নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাচীন গ্রীসের একদল ভাড়াটিয়া ক্রন্দসী
এক মৃত ধনীর ব্যাক্তির বাড়িতে কালো বা গাঢ় নীল পোশাকে একদল অনাত্মীয় মেয়েদের করুন কান্না কখনো শুনেছেন কি? চেনা নাই,জানা নাই তার জন্য মাটিতে বসে হাত পা ছুড়ে বুক চাপড়ে চোখের পানিতে গাল ভাসিয়ে কেদে চলেছে মেয়েদের এক দল। কি অবাক করা বিষয় তাই না? কিন্ত বিশ্বে এরও প্রচলন ছিল এবং এখনো আছে।
এই ভাড়াটিয়া ক্রন্দসীদের সম্পর্কে প্রথম জানা যায় প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার সময়। এই পেশাজীবি ক্রন্দসীর দল চুল খুলে, চিতকার করে, মাটি থাপড়ে বুক চাপড়ে কেদে চলতো। শেষ পর্যন্ত মৃতদেহকে অনুসরণ করে চলতো। যে যত ধনী তার শবদাহ হতো তত জাকজমক করে আর পেশাজীবিদের কান্নার সময়ও দীর্ঘমেয়াদি হতো। বিশেষ করে তারা মৃতদের দেবতা আইসিস আর ওসিরিসিকে উদ্দেশ্য করে কাদতো। ভাড়াটে কান্নার পেশায় সাধারণত মেয়েদেরই দেখা যায়। কারণ তাদের কোমল এবং নরম মন ও শারীরিক গঠনের জন্য।
৭০০ শতাব্দীতে চীনেও এই কালচার দেখা যায়, তবে তারা শবদেহের সাথে শোভাযাত্রা করে সমাধি স্থানে পৌছাতো।
ইউরোপেও এই চল ছিল তবে ভিন্ন বছরে স্টাইলে। মেক্সিকোতে বছরের একদিন মৃত আত্নাদের জন্য তাদের আত্নীয়স্বজনরা শোভাযাত্রার মাধ্যমে সমাধি স্থলে পৌছে বিভিন্ন ভাবে তাদের স্মরণ করে থাকে। এই দৃশ্য হয়তো আপ্নারা দেখে থাকবেন সিলভেস্টার স্ট্যালোন অভিনীত এসাসিন ম্যুভিতে।পাক ভারত উপমহাদেশে বিশেষ করে ভারতের রাজস্থানেও এইসব ভাড়াটিয়া ক্রন্দসীদের দেখা মেলে।এদের বলা হয় রূদালী। হিন্দি ভাষায় রূ বা রো অর্থ কান্না। রূদালীদের নিয়ে ভারতের কল্পনা লাজমী একটি সিনেমা তৈরি করেছিলেন, ম্যুভিটার নামও "রূদালী" অর্থাৎ পেশাজীবি ক্রন্দসী । ভারতের বিখ্যাত লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর লেখা সাড়া জাগানো একটি ছোট গল্প নিয়ে তৈরি সিনেমায় নায়িকা শনিচরীর ভুমিকায় অভিনয় করে পুরস্কার জিতে নেন ডিম্পল কাপাডিয়া। রূদালী ছবির একটি দৃশ্য
রুক্ষ মরুময় রাজস্থানের কয়েকটি গ্রামে অতি দরিদ্র নিম্ন বর্নের জনগোষ্ঠীর বসবাস। সেই গ্রামগুলোতে অশুভ দিন বলে চিনহিত শনিবার একটি মেয়ের জন্ম হয়েছিল। তার নাম রাখা হয়েছিল শনিচরী। আজন্মকাল দুর্ভাগ্য আর দারিদ্র্যতার সাথে সংগ্রাম করা শনিচরী স্বামী সন্তান নিয়েও বিন্দুমাত্র সুখের মুখ দেখেনি। একে একে স্বামী সন্তান ফেলে গিয়েছিল নি:স্ব শনিচরীকে, যেমন করে ছোট বেলায় ফেলে গিয়েছিল মা অভিনয় জগতে নাম লেখাতে।
দারিদ্রের সাথে অনবরত এই সংগ্রাম তার হৃদয়কে এতটাই কঠোর করেছিল যে স্বামী সন্তানের অপমৃত্যুও তার চোখে এক ফোটা পানি আনতে পারে নি। সেই কিনা পরবর্তীতে এক মহিলার সাহায্যে পয়সার বিনিময়ে কান্নার পেশার সন্ধান খুজে পায়, যেখানে তাকে মাটিতে শুয়ে বসে বুক চাপড়ে, থুতু দিয়ে চোখে জলের রেখা তৈরি করে মেকি কান্না কাদতে হয় গ্রামের কোন বিশাল জমিদার বা নিষ্ঠুর ধনী ব্যাক্তির মৃত্যুর পর এক শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য।
শেষে আমার জিজ্ঞাসা সারা বিশ্বের চোখের সামনে ইসরাইলি বর্বতায় গাজার এমন এক পরিস্থিতি, কেউ কারো জন্য কাদবে এমন মানুষ নেই। তবে কি সেখানকার মৃতদের জন্য আজ রূদালীদের প্রয়োজন??
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
জুন বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই প্রথম মন্তব্যের জন্য শেরজা। যাক আমার সৌজন্যে আপনার জ্ঞ্যান-ভান্ডার কিছুটা পরিপূর্ণ হইলো
রূপালী না ম্যুভিটার নাম রূদালী, হিন্দিতে রো বা রূ অর্থ কান্না
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তাহলে কান্না করার জন্য লোক ভাড়া পাওয়া যায়?
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮
জুন বলেছেন: হ্যা সেই প্রাচীন কাল থেকেই মশিউর রহমান। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১০
শেরজা তপন বলেছেন: ও গাজার মত এমন পরিস্থিতি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে হয়েছিল- তখন কান্নার মানুষ ছিল কিন্তু কান্না করার উপায় ছিল না,চোখের জল শুকিয়ে গিয়েছিল!
ইসরাইলকে থামানোর কি উপায় আছে বলে আপনার মনে হয়?
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০২
জুন বলেছেন: ইসরায়েলকে থামাতে পারে কেবল তাদের স্রস্টারা। লোভ ও লালসার বাইরে গিয়ে মানবতার খাতিরে, কিন্ত সেই চক্ষুলজ্জাটুকু তাদের ভেতর আছে কি না আমার সন্দেহ। ইউক্রেন ও ইসরায়েল নিয়ে তাদের দুমুখো নীতিতো সারা দুনিয়ার কাছেই স্পষ্ট শেরজা। অবশ্য এটা সম্পুর্ন আমার মতামত।
আরেকবার এসেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমিও অবশ্য ৩/৪ বার যাই
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
কাছের-মানুষ বলেছেন: এই পেশা যে ছিল এবং এখনো আছে এটাই জানতাম না! ফিলিস্তিনদের পক্ষে খোদ আমেরিকায়ও সাধারণ মানুষ কথা বলছে, আন্দোলন করছে, ইজরাইলের হামলার প্রতিবাদ করছে, এই মানবিক বিপর্যয়ের হিসাব তাদের দিতে হবে একদিন না একদিন!
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৮
জুন বলেছেন: বিশ্ব মানবতার ধ্বজাধারী আমেরিকা আর তাদের জনগনের জেগে উঠা নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পরে। এবার মনে হয় স্টুডেন্টরা জেগে উঠেছে কিছুটা। কাল দেখলাম ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে যাবার জন্য তৈরি অস্ত্র বোঝাই এক জাহাজ আটকে রেখেছে। তবে তাদের দেশের সাধারণ মানুষের উপর আমার ভরষা নেই। তারা নিজের ভালো মন্দ ছাড়া আর কিছুই বোঝে না। আমার পরিচিত আমেরিকান অনেকে বলে তোমরা বিশ্ব আর রাজনীতি নিয়ে যেমন মাথা ঘামাও আমরা এইসব আজাইরা জিনিস নিয়ে ভাবি না। ওহ সেলুকাস কি বিচিত্র এইসব লোকজন!
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২
বাকপ্রবাস বলেছেন: আমাদের কান্নাগুলো সংরক্ষিত, বিশেষ কারন মুহুর্ত বুঝে সে ঝরে পড়ে
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১২
জুন বলেছেন: সেটাই। আমাদেরটা দু:খ কষ্ট বুঝে আসে আর ওদের কান্না পেটের ক্ষুধা মেটানোর জন্য। এখানে বিশাল একটা পার্থক্য আছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বাকপ্রবাস।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সারা বিশ্বের চোখের সামনে ইসরাইলি বর্বতায় গাজার এমন এক পরিস্থিতি, কেউ কারো জন্য কাদবে এমন মানুষ নেই। তবে কি সেখানকার মৃতদের জন্য রূদালীদের প্রয়োজন??
না রূদালীদের প্রয়োজন নেই। এখন প্রয়োজন ক্রোধ। ক্রোধের আগুনে পুড়িয়ে সকল বর্বরতাকে ভস্ম করে দেয়া দরকার।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩১
জুন বলেছেন: না রূদালীদের প্রয়োজন নেই। এখন প্রয়োজন ক্রোধ। ক্রোধের আগুনে পুড়িয়ে সকল বর্বরতাকে ভস্ম করে দেয়া দরকার। তাই যদি সম্ভব হতো তবে কত অন্যায় অবিচারের প্রতিশোধ নেয়া যেত গেয়োভুত।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা এদের বিষয়ে আমি অবগত আছি।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩
জুন বলেছেন: এ বিষয়ে অনেকেই অবগত আছেন আবার অনেকেই নেই। তাই সবার অবগতির জন্য এই লেখা রাজীব নুর
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: রুদালী লিখতে চেয়েছিলাম রূপালী হয়ে গিয়েছে স্পিচ টু রাইটের এই একটা সমস্যা। একটা অফিসে মিটিং এর ফাঁকে ফাঁকে লেখা পড়ে মন্তব্য করছি
* তিনবার আইলাম।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬
জুন বলেছেন: তিন বার না চারবার শেরজা
অফিসের ফাকে ফাকেও ব্লগিং
ব্যানানা গার্ডেন জানতে পারলে দেইখেন আপনার কি অবস্থা হয়
ম্যালা ধন্যবাদ আপনাকে। পরের মন্তব্যটি মুছে দিলাম।
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একমাত্র আমেরিকা ইসরাইলকে অন্ধ সমর্থন দেওয়া বন্ধ করলে ইসরাইল এমনিতে থেমে যেত কিন্তু সে আশা এখন দূরাশা!
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪
জুন বলেছেন: ব্লিংকেন তো মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে গাজার নিরপরাধ মানুষের জন্য কিছু করেছে কি না সন্দেহ মশিউর রহমান। তাদের উদ্দেশ্য তো জিম্মি মুক্তি তারপর ফিলিস্তিনি সহ গাজাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া। মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হলো তার জন্য দু:খিত।
১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: এইপেশা চালু করলে কেমন হয় ! আমাদের ব্লগের কয়েকজনকে নিয়ে চালু করলাম । বিশেষ করে যারা ব্লগ নিয়ে হা হুতাশ করে বেশি তাদের দলে যুক্ত করা হবে । কেবল মৃত্যু নয় সকল ব্যাপারে গিয়ে তারা হা হুতাশা কান্না কাটি করবে !
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬
জুন বলেছেন: ভালো উদ্যোগ অপু তানভীর। আমিতো নেতৃত্ব দেয়ার ব্যাপারে তেমন একজন এলেমদার ব্যাক্তি নই, এখন খুজে দেখতে হবে কে আছে সুরে সুরে হা হুতাশ করার
শুভেচ্ছা সকালের।
১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২
করুণাধারা বলেছেন: গাজার জন্য ভাড়াটে কাঁদুনে লাগবে কেন! আমাদের হৃদয় তো পাথর হয়ে যায়নি!!
ভাড়াটে কাঁদুনের কাহিনী পড়তে ভালই লাগলো। আমি কোথাও পড়েছিলাম, সাম্প্রতিক কালে জাপানেও এমন ভাড়াটে কাঁদুনে পাওয়া যায়।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৭
জুন বলেছেন: প্রিয় গায়ক সুবীর নন্দীর ভাষায় গাইতে হয় "আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়" করুনাধারা। সেই পাথর না হয়ে যাওয়া চোখে পানি ঝরে পরবে গাজার অগনিত মৃত মানুষের জন্য।
বিভিন্ন শোকের অনুষ্ঠানে পেশাজীবি ক্রন্দসীদের উপস্থিতি ছিল সেই মিশরীয় ফারাওদের আমল থেকেই। এরপর ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশের সাথে সাথে পৃথিবীর অনেক দেশেই এই প্রচলন দেখা যায়। জাপানিদের মধ্যে হওয়ার কথাই। জনসংখ্যা নীচুর দিকে, উর্ধ্বগামী বৃদ্ধ জনসংখ্যার সাথে অল্প সংখ্যক ইয়াং জেনারেশনের দুরত্ব বোজাতে ভাড়াটে কান্নার লোকই দরকার।
অনেক অনেক ধন্যবাদ করুনাধারা সব সময় সাথে থাকার জন্য।
১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমাদের দেশের গ্রামে গঞ্জেও নাকি এমন মানুষ পাওয়া যেত যারা টাকার বিনিময়ে বিলাপ করে বেড়াবে । যদিও এর সত্যতা পাওয়া যায় না । শাকিব খানের প্রিয়তমা সিনেমা দেখে কেঁদেছে এমন কিছু মানুষকে এই প্রফেশনাল কাঁদুনি বলে প্রচলন শুরু হয় । এখন নাকি এটা চলছে । যদিও এরও সত্যতা আমার জানা নাই ।
অপু ভাই যা করতে চাইছেন তা করতে পারেন তবে ব্লগে মাটি চাপড়ে কাঁদবে কে ??
বেশ ভালো একটা পোস্ট আপা ! ভালো থাকবেন !
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৪
জুন বলেছেন: আমাদের দেশগ্রামে যারা শোকের বাড়িতে বিলাপ করে কাদে তারা পেশাজীবি নয়, তারা এমনি পরিচিত বা আত্নীয় হয়ে থাকে। এতা কান্নার বিনিময়ে পয়সা নেয় না বলেই জানি নির্বহ।
দোনো শাকিবকে নিয়ে আমার বলার কিছু নেই, দুজনেই আচার আচরণে নিম্নবর্গের। এই বিশ্বকাপেই লিটন দাস অপর পক্ষের এক প্লেয়ারকে ডেকে নিয়েছিল টেকনিক্যাল আউট হওয়ার পরও। আর কাল শাকিব কি করলো ম্যাথুসের সাথে! ছিহ।
ব্লগে মাটি চাপড়ে কাদার লোক অপু আর আপনাকেই বের করতে হবে দেখছি
পোস্ট ভালো লাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: একবার চট্টগ্রামের মেহেদীবাগে একজনের সাথে একটা বাসায় গিয়েছিলাম। সেই বন্ধুর আত্মীয় মারা গিয়েছিল। একজন মহিলাকে কান্না করতে দেখে ভেবেছিলাম তিনি অত্যন্ত কাছের। পরে শুনেছিলাম সেই মহিলা নাকি অনেক অনেক দূরের ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৮
জুন বলেছেন: মেহেদীবাগে আমার খালার বাসার ছাদ থেকেও আমি অনেক তারা দেখেছিলাম একদিন ডার্কম্যান। যাইহোক এখন আমরা অনেক উন্নত হয়ে গেছি, কারো চলে যাওয়ায় চোখে পানি আসে না, অন্তর জ্বলে উঠে না। এক সময় মানুষ পাড়া পড়শীর দুখ শোকেও সমান অংশ নিত, সমান ভাগীদার হতো। শহরগুলোর বাইরে মনে হয় এখনো এমন দৃশ্য দেখা যায়।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হিন্দি সিনেমা রুদালিতে এই কাঁদুনে আছে। ভুপেন হাজারিকার একটা গান আছে এই সিনেমায়। পোস্ট পুরোটা পড়ি নাই। পরে আবার এসে মন্তব্য করবো।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৩
জুন বলেছেন: পোস্ট পুরোটা পড়েন নাই সেটা বুঝেছি কিন্তু আরেকবার আসবেন কি না তাই নিয়ে চিন্তিত আমি
ভুপেন হাজারিকার এই গানটি সহ সব গানই আমি অনেক অনেক বার শুনেছি। বাংলাদেশের ম্যুভি সীমানা পেরিয়েতে ছিল মেঘ থম থম করে গানটি। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ রইলো।
১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৮
সোহানী বলেছেন: টাকা যার রুদালী তার। ইসরাইল বলেন আর আম্রিকা বলেন সবাই এক জিনিসের দাস।
সব স্বার্থ উপ্ক্ষো করে কানাডার ট্রডো শক্তিশালী ভয়েস রেখেছে ফিলিস্তিনিদের জন্য। আই স্যালুট হিম।
রুদালী নিয়ে আপনি আগেও একটা লিখায় উল্লেখ করেছিলেন। "দিল হুম হুম করে" আমার প্রিয় একটি গান। লতা বা ভূপেন, দু'জনেই অসাধারন গেয়েছেন।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৬
জুন বলেছেন: সোহানী আজ থেকে আমরা একে অন্যকে তুমি বলবো কেমন? কারন এই মাত্র সাচু এটা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছে
ধনীরাই তাদের শোককে আরও প্রকট ভাবে প্রকাশ করার জন্যই এই ব্যবস্থা করে থাকে। কারন যারা কাদবে তারা তো ঘরের বাইরে আসতে পারে না, নিষেধ কিন্ত কান্নাকাটি করারও প্রয়োজন। তাই এই ক্রন্দসীদের সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রুডো শক্তিশালী ভয়েস রাখলে কি হবে! বুড়ো নাটের গুরুকে তো কেউ দমাতে পারছে না। দুনিয়াটা ধ্বংস না করা পর্যন্ত তার শান্তি নাই
ভুপেন হাজারিকার গলা, গান সুর সবই অসাধারণ আমাদের খুব পছন্দের শিল্পী। আসামের গৌহাটি বেড়াতে গিয়ে তার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অনেক কিছু জেনেছিলাম।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো। সাথে রাত্রির শুভেচ্ছা
১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এই পেশাটা আরও জমজমাট হবে শেষ যমানায়। হাদীসে এমন ইঙ্গিত রয়েছে যে মৃতের বাড়িতে কান্নার জন্য টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে আনা হবে।
ফিলিস্তিনির জন্য এদের কান্নার প্রয়োজন নেই। হাজারো প্রকৃত মুসলিম কাঁদছে নিরবে তাদের মুক্তির জন্য , শান্তির জন্য ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১১
জুন বলেছেন: শেষ যমানা কই মাইদুল সরকার! এরা তো সেই মিশরের ফারাওদের মৃত্যুর সময় থেকে ভাড়াটে কাদুনী হিসেবে কাদছে।
হাজারো মুসলিম কাদছে বিশ্ব জুড়ে কিন্ত ফিলিস্তিনের মুসলিমদের চোখের পানি শুকিয়ে গেছে ইসরাইলী ও তাদের সহযোগী দেশগুলোর বর্বরতায়। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: কি ভয়ঙ্কর পেশা! জোড় করে কি কান্নাকাটি করা যায় ?
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৩
জুন বলেছেন: ভয়ংকর না ঢাবিয়ান, এটা অত্যন্ত কঠিন একটা পেশা।
সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০১
শায়মা বলেছেন: এদের কথা আমি আগেও শুনেছিলাম।
তবে সিনেমার কথা আজ জানলাম।
আপুনি কোথাও হাসি বিক্রির কাজ থাকলে আমাকে দিও.......
কান্না বড় দামী উহা বিক্রয়যোগ্য নহে !!!!!!!!!!
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৬
জুন বলেছেন: রূদালী সিনেমাটি দেখো শায়মা, জীবন যে কত কষ্টের এই ম্যুভিটি দেখলে অনুভব করা যায়। আসলেই কান্না অনেক অনেক দামী, কেউ হাসি কিনলে তোমার সাথে যোগাযোগ করতে বলবো
আন্তরিক একটি মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশী হয়েছি।
১৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পোস্টে একটা হাহা রিয়্যাক্ট দিতে পারলে ভালো লাগতো। দোয়া, দরুদ পড়ার জন্য লোক ভাড়া করার বিষয়টি হয়তো ঠিক আছে কিন্তু তাই বলে কান্না করতেও লোক ভাড়া!!
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২২
জুন বলেছেন: পৃথিবীর বহু দেশে পেশাজীবি ক্রন্দসী রয়েছে, এবং এটা একটি আদিমতম পেশা। বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতার দেশ মিশরের সেই ফেরাউনদের সময়ও এর প্রচলন ছিল। আমি এটা নিয়ে নেটে সার্চ দিয়ে এক্কেবারে তাজ্জব বনে গেলাম জ্যাক স্মিথ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।
২০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: আমার অফিসে না আরেকজনের অফিসে। জেনারেলদের ব্যাপার স্যাপার- সেইরকম ব্যস্ত মানুষ! আমার মত চুনোপুঁটিরে আড়েঠারে সময় দেয়। সেই ফাঁকে আমি ব্লগিং করি
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৫
জুন বলেছেন: বাহ ভালোই "নেশা লাগিলো রে" এক্কেবারে অন্যের অফিসে বসেও ব্লগিং
আর কি কমু মারহাবা মারহাবা বলা ছাড়া
আরেকবার এসেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সাথে শুভকামনা রইলো। আর সাচুর পোস্টে একটা লাইক দিয়া আইসেন
২১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
আপনার পোস্টটির শিরোনাম দেখেই আমার হিন্দি ছায়াছবি " রূদালী"র কথা মনে হয়েছিলো। আপনার পোস্টের ভেতরে দেখি, আপনি সেটা নিয়েও লিখেছেন।
১৮ নম্বর মন্তব্যে শায়মা খুব দামী একটা কথা বলেছে - "কান্না বড় দামী উহা বিক্রয়যোগ্য নহে !!!!!"
কিন্তু শুনতে পাই, দেশেও নাকি ইদানীং কান্না বিক্রি করার লোকজন দেখা যাচ্ছে!!!!!!
বরাবরের মতোই ইতিহাসাশ্রিত লেখা। প্লাস++++++++
১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬
জুন বলেছেন: আপনার পোস্টটির শিরোনাম দেখেই আমার হিন্দি ছায়াছবি " রূদালী"র কথা মনে হয়েছিলো। আপনার পোস্টের ভেতরে দেখি, আপনি সেটা নিয়েও লিখেছেন। আমিও গাজায় আজ কান্নার লোক নেই ভাবতে গিয়ে মনে পরে ভারতীয় ছায়াছবি রূদালীর কথা । তা নিয়েই লিখতে বসে গুগুলে গিয়ে দেখি এরা শুধু রাজস্থানেই নয় অনেক অনেক প্রাচীন সভ্যতা জুড়ে রয়েছে এই আদিমতম পেশা ,যাদেরকে বলে পেশাজীবি ক্রন্দসী ।
কান্না বড় দামী উহা বিক্রয়যোগ্য নহে আসলেই শায়মা ঠিকই বলেছে কান্না বড় দামী হাসিই সস্তা ।
দেরী হইয়ে গেল উত্তর দিতে । আশাকরি কিছু মনে করবেন না । ভালো থাকুন সব সময় আর সাথে থাকুন
২২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৪৯
শার্দূল ২২ বলেছেন: মোশারফ করিমের একটা নাটক দেখেছিলাম , যেখানে মোশারফ করিম টাকার বিনিময়ে মৃতের বাড়িতে মাটিতে গড়াগড়ি করে কাননা করে। আমি ভেবেছিলাম এটা লেখকের মনের কল্পনা, এমন সত্যি হতে পারে জানা ছিলোনা। এত খবর কই পাও?
আপু তোমার এক দিনের সকাল থেকে সন্ধ্যার সকল কিছু বলোতো কি করো কিভাবে কাটে তোমার সময়। ট্রাভেল তোমার প্রিয় জানি, আর কি কি প্রিয় বলতো? একটা নতুন মানুষ সামনে আসলে তোমার চোখ কোথায় পড়ে বা মানুসটার কোন বিষয় কে তুমি বেশি প্রাধান্য দাও? একটা মানুষের কোন দিকটা চোখে পড়লে তুমি আর তার কোন কিছু শুনতে চাওনা। ?
১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯
জুন বলেছেন: আপু তোমার এক দিনের সকাল থেকে সন্ধ্যার সকল কিছু বলোতো কি করো কিভাবে কাটে তোমার সময়। ট্রাভেল তোমার প্রিয় জানি, আর কি কি প্রিয় বলতো? একটা নতুন মানুষ সামনে আসলে তোমার চোখ কোথায় পড়ে বা মানুসটার কোন বিষয় কে তুমি বেশি প্রাধান্য দাও? একটা মানুষের কোন দিকটা চোখে পড়লে তুমি আর তার কোন কিছু শুনতে চাওনা। ? মানুষের আন্তরিকতা , সহজ সরলতা মিষ্টি হাসি আর আপন করে নেয়ার দক্ষতা । তবে অনেক দামী প্রশ্ন মুকুট । এটা নিয়ে কখনো ভাবি নি তো । একদিন ভেবে ভেবে সব উত্তর দিবো
২৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে বলে লাইক দিমু?
দিমু না - আমি হইলাম ঘোর পুরুষবাদী
১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
জুন বলেছেন: সত্যি দেন্নাই আজব লোকতো
পেট ভরা হিংসা আর হিংসা
অটঃ শোনেন আপনার পোস্ট রাশিয়া ইউক্রেন নিয়ে লেখায় আমার দ্বিতীয় মন্তব্যটি ছিল আপনি যখন বুঝেই ফেলেছেন অর্থাৎ আমি দু দেশকেই কেন সাপোর্ট করি আপনি যদি বুঝেনই তো আমি হুদাই মন্তব্য করছি । এইটা মিন করতে চেয়েছি । আর কিছু না
২৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পেশাদার ক্রন্দনকারী নিয়ে আগেও পড়েছিলাম। বিভিন্ন দেশে এই ধরণের ব্যবস্থা ছিল এটাও জানতাম। আসলে রুদালি যখন মুক্তি পায় তখন থেকেই এই বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছিলাম। বিশ্বের সবার চোখের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চলছে। কিন্তু মানুষের চোখের পানি ফেলার সময় নেই। খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার। আমাদের ধর্মে অবশ্য বিলাপ করে কাঁদা নিষিদ্ধ। আরবেও বিলাপ করে কাঁদা হতো মৃতের জন্য। তবে পেশাদার লোক দিয়ে হয়তো করানো হতো না। বিলাপ করে না কাঁদলে মনে করা হত যে মৃতের প্রতি উপযুক্ত সম্মান দেখানো হয় নাই।
একই সুরে ভুপেন হাজারিকার তিনটা গান। বাংলাদেশের 'সীমানা পেরিয়ে' সিনামায় 'মেঘ থম থম করে কেউ নেই নেই জল থৈ থৈ তীরে কিছু নেই নেই ভাঙ্গনের যে নেই পারাপার তুমি আমি সব একাকার।' ভুপেন হাজারিকা নিজে এই গান গেয়েছেন। এই ছবিতে আছে বুলবুল আহমেদ এবং জয়শ্রী কবির। এছাড়া ভারতীয় নায়িকা তনুজা আছেন (নায়িকা কাজলের মা)। ছোটবেলায় টিভিতে দেখেছি মনে হয়। এখন পুরোটা স্মরণ করতে পাড়ছি না। কিছু কিছু দৃশ্য মনে আছে।
একই সুরে ভুপেনের দ্বিতীয় গানটা হল 'চোখ ছল ছল করে ওগো মা কি ব্যথা অন্তরে ওগো মা'। আর একই সুরে তৃতীয় গান হল রুদালির এই গানটা।
আপনি সংশয় প্রকাশ করেছিলেন যে এই পোস্টে আবার আসবো কি না। এসে প্রমাণ করে দিলাম যে এই পোস্টে আবার এসেছি।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১১
জুন বলেছেন: ইসলাম ধর্ম আসার আগে আরবের লোকজন তো অন্যান্য দেশের মতই ছিল সাড়ে চুয়াত্তর। যেমন মিশর ব্যবিলন এসিরিয়ান আর এসব দেশে শোক প্রকাশের জন্য পেশাজীবি কাদুনের চল ছিল । আরবেও বিলাপ করে কাঁদা হতো মৃতের জন্য। তবে পেশাদার লোক দিয়ে হয়তো করানো হতো না। বিলাপ করে না কাঁদলে মনে করা হত যে মৃতের প্রতি উপযুক্ত সম্মান দেখানো হয় নাই।
সীমানা পেরিয়ে তে এই গানটি ব্যবহার করা হয়েছে এটা আপনার প্রথম মন্তব্যের উত্তরেই বলেছি সাচু । আরেক বার এসেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।
২৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এত মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টটি পাঠে বিলস্ব হওয়ার জন্য নীজের কাছেই খারাপ লাগছে ।
যাহোক বিলম্বে হলেও দেখতে যে পারছি তাতেই তুষ্টি অনুভব করছি ।
মনযোগ দিয়ে পাঠ করলাম । সাবাস, এই জন্যইতো আপনাকে বলা হয় এ সামু ব্লগের ইবনে বতুতা ।
প্রায় হাজার বছরের পুরানো ইতিহাস থেকে তুলে এনেছেন আমাদের জন্য আজানা কথা । জানা হলো
ভাড়াটিয়া ক্রন্দসীদের সম্পর্কে । জানা হলো প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার সময়কার কথা । বর্ণনা ও ছবিতে
কিছুটা দেখা গেল কেমন করে সে্সব পেশাজীবি ক্রন্দসীর দল চুল খুলে, চিতকার করে, মাটি থাপড়ে, বুক
চাপড়ে কাঁদত। পেশাদার ক্রদসিদের মধ্যে কেন মেয়েদেরই দেখা যায় তার কারণগুলিউ জানা হল । জানা
হল তাদের কোমল , নরম মন ও শারীরিক গঠন কান্নার জন্য বেশ সহায়ক হয় বলে ।
শুধু কি প্রাচীন মিশর, প্রাচ্যের চীন ও পাশ্চাত্তের মেক্সিকোর ক্রন্দসীদের কথামালাও জানা হলো এ সাথে।
রূদালী ছবির কাহিনী বর্ণনা ও দৃশ্য হতেও দেখা গেল শুধু প্রাচীন মিশর চীন আর মেস্ককোই নয় আমাদের
ভারত বর্ষেও ক্রন্দসীগন একেবারে পিছিয়ে নেই । আজন্মকাল দুর্ভাগ্য আর দারিদ্র্যতার সাথে সংগ্রাম করা
শনিচরী স্বামী সন্তানের অপমৃত্যুও যার চোখে এক ফোটা পানি আনতে পারে নি সেই কিনা পরবর্তীতে এক
মহিলার সাহায্যে পয়সার বিনিময়ে কান্নার পেশার সন্ধান খুজে পায়, যেখানে তাকে মাটিতে শুয়ে বসে বুক চাপড়ে,
থুতু দিয়ে চোখে জলের রেখা তৈরি করে মেকি কান্না কাদতে হয় গ্রামের কোন বিশাল জমিদার বা নিষ্ঠুর ধনী
ব্যাক্তির মৃত্যুর পর এক শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য।
শেষে করা আপনার জিজ্ঞাসার প্রশ্নে বলা যায় সারা বিশ্বের চোখের সামনে ইসরাইলি বর্বতায় গাজার
মর্মান্তিক পরিস্থিতির জন্য এখন কোন পেশাদার ক্রন্দসীর প্রয়োজন হবেনা , তাদের জন্য এখন সারা
দুনিয়ার এপ্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত শত কোটি বিশ্ব ,মানবতা কাঁদছে । কেও কাঁদছে নিরবে আর
অনেকেই প্রকাশ্যে বিভিন্ন অবয়বে কাঁদছে আর বুকফাটা কান্নায় বিধাতার আরশ ভারি করে তুলছে ।
খোদা পরম দয়াময় ও মহাপরাক্রমশালী , তাদের জন্য নিশ্চয়ই তিনি প্রশান্তি দায়ক ব্যবস্থা
করবেন অচিরেই ।
মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
জুন বলেছেন: আলী ভাই প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এত দেরি করে মন্তব্যের জবাব দেবার জন্য। আসলে আপনার মন্তব্যগুলো এত ওজনদার হয় যে হেলাফেলা করে তার উত্তর দিতে খারাপ লাগে। আর শায়মার মত বলতে গেলে বলতে হয় যে এ কটা দিন ইজি কাজে এত বিজি ছিলাম যে দৌড়ের উপর ব্লগে এসেছি আর সামনে যা আছে তা পড়ে তাতেই ফরফর করে মন্তব্য লিখে গিয়েছি
আসলে আলী ভাই আমার মনে হয় সর্বযুগেই নারীরা নির্যাতিত বঞ্চিত ছিল তাদের সমাজে সংসারে পরিবারে। চোখের পানি তাদের শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে গিয়েছিল। সে যুগে তো এখনকার মত টিয়ার ড্রপ্স ছিলনা যে তাই এক ফোটা দিয়ে কাদবে বা কিছুকাল আগের বিখ্যাত গ্লিসারিন। যা বাংলা সিনেমার এক অপরিহার্য অংগ ছিল। আপনজনরা ছিল অবরোধবাসীনি হুকুম ছিল না অন্দর মহলের বাইরে আসার। এদিকে কান্নাও জরুরি তাই ভাড়াটিয়া ক্রন্দসীর সৃষ্টি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য যা লেখার সাথে সম্পুর্ন প্রাসঙ্গিক। শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: এমন একটা পেশা আছে জানতাম তবে বিস্তারিতভাবে জানা হয়নি কখনো।
রূপালী মুভিটা দেখতে হবে।