নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহ সুজা
তাজমহল এক সমাধি সৌধ, শ্বেত পাথরের উপর দামী রত্ন খচিত পৃথিবীর এই বিস্ময়কর স্থাপত্যটির অতুলনীয় নির্মানশৈলীর জন্য পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য্যের অন্যতম এক আশ্চর্য্য হিসেবে চিনহিত । তাজমহলকে ঘিরে রচিত হয়েছে অসংখ্য কবিতা, গান আর ছায়াছবি। তাকে সামনাসামনি এক নজর দেখার দুর্নিবার আকর্ষনে আজও সারা পৃথিবীর রাজা বাদশাহ থেকে শুরু করে সব শ্রেনীর মানুষই ছুটে ছুটে আসে।
আগ্রা নগরীর মাঝে বয়ে যাওয়া স্রোতস্বীনি যমুনা তীরের এই সৌধটি ছিল প্রিয়তমা পত্নীর বিয়োগ ব্যাথায় ব্যথাতুর এক সম্রাটের অর্ঘ্য নিবেদন। সে ছিলেন মুঘল বংশের পঞ্চম বাদশাহ সম্রাট শাহজাহান। আর সমাধিটি তাঁরই অকাল প্রয়াত স্ত্রী আর্জুমান্দ বানু বেগমের। রাজকীয় উপাধী মুমতাজ মহল নামেই যিনি ইতিহাসে সমাধিক পরিচিত।
এই সেই তাজমহল যার মর্মরে গাঁথা কবির অশ্রুজল, পৃথিবীর এক বিস্ময়
সম্রাট শাহজাহান এবং মুমতাজ মহলের গর্ভে জন্ম নেয়া চৌদ্দটি সন্তানের মাঝে তাঁর চার সন্তান মুঘল সিংহাসনের দাবীতে যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল তা ইতিহাসের এক কলংকময় অধ্যায়। পরস্পর যুদ্ধ ও রক্তপাতে সেই বিশাল সাম্রাজ্যের অলি গলিই শুধু নয় তাদের পিতা নির্মিত তাজমহলের শ্বেত শুভ্র রঙও যেন রক্তিম বর্নের হয়ে উঠেছিল।
সেই চার ভাই ছিলেন যথাক্রমে শিল্প ও সংস্কৃতির অনুরাগী, প্রপিতামহ আকবরের মতই উদার ধর্মাবল্মবী বড় ভাই দারাশিকোহ, পিতা ও পিতামহ সম্রাট জাহাংগীরের নয়নের মনি নাম তার শাহ সুজা, ন্যায়পরায়ন, নিষ্ঠুর ও একই সাথে দ্বৈত চরিত্রের অধিকারী সম্রাট আওরংজেব এবং ছোট ভাই বলখের সুবাদার মুরাদ বক্স ।
১৬৫৭ খৃষ্টাব্দে সম্রাট শাহজাহান যখন বার্ধক্যে উপনীত হলেন সাথে ছিল বিভিন্ন অসুস্থতাও তখন তৃতীয় পুত্র দাক্ষিনাত্যের সুবাদারর আওরংজেব নিজেকে সম্রাট হিসেবে ঘোষনা করলেন। সম্রাট শাহজাহান আগেই তার প্রিয় পুত্র দারাশিকোকে উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করে রেখেছিলেন। কিন্ত এটা তাঁর বাকি তিন ছেলে মনে মনে মেনে নিতে পারেনি। ফলে আওরংজেবের সাথে তার দ্বিতীয় পুত্র বাংলা বিহারের সুবেদার শাহ সুজাও নিজেকে মুঘল সিঙ্ঘাসনের অন্যতম দাবীদার হিসেবে ঘোষনা করেন। চতুর্থ পুত্র মুরাদ বক্স এই দাবী জানিয়ে প্রথমেই আওরংজেবের হাতে পরাজিত হয়ে তার হাতের পুতুলে পরিনত হন যাকে আওরংজেব পরে হত্যা করেন।
১৬৫৮ সনে শাহ সুজা সিংহাসনের বসার পথ পরিস্কারের জন্য সিংহাসনের অন্যতম দাবীদার বড় ভাই দারাশিকোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ন হন। কিন্ত সেই যুদ্ধে পরাজিত হয়ে তিনি বাংলা বিহার উড়িষ্যার একটি বিশাল অংশের শাসনভার দারাশিকোহর হাতে অর্পন করে তার সাথে এক মিত্র চুক্তিতে আবদ্ধ হন। এর পরই আওরংজেব পর পর দুটি যুদ্ধে দারাশিকোকে পরাজিত করেন। পলায়নপর দারাশিকোকে এক সময়ে তারই অনুগৃহিত বিশ্বাসঘাতক এক আফগান দলপতি মুঘল সৈন্যদের হাতে ধরিয়ে দিলে শিরোচ্ছেদের মাধ্যমে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেন আওরংজেব।
মুঘলদের সময়কার বিখ্যাত মিনিয়েচার পেইন্টিং এ ঘোড়ায় আরোহী তিন ভাই বাঁ থেকে যথাক্রমে শাহ সুজা, আওরংজেব ও মুরাদ
ভেনিসের বিখ্যাত পর্যটক মানুচ্চি্র লেখা থেকে জানা যায় আগ্রা দুর্গে গৃহবন্দী পিতা শাহজাহানের খাবারের সময় লোক মারফত লাল মখমলে ঢাকা সোনার থালা পাঠিয়ে আওরঙ্গজেব বলেছিলেন "তোমরা গিয়ে বলো আওরংজেব তাঁর পিতাকে ভুলে যায় নি”। ছেলে যে তাকে ভুলে যায়নি ভেবে খুশীতে সেই লাল মখমলের কাপড় সরিয়ে বড় আদরের পুত্র দারাশিকোহর কাঁটা মাথাটি দেখে সেদিন সম্রাট জ্ঞ্যান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেন ।
ইতিহাসে পড়েছি সম্রাট আওরঙ্গজেব নাকি ব্যাক্তি হিসেবে ভীষন ন্যায়পরায়ন ছিলেন, রাজকীয় কোষাগার থেকে একটি পয়সাও না নিয়ে কোরান শরীফ লিখে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করতেন,নিজ হাতে কাপড় সেলাই করে পরতেন। আর পুত্রকে শিক্ষকের পা ধুয়ে দিতে বলেছিলেন। কিন্ত ক্ষমতার লোভে আপন তিন ভাই সহ অসংখ্য মানুষের রক্তে হলিখেলা সহ পিতা ও বোন জাহানারার সাথে তার নিষ্ঠুর আচরন আমার কাছে পরস্পর বিরোধী বলেই মনে হয়। আশাকরি এ ব্যাপারে যদি কারো কিছু জানা থাকে তবে অবশ্যই শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। তাঁর দীর্ঘ উনপঞ্চাশ বছরের রাজত্বকালের পর থেকেই মুঘল সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।
আজ আমার লেখা কিন্ত শাহ সুজাকে নিয়ে।আসল লেখায় আসতে গিয়ে বেশ বড় একটা ভুমিকাই দিতে হলো পাঠকদের সুবিধার জন্য ।
বড় ভাই দারাশিকোর মৃত্যুর পর শাহ সুজা এবার তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে আওরংজেবের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বাংলা থেকে দিল্লীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। ১৬৫৯ সনের ৫ই জানুয়ারী উত্তর প্রদেশের ফতেহপুরে দু ভাইয়ের মোকাবেলা হলো। শাহ সুজা আওরংজেবের হাতে পরাজিত হয়ে বাংলায় ফিরে গিয়েও রেহাই পেলোনা। আওরংজেবের নির্দেশে বাংলার নতুন সুবেদার মুঘল সেনাপতি মীর জুমলা শাহ সুজার পিছু ধাওয়া করতে থাকেন তাঁর। কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেও মুঘল সৈন্যদের বিরুদ্ধে শাহ সুজা ১৬৬০ খৃস্টাব্দে শেষবারের মত পরাজিত হন আর সেই সাথে ইতি ঘটে তাঁর দিল্লীর সিংহাসনে বসার স্বপ্নের।
প্রতিটি যুদ্ধের পরই শাহ সুজা তার ভেঙ্গে পড়া সৈন্যদলকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতেন। কিন্ত শেষ যুদ্ধের পর তিনি বুঝেছিলেন তাঁর পক্ষে সৈন্য বাহিনী সাজিয়ে তোলা আর সম্ভব নয়। ভেঙ্গে যাওয়া হৃদয় নিয়ে সম্রাট পুত্র সব দিক ভেবে চিন্তে আরাকান রাজের আমন্ত্রনে সেদেশে আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সে সময় আরাকানের রাজা ছিলেন বৌদ্ধধর্মের অনুসারী Sanda Thudama । খানিকটা শান্তি আর নিরিবিলি জীবনের আশায় আরাকান যাওয়াই ছিল শাহ সুজার জীবনের এক চরম ভ্রান্তিজনক অধ্যায়।
পরিবারের সদস্য ও অনুগত কিছু সৈন্য সামন্ত, সেই সাথে প্রচুর সোনা, রূপা, হীরা জহরত সহ অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে শাহ সুজা নদীপথে হাজির হলেন বর্তমানের চিটাগাং নগরীতে। সেখানে কিছুদিন অবস্থানের পর তিনি স্থলপথে আরাকানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। যে পথে তিনি আরাকান যাত্রা করেছিলেন সে পথটির নাম এখনো সুজা রোড। সেই যাত্রা পথে পবিত্র ঈদের দিন পরায় এক জায়গায় থেমে তিনি ঈদের নামাজ পরেছিলেন। কক্সবাজার যাবার পথে বর্তমান দুলাহাজরার সেই স্থানটি সেই স্মৃতির স্মরণে আজও ঈদগাহ নামেই পরিচিত ।
বিচলিত চিত্ত শাহ সুজা স্থলপথে তেরো দিন, তেরো রাত চলার পর নাফ নদীর পুর্ব পাড়ে মংডু নগরীর আধা কিলোমিটার দূরে এসে থামলেন। স্থানীয় লোকজন বর্তমান এই গ্রামটিকে এখনো সুজা গ্রাম নামেই ডেকে থাকে।
১৬৬০ এর ৫ই জুন থেকে ২৬ শে অগাষ্ট এই দীর্ঘ যাত্রার শেষদিনটিতে তিনি স্থলপথ ত্যাগ করে সমুদ্র পথে আরাকানের রাজধানীতে উপনীত হলেন। আরাকান রাজ প্রতিনিধি পাঠিয়ে তাদের রাজকীয় অতিথিদের বরন করে নিলেন বটে তবে প্রথমেই শর্ত দিলেন তাদেরকে সকল অস্ত্র শস্ত্র জমা দিতে হবে। রাজপ্রাসাদের অদুরে তাদের জন্য তৈরী আলাদা প্রাসাদে পরিবার পরিজন আর তার সহযাত্রীদের নিয়ে উঠলেন শাহ সুজা।
বিশিষ্ট ইংরেজ স্থাপত্য ও ইতিহাসবিদ জন হার্ভে যিনি শাহ সুজার উপর বই লিখেছিলেন। তার লেখা থেকে জানা যায় শাহ সুজার আরাকানে আসার একটি বড় কারন ছিল পবিত্র মক্কা শারীফ যাওয়া ও সেখানেই তাঁর জীবন কাটিয়ে দেয়া। নিজস্ব সমুদ্রগামী জাহাজ বহরে রাজকীয় অতিথির শেষ ইচ্ছা পুরন করবেন বলে ইতিমধ্যে ধুর্ত আরাকান রাজ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
হার্ভের মতে শাহ সুজা যখন সেই হাতী ঘোড়া বোঝাই বিশাল ধন সম্পদের পাহাড় নিয়ে আরাকান উপস্থিত হলেন তখন তা দেখে লোভী বর্মী রাজ তার সব প্রতিশ্রুতি ভুলে গেল। শুধু ধন সম্পত্তি লুট করে নেয়াই নয়, লম্পট রাজ Sanda Thudama শাহা সুজার অপরূপ সুন্দরী কন্যা বিবাহিতা গুলরুখকে দেখেই তাকে ভোগ করার জন্য উম্মাদ হয়ে ওঠে।
চরম বিশ্বাসঘাতক আরাকান রাজ এই লক্ষ্যে এগিয়ে আসলে অস্ত্র-সস্ত্রহীন শাহ সুজা ও তাঁর দলবল নিজেদের নিয়ন্ত্রন করতে ব্যার্থ হয়। যার ফলশ্রুতিতে তারা আরাকান রাজপ্রাসাদ আক্রমন করে আগুন লাগিয়ে দিতে ব্যার্থ চেষ্টা করে । প্রতি উত্তরে আরাকান রাজ তার নিরস্ত্র অতিথিদের উপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। সময় ছিল ১৬৬০ সনের ডিসেম্বর। সেদিনও আরাকানের মাটি আশ্রিতদের রক্তে ভিজে উঠেছিল যেমন আজও উঠছে সেখানে যুগ যুগ ধরে বাস করে আসা রোহিঙ্গাদের রক্তে।
শাহ সুজার মৃত্যুর দিন তারিখ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে কিছুটা মতভেদ আছে। কারো কারো মতে আরাকান রাজের হাতে সেদিনই শাহ সুজার মৃত্যু হয়েছিল, আবার কারো মতে রাজধানীর বাইরে ম্রহং এলাকার জঙ্গলে পরিবার পরিজন নিয়ে পালিয়ে থাকা শাহ সুজাকে ১৬৬১ সনের ৭ই ফেব্রুয়ারী হত্যা করেছিল আরাকান সৈন্যরা। শাহ সুজার তিন ছেলেকে বন্দী করে নিয়ে পরে মাথা কেটে হত্যা করা হয়েছিল মুঘল ইতিহাসের সেই নিষ্ঠুরতম দিনেই লম্পট আরাকান রাজের লালসার শিকার হয়েছিল মুঘল সুবাদারের প্রিয় কন্যা গোলাপ সুন্দরী গুলরূখ বানু বেগম। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল ধর্ষিতা গুলরূখ।
মুঘল সিংহাসনের প্রতি লোভের এক চরম মুল্য দিয়েছিলেন সম্রাট শাহজানের চার পুত্র।
তবে আরেকটি সুত্র মতে শাহ সুজা সেদিন আরাকানে মারা যান নি। প্রচুর স্বর্নালংকারের বিনিময়ে পর্তুগীজ জলদস্যুদের সহায়তায় শাহ সুজা তাঁর অবশিষ্ট পরিবার পরিজন নিয়ে ১৬৬১ সনের ১৬ ই মে বর্তমান ভারতের ত্রিপুরায় পালিয়ে যান । সেখান থেকে সেই বছর ডিসেম্বর মাসেই তিনি মনিপুর রাজার আশ্রয় গ্রহন করেন। এই ঘোরতর বিপদের সময় স্বাধীন রাজ্য ত্রিপুরা এবং মনিপুর রাজারা তাঁকে সর্বাত্মক সহায়তা করেছিলেন। কারন তারাও আওরংজেবের রাজ্যজয়ে আক্রমনাত্নক এক ভুমিকায় শংকিত ও উদবিগ্ন ছিল।
আওরংজেবের গোয়েন্দা বাহিনী শাহ সুজা সম্পর্কে খবর জানার জন্য হন্যে হয়ে ওঠেছিল এবং সেই লক্ষ্যে ঐ অঞ্চল চষে ফিরেছিল। একটি সুত্র মতে তাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই শাহ সুজা আরাকানেই মারা গেছেন বলে প্রচার করা হয়। দীর্ঘ পথ ছুটে ছুটে ক্লান্ত বিদ্ধস্ত এবং ভাগ্যের হাতে চরম বিপর্যস্ত শাহ সুজা লোক চক্ষুর অন্তরালে খুব সাধারন এক সন্তের জীবন কাটিয়ে গেছেন মনিপুর রাজ্যে। আবার কারো মতে তিনি নিজ পরিচয় গোপন করে শেষ পর্যন্ত মক্কা শরীফেই চলে যান এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় । তাঁর শেষ জীবন ও করুন মৃত্যু নিয়ে একাধিক কাহিনী প্রচলিত রয়েছে যার সমাধান আজো হয়নি।
তবে ইতিহাসের পাতায় পাতায় কান পাতলে শোনা যায় অতিথির প্রতি আশ্রয়দাতা আরাকান রাজের চরম বিশ্বাসঘাতকতার এক ঘৃন্য কাহিনী যার ধারা আজও অব্যাহত আছে তাদের আচারে-ব্যাবহারে আর সংস্কৃতিতে।
ছবিঃ নেট
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১২
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ হাসু মামা প্রথম মন্তব্য ভালোলাগা প্রিয়তে নেয়ার সাথে গান উপহারের জন্য ।
কাল সারাদিন বাইরে ব্যাস্ত ছিলাম, রাতে ঘরে ফিরে দেখি সামুও দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে আছে । তাই কালই আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে পারিনি বলে দুঃখিত ।
সাথে থাকুন আমার লেখায় এটাই প্রত্যাশা রইলো । শুভেচ্ছান্তে ।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫২
পবন সরকার বলেছেন: এই মগেরা জন্মগত ভাবেই হিংস্র এবং বিশ্বাসঘাতক।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৭
জুন বলেছেন: এই মগেরা জন্মগত ভাবেই হিংস্র এবং বিশ্বাসঘাতক। এটাতো আছেই আজ আবার শুনলাম সেই রাখাইনে বার্মার চির বন্ধু রাস্ট্র চীনারা ৭০ ভাগ মালিকানায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মান করছে । তা সেটার জন্য কি রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের এমন নৃশংস ভাবে উৎখাতের প্রয়োজন ছিল কি ?
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যিই ভাগ্য বিড়ম্বনার এক জ্বলন্ত নাম যেন শাহ সূজা!
মগদের ইতিহাস আদি থেকেই লজ্জ্বাজনক। সত্য অস্বীকার কারী, বেঈমানী, প্রতারণা, লুটপাট, হত্যা, প্রতিশ্রুতিভঙ্গকারী! যা আজো আরো নগ্ন, নিষ্ঠুর রুপে দেখছি মিয়ানমাের রোহি্ঙগাদের উপর!
ক্ষমতার জন্য নিষ্ঠুরতা আগেো ছিল এখনো আছে । ষ্টাইল বদলেছে মাত্র! তা দেশ বা আন্তর্জাতিক সব খােনই একই। সময়ান্তের যখন জানতে পারি চমকে উঠি আমজনতা!
দারুন ইতিহাস এত সুন্দর করে উপস্থাপনায় কৃতজ্ঞতা।
+++++++++
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:১৪
জুন বলেছেন: ভৃগু পোষ্ট দিয়ে সাথে সাথেই জরুরী কাজে বাইরে যেতে হয়েছিল , রাত্রিবেলা ফিরেই দেখি সামুর গেট লক ।
তাই মন্তব্যের জবাব দিতেও দেরী হয়ে গেল ।
এ জন্যই জ্ঞানীগুনীরা সবাইকে বিশেষ করে যারা রাজনীতি করেন তাদের ইতিহাস পড়ার জন্য এত তাগিদ দেন যাতে তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে, ভুলগুলো এড়িয়ে যেতে পারে। দুনিয়া জুড়েও আজ এত হানাহানি হতো না ।
আপনার প্রশংসার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো । লেখার সাথে থাকুন আর ভালো থাকুন নিয়ত সেই প্রত্যাশায় ।
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:২৬
জুন বলেছেন: তারপর ও কেউ তা থেকে শিক্ষা নেয়না এটাই দুঃখ স্বপ্নবাজ অভি । অনেকদিন পর আমার লেখায় আপনাকে পেয়ে ভালোলাগলো ।
ভালো থাকুন সব সময় ।
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০
ফয়সাল রকি বলেছেন: ইতিহাসের পাতায় পাতায় কান পাতলে শোনা যায় অতিথির প্রতি আশ্রয়দাতা আরাকান রাজের চরম বিশ্বাসঘাতকতার কাহিনী যার ধারা আজও অব্যাহত আছে তাদের আচারে-ব্যাবহারে আর সংস্কৃতিতে।
তবে শাহ সূজা একটা দুর্ভাগ্যের নাম।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:২৭
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ফয়সাল রকি । ভালো থাকুন প্রতিনিয়ত ।
৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: ইতিহাস নিয়ে দারুণ সুন্দর একটা লেখা। শুজার উপর যে অত্যাচার অন্যায় আরাকান রাজ করেছিল আজও সেখানে তাদের বংশধরদের দ্বারা তার পুনরাবৃত্তিই ঘটছে মনে হয়, আপনার লেখাতেই বলেছেন। আওরঙ্গযেব নিয়ে যে পরস্পরবিরোধি কথা তা ঐতিহাসিকরা কোথাও কোথাও খন্ডন করেছেন। আওরঙ্গযেবের সাধাসিধে জীবন যাপন কথাটি সত্য নয়। অনেকেই বলেন আকবর যে বিশাল আর সুন্দর সাম্রাজ্যের পত্তন করেছিলেন আওরঙ্গযেব তার ধ্বংশের জন্য দায়ী। আওরঙ্গযেবের অদুরদর্শিতার কথা অপরিপক্কতার কথা নিষ্ঠুরতার কথা বিখ্যাত।
একজায়গাতে একটা খটকা, আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে নাকি, মুমতাজ উনিশ নম্বর সন্তান না চৌদ্দ নম্বর সন্তান গওহারা বেগমের জন্ম দেয়ার সময় অধুনা মধ্যপ্রদেশে মারা যান।
অনেকদিন পর এলুম, আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল তাই অনেক কিছু লিখে ফেললুম নাকি! ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৭
জুন বলেছেন: আওরঙ্গযেব নিয়ে যে পরস্পরবিরোধি কথা তা ঐতিহাসিকরা কোথাও কোথাও খন্ডন করেছেন। এটাই ইতিহাস লেখা নিয়ে একটি সমস্যা ঢাকাবাসী ভাই। এত তথ্য এত সুত্র ।
আমিও আমার ওয়ার্ডে লিখেছি ১৪ তম সন্তান কিন্ত এখানে লিখতে গিয়ে তা হয়ে গেছে উনিশ । এটা আমার যখন চোখে পড়েছিল তখন সামুর গেট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । ফলে আর শোধরানোর সুযোগ পাইনি ।
না না বেশি কিছু লিখেন নি । আপনি যা লিখেছেন তা তো প্রাসংগিক । অনেক দিন পর আপনাকেও পোষ্ট দিতে দেখে খুব ভালোলেগেছে । মন্তব্যও করে এসেছি ।
অনেক ভালো থাকুন আর সুস্থ থাকুন এবং আমার জন্য ও একই প্রার্থনা করুন সেই প্রত্যাশায় ।
৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বার্মিজরা সভ্য বা উন্নত জাতি এরকম কোন খবর কোথাও পাই নি।
শাহ সুজার গল্পটি সত্যিই বিষাদময়। রাজা মহারাজাদের জীবন এরকম বিয়োগান্তক হলেও শাসনভার হাতে থাকা অবস্থায় কেউ সতর্ক হয় না। কী পরিহাস!
জুন আপার জন্য অনেক শুভেচ্ছা....
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৯
জুন বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল,
অন্যান্য বারের মত নিজে নিজে মনে করার মাতব্বরী না করে প্রথমেই আপনার নামটি কপি পেষ্ট করে নিলাম যেন কোনো ভুলচুক না হয়
ইতিহাসে এমন কত শত বিষাদময় ঘটনাই যে আছে যা আমরা খুব কমই জানি । শাহ সুজার ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি না করলে আরাকানের ইতিহাসটুকু অজানাই থেকে যেতো । আগে শুধু এটুকুই জেনেছি আওরংজেবের সেনাপতি মীর জুমলার হাত থেকে বাচতে শাহ সুজা আরাকান পালিয়ে যান আর সেখানেই তার মৃত্যু হয় । তার মৃত্যুটা যে এমন ভাবে হয়েছিল তা জানতাম না ।
আপনার জন্যও রইলো অশেষ শুভেচ্ছা ।
৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভাগ্য বিড়ম্বিত বাংলার সুবেদার শাহ সুজার আরাকান আশ্রয় ও তার করুন পরিনতি সত্যিই যেন ভাগ্য বিড়ম্বনার এক জ্বলন্ত নাম শাহ সূজা! সত্যিকার অর্থে বার্মিজরা ঐতিহাসিকভাবেই বর্বর। আর সেই জন্য ওরা মগ নামে খ্যাত। মগদের ইতিহাস আদিকাল থেকেই লজ্জ্বাজনক। যা আজো দেখছে বিশ্ববাসী!
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০৯
জুন বলেছেন: শাহ সুজার আরাকান আশ্রয় ও তার পরের ইতিহাসটুকু বেশ রহস্যময় দেশ প্রেমিক ।
তবে বার্মিজরা যে বর্বর তার প্রমান ইতিহাসে প্রচুর দেখা যায় ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । ভালোথাকুন সব সময় ।
৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ইতিহাস তেমন পড়া হয় না। তবে আপনার এই লেখাটি পড়তে ভালই লাগল।অনেক ইতিহাস জানা হল।
যুগে যুগে অহংকার আর লোভই উচুতরের মানুষদের ধ্বংস করে দিয়েছে।
তবু মানুষ পুরাতন ইতিহাস থেকে কোন শিক্ষা নেয় না।
ভাল থাকুন জুনাপু।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫
জুন বলেছেন: মোস্তফা সোহেল স্কুল জীবনে আমারো ইতিহাস ভালোলাগতো না । তারপর কি করে যে তার প্রেমে পরে যাই সে এক দীর্ঘ ইতিহাস ।
আমরা ইতিহাস বইতে বার বার একটি লাইন পড়েছি তা হলো হিস্ট্রী রিপিটস ইট সেল্ফ । তারপর ও এখন ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয়না ।
যাইহোক পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
করুণাধারা বলেছেন: ইতিহাসের পাঠ - খুবই ভাল লাগল পড়তে। বিশেষ করে এইসময় যখন আরাকানের মুসলমানদের নিষ্ঠুরভাবে বৌদ্ধরা হত্যা ও নির্যাতন করছে।এটা তাহলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি!!
আওরঙ্গজেবের ব্যাপারটা আমার কাছেও ধাঁধা। তিনি যদি সত্যিই কোরআন নকল করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, তবে কোরআন থেকে তিনি কোন শিক্ষা নেন নি। এটা তো হতে পারে না। ইতিহাসে কি তবে অনেক মিথ্যা লুকিয়ে থাকে!!!
চমৎকার পোস্টে +++
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
জুন বলেছেন: করুনাধারা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে । আর আওরংজেবের চরিত্র আমার কাছে খুবই পরস্পর বিরোধী মনে হয় । সে ছেলেকে বলে শিক্ষকের পা ধুইয়ে দিতে ঐদিকে নিজের জন্মদাতা পিতার সাথে কি পৈশাচিক ব্যবহারই না দেখালো । ছোটোখাটো অনেক তথ্যের হয়তো হেরফের হয় । কিন্ত ভাইদের মৃত্যু দন্ড দেয়া বা পিতাকে বন্দী করা এগুলো নির্ভরযোগ্য সত্য
শুভকামনা রইলো ।
১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
কানিজ রিনা বলেছেন: রহিঙ্গা নিপীরনই প্রমান বার্মার শাসক গোষ্টি
অসভ্য বর্বর জলদস্যু। এখনও এরা বর্বর
অসভ্য জাতী হিসাবেই বিশ্ব বাসির কাছে
পরিচয় দিয়েছে। পূরনো ইতিহাস পড়ে
বেশ অনেক জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
জুন বলেছেন: রোহিংগাদের যদি মনেই হয় তোমাদের নাগরিক না তাহলে কত কিছুইতো করার আছে । অসভ্য বর্বরের মত আচরনই কি করতে হবে ! পৃথিবীর বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠি ভাগ্যোন্নয়নে কত দেশই না পাড়ি দিয়েছে । এখন তাদের সবাইকে কি কি নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে মেরে ধরে ? আমেরিকার সাদারা কি আমেরিকার আদিম জনগোষ্ঠি ! মাওরিদের ও উচিত নিউজিল্যান্ড থেকে সব সাদা বের করা । আমাদের চা বাগানের শ্রমিকরা কি এখোনো ভারতের লোক হয়েই আজে ? অসভ্য একটা জাতি এই বর্মী । ধন্যবাদ আবারো ।
১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সময় ছিল ১৬৬০ সনের ডিসেম্বর। সেদিনও আরাকানের মাটি আশ্রিতদের রক্তে ভিজে উঠেছিল যেমন আজ উঠছে রোহিঙ্গাদের রক্তে।
তবে ইতিহাসের পাতায় পাতায় কান পাতলে শোনা যায় অতিথির প্রতি আশ্রয়দাতা আরাকান রাজের চরম বিশ্বাসঘাতকতার কাহিনী যার ধারা আজও অব্যাহত আছে তাদের আচারে-ব্যাবহারে আর সংস্কৃতিতে।
ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বর্মিজ/আরাকান রাজাদের প্রথা বর্তমানে হিংস্র হয়ে উঠেছে।
মুসলিমদের রক্ত দিয়ে ওরা নতুন ইতিহাস লিখছে যা সভ্যতার জন্য করঙ্ক।
অনেক ভাল লাগলো লেখাটি।
ভাল থাকবেন।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:২৯
জুন বলেছেন: ভালোলাগার কথা জেনে আমারও ভালোলাগলো মোঃ মাইদুল সরকার । তবে রাজ রাজড়াদের জীবনের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের করুন পরিনতি মনকে পীড়িত করে ।
অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য ।
১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। শাহ সূজার শেষ পরিনতি কি সেটা হয়তো এখন আর নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না কিন্তু ক্ষমতার লোভ মানুষকে কতোটা নীচে নামায় সেটা বলা সম্ভব। সব দেখে শুনেও মানুষ ক্ষমতার লোভ করে, ইতিহাস থেকে কোন শিক্ষাই নেয়না, এটাই ইতিহাসের শিক্ষা!!!
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৩১
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভুয়া মফিজ লেখাটি পড়ার জন্য ।
শুভকামনা রইলো ।
১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
বারিধারা বলেছেন: গুলরুখ বেগম আরাকান রাজের লালসার শিকার হয় - একথা সত্যি নয়। প্রকৃত সত্যি হল আরাকান রাজ তার অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্রের সাথে শাহ সুজার বিধবা মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব করলে শাহ সুজা নীল রক্তের অহংকারে তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। এতে আরাকান রাজের অহমিকায় আঘাত লাগে। তারপর তাকে অপহরণের ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেলে সুজা এক মুসলিম জেলে পাড়ায় মেয়েকে রেখে আসেন। পরে গুলরূখ বেগমকে খুঁজে না পেয়ে রাগে আগুন হয়ে আরাকান রাজ সুজাকে হত্যা করেন। মুঘলদের ইতিহাসে এই কাহিনীর সত্যতা পাবেন, তাছাড়া রবীন্দ্রনাথের 'দালিয়া' গল্পে এই ঘটনার কিছু সূত্র দেয়া আছে।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩
জুন বলেছেন: বারিধারা আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে আপনি মনযোগের সাথে আমার সামান্য লেখাটি পড়েছেন ।
দেখেন শাহ সুজার আরাকান পৌছানোর পর থেকেই ইতিহাসটি বড়ই ধোঁয়াসা । বিভিন্ন তথ্য ঘেটে ব্লগের সামান্য পরিসরের জন্য অত বিস্তৃত হতে পারেনি লেখাটি । আপনার তথ্যটিও হয়তো ঠিক যে শাহ সুজা মেয়েকে জেলে পাড়ায় রেখে এসেছিল। আবার অন্য সুত্র থেকে এটাও জানা যায় শাহ সুজা নয় আরাকান রাজ্য আক্রমন করেছিল মীর জুমলার বাহিনী। ইতিহাস এত সুত্র আর তথ্য থেকে যাচাই বাছাই করে লিখতে হয় তার কোনটা যে সত্যি কোনটি যে মিথ্যা তা নিয়ে ধাধায় পরে যেতে হয় । কিন্ত আরাকানি মগদের নিয়ে। দেখেন আরাকানি মগদের নিয়ে আরেকটি তথ্য রয়েছে যা আমি শতভাগ সত্য বলে মনে করি
On 12th May 1660, the unfortunate Mughal Prince and his much decimated band of followers bade their farewells to the land which had sustained them since their births. Passing through difficult days and hazardous routes they reached the "island" of Arakan which is the worst and meanest of the places in the world and where infidels reside and where due to his misfortunes and mischiefs he would be raised only on Doomsday.26
অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য ।
১৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
মোবারকবাদ, বর্মিজ অমানুষ মগ পিশাচদের দ্বারা সংঘটিত রক্তাক্ত খুনেতিহাসের করুন এবং কলঙ্কজনক একটি অধ্যায় তুলে ধরায়।
বর্বর অসভ্য বৌদ্ধ বদমাশ মগগোষ্ঠী সর্বকালেই হিংস্র-রক্তলোলুপ-হায়েনার চেয়ে জঘন্য, মানবতার কলঙ্ক, নিকৃষ্টতম হীনচরিত্রের দুর্বৃত্ত এবং সীমাহীন পাষন্ড, নির্বিচার খুনি তার প্রমান ইতিহাসের এই সত্যটিও বহন করে, যেমনটা বহন করে থাকে তাদের বিগত সহস্র বছরের আরও অসংখ্য অপকীর্তির দুর্গন্ধযুক্ত ইতিহাস।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫
জুন বলেছেন: বিগত সহস্র বছরের আরও অসংখ্য অপকীর্তির দুর্গন্ধযুক্ত ইতিহাস। যথার্থই বলেছেন নতুন নকিব ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৯
ইমরান আশফাক বলেছেন: এইমাত্র জানতে পারলাম যে রাখাইন বন্দরের ৭০% মালিকানা পাচ্ছে চীন। অর্থাৎ বার্মা মাছের তেলে মাছ ভেজে নিচ্ছে (কারন আরাকান তো বার্মাদের প্রাপ্য নয়) আর রোহিংগাদের ভাগ্য অনেকদিনের জন্য ঝুলে গেলো। বাংলাদেশের যে কোন বন্ধু নেই সেটা এখন অনুধাবন করছি আমরা তবে অনেক দেরিতে। আমাদের পররাস্ট্রনীতি ছিলো সবাইর সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুত্ব নয়। এখন আমাদের খুব ধৈর্য ও কৌশলের সাথে চীন, ভারত, মার্কিন যুক্তরাস্ট্র, রাশিয়া ও ইসরাইলের মোকাবেলা করতে হবে এককভাবে । কারন এদের সমর্থন ছাড়া বর্মিদের এমন আচারন করার সাহস হতো না। আল্লাহ ছাড়া আমাদের কোন সহায় নেই এবং আল্লাহ যদি আমাদের সাথে থাকে তাহলে আমাদের আর কোন সাহায্যদাতার প্রয়োযন নেই।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৫২
জুন বলেছেন: ইমরান আশফাক আপনি যখন এই মন্তব্যটি করেন ঠিক তখনই আমি ২ নং মন্তব্যের উত্তরে এটাই লিখছিলাম চীনের ৭০% মালিকানায় আরাকানে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মান ।
আমি ইতিহাসে পড়েছি এমনকি ব্যাক্তি জীবনেও দেখেছি আপনি চাইলেও সবার সাথে বন্ধুত্ব হয়না, নম্রতা- ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাবে।
আল্লাহ ছাড়া আমাদের কোন সহায় নেই রোহিঙ্গা ফিলিস্তিনী ইরাকি সিরিয়ান আফগানিস্তানের মত বহু দেশের সাধারন নাগরিকের এখন আল্লাহ ছাড়া সহায় নেই । এসব দেশের মানুষ আজ কিছু উম্মাদ ক্ষমতা লোভী মাফিয়ার হাতে বন্দী ।
আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩
জীবন সাগর বলেছেন: পড়েছি তাই কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম ঐতিহাসিক ঘটনাবহ জেনে।
আরাকানে মানুষ আছে বলে মনে হয় না, তারা জন্মসূত্রেই জানোয়ার।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০৮
জুন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা আপনি রাখবেন কেন জীবন সাগর ! কৃতজ্ঞ আমি পোষ্টটি পড়েছেন বলে । ১৪ নং মন্তব্যের প্রতিউত্তরের ইংরাজী প্যারাটি পড়লেই বুঝবেন তারা জাতি হিসেবে কেমন ?
শুভেচ্ছা সকালের ।
১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এখন প্রিয়তে গেল।
নেট সমস্যা করছে গত কাল হতে ।
অবস্থার উন্নতি হলে পরে আসব ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০৯
জুন বলেছেন: আপনার আসার অপেক্ষায় ডঃ এম আলী
শুভকামনা আপনার জন্যও ।
১৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩
নীলপরি বলেছেন: অসাধারণ উপস্থাপন । খুব ভালো লাগলো ।
+++++++++
শুভকামনা
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১০
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নীলপরি পোষ্টটি পড়ার জন্য ।
২০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫
সোহানী বলেছেন: ও মাই গড... ইতিহাসতো দেখি কিছুই জানি না। আর জীবনভর আওরংজেব নিয়ে এতো ভালো ভালো ইতিহাস পড়ে বা শুনেই বড় হয়েছি। তার এতো নিষ্ঠুর কাহিনী সত্যিই জানি না................
সঠিক ইতিহাস কিভাবে জানা যাবে??????
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১৫
জুন বলেছেন: তাই বলে আবার আমার কাছ থেকে কিছু শিখতে যাবেন্না সোহানী । দেখা গেলো শেষে কিছু ভুলে ভরা ইতিহাসের ঝুলি নিয়ে বসে আছেন
আওরংজেবের দ্বৈত চরিত্রের কাথা জানি । ভাইদের প্রতি তার নৃশংস আচরনের কথাও জানি । পিতা ও বোন জাহানারা যে কিনা পিতা ও বড় ভাই দারাশিকোহর পক্ষে ছিল সে জন্য তাদের প্রতি নিষ্ঠুরতার কথাও জানি । কিন্ত উদার ধর্মী বড় ভাই যাকে সে নাস্তিক মনে করতো তার কাটা মাথাটি খাবার পরিবেশনের পাত্রে করে ঢেকে পিতার কাছে পাঠানো যেন সকল নিষ্ঠুরতাকেই অতিক্রম করে গেছে ।
মন্তব্য আর উৎসাহের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
২১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আওরঙ্গজেব বাকী ৩ ভাইকে মেরেছেন এটা আজকেই জানলাম। আসলে আমার মনে হয় ইতিহাসবিদ রা ঠিক ইতিহাস লিখে যেতে পারেননি। যার কারণে, এক এক ইতিহাসে এক এক তথ্য...
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১৮
জুন বলেছেন: আসলে আমার মনে হয় ইতিহাসবিদরা ঠিক ইতিহাস লিখে যেতে পারেননি। যার কারণে, এক এক ইতিহাসে এক এক তথ্য... আপনি ঠিকই বলেছেন বিচার মানি । তবে আওরংজেব তার মায়ের গর্ভজাত দুই ভাই সবচেয়ে বড় দারাশিকোহ েবং সবচেয়ে ছোট মুরাদকে মেরে ছিলেন এটা কনফার্ম । কিন্ত শাহ সুজাকে তিনি মারতে চেষ্টা করেও পারেন নি বলেই বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা যায় ।
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রাসংগিক মন্তব্যে। ভালো থাকুন ।
২২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৮
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ধূলোচাপা ইতিহাসকে মনে করিয়ে দেবার জন্য।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২০
জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ধুলোয় চাপা পরা ইতিহাসটুকু পড়ার জন্য মেঘনা পাড়ের ছেলে ।
২৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কতকিছুই যে জানি না। আপু তোমার পোস্টের মাধ্যমে জানলাম এই কাহিনী সত্যি মর্মাহত হলাম শাহ সুজা'র এই করুণ ইতিহাস পড়ে।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২১
জুন বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন এটা কি কোন ব্যাপার হলো ! আমিও তো কত কিছুই জানি না
নিয়মিত আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।
২৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৬
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
নির্মম শিহরণ । চারদিকে শুধু রক্তপাত । সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে, ধ্বংসজজ্ঞগুলো, বিশ্বাসঘাতকতাগুলো । বেশ ভাল লেগেছে ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২৪
জুন বলেছেন: রক্তপাত ধ্বংসযজ্ঞ , বিশ্বাসঘাতকতা আমার কখনোই ভালোলাগে না কথাকথিকেথিকথন। তারপরও মানুষের এই আচরন শুধু ইতিহাসেই নয় ব্যাক্তিজীবনেও দেখে বিস্মিত হই, ব্যাথিত হই, নিজেকে গুটিয়ে নেই ।
অল্প কথায় সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
২৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি জানি দারাশিকোকে অন্ধ করে হজে পাঠানো হয়েছিলো।।কোথাও বোধহয় পড়েছিলাম।। ভুল হলে সেই প্রথমদিনের মত শুধরে দেবেন।।
বাকিটা আর জানি না।।
তবে এটা বোধহয় জানি যে, ক্ষমতা বরাবরই রক্তাত্ব!!
ইতিহাসটা খুবই করুন।। এখানে সম্পর্ক ব্যাপারই না
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২৮
জুন বলেছেন: আমি জানি দারাশিকোকে অন্ধ করে হজে পাঠানো হয়েছিলো। হতেও পারে সচেতনহ্যাপী, কত আগের কথা। কিন্ত আমি বরাবরই পড়েছি তাকে হত্যা করেছিল আওরংজেব ।
ক্ষমতা বরাবরই রক্তাত্ব!! এটাও আরেকটি সত্য উচ্চারন করলেন । যার প্রমান আমরা আজও সারা দুনিয়া জুড়ে এমনকি আমাদের এই সবুজ বাংলায় ও দেখতে পাই । ক্ষমতা বড় নিষ্ঠুর । তাইতো বড় বড় পন্ডিতরা বলেছেন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে।
সব সময় পাশে থেকে উৎসাহিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
২৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০৪
মোঃমোজাম হক বলেছেন: রাজত্ব নিয়ে হানাহানি বোধকরি সারা দুনিয়াতেই ছিল এবং আছে। টিভিতে যে তুর্কী সিরিয়াল দেখছি সুলতান সুলেইমান সেখানেও ভাইয়ে ভাইয়ে ক্ষমতার জন্য হত্যাযজ্ঞ। মিডিল ইস্টে কাতারের রাজা তার বাপকে সরিয়ে ক্ষমতায় বসেছে।আবার তার বাপও তার দাদাকে সরিয়ে দিয়েছিল।
আপনার লেখা সেই আগের মতোই সুন্দর সাবলীল , ভাল থাকবেন আপা
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩০
জুন বলেছেন: আপনি কোথায় হারিয়ে যান মোজাম ভাই ? আশাকরি সপরিবারে ভালো আছেন । আমরাও যেন খানিকটা ভালো থাকি তার জন্য দোয়া করবেন ।
আর আপনার উৎসাহমুলক মন্তব্যের জন্য হাজারো ধন্যবাদ ।
২৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: শাহ সুজার ইতিহাসের বর্ণনার সাথে আপনার অসাধারণ সাহিত্যও লেখাটাকে খুবই উঁচুমানের করেছে আপনার আগের লেখাগুলোর মতোই | শাহ সুজার হতভাগ্য জীবন নিয়ে অনেক কিছু জানলাম | অনেক কিছুই আগে জানা ছিল না | আওরঙ্গজেবের হাতে তার তিন ভাই -এর মৃত্যু নিয়ে একটা কথা | আসলে সবাইকেই তাদের নিজেদের সময়কার পটভূমিতে বিচার করাই মনে হয় ভালো | একটা দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের ইতিহাসে, বিশেষ করে রাজা রাজড়াদের ইতিহাসে কিন্তু এই ধরণের ঘটনা নেহায়েত কম নয় | আজকের মতো ধারণা, মনোভাবতো সে সময় ছিল না | তাই আমি যখন ভাবি তিন ভাইয়ের সাথে তার যুদ্ধ খুব বেশি অবাক হই না | আওরঙ্গজেব যুদ্ধে হেরে গেলে তার অবস্থায় দারাশিকো বা মুরাদের মতোই হতো অন্য ভাইদের হাতে |
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩২
জুন বলেছেন: মলাসইলমুইনা আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে আসছি আবার । খুবই জরুরী কাজে বাইরে যেতে হচ্ছে । দুঃখিত ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২
জুন বলেছেন: আপনি অত্যন্ত সঠিক কথাটিই বলেছেন । আওরংজেব হারলে তার পরিনতিই একই হতো হয়তো বা। কিন্ত আমার কাছে তার চরিত্রের বৈপরিত্বটাই অবাক হওয়ার মত লাগে। এমনো হতে পারে ছোটবেলা থেকেই তাদের ভেতরে মানুষ হত্যা খুব সাধারন এমন একটি বিয়য় ঢুকিয়ে দেয়া হতো । সবই রহস্যময় সব ইতিহাস । ইংল্যান্ডের রাজা হেনরী দ্যা এইটথ শুধু আরেকটি বিয়ে করার জন্য নিজ স্ত্রীকে কিভাবে খুন করেছিল তা ভাবতেই গা শিউড়ে ওঠে । তবে আমার লেখার মুল ফোকাসটা হলো অতিথির প্রতি আরাকান রাজের ব্যবহার । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যে সামান্য বিষয়কেও অন্যমাত্রায় নিয়ে যাওয়া।
ভালো থাকুন আর লেখালখিতে থাকুন সেই প্রত্যাশায় ।
২৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২১
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ইতিহাস বরাবরই ভাল লাগে, তবে আমাদের ইতিহাস খুবই বঞ্চনার।
আপনার লেখার ধাঁচ অসাধারন।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬
জুন বলেছেন: ব্লগে এত এত বিজ্ঞ লেখক থাকতে আমার সামান্য লেখায় আপনার প্রশংসায় সংকুচিত বোধ করছি মাহবুবুল আজাদ । আমার লেখাটি পড়েছেন মন্তব্য করেছেন তাতে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ । ভালোথাকুন সতত।
২৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
ইতিহাস চিরকালই হয়তো রহস্যময় । রহস্যময় এ কারনে যে , বিজয়ী যেমন ইতিহাস লেখেন তেমনি বিজেতাও লেখেন ইতিহাস । লেখেন পাশ থেকে বাইরের অন্য কেউ । ভিন্ন আঙিকে । সত্য-অসত্য মিশিয়ে নিজেদের মতো করে লেখেন ।
আপনার লেখা ও বিভিন্ন মন্তব্যের আলোকে এটুকু বলা ।
অনবদ্য এই লেখায় ইতিহাসের আড়ালে একটি সত্যকে আপনি সচেতন ও বিবেকবান মানুষের মতো তুলে ধরেছেন ( যা আপনি বরাবরই করেন ) এখানে ---- " ইতিহাসের পাতায় পাতায় কান পাতলে শোনা যায় অতিথির প্রতি আশ্রয়দাতা আরাকান রাজের চরম বিশ্বাসঘাতকতার এক ঘৃন্য কাহিনী যার ধারা আজও অব্যাহত আছে তাদের আচারে-ব্যাবহারে আর সংস্কৃতিতে। "
শুভেচ্ছান্তে ।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩
জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস আপনি যথার্থই বলেছেন বিজয়ী যেমন ইতিহাস লেখেন তেমনি বিজেতাও লেখেন ইতিহাস । । তবে ইতিহাসবিদদের কাজ হলো সেই সত্য মিথ্যার মিশ্রনকে চালুনী দিয়ে চেলে চেলে সঠিক তথ্যটুকু ছেকে নেয়া । তারপর ও দু একটা কাঁকর ঠিকই ছেড়া জালের ফাক গলে পরে যায় বৈকি ।
সচেতনতা সম্পর্কে অত বিশদ কিছু লেখার যোগ্যতা আমার নেই তবে চেষ্টার ত্রুটি রাখি না এটা বলতে পারি ।
স্বল্প কথায় মুল বিষয়টি নিয়ে একটি অসাধারন মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বর্মীদের প্রতি ঘৃনার পারদটা আরো উপরে উঠে গেল! আর আহাম্মক রাজপুত্রদের লোভেই সাধারণ জনগণ ডুবেছে বারে বারে! এদের জন্যেই যুগে যুগে সমাজে নিষ্পেষিত হয় নিষ্পাপ গুলরুখেরা!
আফসোস.....
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫
জুন বলেছেন: আফসোসই বটে ভ্রমরের ডানা । ক্ষমতার জন্য লড়াই এসব জেনেও কি এখনো থেমে গেছে বলুন ?
পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই খুশি হলাম বিষয়টি নিয়ে লিখার জন্য ।
ভাগ্য বিড়ন্বিত বাংলার সুবেদার শাহ সুজার ইতিহাস খুব সুন্দর ভাবে উঠে এসেছে লেখাটিতে । বেশ মনযোগ দিয়ে পড়লাম । এই ইতিহাসগুলি বর্তমান রোহিঙ্গা সংকটের প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপুর্ণ ।
আরাকানের সেসময়কার ইতিহাস পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা যায় মিয়ানমার এর মিডিয়াগুলি সেসময়কার কবি আলাউলের কথা উল্লেখ করছে বিবিধ উদ্দেশ্যে । উল্লেখ্য যে সেসময়কার আরাকানপতির আত্মীয় সৈয়দ মুসা'র উৎসাহে কবি অআলাউল সয়ফল মুলুক ও বদিউজ্জামাল নামক পারস্য গ্রন্থ অনুবাদ করেন । আমি সয়ফল মুলুক ও বদিউজ্জামাল শীর্ষক লোকগাথাটি নিয়ে আমার ব্লগে পোষ্ট দেয়ার সময় কবি আলাউল রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করার কিছুটা প্রয়াস নিয়েছিলাম । তখন দেখেছিলাম তার গ্রন্থাবলিতে আরাকানের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার বিবররণ রয়েছে । কবি আলাউলের রচনা গুলি থেকে অনেক কিছু মুছে দিয়ে কিংবা তথ্য গোপন করে এখন আরাকান হতে প্রকাশিত বিভিন্ন ব্লগে আরাকানে শাহ সুজার আশ্রয় গ্রহনের সময় কোন অপ্রিতিকর ঘটনার উল্লেখ নেই বলে বলা হচ্ছে । যেমন নীচের লিংকে উল্লেখিত www. kaladanpress.org থেকে বলা হচ্ছে
In the eulogy of Sanda Sudhamma raja, the poet mentions the arrival of the mughal prince Shah Shuja' in Arakan (in 1660) , but he does not relate any incident connected to this event.
অথচ অন্যত্র উইকি পিডিয়ার লেখায় দেখা যায়
In the eulogy of Shoptopoykor, Alaol mentioned the arrival of Mughal prince Shah Shuja in Arakan. In 1659, Shah Shuja took refuge in the court at Arakan. In 1660, after the killing of Shah Shuja, Alaol was also thrown out of the Arakan court because of his closeness with him.
শাহ সুজার বিষয়ে আরাকান রাজের যড়যন্ত্র ও নির্মমতার কথা ফুটে উঠেছে S. Harvey, 1971, Burma; Suhas Chatterjee, 2008 গ্রন্থে । এই পোষ্টের তথ্যের সাথে মিল রেখে সেখানে বলা হয়েছে শাহ সুজার কন্যা গুলরুখ আরাকান রাজ কতৃক ধর্ষিত হয়, এবং পরে আত্মহত্যা করেছিল ।
আলমগীরনামাতেও মুগল সাম্রাজ্যের সে সময়কার বেশ কিছু ইতিহাস বর্ণিত আছে। সে সময় বাংলার সুবাহদার যুবরাজ শাহ সুজার পতন এবং শায়েস্তা খান কতৃক চট্টগ্রাম বিজয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে সবিস্তারে । বাংলাদেশে মোগলদের সবচেয়ে বড় নৌঘাটির নাম ছিল সংগ্রাম কেল্লা। এটা ছিল বর্তমানের বরিশালে । মগ বিতাড়নের উদ্দেশ্যে আওরঙ্গজেব কর্তৃক প্রেরিত সেনাপতি সংগ্রাম শাহের নামানুসারে এই কেল্লার নাম করা হয়েছিল। সংগ্রাম শাহ বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের গোবিন্দপুরে এক বিরাট সেনানিবাস নির্মাণ করেন। এটি সংগ্রাম কেল্লা নামে ছিল পরিচিত। এটি ছিল বাংলাদেশে মোগলদের সবচেয়ে বড় নৌঘাটি। আলমগীরনামা থেকে জানা যায় যে এটি ১৬৬৫ সালে নির্মাণ শেষ হয়েছিল। এই কেল্লা প্রায় ১০০ বছর আগে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। শায়েস্তা খান রাজা রামচন্দ্র বসু, কীর্তি নারায়ণ, সংগ্রাম শাহ ও চাঁদ রায়ের নেতৃত্বে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করেন। শায়েস্তা খান নৌ সেনাপতি ইবনে হোসেনকে ১৬৬৫ খৃস্টাব্দে উত্তর শাহবাজপুরে প্রেরণ করেন। তিনি সংগ্রাম কেল্লাকে কেন্দ্র করে মগ-পর্তুগিজ বিতাড়নের আক্রমণ পরিচালনা করেন। ইবনে হোসেন, সংগ্রাম শাহ ও যুবরাজ কীর্তি নারায়ণ মিলিত প্রচেষ্টায় মেঘনা নদী থেকে মগদের বিতাড়িত করে সন্দ্বীপ দখল করেন। এই বাহিনী ১৬৬৬ খৃস্টাব্দের চট্টগ্রাম দখল করেন।
চট্টগ্রামকে আরাকানিদের হাত হতে দখলমুক্ত করার পর শায়েস্তাখান তার বাহিনী নিয়ে আরাকানের কালাদান নদীর পার পর্যন্ত অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখেন । সমগ্র আরাকানের উত্তরাংশ তাদের হস্তগত হয় ও সেখানে তারা সামন্ত রাজার অধীনে আরাকানের বিজিত অংশকে মুঘলদের করদ রাজ্যে পরিনত করেন । উত্তর আরাকানে সেখানকার মুসলিমরা কেন্দ্রিভুত হয় ।
তাই বলি বাংলার বিজয়গাথা আরাকানীদের ভুলে যাবার কথা নয় । তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে হবে বেশি বাড়াবাড়ী করলে আখেরে কি ফল হয় ।
রোহিঙ্গাদের এই ক্রান্তি লগ্নে মিয়ানমার যেভাবে ইতিহাস বিকৃতি করে চলছে তার হাত হতে উত্তরনের জন্য আমাদের দেশের ইতিহাসবিদদের জোর কদমে এগিয়ে আসতে হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জুন বলেছেন: ডঃ এম আলী প্রথমেই ধনবাদ জানিয়ে নিই আপনার সুচিন্তিত ও বিষয়টি নিয়ে যে যথেষ্ট খেটেছেন সেই মন্তব্যটির জন্য ।
কালাদান প্রেস অর্গানাইজেশন যে যে বিষয়টি সম্পুর্ন গোপন করেছে অর্থাৎ সেই কলংকিত অধায়টি তাদের ইতিহাস থেকে বাদ দিয়েছে সেটা আমিও দেখেছি পোষ্টটি লেখার সময় ।
তবে বৃটিশ স্থাপত্য ও ইতিহাসবিদ হার্ভে এবং ভেনিসীয় পর্যটক নিকোলায় মানুচ্চি যিনি মুঘল রাজসভার একজন কর্মাচারী ছিলেন নিরপেক্ষ ভাবেই সত্যটি তুলে ধরেছেন ।
আর আলমগীর নামাতো তারই দরবারের ফরমায়েশী লেখক মির্জা মুহাম্মাদ কাজিম লিখেছিলেন দশ বছর ধরে । সেখানেও অনেক তথ্যই রয়েছে এই বর্মী মগদের নিয়ে ।
আপনার কথাই সত্য হোক মগদের চৈতন্য উদয় হোক । তবে এত দেশ এত সংস্থার চাপেও তারা অনমনীয় রয়েছে । জানিনা এই দুর্ভাগা জাতির ভাগ্যে অবশেষে কি আছে ।
শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য । ভালো থাকুন ।
৩২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: বার্মিজরা তাইলে ঐতিহাসিক ভাবেই বিশ্বাসঘাতক!!!!!!
ওদের জন্য করুন!!!!
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭
জুন বলেছেন: বার্মিজরা তাইলে ঐতিহাসিক ভাবেই বিশ্বাসঘাতক!!!!!!
জি সেটাই মনে হয় বিলিয়ার রহমান ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে সাথে শুভকামনা রইলো
৩৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ভাইয়ে ভাইয়ে হিংসা-হানাহানি'র ঘটনা নিন্দনীয়।
তবে, শাহজাহানের কাছে বড় ভাইয়ের কাঁটা মাথা সত্যিই পাঠিয়েছিলেন কি না সেটা নিয়ে একটু দ্বিধা আছে। মুঘলদের শত্রু তৎকালীন ভেনিসের জলদস্যুদের রটনা হয়াও বিচিত্র নয়।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৭
জুন বলেছেন: ভাইয়ে ভাইয়ে হিংসা-হানাহানি'র ঘটনা নিন্দনীয়।
তবে কথা হলো এটা শুধু রাজা বাদশাহদের মধ্যেই ঘটে তা নয়, সাধারন মানুষের মাঝেও দেখা যায় সত্যপথিক শাইয়্যান। পার্থক্য হলো সাম্রাজ্য আর জমিজমা এটুকুই ।
দারাশিকোর মাথার ব্যাপারটা কিন্ত অনেক বইতেই পাওয়া যায় । আমি পরে এ বিষয়টি নিয়ে আপনাকে সুত্রটি জানাতে চেষ্টা করবো ।
মন্তবের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮
আখেনাটেন বলেছেন: ইতিহাসের এইসব পাঠ বড়ই করুন। সে সময় মানুষ এত অাতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিন কাটাত কীভাবে?
মগের অত্যাচারের কিছু ঘটনা পড়া ছিল। এরা আসলেই সভ্যতার অালো থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। কালানুক্রমিকভাবে এদের বর্বরতার ইতিহাস নৃশংস এক নরজাতির কথায় মনে করে দেয়।
মগেদের সঠিক পথে আসতে আরো কতদিন লাগবে কে জানে।
চমৎকার পোস্ট। অনেক কিছু জানা হল।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০৮
জুন বলেছেন: দুঃখিত আখেনাটেন আপনার মন্তব্যটির উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো বলে । অনাহুত ব্যাস্ততাই এই অসৌজন্যতার কারন ।
আপনি লিখেছেন ইতিহাসের এইসব পাঠ বড়ই করুন। ইতিহাস বইতে লেখা আছে "History repeats itself ".
কিন্ত তারপর ও তা থেকে কেউ শিক্ষা নেয়না । বড় বড় রাজনীতিবিদদের কিন্ত এক সময় অবশ্য পাঠ্য ছিল ইতিহাস। আর আজকালের পলিটিশিয়ানরা কি বিষয়ে পড়ালেখা করে আসেন সেটাই আল্লাহই জানে ।
ইতিহাস ছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করলে মগ তথা বর্মী জাতগোষ্ঠী আমাদের ধারনায় যা সঠিক পথ তাতে কখনো আসবে বলে মনে হয়না । আজীবন লোভী প্রতারক মগরা এখন চীন, ভারত ও রাশিয়ার সহায়তায় অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখছে । সেখানে সামান্য আরাকানি মানব জাতি নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা থাকবে বলে মনে হয়না।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । সাথে থাকুন আর সকালের শুভেচ্ছা জানবেন।
৩৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনি অনেক জ্ঞান আর পড়াশোনা করে পোস্ট লিখেন তাই আপনার সাথে শেয়ার করার মত আমার কোন জ্ঞান নেই।
আমার দেখা কিছু মুভি যেমন ট্রয়,আলেকজান্ডার, মংগোল, আশোকায় ক্ষমতাধর অনেকে রাজা মহারাজাকে জীবনের একটা সময় নিজের জীবন বাচাতে অসহায় অবস্থায় এখানে সেখানে ছুটে যেতে দেখেছি।
আমার মনে হয় ইহা সৃষ্টিকর্তার নিকট থেকে একটা বার্তা, আমি যেমন ক্ষমতা দিতে পাড়ি আবার তা কেড়ে নিয়েয়ে তুচ্ছ করে দিতে পাড়ি।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩
জুন বলেছেন: আপনি অনেক জ্ঞান আর পড়াশোনা করে পোস্ট লিখেন আপনিও হয়তো আপনার প্রিয় বিষয়ে অনেক কিছু জানেন যা আমার অজানা । তবে ছোটবেলা থেকেই বই পড়তে ভালোবাসি আর এই সুত্রেই এই জগতে আসা।
আমি যেমন ক্ষমতা দিতে পাড়ি আবার তা কেড়ে নিয়েয়ে তুচ্ছ করে দিতে পাড়ি অবশ্যই।
ইতিহাস বইতেও লেখা থাকে হিস্ট্রি রিপিটস ইটসেলফ । সুতরাং ইতিহাস থেকে শিক্ষা নাও । কার কথা কে শোনে আজকাল কলিমুদ্দি দফাদার ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৩৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি মনে মনে ধরে নিয়েছি যে, শাহ সুজা মনিপুরে ছিলেন।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৫
জুন বলেছেন: আমারও মন তাই বলে চাঁদগাজী। আরাকানে সে মারা যাননি সেটাই সত্যি মনে হয় ।
পোষ্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
শোভন শামস বলেছেন: সব সময়ের মত আপনার অসাধারণ উপস্থাপন । খুব ভালো লাগলো । ++++
মন নরম হয়ে আসে এই মোগল বংশের পরিণতি দেখে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮
জুন বলেছেন: মন নরম হয়ে আসলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেইনা আমরা অর্থাৎ রাজনীতিবিদরা যারা দেশ পরিচালনা করেন ।
অনেক দিন পর আপনাকে আমার ব্লগ বাড়ীতে দেখে খুশী হোলাম শোভন শামস। আশাকরি ভালো আছেন ।
৩৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪২
প্রামানিক বলেছেন: ইতিহাস ঘেটে সঠিক তথ্য বের করা কঠিন। তবুও আপনি মগ দস্যুদের অনেক কাহিনী তুলে ধরেছেন। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫
জুন বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ নিয়মিত মন্তব্যে উজ্জিবীত করার জন্য
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশায় ।
৩৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১০
সুমন কর বলেছেন: ইতিহাসের পাতায় পাতায় কান পাতলে শোনা যায় অতিথির প্রতি আশ্রয়দাতা আরাকান রাজের চরম বিশ্বাসঘাতকতার এক ঘৃন্য কাহিনী যার ধারা আজও অব্যাহত আছে তাদের আচারে-ব্যাবহারে আর সংস্কৃতিতে। -- দারুণ বলেছেন।
ইতিহাস মাঝে মাঝে আসলেই অবাক করে দেয়।
কবির সুমন- তাজমহল।
* আপনার পোস্ট আমি বুকমার্ক করে রাখি। কারণ সময় করে পরে পড়বো। মিস হবার নয়।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮
জুন বলেছেন: আপনার পোস্ট আমি বুকমার্ক করে রাখি। কারণ সময় করে পরে পড়বো। মিস হবার নয়।
বলেন কি সুমন কর ! আমিতো নিজেকে অত্যন্ত সোভাগ্যবান মনে করছি আপনার কথায়
অবশ্য আপনি আমার লেখালেখির একজন নিয়মিত পাঠক যার জন্য আমি অত্যন্ত খুশী ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো । সাথে থাকুন আর ভালো থাকুন সেই প্রত্যাশাই রইলো ।
৪০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চরম এক সত্যি লিখেছো আপু
তবে ইতিহাসের পাতায় পাতায় কান পাতলে শোনা যায় অতিথির প্রতি আশ্রয়দাতা আরাকান রাজের চরম বিশ্বাসঘাতকতার এক ঘৃন্য কাহিনী যার ধারা আজও অব্যাহত আছে তাদের আচারে-ব্যাবহারে আর সংস্কৃতিতে।
এতটা নির্মম আর ভয়ংকর হতে পারে আজকের তারিখেও রোহিঙ্গাদের সাথে আচরনে আজ আমাদের সামনে উন্মোচিত ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
জুন বলেছেন: মনিরা আপনার মন্তব্যে অনুপ্রানিত হোলাম ।
নানা রকম সাংসারিক ঝামেলায় মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হবার জন্য আন্তরিক দুঃখিত। বর্মীদের অত্যাচারের কাহিনী আমাদের লোকসাহিত্যেও স্থান পেয়েছে যেঁ কতটা বর্বর তারা।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।
৪১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের "রাজর্ষি" উপন্যাসে শাসুজা সম্পর্কে সামান্য বর্ণনা আছে; সেখানে আরাকান রাজের বেঈমানীর কথাই বলা হয়েছে। শাসুজার নির্মম পরিণতি রুপকথাকেও হার মানায়।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪
জুন বলেছেন: জী আমিও পড়েছি গল্পটি তবে বেশ আগে । বর্তমানে আরাকানে রোহিঙ্গাদের উপর বার্মার বর্বর আচরনে মনে পরে গেলো শাহ সুজার ইতিহাস।
পোষ্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু । অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে ভালোলাগছে ।
রাতের শুভেচ্ছা
৪২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪২
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একটি মর্মান্তিক ইতিহাস।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮
জুন বলেছেন: বৃটিশদের দ্বারা বার্মায় নির্বাসিত শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের শেষ জীবনও কেটেছিল অত্যন্ত কষ্টে আর দারিদ্রে ।
আপনাকে আমার ব্লগে দেখে ভীষন খুশী হোলাম কংকাবতী । আপনার ধারাবাহিক গল্পটি বেশ ভালোলাগছে ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৪৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
আপনি কোথায় ? সম্ভবত আপনি ব্যাংককে । ওখানে ভুমিবলের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানের কথা আপনার লেখনিতে জানতে চাই যদি লেখার মুডে থাকেন । অবশ্য ভ্রমনের বতুতা কি চুপ করে থাকতে পারে এমন ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ননা না করে !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৫
জুন বলেছেন: বাহ আপনি বলার সাথে সাথেই দেখি আমার পোষ্ট পাব্লিশ হলো ব্লগে । আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক যেন আমি নিয়মিত লেখালেখির সময় বের করতে পারি ।
রাজা ভুমিবলের শেষ কৃত্য নিয়ে লেখাটিতে আপনার প্রথম মন্তব্য পেয়ে ভীষন ভালোলাগলো আহমেদ জী এস । আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যে অনুপ্রানিত করায় ।
৪৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২২
রাতুল_শাহ বলেছেন: ইউটিউবে একটা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম, সেখানে দেখলাম, তারা দারাকে উদার পন্থী আর পিতৃভক্ত এক ছেলে হিসেবে। আওরঙ্গজেব ছিলেন সবচেয়ে বিচক্ষণ আর সাহসী।
শেষ বয়সে এসে আওরঙ্গজেব অনেক অনুশোচনায় দগ্ধ হয়েছিলেন।
আপনি ইতিহাসের ছাত্রী, আপনি অারও ভালো বলতে পারবেন।
অঃটঃ আপনার কাছে ইতিহাস বিষয়ে কিছু প্রশ্ন ছিলো, ব্লগে করতে চাচ্ছি না।
[email protected] মেইল এ যদি উত্তর দিতেন, তাহলে আমি উপকৃত হতাম।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৫
জুন বলেছেন: রাতুল অনেকদিন পর তোমাকে ব্লগে দেখে খুব ভালোলাগলো । আমিও অবশ্য শারিরীক অসুস্থতায় বিপর্যস্ত থাকার কারনে অনুপস্থিত ছিলাম । যার জন্য ব্লগে আসা হয়নি আর তোমার মন্তব্যটিও দেখা হয়নি । মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
অবশ্যই প্রশ্নগুলো করতে পারো আমি উত্তর দিতে চেষ্টা করবো যদি জানা থাকে । তোমার মেইল আইডিটা রাখলাম যত্ন করে । শীঘ্রই যোগাযোগ করবো ।
৪৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আসল লেখায় আসার আগে দেয়া ভূমিকাটুকুর জন্য ধন্যবাদ। ওটুকু না হলে বিস্মৃতির অতল থেকে ইতিহাস খুঁজে আনা সম্ভব হতোনা।
গল্পের আবরণে ইতিহাস বলে গেলেন, আমরা ইতিহাসবিমুখ পাঠকেরা উপকৃত হ'লাম।
মগেরা ঐতিহাসিকভাবে বিশ্বাসঘাতক এবং অত্যাচারী, তা নতুন করে জানা হলো। তবে রক্তের ঋণ তাদের একদিন শোধ করতে হবেই বলে আমার বিশ্বাস।
লেখাটিতে ২৪তম প্লাস দিয়ে গেলাম, প্রিয়তেও রাখলাম। সামুর ডালিতে আরেকটি মূল্যবান সংযোজনের জন্য ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন!
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৫
জুন বলেছেন: ভুমিকাটুকু লিখতে গিয়ে ভেবেছি অনেক পাঠকের সুবিধার কথাই ভেবেছি খায়রুল আহসান।
সম্রাট শাহজাহান পুত্র শাহ সুজাকে অনেকে না চিনলেও তাজমহলকে সবাই একবাক্যে চিনতে পারবে। রক্তের ঋন কি শোধ হয় এই জমানায়? জানিনা। নইলে সার্ব রক্ত পিপাসু স্লাদিচের লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যার জন্য শুধু যাবজ্জীবন হয় কি করে!
পোষ্টটি পড়া মন্তব্য তার উপর প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞ থাকলাম।
আপনার থাইল্যান্ড ভ্রমন নিয়ে লেখার অপেক্ষায়।
৪৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১২
রাতুল_শাহ বলেছেন: ইতিহাস নিয়ে অনেক ধারণা পরিষ্কার করা দরকার। ধর্মের ব্যাখ্যার মত, ইতিহাসের ব্যাখ্যা ও দুই তিন রকম দেখতে পাচ্ছি। দ্বিধায় পড়ে যাচ্ছি, কাকে সত্য মানবো, কারটা সত্য ধরে নিবো?
বা আমি যেেধারণাটি করছি, তা কতটুকু যুক্তিসংগত।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩২
জুন বলেছেন: রাতুল অত্যন্ত গুরুতপুর্ন একটি বিষয় উল্লেখ করেছো। ইতিহাস বিশেষ করে প্রাচীন ইতিহাস লিখতে গিয়ে ঐতিহাসিকদের বিভিন্ন তথ্য এর উপর নির্ভর করতে হয়। এর কোনটি পরীক্ষিত কোনটা বা আনুমানিক। অনেক বিচার বিশ্লেষণ করেই তারা ইতিহাসের গ্রন্থিগুলোকে এক সুতায় গাথতে চেষ্টা করেন। অনেক সময় এতে কিছু হেরফের থাকে। তবে তাদের ঐকান্তিকতার অভাব থাকে না এতে।
তাই প্রাচীন ইতিহাস পড়তে গিয়ে নির্ভরশীল তথ্য না থাকলে সব গুলো তথ্যই পাঠকদের হাতে তুলে দিয়ে বিচারের ভার তাদের হাতেই ছেড়ে দেন ইতিহাসবিদরা।
আরেকবার এসে এ বিষয়টি নিয়ে আলাপ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ নিও। শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
৪৭| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আমি এই সুবেদারের কথা জানি। বইতে পড়েছি।
আপনি সব সঠিক কথাই লিখেছেন।
২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১২
জুন বলেছেন: আমি এই সুবেদারের কথা জানি। বইতে পড়েছি।
আপনি সব সঠিক কথাই লিখেছেন।
আমিতো ইতিহাসের একজন প্রাক্তন ছাত্রী হিসেবে এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভালোবাসি বলে ভ্রমন কাহিনীতে পর্যন্ত কেমন করে জানি ইতিহাসে ডুব দিয়ে বসি । আর চেষ্টা করি প্রকৃত সত্যটাকে খুজে বের করতে।
আপনার আন্তরিক মন্তব্যটির জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
৪৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৫
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: "ইতিহাসের একজন প্রাক্তন ছাত্রী হিসেবে এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভালোবাসি বলে ভ্রমন কাহিনীতে পর্যন্ত কেমন করে জানি ইতিহাসে ডুব দিয়ে বসি । আর চেষ্টা করি প্রকৃত সত্যটাকে খুজে বের করতে।" আপনার এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন আশা করি ! আরাকানের ইতিহাস নিয়ে লিখবেন আশা করি ! আরো সত্য জানতে চাই আপনার লেখা থেকে ! ভালো থাকবেন ! ইতিহাস নিয়ে চমতকার লেখাটির জন্যে ধন্যবাদ জুন !
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩
জুন বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখিত ওসেল মাহমুদ এতদিন আপনার এত আন্তরিক মন্তব্যটি নজর এড়িয়ে ছিল আমার ।
আরাকানের ইতিহাস নিয়ে লিখবেন আশা করি ! আরো সত্য জানতে চাই আপনার লেখা থেকে
চেষ্টা করবো আপনার কথা রাখতে । আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়েছিলেন বলে । ভালো থাকবেন আপনিও ।
শুভকামনা সতত ।
৪৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০০
মাহের ইসলাম বলেছেন: ইতিহাস তার পুনরাবৃত্তি পছন্দ করে, এটা যেমন সত্যি ; তেমনি এটাও সত্যি যে বিজয়ীরাই ইতিহাসের প্রনেতা।
এত কিছুর পরেও বলব, ইতিহাস বড়ই নির্মম, করুণ।
বার্মিজদের নৃশ্নংতার প্রাকৃতিক বিচার হয়েছে কি, কখনো ?
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০
জুন বলেছেন: বার্মিজদের নৃশ্নংতার প্রাকৃতিক বিচার হয়েছে কি, কখনো ?
আপনার কি মনে হয় তাদের বিচার হয়েছে ? মনে হয়না মাহের ইসলাম ।
পুরনো লেখাটি অনেক মনযোগের সাথে পড়ে প্রাসংগিক একটি মন্তব্য করেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকুন সবসময়ের জন্য । শুভেচ্ছান্তে --
৫০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আপনি ছাড়া এরকম তথ্য বহুল এবং সাবলীল ভাষার পোস্ট আর কে লিখবে? আপাতত নোট করে রাখলাম। পরে ভালমত পড়ে কমেন্ট করব।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬
জুন বলেছেন: অবশ্যই পড়বেন উম্মু আবদুল্লাহ, আমি অপেক্ষায় রইলাম আপনার একটি মুল্যবান মন্তব্যের জন্য
অনেক ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ------
৫১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৫
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আওরংগজেব নিয়ে আপনার মূল্যায়ন পরষ্পরবিরোধী হবার কোন কারন নেই। আওরংজেব একজন দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। ন্যায়পরায়নতা, প্রজাবাৎসল্য এবং অন্যান্য গুনগুলো তার অবশ্যই ছিল। অন্ততপক্ষে দারাশিকোহর চেয়ে তিনি সবদিক দিয়ে যোগ্য ছিলেন। কিন্তু সেই সাথে তিনি ছিলেন ক্ষমতালিপ্সু। তার গোড়া সমর্থক ইতিহাসবিদ/বিশ্লেষকরা এটি অস্বীকার করতে পারেন নি। তার সমর্থক ইতিহাসবেত্তা বিশ্লেষকরাও তার সাম্রাজ্যবাদী নীতির সমালোচনা করেছেন। বিশেষত আওরংজেবের অতিরিক্ত যুদ্ধবাজ নীতিকে তার চরম সমর্থক ইসমাইল হোসেন সিরাজীও সমালোচনা করেছেন। যার ফলে কিছুদিনের মাথায় মোগল সাম্রাজ্যে উদ্ভব হয় মারাঠা বিদ্রোহীদের। আওরংজেব তার রাজত্বের সীমানা বাড়ালেও তা আয়েশে ভোগ করতে পারেন নি মারাঠাদের প্রতিরোধের কারনে।
শাহ সুজার কথা সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প "দালিয়া"য় পড়েছিলাম। স্মৃতি যদি আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে না থাকে। খুব করুন পরিনতির শিকার তিনি। শাহজাদা হওয়াটা এক দুর্ভাগ্য ব্যতিরেকে আর কিছুই নয়।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০
জুন বলেছেন: উম্মু আবদুল্লাহ প্রথমেই জানবেন আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আপনি যে আবার এসে আমার লেখায় মুল্যবান তত্থ্য যোগ করেছেন তা আমার লেখাকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।
দালিয়া সম্পর্কে আপনার অনুমান সঠিক বলে আমারো মনে হচ্ছে। ঠিকই বলেছেন শাহজাদা হয়ে যেমন ভোগ বিলাসে জীবন যাপন করা যায়, আবার ভাগ্য বিরুপ হলে কঠোর কঠিন পরিস্থিতিতে পরতে হয় যার উদাহরন শাহ সুজা ছাড়াও শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের ছেলেরা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫০
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সুন্দর ইতিহাস প্রিয়তে ।
আপু আপনার জন্য একটি তাজমহল নিয়ে গান
আপু অনুগ্রহ করে ১নং কমেন্টা মুছে দিন ওটা কাজ করছে না।
https://www.youtube.com/watch?v=vnoJvYKUswg