নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের মৌসুমে কেটে নেয়া ফসলের মাঠে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়ে থাকে। সেখানে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা ছাড়াও হাজির হয় শত শত মানুষ। বিনোদনের অভাবই মনে হয় এই ব্যপক উপস্থিতির এক বড় কারন বলেই আমার মনে হয়।
কিন্ত অনেকের এই বিনোদন আমার কাছে বড়ই নিষ্ঠুর এক খেলা বলে মনে হয়। যেবার আমি সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর দেখতে গিয়েছিলাম, ফিরে আসার সময় এক মাঠ যা যাবার সময় শুন্য দেখেছি তাতে অজস্র মানুষের ভীড়। গাড়ি থামাতে বলে চালককে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি সেখানে ঘোড়দৌড় হবে। মুখের কথা আমার মুখেই রয়ে গেল যখন চোখের সামনে দেখতে পেলাম এক কিশোর বা যুবা নির্মম ভাবে চাবুক চালাতে চালাতে হাড় জিরজিরে এক রোগা শুকনা ঘোড়াকে মাঠের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ছেলেটির চোখেমুখে হিংস্রতার ছায়া লেপ্টে আছে আর সেই অপুষ্ট ঘোড়াটি তার মনিবের হুকুম তামিল করার জন্য জানবাজী রেখে দৌড়ে চলেছে। লোমহীন ঘড়াটির গায়ে চাবুকের দাগ কেটে কেটে বসে আছে।
ঘোড়াটির এই করুন অবস্থা দেখে আমার মনটা ভার হয়ে উঠলো। ছেলেটাকে বলতে ইচ্ছে করলো
"হে কিশোর নিরীহ প্রাণীটিকে যে এমন করে মারছো এমন বেতের একটি বাড়ি যদি তোমার পিঠে পরতো তখন কি করতে"!
ছবি নেট। এখানেও দেখেন কি নিষ্ঠুরতার চিনহ।
সোহানাজোহা বলেছেন:
আপু,
পোষ্টের একটি বিষয় জানাচ্ছি গ্রাম অঞ্চলে এসব ঘোড়ার দৌড়ে “যেসব ছেলে ঘোড়ার পিঠে চড়ে এরা খুবই বেয়াদব হয়ে থাকে। অযথা ঘোড়াকে মারে। মনে হয় মেরে মেরে এরা মনে আনন্দ পায়”। এই দুঃখী ঘোড়াগুলোর শরীর ভর্তি মাইরের দাগ। ঘোড়ার চার পায়ে পেটে পিঠে শুধু চিকন চিকন দড়ির মত ফুলে থাকা মাইরের দাগ। বাঁশের শলাকা দিয়ে এরা এক ধরনের একটা ঝাড়ু তৈরি করে যা দিয়ে ঘোড়াকে মেরে চামড়া ফাটিয়ে রাখে, যেখানে সব সময় মাছি বসে ঘোড়ার রক্ত খায়। বাংলাদেশে প্রাণীদের উপর যে রকম নির্মম নির্যাতন করে আসলেই তা দুঃখজনক।৷
সহ ব্লগার সোহানজোহার মন্তব্যটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হওয়ায় তার মন্তব্যটি এখানে যুক্ত করে দিলাম।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
জুন বলেছেন: বহুদিন নাকি বছর পরে কান্ডারীকে দেখলাম! আছেন কেমন?
মানুষের হিংস্রতার কথাইতো বলছি। কোনদিন যদি এই সব প্রানীরা আমাদের গায়ে চাবুক তুলতো আমি খুব খুশী হোতাম। রাস্তা ঘাটে কুকুর বিড়াল দেখলেও আমরা অকারণে একটা লাথি না দিয়ে যাই না। গাছে পাখি বসে আছে তাকে একটা ঢিল ছুরতেই হবে আমাদের। বড়দের দেখে দেখে ছোটরাও নিষ্ঠুর হয়ে উঠছে কান্ডারি। মায়া মমতা হারিয়ে যাচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
আমি তিতুমীর বলছি বলেছেন:
আপু আপনার সাথে দ্বিমত দিয়ে শুরু করছি, আমি গ্রামের ছেলে খুব কাছ থেকে এই খেলা, ঘোড়ার পরিচর্যা দেখেছি, এই ঘোড়াগুলি স্পেশালভাবে সারা বছর দেখ-ভাল করে মনিবে, ভাল খাবার, সুন্দর করে গোসল করানো ইত্যাদি শুধু এই শীত মেীসুমে খেলায় অংশ নিবে বলে। বেশিভাগ ঘোড়ার মালিক শখের বসে এই খেলায় অংশগ্রহণ করে, আর এসব ঘোড়াগুলো সবই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, এরা বাইজ রুটে গেলেই নিজের থেকে দেীঁড়ানোর জন্য লাফায়। পুরুস্কারের যে মূল্য তা দিয়ে অনেক সময় খেলার জায়গা পর্যন্ত পেীঁছানোর খরচ উঠে না। হ্যাঁ খেলার সময়, ছোট ছোট বালক থাকে ঘোড়ার পিটে, দ্রুত দেীঁড়ানোর জন্য তাদের হাতে থাকা এক প্রকার বিশেষ কায়দায় বানানো চাবুক দিয়ে আঘাত করে, ব্যাথা পায় না বলব না তবে খুব বেশি ব্যাথা পায় বলে মনে হয় না। আমার স্বচক্ষে দেখা উপলব্ধি থেকে বললাম, ব্যতিক্রম থাকা অস্বাভাবিক নয়।
তবে আপনার দেখা ঘঠনাটি নির্মম।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০
জুন বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগত জানাই আমি তিতুমীর।
আপনার কথাটিই হয়তো ঠিক যে রেসের ঘোড়াদের অনেক যত্ন আত্মি করে মালিকরা। কিন্ত এই প্রতিযোগিতাকে উপলক্ষ করে হাজির হওয়া দর্শকই হবে হয়তো (আপনার মতানুযায়ী) কি নিষ্ঠুর ভাবেই না মারতে মারতে সেখানে উপস্থিত হচ্ছে তাদের পুস্টিহীন হাড়গোড় বের করা ঘোড়া নিয়ে তা দুবার আমার চোখে পরেছে। তাই এই পোষ্টের অবতারণা। আর আমি গ্রামে বসবাস না করলেও সমগ্র বাংলাদেশ অর্থাৎ তেতুলিয়া থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত আমি খুটে খুটে দেখেছি।
আগামীতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা রইলো।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০
জুন বলেছেন: আরেকটি কথা উল্লেখ করতে ভুলে গেছি তিতুমীর সেটা হলো প্রতিযোগিতায় যে ঘোড়াগুলো আসে তারা কি লাঠির বাড়ি খেয়ে খেয়ে দৌড়ের জন্য লাফায়? আমার মনে হয় না। উপরের ছবিটি দেখেন, একটা না দুটো লাঠি নিয়েছে সহিসরা।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তা প্রায় কয়েকশত যুগত হবেই
আমিত ভালা না, তবু ভালা লইয়াই থাকার চেষ্টা করতেছি
আপনি আছেন কেমন আপা?
এমন হওয়া উচিৎ - একটা বিশাল মানুষখানা থাকবে, সেখানে খাঁচায় বন্দি থাকবে নানা রকমের মানুষ আর তাদের টিকিট কেটে দেখতে আসবে বন্য হিংস্র সব পশুরা !!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
জুন বলেছেন: আমিও আছি মোটামুটি, ভালো নিয়া থাকার চেষ্টা
হ্যা আসলেও একটা মানুষখানা বানানো উচিৎ।
আরেকবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ কান্ডারী।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: মানুষ মানুষ কে চাবকে প্রতিদিন মজা নিচ্ছে আর আপনি আপু ঘোড়া নিয়ে?
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
জুন বলেছেন: পশু পাখির প্রতি নির্মমতাই আমাদের নিষ্ঠুর করে তুলেছে মানুষের প্রতিও ভ্রমরের ডানা। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জাপানিদের নিষ্ঠুরতাকে জাতির মন থেকে মুছে ফেলার জন্য তারা তাদের ইতিহাস বই থেকে সেই পর্বগুলো মুছে ফেলেছে বলে এক জাপানি ছাত্র থেকে শুনেছি। আর কথায় কথায় আরিগাতো অর্থাৎ ধন্যবাদ তারই বহিঃপ্রকাশ।
যাক অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে খুব ভালো লাগছে। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮
রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ডিসকভারিতে দেখেছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশও এরকম প্রতিযোগিতার চল আছে জানতাম নাহ!
পশুপাখির প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করা হয় এমন যেকোন খেলাই নিন্দনীয়। কিন্তু 'বহু বছরের লালিত সংস্কৃতি' ট্যাগ থাকায় রাতারাতি এগুলোকে ঊঠিয়ে ফেলাও সম্ভব না।
সর্বোন্নত জীব হবার ফায়দা নিয়ে আমরা অন্যান্য জীবের প্রতি অমানবিক অন্যায় করে চলেছি! হা হা হা। আমরা উন্নত প্রভাবশালী দেশ/জাতিগুলোর অন্যায় ডমিনেন্সকে যেভাবে দেখি,এ প্রাণিগুলোর চোখে আমরাও নিশ্চয়ই তেমন। ওসব জাতির শ্রেষ্ঠ জাতি হবার গর্বোদ্ধত দাবি আমাদের কাছে পরিহাস মনে হয়;অথচ মনে মনে নিজেদের কোন যুক্তিতে সর্বশ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়ে রেখেছি তা ভেবে দেখি না। 'সর্বোন্নত' আর 'সর্বশ্রেষ্ঠ' এক না।
নিতান্তই জীবনধারণ আর ধর্মীয় বিধান ব্যতীত অন্য কোন কারণ এসব জীবের প্রতি নির্মম হওয়ার পক্ষে যুক্তি হতে পারে না।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১১
জুন বলেছেন: রূপম রিজওয়ান
সর্বোন্নত জীব হবার ফায়দা নিয়ে আমরা অন্যান্য জীবের প্রতি অমানবিক অন্যায় করে চলেছি
এর উপর আর কথা থাকে না রূপম ।
প্রাসংগিক ও সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বিষয়টা কখনও ভেবে দেখেনি আপু।
আশা করি আপনি ভাল আছেন?
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১২
জুন বলেছেন: আসলে চোখে না পড়লে ভেবে দেখার অবকাশ হয় না মোস্তফা সোহেল ।
আমি ভালো আছি, আপনি ভালো তো ? অনেক দিন ধরেই দেখি না সামুতে ।
৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
আমি তিতুমীর বলছি বলেছেন:
আমি গ্রামে বসবাস না করলেও সমগ্র বাংলাদেশ অর্থাৎ তেতুলিয়া থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত আমি খুটে খুটে দেখেছি।
আপু, আপনি এই ব্লগের ইবনে বতুতা আমি জানি, খুব ভাল করেই জানি, আপনার ভ্রমণ কাহিনীগুলো আমার মোটামুটি সব পড়া।
আপু আমি সবশেষ খেলা দেখেছি ২০-২২ বছর আগে, আমার কিশোর বয়সে। এখন শহরে থাকি, মাঝে মধ্যে গ্রামে যাই, ঘোড়ার সাক্ষাৎ পাই তাদের যত্ন দেখি কিন্তু বাইজ দেখা হয় না। আমার মামার বাড়ি এলাকায় এটা এক সময় প্রচুর জনপ্রিয় ছিল, ঐ গ্রামেই তিনজন মনিব ছিল তারা শখের বসেই এগুলো পালত, এখনো দুজন টিকে আছে। একদম শখ নিয়ে তারা করে।
খেলাটা মোটামুটি তিন রাউন্ড হয়, প্রতি রাউন্ড বড়জোর তিন থেকে চার মিনিট লাগে। হাতের লাটি মাথার অংশ ছড়ার গুচ্ছ টাইপের মত করা হয়।
আপনাকে ডিপেন্ড করার মত যোগ্যতা আমার নেই কারণ আমি জানি আপনি খুব ভাল করেই জেনে শুনে লিখেছেন আমি শুধু আমার দেখা বিষয়টি উল্লেখ করলাম।
তবে হাজার মানুষ মানুষ আসে, মেলা বসে ভালই লাগে আমার।
আপু ভালবাসা অবিরাম.............
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২০
জুন বলেছেন: আবার আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আমি তিতুমির বলছি ।
আপনি যে আমার লেখাগুলো পড়েছেন জেনে আমি অত্যন্ত খুশী হয়েছি ।
আপনি কিছু মনে করবেন না আশাকরি । আসলে সকল প্রানীর প্রতিই আমার দরদ রয়েছে । তাই যে কোন নিষ্ঠুর আচরণ সেটা পশু পাখির প্রতিই হোক আর মানুষের উপরেই হোক দেখলে কষ্ট হয় তা সেটা যেখানেই দেখি না কেন । এ প্রসংগে একটা কথা না বললেই নয় । থাইল্যান্ডের চিয়াং মাইতে নাইট সাফারিতে গিয়েছি । সেখানে একটা প্রোগ্রাম ছিল বাঘের সাথে । ট্রেনারদের হাতের চিকন লাঠি দেখেই বাঘগুলো মাথা নুইয়ে অনেক কঠিন কঠিন খেলার হুকুম তামিল করছে । দেখে আমার এত কষ্ট লেগেছিল । না জানি এমন লাঠির মতই কত ইলেকট্রিক রডের শক দিয়ে দিয়ে তাদের লাঠির প্রতি ভীত করে তুলেছে । অর্ধেক দেখে আমি বের হয়ে আসি ।
৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার বর্ণনা অনুযায়ী এরূপ ঘৌড়দৌড় অবশ্যই নিষ্ঠুর। যে-কোনো নিষ্ঠুর বিনোদনই পরিত্যাজ্য।
তবে, ছোটোবেলায় এই ঘৌড়দৌড়, গরু-দৌড়, ইত্যাদি ছিল গ্রামীণ উৎসবের মধ্যে অন্যতম সেরা ইভেন্ট। শক্তিশালী ষাঁড় বা বলদের গলায় শক্ত রশি বেঁধে মাঠের মাঝখানে একটা খুঁটিতে বেঁধে ওটাকে তাড়া দিলে বা ওটা নিজেই খুব ক্ষিপ্রতার সাথে দৌড় দিয়ে রশিটাকে ছিঁড়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। এটাই উল্লাস। কোনো ষাঁড় ঐ রশি ছিঁড়তে না পারলে গৃহস্থের জন্য সেটা হয় খুব লজ্জাকর। তেমনি, গ্রামের অভিজাত মানুষদের থাকে পোষা ঘোড়া, বা পেশাজীবী ঘোড়া, যেগুলোকে পৌষ সংক্রান্তিসহ অন্যান্য গ্রামীন উৎসবের দিন মাঠে নামানো হয় প্রতিযোগিত্রা জন্য। আমরা ছোটোবেলায় 'জয়-পরাজয়' নামে একটা গল্প পড়েছিলাম ক্লাস সিক্সের বাংলা বইতে, যেখানে এমন একটা ঘোড়ার শক্তিমত্তার কথা বলা ছিল। কাজেই, ঘোড়া দিয়ে যে এমন উৎসবের আয়োজন করা যায়, তা পুরোনোই, নতুন নয়।
তবে, ইদানীংকালে এরকম ঘৌড়দৌড়ের কথা চোখে পড়ে নি। আমাদের এলাকায় এখন এগুলো হয় না বলেই জানি।
দিনে দিনে নতুন নতুন বিনোদনের আইটেম আসছে বলে পুরোনোগুলো বিলুপ্ত হচ্ছে। অন্যদিকে, এসব প্রতিযোগিতা 'অমানবিক' হওয়াতেও এগুলো থেকে মানুষ ফিরে আসছে। ভবিষ্যতে এগুলো থাকবে না আপু।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৭
জুন বলেছেন: ছাই ভাই বহুদিন পর আপনাকে আমার লেখায় দেখে সত্যি খুব খুশী হয়েছি ।
আমি ঢাকার কাছেই এক এলাকায় কিছু দিন ছিলাম । সেখানে মহিষের লড়াই হতো । আর তা দেখার জন্য দশ গ্রামের মানুষ ভেংগে পরতো । তবে মারামারি হতো বলে শুনি নি । আর আমাদের দেশে হতো নৌকা বাইচ । এখন হয় কি না জানি না । সেটা দেখার জন্য সকাল থেকেই বাড়ীতে সাজ সাজ রব পরে যেত ছাতি নাঠি নইয়া আয়, নু যাই ইত্যাদি আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠতো উঠান ।
অমানবিক সব খেলাই দুনিয়া থেকে দুরীভুত হোক এই প্রত্যাশাই রইলো ।
৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশের এই অন্চলগুলো অবহেলিত; মানুষ এটা সেটা করে, এগুলো ভয়ংকর কিছু নয়।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৭
জুন বলেছেন: আপনার কাছে হয়তো ভয়ংকর না , অনেকের কাছেই না , কিন্ত আমার কাছে বড্ড নিষ্ঠুর মনে হয় চাদগাজী ।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময় ।
১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশে তো মানুষের গায়ে হাত তোলাই নিম`মতা না। সেখানে ঘোড়াকে পেটানো সমাজের কাছে নিম`ম মনে হতে আরো ১০০ বছর লাগবে
শ্রমিক,বাসার কাজের মানুষ, রিক্সাওয়ালা,দারোয়ান বা দরিদ্রর উপরে অনেকেই হাত তোলে এবং সেটা অপরের কাছে গব` করে বলেও।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
জুন বলেছেন: নতুন,
আমি যেদিন রোমের কলোসিয়ামের (রোমানরা বলে কলোসিও ) ভেতরে গিয়েছিলাম তখন দর্শকদের গ্যালারীতে দাঁড়িয়ে স্পার্টাকাসের কথা মনে পরছিলো । ক্ষুধার্ত সিংহের সামনে ছেড়ে দেয়া বন্দীদের লড়াই রাজ রাজড়া থেকে শুরু করে সাধারন দর্শক কত উল্লাস ভরেই না উপভোগ করতো । মানুষ বোধ হয় যুগ যুগ ধরেই এমন নৃশংস ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এসব দেখে খারাপ লাগে! মানবতার জয় হোক এই কামনা করি!
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯
জুন বলেছেন: আমিও বলি মানবতার জয় হোক ভ্রমরের ডানা।
আরেকবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আরেকটা জিনিস মেনশন করতে ভুলে গেছিলাম আপু। ঘোড়দৌড় বা গরুদৌড় নিষ্ঠুর হলেও উন্নত বিশ্বে উটের দৌড়, হর্স রেইং, ইত্যাদি স্পোর্টস কিন্তু অতি নামি-দামি স্পোর্টস। আমরা সেগুলো দেখে কিন্তু কম এক্সাইটেড হই না। তবে, সেখানে ঘোড়াদের উপর চাবুকাঘাতের নিষ্ঠুরতার চাইতে জকিদের উপর যে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়, কিংবা যে জকিরা প্রাণ হাতের মুঠোয় নিয়ে মনিবের ঘোড়ার পিঠে চড়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে, সেটা আমার কাছে আরো নিষ্ঠুর ও ভয়াবহ মনে হয়। সেগুলো পৃথিবী থেকে, বিশেষ করে ইউরোপ থেকে বিলুপ্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, বরং বেটিং সিন্ডিকেটের কারণে তা আরো প্রসার পাবে দিন দিন।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৩
জুন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন দেশী ভাই, জকিদের অবস্থা ঘোড়াদের চেয়েও মারাত্মক। তাদের ওজন বাড়ানো চলবে না তাহলে ওজনের জন্য রেসে হেরে যেতে পারে। অর্থাৎ জকির চেয়েও ঘোড়া গুরুত্বপূর্ণ। জকিদের দোমড়ানো মোচরানো শুকনো শরীর তাগড়া ঘোড়াদের পাশে বড়ই দীনহীন। বৃটেনের রানীর ঘোড়া প্রীতির কথা অনেকেই জানে। তার এই ঘোড়াগুলো রেসেও অংশগ্রহন করে মোটা টাকা কামাই করে। তবে এসব টাকা নাকি উনি চ্যারিটিতে দান করেন।
আর বেটিং এর কথা বল্লেন ছাই ভাই, ঘোড়ার রেসে বেটিং তো প্রচলিতই। আমার মনে হয় ভবিষ্যতে সব খেলাতেই বেটিং ঢুকে পরবে ক্রিকেটের মত।
ভিডিও নিয়ে আরেকবার এসেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রানীর প্রতি নিষ্ঠুরতার এ আর এমন কি দেখলেন আপু !
সেদিন ইউটিউবে দেখলাম চায়নারা জ্যান্ত কুকুরের চামড়া খুলে নিচ্ছে, এতে নাকি চামড়ার মান ভাল থাকে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮
জুন বলেছেন: চীনাদের নিষ্ঠুরতার কথা শুনলে ওদের আমার রোবট বলে মনে হয় গিয়াস লিটন। ইদানীং রোবটদের ভেতরেও বিভিন্ন অনুভূতি অনুভব করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্ত চায়নিজদের আবেগ অনুভূতি মায়া মমতা দুনিয়ার কেউই পাল্টাতে পারবে না এক যদি ---
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশে মানুষ যেমন ভালো থাকে না। তেমনি পশুদের অবস্থা আরো বেশি খারাপ।
তবে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বেশ কিছু ঘোড়া আছে। তারা বেশ রাজার হালে আছে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৩
জুন বলেছেন: জী রাজিব নুর রাজার বাগ পুলিশ লাইনের ঘোড়াদের অনেক আদর যত্নে রাখা হয় তা আমি জানি। এটা হলো বৃটিশ কেতা
আমি বলতে চাইছিলাম আমাদের গ্রামের মড়াখেকো হলদে ঘোড়াদের দুর্দশার কথা।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জুন আপা,
বাংলাদেশে - আমি বলছি সমগ্র বাংলাদেশে কোন জেলায় ঘোড়া দৌড়ের জন্য সৌখিনভাবে ঘোড়া পোষা হয় সত্যি সত্যি আমার জানা নেই। আমার দেখা যে কয়টা ঘোড়া দৌড় বাংলাদেশে দেখেছি তা খুবই নিরহ অর্ধমৃত হাড় জিরজিরে গ্রাম্য ঘোড়া যাদের দিয়ে শীতের মৌসুমে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। একমাত্র রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের ঘোড়া ব্যতিক্রম। এগুলো বিদেশী জাতের ঘোড়া তাদের আলাদা ভাবে যত্ন নেওয়া হয়। আর বিদেশের ঘোড়া রেস আর বাংলাদেশের ঘোড়ার দৌড় এক না।
আপনার/আমার বাধা দেওয়ার মতো কিছু বলতে হবে না। এই অর্ধমৃত ঘোড়াগুলোর অভিশাপেই অনেক কিছু হওয়া সম্ভব।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৫
জুন বলেছেন: পুলিশ লাইনের ঘোড়াগুলো তাদের মাউন্টেড পুলিশ বাহিনীর সদস্য। পুলিশ অফিসারের মেয়ে হিসেবে সেই ঘোড়া ও তার জাত পাত আমার মোটামুটি পরিচিত ঠাকুর মাহমুদ। আমারতো লেখার মুল কথাই হলো অনাহারে অর্ধাহারে থাকা ঘোড়াকে মেরেকেটে কিসের প্রতিযোগিতা? কিসের বিনোদন? একে সারাবছর তাদের দিয়ে মাল টানা, গাড়ি টানা তারপর আবার দৌড় প্রতিযোগিতা। বিদেশে রেসের ঘোড়াদের জীবন কি এমন নাকি? এই কথাটিই বলাই আমার উউদ্দেশ্য। জানিনা আমার বক্তব্যে অনেকে হয়তো দ্বিমত পোষণ করবেন কিন্ত এটাই আমার মনের কথা।
আমার বক্তব্যকে আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে প্রাঞ্জল ভাষায় তুলে ধরেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।
১৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪১
ঊণকৌটী বলেছেন: জীবে প্রেম করে যে জন ,সেবিছে ঈশ্বর সে জন।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
জুন বলেছেন: স্বামী বিবেকানন্দের অমর বাক্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ উনকৌটি। আর আমার ব্লগে স্বাগত জানাই।
১৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪২
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মানুষ,পশু, পাখি, কারো প্রতি নিষ্ঠুরতাই ঠিক নয় | অনেকের কাছে এটা ভয়ঙ্কর বা নিষ্ঠুর না মনে না হওয়ার কারণ আমরা এই নিষ্ঠুর পরিবেশে বেড়ে উঠছি | তাই ঘোড়াকে চাবকানো, বা কোনো মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেললেও অনেকের মনে বিন্দুমাত্র অনুশোচনার জন্ম নেয় না
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০০
জুন বলেছেন: আমার ছেলে বলছিলো কিছুদিন আগের ঘটনা তিনটি ছোট ছেলে এক বিড়াল শাবকের গলায় দড়ি বেঁধে বারান্দার বাইরে ঝুলিয়ে রেখেছে। বিড়াল শাবকের করুন কান্নায় ছেলেগুলো হেসে গড়িয়ে পরছে। এতে আমাদের মানসিকতা পরিস্কারভাবে ফুটে উঠে। আমরা অভিভাবকরা বাচ্চাদের কি শিখাই? প্রাসঙ্গিক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
১৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনি যে ছবি এখানে ব্যাবহার করেছেন সেটা আমাদের গ্রামের বৈশাখী মেলার ছবি। শত শত বছর ধরে আমাদের গ্রামে এই মেলা চলে আসছে কিন্তু কোনদিন কোন দুর্ঘটনার খবর আমার জানা নেই, এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা গ্রামবাসীর বিনোদনের উৎস এ উপলক্ষে এলাকায় সাজ সাজ রব পড়ে যায় । প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষ ঘোড়া সাওয়াররাই এই ঘোড়াগুলোকে পরিচালনা করে থাকে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৪
জুন বলেছেন: ঘোড়া সওয়াররা দক্ষ বুঝলাম কিন্ত যার পিঠে সওয়ার হয়েছে তাদের শরীর স্বস্থ্যের কি অবস্থা খোজ নিয়েছেন কি? দেশ বলেন বিদেশ বলেন অনেক জায়গায়ই পশু পাখির উপর নির্যাতন করেই তারা মানুষকে বিনোদন দিয়ে থাকে। তেমনই একটা হলো হাতীর মাথায় লোহার শলাকা দিয়ে আঘাত করা।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে তারেক মাহমুদ।
১৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ব্যাস্তার কারনে ব্লগে কম আসা হয় আপু।আমিও ভাল আছি।
আপনার নতুন কোন ভ্রমন কাহিনি পড়ার অপেক্ষায় আছি।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৭
জুন বলেছেন: আমিও ইদানীং পারিবারিক কারণে একটু ব্যাস্ত আছি। ব্লগে আসা হয় কম। তবে ব্লগ বন্ধের সময় নিয়মিত থাকতে চেষ্টা করেছি বিশেষ করে লগ ইন থাকা।
অনেক দিন ভ্রমনে যাচ্ছি না নানা ঝামেলায়। লিখলেই আপনাকে জানাবো অবশ্যই মোস্তফা সোহেল।
২০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: ঘোড়দৌড় নিষ্ঠুর হলেও উন্নত বিশ্বে উটের দৌড়, হর্স রেইং, ইত্যাদি স্পোর্টস কিন্তু অতি নামি-দামি স্পোর্টস।
আপনি যাদের দেখেছে তারা প্রফেশনাল নয়। ঘোড়াগুলিও ট্রেইন্ড নয়। সেইকারণেই এই অবস্থা।
ঘোড়দৌড় এর জন্য ঘোড়াদের আলাদা ভাবে ট্রেইনিং দেয়া হয়। এই সব ঘোড়াদের কোন মারতে হয় না।
ঘোড়া জন্মগত ভাবেই দৌড়ানোর জন্য সৃষ্টী করা হয়েছে।
না দৌড়ালে ঘোড়ার গায়ে চর্বি জমে তাড়াতাড়ি মরে যায় ব লে শুনেছিলাম।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
জুন বলেছেন: নীল আকাশ আপনার ছবি দেখেছি সহ ব্লগারদের দেয়া ব্লগ অনুষ্ঠানের লেখায়। ছবির মাধ্যমে পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো অনেক।
আপনি বলছেন ঘোড়া জন্মগত ভাবেই দৌড়ানোর জন্য সৃষ্টি। আপনার কথা আমি মেনে নিলাম। আপনি নিশ্চয় টিভি বা ম্যুভিতে দেখেছেন বন্য ঘোড়ারা দল বেধে তাদের লেজ উচিয়ে কেশর দুলিয়ে পাহাড়ে পর্বতে ছুটে বেড়াচ্ছে। সেকি কোন অকারণ লাঠির আঘাতে আঘাতে জর্জরিত জীর্ন শীর্ন শরীর নিয়ে ছুটছে?? আমি জানি আমার মতের সাথে অনেকের মতই এক হবে না। কিন্ত পেটার সদস্য না হয়েও এদের প্রতি আমার মমত্ববোধ প্রবল নীল আকাশ। সুনামগঞ্জ এ এক ছেলেকে দেখেছিলাম গাছে বসে থাকা এক শালিককে অকারণ ঢিল ছুরছে। এমন না শালিক পাখি খাবে। আমি রিকশা তহেকে নেমে তাকে এই প্রশ্নটাই করেছিলাম। তার উত্তর "মজা করার জন্য "।
ভালো থাকুন সবসময়।
২১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
জুন আপা ,
আপনার পোস্টটি যখন গভীরভাবে মন দিয়ে পড়লাম সত্যিই
ভীষণ কষ্ট লাগলো ঘোড়াগুলোর জন্য । একটা ছোট্ট কারন বলি এর মধ্যে , হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে থেকে
লেডিস ক্লাব (ইস্কাটন) সামান্য রাস্তা ঘোড়ার গাড়িতে করে
আমার ভাইয়ের বিয়েতে চালকসহ পাঁচজন বসেছিলাম। তাতেই আমার খুব কষ্ট লাগছিল দুইটা ঘোড়া এতগুলো মানুষকে কিভাবে
টেনে নিলো ?
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৮
জুন বলেছেন: মুক্তা নীল আপনার মত সংবেদনশীল মানুষ কয় জন আছে বলেন? অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যটির জন্য
২২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জুন আপা,
অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে বলছি আপনার পোষ্টের মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে আপনি এই পোষ্ট দিয়ে অপরাধ করেছেন!!! গুরুতর অপরাধ!!!
বাংলাদেশের অনাহারে অর্ধমৃত ঘোড়া আর বিদেশের রেসের ঘোড়া / রাজকীয় ঘোড়া এক?
ব্লগার রা সম্ভবত পড়তে ভুলে গেছেন “জুন আপা” পোষ্টে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অর্ধমৃত ঘোড়া দৌড়ের কথা বলেছেন যাদের গায়ে চর্বি দুরে থাকুক মাংসও নেই বরং এখন হাড় ক্ষয় হচ্ছে বেদম মারের চোটে।
রাজকীয় ঘোড়া আর রেসের/খেলার ঘোড়া ইন্টারনেটে ছবি আছে দেখে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি ব্লগারদের। তারপরও ছবি যুক্ত করে দিয়েছি মন্তব্যে। ঘোড়ার সাথে মানুষটিকে দেখে অনুধাবন করা যায় ঘোড়া কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০
জুন বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ পাশে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
আমি যে কথাটি বলতে চেয়েছি হয়তো বোঝাতে পারি নি সেটাই আপনি সহজ করে বলেছেন মন্তব্যে। রানীর ঘোড়া সহ এই ছবিটি আমিও দেখেছি নিউজ ফিডে। তার আস্তাবলে থাকা ঘোড়া অনেক পুরস্কারই জিতেছে। রানীর কথা বাদই দিলাম, দেশ বিদেশের যেসব ঘোড়া বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে তাদের পরিচর্যা কেমন হয় সেটা সহজেই অনুমেয়। একটা স্ল্যাং ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি সেটা "ভাত দেয়ার ভাতার না কিল মারার গোসাই"। এদের মেরে আমরা মনে হয় পৈশাচিক এক আনন্দ পাই। আরেকবার আসা এবং প্রাসঙ্গিক এক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।
২৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপা ২২ নং মন্তব্যটি মুছে দিন বানানগত ভুল আছে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪
জুন বলেছেন: দিয়েছি ঠাকুর মাহমুদ।
২৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
সুপারডুপার বলেছেন: রেসলিং -এ মার দেওয়া ও মার খাওয়া দেখে মনে হয়, যে মার দিচ্ছে সে মার দিয়ে , আর যে মার খাচ্ছে সে মার খেয়ে মজা পাচ্ছে। অনেকের কাছে এখানে অমানবিকতা চোখে পড়ে না। কিন্তু একজন শক্তিশালী যদি দুর্বলকে প্রতিনিয়ত মেরে যায় , তা বড়ই নির্মম ও অমানবিক হয়ে চোখে পড়ে।
ঘোড়াগুলো ভালো খাওয়া -দাওয়া পরিচর্যার অভাব তাই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে নি। বাংলাদেশে ঘোড়ার মনিব-ই যখন ভালো খাওয়া -দাওয়া পরিচর্যা পায় না, ঘোড়াকে কিভাবে ভালো পরিচর্যা করবে !
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে বেশ অনেক দিন আগের ঘটনা মনে পরলো। পড়শীর বাসায় অনেকদিন যেতে বলে তাই একদিন গেলাম। গিয়ে দেখি মহিলা তার ছেলে মেয়ে নিয়ে সেই বীভৎস মারামারির খেলা দেখছে। পরাজিত রেসলারের মুখ চোখ বেয়ে রক্ত গড়িয়ে পরছে আর উনি তার ছেলে মেয়ে সহ লাফিয়ে উঠে সোল্লাসে চিতকার করছে আর হাততালি দিচ্ছে। আমার হতভম্ব চেহারা দেখে উনি জানলেন আমি এই নিষ্ঠুরতা কোনভাবেই পছন্দ করি না। যা শুনে মহিলা ততোধিক অবাক। আমার বাসার সদস্যরা রেসলিং দেখলে আমি সবসময় নিরুৎসাহিত করতাম যার ফলে সেটা দেখা এখন পুরোপুরি বন্ধ।
আমিও মানি আমাদের গরীব দেশে মানুষই খেতে পায় না কিন্ত তাই বলে তাদের অকারণে অমানুষিক নির্যাতন করার অধিকারও তো আমাদের নেই। সেটা মানবিকতার দিক থেকেই বলেন আর ধর্মীয় দিক থেকেই বলেন সুপার ডুপার।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো। সাথে থাকুন সবসময়।
২৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬
কালো যাদুকর বলেছেন: এটা নিষ্ঠুর খেলা।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪
জুন বলেছেন: সহমত আপনার সাথে কালো যাদুকর। স্বাগত আমার ব্লগে।
২৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপু,
আমি এমন একটা জায়গায় বড়ো হয়েছি যেখানে বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে প্রতিবছর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া মেলা এলাকার অন্যতম একটি বিনোদন। আমরা এক বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন খুব এনজয় করতাম। এরই পাশাপাশি ছিল মোরগের লড়াই। সাপ্তাহিক মোরগ লড়াই খেলা এলাকার অন্তজ শ্রেণীর মানুষের অন্যতম বিনোদন বটে। খুব ছোট বেলায় মোরগের লড়াই ভালো লাগলেও পরে খেলাটার নৃশংসতা দেখে ততটাই বিষণ্ণতা অনুভব করতাম। মোরগের পায়ে তিনফলা বাঁধা ছূরি দিয়ে অন্য মোরগকে ক্ষত করে রক্তপাত যেকোনো বীভৎসতাকে হার মানায়।
আপনার বলা ঘোড়দৌড়েও এমন এক নির্মমতা ফুঁটে উঠেছে। তবে আপু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে কলকাতা রেসকোর্সের মাঠে ডার্বি চ্যাম্পিয়নের ঘোড়দৌড় দেখতে গেছিলাম। অসম্ভব হৃষ্টপুষ্ট ঘোড়াগুলো রেসের পক্ষে আদর্শ। এখানে গ্যালারিতে ছোট খাটো দর্শকদের মধ্যে আবার বাজি ধরার একটা প্রবনতা টের পেয়েছিলাম।যে যেমন মানুষ তার বাজিধরার পরিমান আবার তেমনি। আমি নিশ্চিত ছিলাম দ্বিতীয় দিনে গেলে আমি নিজেও একজন শুধু দর্শক থাকতে পারতাম না।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুকে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭
জুন বলেছেন: পশু পাখিরা নিজেদের সাম্রাজ্য দখলে রাখার জন্য লড়াই করে সেটা ভিন্ন ব্যাপার। প্রকৃতি তাদের তেমন ভাবেই তৈরী করেছে পদাতিক। কিন্ত এর মাঝে তিন ফলা ছুরি জুড়ে দেয়া, চাবুকের বাড়িতে প্রথম বানানো এগুলোতো নিষ্ঠুরতার প্রকাশ।
উন্নত বিশ্বের কথা নাই বা বলেন কলকাতার ঘোড়ার রেস অনেকের কাছেই সুবিদিত। বহু গল্পের ভিলেন রেসের বাজীতে অংশ নিয়ে ফকির হয়েছে। ভাগ্যিস আপনি দ্বিতীয় দিন যান নাই। তাহলে যে কি হতো? তবে আমার কাহিনী গ্রাম বাংলার হাড় জিরজিরে মড়াখেকো হলদে ঘোড়াদের নিয়ে যার বর্ননা নীচে সোহানজোহা দিয়েছে।
প্রাসঙ্গিক এক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ পদাতিক। সাথে থাকুন।
২৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানুষের প্রতি যেখানে মানুষের মমতা নাই, সেখানে পশুর প্রতি মায়া মমতা দেখাবে কে? এই যে দেখেন পশ্চিমারা পশুর প্রতি এতো মায়া-মহব্বত দেখায়, তৃতীয় বিশ্বের মানুষের প্রতি কি ততোটা দেখায়?
ঘোড়া নিয়ে পৃথিবীর সব দেশেই বিভিন্ন খেলা হয়। একটু আধটু মাইর না দিলে এরা দৌড়াইতে চায় না। এসব নিয়া আপনে বেশী মাইন্ড কইরেন না।
বাই দ্য ওয়ে, আপনে ম. হাসানের প্ররোচনায় প্ররোচিত হইছেন, বদলায়া গ্যাছেন গা। কিন্তু আমি ঠিক আছি। আমার কাজ-কারবারে কোন বদল হয় নাই.....কি কন!!!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৩
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ভুয়া আজকাল মানুষের প্রতি মানুষের দরদ উঠে গেছে। তারপর ও কাউকে সে মানুষই হোক আর পশুপাখি হোক তাদের বেধে পেটানো কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। একটু আধটু মাইর হলে হয়তো আমি এই পোস্ট লিখতে বসতাম না। কি ভাবে পেটায় তা নীচে ২৮ নং মন্তব্যে দেখুন।
মা হাসান অনেক ভালো, সে আমার পোস্টে নিয়মিত আসে, মন্তব্য করে। আর আপনি আমার পিয়াজের পোস্টে একবার পিয়াজু খাইতেও আসলেন্না এইটা কি আমি খেয়াল করি নাই মনে কর্ছেন
ভালো থাইকেন আর চকোলেটের বস্তা রেডি করতে থাকেন
২৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৯
সোহানাজোহা বলেছেন:
আপু,
পোষ্টের একটি বিষয় জানাচ্ছি গ্রাম অঞ্চলে এসব ঘোড়ার দৌড়ে “যেসব ছেলে ঘোড়ার পিঠে চড়ে এরা খুবই বেয়াদব হয়ে থাকে। অযথা ঘোড়াকে মারে। মনে হয় মেরে মেরে এরা মনে আনন্দ পায়”। এই দুঃখী ঘোড়াগুলোর শরীর ভর্তি মাইরের দাগ। ঘোড়ার চার পায়ে পেটে পিঠে শুধু চিকন চিকন দড়ির মত ফুলে থাকা মাইরের দাগ। বাঁশের শলাকা দিয়ে এরা এক ধরনের একটা ঝাড়ু তৈরি করে যা দিয়ে ঘোড়াকে মেরে চামড়া ফাটিয়ে রাখে, যেখানে সব সময় মাছি বসে ঘোড়ার রক্ত খায়। বাংলাদেশে প্রাণীদের উপর যে রকম নির্মম নির্যাতন করে আসলেই তা দুঃখজনক।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৪
জুন বলেছেন: সোহানজোহা আমি যে কথাটি বলতে চেয়ে গুছিয়ে বলতে পারি নি তাই হয়তো অনেকে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছে না। তাই আমি আপনার মন্তব্যটি আমার মুল লেখার সাথে সংযুক্ত করে দিলাম। আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।
২৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
পোস্টের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আপনি একটি সত্য তুলে ধরেছেন - পশু পাখির প্রতি নির্মমতাই আমাদের নিষ্ঠুর করে তুলেছে মানুষের প্রতিও। ৪নং প্রতিমন্তব্যে তা বলেও গেছেন ।
সেই স্পার্টাকাসের সময় থেকে মানুষের পৈশাচিক আনন্দের কোনও ঘাটতি হয়নি। মানুষ তো পশুর মতোই এক প্রানী। সেই পশুত্ব থকে সে বেরুতে পারেনি আজও। নিত্য নতুন হিংস্রতা, পৈশাচিকতা, ভয়াবহতা, নির্মমতা নিয়ে মানুষ নামের প্রানীগুলো নতুন নতুন খেলা পেতেছে। তাতে শুধু অবোধ প্রানীরাই খেলার গুটি নয়, মানুষ গুটিও আছে তাতে।
প্রানীদের নিয়ে "স্পোর্টিং" এর কথা অনেক মন্তব্যই এসেছে । অথচ আপনার লেখা মূলতঃ আপনার অভিজ্ঞতায় "এ্যানিমল এ্যাবিউজ" এর উপরে। সেটা মনে হয় অনেকেই "ওভারলুক" করে গেছেন। প্রানীদের উপর এই রকম একটি এ্যাবিউজের ছবি দিলুম। খেতে না দেয়াও একটি নিষ্ঠুর অন্যায়। আমাদের অজান্তেই প্রানীদের প্রতি আমাদের এই রকম অবহেলাও কিন্তু একধরনের নিষ্ঠুরতা যেটা আপনার পোস্টের প্রতিপাদ্য ------
সহব্লগার স্বামী বিশুদ্ধানন্দ, সুপারডুপার এদের মন্তব্য ভালো লেগেছে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪২
জুন বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা একটু অগ্রিমই জানাচ্ছি প্রিয় ব্লগার।
অনেকের মত আপনিও আমার বক্তব্যটি বুঝতে পেরেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি যে দুটো ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছি তাই শুধু তুলে ধরেছি। আমি ক্যাম্বোডিয়ায় এক দুপুরে ফুটপাত দিয়ে হেটে যাচ্ছি পাশের জমিটা টিন দিয়ে বেড়া দেয়া। এমন সময় মোটর সাইকেল চেপে একলোক আসলো। জামাকাপড়ে তার দারিদ্র্যতার চিনহ প্রকটভাবেই ফুটে আছে। লোকটি সাইকেল থেকে একটা পুটুলি নামিয়ে আনলো। আমি দাঁড়িয়ে দেখলাম সে আমার দিকে সামান্য হেসে মাটিতে উবু হয়ে বসে টিনের নীচ দিয়ে ভেতর থেকে একটা একটা করে বোল বের করে এনে সেই পুটুলি থেকে খাবার দিচ্ছে হাত দিয়ে। মুখ দিয়ে সে কুকুরদের ডাকছিল। সেই মাংস মাখানো ভাত খেতে তিন চারটি কুকুর দৌড়ে আসলো ঝোপ জংগল মাড়িয়ে ঘেউ ঘেউ শব্দ করতে করতে। লোকটার কাছে জানলাম সে তাদের মালিক নয়। কিন্ত প্রতিদিনই সে এই কুকুরদের জন্য খাবার নিয়ে আসে।
আমরা এমন হতে পারবো না ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাটতে শুরু করলাম। কারন আমাদের সমাজ, আমাদের পরিবার আমাদের শেখায়নি পশু পাখিদের প্রতি দয়ালু হতে আর তার ফলে আমরা মানুষের প্রতিও দয়ালু হতে শিখিনি আহমেদ জী এস।
অনেক অনেক ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন সবসময়। শুভকামনা রইলো।
৩০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
মোঃমোজাম হক বলেছেন: যেখানে আবরারের মতো মেধাবী তরতাজা যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলছে
সেই দেশে বোবা প্রানী ঘোড়াকে নিয়ে কে বসে আছে
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৬
জুন বলেছেন: আসলেও মোজাম ভাই আমরা মনে হয় অনুভূতিশুন্য হয়ে গেছি।
ভালো আছেন আশা করি, ভালো থাকুন সবসময় এই প্রত্যাশা রইলো।
৩১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কুকুর বিড়ালকে মারতে মারতে মানুষ - মানুষ মারার মতো হন্তারক হয়ে উঠেন। যেই ছেলে কুকুর বিড়াল পেটায় একদিন সে বউ পেটায় - এখন সে যতো সভ্য জগতেরই হোক। যে মেয়ে পশু পাখির উপর নির্যাতন করে একদিন সে বাসার কাজের মেয়ের উপর স্বামী সন্তানের উপর নির্মম নির্যাতন করে। মানুষ খুনী এমনি এমনি হয় না, প্র্যাকটিসে হয় আর সেই প্র্যাকটিস প্রথমে চলে অবোধ প্রাণীদের উপর।
আহমেদ জী এস ভাই, অবিবেচক মানুষ যে শুধু মাত্র গ্রামে অন্ধগ্রামে বসবাস করেন তা কিন্তু নয়! শহরে শিক্ষিত সমাজে অবিবেচক মানুষ আছেন - নয়তো শিক্ষিত সমাজে স্ত্রী হত্যাকারী, স্বামী হত্যাকারী কিভাবে সম্ভব? পশুদের উপর নির্মম নির্যাতন হচ্ছে মানুষের প্রাথমিক প্র্যাকটিস এই প্র্যাকটিস বন্ধ করা গেলে মানুষকে মানবিক হতে ১০০ বছর এগিয়ে নেওয়া যাবে। নির্যাতন কারো উপরই কাম্য নয় হোক সে মানুষ আর প্রাণী অথবা গাছ। বাংলাদেশে গাছ কেটে যে ফল পাওয়া যাচ্ছে তার জন্য একমাত্র বাংলাদেশই দায়ী।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৯
জুন বলেছেন: কচু গাছ কাটতে কাটতে ডাকাত হওয়ার অবস্থা আমাদের ঠাকুর মাহমুদ। আমার মনে হয় আমাদের সবার ভেতর সুকুমার বৃক্তিগুলোর উন্মেষ ঘটুক এই প্রত্যাশা রইলো।
৩২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বিনোদনের নামে অবলা প্রানীর উপর অত্যাচার আর নয়।
প্রতিযোগীতা হোক কিন্তু পশুগুলোকে যত্ম আত্তি করতে সমস্যা কোথায়। আসলে অভাব মানবিকতার।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫
জুন বলেছেন:
বিনোদনের নামে অবলা প্রানীর উপর অত্যাচার আর নয়।
আপনার কথার সাথে আমিও গলা মিলিয়ে একই কথা বলছি মোঃ মাইদুল সরকার ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো ।
৩৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ...এখন তো মা. হাসান ভালা, আমি ভালা না! ছুডু ভায়ের সাথে এই ব্যাভার উপরআলা সইতো না!
ওই সময়ে আমি ব্লগেই আসছি কম, আপনের পোষ্ট সামহাউ নজর এড়াইছে। আমি কি ইচ্ছা কইরা পড়ি নাই!!
যাউকগা, ভালা লইয়াই থাকেন, আর কি করমু!!!
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৪
জুন বলেছেন: ছুডু ভায়ের সাথে এই ব্যাভার উপরআলা সইতো না!
এই ভাবে বড় বৈন তায় আবার দেশী ( ঢাকা ) মানুষের উপর এত্ত বড় অভিশাপ
ওই সময়ে আমি ব্লগেই আসছি কম, আপনের পোষ্ট সামহাউ নজর এড়াইছে। আমি কি ইচ্ছা কইরা পড়ি নাই!!
এখন পড়েন, এখন পড়েন আর মন্তব্য করেন , ল্যপ্টপের কালি তো ফুরাইয়া যায় নাই
মজার একটি মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভুয়া নাকি এখনো আমাদের বিক্রাম্পুরের ১৩ ভুইয়া হইয়াই আছেন
৩৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০
ফয়সাল রকি বলেছেন: খুবই নির্মম।
আর সোহানাজোহা আপুর মন্তব্যটা আরো নির্মম।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩
জুন বলেছেন: সত্যি খুবই নির্মম ফয়সাল রকি।
সোহানজোহা তার মন্তব্যে সেই নির্মমতা আরো প্রকটভাবে বর্ননা করেছেন । তাকে ধন্যবাদ সাথে আপনাকেও মন্তব্যের জন্য ।
৩৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ব্লগার নতুনের সাথে একমত। যেদেশে মানুষের গায়ে হাত তোলাকে নির্মমতা মনে করা হয় না, সেখানে কোন প্রানীর প্রতি সদয় আচরণ আশা করা যায় না।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮
জুন বলেছেন: যেদেশে মানুষের গায়ে হাত তোলাকে নির্মমতা মনে করা হয় না, সেখানে কোন প্রানীর প্রতি সদয় আচরণ আশা করা যায় না।
আমি তুমি আমরা আপনি আজকের খবরের কাগজ নিশ্চয় পড়েছেন যা নিয়ে কাভা পোষ্ট দিয়েছে । আমাদের ধর্মীয় শিক্ষালয়ের শিক্ষকরা কতখানি নির্মম, পাষন্ড হতে পারে যে চার বছরের বাচ্চাটাকে মেরে ওয়ার্ড্রোবের ড্রয়ারে ভরে রেখেছে ।
সেখানে ঘোড়াতো সত্যিই তেমন গুরুত্বপুর্ন নয় ।
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো বলে দুঃখিত ।
৩৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৩
মিরোরডডল বলেছেন: জুন আপু হর্স রেস আমার কখনই ভালো লাগেনা ।
কেমন ব্রুটাল । বাংলাদেশের গুলো হার জিরজিরে ঘোড়া । অনেকি মায়া লাগে ।
ইভেন আমাদের এখানে যে কি সুন্দর গুড লুকিং ঘোড়াগুলো , তারপরও খারাপ লাগে ।
বিনোদনের জন্য আরও কতকিছু আছে কিন্তু এটা কেমন বিনোদন !!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
জুন বলেছেন: মিরোরডডল ভালো লাগতো যদি তারা পাহাড় জঙ্গলের বুনো ঘোড়া হতো । নিজের মনেই দৌড়ে যাচ্ছে পাথর আর ঝোপঝাড় মাড়িয়ে । লাঠির বাড়ি আর ভয় দেখিয়ে প্রানীদের কোন রকম খেলাই ভালো লাগে না । সার্কাসের প্রানীগুলোকে কিরকম ইলেকট্রিক শক দিয়ে ভীতু করে তোলে । মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনার জন্য নেট থেকে বুনো ঘোড়ার একটি ছবি দিলাম কি রাজকীয় চালেই না দৌড়ে যাচ্ছে তারা, কোন লাঠির ভয়ে নয়
৩৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: জুন,
হ্যা, যার বাসার জানালায় দিনরাত হাজার পাখি এসে ভিড় জমায় আর যিনি চাল পানি দিয়ে অষ্টপ্রহর তাদের আপ্যায়ন করেন তার এনিমাল এবিউজ দেখে ভালো না লাগারই কথা ।
আসলে হাড় জিরজিরে ঘোড়া দেখে নয় এনিম্যাল এবিউজ যে কোনো ফর্মে দেখলেই খারাপ লাগে । স্পেনের বুল ফাইটের ষাঁড়গুলো আমাদের কুরবানীর হাটের সবচেয়ে দামি ষাঁড়গুলোর মতোই সুঠাম শরীরের ।কিন্তু তবুও ওগুলোর গা দিয়ে রক্ত পড়ছে দেখতে ভালো লাগে না (এনিম্যাল বা মানুষের রক্ত পড়ছে এমন সব খেলা বা এমিউজমেন্ট থেকেই আমি নিজেকে দূরে রাখি সব সময় )। এই সব খেলা (যদিও এবিউজও বলা যায় অন্যভাবে) খেলার প্রাণীগুলোর অবস্থা কিন্তু একটা দেশের সোশিও ইকোনোমিক আর কালচারেরও রিফ্লেকশন । আমাদের এই ইকোনোমিতে হাড় জিরজিরে একটা প্রাণী দেখতে পাওয়া তাই খুব বিস্ময়ের কিছু না । আমি নিজে খুব পাজল্ড হই এই ব্যাপারগুলো ভেবে । এই খেলাগুলো হয়তো কিছু মানুষসের বেঁচে থাকার আয় উপার্জনের পথ । এই এনিম্যাল এবিউজ আর একজন মানুষের বেঁচে থাকার মধ্যে ভারসাম্য রাখার দরকারি কাজটা আমার এখনো করতে পারিনি ভেবে সব সময়ই খুবই লজ্জিত হই আমি । আপনার লেখায় নতুনের মন্তব্যটা তাই খুব প্রাসঙ্গিক মনে হয় আমার সব সময়ই এই ব্যাপারগুলো ভাবতে গেলেই । মানুষের বেসিক চাহিদাগুলো না মেটানো গেলে এই অবস্থাগুলোর পরিবর্তন করা আসলে খুব কঠিন ।
কিন্তু এই লোকগুলো যারা এই খেলাগুলো খেলছে বা দেখছে তারা আমাদের কালচার ইকোনোমিরই প্রোডাক্ট । তাদের প্রসঙ্গে “যেসব ছেলে ঘোড়ার পিঠে চড়ে এরা খুবই বেয়াদব হয়ে থাকে। অযথা ঘোড়াকে মারে। মনে হয় মেরে মেরে এরা মনে আনন্দ পায়” এমন কঠিন শহুরে মন্তব্যে আমি আশ্চর্য হয়েছি ! এদের আমাদের মতো শহুরে কায়দায় সভ্য করতেতো আমরা কিছু করিনি ।বরং দিনে দিনে এদের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে ক্ষমতা আর সম্পদের ডিস্প্রপোরশনেট বন্টনের কারণে । এদের বকাঝকা করেত এনিম্যাল এবিউজের দোষ থেকেতো নিজেদের বাঁচানো যায় না ।
আপনার লেখায় খুব অবাক হইনি ।এই রকম মানবিক একটা লেখা ব্লগে অল্প যে কয়েক জন লিখতে পারেন তাদের মধ্যে আপনার নামই প্রথমে মনে আসে আমার । ভালো থাকুন ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৯
জুন বলেছেন: প্রিয় ব্লগার মলাসইলমুনা,
খুব ভালোলাগলো এত আন্তরিক সেইসাথে আমার ছোট লেখাটির অসাধারণ পোস্টমর্টেমে। আর দুঃখ প্রকাশ করছি উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল বলে।
আপনার প্রতিটি কথাতেই সহমত পোষণ করছি। স্পেনের বুল ফাইটের অবস্থা দেখে আমার রোমের কলোসিওর কথা মনে পড়ে। রক্ত ঝরে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত রেহাই নেই। সেতো গেলো বহু বছর আগের কথা কিন্ত স্পেনের বুল ফাইট তো সে দেশের নারী পুরুষকে আজও বিনোদিত করে চলেছে। কোন ষাড় যখন ক্লান্ত হয়ে দাড়িয়ে থাকে তখন আবার তাকে ছুরির ফলা দিয়ে আঘাত করে উত্তেজিত করা হয় মরনপণ লড়াই করতে। কেন বন্ধ হয়না এই সভ্য যুগে এই সভ্য মানুষের দেশে?
সব সময় অনেক আন্তরিকতা নিয়ে আমার লেখায় মন্তব্য করছেন নিয়মিত তার জন্য ধন্যবাদ বড় ছোট হয়ে যায় আর বারবার ব্যাবহারেও ক্লিশে হয়ে পরে। সকল লেখায় সকল সময় সাথে থাকবেন এই শুধু বলি।
৩৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
দারুন লিখেছেন।
ঘোড়াকে চাবুক মারাতো দুরের কথা
ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হওয়াও এক নিষ্টূরতা ।
শুধু কি তার পিঠে সওয়ার হয়ে তার
পিঠে চাবুক মেরে জান প্রাণ দিয়ে তাকে
দৌড়াতে বাধ্য করা । বড়ই নিষ্ঠুর খেলা ।
কে যে লিখেছিল এই ছড়া কবিতা
আম পাতা জোড়া-জোড়া..
মারবো চাবুক চড়বো ঘোড়া..
শিশু কালেই শিখে যায় ঘোড়াকে চাবুক মারা
বড় হয়ে তাইতো মারা হয়া আর তাতে
আরো দেয়া হয় রেসের নামে তাল ।
যাহোক একে এখন করতে হবে বেতাল ।
পোষ্টে ভাল লাগা রইল ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪২
জুন বলেছেন: শুধু কি তাই ডঃ এম এ আলী ভাই! আমরা ছোটবেলায় ছড়া ও ছবি নামে ভারতীয় একটা ছড়ার বই খুব উতসাহ নিয়ে পড়তাম। সেখানে একটি ছড়া ছিল
"ঠ্যাং খোড়া ওই হ্যাংলা ঘোড়ার নাইকো জুড়িদার,
তার উপরে বসতো চেপে হোতকা ভুড়িদার।
পাচ মন সেই বোঝার ভাড়ে, হ্যাংলা ঘোড়া চলতে নারে,
চিহি চিহি মিহি শুড়ে ডাকলো কুড়িবার,
বৃথাই তারে কোতকা মারে হোতকা ভুড়িদার "
এই ছড়ার প্রতিটি দৃশ্য কল্পনা করে ছোট বেলায় হাসি আসতো। আবার সেই বয়সেই আব্বা যখন সুর করে পুথি পড়ে শোনাতেন তখন বিভিন্ন নবীদের করুন কাহিনী তখন কাদতে কাদতে দুরে সরে যেতে চাইলে আব্বা ডান হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরতেন আর বলতেন একটু পরেই তার দুঃখ শেষ হবে। ।
আসলেও আমাদের বাচ্চাদের শিশুকাল থেকে পরিবার ও স্কুল থেকে মানবিকতা শিক্ষা না দিলে উপায় নেই। তার আগে প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের সত্যিকারের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
৩৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫৫
সোহানী বলেছেন: তুলনা করতে চাই না তারপরও তুলনা চলে আসে আপু..। এখানে একটা পোকাকেও কেউই মারে না এমনটাই স্কুল থেকে শেখানো হয়। আর আমরা মানুষ হবার মন্ত্র শেখাই না শিশুদের। তাই কিশোরদের চোখে মুখে হিংস্রতাই থাকবে.............
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৯
জুন বলেছেন: আমি জানি সোহানী শুধু স্কুল না বাসা থেকেও শেখানো হয়। আমার ছেলে ব্যাংককের রাস্তার পাশের এক খাবারের দোকান থেকে প্রতিদিন খাবার কিনে খেতো। সেই দোকানী মহিলার বছর দুই তিনেকের বাচ্চা সাথে থাকতো। বাচ্চাটিকে আমার ছেলে একটা আইস্ক্রিম কিনে দিয়েছিল একদিন, সেই বাচ্চাটি যতক্ষন না আমার ছেলেকে "খাপুন খাপ" (ধন্যবাদ) বলতে পারলো ততক্ষন তাকে আইস্ক্রিমটা নিতে দিলো না। আমরা শিক্ষিতরাই বলি না আর --
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো অনেক।
৪০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশ কি নির্মম !!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৬
জুন বলেছেন: নির্মমতো অবশ্যই মনিরা। বহুদিন ধরে সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো মনিরা।
৪১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইল
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৭
জুন বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো আপনার ও আপনার পরিবারের সবার জন্য শ্রদ্ধেয়।
৪২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি করে বোঝাই
মানুষে মানুষে যেথা মানবতা নাই
স্বৈরাচারিতা রাষ্ট্রের মাথায়
মানবতা পশুতে পাবে কোথায়?
হিংস্রতায় ভরা মন
তাতেই খোঁজে বিনোদন
গ্রীক থেকে বাংলা
ইতিহাসের পুনরাবর্তন!
বন্ধ হোক নিষ্ঠুরতা
জাগুক মাবতা
নতুন বছরে সকলে নাও
সুন্দর শুভ বারতা
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
জুন বলেছেন: সুন্দর সাথে প্রাসিংগিক এক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে বিদ্রোহী ভৃগু।
৪৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৫
করুণাধারা বলেছেন: মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তিই দুর্বলের ওপর শক্তি প্রদর্শন। আর দুর্বল যদি হয় অবোধ প্রাণী, তাহলে তো আরো সুবিধা! হয়তো এ কারণেই প্রাচীনকাল থেকে প্রাণীদের দিয়ে প্রতিযোগিতার নামে নানাভাবে অত্যাচার করা হয়।
তাছাড়া আমাদের মন থেকে দয়া মায়া উঠে যাচ্ছে; না হয় একটি বোবা প্রাণীকে রক্তাক্ত করে আরেকজনের আগে যাবার কথা ভাবতে পারি কি করে? এই ছোট পোস্ট আমাকে ভাবনায় ফেলে দিল..
নতুন বছর শান্তিময় হোক, জুন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
জুন বলেছেন: করুনাধারা বেশ কিছুদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার মন্তব্যটি মনকে স্পর্শ করে গেলো। একটা বোবা অবোধ প্রানীদের প্রতি আমাদের এই আচরণের পেছনে কি কোন মানসিক সমস্যা আছে কি না সেটাই ভেবে দেখার বিষয়।
মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো।
নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
৪৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: খুবই নির্মম। মদিনায় জীন পাহারে বেড়াতে গেছিলাম। সেখানে একটা হাড় জিরজিরে উট রেখেছে মানুষের চড়ার জন্যে। দেখলাম মালিক উটটিকে রশি টেনে বসানোর চেষ্টা করছে আর উটটি গলা দিয়ে আওয়াজ করছে। আমার খুব খারাপ লেগেছে। মনে হয়েছে সে বসে কাউকে পিঠে নিতে প্রতিবাদ করছে। অনেক কষ্ট করে বসে সেই উটটি!
আর হাতির মাহুতরাতো খোঁচা দিয়ে দিয়ে তাদের চালায়!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৩
জুন বলেছেন: নীল দর্পন নতুন জীবনের জন্য এখানে একবার শুভেচ্ছা জানাই আর আপনার লেখায়তো যাবোই । আমাদের গরীব দেশে হাড় জিরজিরে ঘোড়া নাহয় মেনে নিলাম কিন্ত সৌদি আরবের মত ধনী দেশেও এই সব !!
মাহুতরাতো লোহার শলাকা দিয়ে মাথায় গর্ত করে ফেলে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ভালো থাকুন অনেক অনেক ।
৪৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই দুনিয়াডাইত পুরা নিষ্ঠুর হইয়া গেছেগা !!!
মানুষওত মানুষরেই এইভাবে পিডায়া মজা পায় !!!