নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আমার কথা - ১৯ পড়তে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা - ১৯
প্রথম কোন শিক্ষকের বিদায়ঃ
যে শিক্ষক আমাদের প্রথম পাক্ষিক পরীক্ষাটি নিয়েছিলেন এবং যাঁর পরীক্ষায় আমি আমাদের সেকশনে প্রথম পরীক্ষাতেই সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিলাম, তিনিই দুর্ভাগ্যক্রমে সবার আগে আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন জনাব হাফিজ উদ্দিন খান। মূলতঃ পদার্থ বিদ্যার শিক্ষক হলেও তিনি সপ্তম শ্রেণীতে আমাদের অঙ্ক ও জ্যামিতির ক্লাসগুলো নিতেন। তিনি অত্যন্ত স্বাধীনচেতা মানুষ ছিলেন। ঐ অল্প ক’দিনেই আমরা তাঁর কাছ থেকে অনেক ভালো ভালো উপদেশ পেয়েছিলাম। ক্যাডেট কলেজের কঠোর নিয়ম শৃ্ঙ্খলা তাঁর মোটেই ভালো লাগতো না, এটা আমরা বুঝতাম। তিনি প্রিন্সিপালকেও খুব একটা তোয়াক্কা করতেন না। তাঁর বিদায় ভাষণে তিনি আমাদেরকে ভালোভাবে পড়াশুনা করে ‘মানুষ’ হবার উপদেশ দিয়েছিলেন। নিজেদেরকে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবার উপযোগী করে তৈ্রী করার কথা বলেছিলেন। এ ছাড়া তিনি মানবিক গুনাবলী অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তাঁর শেষ কথাটা আজও আমার কানে বাজেঃ Do not sell yourself to anybody.
হাউস মাস্টার এবং হাউস টিউটরঃ
এমসিসিতে প্রবেশ করেই প্রথম যাকে আমাদের হাউস মাস্টার হিসেবে পেয়েছিলাম, তিনি ছিলেন জনাব সৈয়দ আব্বাস আমজাদ হোসেন, সংক্ষেপে SAAH, ভূগোলের শিক্ষক। তিনি উর্দুভাষী হলেও বাংলা বলতে পারতেন। তিনি খুব স্নেহপ্রবণ ছিলেন, খুব একটা হোমওয়ার্ক দিতেন না, আর পরীক্ষায় ভালো ম্যাপ আঁকতে পারলে দু’হাত খুলে নম্বর দিতেন। বিয়ের পর তিনি ক্লাসে একটু অমনযোগী হয়ে পড়েন। আমাদেরকে “সেলফ স্টাডী”দিয়ে তিনি চেয়ারে হেলান দিয়ে তার একটা নোটবুক খুলে কি যেন পড়তেন আর মিটিমিটি হাসতেন। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম তার নিজের লেখা কোন নোট পড়ে বোধহয় মুগ্ধ হয়ে তিনি হাসছেন। একদিন হঠাৎ তাঁর হাতে ধরা নোট বই এর ভেতর থেকে একটা নীল খামের চিঠি নীচে পড়ে যায়। খামের থেকে একটা হাস্যোজ্জ্বল মুখের ফটো বেড়িয়ে আসে, যেটা ছিলো তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর ছবি। সামনের ডেস্ক এর একজন দৌড়ে গিয়ে ছবিটি তাঁর হাতে তুলে দিলে তাঁর ফর্সা মুখটা একটু লাল হয়ে উঠেছিলো। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, তিনি কেন মিটিমিটি হাসতেন।
প্রথম হাউস টিউটর হিসেবে আমরা পেয়েছিলাম জনাব মোহাম্মদ শামসুদ্দোহাকে। লম্বা, ফর্সা, সৌ্ম্যকান্তি এই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আমি যখন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাউসে একা পড়ে ছিলাম (আমার কথা – ১৩ ও ১৪ দ্রষ্টব্য), দোহা স্যার তখন আমার পাশে এসে সান্তনা দিতেন, সাহস যোগাতেন। তিনি আমাদের ইতিহাস পড়াতেন, মাঝে মাঝে ইংরেজী শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে ইংরেজীও পড়াতেন। আমার মনে পড়ে, ইতিহাসের খাতায় তাঁর খুব পছন্দের ছিলো Stanly Lane Pool এর কোটেশন। ওনার প্রচুর কোটেশন ঐ ছোট ক্লাসেও (৭ম-৮ম) মুখস্থ করে আমি দোহা স্যারের কাছ থেকে ইতিহাসে খুব ভালো নম্বর পেতাম। বহুদিন পরে সেদিন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে দোহা স্যারের সাথে আমার সাক্ষাত হয়। তিনি আমার এসব স্মৃতির কথা স্পষ্ট মনে রেখেছেন এবং আমার স্ত্রীকেও এর কিছু কিছু বলেছেন। তিনি আমার মা এবং মরহুম পিতা সম্পর্কেও অনেক কথা জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আজ তিনি কিডনী রোগে আক্রান্ত। আমরা অর্থাৎ এক্স এমসিসি ক্যাডেটরা যে তাঁর চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটানোর জন্য আর্থিক সহায়তার হাত প্রসারিত করেছি, তিনি সে কথাও কৃ্তজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেছিলেন। পরম দয়ালু আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন দোহা স্যারকে সম্পূর্ণ আরোগ্য দান করেন এবং বাকী জীবনটা তাঁকে নির্ঝঞ্ঝাট পার করে দেন!
‘মোস্ট ইম্প্রেসড’
প্রথম যে শিক্ষককে দেখে ‘মোস্ট ইম্প্রেসড’ হয়েছিলাম, তিনি জনাব নাজমুল আহসান। তিনি রসায়নের শিক্ষক ছিলেন, কিন্তু ক্লাস ছাড়াও তাঁকে কলেজের সকল চৌহদ্দিতেই তৎপর দেখা যেতো। এডজুট্যান্ট এর অনুপস্থিতিতে তিনি মাঝে মাঝে কলেজ এডজুট্যান্ট এরও দায়িত্ব পালন করতেন। আমরা প্রথম কলেজে যাওয়ার কয়েক মাস পরেই তিনি আমাদের হাউস মাস্টার হিসেবেও দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ক্যাডেট হিসেবে যে আমি খুবই ম্রিয়মাণ প্রকৃতির ছিলাম, এটা তাঁর চোখে ধরা পড়তে বেশীদিন লাগেনি। হাউস মাস্টার হিসেবে তাঁর প্রথম রিপোর্টেই তিনি আমার সম্পর্কে একটা বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন, He is rather meek and mild, He should be more sociable and friendly। নিজের সম্পর্কে তখনকার ঐ মন্তব্যটা যে কতটা সত্য ছিলো, তা আমি ছাড়া আর কে বেশী জানতো? তাই উপদেশ পাওয়ার পরেও প্রকৃ্তিগত স্বভাবে পরিবর্তন আনতে পারিনি বলে পরবর্তীতে তাঁকে দেখলেই আমি খুব আড়ষ্ট থাকতাম।
তিনি খুবই পরিপাটি পোশাকে চলাফেরা করতেন। রঙ ঠিক ফর্সা না হলেও স্লিম ফিগার, ব্যাকব্রাশ করা ছোট চুল আর স্মার্ট মুভমেন্ট এর কারণে সকলের পছন্দের ছিলেন। রসায়নের শিক্ষক হিসেবে আমাদের তিনি খুব কমই পড়িয়েছেন, তাই ঐ বিষয়ে তাঁর দখল কেমন ছিলো সে বিষয়ে আঁচ করতে পারিনি। তবে স্বাধীনতার পরে তিনি কয়েক বছর নাইজেরিয়ায় এবং দীর্ঘদিন ব্রুনাই দারুস সালামে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি এখন আমার ফেইসবুক ফ্রেন্ড। সেই সুবাদেই দেখতে পাই সারা বিশ্ব জুড়ে তাঁর কত গুণগ্রাহী ছাত্র ছাত্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, এবং তারা তাঁকে শিক্ষক হিসেবে কতটা শ্রদ্ধা করে। এমনকি এখনও তিনি ঢাকার একটি বিখ্যাত ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলে রসায়নের ক্লাস (ল্যাব) নিয়ে থাকেন। এ থেকেই বুঝা যায় তিনি তাঁর সাবজেক্টে কতটা পারদর্শী। আমরা কলেজে গিয়েই শুনেছিলাম যে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতেও কমিশন্ড অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু ব্যক্তিগত কোন কারণের জন্য তিনি শেষ পর্যন্ত পিএমএ'তে যোগদান করেননি। তাঁর আরেকটা বড় পরিচয়, তিনি সেই আমলে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে ঈগলেটস ক্রিকেট ক্লাব এর পক্ষে খেলতেন। রকিবুলদের সাথে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান একাদশেও চান্স পেতেন। তাঁর অকালপ্রয়াত ছোটভাই এক্স ক্যাডেট মঞ্জুরও নিয়মিতভাবে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে খেলতেন এবং মৃত্যুর সময় তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও ছিলেন। সেদিন মেকা (MECA – Mirzapur Ex Cadets’ Association) ইফতার পার্টিতে নাজমুল আহসান স্যারের সাথে অনেকক্ষণ আলাপ হলো। এখনো তিনি যদি তাঁর সাদা চুলগুলো কালো করে আমার পাশে দাঁড়ান, তাঁকে আমার ছোটভাই বলেই অনেকের ভ্রম হবে।
ঢাকা
২৮ অগাস্ট ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ, প্রামানিক।
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
গন্ধ গণতন্ত্র বলেছেন: ভাল হয়েছে
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, গন্ধ গণতন্ত্র। লেখাটা এত তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলেছেন দেখে প্রীত হ'লাম।
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: স্মৃতিময় লেখা । শুভেচ্ছা রইল
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, দেবজ্যোতিকাজল।
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
পাকী সরকার ও বাংলাদেশ সরকার ক্যাডেট কলেজের পেছনে যে টাকা ঢেলেছে ও ঢালছে, তাতে ২০ গুণ ছাত্রকে পড়ালেখা শেখানো যেতো।
এটা হলো তেলো মাথায় তেল দেয়ার কলোনিয়েল পদ্ধতি।
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: এই পর্বটি পেতে অনেক সময় লাগলো।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কথাটা ঠিকই বলেছেন, রাতুল_শাহ। অনেক সময় লাগলো। তবে কারণ ছিলো।
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
বনজ্যোৎস্নার কাব্য বলেছেন: আপনার এই সিরিজটা আমার খুব ভালো লাগে। আগের পর্ব গুলো পড়েছি সবই। আমি এখন খুব নস্টালজিক হয়ে পড়ি ছেলেবেলায় ফিরে যাবার জন্য। এখন বাচ্চাদের পড়াশুনার স্টাইল দেখলে মনে হয় ওদের চেয়ে আমি বা আমার সমসাময়িকরা শিক্ষকদের কাছ থেকে যে গাইড, যে ধৈর্য পেয়েছিলাম এখনকার বাচ্চারা তার ছিটেফোঁটা পায় কিনা সন্দেহ। আমার ছেলেবেলার শিক্ষিকা শিখিয়েছিলেন কী করে নিজের নোট নিজে তৈরি করে পড়া শিখতে হয়, ক্লাস থ্রী থেকে উনি এই শিক্ষাটা আমাকে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে বাংলা বিষয়ে - যে কোনো গল্প বা কবিতার শব্দার্থ শেখা, সারমর্ম শেখা, প্রতি লাইন টু লাইন পড়ে মনে রাখা যাতে যে কোনো জায়গা থেকে একটা লাইন বললে যেন বলতে পারি তার পরের লাইন কি। তার কাছে ইম্পর্ট্যান্ট বলে কিছু ছিল না, সবই তার কাছে ইম্পর্ট্যান্ট অর্থাৎ পুরো বই ভালো করে নিজের আয়ত্বে আনা সেটা যে বিষয়ই হোক না কেন!
আপনার ভূগোল শিক্ষকের কথা পড়ে আমিও মুচকি হাসলাম।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি এত তাড়াতাড়ি 'আমার কথা'র এ যাবত প্রকাশিত সবগুলো পর্ব পড়ে শেষ করেছেন জেনে বিস্মিত হ'লাম। এজন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। লেখাটা পড়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যও ধন্যবাদ, বনজ্যোৎস্নার কাব্য।
আপনার ছদ্মনামটা ভারী সুন্দর।
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অনেক ভাল লাগল । জীবন কাহিনী মাঝে মাঝে কবিতা তাও আবার অনেক উঁচু মানের সব মিলে আপনার ব্লগটি আমাদের
জন্য একটা চমৎকার উপহার ।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি বা আমার লেখা এতটা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য কিনা জানিনা, তবে প্রশংসা পেয়ে আনন্দিত এবং অনুপ্রাণিত হ'লাম নিঃসন্দেহে। এজন্যে অনেক ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা।
৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আবার ফিরে এলাম ,আপনাকে একটা হেলদি রেসিপি দেয়ার জন্য ------
বাঁধা কপির কোস্ল
বাঁধা কপি ------------১ কাপ ( কুচি করা) ,
টমেটো পিউরি -------১ টেঃ চাঃ ,
চিলি সস ------------- অল্প অথবা না দিলেও চলে্ ,
প্রনালিঃ সব মিসিয়ে ভাত, রুটি বা অন্য কোন নাস্তার সাথে ভক্ষন করুন ।
শরীর এবং মন দুটোই ভাল থাকবে ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: হেলদী রেসিপি'র জন্য ধন্যবাদ। প্রণালীটা খুব সহজ করে দিয়েছেন!
৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: রেসিপির নামটা ভুল বানান হয়ে গেল ,এটা হবে কোলস্ল ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, ঠিক আছে। "কোলস্ল" আগে শুনিনি।
১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: He is rather meek and mild, He should be more sociable and friendly ---- এই বৈশিষ্ট্য থেকে কি শেষ পর্যন্ত বের হতে পারলেন?
এই সিরিজের সাথেই আছি। ভালো থাকুন
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে হয় পেরেছি।
সিরিজের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, অপর্ণা মম্ময়।
মনে হয় আপনি কবিতা পছন্দ করেন না।
১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪০
জুন বলেছেন: আপনার লেখায় পড়ছি সে সময়ে আমাদের শিক্ষকদের কথা যাদের একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল ছাত্র ছাত্রীদের কল্যান কামনা। ভালোলাগছে ক্যডেট কলেজ এ আপনার জীবনের কিছু সময়ের খুটিনাটি বর্ননা।
সাথে আছি।
+
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন, জুন। সে সময়ে আমাদের শিক্ষকদের একমাত্র উদ্দেশ্যই যেন ছিল ছাত্র ছাত্রীদের কল্যাণ কামনা আর নিজের সাধ্যমত তাদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা দান করা।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।
এর পরের কয়েকটা পর্বেও আরও কয়েকজন শিক্ষকের কথা থাকবে, এ কথা আগেই বলে রাখলাম।
১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কবিতা পছন্দ করি না কে বলেছে? আমি নিজেও যেহেতু লিখতাম সেহেতু ভাল না লাগার কারণ নাই। এটা ঠিক আমি আপনার কবিতা পোস্টে ঢুকি না। কবিতা ছুঁতে পারা চাই। আপনার এই সিরিজ ভাল লাগে বলেই এই ভাল লাগাটা বজায় রাখতে কবিতা পোস্টে কমেন্ট করি না।
আমি ইদানীং কবিতা লিখতে চাই। হার্ড কপিতে পড়ার চেষ্টাও করি। কিন্তু পড়ায় মনযোগ আসছে না।
আমার মনে হয় আপনি সত্যিই কবিতার অনুরাগী হলে বিভিন্ন ধরণের কবিতা বেশি বেশি পড়ুন। কবিতায় নানা এক্সপেরিমেন্ট চলে , ভাষার, ভাবের। যেহেতু মোবাইল থেকে কমেন্ট করছি তাই লিংক দিতে পারলাম না। অফিসে সকাল থেকে আজ নেট লাইন নেই।
অনেক লম্বা কমেন্ট দিলাম, আশা করি কিছু মনে করেননি।
ধন্যবাদ।ভাল থাকুন।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা ঠিক বলেছেন যে কবিতা ছুঁতে পারা চাই -- বিশেষ করে যারা স্রেফ মনের আনন্দেই কবিতা লেখালেখি করে, তাদের পক্ষে কবিতা দিয়ে কাউকে ছুঁতে পারাটা চাট্টিখানি কথা নয়।
আমি কবিতার অনুরাগী বটে, তবে ততটা সিরিয়াস পাঠক নই। কবিতা পড়তে ভালো লাগে, বিশেষ করে সহজবোধ্য রোমান্টিক কবিতা। দূর্বোধ্য কবিতা আমাকে দূরে ঠেলে দায়। আধুনিকতা, উত্তর আধুনিকতা, পরাবাস্তবতা, ইত্যাদি নিয়ে গবেষণায় ততটা আগ্রহী নই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভালো লেগেছে।
১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩
বনজ্যোৎস্নার কাব্য বলেছেন: আমার নিকের বয়স কম হতে পারে কিন্তু ব্লগে মোটামুটি অনেকের লেখাই পড়ি। আপনার এই সিরিজও সেই সূত্রে পড়া। আর না পড়ে আমি সাধারণত কাউকে কমেন্ট করি না।
ভালো থাকুন সবসময়।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আর না পড়ে আমি সাধারণত কাউকে কমেন্ট করি না। -- না পড়ে কমেন্ট করেছেন, এমন কথা ভাবিওনি, বলিওনি। এর আগের পর্বগুলোতে আপনার তেমন একটা মন্তব্য দেখতে পাইনি বলেই আমার মনে হয়েছিলো। সেজন্যই ওভাবে বলেছিলাম কথাটা। আশাকরি মনে কিছু নেবেন না।
১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৬
আরজু পনি বলেছেন:
পেশাগত ব্যস্ততায় ব্লগে কয়েকদিন অনুসারিত ট্যাব দেখা হয়নি । যার কারণে আপনার এই পর্বটা মিস করে ফেলেছি ।
নাজমুল আহসান স্যারের গুনের কথা পড়ে মুগ্ধ হলাম ।
দোহা স্যারের অংশটা কম বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
ভালো থাকবেন ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি আমার প্রায় সব লেখাই মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন, তা আমি জানি। তাই আপনাকে এ লেখাটায় না পেয়ে একটু মিস করছিলাম বৈকি। তবে ধরেই নিয়েছিলাম, নিশ্চয়ই কোন কম্পেলিং রীজন থাকবে, যেমনটা আপনি বলেছেন, আপনার পেশাগত ব্যস্ততার কথা।
আমার লেখায় আমার শিক্ষকদের কথা বেশী বেশী চলে আসছে দেখে ভয়ে ভয়ে লিখি, পাছে খুব বেশী বোরিং হয়ে যায় কিনা। আপনাদের মত পাঠকের মন্তব্য পড়ে আবার অনুপ্রেরণা ফিরে পাই।
লেখাটা 'লাইক' করার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।
১৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৮
আরজু পনি বলেছেন:
ব্লগে নানা রকমের মানুষ আসে সেসব মাথায় রেখেই ব্লগে থাকতে হয় ।
আপনি বিচক্ষণ মানুষ বুঝবেন আশা করি ।
যে যেমন পরিশ্রম, সাধনা করে সে তেমনই প্রাপ্য পাবে এটাই স্বাভাবিক ।
ক্যাডেট কলেজেতো আর গাধা-গরুরা পড়েনা। যথেষ্ট বাছাই করা মেধাবীরাই পড়ে যারা পরবর্তীতে দেশের জন্যে যথেষ্ট অবদান রাখতে পারে ।
গণহারে এ প্লাস পাওয়া অনেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজেই সুযোগ পেতেই হিমশিম খায় । সরকারের উচিত পয়সা খরচ করে আর না পড়িয়ে ওদেরকে ডিটেনশনে পাঠিয়ে কৃষিকাজ করানো ।
আপনি চাইলে এই মন্তব্যটা মুছে ফেলতে পারেন ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগে নানা রকমের মানুষ আসে সেসব মাথায় রেখেই ব্লগে থাকতে হয় জ্বী জ্বী, সেটা বেশ বুঝি। পাঠকের স্বাধীনতা আছে কিছু বলার, লেখকের আছে কিছু না বলার।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১
শামছুল ইসলাম বলেছেন: অনেকেই হয়ত আছে, শুধু লেখার জন্যই লেখে-একটা পাঠক পরিমন্ডল সৃষ্টি করে,তাতেই তৃপ্ত থাকে। কিন্তু আপনার বহু লেখার মত আজকের লেখাতেও একজন মানুষের পরিচয় পেলাম, যিনি প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেনঃ
//আজ তিনি কিডনী রোগে আক্রান্ত। আমরা অর্থাৎ এক্স এমসিসি ক্যাডেটরা যে তাঁর চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটানোর জন্য আর্থিক সহায়তার হাত প্রসারিত করেছি, তিনি সে কথাও কৃ্তজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেছিলেন। পরম দয়ালু আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন দোহা স্যারকে সম্পূর্ণ আরোগ্য দান করেন এবং বাকী জীবনটা তাঁকে নির্ঝঞ্ঝাট পার করে দেন! //
আপনার প্রতিটি পর্বই আমাকে অনেক কিছু শেখায়, সবচেয়ে বড় শিক্ষা-মানুষের প্রতি ভালবাসা।
ভূপেন হাজারিকার গানের কলি গুলো কানে বাজছেঃ
//মানুষ মানুষের জন্যে,
জীবন জীবনের জন্যে-
একটু সহানুভূতি কি-
মানুষ পেতে পারে না?
ও বন্ধু, মানুষ মানুষের জন্যে,
জীবন জীবনের জন্যে-
একটু সহানুভূতি কি-
মানুষ পেতে পারে না?//
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি আপনার সংবেদনশীল মন দিয়ে আমার লেখাগুলো পাঠ করে থাকেন, শামছুল ইসলাম, তাই এসব সাধারণ লেখায়ও আপনি প্রায়ই ভালো লাগার অনেক কিছু খুঁজে পান এবং তা বোল্ড করে উদ্ধৃত করে থাকেন। আমি তাতে খুবই অনুপ্রাণিত বোধ করি।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ আপনার এ মনোযোগী পাঠের জন্য।
১৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪৬
কালীদাস বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল ব্যক্তিগত কারণে। আমার কোন স্টুডেন্ট ব্লগে লেখে না এখন। আমারে নিয়া পিছনে এটলিস্ট গালি দেয় কিনা সেইটাও জানার সুযোগ হইল না শুনেছি ফেসবুকে নাকি লিখেছিল অনেক আমাকে নিয়ে, নিজের একাউন্ট না থাকায় ১০০ভাগ নিশ্চিতভাবে জানিনা গালিহীন ছিলাম কিনা, দুয়েকজন হয়ত দিতেও পারে! এখন তো অনেকে পাশ করে বেরও হয়ে গেছে!
পড়লাম এই পর্বটাও; উল্লেখযোগ্য কমেন্ট করার কিছু নেই বলে নিজের ঢোল পিটিয়ে গেলাম কিছুক্ষণ। হা হা
২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: উল্লেখযোগ্য কমেন্ট করার কিছু নেই বলে নিজের ঢোল পিটিয়ে গেলাম কিছুক্ষণ - আসলেও উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই এতে, শুধু নিজের কথা বলা ছাড়া। আমিও তো ঢাক ঢোলই পিটিয়েছি, আমারই।
আপনার ছাত্ররা আপনাকে গালি দিবে বলে আমার মনে হয়না। ছাত্ররা শিক্ষকদের মধ্যে যে ধরণের ব্যক্তিত্ব অন্বেষণ করে, আপনার মধ্যে তার অনেকটাই আছে বলে আপনাকে ভার্চুয়ালী দেখে তাই মনে হয়।
১৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
জনাব সৈয়দ আব্বাস আমজাদ হোসেনের অংশটি পড়ে আমিও মিটিমিটি হাসলাম!
আপনার শিক্ষক নাজমুল আহসান সাহেবের কাহিনি পড়ে আমিও ইমপ্রেসড। ব্যাকব্রাশ করা স্মার্ট মুভমেন্ট-এর সেই শিক্ষক আপনার ফেইসবুক ফ্রেন্ড। এখনও তিনি রসায়ন পড়াচ্ছেন কোন এক বিখ্যাত ইংরেজি স্কুলে। এখনও তিনি চুলে ডাই করে আপনার পাশে দাঁড়ান।
আমি ভাবছি অন্য কথা। মন কতটুকু তরুণ হলে, নিজেকে নিয়ে কতটুকু আত্মবিশ্বাস থাকলে এমন হওয়া যায়! আমরা তো চল্লিশ পেড়িয়েই খতম
২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: জনাব সৈয়দ আব্বাস আমজাদ হোসেনের অংশটি পড়ে আমিও মিটিমিটি হাসলাম! - আমিও আবার নতুন করে হাসলাম।
আমার শিক্ষক নাজমুল আহসান স্যার ৭৫ বছর বয়সে এখনো ফিজিক্যালী ভীষণ ফিট। এখনো একা ট্রাভেল করেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী ছেলে মেয়েদের দেখতে যান। বেশ ক'বছর ধরে তিনি বিপত্নীক, কিন্তু সামাজিক সম্পর্ক বজায় রেখে তিনি আত্মীয়, অনাত্মীয়, বন্ধু বান্ধব, ছাত্র, গুণগ্রাহী সবার সাথে কানেক্টেড। আমার সৌভাগ্য, আমার সাথেও।
অনেক পুরনো একটা লেখা খুঁজে বের করে মন্তব্য রেখে গেলেন, অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা...
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৮
প্রামানিক বলেছেন: এ পর্বও পড়া হলো। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।