নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার স্বপ্ন-সম্ভাবনা শূন্য থেকে শিখরে পৌঁছার

জুনেদ আহসান

মানবতার পথের পথিক

জুনেদ আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরকিয়া অভিশাপে জর্জরিত সমাজ

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩১



নিজ স্ত্রী বা স্বামীকে রেখে পর নারীবা পুরুষের সাথে অবৈধ মিলনকে পরকীয়া বলে। দেশে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এই পরকীয়া প্রেম। এই নিষিদ্ধ প্রেমের আগুনে জ্বলছে দেশ জাতি ও পরিবার। পরকিয়া অভিশাপে জর্জরিত আমাদের সমাজ।ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে সাজানো গোছানো সোনার সংসার।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে,ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই বেশি জড়ায় পরকিয়ায়।পরকিয়ায় জড়ানো পুরুষ ও নারী উভয় মানুষ হয়েও পশুর সামিল।পরকিয়ার কুফল শুধু নিজেরা নয় তাদের পুরো পরিবারকে ভোগ করতে হয়।যে পুরুষ বা নারী পরকীয়ায় জড়ায় তাদের স্ত্রী বা স্বামী অন্য কারো সাথে জড়াবে এটা স্বাভাবিক।অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী স্ত্রী একে অপরের অপছন্দের জন্য তাদের দুজনের মাঝে কোন নিষিদ্ধ ব্যক্তির আগমন ঘটে। আবার কখনো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কারো অক্ষমতা অথবা স্বামী স্ত্রীকে রেখে প্রবাসে পাড়ি জমানো এর জন্য দায়ী।

সে যত কারন থাক না কেন,পরকিয়ার মূলে রয়েছে ইসলামি জীবন বিধান না মেনে পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে গ্রহণ।অভিশাপ পরকিয়া জন্ম দেয় সমাজে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনার।পত্রিকার পাতা খুলতেই চোখে পড়ে পরকীয়ার খবর।পরকীয়ার ফাঁদে আটকা পড়ে আত্মহনন করছেন অগণিত নারী-পুরুষ; বলি হচ্ছেন নিরপরাধ সন্তান,স্বামী অথবা স্ত্রী।পরকীয়ার পথে বাধা হওয়ায় সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করছে মমতাময়ী মা। স্নেহময়ী মাকে রাক্ষসীতে পরিণত করছে এ পরকীয়া।আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে পারিবারিক কলহ। প্রতিদিনই স্বামীর হাতে স্ত্রী,স্ত্রীর হাতে স্বামী,সন্তানের হাতে পিতা-মাতা এবং পিতা-মাতার হাতে সন্তানের প্রাণ হরণের ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি,ভেঙে যাচ্ছে সংসার।ক্রমেই যেন মহামারী আকার ধারণ করেছে এ পরকীয়া।

পুরুষ এবং নারীর এই সর্ম্পকটি সহজে গড়তে প্রভাবিত করে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির আগ্রাসন তথা মোবাইল ও ফেসবুকে বায়বীয় প্রেম এবং সিনেমা, নাটকে বাস্তবতা বর্জিত প্রেম কাহিনী। আর ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাকে উপেক্ষা করে এবং অবাধে মেলামেশার সুযোগ গ্রহণ করে এই মানুষগুলোও অবলীলায় দুই নৌকায় পা দিয়ে চলতে চান।

কিন্তু ভুলে যান যে দুই নৌকায় পা দিলে বা দুই দিকে মন ভাগ হয়ে গেলে জীবনে কখনো শান্তি আসে না।বাস্তব কথা হলো ইসলামী অনুসাশনই রুখে দিতে পারে পরকীয়ার ভয়াল থাবাকে, পারে পরকীয়ার ভাইরাসকে সমাজ থেকে চিরতরে নির্মূল করতে। প্রাণঘাতী,পরিবারঘাতী সমাজঘাতী পরকীয়ার বিষাক্ত ছোবল থেকে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে মুক্ত করতে ও মুক্ত রাখতে।স্বামী স্ত্রী মাঝে গভীর ভালবাসায় দূর হতে পারে সমাজ থেকে এই ঘৃণীত অপরাধ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

আমি মেজর জিয়া বলেছেন: বাস্তব ধর্মীয় পোষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.