নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ইতিহাসের এক কুখ্যাত মাদক সাম্রাজ্যে একদিন

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬


পপি চাষে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দই আংখাং আজ নন্দন কানন
থাই মায়ানমার সীমান্ত মেসাই বর্ডার থেকে এবার ভ্যান ছাড়লো সামান্য দুরত্বেই আমাদের চুড়ান্ত গন্তব্য গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলের উদ্দেশ্যে । ভেতরে ভেতরে দারুন উত্তেজনা বোধ করছি, তবে মনে হলো আমি একাই নই বাসের বাকীদেরও একই অবস্থা। সবাই নড়ে চড়ে বসছে, কেউবা ক্যামেরার লেন্স এডজাস্ট করে নিচ্ছে তাড়াতাড়ি। পাহাড় আর নদীর মাঝখানে বাধানো পথ। বাস এসে থামলো নদীর পারে্ চত্বরে। কাগজে কলমে এলাকাটির থাই নাম সাম লিয়াম থং খা তবে স্থানীয়রা একে সোপ রুয়াক বলেই উল্লেখ করে।

চত্বরের রেলিং ব্যানার টানিয়ে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গালে
এখান থেকে বিশাল মেকং নদী পেরিয়ে আমাদের গন্তব্য লাওসের গা ঘেষে জেগে ওঠা এক দ্বীপ নাম ডন সাও। বাস থেকে নেমে উকি দিয়ে দেখলাম সোপ রুয়াক জেটি থেকে পর্যটকদের নিয়ে একের পর এক নৌকা আর স্পীড বোট ছেড়ে যাচ্ছে ডন সাওর উদ্দেশ্যে। ডন সাও যেতে আসতে এক ঘন্টা আর সেখানে অবস্থান আধা ঘন্টা মোট দেড় ঘন্টা সময় বরাদ্দ তা গাড়িতেই আমাদের জানিয়ে দিয়েছিল। সেখানে যারা যেতে ইচ্ছুক তাদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৩০০ বাথ নিয়ে গাইড গেলো নৌকার টিকিট কাটতে।এই ফাকে আমরা সবাই একটু এদিক ওদিক ঘুরতে লাগলাম ছবি তুললাম ।

স্থানীয় মেয়েদের হাতে তৈরী ব্যাগ
ডন সাও দ্বীপটি কাগজে কলমে নোম্যান্স ল্যান্ড হিসেবে উল্লেখ থাকলেও মুলত এটি লাওসের অংশ হিসেবেই বিবেচিত হয়। মুল লাওস ভুখন্ডে যেতে হলে আপনাকে ভিসা নিতে হবে কিন্ত ঐ দ্বীপে পা দিতে হলে আপনাকে ৩০ বাথ ল্যান্ড ট্যাক্স দিতে হবে। কেউ কেউ খাবারের দোকানে ঢু মারলো। কেউবা স্থানীয়দের হাতে তৈরী সুদৃশ্য ব্যাগ আর টুপি কিনে নিল।আমি কিছু ড্রাই ফ্রুটস কিনলাম আর কিনলাম লম্বা ফালি করে কাটা কাঁচা মিঠা আম সাথে লবন মরিচ আলাদা পুটুলি করে দেয়া।

চত্বরের একদিকে বানিজ্যিক নৌকার উপর বসে থাকা সোনালী রঙের বিশাল ব্রোঞ্জের বুদ্ধ মুর্তি
চারিদিকে প্রচুর ট্যুরিষ্ট ঘোরাফেরা করছে । সিমেন্ট বাধানো রেলিং দেয়া নদীর চওড়া পাড়ে ব্রোঞ্জের বুদ্ধ মুর্তি ছাড়াও রয়েছে বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন প্রতীকের মাঝে আছে সিমেন্টে তৈরী বিশাল এক জোড়া হাতির মুর্তি। কাছেই থাকা দান বাক্সে কিছু বাথ ফেলে আপনি সিড়ি বেয়ে ঊঠে হাওদায় বসে ছবি তুলতে পারবেন। সময়ের অভাবে আমি এই এডভেঞ্চার থেকে বঞ্চিত হোলাম ।

সোপ রুয়াকের বাধানো চত্বরে সেই হাতী, সোনালী রাজকীয় প্রতীক এর মাঝখানে ব্রোঞ্জের কালো রঙে তৈরী লান্না রাজত্বের প্রতিষ্ঠাতা মহান রাজা মেঙ্গরাই এর মুর্তি
অদুরেই প্রাচীন নগরী চিয়াং সান, যা একসময় থাইল্যান্ড, লাওস, মায়ানমার আর চীনের কিছু অংশ নিয়ে গড়ে ওঠা বিখ্যাত লান্না সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। তাই এই অঞ্চলে চাইনীজ সংস্কৃতির প্রভাব বেশ লক্ষ্যনীয়। এর মাঝে টিকিট চলে আসলে বাধানো ঢালু পথ বেয়ে আসলাম জেটিতে বাধা আমাদের নৌকার কাছে। এবার আমাদের দায়িত্ব আরেক জনের হাতে , টিকিট চেক করে সে নৌকায় ওঠার সাথে সাথে হাতে ধরিয়ে দিল লাইফ জ্যাকেট যা পরা বাধ্যতামুলক। সেখানকার ঐতিয্যবাহী লম্বা লেজওয়ালা নৌকার মাঝখানে সরু পথ আর দুদিকে দুটো দুটো করে চারটি প্লাস্টিকের সিট।

নৌকার সহযাত্রী ডন সাওর পথে।
সিটে বসে বা দিকে তাকিয়ে দেখি উত্তরে শান পাহাড় থেকে ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ তুলে নেমে আসছে রুয়াক নদী যা মায়ানমার আর থাইল্যান্ডের মাঝে সৃষ্টি করেছে প্রাকৃতিক সীমানার। সামান্য পথ এসেই রুয়াক মিলে গেছে বিস্তীর্ন সাথে প্রমত্তা নদী মেকং এর সাথে। তিব্বতের মালভুমি থেকে উৎপন্ন মেকং ছয়টি দেশ পেরিয়ে সাগরে ঝাপ দেয়ার আগে থাইল্যান্ড আর লাওসকে ভাগ করেছে আলাদা দুটো দেশে। আর এখানেই রুয়াক আর মেকং এর মোহনায় এসে মিলেছে তিনটি দেশঃ লাওস, মায়ানমার আর থাইল্যান্ড।
অদুরে এক ঝাক সাদা গাংচিল চিৎকার করে কখনো নদীতে ঝাপিয়ে পড়ছে কখনো বা উড়াল দিচ্ছে আকাশে, আবার ঘুরে এসে আবার বসছে নদীর বুকে আর ঢেউয়ের দোলার সাথে সাথে দুলছে।

তীর দিয়ে তিনটি দেশ চিনহিত করা।
বাঁদিকে চোখ ফেরাতেই নজরে এলো মায়ানমারের ভুখন্ড, ডান দিকে লাওস । ঠিক আধা ঘন্টায় নদী পার হয়ে আসলাম ডন সাও দ্বীপে। সিমেন্ট বাঁধানো নদীর পাড়ে নামতেই উস্কখুস্কো চুল আর মলিন জামা কাপড় পড়া ছিন্নমুল শিশুগুলো খেলা ফেলে দৌড়ে এসে হাত পেতে দাড়ালো। বাচ্চাগুলো আমাদের দেশের মতই, দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল ।

দু ধাপ সিড়ির পরেই ডান দিকে ল্যান্ড ট্যাক্স কাউন্টার
পা ফেলতেই হাজির হোলাম গাছ পালায় ঘেরা এক মাটির চত্বরে। সেখানে বাঁশের ছাপড়া দিয়ে তৈরী কিছু অস্থায়ী দোকান পাট। যার এক দিকে স্থানীয় খাবারের রেস্তোরা অন্যদিকে হাতে তৈরী ব্যাগ, টুপি, কাঠের তৈরী কিছু স্যুভেনীর নিয়ে বসে আছে দরিদ্র লাও মেয়েরা। তবে তাদের পন্যের মান এতই নীচু যারা কিনছে তারা মায়া করে কিনছে বলাই ভালো। এখানে আপনি থাই মুদ্রায় কেনাকাটা করতে পারবেন।এ ছাড়াও ছিল প্রচুর বিদেশী দামী ব্রান্ডের মদ ও সিগারেট, দেখে মনে হলো ক্যাসিনোর জন্য আমদানী করা এসব পন্য অসৎ কর্মচারীরা গোপনে বিক্রী করেছে এদের কাছে।

দরিদ্র লাওদের ঝুপড়ী দোকানে আমাদের ঘুর ঘুর
ক্যাসিনোর কথায় মনে পড়লো জুয়াড়ীদের স্বর্গ বলে পরিচিত বিলাশ বহুল ক্যাসিনো কিংস রোমানের কথা। যার চুড়োর সোনালী রঙের উজ্জ্বল মুকুট সেখানকার মলিন বস্ত্র পরিহিত হত দরিদ্র লাওবাসীদের মাথার উপর দিয়ে তাকালেই অদূরে দেখতে পাবেন। সেই স্বর্নালী মুকুটের ছটা আপনি থাইল্যান্ড অংশ থেকেও দেখা যায়। মাদক মুক্ত এই অঞ্চলটিকে লাওস বর্তমানে কর মুক্ত ইকোনমিক জোন হিসেবে ঘোষনা করেছে। বিদেশী ব্যাবসায়ীদের কাছস ৯৯ বছরের জন্য জমি লীজ দিচ্ছে। ২০০৭ সালে লাওস সরকা্রের অনুমতিতে হং কং বেসড কোম্পানী কিং রোমানস এর তৈরী ক্যাসিনো ছাড়াও এই জনশুন্য নির্বান্ধবপুরে আরও একটি ক্যাসিনো আছে।

ডন সাও দ্বীপে স্বর্ন মুকুট মাথায় হং কং বেসড কোম্পানী কিং রোমানস ক্যাসিনো
চীন আর থাইল্যান্ডে জুয়া খেলা সরকারীভাবে সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। তাতে কি আর নেশাগ্রস্ত জুয়াড়ুদের আটকে রাখা যায়! তাই এই দুটি দেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাকা জুয়াড়িরা ঘন্টার পর ঘন্টা এক ঠায় চেয়ারে বসে ক্যাসিনোর বিভিন্ন জুয়ার টেবিলে অকাতরে ঢেলে দিচ্ছে লক্ষ লক্ষ ডলার। এসব জুয়াড়ীদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে দামী দামী পানীয়, সুন্দরী লাও, চাইনীজ, মায়ানমার আর থাই রমনীরা। এ ছাড়াও আরো অনেক ধরনের অবৈধ ব্যাবসা এখানে পরিচালিত হয় বলে শোনা যায়।
[img|
ছিন্ন মুল শিশু ও কিছু ফল মুল নিয়ে বসে থাকা গরীব লাও।
দুঃখ হয় যখন জানতে পারি বনজ ও খনিজ সম্পদে পরিপুর্ন অপার সম্ভাবনার একটি বিশাল দেশ লাওসের সাধারন জনগন আজীবন দারিদ্র সীমার অনেক নীচে বসবাস করছে। তাদের ভাগ্যোন্নয়নের ব্যাপারে সীমাহীন দুর্নীতিবাজ লাও সরকার ও তাদের কর্মাচারীদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তারা শুধু নিজেদের উন্নয়ন নিয়েই ব্যাস্ত। আমার পরিচিত ছাত্রী লাওসের এক সাধারন সরকারী কর্মচারীর সন্তান। ব্যাংককের অত্যন্ত দামী অভিজাত শপিং মলের ব্র্যান্ডেড দোকান থেকে অত্যন্ত অবহেলা ভরে ৬০ হাজার বাথ ( বাংলাদেশী মুদ্রায় আনুমানিক ১লাখ চল্লিশ হাজার টাকা) দিয়ে কিনলো একটি হাত ব্যাগ। যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত গাধার খাটুনি খেটে ইউনিভার্সিটি পাশ করা একজন থাই গ্র্যাজুয়েটের মাসিক বেতন টেনেটুনে ২৫ হাজার বাথ। এটা হলো একটি মাত্র উদাহরন, লাওসে এমন শত শত উদাহরন আপনি খুজে পাবেন।

শুকনোর দিনেও উপচে পড়া পানি নিয়ে বইছে মেকং
এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে দেখতেই আধাঘন্টা সময় ফুরিয়ে গেল কখন টেরই পেলাম না।সেখানে তেমন কিছুই হয়তো নেই তারপরও গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের অন্তর্ভুক্ত লাওসের এই অংশটিও দেখা হলো । নৌকায় বসে মধ্য ফেব্রুয়ারীর এই শুকনো মৌসুমেও জলভরা মেকং এর উত্তাল ঢেউ পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডের দিকে আসতে আসতে মনের মধ্যে ভেসে উঠলো শুকনো বালুচর বুকে নিয়ে থাকা পানি শুন্য তিস্তা পদ্মা সহ অসংখ্য নদীর কথা। সহ ব্লগার কলিমুদ্দিন দফাদারের কথা মত তখন আর কিছুতেই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারছি না। এই মেকং ছয়টি দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগরে পরেছে। বাঁধও দিয়েছে অনেকে কিন্ত কেউতো তাকে শুকিয়ে মারেনি ।

অপিয়াম মিউজিয়াম
এরপর অল্প সময়ের জন্য গেলাম কাছেই অপিয়াম মিউজিয়াম দেখতে। যেতে যেতে জানালা দিয়ে যতটুকু দেখছি তাতে পথের দুপাশে দেখা যাচ্ছে কখনো সবুজ কোথাও বা নীল রঙের ঘন বনে মোড়ানো পাহাড় সারি, উর্বর ফুল ফসলের ক্ষেত আর তারই কোলে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী আদিবাসীদের গ্রাম।কি যে অদ্ভুত সুন্দর এক দৃশ্য যা চোখে না দেখলে ভাষায় কুলিয়ে ওঠা যায় না।
কাঠের ছোটখাট সেই অপিয়াম মিউজিয়ামে খুব একটি দর্শক সমাগম ছিল না বললেই চলে।সেখানে থাকা প্রদর্শক আমাদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখালো আর শোনালো শতাব্দীব্যাপী অপিয়ামের ইতিহাস।

থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভুমিবল স্বচক্ষে দেখছেন ভয়ংকর মাদক তৈরীর উপাদান পপির বাগান
দেখালো কিভাবে একে নিয়ে ব্যাবসা থেকে শুরু করে জীবন রক্ষার ঔষধ তৈরীর উপকরন তৈরী হয়। জানা ইতিহাস আবারো জানা হলো কেমন করে চীনে আফিম উৎপাদন ও বিক্রীর ব্যাবসা চালিয়ে যাবার জন্য পৃথিবীর তথাকথিত সভ্যদেশ ইংল্যান্ড উনবিংশ শতাব্দীর মাঝে দু দুবার চীন আক্রমন করে যা ইতিহাসে কুখ্যাত ওপিয়ামের যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে জয়ী হয়ে বৃটেন ৯৯ বছরের জন্য হং কং দ্বীপটি লাভ করেছিল যা শেষ বৃটিশ গভর্নর ক্রিস প্যাটেন ১৯৯৭ সালের ১লা জুলাই অশ্রুসিক্ত নয়নে চীনকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল।

তিনশ জাতের পপি থেকে মাত্র Papaver somniferum নামে এই জাতের পপি ফুল থেকে অপিয়াম উৎপাদন হয় ।
মিউজিয়ামের প্রদর্শক দেখালো Papaver somniferum নামের সেই পপি গাছ ।দেখালো মাদক বানানোর পদ্ধতি থেকে শুরু করে মাদক গ্রহনের পদ্ধতি পর্যন্ত। সেই সাথে মাদক গ্রহন একজন মানুষ ও তার পরিবারে কতটুকু সর্বনাশ ডেকে আনে তার বিশদ বর্ননা। অল্প সময় নিয়ে দেখা হলেও অপিয়াম মিউজিয়াম মনে এক গভীর দাগ কেটে গেলো।

মাদকাসক্ত এক ব্যাক্তির জীবনের করুন পরিনতি রেপ্লিকার মাধ্যমে ধরে রেখেছে অপিয়াম মিউজিয়াম
বিকেল হয়ে আসছে এবার আমাদের চিয়াং মাই ফিরে আসার পালা। গাইড জানালো আমাদের পৌছাতে পৌছাতে তিন ঘন্টার ও বেশি সময় লেগে যাবে। সমতল ছাড়িয়ে রাতের আঁধারে শুরু হলো পাহাড়ী পথের পাকদন্ডী ঘুরে ঘুরে ভয়ংকর সেই দ্রুত গতির যাত্রা। সেই সাথে আমিও মনে মনে ইতিহাসের পাতা উলটে পালটে দেখতে বসলাম যথারীতি। প্রথমেই মনে প্রশ্ন আসলো তিনটি দেশের কিছু ভুখন্ড নিয়ে এই ত্রিকোনাকৃতি অঞ্চলটির নাম গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল কে দিয়েছিল ? চলতে চলতে অন্ধকার ভ্যানের ভেতরে বসেই গাইডের কাছ থেকে জেনে নিলাম এই বিজাতীয় নামকরণের অজানা ইতিহাস সহ আরো অনেক কিছুই।

রাজা ও তাঁর প্রকল্পের আন্তরিক প্রচেষ্টায় চিয়াং রাই পাহাড়ের বুকে এক চা বাগানের ছবি
আজ পর্যটকদের পদভারে মুখরিত স্বর্গের নন্দন কাননের মত সবুজ শ্যামল ফল-ফসল আর নানা রঙের ফুলের সৌরভে মাতোয়ারা থাইল্যান্ডের উত্তর সীমান্ত চিয়াং রাই শহরটি এক সময় এমন ছিল না।এখন থেকে পাঁচ দশক আগে মাদক ব্যাবসায়ীদের কালো থাবায় এই বিস্তীর্ন পাহাড়ী এলাকাটি পরিনত হয়েছিল এক আইন কানুনবিহীন নরকে।

দুটি নদীর মোহনায় তিনটি দেশ নিয়ে গড়ে ওঠা গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল
তিনটি দেশের এই মিলনেকেন্দ্রটি ছিল দুর্গম এক পাহাড়ী এলাকায় ঘেরা যা ছিল তিনটি দেশেরই প্রশাসনের নজরদারীর বাইরে। সেই সুযোগ নিয়ে চাইনীজ পিতা আর মায়ানমারের দুধর্ষ জাতি শান মায়ের গর্ভজাত সন্তান হুন সা বা খুন শা সেখানে সারা দুনিয়ার মাদক সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র সম্রাট রূপে আত্নপ্রকাশ করে। প্রথমে হুন শহা মায়ানমারের শান প্রদেশে মাদকের কাঁচামাল পপি ফুলের চাষ ও উৎপাদন শুরু করলেও তা ধীরে ধীরে সীমান্ত ঘেষা তিনটি দেশের ৯৫০,০০০ স্কয়ার কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে দেয়।

মাদক সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি হুন শা
ঐ অঞ্চলের দরিদ্র পাহাড়ী জনগনকে মাদকের কাঁচামাল পপি চাষে লাগায় হুন সা । পাহাড়ের পর পাহাড়ের বনে আগুন জালিয়ে সাফ করে পপি চাষ হতো যা থেকে উৎপাদন করা হতো হেরোইনের মত ভয়ংকর মাদক। এক থাইল্যান্ডেই প্রতিবছর ২০০ টন অপিয়াম উৎপাদন হতো ।তার একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যাবসাকে নির্বিঘ্নে করার জন্য আধুনিক অস্ত্রসহ প্রশিক্ষিত এক নিজস্ব বাহীনি গড়ে তোলেন। সেসময় গোটা ত্রিভুজাকৃতির এলাকাটি ছিল যেন মাদকের এক সোনার খনি যা থেকে হুন সা কোটি কোটি ডলার আয় করতো। এ কারনেই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর নাম দিয়েছিল গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল।

পাহাড়ে পাহাড়ে আজ অপিয়ামের বদলে উৎপাদন হচ্ছে ধান
এই মাদকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল মার্কিন যুক্তরাস্ট্র এ কারনেই আমেরিকা এই মাদক সম্রাটকেগ্রেফতার এবং তার সাম্রাজ্য উচ্ছেদের জন্য ঊঠে পড়ে লেগেছিল।পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ থাইল্যান্ড, লাওস এবং মায়ানমার জাতিসংঘের সহায়তায় এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়। ফলে ১৯৯৬ সালের জানুয়ারীতে মায়ানমার সেনাবিহীনির হাতে হুন শা ধরা পড়ার সাথে সাথে তার বিশাল সাম্রাজ্যেরও পতন ঘটে। তবে রহস্যময় কারনে তাকে পুর্ব প্রতিশ্রুতি মত মার্কিনীদের হাতে তুলে দেয়নি জান্তা বাহিনী। কারো কারো মতে শান থেকে পালিয়ে আসা হু শান লাখ লাখ ডলারের বিনিময়ে রাজধানী ইয়াঙ্গনে মুক্ত জীবন কাটিয়ে গেছেন ২০০৭ এর ২৬ অক্টোবর আমৃত্যু।

একরাশ স্বপ্ন বুকে নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে চেয়ে আছে মাদকের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া উত্তরের পাহাড়ের দিকে রাজা ভুমিবল
মাদক সাম্রাজ্য উচ্ছেদের আগে থেকেই মাদকের করাল গ্রাসে আক্রান্ত উত্তর সীমান্তের প্রজাদের জীবন আমুল বদলে দিতে দেবদুতের মত অসম্ভব রকম দুরদৃষ্টি আর অক্লান্ত সেবার মানসিকতা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন প্রয়াত রাজা ভুমিবল। ১৯৬৯ সালে প্রথমবারের মত তিনি উত্তরের সেই এলাকা ও তার জনগনকে দেখতে যান।

দুর্গম পাহাড়ী পথ বেয়ে মেয়ে শ্রিনিধর্ন ( বা দিকে লাল জামা পরিহিতা )কে নিয়ে চলেছেন রাজা
সর্বত্র ছায়া-সংগীনি স্ত্রী রানী সিরিকিটকে নিয়ে কখনো বা মেঝ মেয়ে রাজকন্যা শ্রীনিধর্ন মহাচক্রীকে নিয়ে সম্পুর্ন অবকাঠামোবিহীন সেই দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় কখনো গাড়িতে, কখনো কাদা পানিতে হেটে হেটে জনগনের কাছে গিয়ে তাদের নিজ মুখ থেকে শুনেছেন তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা। পথে ঘাটে পরে থাকা মাদক সেবী ও তাদের পরিবারের দুরবস্থা দেখে ব্যাথিত রাজা ভুমিবল তার প্রিয় প্রজাদের এ অবস্থা থেকে কি করে বের করা যায় তা ভেবে বা কথার ফুলঝুরি ছড়িয়েই শেষ করেন নি, তা থেকে উত্তরনের যথাযথ পথও বের করেছেন তিনি।

দুর্গম জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হেটে যাচ্ছেন রাজা ভুমিবল তার মেয়েকে নিয়ে
সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৬,৩২৫ ফুট উচুতে চিয়াং রাই এর দই আং খাং ছিল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গম এলাকা। সেখানকার পাহাড়ী জনগন মানবেতর জীবনযাপন করছিল। তরুন রাজা ভুমিবল সেই আগুনে পোড়া, বৃষ্টিতে ক্ষয়ে যাওয়া পাহাড় আর পপি চাষের ফলে ক্ষারযুক্ত সেই অনুর্বর মাটির উর্বরা শক্তি কি করে ফিরিয়ে দেয়া যায় তার জন্য টেকসই এক প্রকল্প নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

হাতে কলমে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁর প্রিয় প্রজাদের কি করে তাদের ভাগ্য ফেরাবে
৩০ বিলিয়ন ডলারের ব্যাক্তিগত সম্পদের মালিক রাজা ভুমিবল বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজা বলে স্বীকৃত। তাঁর এই বিপুল সম্পদ জাতীর সম্পদ বলে বিবেচিত এবং তা ক্রাউন প্রপার্টি ব্যুরোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। এসব সম্পদের সমস্তই থাইল্যান্ডের বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান ছাড়াও রাজকীয় প্রকল্পের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে ব্যয় করা হয়। দুরবীন দিয়েও আপনি খুজে পাবেন না থাই রাজ পরিবারের এমন কোন সদস্যকে যারা দেশ জুড়ে থাকা বিভিন্ন রাজকীয় প্রকল্পগুলোতে শুধু অর্থকড়ি দিয়ে নয় সশরীরে নিজেরাও নিয়মিত কাজ না করছে। তারা দেশের বা জনগনের কোন টাকা পয়সা চুরি করেছে বলে শুনিনি এই পর্যন্ত।

পাহাড়ের কোল ঘেষে আদিগন্ত সবুজ ধানের ক্ষেত
রাজা ভুমিবল উত্তর থাইল্যান্ডের পাহাড়ী জনগনের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে থাইল্যান্ডের বিখ্যাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাসেটসার্টের প্রফেসরদের সহায়তায় বের করলেন সেখানকার মাটিতে কি কি অর্থকরী ফসল উৎপাদন করা যায়। গবেষকদের পরামর্শেই রয়েল প্রোজেক্ট প্রথম সেখানে পীচ, পিয়ার্স আর স্ট্রবেরী ফলের বীজ বুনে।

মেয়েকে সাথে নিয়ে নিজ হাতে লোকজনকে দেখিয়ে দিচ্ছেন স্ট্রবেরী ফলের চাষ করার পদ্ধতি।

এখন মাইলের পর মাইল এমন স্ট্রবেরীর বাগান
রাজা ভুমিবলের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত রাজকীয় প্রকল্পের ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে সেখানকার আপামর জনগনকে প্রশিক্ষন ছাড়াও তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় বিভিন্ন ফল ফসলের উন্নত জাতের বীজ এবং চারা। রাজা স্বয়ং হাতে কলমে স্থানীয় লাহু, পালং আর ইউয়ান আদিবাসীদের দেখিয়েছেন পপির বদলে কি করে নিত্য নতুন অর্থকরী ফসল উৎপাদন করা যায়। তিনি কোন রাজকীয় বা সরকারী কর্মচারীর সাহায্যের আশায় বসে থাকেন নি, বা হুকুম দিয়েও সারেন নি তার দায়িত্ব।

রাজা ভুমিবল দরিদ্র অপিয়াম চাষীদের নিজ হাতে তুলে দিচ্ছেন অর্থকরী ফসলের চারা
রাজার উৎসাহ, অনুপ্রেরনা ও প্রশিক্ষনের মাধ্যমে এক সময়ের মাদক চাষী পাহাড়ী জনগোষ্ঠীরা নতুন উদ্যমে শুরু করে অর্থকরী ফসলের চাষাবাদ। রাজকীয় প্রকল্প উত্তর থাইল্যান্ডের পাহাড়ী জনগনকে মোট ৩৮টি অর্থকরী বিষয়ে প্রশিক্ষন দিচ্ছে। পাহাড়ী জনগনের উৎপাদিত এসব ফসলের মাঝে রয়েছে বিশ্ব জুড়ে চাহিদাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য সম্মত বিভিন্ন সুগন্ধী চাল, স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় নানা রকম ফল। সালাদের তৈরীর জন্য বিভিন্ন জাতের লেটুস, কেল, টমেটো, বীন, চীনা বাধাকপি ছাড়াও দৃষ্টিনন্দন সব সবজী।

সালাদের উপকরন অপুর্ব দৃষ্টিনিন্দন সবজীর ক্ষেত
রফতানীর উদ্দেশ্যে চাষ করা চোখ ধাধানো সব ফুল আর ফার্ন, পাহাড়ের ঢাল জুড়ে বিশ্বখ্যাত এরাবিকা কফি এবং চা এর সেই বাগান যা আপনাকে অবশ্যই মন্ত্রমুগ্ধ করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে মাছ চাষের, ফলে জলাশয়গুলোতে বিপুল পরিমান মিঠা পানির দামী মাছ ট্রাউট, স্টার্জন, চিংড়ী সহ তাদের উৎপাদিত ক্যাভিয়ার (মাছের ডিম) থাইল্যান্ডের আন্তর্জাতিক হোটেল ছাড়াও বিশ্ব বাজারে সৃষ্টি করেছে বিপুল চাহিদা। বিদেশ থেকে আমদানী করা উন্নত জাতের গাভী, হাস-মুরগী পেলে দুধ, মাংস,ডিম উৎপাদন করছে যা দেশের জনগনের পুষ্টি চাহিদা মেটাচ্ছে। দিগন্ত জুড়ে ফোটা ফুল লক্ষ লক্ষ ডলারে বিক্রীর সাথে সাথে কৃত্রিম উপায়ে মৌমাছির চাক থেকে আহরন করছে বিপুল পরিমান মধু।

আমার কেনা রোদে শুকানো আম আনারস আর কিউই ফল
অতিরিক্ত ফল ফসল যেন পঁচে নষ্ট হয়ে না যায় সে লক্ষ্যে কোন রকম কেমিকেল ছাড়া সেই ফল কিভাবে রোদে শুকিয়ে প্যাকেটজাত করা যায় সে প্রশিক্ষন দেয়া হয়।ড্রাই ফ্রুটস ছাড়াও এখানে উৎপাদিত পন্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বিপননে ব্যবস্থা করেছে রয়েল প্রজেক্টস। থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ড্রাই ফ্রুটস ব্যাংকক গিয়ে খায়নি বা কিনেনি এমন মানুষ বিরল।

পুনঃ বনায়নের জন্য পরিকল্পনা রত রাজা ভুমিবল
অপিয়াম চাষের জন্য পুড়িয়ে ফেলা ন্যাড়া পাহাড়গুলোতে দেশ বিদেশে বিপুল চাহিদা আছে এ ধরনের উন্নত জাতের কাঠের গাছ লাগানোতে আবার আগের মত সবুজ হয়ে উঠেছে চারিদিক। তবে বনায়নের ব্যাপারে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রেখেছেন রাজা ভুমিবলের মা প্রিন্সেস নগরিন্দ্রা ।

সেই দুর্গম পথ বিহীন অঞ্চলে তৈরী হয়েছে রাস্তা, গিয়েছে বিদ্যুৎ।
রাস্তাঘাট, সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা সহ সম্পুর্ন অবকাঠামোর উন্নয়নে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন রাজা ভুমিবল। বর্ষায় প্রচুর বৃষ্টিপাতের পানি ধরে রাখার জন্য তৈরী করেছেন প্রচুর রিজারভয়ার। সেখানকার খরা দেখে তিনি কৃত্রিম বৃষ্টিপাত এর মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আবিস্কার করেছেন যা আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে পেটেন্ট করা।এই টেকনোলজি ব্যাবহার করতে হলে আপনাকে অনুমতি নিতে হবে।

রাজা ও তার মা প্রিন্সেস নগরিন্দ্রার নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত দই আংখাং রয়েল প্রজেক্টের নাম লেখা সাইনবোর্ড
উত্তরের পাহাড়ী জনগনকে কাঠ খোদাই, কাপড় বোনা, সিরামিক, বাঁশ, দামী কমদামী পাথর খোদাই, রুপা সহ বিভিন্ন ধাতুর তৈরী অসাধারন সব চোখ জুড়ানো হাতে তৈরী পন্য অর্থাৎ কুটির শিল্পের উপর প্রশিক্ষন ও বিপননে রয়েল প্রজেক্টের মাধ্যমে সর্বাত্নক সহযোগিতা করেছেন রানী সিরিকিট।

দিনের পর দিন দরিদ্র পাহাড়ী মেয়েদের প্রশিক্ষনের ফসল দেখছেন রানী সিরিকিত
আকাশপথে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে হলে সরকারী বিমান সংস্থা থাই এয়ারওয়েজের কেবিন ক্রুরা সেই পাহাড়ী আদিবাসীদের তৈরী বিখ্যাত থাই সিল্কের জাতীয় পোশাক পড়েই সোয়াদিখা বলে আপনাকে অভ্যার্থনা জানায়।এমনকি থাই এয়ার ওয়েজ প্রথম থেকেই আভ্যন্তরীন সহ সমস্ত আন্তর্জাতিক রুটের পরিবেশিত বেশিরভাগ খাবারই একসময়ের এই দরিদ্র অপিয়াম চাষীদের উৎপাদিত ফল আর ফসল।

লাল টুকটুকে স্ট্রবেরী ধরে আছে গাছে গাছে ফলে আছে।
অর্থাৎ শুধু লাগসই নয় রাজা ভুমিবলের নিজস্ব চিন্তার ফসল এই টেকসই প্রকল্প গ্রহন করে হতভাগ্য পাহাড়ীদের জীবন যাত্রা এতটাই বদলে গেছে যা পুরনো ছবির সাথে মিলিয়ে দেখলে অবিশ্বাস্য মনে হবে।পপি ছেড়ে তারা অন্যান্য অর্থকরী ফসল উৎপাদন করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে।অর্থাৎ জীবিকা নির্বাহের জন্য ঐ অঞ্চলের কাউকে যেন ভবিষ্যতে আর অপিয়াম চাষ করতে না হয় তার ব্যাবস্থাই করে রেখে গেছেন প্রয়াত রাজা ভুমিবল।

সুপার শপ থাই গুরমেটে চিয়াং রাই এ উৎপাদিত উন্নত মানের সুগন্ধী চাল

কালো সাইনবোর্ডে লেখা উপরের ছবির চালের গুনাবলী
জনগনের প্রতি রাজা ভুমিবলের এই অতুলনীয় অবদানের জন্য জাতিসঙ্ঘের স্বীকৃতি ছাড়াও আমরা চিয়াং মাই, চিয়াং রাই ছাড়াও যেখানেই গিয়েছি সেখানেই দেখেছি প্রয়াত রাজা ভুমিবলকে দেশবাসী দেবতার আসনে বসিয়ে পুজা করছে। উচ্চ শিক্ষিত অল্প শিক্ষিত প্রায় পুরো থাইবাসীদেরই দৃঢ় বিশ্বাস তাদের রাজা মানুষ নন, উনি দেবতার অংশ।

রাতের আধারে মেয়েকে নিয়ে হেটে চলেছেন, হাতে তার জনগনের উন্নতিকল্পে নিজস্ব পরিকল্পনার মানচিত্র
সেই উত্তরের পাহাড়ের ঢালে ১৯৬৯ সালে দুরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজা ভুমিবলের মত দাঁড়িয়ে যদি আপনি একবার চারিদিকে চোখ মেলেন তবে ফল ফসলে ভরে ওঠা সবুজ শ্যামল সেই শস্য ক্ষেত, পাহাড়ের ঢাল জুড়ে অপরূপ নকশায় করা চা বাগান আর রঙ বেরংগের ফুল আর ফলের সেই অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখে অনুধাবন করতে পারবেন সেখানকার জনগনের জন্য তাঁর সুদুর প্রসারী চিন্তা ভাবনা আর অবদান শুধু বর্তমানকে ঘিরেই নয়, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যেন তার সুফলভোগ করতে পারে সেই ব্যাবস্থাই তিনি করে গেছেন।

একজন প্রকৃত স্বপ্নদ্রষ্টা
ঐ সময় ব্যাংককে উপস্থিত আমরা টিভিতে দেখছিলাম সমগ্র দেশবাসীর হৃদয়, তাদের পিতা বলে উল্লেখিত রাজা ভুমিবলের মৃত্যুতে থাইরা আক্ষেপ করে কেঁদে কেঁদে বলছিল,“আমাদের রাজা সারাজীবন আমাদের উন্নতির জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন।একটি দিনও বিশ্রাম নেন নি।আমরাতো তার বদলে তাঁকে কিছুই দেইনি”।

রাজা ভুমিবলের মৃত্যুর পর বাসার পাশেই মলে থাইরা স্বপ্ন দ্রষ্টা রাজার চিত্র তৈরী করছিল ছোট ছোট কাগজের টুকরো দিয়ে । যাতে নম্বর দেয়া ছিল তা মিলিয়ে মিলিয়ে।
বর্তমানে থাই সরকারের কঠোর নজরদারী ছাড়াও সেখানে বিভিন্ন রয়েল প্রজেক্ট যাবার ফলে মাদক উৎপাদকদের নরক রাজ্য গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল এখন পাহাড়ি জনগনের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। পথে পথে চেকপোষ্ট বসানো আছে, সেসময় মাদকাসক্তদের রাজকীয় এবং সরকারী সহায়তায় বিভিন্ন রিহ্যাবের মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা হলেও বর্তমানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, মাদকসহ ধরা পরলে মৃত্যুদন্ড। তারপর ও শুনলাম কিছু কিছু আদিবাসী লুকিয়ে ফসলের আড়ালে অল্প স্বল্প পপি চাষ করছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
দই আংখাং ন্যাশনাল পার্ক
কিন্ত আইটেনারিতে না থাকায় এবং আমাদেরও অজানা থাকায় অন্যান্য ন্যশনাল পার্কে যাওয়া হলেও যাওয়া হয়নি রাজা ভুমিবলের স্বপ্নের রয়েল প্রজেক্ট দই অং খাং জাতীয় উদ্যানে। দেখা হয়নি তার বিরল সৌন্দর্য্য।পপি চাষে সম্পুর্ন ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি এলাকাকে কি করে এমন দৃষ্টি নন্দন করে গড়ে তোলা যায় তা ভাবতে গেলেও বিস্মিত হই।

বৃদ্ধ বয়সেও গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে দেখতেন তাঁর গড়ে তোলা বিভিন্ন প্রকল্পকে কি করে আরো লাগসই করা যায় ।
নিজ জনগনের জন্য অক্লান্ত চেষ্টা ও তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের অবিশ্বাস্য কাহিনী শুনতে শুনতে কখন তিন ঘন্টা পেরিয়ে গেলো টেরও পাইনি। ড্রাইভার হোটেলের সামনে গাড়ি থামালে শেষ হলো সেই কুখ্যাত মাদক সাম্রাজ্য গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল থেকে স্বর্গপুরীতে পরিনত হওয়া আজকের চিয়াং রাইতে পায়ের চিনহ রেখে আসার স্বপ্নের ভ্রমণ।
গাড়ির দরজা বন্ধ করার আগে শেষ বারের মত হাত নেড়ে বিদায় জানালো গাইড পানিতা আর আমরাও রুমে ফিরে চললাম এক স্মরনীয় ভ্রমনের অভিজ্ঞতা নিয়ে।

গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ভ্রমনে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে।

ছবি আমাদের তোলা আর কিছু নেট থেকে নেয়া ।

মন্তব্য ১৩২ টি রেটিং +৪১/-০

মন্তব্য (১৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ফাস্টু হইছিতো নাকি???

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

জুন বলেছেন: হ্যা হয়েছেন বিলিয়ার রহমান তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে :)

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: পরথম পিলাচটাও কিন্তু আমার! :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

জুন বলেছেন: তাই নাকি বিলিয়ার রহমান! পোষ্ট পড়া, প্লাস আর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
শুভেচ্ছা সবসময়ের জন্য :)

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২০

পুলহ বলেছেন: "সিটে বসে বা দিকে তাকিয়ে দেখি উত্তরে শান পাহাড় থেকে ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ তুলে নেমে আসছে রুয়াক নদী..."-- এটা কি মিয়ানমারের শান প্রদেশের শান রেঞ্জের পাহাড়??
বাংলাদেশের প্রায় ৭.৫ গুণ এলাকা জুড়ে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল এলাকা। কি বিশাল !!
দুইটা প্রশ্ন আছে জুন আপু-
১। আপনার লেখার মাধ্যমে শুধু থাই অংশের ট্রান্সফরমেশনের কথা জানতে পারলাম। মিয়ানমার/ লাওসের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল অংশের অবস্থা এখন কি? ওগুলোও কি এমন দারুণভাবে পালটে গেছে?
২। "৩০ বিলিয়ন ডলারের ব্যাক্তিগত সম্পদের মালিক রাজা ভুমিবল বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজা বলে স্বীকৃত। তাঁর এই বিপুল সম্পদ জাতীয় সম্পদ বলে বিবেচিত এবং তা ক্রাউন প্রপার্টি ব্যুরোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।"-- এ জায়গায় আমিই বোধহয় বুঝতে ভুল করছি। থাই রাজার সম্পত্তি ব্যক্তিগত হলে সেটা আবার কিভাবে জাতীয় সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হয়? নাকি তারা তাদের সমস্ত সম্পদ রাষ্ট্রকে দান করে দিয়েছেন? সেক্ষেত্রে তাদের (রাজপরিবারের) আয়ের উতসটাই বা কি?

ইন এনি কেস, রাজা ভূমিবলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাধ্য হলাম। এর আগেও অবশ্য আপনার লেখার মাধ্যমে উনার প্রজাদরদী ইমেজের সাথে কিছুটা পরিচয় ঘটেছিলো।
ভালো আছেন আপু আশা রাখি। শুভকামনা সব সময়ের জন্য!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

জুন বলেছেন: হ্যা পুলহ কারন উত্তর থাইল্যান্ড এর উত্তর সীমান্তে ঘেষেই মায়ানমারের শান প্রদেশ।
আমি থাইল্যান্ডের অংশটুকুই নিজের চোখে দেখেছি তাই এ সম্পর্কে আমার মোটামুটি ধারনা আছে। তবে লাওস মায়ানমারের কথাতো উল্লেখ করেছি কিছুটা। মায়ানমারে দীর্ঘ সামরিক শাসনের যাতাকলে পিষ্ট। তাদের দুর্নীতিগ্রস্ত সামরিক শাসক রা জনগনের চেয়ে নিজেদের উন্নয়নেই ব্যাস্ত। তবে বর্তমানে তারা বিদেশী বিনিয়োগে কিছুটা উদার হয়েছে। লাওসের অবস্থাও তথৈবচ। তাছাড়া তাদেরতো আর রাজা ভুমিবলের মত এমন দুরদৃষ্ট সম্পন্ন নেতা নেই। তাই তাদের অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। তবে মাদক চাষ বন্ধ আছে।
থাইল্যান্ডতো সাউথ ইষ্ট এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ধনী এবং অগ্রসরমান দেশ ছিল। তবে সামরিক শাসনে তাদের অর্থনীতিও কিছুটা নাজুক।
জাতীয় সম্পদ বলতে মিন করেছি রাজার ব্যাক্তিগত সম্পদ পুরোটাই জাতীয় উন্নয়নে ব্যয় করা হয়। যেমন কয়েক বছর আগে জানজটের জন্য ব্যংককে দুর্ভোগ দেখা দিলে সরকার তাড়াতাড়ি এটা সমাধান করতে ব্যার্থ হয়। রাজা ভুমিবল এই সংকট দূর করতে তার নিজস্ব টাকায় নিজস্ব নকশায় ছাও প্রায়া নদীর উপর অসাধারন সুন্দর দুটি সেতু নির্মান করেন যা সমস্যা সমাধান করে দ্রুতই।
এছাড়াও অনেক এক্সপ্রেসওয়ে রাস্তা ঘাট কি করেনি তার ফিরিস্তি দেয়া সোজা পুলহ।
তিনি তার বেশিরভাগ অর্থই শেয়ার আর কম দামী জমি কেনায় লাগিয়ে উপার্জন করেছেন যার পাই পয়সা পর্যন্ত জনগনের সেবায় ব্যয় হয়।
আমিও টিভিতে তার জীবনী দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম। তিনি ইঞ্জিনিয়ার, তিনি সুরকার, তিনি গীতিকার, তিনি ভাস্কর, তিনি পেইন্টার, তিনি নিজ হাতে নৌকা বানিয়ে প্রতিযোগিতায় প্রথম হন। তিনি ছোটবেলায় নিজ হাতে পুরনো পার্টস কিনে রেডিও তৈরী করেন। আরো যে কত কিছু করেন তা গুনে শেষ করা যাবে না পুলহ।
যাইহোক এই অসাধারণ ব্যাক্তিটিকে আমিও শ্রদ্ধা করি। সাথে থাকা ও পোষ্টটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

জাহিদ হাসান বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। প্রিয়তে নিচ্ছি।
থাই রাজা ভূমিবল থাইল্যান্ডকে পাল্টে দিয়েছিলেন , জানতাম।
কিন্তু এতটা পাল্টে দিয়েছিলেন , তা জানতাম না।
অন্যান্য মানুষের মত আমিও ভাবতাম, রাজা মানেই প্রজাদের টাকায় বিলাস করা এবং পায়ের উপর পা তুলে জীবন কাটানো একটা লোক। তবে আপনার পোষ্ট পড়ে কিন্তু সেই ধারনা আমার পাল্টে গেল।
আপনাকে শুধু ধন্যবাদ দিলে কম হবে। এরকম ভালো পোষ্ট আমি আমার সামুব্লগ লাইফে খুব কমই দেখেছি।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

জুন বলেছেন: আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ জানাবো ভেবে পাচ্ছি না । ওনার মত বিরাট মাপের মানুষকে নিয়ে আমার ক্ষুদ্র লেখাটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য । তার অর্থ সম্পদ সন্মান নিয়ে তিনি পারতেন পা তুলে জীবন কাটাতে । ওনার সোনার সিংহাসন থেকে শুরু করে সোনার বজরা পর্যন্ত আছে । তারপর ও সব ছেড়ে তিনি মাটিতে বসেছেন প্রজাদের সাথে এক কাতারে। তাদের কল্যানে জীবন দিয়েছেন শেষ দিন পর্যন্ত।

মাটির ক্ষয়রোধ, খরা এবং আগুনেও বেচে থাকা ছাড়া আরো অনেক গুনে ভরা ভেটিবার ঘাস লাগাচ্ছেন তিনি নিজ হাতে।
তাইতো সেদেশ বাসী তাকে দেবতা বলে বিশ্বাস করে।
আবারো ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন ।


৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক বড় লেখা পড়তে শুরু করি।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

জুন বলেছেন: আচ্ছা শুরু করেন । আমি আছি মোস্তফা সোহেল :)
সব সময় সাথে আছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো , আরো একটি জায়গা চেনালেন এবং দেখালেন। অনেক ধন্যবাদ আপু।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৫

জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ দীর্ঘ সময় ধরে সাথে থাকার জন্য ।

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: থাই ভাষায় ভারতীয় শব্দের ব্যাবহার দেখা যাচ্ছে

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৭

জুন বলেছেন: তাতো দেখবেনই আততায়ী আলতাইয়ার । আপনার চোখের প্রশংসা করতেই হয় ।
থাই ভাষা মুলত এসেছে ভারতীয় সংস্কৃত আর পালি ভাষা থেকে ।
পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে পড়া ও মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কি অসাধারন ভাবে লিখে গেলেন। পড়ে মন ভরেছে । ভ্রমন বিষয়ে লেখা ছোট হলে পড়ে তৃপ্তি পাই না।
ইস আমাদের যদি রাজা ভূমিবলের মত একটা রাজা থাকত।
পাহাড় দেখলে আমার কেমন নেশা লাগে। পাহাড়ের প্রতি আমার একটা অন্যরকমের টান আছে। ছবি দেখে খুব যেতে ইচ্ছে করছে এমন স্থানে।
এমন সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ জুন আপু।
আচ্ছা আপু কি ধরনের কাজ নিয়ে থাইল্যান্ডে যাওয়া যাবে একটু বলবেন?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

জুন বলেছেন: মোস্তফা সোহেল পুরোটা মনযোগ দিয়ে পড়ে আবার এসেছেন মন্তব্য করেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
আমি যা দেখেছি আর যা শুনেছি তার কিছুই লেখা হয়নি মনে হয় ।
সেখানকার পাহাড়গুলো সত্যি নেশা ধরানো । ঝকঝকে রাস্তা ঘাট , পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চারিদিক । আর প্রতিটি বাসায় কিছু ফুলের গাছ থাকবেই সাথে সবুজ শ্যমল প্রকৃতি তাকিয়ে থাকবার মত ।
থাইল্যান্ডে কাজ পাওয়া কঠিন । তাদের সরকারের নির্দেশ আছে আপনি কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করতে গেলে সেটা যত ছোট হোক আর বড়ই হোক তার অর্ধেক কর্মচারী থাই নিতে হবে । অফিসে আদালতে প্রথম প্রেফারেন্স থাই। আমাদের মত বিদেশী প্রীতি নেই। আর থাই ভাষা আপনাকে জানতে হবে । এজন্যই ওদের দেশে বেকারত্বের হার ০.৫ ।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জিডিপি নিয়ে প্রথম আলোয় বলেছেন :
ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের উদাহরণ যদি দেওয়া যায়, ফিলিপাইন অনেক সম্ভাবনাময় থাকলেও এগোতে পারেনি। কারণ, ফিলিপাইনের লোকেরা সম্পদ জমা রাখত যুক্তরাষ্ট্রে। আর থাইল্যান্ডের শিল্পপতিরা কখনোই সম্পদ বিদেশে নিয়ে যাননি। দেশটি এগিয়েছে নিজের শক্তিতে।
আবারো ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল ।

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোষ্ট করার জন্য. রাজা ভূমিবল সম্পর্কে আগে বেশ জানা ছিল. আপনার লেখায় আরও অনেক কিছু জানলাম.

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮

জুন বলেছেন: আপনার জানার পরিধি ছাড়িয়েও আরেকটু জানাতে পেরে অনেক ভালোলাগলো শাহিন-৯৯। সাথে আছেন দেখে অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো । শুভকামনা নিরন্তর :)

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: অনেক সুন্দর বর্ণনা। মনে হয় যেন ঘুরে এলাম।
কোন দিন সম্ভব হলে ঘুরে আসবো।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৫

জুন বলেছেন: স্বাগত আমার ব্লগে রায়হানুল এফ রাজ । প্রশংসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ । সুযোগ পেলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন ভালো ভালো জায়গাগুলোতে ।
শুভেচ্ছন্তে ।

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

সামিয়া বলেছেন: চমৎকার জায়গা, চমৎকার সব ছবি বর্ণনা তথ্য, অনেক ভালো লেগেছে। অসাধারণ।।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

জুন বলেছেন: থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই অঞ্চলটি যেমন ভালোলেগেছিল ইতি সামিয়া তেমন লেগেছিল ফুকেট ।
আমার বর্ননা ভালোলাগার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ।
আগামীতেও সাথে থাকার প্রত্যাশী ।
শুভেচ্ছান্তে .......

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: পুরোটা পড়লাম। :) ++

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০৫

জুন বলেছেন: পুরোটা পড়েছেন জেনে খুব খুশী হোলাম রিফাত হোসেন ।
এত কষ্ট করে লিখেছি সেটা আধাখ্যাচড়া করে পড়লে কি আর ভালোলাগতো :(
পোষ্ট পড়া , মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আসলেই বিচিত্র দুনিয়াটা !

শিরোনাম দেখেই চলে গেলাম। প্রিয়তে থাকুক, ভালোভাবে পড়তে হবে সময় করে।

শুভেচ্ছা রইল। শুভকামনা সবসময়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

জুন বলেছেন: আচ্ছা পড়বেন সময় করে নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন। কেমন লাগলো জানিয়ে যাবেন আশাকরি ।
আর প্রিয়তে রাখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিরন্তর ।

১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই অনন্য অসাধঅরন ভ্রমন ইতিহাস আর দারুন বর্ণনার ককটেলে উপভোগ্য এক পোষ্ট!

মুগ্ধতা একরাশ

++++++++++

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

জুন বলেছেন: আপনাদের জন্য ককটেল পরিবেশন করতে পেরে নিজেকেও সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে ভৃগু ;)
পোষ্ট পড়া মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
সাথে থাকুন বরাবরের মতই ।

১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৪

শূন্যনীড় বলেছেন: অনেক পরিশ্রমী পোষ্ট। ভালো লাগলো অজানাকে জেনে।

শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫২

জুন বলেছেন: স্বাগত আমার ব্লগে শূন্যনীড় । লেখাটি আপনার ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো । আশাকরি সামনের দিনগুলোতেও সাথে থাকবেন । শুভকামনা আপনার জন্যও ।

১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আধুনিক ইবনে বতুতাই বটে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

জুন বলেছেন: চেষ্টা করছি ইবনে বতুতার মত হতে ফরিদ আহমদ চৌধুরী :)
পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
সাথে থাকুন আগামীতেও ।

১৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৯

সৈয়দ মেহবুব রহমান বলেছেন: সেই রকম লেখা , জাস্ট অসাধারন

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

জুন বলেছেন: সৈয়দ মেহবুব রহমান স্বাগত জানাই আমার ব্লগে ।
ভালোলাগা ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
আগামী পোষ্টগুলোতেও সাথে থাকার প্রত্যাশায় ।
শুভেচ্ছান্তে ......

১৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমার পরিচিত ছাত্রী লাওসের এক সাধারন সরকারী কর্মচারীর সন্তান। ব্যাংককের অত্যন্ত দামী অভিজাত শপিং মলের ব্র্যান্ডেড দোকান থেকে অত্যন্ত অবহেলা ভরে ৬০ হাজার বাথ দিয়ে কিনলো একটি হাত ব্যাগ। যেখানে বিভিন্ন সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত গাধার খাটুনি খেটে ইউনিভার্সিটি পাশ করা একজন থাই গ্র্যাজুয়েটের মাসিক বেতন টেনেটুনে ২৫ হাজার বাথ। এটা হলো একটি মাত্র উদাহরন, লাওসে এমন শত শত উদাহরন আপনি খুজে পাবেন।
খুব অবাক হলাম

গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে জানলাম। আগে মুখস্থ করতাম, এখন হুন শা, ত্রিভুজ সবকিছু মিলিয়ে গল্প করতে পারবো।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

জুন বলেছেন: রাতুল ফোন দিয়ে এত কষ্ট করে লেখাটি পড়া এবং মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জেনো ।
সত্যি অবিশ্বাস্য তার কেনাকাটার ব্যাপারটি। বাংলাদেশী টাকায় দাঁড়ায় আনুমানিক ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ।

কারো কাছে গল্প করবে ? ভালই হলো মানুষ জানুক তাদের কুৎসিত ইতিহাস ।
সাথে থেকো চিয়াং মাই ভ্রমণ এখনো শেষ হয়নি :)

১৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সেই কবে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল পড়েছিলাম।। আজও পড়লাম।। পার্থক্য তখন ছিল শুধুই খুনশা বা হুনশার কথা।। এখন পড়লাম তিনটি দেশেরই কথা।। সামাজিক অবস্থারও কিছুটা ধারনা নিয়ে।।
সবশেষে নিজের অজান্তেই দীর্ঘশ্বাসের সাথে ভাবলাম, আমাদের যদি এমন একজন রাজা ভূমিবল থাকতো!!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

জুন বলেছেন: সেই কবে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল পড়েছিলাম।
সচেতনহ্যাপী আমার মনে হয় সেই মাসুদ রানার যুগে হয়তো বা ।
আমাদের দেখার কেউ নেই , আমাদের জীবনও যেন সেই লাওবাসিদের মতই ।
মনযোগী পাঠের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আর সাথে থেকে নিয়মিত উৎসাহ দেয়ার জন্যতো বটেই ।
শুভকামনা জানবেন ।

২০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৯

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাল লাগল। এই ধরণের লেখা পত্রিকায় দিতে সুবিধা, অল্প কিছু ছবি সহ। আমি আশা করি সামনের সপ্তাহে আপনাকে জানাব।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

জুন বলেছেন: তানিম তোমার কাছে ভালোলাগা এক বিশাল ব্যাপার ;)
তারপর ও তোমার কাছে ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো :)
জানিও কি হলো না হলো । অপেক্ষায় থাকবো ।
অশেষ ধন্যবাদ সাথে থেকে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করার জন্য ।

২১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৩৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
নীল আকাশের নীচে আমি রাস্তা চলেছি একা B-) ............... লাইক আর প্রিতে রেখে দিলাম ।




ফিরছি .....।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

জুন বলেছেন: লাইক আর প্রিয়তে রেখেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবির.
শুভকামনা জানবেন

২২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্টের প্রাথমিক ভুমিকা পাঠের পর খানিক এগিয়ে গিয়ে বানিজ্যিক নৌকার উপর বসে থাকা সোনালী রঙের বিশাল ব্রোঞ্জের বুদ্ধ মুর্তিটা আমার দৃষ্টি কেড়েছে ।

ব্রোঞ্জের বুদ্ধ মুর্তি ছাড়াও বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন প্রতীকের মাঝে সিমেন্টে তৈরী বিশাল জোড়া হাতির মুর্তিটিও এক সুন্দর নান্দনিকতার নিদর্শন । মনে হয় বড় ভুল করেছেন, মুর্তির কাছেই থাকা দান বাক্সে কিছু বাথ ফেলে সিড়ি বেয়ে ঊঠে হাওদায় বসে ছবি তুললে একদিকে আমরা মন ভরে অনেক ছবি দেখতে পেতাম , আরদিকে আপনিও কিছু পুণ্য নিতে পারতেন ঝুলা ভরে । এডভেঞ্চার থেকে বঞ্চিত হলেন বলে কিছুটা দু:খ পেলাম মনে ।

হাতী বুদ্ধ ধর্মের প্রতীক সাথে কালো রঙের চাইনীজ দেবতার মুর্তি, এটা কোন দেবতার মুর্তী জানতে পারলে ভাল লাগত , যাহোক অজানা দেবতার প্রতি শ্রদ্ধা থাকল । প্রাচীন নগরী চিয়াং সান বিখ্যাত লান্না সাম্রাজ্যের রাজধানী থাকার কথাটি জেনে ভাল লাগলল । শুনেছি ত্রয়োদশ শতাব্দির চায়নীজ History of the Yuan অনুসারে একে নাকি Pa-pai-si-fu,নামে আভিহিত করা হত । থাই এ অঞ্চলে চায়নীজ প্রভাবটা তাই হয়ত একারণেই ভাল মতে পড়েছে , ইতিহাসবিদ হিসাবে বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন দেখে ভাল লাগল ।

আপনার সাথে নৌকায় চড়ে ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ তুলা রুয়াক নদী,সাথে প্রমত্তা মেকং নদী মোহনায় এসে একমাথে লাওস, মায়ানমার আর থাইল্যান্ড দেখে খুব আনন্দ লাগছে ।

সেখানেও উস্কখুস্কো চুল আর মলিন জামা কাপড় পড়া ছিন্নমুল শিশুগুলো খেলা ফেলে দৌড়ে এসে হাত পেতে দাঁড়ায় দেখে সত্যি মনটা খারাপ হয়ে গেল দুটি কারণে । প্রথমত বাচ্চাদের জন্য কষ্ট লাগল, দ্বিতীয়ত এই বিদেশী পর্যটক সমৃদ্ধ এলাকায় বাচ্চাদের হাত পেতে কিছু নেয়ার দৃশ্য কতৃগক্ষ কিভাবে ঘটতে দিচ্ছে , তারা ভাবছেনা এটা যে বিদেশীদের কাছে তাদের ইমেজ নষ্ট করছে , যাহোক এটা তাদের ব্যপার আমাদের তাতে কি ?

থাই ল্যান্ড ট্যাক্স কাউন্টার এর কাছে ক্যাসিনোর জন্য আমদানী করা বিদেশী দামী ব্রান্ডের মদ ও সিগারেট অসৎ কর্মচারীরা গোপনে বিক্রী করেছে, কতৃপক্ষ করছেটা কি , ল্যান্ড ট্যাক্স কাউন্টার এর নাকের ডগায় হচ্ছেটা কি , এযে দেখি আমাদের বেনাপোল সীমান্ত চৌকীকেও হার মানিয়েছে , ধন্যবাদ আপনাকে এটাকে তুলে ধরেছেন বলে ।

মাদক মুক্ত লাওস অঞ্চলটি কর মুক্ত ইকোনমিক জোন ব্যাবসায়ীদের কাছে ৯৯ বছরের জন্য জমি লীজ দিচ্ছে। অথচ সেখানকার জনশুন্য নির্বান্ধবপুরে স্বর্ন মুকুট মাথায় নিয়ে ক্যাসিনো বানিজ্য জমে উঠেছে , এর আড়ালে কি চলছে, জুয়ারীরা কেন যায় সেখানে বিধাতাই কেবল তা জানে , তবে ধারণা করা যায় কর মুক্ত এ অঞ্চলটিতে কালো টাকার প্রচুর ছড়াছড়ি আছে !!! আর তাই সেখানকার নির্জন এলাকায় জুয়াড়ীদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে দামী দামী পানীয়, সুন্দরী লাও, চাইনীজ, মায়ানমার আর থাই রমনী , বানিজ্য কাহাকে বলে দেখিয়ে তারা দিয়েছে !!! ধন্যবাদ সুন্দর করে তুলে এনেছেন এদেরে , বিশ্ববাসী দেখুক কি হচ্ছে গোল্ডেন ট্রায়াংগেলে , অচীরেই মনে হয় হয়ে যাবে এটা ডায়মন্ড ট্রায়াংগাল !!!!

লাওসের সাধারণ মানুষের আয় বৈষম্যের করুন চিত্রটি দেখে মনটা সত্যিই ভাড়াক্রান্ত হয়ে যায় ।এক দিকে লাওসের ছিন্নমুল শিশুদের রাস্তায় বসে ফুল বিক্রি, অপর দিকে দুর্ণিতিগ্রস্ত লাওসের সরকারী সন্তানদের ৬০০০০ বাথ তথা ১৭৫০ ডলার মুল্যের হাত ব্যগ কিনা, সে যে কত বড় আয় বৈষম্যের ব্যপার ভাবতেও অবাক লাগে ।

শুকনো দিনে মেকং নদী উপচে পড়ে অপরদিকে আমাদের তিস্তা আর পদ্মা নদী শুকিয়ে মরে , এর পরেও এটা কিভাবে সম্ভব হলো আমাদের নদী বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিবিদদের নজরে নাহি পড়ে অথচ দলবেদে তারা ঘন ঘন সরকারী খরচে থাইল্যান্ড , লাউস আর চীনে যায় ভ্রমনে !!!

অপিয়াম মিউজিয়াম যাওয়ার পথে তথা পোষ্টের এ অংশ পাঠের সময় জানা হল সেখানকার শতাব্দীব্যাপী অপিয়ামের ইতিহাস ,রাজা ভুমিবল এর মত আমরাও জানতে পারলাম ভয়ংকর মাদক তৈরীর উপাদান পপির বাগানের কথা । জানা গেল কেমন করে চীনে আফিম উৎপাদন ও বিক্রীর ব্যাবসা চালিয়ে যাবার জন্য ইংল্যান্ড ইতিহাস কুখ্যাত ওপিয়ামের যুদ্ধ করে হং কংকে বাগিয়ে নিল , কেমন করেই বা তা আবার অশ্রুসিক্ত নয়নে চীনকে ফিরিয়ে দিল ।

Papaver somniferum নামের সেই পপি গাছটির সাথে জানা গেল অপিয়াম মিউজিয়ামটি কথা , আপনার মত আমারো মনে এক গভীর দাগ কেটে গেলো। অপিয়াম মিউজিয়াম রেপ্লিকার মাধ্যমে তুলে ধরা মাদকাসক্ত মানুষের জীবনের করুন পরিনতি থেকে জগতবাসীর শিক্ষনীয় অনেক কিছুই আছে ।তিনটি দেশের কিছু ভুখন্ড নিয়ে এই ত্রিকোনাকৃতি অঞ্চলটির নাম গোল্ডেন ট্রায়াংগাল কে দিয়েছিল জানা গেলে ভাল লাগত ।

মাদক ব্যাবসায়ীদের কালো থাবায় থাকা চি য়াং রাই বিস্তীর্ন পাহাড়ী এলাকাটি থাই জনপ্রিয় রাজার আন্তরিক প্রচেষ্টায় স্বর্গের নন্দন কানন চা বাগানে পরিনত হওয়ার ছবি দেখে ভাল লাগল

ধন্যবাদ , আজ এ পর্যন্তই , বাকিটা পরে এসে লিখব , বাংলা টাইপে হাত একদম চালু না , ঘন ঘন ফন্ট বদলায় বলে এক অক্ষর কয়েকবার লেখতে হয় . বানান যে কত ভুল হয় তার নাই কোন সীমা পরিসীমা ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জুন বলেছেন: প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর এবং বিশ্লেষনাত্মক মন্তব্যের জন্য । পড়লেই বোঝা যায় কতখানি খুটিয়ে খুটিয়ে আপনি পড়েছেন আমার সামান্য লেখাটি ড: এম আলী ।
সোনালী রঙের বিশাল ব্রোঞ্জের বুদ্ধ মুর্তিটা অনেক দূর থেকেই দেখা যায় । এমনকি ডন সাও থেকেও যেমন দেখা যায় কিং রোমান ক্যাসিনোকে ।
গাইড এসে তাড়া দিল তাছাড়া তখন দু জন উপরে বসে ছবি তুলছিল , তাদের সংগী একজন অপেক্ষারত তাই আর সুযোগ পাই নি । দান বাক্সে টাকা ফেলা বাধ্যতামুলক নয় । এই আফসোস রয়েই গেল ।
বিদেশী পর্যটক সমৃদ্ধ এলাকায় বাচ্চাদের হাত পেতে কিছু নেয়ার দৃশ্য কতৃগক্ষ কিভাবে ঘটতে দিচ্ছে , সেখানে কোন কতৃপক্ষ আছে কি না সেটাই ভাবার বিষয় আর থাকলেও হয়তো তারাও দুর্নীতিপরায়ন । মদ বিক্রেতা থেকে শুরু করে ঐ ছিন্নমুল শিশুদের কাছ থেকেও হয়তো কমিশন খাচ্ছে ।
ভালোই বলেছেন ডায়মন্ড ট্রায়াঙ্গেল । তবে থাইল্যান্ডকে যুক্ত করা একটু কষ্ট আছে । তাদের দিকে যথেষ্ট কঠোর নজরদারী দেখলাম । আর ক্যাসিনো গুলো দুর্গের মত করে তৈরী । সেখানে গিয়ে দেখে আসা সম্ভব না সাধারন পর্যটকদের জন্য ।
হ্যা হং কং যখন ফিরিয়ে দিল চীনের কাছে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তখন শেষ গভর্নর ক্রিস প্যাটেনের কান্না দেখেছিলাম টিভিতে ।
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল নাম দিয়েছিল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ।
মাদক সাম্রাজ্য এখন শুধু চা এর বাগানই নয় আরো বহু রকম ফল ফসল আর ফুলের বাগানে ভরপুর :)
অসুবিধা নেই যখন সময় পাবেন তখনই আসবেন । আপনার বাকি মুল্যবান মতামতের প্রত্যাশায় থাকলুম ।
অসংখ্য ধন্যবাদ এতখানি বলার জন্য ।
শুভকামনা অনেক অনেক ।

২৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪১

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: কি আর বলবো! আমাদের জন্য আপনার অসাধারণ!!
যেমন ছবি তেমন বর্ননা। অনেক ধন্যবাদ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

জুন বলেছেন: আপনি কিছু না বল্লেও অল্প কথায় অনেক কিছুই বলে গেছেন মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য । সাথে থাকবেন বরাবরের মতই তারই প্রত্যাশায় ।
শুভেচ্ছান্তে .....।

২৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আসলে আপু এটাই ঠিক কিছু সৌন্দর্য মূখে বলে বা লিখে বোঝানো যায়না। বড় কোন দেশে যাওয়ার সমর্থ নেই । তাই কিছুদিন ধরে মাথায় ঢুকেছে ছোট কোন দেশে যদি গিয়ে কোন জব করতে পারতাম তাহলে ভাল হত। বিশেষ করে পাহাড় পর্বত আছে এমন দেশে। ভুটানে কি বাংলাদেশের মানুষদের জন্য কাজের সুযোগ আছে। জানি আপনাকে এসব জিজ্ঞেস করে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করছি। মাঝে মাঝে এই দেশটা ভাল লাগে না। চারিদিকে দূর্নিতিতে ছেয়ে গেছে। আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জব করি এখানেও সজন প্রিতি। ভাল থাকবেন জুন আপু।
আর অন্য দেশে যেমন নেপাল- ভুটান-শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপে ভিসা নিয়ে এসব দেশে কি ধরনের জব করা যাবে যদি জানেন তাহলে একটু জানাবেন।
বা অন্যকারও কাছ থেকে জেনে জানালে খুশি হতাম।
[email protected]

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৭

জুন বলেছেন: মোস্তফা সোহেল সত্যি বলতে কি দুর্নীতির জন্য অনেক সময়ই খারাপ লাগে । কাজের পরিবেশ থাকে না । এখন ভুটানে আমি কোন বিদেশীকে কোন জব করতে দেখি নি । তারা খুবই শান্তশিষ্ট চুপচাপ এক জাতি । থাকলেও হয়তো ভারতীয় বা তিব্বতীয়রা থাকতে পারে । আর তারা কোন রকম ব্যাবসা হয়তো করে । বর্তমানে সারা পৃথিবী জুড়েই মন্দা চলছে । বাংলাদেশীদের ভিসা দিতেও অনেক দেশ গরিমসী করে।
সত্যি কথা বলতে কি এ বিষয়ে আমার কোন ধারনাই নেই । থাইল্যান্ডে আমি যে সব বাংলাদেশী দেখেছি তারা সবাই ব্যাবসায়ী। তারপর ও কখনো খোজ পেলে অবশ্যই জানাবো

২৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: অসাধারণ স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাহিণী এবং গোল্ডেন ট্রায়ঙ্গেল এর অপরূপ সৌন্দর্য্য । আমার কাছে মনে হলো ভূমিবল তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন পুরোটাই সফলভাবে দেখে গেছেন । স্যালুট ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি পোস্টের জন্য যদিও আপনার সকল পোস্টই এমন অসাধারণ । তাই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩০

জুন বলেছেন: আমার কাছে মনে হলো ভূমিবল তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন পুরোটাই সফলভাবে দেখে গেছেন ।
এটা একেবারেই সত্য কথাকেথিকেথিকথন । তবে মৃত্যুর আগেও তিনি সরকার সহ সমস্ত দেশবাসীর কাছে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে গেছেন । দুরদৃস্টিসম্পন্ন রাজা জানতেন ঐক্য না থাকলে কি হয় একটি দেশের ।
আপনার প্রশংসা মাথায় তুলে নিলুম । আর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
সাথে থাকবেন আগামী দিনগুলোয় :)
শুভেচ্ছান্তে .....।

২৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আর এখানেই রুয়াক আর মেকং এর মোহনায় এসে মিলেছে তিনটি দেশঃ লাওস, মায়ানমার আর থাইল্যান্ড। -- ছবিটা খুব চমৎকার লাগলো।
বাচ্চাগুলো আমাদের দেশের মতই, দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল -- :(
দরিদ্র লাওদের ঝুপড়ী দোকানে আমাদের ঘুর ঘুর -- ছবিটা দেখে আমাদের গ্রামের হাট বাজারের কথা মনে পড়ে গেল!
এটা হলো একটি মাত্র উদাহরন, লাওসে এমন শত শত উদাহরন আপনি খুজে পাবেন। -- চমৎকার একটা উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিলেন।
নৌকায় বসে মধ্য ফেব্রুয়ারীর এই শুকনো মৌসুমেও জলভরা মেকং এর উত্তাল ঢেউ পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডের দিকে আসতে আসতে মনের মধ্যে ভেসে উঠলো শুকনো বালুচর বুকে নিয়ে থাকা পানি শুন্য তিস্তা পদ্মা সহ অসংখ্য নদীর কথা -- ছবিগুলো দেখতে দেখতে আমারও সে কথাই মনে হলো!
ইতিহাসে কুখ্যাত ওপিয়ামের যুদ্ধ এর উপরে কিছুটা আলোকপাত করার জন্য ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর ট্রাভেলগ/ ছবি ব্লগ। + +
কথা আরো কিছু বাকী আছে। সে কথায় খানিক পরে আসছি। এখন টী ব্রেক! :)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

জুন বলেছেন: ত্রিভুজ চিনহিত জায়গাটির অন্য রকম সৌন্দর্য্য খায়রুল আহসান । এলাকাটি দেখে আমাদেরও মনে হয়েছিল জনবিরল একটি এলাকা । তাইতো হুন শা এখানে বেআইনী কারবার শুরু করেছিল । জল ভরা নদী দেখে সত্যি খুব দুঃখ লাগছিলো আমাদের দেশের নদীর কথা ভেবে ।
পোষ্টটি ভালোলাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
ঠিক আছে ফিরে আসুন অসুবিধা নেই :)
শুভেচ্ছান্তে .......।

২৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বেশ পরিশ্রমী এক্যা পোস্ট এবং অনেক অনেক তথ্য বহুল ++++++++

নৌকায় বসে মধ্য ফেব্রুয়ারীর এই শুকনো মৌসুমেও জলভরা মেকং এর উত্তাল ঢেউ পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডের দিকে আসতে আসতে মনের মধ্যে ভেসে উঠলো শুকনো বালুচর বুকে নিয়ে থাকা পানি শুন্য তিস্তা পদ্মা সহ অসংখ্য নদীর কথা!
আসলেই আমাদের দেশের নদীর দিকে তাকালে মনে পরে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি নদী দেখতে পারবে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮

জুন বলেছেন: সময় করে আমার পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো । সাথে আছেন নিয়মিত দেখে ভালোলাগছে ।
পরের প্রজন্ম হয়তো বই কিতাবে দেখে বাবা মা প্রশ্ন করবে নদী কি জিনিস ?
শুভকামনা জানবেন অনেক অনেক ।

২৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: কথামত ফিরে এলাম আবার।
মনে প্রশ্ন আসে, হুন শা নিজেও কি ওপিয়াম সেবন করতেন? করলে তো এত বড় একটা নরক সাম্রাজ্য গড়তে পারার কথা নয়।
সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৬,৩২৫ ফুট উচুতে চিয়াং রাই এর দই আং খাং ছিল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গম এলাকা। সেখানকার পাহাড়ী জনগন মানবেতর জীবনযাপন করছিল। তরুন রাজা ভুমিবল সেই আগুনে পোড়া, বৃষ্টিতে ক্ষয়ে যাওয়া পাহাড় আর পপি চাষের ফলে ক্ষারযুক্ত সেই অনুর্বর মাটির উর্বরা শক্তি কি করে ফিরিয়ে দেয়া যায় তার জন্য টেকসই এক প্রকল্প নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন -- জনদরদী রাজা ভূমিবল এবং রানী সিরিকিটকে আবারো একবার স্যালুট! ওঁরা নিজেদের অন্তর্নিহিত আলো দিয়ে দরিদ্র দেশটিকে আলোকিত করে গেছেন।
মনে পড়ে গেল, পাকিস্তান আমলে, এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশে সত্তরের দশকেও থাই যুবকেরা এদেশে আসতো কৃষি এবং চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশোনা করতে, কারণ তাদের দেশে তখন চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় কিংবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিলনা। মালয়েশিয়ানরাও আসতো, কারণ তখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ আর ময়মমনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর খুব সুখ্যাতি ছিল। আর আজ আমরা তখন যেখানে ছিলাম, সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি, কিংবা হয়তো পিছিয়েই পরেছি, আর তারা আজ কোথায় গিয়েছে! সুশাসন একটা জাতিকে কতটা উন্নত করতে পারে, সেটা এদের দেখে বোঝা যায়।
আবারো বিরতি!!! :)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২০

জুন বলেছেন: কথা রাখতেই হবে এটাতো সেই ছোটবেলা থেকে কর্মজীবন পর্যন্ত প্রশিক্ষন পেয়েছিলেন তাই নয় কি খায়রুল আহসান :) আর এই আসা টুকু অর্থাৎ কথা রাখার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আপনার মন্তব্য দেখলেই বোঝা যায় কতখানি মনযোগী পাঠক আপনি । সত্যি বলতে কি আমি নিজেও আমার নিজের লেখা এত খুটিয়ে দেখি না । যার ফলে বানান সহ অনেক কিছুই ভুল ভাল থেকে যায় লেখায় ।
এবার আসি আপনার প্রশ্নের জবাবে ।
আমি জানি ময়রারা কখনো মিষ্টি খায় না সেই থিওরী অনুযায়ী হুন শার ও মাদক খাওয়ার কথা না । আর মাদক খেয়ে পরে থাকলে কি আর সে এতখানি জায়গা জুড়ে মাদক উৎপন্ন আর সারা দুনিয়াজুড়ে মাদক ব্যাবসা করতে পারতো বলুন ? এ দ্বারা প্রমানিত তিনি মাদক সেবী ছিলেন না । আর তার ছবি দেখেও তাকে মিওজিয়ামে পরে থাকা রেপ্লিকার ঐ ব্যাক্তির মত লাগছে না ;)
মনে পড়ে গেল, পাকিস্তান আমলে, এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশে সত্তরের দশকেও থাই যুবকেরা এদেশে আসতো কৃষি এবং চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশোনা করতে, কারণ তাদের দেশে তখন চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় কিংবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিলনা। মালয়েশিয়ানরাও আসতো, কারণ তখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ আর ময়মমনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর খুব সুখ্যাতি ছিল। আর আজ আমরা তখন যেখানে ছিলাম, সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি, কিংবা হয়তো পিছিয়েই পরেছি,
মর্মান্তিক সত্যি । আজ থাইল্যান্ডের ক্যাসেটসার্ট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দেশের লোকজন যায় কৃষি ও এক্যাকালচার শিখতে । বাবা ডাক্তার ছিলেন হার্ভার্ড থেকে পাশ করা। রাজা ভুমিবলের শিশু অবস্থায় তিনি মারা যান । তার স্মৃতির স্মরণে গড়ে তোলেন বিখ্যাত মাহীদল ইউনিভার্সিটি যেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর গবেষনা করা হয় অন্যান্য বিষয়ের সাথে । আজ পৃথীবীর বহু রোগী থাইল্যান্ড আসে চিকিৎসা নিতে। আর চিকিৎসকদের সেবার মানসিকতার কথা নাই বা বললাম । তাদের দেশে এমন বহু প্রতিষ্ঠান আছে যার জন্য বর্তমানে অন্য দেশে যেতে হয় না ।
বেশ কয়েক বছর আগে আমার স্বামীর সাথে এই চিয়াং রাই এর দুই ছাত্র ম্যানিলা গিয়েছিল ড্রাই ফ্রুটস তৈরীর উপর পড়াশোনা করতে।
এখন তারা নিজেরাই তা পারে দক্ষতার সাথে।
আন্তরিক এক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
শুভেচ্ছা সকালের :)

২৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: তিনি কোন রাজকীয় বা সরকারী কর্মচারীর সাহায্যের আশায় বসে থাকেন নি, বা হুকুম দিয়েও সারেন নি তার দায়িত্ব -- এটাই ছিল তার সদিচ্ছার প্রমাণ, ভাল কোন কিছু করতে চাইলে এভাবেই করতে হয়।
চোখ ধাঁধানো সব ফুল আর ফার্ন এর ছবি দেখে ও পরিচিতি পেয়ে মুগ্ধ হ'লাম।
থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ড্রাই ফ্রুটস ব্যাংকক গিয়ে খায়নি বা কিনেনি এমন মানুষ বিরল -- আমি তেমন একজন বিরল মানুষ!! :D
থাইল্যান্ডে এ যাবত বহুবার গিয়েছি। শেষবারের মত গিয়েছিলাম ২০০১ সালে। তবুও কেমন করে বিরল এর তালিকায় নাম লেখালাম, সে এক প্রশ্ন বটে। দেখি, আগামীতে আবার যদি যাওয়া হয়, চেষ্টা করবো সে বৈরল্য ঘোচাতে। :)
তবে বনায়নের ব্যাপারে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রেখেছেন রাজা ভুমিবলের মা প্রিন্সেস নগরিন্দ্রা -- যোগ্য মাতার যোগ্য পুত্র বটে!!!
সেখানকার খরা দেখে তিনি কৃত্রিম বৃষ্টিপাত এর মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আবিস্কার করেছেন যা আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে পেটেন্ট করা। এই টেকনোলজি ব্যাবহার করতে হলে আপনাকে অনুমতি নিতে হবে -- প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং সদব্যবহার ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।
এখন থেকে থাই এয়ারওয়েজে ভ্রমণকালে খাদ্যতালিকায় যদি স্ট্র' বেরী দেখি, তবে দরিদ্র থাই কৃষাণ কৃষাণী এবং রাজা ভূমিবল, রাণী সিরিকিত এবং রাজার মা প্রিন্সেস নগরিন্দ্রা এর কথা মনে পড়বে।
উন্নত মানের সুগন্ধী চাল এর ছবিটা দেখে চক্ষু জুড়ায়, গুণাগুণের কথা পড়ে মন ভরে।
সেখানকার জনগনের জন্য তাঁর সুদুর প্রসারী চিন্তা ভাবনা আর অবদান শুধু বর্তমানকে ঘিরেই নয়, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যেন তার সুফলভোগ করতে পারে সেই ব্যাবস্থাই তিনি করে গেছেন -- দূরদর্শী এ রাজা সত্যিই দেবতা তুল্য।
তারপর ও শুনলাম কিছু কিছু আদিবাসী লুকিয়ে ফসলের আড়ালে অল্প স্বল্প পপি চাষ করছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক -- নরকের কীট সবখানেই অনুপ্রবেশ করতে পারে।
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ভ্রমনে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে -- এমন অসাধারণ একটি ভ্রমণ কাব্যে সঙ্গী করে নেয়ার জন্য পাঠকেরই বরং লেখককে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানানোর দায় থেকে যায়।
আপনাকে টুপি খোলা অভিনন্দন এবং অনেক অনেক ধন্যবাদ, জুন!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৯

জুন বলেছেন: আবার আসা এবং মুল্যবান মতামত রাখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ।
এটাই ছিল তার সদিচ্ছার প্রমাণ, ভাল কোন কিছু করতে চাইলে এভাবেই নিজের হাতে করতে হয়। থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ড্রাই ফ্রুটস ব্যাংকক গিয়ে খায়নি বা কিনেনি এমন মানুষ বিরল -- আমি তেমন একজন বিরল মানুষ!!
তাইতো দেখছি :-*

প্লাম আর চাইনীজ আদা শুকোনো ।
আশাকরি এবার গেলে খেতে ভুলবেন না ।
প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং সদব্যবহার ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।
শুধু কৃত্রিম বৃষ্টিপাত এর মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আবিস্কারই নয়,রাজা ভুমিবল আরো বহু কিছু আবিস্কার করেছেন ।তার আবিস্কৃত ২০ টি জিনিস তাঁর নামে পেটেন্ট করা ।
১৯৯৩ সনে তিনি পানি ট্রিটমেন্ট করার জন্য আবিস্কার করেন খুব সহজ পদ্ধতির এক যন্ত্র যার নাম Chaipattana
Aerator যা তার নামে পেটেন্টকৃত ।

Chaipattana Aerator
আবদ্ধ পানির দুর্গন্ধ দূর , কলকারখানার বর্জ্যে দুষিত পানিতে অক্সিজেন সরবরাহ যাতে জলজ প্রানীরা বেচে থাকতে পারে তার জন্য পানির স্রোত আর বাতাসে চলে এমন অত্যন্ত সহজ একটি জিনিস তিনি আবিস্কার করেন যা আপনি সেদেশের প্রতিটি লেকে দেখতে পাবেন । ছবি দিলাম দেখেন ।



থাই এয়ারওয়েজের শুধু স্ট্রবেরীই নয় সেখানে পরিবেশিত কফি চা থেকে অন্যান্য খাবার বিশেষ করে সালাদেও পাবেন চিয়াং রাই এর উপাদান ।
আপনার সতস্ফুর্ত অভিনন্দন ও ধন্যবাদের জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাই ।
আমার লেখাটি এত মনযোগের সাথে পড়ে মন্তব্যের জন্য খুব খুশী হোলাম। আমিও চেষ্টা করেছি আপনার মন্তব্যের যথাযোগ্য তত্থ্য সহ উত্তর দিতে :)
শুভকামনা জানবেন ।

৩০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


থাইল্যান্ডের মানুষ এক মহাপুরুষ পেয়েছিলেন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

জুন বলেছেন: থাইরা মনে করে তাদের রাজা দেবতার অংশ । মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ চাদগাজী ।
আগামীতেও সাথে থাকবেন বলে আশা করি :)

৩১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: থাইল্যান্ড এর রাজনীতিক মানুষ বলতে সুধু চিনি, তাদের সাবেক নারী প্রধানমন্ত্রী থাকসিন ইলাওএরা। তার রুপের প্রশংসা করতে হয়।। থাই এয়ারলাইন এ তাদের টিভি স্কিন এ থাই রাজা ভুমিবলের একটা ছোট ডকুমেন্টারি দেখে রাজার প্রতি তাদের ভালবাসা প্রকাশ পায়। এছারা ওদের কেবিন ক্র কালো বেচ পড়ে আছে কেন জিজ্ঞেস করলে, রাজার মৃত্যুশোক পালনে কালো বেচ পড়ে থাকার কথা বলে। বুঝা গেল থাইল্যান্ড এ তার অগনীত ভক্ত।

আর কেসিনোর কথা বলতে গেলে মালয়েশিয়া তো মুসলিম প্রধান দেশ। সেখানে জুয়া খেলার প্রবনতা একদম মহামারী আকারে। একদিন এক রেস্টুরেন্ট এ সিংগাপুর এর এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ির সাথে পরিচয়। ৬০ উদ্ধ এই লোকের নারী আর জুয়ার যে কি নেশা তা না দেখলে বুঝা যায় না। একবার গেংন টিং আইল্যান্ড নাকি এক ক্যসিনোতে খেলতে গিয়ে ৩০০০০০ রিঙ্গিত দিয়ে আসছে, আমাদের দেশী ৫৪০০০০০ লাখ টাকা।

আপনার তথ্য বহুল সোনা ফলানো ছবি ও লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

জুন বলেছেন: কলিমুদ্দি দফাদার আমি কিন্ত আমার পোষ্টে আপনার একটি মন্তব্যের উল্লেখ করেছি দেখেছেন কি :) ?
আপনি যেই রাজনীতিকের নাম উল্লেখ করেছেন তার নাম খানিকটা উলটে পালটে গেছে B-) অসুবিধা নেই সেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাম ইংলাক সিনাবাত্রা । পদচ্যুত করা প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাবাত্রার আত্মী্যা। আর এই কারনে তাকেও পদত্যাগে বাধ্য করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে।

শুধুই রাজার সামনেই নয় তার কন্যা মহাচাক্রী স্রিনির্ধন যিনি প্রাথেপ নামে থাইদের কাছে সন্মানিত তার পায়ের কাছে লুটিয়ে আছেন ইংলাক ।
থাইল্যান্ডে দেবসম রাজার মৃত্যুতে সরকারী ভাবে এক বছর শোক ঘোষনা করেছে । প্রথম এক মাস কালো কাপড় পড়ার জন্য অনুরোধ করেছে। কিন্ত ছয়মাস হয়ে গেছে তারা এখনো বেশিরভাগই উজ্জ্বল কোন রঙের পোশাক নিজে থেকেই পরে না । সেদেশের জনগন ভক্ত নয় তার পুজারী কলিমুদ্দি দফাদার।
মালয়েশিয়ার গেনটিং হাইল্যান্ডে আমি গিয়ে দেখেছি সবিস্তারে । সেখানেও মালয়দের জুয়া খেলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাতে ক্যাসিনো খালি নাই, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জনগন জুয়ার টেবিলে ঝাপিয়ে পরেছে।
লাস্টের লাইনটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । সাথে থাকুন আগামীতেও সেই প্রত্যাশায়।
শুভকামনা সতত :)


৩২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৮

জেন রসি বলেছেন: ভূমিবল এবং হুনশা সম্পর্কে জানতাম না। এ জন্যই বলে জ্ঞান অর্জনের জন্য ভ্রমনের কোন বিকল্প নেই। তবে আপনি আপনার চোখ দিয়ে যা দেখছেন তা আমাদের সাথে শেয়ার করে আমাদেরকে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিচ্ছেন। পোস্ট প্রিয়তে। :)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

জুন বলেছেন: এ জন্যই বলে জ্ঞান অর্জনের জন্য ভ্রমনের কোন বিকল্প নেই আর এই কারনেই আমি ভ্রমণ করতে এতটা ভালোবাসি জেন রসি B-) রথ দেখা আর কলা বেচা একই সময়ে :)
আমার সামান্য পোষ্টটি পড়ে মন্তব্য করা এবং প্রিয়তে নেয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ।
শুভকামনা সতত ......

৩৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,





আমি দেখছি , শুধু দেখছি ! কি করে একজন ভ্রমনপিপাসু মানুষ লেখার পরতে পরতে ইতিহাসের চরণ চিহ্ণ রেখে যান । এক ইতিহাসজ্ঞা যেন ইতিহাস খুঁড়ে এনে নন্দন কাননের মাদকতা ছড়িয়ে দিয়ে গেলেন স্বর্ণ ত্রিভুজের পথে পথে । সোনার মতোই উজ্জ্বল ছবির সাথে লেখার মাথায় ডন সাও দ্বীপের স্বর্ন মুকুটটি পরিয়ে দিয়েছেন যেন ।

কিং রোমানস ক্যাসিনোর ঔজ্জ্বলতার পাশে দরিদ্র লাওদের ঝুপড়ী দোকানের দারিদ্রতা , ছিন্ন মুল শিশুদের না বলা হাহাকার, মেকং নদীর উপচে পড়ার ঢংয়ে লিখে গেলেন দারূন মুন্সিয়ানায় । ভ্রমন পিপাসায় কাতর এমন মানুষটি যে একজন মাটিরও মানুষ তার দেখা মেলে দরিদ্র লাও আর থাইদের যন্ত্রনা কাতর জীবনের সাথে একাত্ম হতে দেখে ।

সব মিলিয়ে পপি ফুলের মাদকতার মতো গোলাপী আমেজ লেখাটির গায়ে ।
প্রিয়তে ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

জুন বলেছেন: আমিও দেখছি আর বিস্মিত হচ্ছি যে কি করে আপনি অসাধারন বাক্যের নুপুর বানিয়ে এক একটি লেখার পরতে পরতে রিনিঝিনি শব্দ তুলে যান ।
সেই রোমানস ক্যাসিনোর জাঁকজমকের গল্প শুনে আমি বিস্মিতে হয়েছি আহমেদ জী এস । কিন্ত এসব ইনভেস্টমেন্ট কি স্থানীয় মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত করতে সক্ষম কিনা তাই ভাবি ।
সব মিলিয়ে পপি ফুলের মাদকতার মতো গোলাপী আমেজ লেখাটির গায়ে ।
পপি ফুলের আমেজটুকুই থাক নেশাগ্রস্ত না হলেই হলো :)
অনেকদিন ধরে একসাথে পথ চলা ও অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রানিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।
আর প্রিয়তে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করলেন ।

৩৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
এবারও আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা মন্দ নয় । ছবিসহ বর্ননা ভালো লাগলো । আমার ব্যস্ততার কারণে আর ঘোরাঘুরি এ জীবনে সম্ভব না।কি আর করা, আপনার ব্লগের আর কামাল ভাইয়ের ছবি ব্লগ দেখে ,, ভিন্ন দেশ দেখার স্বাদ নেই ।


ধন্যবাদ আপু ।
ভালো থাকুন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

জুন বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর ,
ভালোলাগার জন্য অশেষ ভালোলাগা রইলো । আমিও সাদা মনের মানুষের ছবি দেখে মুগ্ধ হই । কি অসম্ভব নিপুনতায় তিনি আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরেন আমাদের প্রিয় মাতৃভুমিকে তা এক কথায় অবিশ্বাস্য ।
আপনাকেও ধন্যবাদ , ভালো থাকুন আপনিও আর সাথে থাকুন সব সময় ।

৩৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৪২

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: ভাল লিখা।
অপিয়াম কিভাবে নেয় বসে বসে দেখলাম

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২০

জুন বলেছেন: আমিও দেখেছি আর দেখেছি তার পরিনতি সৌমিক আহমেদ খান । মাদকের প্রচলন যে সেদেশে নেই তা নয় । তবে ধরা পরলে মাঠের মধ্যে নিয়ে গুলী করে মেরে ফেলে । আমাদের দেশের মত প্রকাশে মাদক সেবন তো দুরের কথা নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া সিগারেট খাওয়াও নিষেধ ।
যাই হোক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৩৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:০৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আবুল কাশেমের বাহরাম যুগের =p~

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২১

জুন বলেছেন: আবুল কাশেম কে সচেতনহ্যাপী ? সেই কি বাহরাম বলে একটা সিরিজ ছিল শুনেছি সেটা লিখতো ?

৩৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তিনশো জাতের পপি ফুলের কথা জানতাম না। বিরল সব ছবিসহ অসাধারণ এই পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।


ধন্যবাদ বোন জুন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

জুন বলেছেন: আমারও জানাটুকু আপনাদের জানাতে পেরে আনন্দ লাগছে হেনাভাই । পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে :)

৩৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পাকিস্তান আমলে, এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশে সত্তরের দশকেও থাই যুবকেরা এদেশে আসতো কৃষি এবং চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশোনা করতে, কারণ তাদের দেশে তখন চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় কিংবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিলনা। মালয়েশিয়ানরাও আসতো, কারণ তখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ আর ময়মমনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর খুব সুখ্যাতি ছিল। আর আজ আমরা তখন যেখানে ছিলাম, সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি, কিংবা হয়তো পিছিয়েই পরেছি,

প্রতিমন্তব্যে লেখা আপনার এই কথাগুলোর সাথে আমি একমত। হয়তো নয়, আমরা আসলে পিছিয়েই পড়েছি। আর ওরা এগিয়ে গেছে অনেক দূর।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

জুন বলেছেন: আবার ফিরে আসার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগলো ভাই । আপনার উদ্ধৃতটুকু সহ ব্লগার খায়রুল আহসান এর । এত মুল্যবান কথা কি আর আমি লিখতে পারি ! :)
তবে আপনার কথার সাথে একমত যে আমরা সে জায়গাতে নয় তার থেকেও অনেক পিছিয়ে পড়েছি ।
সাথে থাকবেন আর উৎসাহিত করবেন মন্তব্যে বরাবরের মত এই প্রত্যাশায় । আন্তরিক শুভকামনা আপনার জন্য ।

৩৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, চমৎকার বর্ননা আর তার সাথে সংগ্রহে রাখার মতো কিছু দূর্লভ ছবি।

:)

সব মিলিয়ে প্লাস

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

জুন বলেছেন: আমার সামান্য পোষ্টটি আপনার মন্তব্যের গুনে ভিন্ন মাত্রা পেলো তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
শুভকামনা রইলো ।

৪০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম অবসর সময়ে পড়ব।
আপুর পোষ্টে আসলেই মনে হয় ;এখনো কত্ত কিছু জানার বাকি =p~ :)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

জুন বলেছেন: আমি জানি আপনি খালি খালি শোকেসে রাখবেন্না, অবশ্যই অবসরে উল্টে পাল্টে দেখবেন রোম্ন্চকর এই গোল্ডেন ট্রায়ান্গেলের ইতিহাস :)
প্রিয়তে নেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো :)

৪১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

মুরশীদ বলেছেন: গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল আমার কাছে সারাজীবনই একটা রহস্যময় এলাকা হিসেবেই চিনহিত ছিল। তবে কল্পনার সাথে বাস্তবের মিল খুব কমই দেখে গেলো।
সুন্দর বর্ণনা তাই ভালোলাগা আর প্রিয়তে।
+++++++

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

জুন বলেছেন: কল্পনা করেছিলেন যখন তখনকার সেদিন কি আর এখন আছে এত বছর পর ! সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই পাল্টে যায়। পোষ্ট পড়া মন্তব্য আর প্রিয়তে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

৪২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও চেষ্টা করেছি আপনার মন্তব্যের যথাযোগ্য তত্থ্য সহ উত্তর দিতে -- তা করেছেন বটে। খুশী হ'লাম, ধন্যবাদ। :)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫০

জুন বলেছেন: জী খায়রুল আহসান আমি আপ্রান চেষ্টা করি পাঠকের কষ্টের মর্যাদা দেয়ার জন্য । হয়তো তেমন ভাব ফুটুয়ে তুলতে পারি না তবে আন্তরিকতার অভাব থাকেনা তাতে । আবারো ধন্যবাদ খুশী হয়েছেন জেনে ।

৪৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৫৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: ছবিগুলো দেখলাম। খুব সুন্দর বিশেষ করে দূর থেকে তোলা পাহাড়ী চাষের ছবিগুলো। মনে হয় স্বপ্ন! এত সুন্দর! প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। পরে সময় করে পড়ব আপনার এ ভ্রমণ কাহিনী।
ধন্যবাদ আপু।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৫

জুন বলেছেন: নিয়মিত আমার পোষ্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন । প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা ।
আশা করি সময় করে পড়বেন উম্মে সায়মা । সাথে থাকুন :)

৪৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২৬

নায়না নাসরিন বলেছেন: ভাল লিখা আপু।কত্ত কিছু জানিনা :(
++++++

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৮

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নায়না নাসরিন । আমিও অনেক কিছুই জানি না এটা কোন ব্যাপার না :)
সাথে থেকে উৎসাহিত করার জন্য খুব ভালোলাগছে । শুভেচ্ছা রাত্রির ।

৪৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

মানবী বলেছেন: লেখাটি আগেই পড়েছি, গলার কাছে জমাটবাঁধা কষ্টের কারনে মন্তব্য করা হয়নি।

রাজা ভূমিবলের দেশপ্রেম আর দেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিঃস্বার্থ ভাবে অবিচল পরিশ্রম কারো কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদের বাংলাদেশও হয়তো আজ থাইল্যান্ডের মতো একটি দেশ হতে পারতো, দুর্ভাগ্য আমরা দেশপ্রেমিক নেতাদের বাঁচতে দেইনা। বছরের পর বছর টিকিয়ে রাখি নষ্টদের!

শ্রমসাধ্য পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জুন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

জুন বলেছেন: মানবী আমি নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগবান মনে করি আমার লেখায় আপনাকে একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে পেয়ে ।
বছরের পর বছর টিকিয়ে রাখি নষ্টদের! এটা যে কত বড় দ্রুব সত্য তা আমরা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি ।
আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ পোষ্টে মন্তব্য আর ভালোলাগার জন্য। সাথে থাকবেন এইটুকু প্রত্যাশায় ।
শুভেচ্ছা সকালের ...।

৪৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

না এসে পারা গেলোনা । বলেছেন - "পপি ফুলের আমেজটুকুই থাক নেশাগ্রস্ত না হলেই হলো.." ।
লেখা যদি অমন জ্ঞানগর্ভা হয় তবে তা পড়ার নেশা, জানার নেশা বাড়াবেই ঠিক, শুধু আমেজ নয় । আর নেশার আমেজে থাকলে পরে নিবেদনটাও অব্যয় হয় ।

যেমনটা আপনি নিশ্চয়ই এই শেরটিতে শুনতে পাবেন ---
"আঁযা হ্যো রহি হ্যাঁয়
জলদ্‌ পিলা দে সাকী
আজ ম্যাঁয় ইবাদত করুঁ
মখমুর হ্যো কর.."


সন্ধ্যের শুভেচ্ছা ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস,
শুনে খুশী হোলুম যে পপির চাইতেও ভয়ংকর এক নেশায় আপনাকে নেশাগ্রস্ত করতে পেরেছি জেনে । আর একবার এ নেশায় ধরলে এমন কোন রিহ্যাব নেই যাতে মিলবে মুক্তি।
প্রিয় শেরটি দিয়ে অসাধারন এক মন্তব্যের সমাপ্তি টানার জন্য শুভেচ্ছা জানবেন । সাথে থাকুন সবসময়ের মতই ।
:)

৪৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: সাধারণ ভাবে ব্লগে এই ধরনের তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট দেখলে লেখককে ধন্যবাদ জানানোর জন্য আমাকে আবার ডিকশোনারীর সাহায্য নিতে হয়। কারণ পোস্ট পড়ার পরে আসলে কি বলবো বা বলতে চেয়েছিলাম তা আর খেয়াল থাকে না। একদিকে চমৎকার চমৎকার সব ছবি, অন্যদিকে অসাধারণ বর্ননা..... :|

তবে সব থেকে বড় বিষয় হইলো, এই বছরের শুরুতেই পপি ফুল নিয়ে আমার করা একটা পোস্টে আপনার মন্তব্য গুলো পড়েই অল্প বিস্তর জানতে পারছিলাম থাইল্যান্ডের বিখ্যাত রাজা ভূমিবল তার দেশ থেকে এই পপির চাষকে বন্ধ করার জন্য এবং তার দেশের প্রজাদেরকে এই ফুল চাষ থেকে বিরত রাখার জন্য কি কষ্টটাই না করছিলেন! আর আজকে জানলাম সেইটার বিস্তারিত!

আমার কেন জানি না এই কঠোর পরিশ্রমী এবং প্রজাবাৎসল্য বিখ্যাত মানুষটার কথা পড়লেই শ্রদ্ধায় মাথা নুইয়ে আসে! একবার না, একাধিকবার সেলুট করতে ইচ্ছা করে! আর মনে মনে আফসোস জাগে; আহারে এমন মানুষ যদি আমাদের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে অন্তত একজন থাকতো..... |-)

আপনাকে ধন্যবাদ আপু, একের পর এক চমৎকার ঐতিহাসিক সব পোস্ট উপহার দিয়ে আমাদেরকে এভাবে বিভিন্ন ইতিহাস জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য! আমার মনে হয়, থাইল্যান্ড দেশটা সম্পর্কে, দেশের মানুষ গুলো সম্পর্কে এবং বিশেষ করে ঐ বিখ্যাত মানুষটা সম্পর্কে আপনার কাছ থেকেই সব থেকে বেশি জানতে পেরেছি! আর সেজন্য আপনাকে অবশ্যই অসংখ্য অসংখ্যবার ধন্যবাদ!

এত সুন্দর পোস্টে প্লাস তো অবশ্যই। তাছাড়া সুন্দর জিনিস আলমারীতে উঠাইয়া না রাখলে জিনিসটার প্রতি সাধারণত অন্যায় করা হইয়া যায়! তাই পোস্ট আলমারীতে উঠাইয়া রাখলাম! শুভ কামনা জানবেন আপু!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

জুন বলেছেন: পরথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে এক সাহসী সন্তানের কাছে এই গোবেচারা আপুটা :``>> ব্যাক্তিগত বাট গুরুত্বপুর্ন ব্যাস্ততায় মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো বলে । তাছাড়া এত গুরুত্বের সাথে দেয়া মন্তব্যটিতে হাল্কা করে কিছু বলাও যায় না বা উচিৎও না, যেমন ধন্যবাদ, আন্তরিক ধন্যবাদ ইত্যাদি :`>
এবার আসি তোমার মন্তব্য প্রসংগে । ভাই উত্তর দিতে আমিও কিভাবে ধন্যবাদ দিবেন গ্রন্থটি নিয়ে বসলাম :P
মন্তব্য পড়ে যা বুঝলুম তাতে মনে হলো অত্যন্ত মনযোগের সাথে পড়েছো আমার সামান্য লেখাটি ।
হ্যা আমি তোমার অসামান্য পপি পোষ্টে এ বিষয়ে সামান্য আলোকপাত করেছিলাম বটে ।
আমি আমার অবস্থান থেকে চেষ্টা করেছি এই দেশটি সম্পর্কে সাধারন মানুষের নেতিবাচক ধারনা সামান্য হলেও পালটে দিতে । পর্যটক দু রকম , এক আছে যারা আনন্দের খোজে যায় আরেক শ্রেনী যারা সেদেশটির মানুষ জন , তার অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও তার সমৃদ্ধ ইতিহাস সম্পর্কে জানতে যায় । আমি শেষেরটি তুলে ধরতে চাই ।
আর পড়া মন্তব্য প্লাস ও আলমারীতে উঠিয়ে রাখার জন্য আমি কৃতজ্ঞ সাহসী । আপুর অনেক শুভকামনা রইলো তোমার জন্য । আর তাছাড়া তুমি নতুন কিছু লিখছো না কেন ? তোমার নিত্য নতুন জানা অজানা বিষয় নিয়ে সাতকাহন লেখাগুলো অনেক মিস করি ।
সাথে থেকো বরাবরের মতই । শুভেচ্ছা সকালের :)

৪৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ।গোল্ডেন ট্রাইএঙ্গেল রাজা ভূমিবল আগে থেকেই জানা। তারপরও অনেক তথ্য দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন।



৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪১

জুন বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার জানা জিনিসটি এত খুটিয়ে পড়েছেন জেনে । প্রশংসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনাকে ইদানীং নিয়মিত দেখে বেশ ভালোলাগছে :)

৪৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: হ্যাঁ ওই সিরিজের ১০/১২টার (যতদুর মনে পড়ে) ভদ্রলোক মারা যান।।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০১

জুন বলেছেন: জানা ছিলো না সচেতনহ্যাপী। দুঃখজনক ব্যাপারটি জানিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৫০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
রাজা ভূমিবলের প্রতি শ্রদ্ধা দ্বিগুন হয়ে গেল! অনেক কিছুই জানা ছিল না। আপনার চমৎকার পোষ্টে ছবি বর্ননা সব পেয়ে মন ভরে গেল। গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলের বদলে যাওয়া চিত্র দেখে খুব ভাল লাগল!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

জুন বলেছেন: অনেক অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে খুব ভালোলাগছে ভ্রমরের ডানা । কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন শুনি ?
মিস করেছি আপনার অসাধারন সনেটগুলো ।
আমার লেখাটি ভালোলাগলো জেনে ভালোলাগলো অনেক । সাথে থাকবেন বরাবরের মতই ।
শুভকামনা :)

৫১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: "টিকিট চেক করে সে নৌকায় ওঠার সাথে সাথে হাতে ধরিয়ে দিল লাইফ জ্যাকেট যা পরা বাধ্যতামুলক। " -- এই লাইন গুলো পড়ে ভাবছি আমাদের দেশের কথা । এখানে জীবনের মূল্য বলে কিছু নেই । আমাদের মধ্যে এই সচেতন মনোভাবটা না আসলে বিদেশীরা কেন আমাদের দেশে আসবে অথবা আমরাই বা কোন ঝুকি নিয়ে বিভিন্ন স্পট দেখতে যাবো?

রুয়াক, মেকং নদীর ইতিহাস, বয়ে যাওয়া, এক ঝাক গাঙ চিলের ওড়ে - সুন্দর দৃশ্য পট মনকে নাড়া দেয় । কোন সুদূর দেশে মন হারিয়ে যায় ।

প্রিয়তে নিলাম ।

সময় নিয়ে আবারও ফিরবো গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলে - অবশ্যই ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৫

জুন বলেছেন: প্রতিদিন পেপার আর টিভিতে পড়ি আর দেখি কত মানুষের অকালে জীবন ঝড়ে যাচ্ছে তা ভাবতেও পারেনা কোন উন্নত বিশ্বের মানুষ জন। তাছাড়া বিদেশীরা পর্যটনের জন্য এখনকি আর বাংলাদেশকে বেছে নেয়! মনে হয় না শামসুল ইসলাম।
আবার আসা মন্তব্য আর প্রিয়তে নেয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
অবশ্যই আসবেন। শুভেচ্ছা রাত্রির।

৫২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হাজিরা দিয়া গেলাম আপু, ব্যস্ততা বড় বেশী, তার উপর সিরাজউদ্দৌলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে কয়েক দিনের জন্য ঘুরতে গিয়েছিলাম। দেখি সামনে ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে ব্লগানোর চেষ্টা করবো, কারণ মনটা যে সব সময় এখানে পড়ে থাকে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৮

জুন বলেছেন: এত ব্যাস্ততার মাঝেও হাজিরা দিয়ে যাবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সাদা মনের মানুষ।
আশা করছি শীগগিরই বাংলা বিহার উড়িষ্যার শেষ নবাবের রাজধানী মুর্শিদাবাদ নিয়ে আসবেন আমাদের সামনে :)
যতই ব্যাদত থাকুন একেবারে হারিয়ে যাবেন না অনুরোধ থাকলো।
শুভকামনা।

৫৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: স্পীচলেস হলুম আর কি । আম্মো থাইল্যান্ড গেছিলুম মাগার ওরকম দেখার আর পরিবেশন করার ক্ষমতাই নেই। দারুণ লাগল। পড়তে সময় লেগেছে!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৩

জুন বলেছেন: স্পীচলেস হলে কি হবে ঢাকাবাসী! আমরা এখন আপনার মুখে রবীন্দ্রসংগীত শুনতে চাই। বোল্পুরের ধুলামাখা পথে এমনি এমনি হাটলে কি চলবে :)
সাথে থাকা আর নিরন্তর উতসাহ যুগিয়ে যাবার জন্য আম্মো একটা ধন্যবাদ দিলাম।
শুভেচ্ছা রাত্রির

৫৪| ০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১০:১৬

নিশাত১২৩ বলেছেন: অফলাইনে আগেই পড়েছি আপু। দারুন পোস্ট। থাই রাজার প্রতি শ্রদ্ধা। ++++

০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১০:০৭

জুন বলেছেন: পোষ্ট পড়া মন্তব্য আর ভালোলাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন নিশাত১২৩ ।
সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় :)

৫৫| ০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ৮:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একদিনে গোল্ডেন ট্রায়াংগেল দেখে শেষ করতে পারলাম না ,
আমার লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আসা হয়ে উঠেনি এ কয়দিন ।
তবে সময় নিয়ে আসব আবার ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১০:১৫

জুন বলেছেন: অবশ্যই আসবেন সাদর আমন্ত্রন রইলো আমার সামান্য লেখার আংগিনায় শ্রদ্ধেয় ড: এম আলী :)
আমি জানি আপনি ব্যাস্ত ছিলেন আপনার অসাধারন এক পোষ্ট নিয়ে । খুব শীঘ্রই আসছি ।
শুভেচ্ছা আপনার জন্যও ।

৫৬| ০২ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

ইখতামিন বলেছেন: কেমন আছেন? আমার শেষ পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১০:১৯

জুন বলেছেন: আছি মোটামুটি ইখতামিন ।
দেখতে যাচ্ছি আপনার পোষ্ট।

৫৭| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ৩:৪৫

সোহানী বলেছেন: আহ্ এমন যদি একজন রাজা পেতাম......... স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন!!!

অসম্ভব ভালোলাগলো পুরো গোল্ডেন ট্রায়াংঙ্গলের ইতিহাস। আপনার পোস্ট মানেই নতুন কিছু... আমার জানার নতুন অধ্যায়।

লিখাটা আগেই পড়েছিলাম বাট ব্যাস্ততায় মন্তব্য করা হয়নি। আপাতত স্বাধীন আছি তাই ফিরে আসছি আপনাদের লিখায়....

০৩ রা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

জুন বলেছেন: আহ্ এমন যদি একজন রাজা পেতাম......... স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন!!
এমন ভাবনা শুধু আপনার একার নয় আমাদের দেশবাসীর অনেকের মাঝেই এই আফসোস রয়েছে ।
দেখুন কেমন করে দিন রাত পথে ঘাটে হেটে হেটে তার দেশবাসীর কথা ভেবে গেছে আমৃত্যু । হাতে থাকতো সমস্ত পরিকল্পনার খুটিনাটি বিবরন । অসম্ভব শ্রদ্ধা হয় । থাইরা বলে উনি দেবতা । আসলেই তাই । মানুষ হলে সোনার সিংহাসন ফেলে দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা এমন কাজ সম্ভব হতো না।


যখনি পড়েছেন আর যখনই মন্তব্য করুন না কেনো সোহানী আমি জানি আপনি আমার সাথেই আছেন সব সময়ের জন্য । তাইতো এসব লিখতে সাহস পাই ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য আর ভালোলাগা জানানোর জন্য । আপনার নতুন লেখার প্রত্যাশায় । অবসরে আছেন যখন লিখে ফেলুন :)
শুভেচ্ছান্তে .....।

৫৮| ০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: গোল্ডেন ট্রায়াংগেল সম্পর্কে ভাসা ভাসা জানতাম এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানলাম :)

০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ৯:১২

জুন বলেছেন: আমিও আপনাদের সাথে আমার এ ব্যাপারে সামান্য জানা টুকু শেয়ার করে ভীষন ভালোলাগছে নীল-দর্পন ।
অনেক দিন পর পর আপনাদের মত পুরোনো মানুষদের দেখে এক অন্য রকম ভালোলাগায় মন ভরে যায় । আশাকরি সাথেই থাকবেন যখনই সময় করতে পারেন।
অনেক শুভকামনা থাকলো :)

৫৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

গরল বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট, আমাদের পার্বত্য অঞ্চল নিয়েও এধরণের পরিকল্পনা করার কেউ কি নেই? হতাশা আর হতাশা আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীদের কবে যে শেষ হবে।

০৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:২০

জুন বলেছেন: স্বাগত আমার ব্লগে গড়ল। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন। শুভকামনা রইলো।

৬০| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পাহাড়ে ধানচাষের দৃশ্যটা বেশ ।

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:২১

জুন বলেছেন: উন্নত জাতের ধানের চারা উদ্ধাবন, নিজ প্রাসাদ প্রাঙ্গনে তার পরীক্ষামুলক রোপন থেকে বীজ উৎপাদন, বিতরন, বিপনন এমন তর টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহারে দিন রাত মাঠে ঘাটে ঘুরে বেড়িয়েছেন স্বর্ন প্রাসাদ ছেড়ে । আমাদের জনপ্রতিনিধিদের মত সংসদ ভবনে বসে বসে এসির বাতাস খাননি আর বড় বড় বুলি ঝাড়েন নি সেলিম আনোয়ার ।

নিজ প্রাসাদ প্রাঙ্গনে উন্নত জাতের ধান আবিস্কারে ব্যাস্ত পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী রাজা ভুমিবল ।

৬১| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০০

জে আর সিকদার বলেছেন: পোস্ট পড়ে তৃপ্তি পেলাম, কমেন্টগুলো পড়ে আরও ভালো লাগলো। ছবিগুলি চমৎকার!

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫২

জুন বলেছেন: জানিনা আমার ব্লগে আপনি প্রথম এসেছেন কিনা ? তাই যদি হয় তবে স্বাগত জানাই ।
আপনার মন্তব্যটিও আমার সহব্লগারদের মতই ভালোলাগা দিয়ে লিখেছেন ।
আন্তরিক ধন্যবাদ আমার প্রিয় পোস্টটি দেখার জন্য জে আর সিকদার ।

৬২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন। দীর্ঘায়ু হন। যাতে এভাবেই আপনার বর্ণনায় দুনিয়া দেখতে পারি।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

জুন বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী, আপনার আসায় আমার নাকে ভেসে এলো বহু দিনের পুরনো ভারী কাঠের আলমারিতে উঠিয়ে রাখা কাপড় যার গায়ে লেপ্টে আছে মন কেমন করা এক পুরনো পুরনো গন্ধ। তা এতদিন কোথায় ছিলেন আমাদের ভুলে গিয়ে ? মাঝে মাঝে মনের জানালা খুলে উকি দিয়ে যাবেন সেই প্রত্যাশাই করি।
আপনিও ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আর মাটির গন্ধ মাখানো ছোট ছোট গল্প শুনিয়ে যাবেন কখনো কখনো ।
শুভেচ্ছা রাত্রির ।

৬৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

যূথচ্যুত বলেছেন: চমৎকার ট্রাভেলগ। প্রিয়তে নিচ্ছি।

কবে যে ছুটি ফুটি পাব! একটু বেড়িয়ে আসব। :(

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৯

জুন বলেছেন: মন্তব্যের সাথে ভালোলাগা তদুপরি প্রিয়তে নেয়ায় অশেষ কৃতজ্ঞতা যুথচ্যুত
ছুটির অপেক্ষায় না থেকে চলে যান কোথাও , এসে বলবেন ঠান্ডা লেগেছিল তাই আসতে পারিনি :)

৬৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১১

মাআইপা বলেছেন: সামু’তে আমি নতুন।

এক লিঙ্ক থেকে অন্য লিঙ্ক।

“গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ইতিহাসের এক কুখ্যাত মাদক সাম্রাজ্যে একদিন ”
খুব ভাল লেগেছে তথ্যবহুল পোস্ট।

প্রিয়’তে নিলাম।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০১

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে মাআইপা । আমার নিজেরও অনেক প্রিয় এই পোষ্টটি পড়া মন্তব্য সেই সাথে প্রিয়তে নেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন :)

৬৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

জুন বলেছেন: আমার নিজের কাছেও প্রিয় এই পোষ্টে মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আর্কিওপটেরিক্স :)

৬৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪

আমি সাজিদ বলেছেন: ভূমিবলের গুনে আমি মুগ্ধ। আবার এত কিছু আবিষ্কারও করেছেন। রাস্তায় বের হয়ে হেঁটে বেড়িয়েছেন, উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা করেছেন; আমাদের এখানকার দেশের শাসকদের 'মুখের ভুলভাল মিথ্যে কথা' বাদ দিয়ে ভূমিবল থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে। গোল্ডেন ট্রায়াংগেল নিয়ে অজানা অনেক কিছুই জানতে পারলাম। চমৎকার সাবলীল ভ্রমন বর্ননা ও ছবির জন্য ধন্যবাদ ব্লগের ইবনে বতুতা জুন আপি।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০

জুন বলেছেন: ভুমিবল থাইদের কাছে দেবতা আমি সাজিদ । তার কাছ থেকে যদি কিছু শিখতো তাহলে মুখে মুখে সোনার বাংলা সোনার বাংলা না বলে দেশ প্রকৃতই সোনার বাংলা হতো । অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পুরনো পোস্টে আসার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.