নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ মহামারী করোনা ভাইরাস নিয়ে আদৌ কি সচেতন!

১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ঝুঁকি মারাত্মক হয়ে ওঠায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি কঠিন সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কালের কণ্ঠ অনলাইন
১৮ মার্চ, ২০২০ ১১:৫৪

করোনা : বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের কঠোর পদক্ষেপ চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ঝুঁকি মারাত্মক হয়ে ওঠায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি কঠিন সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
তথ্যঃ কালের কন্ঠ পত্রিকা।

যদি সত্যিকার অর্থে আমরা সচেতন হোতাম তাহলে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা হু কি আমাদেরকে এত কঠিন বার্তা দিতে আসতো?

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কথা সত্যিই কইছুইন!!!

১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২১

জুন বলেছেন: আপনেদের কি অবস্থা? রানীতো একবার আপনাদের ফালায়া অন্য প্রভিন্সে চইলা যাইতেছিল আবার শুনলাম বাকিংহামে ফিরছে।
আমাদের দেশের মানুষ এত অসচেতন বলার বাইরে। আমার আত্মীয়রা জানালো গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে রাস্তার দুপাশে হাজার হাজার তরুন তরুণী গায়ে গা লাগিয়ে হৈ হুল্লোড় করছে। প্রকশ্যে সিগারেট খাচ্ছে মেয়েরা ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে। মনে হলো না সারা বিশ্ব আজ মহামারীতে আক্রান্ত।
আপ্নিও সাবধানে থাকুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। আমাদের জন্যও দোয়া করবেন ভুয়া।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই শতাধিক মানুষ নিয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ডায়াবেটিক কর্ণার উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক। করোনা নিয়ে যখন সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা, ঠিক তখনই শতাধিক মানুষ নিয়ে হাসপাতালের সংবেদনশীল ওয়ার্ডের উদ্বোধন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও মন্ত্রীর দাবি, উপস্থিত সবাই হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২২

জুন বলেছেন: হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট হলে কি তাদের আক্রান্তের আশংকা নাই!! কাউকে কি দেখা যাচ্ছে এই সব মহামারী মোকাবেলায় যে সব পোশাক আসাকে প্রস্তুতি নিতে হয় তেমন কিছু? অদ্ভুত এক জাতি আমরা। দেখা যাক হু এর ধমকে কতটুকু সচেতন হয় আমাদের দেশের কর্তা ব্যাক্তিরা। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

হাবিব ইমরান বলেছেন:

বিএনপিকে মিস করতেছি ৷ফাউলগুলা ঠিক সময়ে হরতাল দিতে পারে না ৷ এখন হরতাল দিলে দেশের উপকারই হইতো। :D
ভাই বিএনপি কই তুই? ঈদের আগে হরতালটা দে ভাই।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

জুন বলেছেন: হরতাল দিয়ে কি কোভিড ১৯ মোকাবেলা সম্ভব? বুঝলাম না হাবিব ইমরান :(

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: এই দেশ তো এখনও যে টিকে আছে সেটাই বেশি।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ছাড়া আর কেউ এইদেশ'কে বাচাতে পারবেন না।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

জুন বলেছেন: সহমত নীল আকাশ। এখন আল্লাহ ভরষা ছাড়া আর কোন পথ নেই।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আইইডিসিআর এর ৬টি নাম্বারে কয়েক জন মিলে ১ ঘন্টা ফোন করে পাইনি, তখন খুব অসহায় বোধ হচ্ছিল। আইইডিসিআর এর টিভি ক্রিনের সেজেগুজে ভাষ্য আর বাস্তবতা মিলাতে পারছিলাম না। (একজন ভুক্তভুগির মন্তব্য,এবং আজকের মানবজমিনে পড়ুন “তাহলে কেন আম্মুকে হাসপালে নিবো”।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

জুন বলেছেন: মানুষ যে কত অসহায় আজ সেটাই আপনার মন্তব্যে ভুক্তভোগীর ভোগান্তির চিত্রে বিদ্যমান। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি।

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাংলাদেশ একটি ব্রেক ফেল ঘাতক ট্রাক আর আমরা তার যাত্রী ও পথচারি আর সরকার দল হচ্ছে চালক।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জুন বলেছেন: বড়ই দুর্ভাগ্য আমাদের ঠাকুর মাহমুদ।

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: কতটুকু সচেতন সেটা উপরের মন্তব্য- প্রতিমন্তব্য থেকেই বুঝতে পারছেন। প্রথম আলোতে আজকে এ নিয়ে একটা খবর বেড়িয়েছে, ভেবেছিলাম লিন্ক দেব, আশ্চর্যজনক ব্যাপার, করোনা শনাক্তের পরীক্ষা কম গুরুত্ব পাচ্ছে - প্রথম আলোর এই খবরটা অনলাইনে কোথাও পেলাম না!! তাই খবরের কিছু উল্লেখ করছি...

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটিই বার্তা- পরীক্ষা, পরীক্ষা, পরীক্ষা। বাঙলাদেশে পরীক্ষার উপর তেমন গুরুত্ব দিয়ে হচ্ছে না। পরীক্ষা হবে কেবল সরকারের আইইডিসিআর এ, তারা ৫৫ দিনে মাত্র ৩২৬ জন রোগী পরীক্ষা করেছে, কারণ পরীক্ষা কিটের স্বল্পতা। এই পরীক্ষা কাজে আইসিডিডিআরবি বা অন্য কারো সহায়তা তারা নিচ্ছে না, যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে সরকারি বেসরকারি সবাই মিলে একসাথে করোনা সঙক্রমন মোকাবেলা করতে হবে। অথচ icddrbর ল্যাবে পরীক্ষার অনুমতি দেয়নি সরকার।

১৬ই মার্চ থেকে আইইডিসিআর সরাসরি আসা রোগীদের পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে। আগে হটলাইনে এপো নিতে হয়, ডাক্তার সব শুনে সিদ্ধান্ত দিলে পরীক্ষার জন্য রোগী আসতে পারে।

গতকাল বেলা একটার দিকে দুই যুবক আইইডিসিআরে এসেছিলেন নিজেদের নমুনা পরীক্ষা করাতে, গাজীপুর আর মিরপুর থেকে। দুজনের জ্বর। তাদের অভিযোগ, আইইডিসিআরের হটলাইনে ঢোকা যায় না দেখে তারা সরাসরি চলে এসেছেন। কিন্তু আইইডিসিআর তাদের পরীক্ষা করতে রাজি হয়নি।

এতক্ষণ যা পড়লেন তা প্রথম আলোর খবর, কেটেছেটে দিলাম। আমি আর কী মন্তব্য করব। শুধু ভাবছি হটলাইনের নাম্বার জানিনা, জানলেও লাইন পাব নাকি জানি না, পেলেও তারা পরীক্ষা করতে রাজি হবে কিনা, হলেও কতদিন পর পরীক্ষার সিরিয়াল পাব, ততদিন বেঁচে থাকব কিনা...

দুদিন আগে আমার এক খালা মারা গেছেন শ্বাসকষ্টে, কী হয়েছিল আসলে কে জানে।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

জুন বলেছেন: হটলাইন ধরছে না শুনছি করুনাধারা। কি হবে আমাদের দেশবাসীর ভাবতেই আতংকিত বোধ করছি।
মাসখানেক আগে আমেরিকায় আমার এক কাজিন শ্বাসকষ্টে মারা গেছে। একরাতে স্বামী সহ বাইরে খেয়ে এসেই জ্বর হলো ডিস্পেন্সারি থেকে এক পাতা প্যারাসিটামল দিল রাতেই অবস্থা খারাপ। সকালে হসপিটালে নিতে নিতে এক ঘন্টায় মারা গেলো আমার সবচেয়ে প্রিয় বোন। ডাক্তার বল্লো নিউমনিয়া। আমারতো এখন মনে হয় ওর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি তো?
দোয়া করবেন সবাই সবার জন্য।

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

হাবিব ইমরান বলেছেন:

@লেখক বলেছেন: হরতাল দিয়ে কি কোভিড ১৯ মোকাবেলা সম্ভব? বুঝলাম না হাবিব ইমরান :(

____ আসলে ব্যাপারটা রাজনৈতিক নয়। বাঙালি অসচেতন, তারা কোন ভাবেই আইন মানছেন না। এখনও পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারে সতর্ক হচ্ছে না ৷তাই বিএনপির হরতালে অন্তত উড়নচণ্ডী মানুষদের ঘরবন্দী করা যাবে কিছুটা হলেও ৷এতে যদি করোনা কিছুটা আটকানো যায় তাহলে গত ১৫ বছরের রাজনীতিতে এটাই হবে বিএনপির প্রথম সফলতা ৷ :D

প্রথমবার না বুঝাতে পারার জন্য খুবই মর্মাহত, ভাই।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০২

জুন বলেছেন: বিএনপির হরতালেও কাজ হবে বলে মনে হয় না হাবিব ইমরান। যেই দেশের মানুষ লক ডাউন কি তা দেখার জন্য দলে দলে ঘর থেকে বের হয়ে আসে সেখানে হরতাল কি করতে পারে বলুন? আমাদের দেশের জন্য কারফিউ দরকার অথবা উত্তর কোরিয়ার মত একজন শাসক দরকার।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: দেশের জন্য আতংক অনুভব করছি।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৩

জুন বলেছেন: আমিও ঢাবিয়ান :(

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কোরিয়ায় ১১৮ টি স্থানে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়েক জায়গায় তাবু টাঙিয়ে পরীক্ষা চলছে। এ কারণে প্রতিদিনই বিশ হাজারের বেশি পরীক্ষা করতে পারে। এখনে একটি কোম্পানী SEGENE মাত্র চার ঘন্টায় করেনা ভাইরাস টেস্টের কীট তৈরি করেছে। প্রতিটি কীট দিয়ে ৯৪ জন মানুষের পরীক্ষা মাত্র চার ঘন্টায় করা যায়। প্রতিটি কীটের দাম বিশ ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় সতেরশ টাকা। খুবই সাশ্রয়ী। সতেরশ টাকায় ৯৪ নকে পরীক্ষা করছে কোরিয়া। এন্য ফ্রি পরীক্ষা করতে পারছে। কোম্পানিটি প্রতিদিন দশ হাজার কীট প্রডাক্টশন করতে পারে। গতকাল কোম্পানিটি এসব কীট বিদেশে রপ্তানী করার অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশের উচিত দ্রুত সাউথ কোরিয়ার সরকারের সাথে যোগাযোগ করা। দেশে দ্রুত কীট আমদানী করা প্রয়োজন। বেশি জায়গায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১০

জুন বলেছেন: দুঃখিত সায়েমুজ্জামান জবাব দিতে দেরী হলো বলে। মনটা খুব খারাপ।
দক্ষিন কোরিয়া একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে করোনা নিয়ন্ত্রনে। দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে আইন মেনে চলার প্রবনতা রয়েছে যা আমাদের সাব কন্টিনেন্টে নাই। আমি একটি মেয়েকে দেখেছিলাম একটি আইন তার বিরুদ্ধে যাচ্ছে, আমি যখন বল্লাম এটা কেমন আইন তোমাদের দেশের? মেয়েটা কাদতে কাদতে বল্লো "দিস ইজ আওয়ার ল , আই হ্যাভ টু ওবে দ্যা ল "। তাই এসব দেশে ইউরোপ আমেরিকার চেয়ে করোনা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পেরেছে বিশেষ করে ভিয়েতনামের নাম অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




একটি মন্তব্যে ঠিকই বলেছেন - হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট হলে কি তাদের আক্রান্তের আশংকা নাই!! কাউকে কি দেখা যাচ্ছে এই সব মহামারী মোকাবেলায় যে সব পোশাক আসাকে প্রস্তুতি নিতে হয় তেমন কিছু?

আসলেই যারা বিদেশফেরৎ মানুষদের স্ক্রীনিং করছেন, যারা সরকার নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন হাসপাতালে এ সংক্রান্ত কাজে জড়িত কিম্বা হোম আইসোলেশনে রাখা ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন [ চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স- ওয়ার্ডবয়-আয়া, রোগী বহনকারী গাড়ীর ড্রাইভার, রোগীদের হ্যান্ডলিংয়ে নিয়োজিত ব্যক্তি, এসকর্ট পুলিশ সহ সব ধরনের লোক। ] তাদের প্রতিরক্ষার জন্যে তেমন কোনও উপযুক্ত পোশাক দেখিনি যেগুলো বাইরের দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। এরাই তো রোগ বহনকরার সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে আছেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৪

জুন বলেছেন: টিভির একটা খবরে দেখলাম অপ্রয়োজনীয় ব্যাক্তিরা পিপিই পড়ে বসে আছে। আহমেদ জী এস অনেকদিন পর আপনাদের মন্তব্যের উত্তর দিতে বসেছি। এখন হসপিটালগুলোর কি অবস্থা তা তো দিব্য চোখেই দেখতে পাচ্ছেন। আমাদের ভাগ্যে কি আছে কে জানে । মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে কইছেন, আপনের পোষ্টে নাকি আমারে দাওয়াত দিয়া আনতে হয়। লেটেস্ট দুইটা পোস্ট দিছি, আপনের দেখা নাই.....কার্ড পাঠামু কিনা ভাবতাছি। ঠিকানাটা দিয়েন। :P

লেখক বলেছেন: আপনেদের কি অবস্থা? আপনের এই প্রশ্নের উত্তর কইলাম একটা পোষ্টে আছে। :)

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৯

জুন বলেছেন: কার্ড পাঠানের আগেই আমি যাইয়া বিশাল বিশাল দুইটা প্রাসঙ্গিক মন্তব্য কইরা আসছি আপ্নে মনে হয় দেখেন্নাই :(
ভালো থাকবেন, সাবধানে থাকবেন সব্বাইকে নিয়ে। এতদিন তো শুঞ্চি আমাগো মত বুড়া মাইন্সেরি করোনা বেশি ধরে, ইদানীং শুনলাম ইয়ংরাই নাকি বেশি আক্রান্ত হইতেছে। এর কারন মনে হয় জুয়ানগুলি মনে মনে ভাবছে আমাগো কিচ্ছু হইবো না, যা হওয়ার তা ঐ বুড়াগুলিরই হপে। এই ভাবনা থিকা তারা ঘর থিকা বাইর হইছে লক ডাউন দেক্তে আর তার ফল #:-S

১৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: করোনা ভাবনাঃ এক

করোনার মারণ ছোবলে গোটা বিশ্ব আজ দিশে হারা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী করোনাক্রান্ত হয়ে আইসিইউ তে জীবনযুদ্ধ লড়ে যাচ্ছেন। না, তিনি স্বয়ং লড়ছেন না, তার হয়ে ডাক্তারগণ লড়ে যাচ্ছেন। নিউ ইয়র্কের অবস্থা মারাত্মক। সে দেশটি আজ এক অবিচক্ষণ প্রেসিডেন্ট এর শাসনাধীন। সে দেশের লোকজনও দিনে দিনে ধৈর্যহারা হয়ে উঠছে।
এখনো খুব কম সংখ্যক বাঙালি নিজ দেশের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। তারা অন্যান্য দেশের পরিসংখ্যান নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু বাংলাদেশে করোনা দিনে দিনে ক্রমবিস্তার লাভ করছে। এখনো গ্রাফটি প্রায় শুয়ে শুয়ে এগোচ্ছে, কিন্তু যে কোন মুহূর্ত থেকে সেটা মাথাচাড়া দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠতে পারে। তখন তারা মাথা ধরে টেনে নামাতে নামাতে কয়েক লক্ষ লোকের প্রাণ সংহার হয়ে যেতে পারে।
এমতাবস্থায়, যেসব দেশের শাসক ও শাসিত উভয় পক্ষ মাথা ঠান্ডা রেখে করণীয় নির্ধারণ করতে পারবে এবং তা একনিষ্ঠভাবে পালন ও প্রয়োগ করতে পারবে, তারাই ন্যূনতম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
করোনা মহামারী থেকে বাঁচতে মানুষ এখন বাধ্যতামূলকভাবে 'লকডাউন' এ আছে। এ 'লকডাউন' এক সময় ঘর থেকে পেট পর্যন্ত বিস্তার লাভ করবে। তখন পেটের 'লকডাউন' থেকে বাঁচতে মানুষ নতুন মহামারী শুরু করবে!
আজকের এ 'লকডাউন' এর বাধ্যবাধকতাটুকু আরো অন্ততঃ চার সপ্তাহ আগে থেকে আরোপিত হলে হয়তো অনেক মানুষ করুণ পরিণতি থেকে রক্ষা পেতো।


১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

জুন বলেছেন: আপনার শেষ কথাটির সাথে একমত খায়রুল আহসান। এ কথাটি অনেক দেশের জন্য প্রযোজ্য। বিশেষ করে উহানের ঘটনা শুরু হওয়ার পর অনেক দেশই সতর্কতা অবলম্বন করে মৃত্যুহার কমাতে সক্ষম হয়েছে। আমেরিকা আর ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দিকে লক্ষ্য করলেই পরিস্কার বোঝা যায়। আপনাদের মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো আশাকরি কিছু মনে করবেন না। মন ভালো নেই। ছেলেকে ছেড়ে থাকা বড় কষ্টের।

১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৬

রাফা বলেছেন: বাংলাদেশ যে প্রস্তুতি নিয়েছে এটাকে বলা হয় আহাম্মকের প্রস্তুতি। নীতি নির্ধারন করার দায়িত্বে যারা ,সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বনিম্ন পর্যায় পর্যন্ত করোনার ভয়াবহতা উপলব্দি করতেই ব্যার্থ। এটাকে মনে করছে কলেরার মত ওরসেলাইন দিয়ে কাত করে ফেলবে।

আল্লাহ না করুন যদি ইউরোপ আমেরিকার মত বিপর্যয় শুরু হয়। ৭১-সালের মত লাস পড়ে থাকবে চারিদিকে।আকাশে শকুন উড়বে সেই লাসের জন্য। নার্স'তো দুরের কথা আমি এই পর্যন্ত ডাক্টারদের কাউকে দেখিনি প্রোপার পিপিই ব্যাবহার করার মত ছবি বা নিউজ।সেবা করতে যেয়ে তারা যখন আক্রান্ত হবে কাউকে খুজে পাবেননা কোথাও।

এত সময় পাওয়ার পর এবং দেখার পরও তারা এখনও প্রোপার ড্রেসই ঠিক করতে পারে নাই।চীকিৎসা আর কি করবে ?

আমার একটা ধারনা, তারা ভুল ধারনা নিয়ে বসে আছে।যেহেতু আমাদের জনসংখ্যার বেশিরভাগ তরুন ও যুবক তাই তাদের ইমিউন সিস্টেম ভরসা/সাথে গরমের দেশে ভাইরাস তার কার্যক্ষমতা হারাবে।এগুলোর উপর নির্ভর করে বসে আছে। ধন্যবাদ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জুন বলেছেন: রাফা আপনার মন্তব্যটিতে অত্যন্ত খাটি কথা বলেছেন। আমাদের দেশের ডাক্তাররা যখন পিপিই এর জন্য বলছিল তখন আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী মহদয় বলেছিলেন "আমাদের কাছে অনেক পিপিই আছে কিন্ত সেগুলো পরার এখনো সময় হয়নি, যখন হবে তখন তারাই দিবে "। বোঝেন অবস্থা।
আমি জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ থেকে ব্যংককবাসীকে এ ব্যপারে সতর্ক হতে দেখেছি। ১০০% না হলেও তখন ৮০% মানুষ মুখে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার করতে শুরু করে। তখনও তাদের সরকার এই ব্যাপারে তখনও কোন পদক্ষেপ নেয় নি কিন্ত জনগণ সচেতন ছিল এবং তারা সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করছিল। আপনি দেখেন ২৮ শে জানুয়ারি ২০২০ আমি এই বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছি।
আমরা সরকারিভাবে শুরু করেছি ঢাকা ১০ আসনের নির্বাচনের পর থেকে। তারিখ মনে হয় মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের পর থেকে। আর আমাদের দেশের বেশিরভাগ জনগনের তো এই ব্যাপারে কোন সচেতনতাই নেই। তারা বাইরে বের হয় লক ডাউন কি তাই দেখতে।
যাক আর এইসব ভাল লাগে না। আমেরিকাও তার অহমিকা আর অজ্ঞতার মুল্য চুকাচ্ছে।
ভালো থাকুন সবসময় আর নিরাপদে থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.