![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে খুন-ধর্ষণ যেন নিত্যদিনের সংবাদ।সোশ্যাল মিডিয়া বা প্রিন্ট মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যায় খুন-ধর্ষণের নানা চিত্র।
বাংলাদেশে যেসব মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন,তাদের বেশীর ভাগ স্কুল,কলেজ বা ভার্সিটির শিক্ষার্থী।আর যারাই বা ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজটি সংঘটিত করছে তাদের বেশিরভাগ শিক্ষক নামের নরপশু।
গতকাল বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার বদরুদ্দোজার বিরোধে এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কলেজ সূত্রে জানা যায়,বিকেল ৫ টার দিকে হোস্টেলের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের এক আবাসিক ছাত্রীকে অধ্যক্ষ বদরুদ্দোজা তার সরকারি বাসভবনে ডেকে পাঠান।পরে অধ্যক্ষ রুমের দরজা আটকে ওই ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়।এরপর ওই ছাত্রী সেখান থেকে পালিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের জানালে তারা অধ্যক্ষের বাসভবনে হামলা চালায়।বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বাসভবনের একতলা ও দোতলায় থাকা ফ্রিজ,আলমারি,ড্রেসিং টেবিলসহ মূল্যবান সামগ্রী ভাঙচুর করে।খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, অধ্যক্ষ ওই বাসভবনে সপরিবারে বসবাস করলেও তার স্ত্রীসহ অন্যরা বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। এ ঘটনার সময় তিনি বাসায় একা ছিলেন।
নির্যাতিত ছাত্রী জানান, কয়েকদিন আগে তিনি কলেজ হোস্টেলে সিট পেয়েছেন। হোস্টেলে মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিয়ম না থাকলেও তিনি বাড়ির লোকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য একটি ফোন কিনেছেন। এ নিয়ম ভাঙার অভিযোগে অধ্যক্ষ বিকেলে তাকে কলেজের দফতরির মাধ্যমে বাসভবনে ডেকে পাঠান। সে সময় বাসভবনে গার্ড থাকলেও অধ্যক্ষ তাকে বাইরে পাঠিয়ে দেন। এসময় অধ্যক্ষ তাকে হোস্টেলের নিয়ম মেনে চলতে বলেন।
এরপর তিনি বলেন, ‘তুমি তো অসুস্থ মনে হচ্ছে, তোমার চিকিৎসা দরকার। তবে তোমার যে রোগ তার জন্য ডাক্তার লাগবে না, আমিই এর চিকিৎসা করতে পারবো’- এই বলে অধ্যক্ষ তার শরীরে হাত দেন। এসময় অধ্যক্ষ তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘তুমি আমার প্রস্তাবে রাজি হলে হোস্টেলে ফোন ব্যবহার করতে আর কোনো বাধা থাকবে না, তোমাকে এর থেকেও দামি ফোন কিনে দেবো। এসময় অধ্যক্ষকে ধাক্কা মেরে দৌঁড়ে পালিয়ে এসে কলেজের অন্য শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়।
খবর পেয়ে কলেজের আবাসিক ছাত্রীরা অধ্যক্ষের বাসভবন ঘেরাও করে ঝাড়ু ও জুতা নিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করেন।
ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাবের বিষয়টি অস্বীকার করে অধ্যক্ষ বদরুদ্দোজার বলেন, সম্প্রতি হোস্টেলে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওই ছাত্রীকে বাসভবনে ডেকেছিলাম।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে অধ্যক্ষের বাসভবনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরামর্শ করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমি আশাকরি শিক্ষক নামক এই নরপশুকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হোক।যাতে আর কোন শিক্ষক এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।
০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩
জুনেদ আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, আরাফ আনহাফ।
২| ০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪২
এখওয়ানআখী বলেছেন: দিন দিন কোন পথে যাচ্ছে আমাদের নৈতিকতা
০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২০
জুনেদ আহসান বলেছেন: দিন দিন আমাদের নৈতিকতা মাটির কণার সাথে মিশে যাচ্ছে
৩| ০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৪
মোস্তফা ভাই বলেছেন: শিক্ষক-সমাজ কামুক হয়ে উঠেছে,
০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২২
জুনেদ আহসান বলেছেন: ঠিক তাই
৪| ০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩২
বিবেক ও সত্য বলেছেন: অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ভাল। তবে ঘটনার সত্যতা জেনে কথা বলা উচিত। শিক্ষটি যে কারো প্রতিহিংসার শিকার কিনা তাও জানার বিষয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪২
আরাফআহনাফ বলেছেন: দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।