নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাতারগুল, দ্যা ব্ল্যাক ওয়াটার ম্যুভির সোয়াম্প ফরেস্ট

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০০

আমাদের দেশের মিঠাপানির একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল তাঁর অপার্থিব সৌন্দর্য্য নিয়ে

ফর্সা গায়ের রঙ কাদা পানিতে মাখামাখি, মাথার একরাশ সোনালী চুল জট পাকিয়ে আছে, ভয়ার্ত চেহারা নিয়ে তরুনীটি কাপা কাপা হাতে ধরে আছে একটি কাদামাখা পিস্তল। অপেক্ষা করছে ভয়ংকর এক দানবের। অবশেষে গাঢ় কালো পানি থেকে মাথা তুলে তাঁর সুতীক্ষ দাত নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত মেয়েটির উপর ঝাপিয়ে পড়তে উদ্যত হলে সরে গিয়ে ট্রিগারে চাপ দিলো লী। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল নোনাপানির বিশাল কুমিরের মাথাটি।

দূর থেকে রাতারগুল

ঘাটে নৌকার সারি

এক ছুটির দিনে এডাম তাঁর বৌ গ্রেস আর শালী লীকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর প্রদেশের এক সোয়াম্প ফরেস্টে বেড়াতে যাবে, উদ্দেশ্য মাছ ধরা। লম্বা চওড়া পেটানো শরীর তাতে কোমরের বেল্টে রিভলবার গোজা জিম তাদের ট্যুর গাইড, ঝকঝকে নতুন নিজস্ব স্পীড বোটে তিন পর্যটককে নিয়ে রওনা দিল সেই তাদের রাতারগুলের উদ্দ্যেশ্যে। বেশ কিছুক্ষন চলার পর ভেতরে একটু খোলা যায়গায় এসে বোট থামলো । এসময় লী দেখতে পেল পানির মাঝে বেশ বড় কি যেন একটা নড়াচড়া করছে কিন্ত তারপর আর দেখা গেল না। তাঁর খানিক পরেই হঠাৎ করে এক ঝটকায় উলটে গেলো তাদের স্পীড বোট আর একটু পরেই ভেসে উঠলো গাইড জিমের আধ-খাওয়া লাশ।
এডাম বুঝতে পারলো একটা কুমির তাদের আক্রমন করেছে। সে তাড়াতাড়ি তাঁর স্ত্রীকে একটি গাছের উপর উঠিয়ে দিয়ে লীর খোজ করতে লাগলো। লী তখন সেই উল্টানো স্পীড বোটের নীচে আটকে পরেছে, তাঁর পা জড়িয়ে গেছে দড়িতে। এরই মাঝে সেই কালো কুচকুচে বিশাল দেহী কুমির এসে হাজির। এডামকে তাঁর স্ত্রী সতর্ক করলে সে লীকে খোজা বাদ দিয়ে গাছে উঠে পরলো। লী ততক্ষনে দড়ি থেকে পা মুক্ত করে বেরিয়ে এসে দেখে সেই ভয়ংকর কুমির তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে। অনেক ঘটনা শেষে দুদিন পর চার জনার মাঝে একমাত্র জীবিত লী কি করে তাঁর বোনের মৃতদেহ নিয়ে ফিরে আসলো সেটা আপনারাই দেখুন, ২০০৩ এর সত্যি ঘটনা নিয়ে নির্মিত এক ভয়ংকর সাসপেন্স আর হরর ম্যুভিতে, নাম Black water । ম্যুভিটি ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়া আর ইউকের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত।

বিশাল দেহী রিভলভার আলা জিম নয়, এই পিচ্চিটাই ছিল আমাদের নৌকার মাঝি

গাছের আড়ালে আরেকটি নৌকা যাচ্ছে অন্য দিকে

এগিয়ে যাচ্ছি বনের গভীরে, ম্যুভি দেখার পর এখন ভয় লাগে

বনের ভেতর দিয়ে

রাতারগুলের অপরূপ সৌন্দর্য্য

যাই হোক এই ম্যুভি দেখলাম আমি ২০২০ এ আর রাতারগুল গিয়েছিলাম তারও কয়েক বছর আগে। সত্যি বলছি এই ম্যুভি যদি আগে দেখতাম তাহলে রাতারগুলে যাবার আগে আমি তিনবার চিন্তা করতাম । পরিবেশের দিক দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সোয়াম্প ফরেস্ট আর রাতারগুলের মধ্যে আপাতত কোন পার্থক্য দেখলাম না ।রাতারগুলের পানি হয়তো নোনা নয় (টেস্ট করে দেখি নাই) তবে মিঠা পানির কুমিরও তো আছে তাই না ? যাই হোক ম্যুভি দেখার আগে আপনারা আমার চোখে দেখে নিন রাতারগুলকে তাহলে তুলনা করতে সুবিধা হবে ।

বনের ভেতর নৌকা বাধা

বন থেকে কাঠকুটো সংগ্রহ করে আসছে মুরুব্বী

দূরে নীল আকাশ আর তার পাশে দেখা যাচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার ।

ওয়াচ টাওয়ারের উপর থেকে

এটাও ওয়াচ টাওয়ার থেকে

ঘোরানো সিড়ি বেয়ে নেমে এলাম ।

আবার সেই বনের ভেতর দিয়ে ফিরে আসা

জালের মত জড়িয়ে থাকা গাছের মাঝ দিয়ে ফিরছি

পেছন ফিরে দেখি সেই নড়বরে টাওয়ারের উপর দাঁড়িয়ে আছে অনেক দর্শনার্থী

ভোলাগঞ্জের এই রাস্তা পার হয়েই মনে হয় গিয়েছিলাম

বর্তমানে সরকার রাতারগুল ভ্রমনের উপর ফী বসিয়েছে , আমাদের মত ফ্রী ফ্রী ঘোরা শেষ । অবশ্য পরিবেশ ধ্বংস করার করার মত যা আয়োজন চলছিল তাতে নিয়ন্ত্রন আরোপ করাটা জরুরীই ছিল ।

এই পোস্ট ভুয়া মফিজকে উৎসর্গ করতেই হয় কারন এতে আছে কুমির আর তাঁর উপর অস্ট্রেলিয়া আর ইউকের যৌথ প্রযোজনা :)
সব ছবি আমাদের মোবাইলে আর ক্যামেরায় তোলা

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৫

জুল ভার্ন বলেছেন: বরাবরের মতোই লেখা ও ছবি খুব সুন্দর!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৮

জুন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে । অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখে খুশী হোলাম ।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: @জুন , আমি ব্লগে ঢুকলেই নিয়মিত আপনার ব্লগ পড়ি। তবে মন্তব্য না করলেও একটা লাইক দিয়ে যাই, যেভাবে আমার সকল পরিচিত জনদের পোস্টে করি।

শুভ কামনা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৪

জুন বলেছেন: লাইকের জন্য ধন্যবাদ কিন্ত আপনার মন্তব্য তো লাইকের চেয়েও ওজনদার তাই নয় কি ?
আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা ।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,





সুন্দর কিন্তু ভয়ঙ্কর গা শিরশিরানি ছোঁয়া দিয়ে লেখা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৬

জুন বলেছেন: এ কি আপনি এক লাইনের দায়সারা মন্তব্য !! আমি তো ভাবতেই পারছি না /:)
যাই হোক হয়তো তাড়াহুড়া আছে আপনার তবে পরে সব ঝামেলা শেষে আপনার বিখ্যাত মন্তব্য নিয়ে অবশ্যই আসবেন সেই প্রত্যাশা রইলো :)

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: জ্ঞানের স্বল্পতা নিরূপণে নিজ এলাকার আশপাশের স্পটগুলোতে না যাওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে ভাবলেই হয়! বড়ই অবাক হই। একবার সে পথে এগিয়ে গেছিলাম অফিসিয়াল এক কাজে। শেষ পর্যন্ত আর যাওয়া হয়নি। দেখা হয়নি রাতারগুলের সৌন্দর্য। তবে আপনার ছবি দেখে যাওয়ার ইচ্ছেটা আবারো জেগে উঠলো। ধন্যবাদ আপনি পেতেই পারেন।

আচ্ছা, কোন সময়ে ঐদিকটায় গেলে ভয়ংকর বলে মনে হবে অর্থাৎ কোন সময়টাতে যাওয়া ভালো?

পানির কালার কি এমনই যেমনটা দেখাচ্ছে ছবিতে?

মুগ্ধকর এই ভ্রমণ ব্লগে প্লাস++++.

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৫

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে সৈয়দ তাজুল ইসলাম । সুযোগ পেলে অবশ্য ঘুরে আসবেন । আসলেও সুন্দর কিন্ত রাতারগুল । যখন সিজন তখন অসম্ভব ভীড় হয়, মানুষের চিৎকার চেচামেচি সাথে পাল্লা দিয়ে মাইক , আবার অন্য সময় পানি থাকে না তখন এর সৌন্দর্য্যও থাকে না ।
জী পানির রঙ তেমনটাই ছিল যেমনটা দেখছেন ছবিতে । আমাদের মাঝি দুজন আবার গোসল করেছে । কুমির না থাকলেও নাকি অনেক জোক আছে ।
আন্তরিক এক মন্তব্য আর সাথে প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৯

শাহ আজিজ বলেছেন: সিলেট অনেকবার গেছি , যাওয়া হয় নাই রাতারগুল এবং আরও কিছু দর্শনীয় স্থান ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১০

জুন বলেছেন: এরপরের বার গেলে অবশ্য করে ঘুরে আসবেন। সিলেটের অনেক সৌন্দর্যই গিলে খেয়েছে মানুষের সীমাহীন লোভ তারপরও যা একটু আধটু আছে তার সৌন্দর্যও অনেক শাহ আজিজ :)
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: লেডি বতুতা এবং তার ভ্রমণ কাহিনী, বরাবরের মতই চমৎকার।

যদিও এখন এখন পর্যন্ত যাওয়া হয়নি তাই আপনার চোখেই দেখে আসলমা এবং আপনার সাথে ঘুরে আসলাম রাতারগুলে (বিনা পয়সায়) :P !! কি মজা।
নৌকার কাপ্তেন ছোট তবে (অভাবের কাছে হার মানা আমাদের দেশে কেই বা তাদের নিয়ে ভাবে ) আমার মনে হয় তার কামে সে (নৌকা চালানোয়) অভিজ্ঞ ছিল।

আর লিখায় + ছবির জন্য +++।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৩

জুন বলেছেন: লেডি বতুতার ভ্রমণ কাহিনী, বরাবরের মতই চমৎকার লাগলো জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হোলাম মোহামমদ কামরুজজামান :)
অবশ্যই দেখে আসবেন সুযোগ পেলে ।
নৌকার কাপ্তান ছোট ছিল আর অল্প পথই নিয়ে গিয়েছিল , তাদের আসল মাঝি সামান্য একটু ভেতরেই ছিল । আর এই অল্প পথ আমার স্বামী হেল্প করেছিল পিচ্চিটাকে ।
আপনার মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবকিছুরই ভালো-মন্দ আছে। কুমীর স্বভাবটাও যে একদম খারাপ না, সেইটা বুঝলাম আইজকা। পরে ভুইলা যামু; উৎসর্গের লাইগা আগেই ধন্যবাদ দিয়া রাখি। :)

রাতা মানে মোরগ, গুল মানে ফুল (আমার যদ্দুর মনে পড়ে); তাইলে রাতার গুল মানে কি মোরগের ফুল? কুমীরের ফুল হইলে কি বেশী ভালো হইতো না!! আপনের কি মনে হয়? B-)

যেমনে ভ্রমনের বর্ণনা দিলেন, তাতে মনে হয় রাইতে গেলে বেশী আনন্দ হইতো। সিলেটে কুমীর আইবো কোইত্থে! তয় সরকার কয়ডা মিঠা পানির কুমীর ছাইড়া দিতে পারে। পর্যটকদের বেহুদা তাফালিং এমনেই কইমা যাইবো গিয়া। নয়তো আমিই যাইগা ওইখানে......কি কন!!! =p~

ফটো চমৎকার হইছে। ওহ হো, কইতে ভুইলা গেছিলাম......প্রিয়তেও নিয়া রাখলাম। কোনদিন গেলে কামে লাগবো! :-B

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫

জুন বলেছেন: কুমীর স্বভাবটাও যে একদম খারাপ না, সেইটা বুঝলাম আইজকা
মানে !! কুমিরের মধ্যে ভালোটা কি দেখলেন ভুয়া :-* পুরা ফ্যামিলি খেয়ে শেষ করলো তাও উনি ভালো :|
কিসের জন্য এই নাম বুঝলাম্না । নামকরনের ব্যাপারে কাউকে জিজ্ঞেস করি নাই ।

তাফালিং এর কথা আর বইলেন্না ছিহ এত বিশ্রী লাগছিলো । আমরা তিনজন যখন টাওয়ারের উপর তখন দেখলাম দুই নৌকা ভরে ছেলেপিলেরা চিৎকার করছে তাতে তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে উচ্চস্বরে মাইক , এই শব্দে কুমির ক্যান কুমিরের বাপেরও (জলহস্তী) ভাইগা যাওয়ার কথা । আচ্ছা আমরা একটু চুপচাপ থাকতে পারি না ক্যানো যাকে ইংরেজীতে বলে সফট বা সোবার ? নাটক দেখতে বসলেই দেখবেন মেয়েরা কনস্ট্যান্ট ঝগড়া করছে , আমার ছেলে জিজ্ঞেস করেছিল "আম্মু এরা কি একটু পোলাইটলি কথা বলতে পারে না, সবসময় উত্তেজিত" ? কি আর কমু আমি :(
পোস্ট পড়া ( শিরোনাম) মন্তব্য , প্লাস আর প্রিয়তে নেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভুয়া । ভালো থাকবেন বাসার সবাইকে নিয়ে আর ঐ ইয়ে মানে উনাদেরকেও নিয়ে :`>

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

জুন বলেছেন: সিলেটের স্থানীয় ভাষায় মুর্তা বা পাটি গাছ "রাতা গাছ" নামে পরিচিত। সেই রাতা গাছের নামানুসারে এ বনের নাম রাতারগুল। /:)

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: এখনো যাবার সৌভাগ্য হয় নি :((

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

জুন বলেছেন: ঘুরে আসবেন তাড়াতাড়ি নাহলে হয়তো জাফলং এর মতই এর সৌন্দর্য চিরতরে হারিয়ে যাবে ফয়সাল রকি। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০১

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: আপনার লেখা বরাবরের মতোই ভালো লেগেছে ম্যাম সাথে ছবিগুলো ও চমৎকার। আপনার ভ্রমনকাহিনী পড়ার মজাই আলাদা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:১৫

জুন বলেছেন: আমার লেখাটি পড়ে ভালোলেগেছে জেনে অত্যন্ত খুশী হোয়েছি মেহেদি- হাসান। ভালো থাকুন সবসময় আর আমার লেখালেখির সাথেই থাকবেন আশাকরি :)

১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মন্তব্য লিখলাম সেন্ড করলাম। এখন দেখি উধাও নেট সমস্যার কারণে হতে পারে।

সুন্দর পোস্ট আপি। এসব জায়গায় এখনো যাইনি। । মুভির কথা পড়ে এখন ডর লাগতাছে

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩৫

জুন বলেছেন: কি বলেন কাজী ফাতেমা ছবি!! আপনি সিলটি হয়েও রাতারগুল দেখতে যান নাই!! জলদি জলদি ভাইকে নিয়ে ঘুরে আসুন আর আমাদের জন্য নিয়ে আসুন অসাধারণ সব ছবি। গেলে তাড়াতাড়ি যাওয়াই ভালো নইলে তথাকথিত ব্যাবসায়ী আর পর্যটকদের অত্যাচারে এটাও জাফলং পরিনত হবে একদিন।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।

১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা ও ছবি, ভালো লাগলো

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৪৩

জুন বলেছেন: লেখা, ছবি ভালোলাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে নেওয়াজ আলি :)
ভালো থাকবেন সবসময়।

১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
প্রতিটা ছবি সুন্দর।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৮

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর সব সময় আমার লেখার সাথে আছেন তাই :)

১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



যেই ছোট ছেলেটি নৌকা চলায়েছে, সে কি স্কুলে পড়ে, তার পরিবারের অবস্হা কেমন? ছেলেটির মায়ের সম্পর্কে জেনেছেন?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৬

জুন বলেছেন: ছেলেটা অল্প একটু পথ চালিয়েছিল তাতে আমার স্বামীও হেল্প করেছিল লগি নিয়ে। আর সামনেই তার ওস্তাদ ছিল পরে সেই চালিয়েছিলো গোটা পথ। আপনি যে ব্যাপারগুলো জানতে চান তা আমিও জানতে চাই যেখানে যাই তাদের কাছে। আপনার এই গুনটি আমার অনেক ভালো লাগে। তবে সবচেয়ে দুঃখজনক হলো আমরা ফিরে আসার পর ওর কেমন যেনো বড় ভাই একটা কঞ্চি দিয়ে অসম্ভব মার মেরেছিলো যা আমি ছেলেটাকে ধরেও বাচাতে পারি নি, যা আজও আমাকে ভীষণ কস্ট দেয়। যতটা বুঝলাম বড় ভাই এর কথায় ছেলেটার নৌকা চালানোর প্রয়োজন নেই, তারা যথেষ্ট স্বচ্ছল। কিন্ত ছেড়া শার্ট পড়া হাড় জিরজিরে ছেলেটা কতটা ধনী বুঝলাম না। লুকিয়ে ছেলেটাকে কিছু টাকা দিয়েছিলাম সেটা সেই বড় ভাই এর হাত থেকে বাচাতে পারলো কি না তাই ভেবেছি অনেক দিন পর্যন্ত।

১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

করুণাধারা বলেছেন: ছবিগুলো চমৎকার!! চোখে- মনে ঠান্ডা পরশ বুলিয়ে দিল...

আমার কেন জানি খুব ভয় লাগে নৌকায়, খালি মনে হয় ডুবে যাবো। এই গাছপালাময় রাতারগুল তাই আমার ভালো লাগে নি, মনে হচ্ছিল পানির নীচে থাকা কোন গাছ নৌকার নীচে ধাক্কা দেবে। কাপ্তাই লেকেও নাকি অনেক ডুবে থাকা গাছের গুঁড়ি আছে, কাপ্তাই থেকে রাঙামাটি যেতে পুরো সময় আমি তাই ভয়ে তটস্থ হয়ে বসেছিলাম। কখনো আপনার মতো এভাবে রাতারগুল দেখা হয়নি। তাই সুন্দর ছবিগুলো দেখে তাই চোখ জুড়ালো।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৭

জুন বলেছেন: চোখ ঠান্ডা, মন ঠান্ডা আর আমার লেখাও স্বার্থক মনে হচ্ছে করুনাধারা। পানিতে আমিও ভয় পাই যেহেতু সাতার আমি জানি না। রাতারগুলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই আমার যতদূর মনে হয়। কাপ্তাই হ্রদে আমি অনেক বার ঘুরেছি, ঘুরেছি রাংগামাটির বিশাল জলরাশির বুকে। এই চিন্তা তো কখনো করি নাই :(
আবারো ধন্যবাদ সাথে আছেন সবসময় :)

১৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: সিঙ্গাপুরের পাশেই মালয়শিয়ার বর্ডার টাউন হচ্ছে জহরবাহরু। বর্ডার ক্রস করলেই এই শহড়টি। বেশ বড় এই স্টেট এ কোতা তিঙ্গি নামে একটি জায়গা আছে টুরিস্ট স্পট। খুব সুন্দর প্রাকৃতিক ওয়াটার ফল ছাড়াও সেখানে আছে এই রাতারগুল টাইপের একটা সোয়াম্প ফরেস্ট । রাতারগুল যাইনি তাই জানি না সেখানে কি ধরনের ট্যূর এর ব্যবস্থা আছে। কোতা তিঙ্গির এই সোয়াম্প ফরেস্টে রাতের বেলায় অসংখ্য জোনাকি পোকা জ্বলতে থাকে।এই অপার্থিব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে পুজি করে এরা খুলে বসেছে টুরিজম ব্যবসা জায়গাটার নাম দিয়েছে ফায়ারফ্লাই পার্ক। রাতের বেলায় সেই সোয়াম্প ফরেস্টে নৌকায় চড়ে চারপাশের জোনাকি পোকার আলো, চাদের আলো যে কি দারুন উপভোগ্য একটা বিষয় যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আপনার পোস্ট দ্যাখে সেই স্মৃতিটা মনে পড়ে গেল।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

জুন বলেছেন: ঢাবিয়ান আমরাও মালয়েশিয়াতে একটা ফায়ারফ্লাইস পার্ক দেখেছিলাম । আপনাকে লিংক ও দিয়ে এসেছি , দেখেন তো ঐটাই আপনার বলা পার্ক নাকি ? দেখবেন একটু কাইন্ডলি ।
আপনার মন্তব্য পড়ে আমারও সেই অসাধারন স্মৃতি মনে পরে গেল । কিন্ত ছবি তোলা নিষেধ থাকায় ছবি তুলতে পারি নি সেই অপরূপ দৃশ্যের । মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: এম্পি-মন্ত্রীরা এখনো মনে হয় জানে না, জানলে কইতো- আকাশ থেকে সিলেট দেখে অস্ট্রেলিয়া মনে হয়। আল দা মেন এন্ড উইমেন এর সরকারের আমলে এত সুন্দর পর্যটন স্পট গড়ে উঠেছে শুনে বুক গর্ভে ফুলে যায়।

আপনি যেই রাস্তা দিয়ে গেছিলেন সেই রাস্তা দিয়ে গেলে পরেরদিন যে গায়ে এক বৈয়াম টাইগার বাম মাইখা থাই ম্যাসাজ নেওয়া লাগে তা তো বললেন না। এখন শুনি রাস্তা আগের চেয়ে ভালো।

ট্যাক্স বসানোর কাজটা আমার হিসাবে ভালো হইছে।

সবচেয়ে ভয়ংকর হইলো ঐ ওয়াচ টায়ারের উপর এতগুলা মানুষের লাফালাফি।

কুমির দেশে কইথেকে আসবে। কিছু ঘড়িয়াল ছিলো। মানুষ মাইরা নির্বংশ কইরা ফালাইসে। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া মিলে শখানেক থাকতে পারে। আর বিলাতে দু-একপিস যদি থাকে :P

অসাধারণ সব ছবি, দারুন লেখা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

জুন বলেছেন: আকাশ থেকে সিলেট দেখে অস্ট্রেলিয়া মনে হয়
ভালোই কইছেন মা হাসান =p~
রাস্তার কথা আপনি ঠিকই বলেছেন , আমরা সিলেট শহর থেকে একটা গাড়ি ভাড়া করেছিলাম ঘুরঘুর করার জন্য । সেই রাস্তার ঝাকিতে মনে হলো গাড়ির ভেতর ঝালমুড়ি বানানোর প্রকৃয়া চলছে । কি যে অবস্থা ।
ওয়াচ টাওয়ারে আসার সময় তাদের নৌকায় সেই চিৎকার আর নাচ সাথে মাইকে তারস্বরে হিন্দী গান যাকে বলে এক নারকীয় পরিবেশ সৃষ্টি হলো মুহুর্তের মধ্যে । আমরা তাড়াতাড়ি নেমে ফিরতি পথ ধরলাম ।
কুমির আছে দেশে , বিশাল এক কুমির দেখেছিলাম সুন্দরবনের খালের পাশে ঘুমাচ্ছে। আলসে কুমির ;)

দেখেন ২০১৫ সনে সুন্দরবন থেকে এই ছবিটি আমি তুলেছি :)

অসাধারণ সব ছবি, দারুন লেখা। এইটা একটা গুরুত্বপুর্ন কথা বলছেন আপনে । মেনি মেনি থ্যাংক্স :)

১৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা!

দারুন অসাধঅরন রাতার গুল, সাথে দারুন বর্ণনা, আবার আচারের সোয়াদে মুভি হিস্টোরী :)
ওয়াহ!
দারুন জম্পেস এক ভার্চুয়াল ট্যুর হয়েই গেল :)

+++++++

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১

জুন বলেছেন: আহা! কতদিন পর আপনার দেখা পেলাম ভৃগু :)
আমার লেখাটি আপনার ভালোলেগেছে জেনে সত্যি অনেক অনেক ভালোলাগলো ।
আন্তরিক ধন্যবাদ ।

১৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: মুভির কাহিনী পড়ে দেখার ইচ্ছা হচ্ছে, তবে কাহিনীটা আর একটু কন্টিনিউ করলে আমার সময় বাঁচতো মুভিটা দেখা লাগতো না।
ছবি ও বর্ণনা সুন্দর হয়েছে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

জুন বলেছেন: ম্যুভিটি দেখতে পারেন ঢুকিচেপা , আমি তো কয়েকবার দেখেছি । খারাপ লাগবে না ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে :)

১৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। রাতারগুল ভ্রমন করে গেলাম।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৩

জুন বলেছেন: আপনার এই সৌজন্যই বলেন আর আন্তরিকতাতে সত্যি আমি মুগ্ধ রাজীব নুর ।
কেমন আছে আমাদের ফাইহামনি ?

২০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টে বর্ষাকালে যাওয়াটাই মনে হয় ভালো? ছবিগুলো ভালো হয়েছে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৮

জুন বলেছেন: হ্যা পানি থাকলেই ভালো লাগে । নইলে তো দুষিত পানি তাছাড়া কমেও যায় তখন ।
ছবিগুলো ভালোলাগার কথা জেনে ভালোলাগলো অনেক :)

২১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩৮

সোহানী বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারন ভ্রমণ কাহিনী। এবার দেশি ভ্রমণ দেখে আরো ভালো লাগছে। দেশের কোন সুন্দর ছবি দেখলে মনটা অজানা কারনে খুব ভালো হয়ে উঠে। ছবিগুলো অসাধারন।

আর গানওয়ালা পার্টিরে একটা ধাতানি দিতে ইচ্ছে হচ্ছে !!!! এই নব্য টুরিস্টগুলা দেশের স্পটগুলার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে।

উৎসর্গ ঠিক হয় নাই :P । কুমির সাহেব আর কুমির নাই...........হাহাহাহা। বৃটেন চালায়েও ব্লগে নিয়মিত হাজিরা দেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:১১

জুন বলেছেন: সোহানী আপনার এত ব্যাস্ততার মাঝেও সময় করে আসেন আর এমন এক আন্তরিক মন্তব্য করেন যা আমার লেখায় টনিকের মতই উৎসাহ যোগায়। দেশ নিয়ে আমার অনেক লেখালেখি আছে। ১০ বচ্ছর ১১ মাস তো কম সময় না কি বলেন! এই সব অং বং ( শায়মার ভাষায়) লিখেই চলছি :)
নৌকা ভর্তি ছেলে মেয়ের চিৎকার ও সাথে পাল্লা দিয়ে মাইক ওহ সেই শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশকে মুহুর্তের মধ্যেই নরক বানিয়ে ফেল্লো।
কুমিরের জন্য এর চেয়ে উপযুক্ত লেখা আর পেলাম না B-)
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৩৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি প্রচুর ভ্রমন করলেও সিলেট জেলাতেই কখনো যাই। তবে রাতারগুলের নামও অনেক শুনেছি আর ছবি দেখেছি।
অনেকে বলে, জায়গাটা আমাজান জঙ্গলের জলাভূমির মতো।
আমাকে ব্যায় আর প্রযুক্তি দিলে ১৯৯৭ সালে জেনিফার লোপেজের হলিউড ছবি এ্যানাকোন্ডার মতো এ্যানাকোন্ডা এখন রাতারগুলে নামে ছবি বানাতে পারতাম ,যেখানে এ্যানোকোন্ডা বধকারী জেনিফারের ভূমিকায় আপনি অভিনয় করতেন !!!!!!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২৬

জুন বলেছেন: প্রচুর ভ্রমণ করেও অপরূপা সিলেটকে বঞ্চিত করেছেন অনল চৌধুরী! কি বলেন আপনি! পরিস্থিতি ভালো হলে আর আপনি পর্যটক হলে অবশ্যই সিলেট ঘুরে আসবেন। নাহলে আর কয়েক বছর পর অসাধারণ সৌন্দর্য নিয়ে থাকা জাফলং এর কংকালসার চেহারার মতই বাকিদের অবস্থা হবে।
আমাজানের জলাভূমির বিশালতা আর গভীর অরন্যানীর সাথে রাতারগুলের তুলনাই হতে পারে না। আর এনাকোন্ডা নিয়ে নির্মিত প্রচুর হলিউডের ম্যুভি আমি দেখেছি। এই ভয়ংকর প্রানীটির সাথে ম্যুভি তো দূর, দেখা করার ইচ্ছেও আমার নেই। বিশেষ করে ঐ ম্যুভিটি তো ভয়ানক "এনাকোন্ডা এন্ড দ্যা রেড অর্কিড" মনে হয় এইটাই নাম হবে।
সুন্দর ও আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো :)

২৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন এবং বন্যপ্রাণী
অভয়ারণ্য রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট নিয়ে অপরূপ ছবিমালা দিয়ে সাজানো ভ্রমন পোষ্ট সাথে
ইউকে ও অস্ট্রেলিয়ার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ব্ল্যাক ওয়াটার মুভির সংক্ষিপ্ত একটি বিবরণ দিয়ে গড়া
ভ্রমন কাহিনীটি খুবই ভাল লেগেছে ।
ছবিটি সৌভাগ্যক্রমে আমি দেখেছি । ব্ল্যাক ওয়াটার মুভিতে গ্রেসের ভুমিকায় অভিনয়কারী
অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী ডায়না গ্লেনের কথা ভুলার মত নয় । বিগত ২০১২ সনে
অস্ট্রেলিয়ান প্রেসটিজিয়াস AACTA award হাতে ডায়না গ্লেনের একটি ছবি ।

রাতারগুলের জলাবনে নিমজ্জিত হিজলগাছের জুলন্ত ফুল সাথে সে বনে থাকা করচ গাছের ফুলগুলি দেখতে খুবই সুন্দর ।
রাতারকুলের জলাবনে ব্ল্যাক ওয়াটার মুভির সেই লোনাজলের ভয়াল দর্শন দানবীয় কুমীর না থাকলেও
আছে পানিতে ভেসে উঠা অপরূপ দর্শন সুন্দর সুন্দর অগনিত খলিসা মাছ যা দেখে পরান জুড়ায় ।

এই জলাবনে আরো একটি নামকরা অর্থকরি উদ্ভিদ মুত্রা জন্মায় যা দিয়ে সিলেটের গ্রামীন জনপদের

নারীগন ঘরে বসে কুটির শিল্প হিসাবে হাতে বুনেন নীচের মত নক্সী শিতল পাটি যা দেশ বিদেশে বেশ
বেশ সুনাম কুড়াচ্ছে ।

কামনা করি রাতালগুল দেশের একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিকসিত হোক ।

পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল

সবগুলি ছবি সুত্র: কৃতজ্ঞতার সহিত গুগল অন্তরজালের পাবলিক ডোমেনে থাকা ছবি ইমেজ ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৮

জুন বলেছেন: এত সুন্দর একটি মন্তব্যের উত্তর তারাহুড়া করে দেয়া উচিত না। তাই আসছি একটু সময় নিয়ে :)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০৮

জুন বলেছেন: এত তথ্য দিয়ে এমন একটি মন্তব্য করেছেন যার উত্তর দিতে কিছুটা সময় লেগে গেলো আমার । দুঃখিত । আপনিও ব্ল্যাক ওয়াটার ম্যুভিটি দেখেছেন জেনে খুব ভালোলাগলো এই কারনে যে আপনি সেই ছবির দৃশ্যের সাথে আমাদের রাতারগুলকেও মেলাতে পারবেন আলী ভাই :) ছোটবোন লীও দেখতে সুন্দর কিন্ত বেশিরভাগ সময়ই তাকে কাদামাটি মেখে অভিনয় করতে হয়েছে । পায়ের আঘাত থেকে রক্তক্ষরনে গ্রেসের মৃত্যুটিও বড্ড করুন ছিল ।
খলসে মাছটা কি সুন্দর, আমরা কোন মাছ দেখিনি তবে ওয়াচ টাওয়ারে নামার আগে একখন্ড মাটিতে নামার পর মাঝিদের মুখে জোক আছে শুনে মহা আতংকে ছিলাম। আমার কোন সময়ই খলসে মাছ আর মেনি মাছ আমার ভালোলাগতোনা তাঁর একটাই কারন এতে মাটি মাটি গন্ধ থাকতো । আর গন্ধের ব্যাপারে কেন জানি ছোট থেকেই আমার প্রচন্ড শুচীবায়ু :``>> দেখলাম তরতাজা মাছ লাফাচ্ছে , কিন্ত খাবার সময় কেউ যদি বলতো পচা গন্ধ তাহলে সেই মাছ আমাকে কেউ খাওয়াতে পারতো না ।
রাতারগুল নামের ব্যাপারে এর আগে মন্তব্যে ভুয়া মফিজ লিখেছিল মোরগের ঝুটি থেকে এই নামকরন কিন্ত এখন নেটে সার্চ দিয়ে দেখলাম এর নামকরনের উৎপত্তি ভিন্ন । সিলেটের স্থানীয় ভাষায় মুর্তা বা পাটি গাছ "রাতা গাছ" নামে পরিচিত। সেই রাতা গাছের নামানুসারে এ বনের নাম রাতারগুল।
সিলেটের শীতলপাটি ছাড়াও বেতের বিভিন্ন আসবাবের সাথে পরিচয় বহু আগে থেকেই। নেট থেকে জানলাম ১৯০৬ সালে কলকাতায় কৃষি প্রদর্শনীতে ৯০ টাকা মূল্যের একটি শীতলপাটি প্রদর্শন করে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন যদুরাম দাস নামের এক বুননকর্মী। ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটি শিল্পের আদিস্থান সিলেটের বালাগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায়। রাতারগুলে বেড়াতে যাবার সময় আমরাও সারি সারি বেতের ঝাড় পেরিয়ে গিয়েছিলাম । এই রইলো ছবি দেখেন :)
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সময় আর তথ্য নিয়ে মন্তব্য করেন যা আমার লেখাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিইয়ে যায় সাথে আমারও অনেক না জানা জিনিস জানা হয়ে যায় ।

২৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানে বুজলেন না! কুমিরের কথা কইতে গিয়াই তো আমারে স্মরন করলেন, আর পোষ্ট উৎসর্গ করলেন। কুমিরের সাথে আমার যোগসূত্র না থাকলে তো এইটা হইতো না। এইটাই ভালো দিক। :P

পুরা ফ্যামিলি খেয়ে শেষ করলো তাও উনি ভালো অবশ্যই। কুমির কি না খায়া থাকবো? আপনেও তো মাছ-মুরগীর ফ্যামিলি খায়া সাফা কইরা দ্যান! তহন!!!! =p~

আমাগো দ্যাশটা এখনও পর্যটন বান্ধব না। এর জন্য দরকার কড়া আইন আর আইনের প্রয়োগ। তাইলেই দ্যাখবেন আস্তে আস্তে সব ঠিক। খালি মাইনষেরে দোষ দিয়া লাভ নাই। সরকার ঠিক তো জনগন ঠিক।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৬

জুন বলেছেন: কুমিরের সাথে আমার যোগসূত্র না থাকলে তো এইটা হইতো না। এইটাই ভালো দিক। :P
হু এ যাবৎ অনেক লেখালেখি করছি কিন্ত কোনটাতেই কুমির না পাওয়ায় উৎসর্গ করতে একটু দেরী হইলো ( কাচুমাচুর ইমো হবে) :`>
তবে একটা উপকথা অনুবাদ করেছিলাম এতে কুমির আছে কিন্ত আপনার মত বুড়া দাদুরে কি সেই শিশুতোষ উপকথা উৎসর্গ করা যায় কন :-* তারপরো লিংক দিলাম নায়-নাত -কুড়রে পইড়া শুনাইয়েন অবশ্য অবশ্যই =p~ এক যে ছিল ছেয়ে খরগোশ আর এক ছিল হোৎকা কুমীর (থাইল্যন্ডের উপকথা )
শিক্ষিত না হইলে আইন কইরা লাভ নাই বুজলেন !
আরেকবার আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন :)

২৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৩

অন্তরন্তর বলেছেন: আমি এতবার সিলেট গেলাম কিন্তু রাতারগুল যাইনি কখনো। ইনশাআল্লাহ নেক্সট টাইম দেশে গেলে রাতারগুল যেতে চেষ্টা থাকবে। সুন্দর পোস্ট। শুভ কামনা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৭

জুন বলেছেন: অবশ্যই যাবেন কারন কখন সেটা জন সমুদ্রের কারনে ধ্বংস হয়ে যায় কে জানে ? আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা । ভালো থাকুন সব সময় ।

২৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৯

জুন বলেছেন: কি ব্যাপার এক শব্দে সব শেষ করলেন মনে হলো B:-) কি সুন্দর ? ছবি নাকি লেখা !
অনেক দিন ডুব দিয়ে ছিলেন মনে হয় । ভালো আছেন আশাকরি ?

২৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩০

ওমেরা বলেছেন: আমাদের দেশ কত সুন্দর ! প্রকৃতি নিজগুনে সাজিয়ে দিয়েছেন আমাদের দেশটাকে। আপনার ছবি আর বর্ননা অপূর্ব সুন্দর হয়েছে আপু মন ভরে যাওয়ার মত।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২০

জুন বলেছেন: ওমেরা আমার মনে আছে সিলেটের বিছানাকান্দি থেকে যখন নৌকা করে ফিরছিলাম তখন সেই নদীর দুপারের সেই অপরূপ দৃশ্য আমার চোখে গেথে আছে আজও। সাবিনা ইয়াসমিনের গানের মত বলতে হয় "ও আমার বাংলা মায়ের আকুল করা রূপের সুধায় হৃদয় যেন যায় জুড়িয়ে"।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ওমেরা :)

২৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:২৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনি বুঝতে পেরেছেন আমি সিলেটে যাই নি, যদিও ভুলে যাই লেখা হয়েছে।
কেনো যেনো সিলেট জেলা বাদ পড়ে গেছে। গত নভেম্বরে একবার উদ্যোগ নিয়েও বাড়ির নির্মাণ কাজ দেখাশোনার কারণে আর যেতে পারিনি।তবে চট্রগ্রাম জেলা, ওই বিভাগের ৩ পার্বত্য জেলা, কক্সসবাজার কয়েকবার করে গিয়েছি। জিঞ্জিরা দ্বীপেও একেবার।
এনাকোন্ডা নিয়ে নির্মিত প্রচুর হলিউডের ম্যুভি আমি দেখেছি- গায়িকা জেনিফার লোপেজ অভিনীত ১৯৯৭ এর প্রথম এ্যানাকোন্ডাই সবচেয়ে জনপ্রিয় আর ব্যবসা সফল।
এই ভয়ংকর প্রানীটির সাথে ম্যুভি তো দূর, দেখা করার ইচ্ছেও আমার নেই- তবে আপনার ভয়ের কিছুই নাই। আপনি তো জানেনই , এখন আর ছবিতে আসল প্রাণী ব্যাবহার হয় না। সবকিছু ভিএফএক্স এর মাধ্যমে করা হয়। তাছাড়া এ্রনাকোন্ডাকে ছবিতে যতোটা ভয়ংকর ভাবে দেখানো হয়, আসলে এরা সেরকম না। vfx of the Life of Pi

***ব্ল্যাক ওয়াটার ছবি কিছুটা ইউটিউবে দেখলাম। অভিনয় ভালো হলেও ভালো মানের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়নি। তাই ব্যবসাও ভালো করতে পারেনি।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫২

জুন বলেছেন: আমি বাংলাদেশের একমাত্র নোয়াখালী ছাড়া আর সব জায়গাতেই ঘুরেছি অনল চৌধুরী :) কোন কোন যায়গায় বহুবার যেমন কক্সবাজারে ১২/১৪ বার সেন্টমার্টিনে চার বার , গভীর সুন্দরবনে গাইড ট্যুরসের সাথে ৩ বার, পার্বত্য চট্টগ্রামে কত বার গিয়েছি মনে নেই । চন্দ্রঘোনায় আব্বার কাজের সুত্রে থেকেছিও কয়েকমাস তখন আমরা ছোট তাও পুরো চন্দ্রঘোনা, নদী পারি দিয়ে ওপারে ঘুরেছি । মোদ্দাকথা নোয়াখালি ছাড়া বাকি সব ।
এখন আর ছবিতে আসল প্রাণী ব্যাবহার হয় না। সবকিছু ভিএফএক্স এর মাধ্যমে করা হয়। এটা পরিস্কার বোঝা গেছে ডেভিড হ্যাসেলহফ অভিনীত Anaconda 3ঃ offspring এ । তবে আমার কাছে সবচেয়ে ভালোলেগেছে anacondas in the hunt for the Blood Orchid ম্যুভিটি । আরেকবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন । সব লেখায় সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা রইলো ।

অটঃ আপনার পোস্টে দুবার গিয়ে ঘুরে এসেছি , কাসিমপুরে গিয়ে মরার ইচ্ছে নেই তাই :(


২৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট আপু।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৯

জুন বলেছেন:
সময় নিয়ে এসেছেন, পড়ছেন, মন্তব্য করেছেন(লাইক দিয়েছেন কি না চেক করি নাই ) অনেক খুশী হয়েছি ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য আমি সাজিদ :)
আর আপনার নেহেরুর চিঠির কি হলো ? শেষ তো করলেন না দেখছি !
লিখুন তাড়াতাড়ি ।

৩০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: সব জেলায় গেলেও নোয়াখালী কি দোষ করলো বুঝলাম না !!!!!
কাপ্তাই গেছেন?
এই জায়গাটা হতে পারতো বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো সাতার কাটা আর নৌকা চালানোর একটা জায়গা । কারণ বাংলাদেশে এসবের জন্য কোনো ভালো জায়গা নাই।
কক্সবাজারের পানিতে সাতার কাটা যায় না কারণ প্রতি ১০-১৫ সেকেন্ডে একেকটা বড় ঢেউ আসে।
কিন্ত কাপ্তাই এতো সুন্দর জায়গা হওয়ার পরও সেখানে থাকার কোনো ভালো হোটেল না পেয়ে ২০১১ সালে সারাদিন হেটে চট্রগ্রাম চলে এসেছিলাম।
আপনার পোস্টে দুবার গিয়ে ঘুরে এসেছি, কাসিমপুরে গিয়ে মরার ইচ্ছে নেই তাই - আমরা কি জঙ্গলে থাকি নাকি যে কথা বললেই কাশিমপুর?

***প্রথমটা বাদ দেবেন।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৫

জুন বলেছেন: আসলে নোয়াখালী না যাবার কোন বিশেষ কারন নেই , সুযোগ হয়নি তাই আর যাওয়া হয়নি, সুযোগ পেলেই যাবো :)
কাপ্তাই তো কতবার গেলাম, বললাম না ঐ যে পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়েছি তাঁর মাঝে কাপ্তাইও ছিল বই কি । আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম যেমন রূপসী ছিল মনে হয় বেশি দিন থাকবে না । ব্যাবসায়ীদের লোলুপ দৃষ্টি পরেছে এই অরন্যানির উপর । ধ্বংস হবে জাফলং এর মতই ।
আপনার অভিজ্ঞতার কথা শুনে খারাপ লাগছে । এত দূর হেটে আসলেন ?
অনেক অনেক ধন্যবাদ আরেকবার এসেছেন তাঁর জন্য অনল চৌধুরী । ভালো থাকুন সবসময় । শুভকামনা রইলো ।

৩১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:০৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: সারাদিন হেটেছিলাম ভালো হোটেল বা রেষ্ট হাউসের খোজে। কাপ্তাই থেকে চট্রগ্রাম হেটে আসিনি। তবে ইচ্ছা করলে হেটেও আসা যেতো্ কারণ দূরত্ব মাত্র ৬৩ কি:মি।
২০০১ সালে যখন বান্দরবনে যাই , তখনও সেখানে কোনো ভালো হোটেল ছিলো না। ঢাকা থেকে সরাসরি শুধু ডলফিন পরিবহণ ছাড়া অন্য কোনো বাস চলতো না। চট্রগ্রাম ফিরে আসতে যাবো, এমন সময় কয়েকজনের পরামর্শে পাহাড়ের উপরে পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন পরিষদের বিশ্রামাগারে থাকতে পেরে বান্দরবন ভ্রমন করতে পেরেছিলাম। কিন্ত ২০১৬ গিয়ে দেখি, সেখানে দিনে ২০,০০০ টাকা ভাড়ার হোটেলও আছে। উপজাতি সন্ত্রাসীদের কথায় পার্বত্য এলাকা চলবে না
আশা করা যায়, কাপ্তাইতেও এরকম হবে।
কিন্ত বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নের গতি অত্যন্ত ধীর। ২০০০ সালে বোম্বে-গোয়া সরাসরি ট্রেন দেখিনি। কিন্ত মাত্র ৩ বছর পর ২০০৩ সালে গিয়ে দেখি, ৫৮০ কি:মি ট্রেন লাইন বানানো শেষ হয়েছে। কিন্ত বাংলাদেশে ১২ বছর আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর এবং ২০১৮ সালে কাজ শুরু হওয়ার পরও আজ পর্যন্ত দোহাজারী-চট্রগ্রাম মাত্র ১২০ কিমি রেল লাইনের কাজ শেষ হলোনা, এমনই শামুক গতি !!!!!
২০১১ সালে অলিম্পাস ক্যামেরায় আমার তোলা কাপ্তাই্ হ্রদের ছবি:

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৯

জুন বলেছেন: আমাদের দেশের উন্নয়নে বড় বাধা আমাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। মগবাজার ফ্লাই ওভারের কথাই ধরেন, এত বছর লাগিয়ে এত নোংরা আর অসুন্দর একটি উড়াল পথ এই যুগে কোন দেশে বানাতে পারে যা অবিশ্বাস্য। রেলপথ তো দূর অস্ত অনল চৌধুরী। আপনার ভ্রমণ প্রিয়তার কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। ছবিটাও খুব ন্যাচারাল। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

৩২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: আশা করি বাড়ি রঙ করা সারা।
দাওয়াত দিতে আসিলাম :P
হীরক রাজার (?) দেশে!!!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

জুন বলেছেন: দাওয়াত দিয়া লাভ নাই মাহা :(
বাপ্রে কাশিমপুর :-&
দাওয়াতি কার্যক্রম চালু রাখার জন্য বিশাল ধন্যবাদ পাইলেন :)

৩৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: “ঘ্রাণেন অর্ধ ভোজনং” -এর মতো আপনার ফটো দেখেই রাতারগুল ভ্রমণের অর্ধেক পূর্ণ হয়ে গেলো । চমৎকার ফটোগুলোর জন্য আপনাকেতো বটেই স্টিভ জব সাহেবকেও ধন্যবাদ দিলাম ।আপনি পৌঁছে দিলেই হবে । কিন্তু আমারটা আপনার রাতারগুলের ফটো দেখে রাধা মিচেলের Rouge সিনেমাটার কথা মনে হলো। নর্দার্ন অস্ট্রেলিয়ার এক সোয়াম্প এরিয়াতে একটা বোটে করে কিছু ট্যুরিস্টের দেখতে যাওয়া নিয়ে যাদের ২৫ ফিট লম্বা একটা কুমির আক্রমণ করে । সেটা নিয়েই দুই ঘন্টার মুটামুটি একটা হরর টাইপ সিনেমা ছিল সেটা । যাক আপনাদের যে সেরকম কিছু ধাওয়া করেনি তাতেই রক্ষা । সিলেট সব সময়ই সুন্দর । আমি অনেক আগে একবার সুনামগঞ্জের টেংরীটিলা (তখনও মনে হয় সুনামগঞ্জ জেলা হয়নি বা হলেও মাত্রই হয়েছে!)এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলাম সুরমা নদীর পারে। ওখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের উঁচু নীল পাহাড়গুলো দেখা যেত।খুব সুন্দর ছিল আমার সেই কয়েকটা দিন।সিলেটের যে সুন্দর ছবিটা আমার মনে আঁকা আছে সে রকম সব ফটো আপনার পোস্টে আবার দেখা গেলো।সুন্দর।আর রাতারগুল ভ্রমণে এখন যে ফি-ইম্পোজ করার কথা বললেন সেটা জেনে ভালো লাগলো । এই জায়গাগুলো ঠিক রাখতে কিছু নিয়ন কানুন করাই দরকার ভিজিটরদের জন্য।নইলে দেখা যাবে কোনো ক্রক নয় একসময় প্লাস্টিক পানির বোতল আর চিপসের ব্যাগে পুরো রাতারগুলের সোয়াম্প ভরে গেছে । পোস্ট যথারীতি সৌন্দযপূর্ণ ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

জুন বলেছেন: আন্তরিক এক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মলাসইলমুনা :)
আমিও আমার এই পোস্টে একটি ম্যুভির ডেস্ক্রিপশন দিয়েছি আপনার ম্যুভির মত একই পটভূমিতে। সেই নর্দার্ন অস্ট্রেলিয়ার সোয়াম্প ফরেস্টে চারজন গিয়েছিল, শুধু একজন বেচে ফেরে। ম্যুভিটির নাম "ব্ল্যাক ওয়াটার " আপনি যে নাম দিয়েছেন সেই ছবিটি তাহলে দেখতে হয়। আর আপনিও পারলে আমার দেয়া নামের ছবিটি দেখবেন। ভালো লাগবে।
সিলেট থেকে ভারতের মেঘালয় এর পাহাড়গুলো দেখা যায়। অপুর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য। আমি অবশ্য শেষের কবিতার লাবন্যের মত শিলং গিয়ে ওই পাহাড় চুড়ো থেকে বাংলাদেশকে দেখে এসেছি।
আরেকদফা ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সবসময়।

৩৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: রাতারগুলের অনেক ভিডিও দেখেছি, আপনার ছবি ও অনেক সুন্দর !

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪১

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা। ভালো থাকুন সবসময় :)

৩৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনি যাকে রাতার বলছেন জানিনা, সুন্দরবন এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে ছোট ছোট অগভীর খাঁড়ি(স্থানীয় ভাষায়) গুলিতে ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে অনেকেই মাছ কাঁকড়া বা মধু সংগ্রহ করতে যায়। অনেক বছর আগে আমরা তিন বন্ধু আগ্রহ বশত বঙ্গোপসাগরের মোহনায় দোবাকি ক্যাম্পে যাওয়ার পথে মাঝিকে রাজি করিয়ে একটি খাঁড়িরে ঢুকে যাই।মাঝি বারংবার ভয় দেখাচ্ছিল এমন খাঁড়িতে যেকোনো মুহূর্তে বাঘ আসতে পারে। আমাদের সাহস ছিল যেহেতু সঙ্গে ছিল ইঞ্জিন বোট। যাইহোক একজায়গায় নৌকা আটকে গেলে মাঝির চোখেমুখে যে আতঙ্ক দেখেছিলাম তা আজও ভুলতে পারেনি।কোনক্রমে লগা ঠেকিয়ে নৌকা ঘুরিয়ে আমাদের আবার মূল নদীতে নিয়ে আসে। তবে আসার পথে বাইনোকুলার দিয়ে নদীর চরে কুমিরকে রোদ পোহাতে দেখেছিলাম। কিছু বুনো শুয়োর ও বন মুরগি ছাড়া আর কিছু চোখে পড়েনি। আপনার রাতার ভ্রমণ তেমনি হরোর আমেজ তৈরি করলেও নিরাশ হলাম। তবে আপু ছবিগুলো ভালো হয়েছে।

আর উৎসর্গে ভালো লাগলেও বিষন্ন হলাম।কুমির ভাইয়ের জন্য একরাশ সান্ত্বনা। দেশী কুমিরের দেখা না পাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিদেশি কুমিরের গল্প শুনিয়ে আপাতত এ যাত্রায় মান রক্ষে......

শুভেচ্ছা জানবেন আপু।


০৫ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

জুন বলেছেন: পদাতিক রাতা হলো সিলেটের স্থানীয় ভাষায় মুর্তা বা পাটি গাছ "রাতা গাছ" নামে পরিচিত। সেই রাতা গাছের নামানুসারে এ বনের নাম রাতারগুল। সুন্দর বনে আমরাও দুবার গিয়েছিলাম তিন রাত চারদিন ছিলাম। কুমির সহ অনেক প্রানী দেখেছি কিন্ত বাঘ দেখিনি। আমাদের আওয়াজ পেয়ে বাঘ সরে গেছে তার আরামের বিছানা ছেড়ে এটা গাইড আমাদের হাত দিয়ে দেখালো আর তার পায়ের ছাপ ও ছিল চারিদিকে। গাইডেড ট্যুর কোম্পানির মাধ্যমে আমরা যাই, এরা আবার পরিবেশ বিষয়ে অনেক সচেতন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিদেশী ট্যুরিস্ট ও এম্বেসেডাররা এই কোম্পানির মাধ্যমে সুন্দরবন ট্যুরে যায়। তবে আমরা নিজেরাও সাতক্ষীরা অঞ্চল এর নীল ডুমুর এলাকায় প্রবেশ করেছিলাম মালঞ্চ নদী দিয়ে পদাতিক।
আন্তরিক এক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সবসময় সবাইকে নিয়ে :)

৩৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:




জুনাপু, রাতারগুল বলে একটা খুব সুন্দর নাটক দেখেছিলাম। ওটা ওখানেই শুটিং করেছিলো ।
জায়গাটা সেইরকম । তোমার পোষ্টের ছবিগুলোও দারুণ হয়েছে ।

আর সত্যি ঘটনা অবলম্বনে যে অজি মুভিটা Black Water, ভয়ংকর সুন্দর একটা মুভি ।
প্রতিটা মোমেন্ট শ্বাসরুদ্ধকর ! আমি সেই মেয়েটার কথা ভাবি যে এ ঘটনার সাক্ষী ।

এই মেমরি নিয়ে বেঁচে থাকাটা কতো চ্যালেঞ্জিং । পাগল হয়ে যাবার কথা ।



১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

জুন বলেছেন: মিররডডল আমি আন্তরিক দুঃখিত আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো বলে । আশাকরি আপুটাকে ক্ষমা করে দেবেন :)
রাতারগুল মানে ইদানীং বাংলাদেশের নাটক আমি দেখি্না । আমাকে আবার উন্নাসিক ভাববেন না, এর পেছনে কারন আছে সেটা হলো আমাদের নাটকের পাত্র পাত্রী বিশেষ করে নায়িকাদের সারাক্ষন একে অন্যের সাথে উচ্চকন্ঠে ঝগড়া, কথায় কথায় ঝামটা মারা, উগ্রতা এসব আমার একদমই পছন্দ না । আমি নিজেও কখনো কারো সাথে জীবনে উচু গলায় কথা বলি নি এর জন্য অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি , মিথ্যা অপবাদ পেয়েছি তারপর ও।
ব্ল্যাক ওয়াটার ম্যুভিটিও আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি ডল , বিশেষ করে এই করোনাকালে ঘরবন্দী থাকার সময় এই ম্যুভিটি ছাড়াও সিলভার স্ট্যালোনের এসাসিন,বোধ হয় দশবার দেখেছি , বহুবার দেখেছি জ্যুরাসিক পার্ক , জুলভার্নের থীম নিয়ে তইরী সিনেমাগুলো , এনাকোন্ডার উপরে করা ম্যুভিও । চারবার দেখলাম ক্লিন্ট ইস্ট উড আর মেরিল স্ট্রিপের ব্রিজেস অফ ম্যাডিসন কাউন্টি । মমের লেখা গল্প অবলম্বনে দ্যা পেইন্টেড ভেইল দেখলাম তিন বার :)
আমিও মেয়েটির কথা ভাবি , চোখের সামনে বোনের হাজবেন্ড আর বোন রক্তক্ষরনে তিলে তিলে মৃত্যু সত্যি অসহনীয় ।
প্রাসংগিক একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সাথে থাকবেন সব সময় এই প্রত্যাশা রইলো ।

৩৭| ২০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Click This Link

২০ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

জুন বলেছেন: লিংকের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। বইটি পাঠক প্রিয় হোক এই প্রত্যাশা রইলো।

৩৮| ২০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




একেবারে প্রথম দিকে করা আমার ইঞ্চিখানেক মন্তব্যখানা দেখে আপনি হতাশ হয়ে প্রতিউত্তরে আশা প্রকাশ করেছেন, যেন আমি আমার বিখ্যাত মন্তব্য নিয়ে আসি।

আসলে দেশে ছিলুম না আর পিচ্চি মন্তব্যখানি করেছি দেশের বাইরে থেকেই। :P
এবারে ফিরে রাতারগুলের কুমির বিহীন জলে আর একবার সাঁতার কাটার সাহস করতেই হলো আপনার প্রতিমন্তব্যের খোঁচায়।

ডঃ এম, এ, আলী আর মলাসইলমুইনার দেয়া খলশে মাছের মতো ঝকঝকে চিত্রিত মন্তব্যের পরে আমার মন্তব্য চেউয়া মাছের মতো ল্যাড়ল্যাড়ে মনে হবে, মনে হবে মাটি মাটি গন্ধে ভরা। আমি না দেখেছি ঐ ভূয়া মফিজ মার্কা কুমির নিয়ে করা কোনও ছবি , না গিয়েছি অমন কোথাও দূরে ..... দূরে! :(( তাই সেদিকে আর যাচ্ছিনে। :`>
ছবিগুলোর নান্দনিকতা নিয়ে হয়তো বলা যায় - নিঃস্বর্গের অপরূপ ছোঁয়া মাখা, শীতলতম অনুভূতি জাগিয়ে যাওয়া সব ছবি।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:১৬

জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস প্রথমেই জানিয়ে রাখি অসাধারণ এক মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। বিদেশে কই ছিলেন? এত সাহস নিয়ে এসেছেন তাহলে কি আফ্রিকার লিম্পোপো নদীর পাড় থেকে ঘুরে আসলেন নাকি? কিশোরী কালে কাজী আনোয়ার হোসেন এর কুয়াশা সিরিজে পড়েছিলাম ভয়ংকর সেই লিম্পোপো নদীর কিচছা যেখানে অসংখ্য কুমির গিজগিজ করে। তখন থেকেই এই নদীর নামটি মনে গেথে আছে বুঝলেন B-)
ডক্টর এম এ আলী ও মলাসইলমুনার মন্তব্য তো বরাবরের মতই ইউনিক। এইটা কি আর বলতে হয়! তবে আপনি ম্যুভি না দেখলেও মন্তব্য করেছেন একেবারে খাসা যেন পুরানো খাতাপত্র আর ভাংগা কাচের বিনিময়ে পাওয়া কটকটি :)
সবশেষ লাইনে আমার তোলা ছবির প্রশংসা লাইনটি সযত্নে তুলে রাখলুম অন্য কোথাও ব্যবহার করবো বলে ;)
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর ছবি ব্লগ। + +
রাতারগুলে এখনো আমার যাওয়া হয়নি। আর হবে বলে মনেও হচ্ছে না, কারণ করোনা ভীতি সহজে যাবে না।
আমেরিকার ফ্লোরিডা রাজ্যে অনেক সোয়াম্প ফরেস্ট আছে।
আবার আসবো ইন শা আল্লাহ আপনার এ পোস্টে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে খায়রুল আহসান । হু বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় দেখি ফ্লোরিডায় কুমির আর বড় বড় পাইথন যা ঘরেও চলে এসে আশ্রয় নেয় । ভাবতেই ভয় হয় বৈকি ।
করোনা শেষ হলে ঘুরে আসবেন রাতারগুল । ভালোলাগবে ।
শুভেচ্ছান্তে

৪০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাদের নৌকোর মাঝি হিসেবে ঐ পিচ্চিটার ছবি দেখে মনে হলো, বিরাট এক রিস্ক নিয়েছিলেন। আবার মনে মায়াও জেগে উঠলো, যে বয়সে পিচ্চিটার বই কিংবা বল নিয়ে থাকার কথা, সে বয়সে সে অন্ন সংস্থানের পথ খুঁজছে।
একসময় সিলেটে একবছর ছিলাম সপরিবারে। কিন্তু তথাপি রাতারগুল যাওয়া হয়নি বলে এখন খুব আফসোস হয়।
উৎসর্গটা ভাল হয়েছে, উৎসর্গের কথাগুলোও।
আমাদের দুলাভাই কি নৌকা বাইতে পারদর্শী (৬ নং প্রতিমন্তব্য সূত্রে)?
১৬ নং প্রতিমন্তব্যে রোদ পোহানো আলসে কুমীরটার ছবি ভাল হয়েছে। ফ্লোরিডায় একবার একটা বাচ্চা কুমীরের সাথে ছবি তুলেছিলাম। ফোন চেঞ্জ হওয়াতে সেটা হারিয়ে ফেলেছি।
"কুমির সাহেব আর কুমির নাই...........হাহাহাহা। বৃটেন চালায়েও ব্লগে নিয়মিত হাজিরা দেন" - সোহানী'র এ কথাগুলো ভাল লেগেছে। :)
উৎসর্গটা ভাল হয়েছে, উৎসর্গের কথাগুলোও।
জানি, উপরের মন্তব্যটা আপনার ভাল লেগেনি।

পোস্টে আপাততঃ সর্বশেষ (২৩তম) ভাল লাগা + +।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩

জুন বলেছেন: আপনাদের নৌকোর মাঝি হিসেবে ঐ পিচ্চিটার ছবি দেখে মনে হলো, বিরাট এক রিস্ক নিয়েছিলেন। অল্প একটু সামনেই নৌকার আসল মাঝি ছিল । তবে আমার কর্তা মশাইও ঐ পথাটুকু লগি বেয়ে তাকে হেল্প করেছিল । নইলে এই বাচ্চা ছেলেটাকে খাটিয়ে আমরা যেতামই না। আগে তো ঢাকার ভেতরেই কত খাল বিল ছিল যা বর্তমানে ভুমিদস্যুদের কবলে। তখন নৌকার মাঝির হাত থেকে বৈঠা নিয়ে একটু আধটু সবাই বাইতো । তারপর এখন বিভিন্ন ডে ট্রিপে গেলে অনেক যায়গায় কায়াকিং করতে নামে । এই তাঁর অভিজ্ঞতা :)
আরেকবার আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আর মন্তব্য দুটো চোখ ফাকি দিয়ে গেছে তাঁর জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি ।

৪১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯

মা.হাসান বলেছেন: দাওয়াত দিতে আসিলাম।

আজকাল স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকিলেও নাকি ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করিতেছে। ভাই-বোন একত্রিত হইলেও করে না কি সেই লইয়া অবশ্য কিছুটা চিন্তা হইতেছে।

থাইল্যান্ডে ভবন ধ্বসের কথা শুনিলাম। আশা করি আপনার বাড়ি না। বাড়ি যদি বানাইতেই হয় তবে বেগম পাড়াতেই বানাইয়েন, ভদ্র প্রতিবেশি পাইবেন। B-))

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

জুন বলেছেন: কত দিনের পুরনো দাওয়াত আর কি না দেখলাম আজ । এই জন্যই মুরুব্বীরা বলে দাওয়াতের আগে আর মিছিলের পিছে :`>

বেগম পাড়ায় কি আর খালি বাড়ি/প্লট আছে মাহা ? যে দেশের মানুষ আইসিও পর্যন্ত দখল করে রাখে সেখানে বেগমপাড়ায় কি কিছু খালি ফেলে রাখছে !! খবর নিয়া একটু জানাইয়েন তো :-*
ভদ্র প্রতিবেশি পাইবেন। :-* B:-)

৪২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপা, অনেকদিন পরে ব্লগে এসে আপনার লেখাটা পড়লাম।
ছবি ও বর্ণনা বরাবরের মতই অসাধারণ!
অনেক অনেক শুভকামনা আপা।
খুব ভালো থাকবেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক দিন পর আমার ব্লগে দেখে কি যে খুশী হয়েছি বলার নয় । আপনি কি এখন আর লেখালেখি করেনই না ? নাকি অন্য কোথাও লিখেন ? অনেক মিস করি আপনার ভ্রমন আর ফুলের ব্লগ । ফিরে আসুন ব্লগে :)
ভালো থাকুন আপনিও ।

৪৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আর মন্তব্য দুটো চোখ ফাকি দিয়ে গেছে তাঁর জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি" - :)
আপনার পোস্টের মন্তব্য আপনি যখন সুবিধে মনে করবেন, তখনই দেবেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

জুন বলেছেন: আসলেই আর দুঃখ প্রকাশ করবো না খায়রুল আহসান। এখন থেকে ধরেই নিবো আপনি আমার লেখা পোস্ট করার অনেক অনেক দিন পরে এসে আপনার মন্তব্যটি রেখে যাবেন এটাই দস্তুর :)
আবারও ধন্যবাদ আন্তরিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.