেখেছি । কিন্ত সেটা পাহাড়ের ফাক দিয়ে বয়ে যাচ্ছে । কিছুটা জায়গা নিয়ে মন্দির তাতে পুন্যার্থীদের ডুব দিতে দেখেছি। পানি নাতিশীতোষ্ণ । ৯৫ ডিগ্রী সেঃ নয় ।
আমারও অনেক ছবি নষ্ট হয়েছে ।
না খুব একটা তারাহুড়া করে লিখিনি সারাফাত রাজ তবে প্রচন্ড মানসিক প্রতিকুলতা এবং বৈরী পরিস্থিতির মধ্যে লিখেছি বৈকি । সিরিজ লেখা বলে বেশি বিস্তারিত বর্ননার মধ্যে না যাওয়া একটা কারন । এই সিরিজটা শেষ করে করতে পারি কি না দেখি । নইলে সেই ক্যাম্বোডিয়া সিরিজের মত অনেকেই আমার ঘ্যানঘ্যানানিতে বিরক্ত হয়ে উঠবে :)
আমার পোষ্টে আসেন মন্তব্য করেন উৎসাহ দেন এটা আমার পরম পাওয়া । সাথে থাকবেন আশাকরি ।

৩৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মন্তব্যের সিরিয়ালে কত পিছে।। দেরী করে আসার ফল।।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৮

জুন বলেছেন: ওহ আচ্ছা তাই ! আসলেও আমি ধরতে পারি নি সচেতনহ্যাপী ।
দেরী করে হলেও আসবেন এই প্রত্যাশাটুকু রইলো :)

৩৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতি উত্তরের জন্য । এই পোস্টের লিখা পাঠ ও ছবিগুলি দেখার সময় আমার চোখের দৃষ্টি চলে যায় আপনার পোষ্টে বর্ণিত সুভেনির কেনাকাটার জায়গায় দেখানো দোকানের ছবির উপরে লিখা ... & Jewelry সাইন বোর্ডটিতে । মহুর্তেই মনে পরে যায় থাই lapidarie তথা বিখ্যাত পাখরমনি রত্নকারেদের কর্মকান্ডের কথা । আপনার পোষ্ট পড়া চালু রেখেই অন্তরজালে এ বিষয়ে থাইদের সার্বিক অবস্থাটা একটু দেখে নিলাম । দেখেতো আমি রিতিমত অবাক । আপনার পোষ্টের উছিলায় জানা গেল আমার ইন্টারেস্টের বিষয়ে অনেক মুল্যবান তথ্য ।

যাহোক, প্রতিমন্তব্যের ঘরে দেয়া আপনার পতিদেবের অতি শখের সুন্দর সুন্দর হাতির ছবি দেখে আমি ভীষন মুগ্ধ , অবশ্য এ হাতি সংগ্রহ নিয়ে আপনার একটি পোষ্ট এ ব্লগে আমি দেখেছি । হাতির ছবিগুলি থেকে পছন্দের জেমস বেছে নেয়ার জন্য বলেছেন দেখে খুশি হলাম । এই মহুর্তে জেমসস্টোন নিয়ে একটি লিখালিখির কাজ করছি । এর কালচার , ইতিহাস , সকল ভৌগলিক প্রাপ্তিস্থান , এবং স্পিরিচুয়াল প্র্যকটিসে এর ন্বরূপ ও ব্যাপ্তি প্রভৃতি বিষয়ে এখন আমার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে । এখন পর্যন্ত জেমসস্টোন নিয়ে কোন একক সংজ্ঞা পাওয়া যায়না , এর সিম্বলেরও প্রচন্ড ঘাটতি দেখা যায় , তাছাড়া এই জেমসস্টোনের গ্রেডিং ও কোয়ালিটিরও নিদৃস্ট কোন মানদন্ড দেখা যায়না । তারপরেও দেশে দেশে পাথরমনি রত্নকারদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় এই ঐতিহ্যময় পাথর মনিমুক্তা শিল্পটির বিকাশ ঘটে চলেছে দুর্বার গতিতে । সারা বিশ্বেই এর রয়েছে ব্যপক চাহিদা ও কদর । একে সকলেই গ্রহণ করে নেয় সাদরে । আপনার দেয়া ছবিগুলি হতে মুল্যবান পাথরে গড়া সুন্দর সুন্দর জেমসকে বাছাই করে রত্নকারদের হাতের ছোঁয়ায় কারুকার্যময় পাথর মনির রূপ দিয়ে কিছু সমাহার তার রেখে গেলাম এসাথে ।


অনেক শুভেচ্ছা রইল

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১২

জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ডঃ এম এ আলী । থাইল্যান্ডতো বটেই আমি চীন মায়ানমারেও বিশাল বিশাল এমন পাথর কাটা পলিশ ও গহনা বা বিভিন্ন স্যুভেনীর তৈরী করতে দেখেছি যা সত্যি মনমুগ্ধকর ।
আপনার লেখাটির প্রত্যাশায় রইলাম ।
অনেক ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।

৩৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ বর্ণনা , ভাল লাগল ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো দৃষ্টিসীমানা

৩৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

নায়না নাসরিন বলেছেন: ছবিব্লগ ভালোলাগলো । +++++++++

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা নায়না নাসরিন।
আশাকরি ভালো আছেন আর ভালো থাকবেন সেই শুভকামনায় :)

৩৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

রাতুল_শাহ বলেছেন: নতুন পোস্টে মন্তব্য করা যায় না কেন?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

জুন বলেছেন: কমেন্ট অপশনে হাতের চাপ লেগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো । তারপর ভাবলাম কিছুইতো লেখিনি থাকুক বন্ধ । এর এক একটা ছবি এক একটি ইতিহাস । সেটা নিয়ে আস্তে ধীরে লিখবো সামনে ।
আমার লেখার প্রতি এতটা মমত্ব প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রাতুল । আশাকরি অনেক ভালো কেটেছে বৈশাখের প্রথম দিনটি :)

৩৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪১

সুমন কর বলেছেন: শেষ পর্ব চিয়াং মাই (ছবি ব্লগ ) - এ মন্তব্য বন্ধ করে রেখেছেন কেন?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

জুন বলেছেন: ঐ যে রাতুলকে বললাম হাতের চাপ লেগে :) তারপর ভাবলাম শুধুইতো ছবি । তবে এর প্রতিটি ছবিতে রয়েছে এক একটি ইতিহাস সুমন কর । সামনের দিনগুলোতে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো খুব শিগগিরই :)
নববর্ষের দিনটি আশাকরি ভালোই কাটিয়েছেন ? শুভেচ্ছা রইলো নতুন বছরের ।

৪০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার সর্বশেষ পোষ্টে মন্তব্য গ্রহণ করছেন না, এটা কি ইচ্ছাকৃত!! B:-)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

জুন বলেছেন: এটা কি ইচ্ছাকৃত!
কি যে বলেন সাদা মনের মানুষ ! সাতবছর ধরে সামুতে আছি । বলতে পারেন নেশাগ্রস্ত । দিনের ভেতর ১৮ ঘন্টা ব্লগে না থাকলে আমার ভাতই হজম হয় না :P
আমার লেখার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাই । শিগগিরই যাচ্ছি আপনার সাত বছর শিশু ব্লগে :)
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন ।

৪১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,




গতকাল ঘরে ফিরে ব্লগ অন করে প্রথমেই আপনার সুন্দর সর্বশেষ পোষ্টে নীচের মন্তব্যখানি প্রকাশ করতে গিয়ে ধাক্কা খেলুম ।

::: জুন ,
কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি । অজানা কিছু তথ্য জানা থেকে মনে হয় পাঠককে বিরত রাখলেন । বরাবরের মতোই নিটোল সব ছবি কিন্তু আপনার অনুপম ইতিহাস বলা ছাড়া ।
চিয়াং মাই এর বিখ্যাত কাঠ খোদাইটি অপূর্ব লেগেছে আমার কাছে ।

ভেবে দেখতে বলি , সত্তর পৃষ্ঠার লেখাটি দেবেন কিনা আপনার অনবদ্য এই ভ্রমন পোষ্টে ।

শুভেচ্ছান্তে ::::::::


মন্তব্য গ্রহন করবেন না নোটিশ এলো মাত্র । কি কারনে এমন করেছেন জানিনে । আবার আজও আপনার এই পোস্টে এসে দেখি অনেক ছবিই দেখা যাচ্চেনা । সম্ভবত "ইমগুর" য়ে করা ছবিগুলো আমার কম্প্যুতে দেখা যাচ্ছেনা । যা আগেও ঠিকঠাক দেখা গেছে । ।

আপনার জন্যে "ইমগুর" এর নোটিফিকেশান তুলে দিচ্ছি -----

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

জুন বলেছেন: জী উপরে ব্যাখ্যা দিয়েছি কি করে এমনটি হলো । সত্তর পৃষ্ঠার লেখাটি আমি অবশ্যই দেবো । কারন পাঠকদের বঞ্চিত করা ঠিক না , আর করবোই বা কেন ? এমনটি স্বপ্নেও ভাবতে পারি না । তাছাড়া ব্লগ আমাকে দিন রাত অহর্নিশি টানতে থাকে । তাকে দূরে ফেলে আমি থাকি কি করে বলুন ;)
জী ইমগুর সম্পর্কে আমার ধারনাটি অত পরিস্কার নয়। তাছাড়া আমি অন্তর্জ্বাল সম্পর্কে এখনও অনেকের মত পটু হয়ে উঠতে পারি নি বলেই এই অবস্থা ;)
তাই আগের ফর্মেই ফিরে গেলাম ।
মন্তব্য করার অপশনটি হাতে লেগে বন্ধ হয়ে যায় যা আর খুলি নি । শুধু কিছু ছবিই ছিল দেখে । এর এক একটি ছবি তো ১০/১২ পাতার ইতিহাস ।
আশাকরি অত্যন্ত আনন্দের সাথে নববর্ষ উদযাপন করেছেন ।সবদিক দিয়েই শুভ হোক আপনার নতুন বাংলা বছর :)

৪২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৫৩

সোহানী বলেছেন: জী ভাই মন্তব্য আমার কথারই প্রতিফলন।

প্রিয় জুন আপু, প্লিজ কোন রাগ অভিমান নয়। যদি তা থেকে ও থাকে, আপনার বিশাল হ্রদয়ের মাঝে তার কোন স্থান হবার কথা নয় ....

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তরও কি আমার একই বক্তব্যের প্রতিফলন হবে সোহানী :)
না সোহানী কার সাথে এখানে রাগ অভিমান করবো বলেন ? এখানে কে বসে বসে আমার রাগ অভিমান দুঃখকে পাত্তা দেবে :-*
তাই ওদিকটা নিয়ে আমি ভুলেও ভাবি না । তাছাড়া আপনাদের মত প্রিয় কিছু লোকজন রেখে আমি কি ভালো থাকতে পারবো বলুন ! আসলে আমি লিখবো । একটু ব্যাস্ত ছিলাম পারিবারিক সমস্যায় । অনেকগুলো পর্ব হবে আর তা বেশ বড়ই হবে বলতে পারেন ।
আমার প্রতি এতখানি সহানুভুতি প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে :)

৪৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: বিলম্বিত পাঠ ও অসম্ভব ভাল লাগা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

জুন বলেছেন: আপনাকেও বিলম্বিত ধন্যবাদ ঢাকাবাসী । আমার যে কোন লেখাতেই আপনার বক্তব্যের প্রত্যাশা করি । সেটা বিলম্বিতই হোক আর সাথে সাথেই হোক । যাইহোক আগামী দিনগুলোতেও সাথে থাকবেন ।
নববর্ষের বিলম্বিত শুভেচ্ছা :)

৪৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: কেবল দুটো ছবি দেখা যাচ্ছে!:)


বাকি গুলো শো করছে না!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৩

জুন বলেছেন: অনভিপ্রেত এই সমস্যার জন্য আন্তরিক দুঃখিত বিলিয়ার রহমান । আমার মনে হয় আপনি এখন বাকি ছবিগুলো দেখতে পারবেন । ইমগুর থেকে ছবি আপলোড করতে সমস্যা হচ্ছে । জানিনা কেন ?
ভালো আছেন আশাকরি। আপনাকে ইদানীং খুব কম দেখছি সাথে কম দেখছি আপনার অসাধারন কবিতাগুচ্ছ ।
নববর্ষের বিলম্বিত শুভেচ্ছা জানবেন ।

৪৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

নিশাত১২৩ বলেছেন: কেমন আছেন জুন?
দুটো ছাড়া অন্য ছবিগুলো দেখা হোলো না।


১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

জুন বলেছেন: ভালো আছি নিশাত । আজ অনেকদিন পর অনেক পুরনো মানুষদের সাথে দেখা হয়ে খুব ভালোলাগছে । এতদিন কই হারিয়ে ছিলেন ? ফেসবুকে আছেন কি ? একটিভিটি কম তাই নয় কি ? সবাই ব্যাস্ত শুধু আমারই মনে হয় অখন্ড অবসর । অবশ্য ঘরের কাজ যদি বাদ দেই :)
যাই হোক এখন থেকে নিয়মিত পাবো বলে আশা করতে পারি কি বলেন ? আর আপনাদের অসুবিধা দূর করার জন্য অসংখ্য ছবির মাঝ থেকে খুজে খুজে ছবিগুলো ইমগুরে আপলোড করে আবার দিলাম । দেখতে পাচ্ছেন কি না জানাবেন কষ্ট করে ।
পার হয়ে যাওয়া নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন :)

৪৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিষয়টাকি একদিকে কমেন্ট ব্লক অন্যদিকে ছবি উধাও । স্টক থেকে ছবি ডিলিট করে দিলে তা ইমগুর হতে মুছে যায় । আবার নতুন করে ছবি দিতে হলে প্রথম থেকে যথা নিয়ম অনুসরণ করতে হবে ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

জুন বলেছেন: কমেন্ট ব্লকের কারন দর্শিয়েছি ড: এম আলী :) আপনার কথা মত সেই প্রনালী অনুসরন করে আবার ছবিগুলো অনেক খুজে পেতে আবার হাজির করলাম । তবে আমার ল্যাপটপ থেকে কিন্ত আমি সবসময়ই ছবিগুলো দেখেছি । এবার দেখতে পাচ্ছেন কি ??

৪৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

পুলহ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জুন আপু, আমি সব দিক থেকেই আপনার অনেক জুনিয়র হব, তাই বুঝতে পারছি না কোন বিষয়ে কি মন্তব্য করাটা আমার জন্য শোভনীয় হয়.... শুধু এটুকু বলি, ব্লগে যে কয়জন মানুষের লেখা শুরু থেকে আমাকে নিষ্কলুষ আনন্দ দিয়ে এসেছে, আপনার পোস্টগুলো তার অন্যতম....
নতুন বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম। আপনার সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনায় !
(আরেকটা জিনিস- ৭০ পাতা হোক আর একশ পাতাই হোক, আমি ঠিকই আপনার লেখা একটু একটু করে হলেও পুরোটা পড়তাম বলে মনে হয়)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬

জুন বলেছেন: পুলহ আমি জানি পড়ার মত যত অযোগ্য লেখাই হোক আপনি কষ্ট করে পড়বেন েমন একটা আস্থা মনের ভেতর আছেই । আপনার মত আরো কিছু পাঠকের মতামতের উপরও আমি শ্রদ্ধাশীল । অন্তত আমার নিজের জন্য হলেও লিখবো পুলহ । অনেকের মত আমি হয়তো বিদগ্ধ পন্ডিত নই । ভাষার উপরও নেই তেমন একটা দখল । তারপর ও সাত বছর আগে শুধুমাত্র লেখালেখির এক উদগ্র বাসনা আমাকে টেনে এনেছিল ব্লগিং জগতে। বাংলা ব্লগ যে আছে সে সম্পর্কেই আমার কোন ধারনা ছিল না । অনেকের মত লেখালেখিতো দুরের কথা কম্পিউটার সম্পর্কে কোন রকম পটুত্ব আর ভার্চুয়াল জগত সম্পর্কে কোন জ্ঞ্যান ছাড়াই আমি এসে পরেছিলাম এই জগতে । যার জন্য অনেক বোকামী করেছি । আপনি জানেন কি না জানি না , আমি প্রায় এক বছরের বেশী সময় ধরে ভার্চুয়াল কী বোর্ডে টাইপ করে গেছি । প্রাথমিক অবস্থায় অনেক স্বনামধন্য ব্লগার থেকে শুরু করে নবীনদেরও প্রচুর সাহায্য পেয়েছি । নাহলে এ বন্ধুর পথ চলা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না । অতএব কারো উপর রাগ বিরাগ, ষড়যন্ত্র বা অভিমানের বশে এ জগত ছেরে যাবো তা ভাবি না । কারন আমার আসাটা সম্পুর্নই লেখাকে ভালোবেসে অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয় ।
আমি অবশ্যই লিখবো । এটা আমার সেই ক্যাম্পুচিয়া ভ্রমনের মতই এক ড্রিম পর্যটন । আমি শুধু চোখ দিয়ে জায়গাটিকে দেখি না , আমি তার গায়ে লেগে থাকা প্রতিটি ইতিহাস খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ি শুনি স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে । যে জন্য এক জায়গায় প্রয়োজন হলে আমি একাধিকবার ও গিয়েছি।
ভালো থাকুন পুলহ । নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন :)

৪৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৪২

জুন বলেছেন: দেরীতে হলেও আপনার জন্য রইলো বাংলা নতুন বছরের আন্তরিক শুভকামনা ড: এম আলী :)

সফল হোন, সুখী হোন এই কামনায় ।

৪৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

শায়মা বলেছেন: শুভ নব বর্ষ আপুনি!!!!!!!!!!!!!!!

নব আনন্দে জাগো
আজি নব রবি কিরণে
শুভ্র সুন্দর, প্রীতি উজ্বল নির্মল জীবনে........

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫০

জুন বলেছেন: শুভ নববর্ষ শায়মা । জানি তোমার অপরূপ সেই কোকিল কন্ঠের গান, দ্রৌপদীর মত নাচ আর মেধা বন্দোপাধ্যায়ের মত অপুর্ব কন্ঠের আবৃত্তি নিয়ে হেব্বী ব্যস্ত ছিলে । তারপর ও আমার মত এক অভাজনের কথা মনে রেখেছো উইশ করেছো তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

৫০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , এখন সব ছবি দেখতে পাচ্ছি । আমি একবার কিছু ছবি ডিলিট করে এই মসিবতে পরেছিলাম । সেখান থেকে শিখেছি ।
এখন আর কোন ছবি ডিলিট করিনা, ফোল্ডারে নিয়ে যাই ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬

জুন বলেছেন: ড : এম আলী আপনার উপদেশ পথ দেখানো বা সহযোগিতার জন্য কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো ভেবে পাই না । তবে এখানে আমি আপনার আরেকটু পরামর্শের জন্য সাহায্য চাইছি । আপনি বলেছেন ছবিগুলো ফোল্ডারে নিতে । আমি ছবিগুলো ব্লগে ব্যাবহারের পর ক্রিয়েট এলবাম করে সেখানে নিয়ে গিয়েছি । তারপর কেন হাওয়া হয়ে গেল বুঝলাম না । আপনিও তো আমার মত অনেক ছবি ব্যাবহার করেন সেগুলো কি করে সংরক্ষন করবো যদি জানাতেন । আমি কি আগেই ইমগুরে ছবি আপলোড করে এল্বাম করে সেখান থেকে ছবি ব্লগে ইউজ করবো নাকি ব্লগে করে তারপর এল্বামে রাখবো ???
কি করে আমার ছবিগুলো ব্লগে অক্ষত থাকবে তার একটা পরমর্শের অপেক্ষায় :)

৫১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:০৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: এখন সব ছবিই দেখা যাচ্ছে!

সুন্দর সব ছবি সাথে করে বর্নন পোস্টটিকে অনন্য করেছে!:)


প্লাস!:)


এখন আর তেমন কবিতা পোস্ট করতে ইচ্ছে হয়না চুরি যাওয়ার ভয়ে! (যদিও আলোচিত ব্লগে এখন আমার একটা কবিতা আছে)। আর ব্লগে তেমন বেশি সময় দিতে পারছিনা সাময়িক ব্যস্ততার কারনে!


আপনাকেও বিলম্বিত নববর্রে শুভেচ্ছা আপি!:)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২৪

জুন বলেছেন: বিলিয়ার রহমান আবার মনে করে এসেছেন দেখে ভীষন ভালোলাগলো । আমি চেষ্টা করেছি যাতে ছবিগুলো সবাই দেখতে পায় । ইমগুরের নিয়মটা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না । দেখি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ড: এম আলী সাহেব কি পরামর্শ দেয় :)
চুরি যাওয়ার ভয়ে আমাদের বঞ্চিত করবেন এটা কি একটা কথা হলো ! আমরাতো আপনার লেখাটাই পড়ছি । চোরদের লেখা পড়ার তো দুর্ভাগ্য হচ্ছে না । আমাদের জন্য আপনার সিদ্ধান্ত পাল্টাবেন আশাকরি ।
নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকেও :)

৫২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

বিজন রয় বলেছেন: জুন আপা, আপনার সর্বশেষ পোস্টে মন্তব্য নিচ্ছেন না কেন?

যাহোক প্লাস দিয়ে এসেছি।

ভাল থাকার শুভকামনা রইল।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১২

জুন বলেছেন: প্লাস দিয়ে আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বিজন রয় । ভুলে যে যাননা । নিয়মিত আমার অখাদ্য লেখাগুলো পড়েন এটাই আমার কাছে বিরাট ব্যাপার ।
আসলে হাতে চাপ লেগে বন্ধ হয়ে যায় । শুধু ছবি ছিল তাই আর কিছু করি নি । তবে সেখানকার প্রতিটি ছবি নিয়েই এক একটি পোষ্ট লিখে লিখে খুব শিগগিরই আপনাদের মাথা খারাপ করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ :)
আপনিও ভালো থাকুন আর সামনের পর্বগুলোতে সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।

৫৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: এতদিন কোথায় ছিলেন?
আজ ব্লগে দেখে ভালো লাগছে।
পহেলা বৈশাখ ঘরের মধ্যে কেটেছে। বের হওয়া হয়নি, পাশ্চাত্য দর্শন অধ্যয়ন করছিলাম।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

জুন বলেছেন: রাতুল অনেক ব্যাস্ততার মাঝে ছুটে ছুটে এসে পোষ্ট দিচ্ছি, মন্তব্য করছি । তোমার মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলে বলে মনে কিছু নিও না ভাই । ব্লগে থাকার চেষ্টা করি , হয়তো সারাদিন লগ ইন থাকি কিন্ত এমনও হয় তখন আমি বাসার বাইরে । অনেক সময় মনে হয় শব ছেড়েছুড়ে দেই । আবার তোমাদের টানে আর নির্লজ্জের মত নিজের পচা পচা লেখার টানে ফিরে ফিরে আসি :`> :``>>
আমি বিকেলে একবার বের হবার চেষ্টা করেছিলাম কিন্ত জ্যামে আটকে থেকে রাস্তা থেকেই ফিরে এসেছি । তবে তোমার মত পাশ্চাত্য দর্শন তো দুরের কথা কোন দর্শনই পড়া হয়নি ;)
ভালো থেকো রাতুল আর সাথে থেকো বরাবরের মতই । অনেক শুভকামনা নতুন বছরের জন্য ।

৫৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু, সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য ।
আমি কম্পিউটার ব্যাবহারে আপনার থেকেও আনেক নীচের সারীতে আছি ।মাঝে মাঝেই সমস্যায় পরে মেয়ের কাছে দৌঁড়ায়ে যাই, সমস্যাটার জবাব সে হয়ত কিছুটা দিতে পারতো ভাল করে, তবে এখন তার ডাক্তারী ফাইনাল পরীক্ষা চলছে , তাই তার কাছে এ মহুর্তে সাহায্য চাইতে পারবনা কোন মতেই ।

ইমগুর বিষয়ে আমি প্রথম জানতে পারি এ ব্লগের সকলের অতি পরিচিত আপুমনি কবি কাজী ফাতেমা ছবির একটি লিখা হতে যা এই লিংকে দেখতে পারেন ।
সামুতে বড় ছবি পোস্টে সমস্যার সমাধান...(আমি যেভাবে ছবি পোষ্ট করি)
পরবর্তীতে গেম চেঞ্জারের একটি লিখা হতেও জানতে পারি পদ্ধতিটা ।
তাই আমি অনুরোধ করব আপনার সমস্যাটি নিয়ে কাজী ফাতেমার সাথে একটু যোগাযোগ করে দেখতে পারেন , তিনি আবার দেখেছি মোবা্লগ্রাফিতেই বেশীর ভাগ কাজ করেন , যা আপনিও করেন । আমি এদিকে মোবা্‌ইল একদমই ব্যবহার করিনা আমার সাথে সেটা সবসময় তেরি বেরী করে বলে ।

যাহোক, সাধারনভাবে ছবি সংরক্ষনের জন্য আমি ছবিকে যথা নিয়মে ইমগুর হতে সামুতে পোষ্ট করে তারপরে একটি ফোল্ডারে নিয়ে জমা করে রাখি , এতে ডেক্সটপ কিছুটা স্পেস ছেড়ে দেয় । ছবিও পোষ্ট থেকে মুছে যায়না । আপনি প্রথমে একটা দুইটা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন কাজ দেয় কিনা । এটা আমার স্বউদ্ভাবিত পদ্ধতি , জানিনা সকলের জন্য কাজ করে কিনা । তবে আমার জানা মতে ছবি আপু আর গেম চেঞ্জার এ বিষয়ে এক্সপার্ট তাতে কোন সন্দেহ নেই , তাদের যে কোন একজনের কাছ হতে এ প্রয়োজনীয় বিষয়টা জানতে পারলে আমাদের অনেকের বেশ উপকার হবে বলে ধারণা। মনে হয় আপনার মত আমারো সমস্যা শুরু হয়ে যেতে পারে অচিরেই ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।




১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আন্তরিকতার জন্য ডঃ এম আলী । আমি কম্পিউটার ব্যাবহারে আপনার থেকেও আনেক নীচের সারীতে আছি কি যে বলেন ! কম্পিউটার ব্যাবহার শিখেছিলাম গেমস বিশেষ করে সলিটেয়ার আর ডাবল ফ্রি সেল খেলতে আর গল্পের বই পড়তে । তাও নিজে বের করতে পারতাম না । বাবা বা ছেলে ডাউনলোড করে দিতো আমি বসে বসে পড়তাম বা খেলতাম । তারপর আস্তে আস্তে ব্লগের নেশায় যতটুকু শিখেছি । তাও বলতে গেলে বিশাল সমুদ্রের কিনারে বসে নুড়ি কুড়াচ্ছির দশা :``>>
ফাতেমা ছবিকে জিজ্ঞেস করেছি । উনি সাহায্য করলেন । তবে আমিও বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছি । কিন্ত খুব একটা ফল হচ্ছে না ।
ইমগুরে আপলোড করা ছবিগুলো ব্যবহার করে ইমগুরেরই এলবামে নিলে তারপর শো করছে এলবাম খালি । বুঝতে পারছি না । বারবার মানুষকে বিরক্ত করতেও খারাপ লাগে । আবার আমার ব্লগে অনেক ছবি ইউজ করি । এত ছবি কি এল্বাম না করেই ইমগুরে রাখবো কি না বুঝতে পারছি না ।
যাই হোক তারপর ও আপনার সহমর্মিতার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)
শুভেচ্ছা দুপুরের ।

৫৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

রাজীব বলেছেন: আগের মত ছোট করে লিখেননি বলে ধন্যবাদ।
২-৩টি বাদে বাকী ছবিগুলো আসছে না। দয়া করে একটু চেক করবেন।
অফটপিকে একটি প্রশ্ন করতে চাই। বিশ্বের বিভিন্ন টুরিস্ট এলাকায় ভাড়ায় সেল্ফ ড্রাইভিং কার পাওয়া যায়। শুনেছি এখন নাকি ভারতেও সেই ব্যবস্থা আছে। ইন্টারনেটে খোজ নিয়ে জেনেছি গোয়ায় গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। তবে আপনার মত অভিজ্ঞজনের কাছ থেকে জানতে চাই।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৭

জুন বলেছেন: রাজীব আমি অত্যন্ত দুঃখিত এত দেরী করে আপনার মন্তব্যটি নজরে পড়লো বলে ।
ছবিগুলোও ঠিক করেছি ।
আপনি কোন দেশের গাড়ি ভাড়ার কথা বলেছেন বুঝতে পারছি না । যদি ভারত হয় তবে সে ব্যাপারে আমি কোন তথ্য দিতে পারছি না বলে আন্তরিক দুঃখিত । তবে পাওয়ার কথা বলেই মনে হয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.